Categories
প্রবন্ধ

বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস : একটি সচেতনতামূলক যাত্রার ইতিহাস ও তার প্রভাব।।।

আজ বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখে সমগ্র বিশ্বে পালন করা সচেতনতামূলক দিবস।আফ্রিকায় ২০০১ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম ম্যালেরিয়া দিবস পালন করা হয়। এরপর ২০০৭ সালে ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলির ৬০তম অধিবেশনে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবসের প্রস্তাবনা করা হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

রাষ্ট্রসংঘর বিশেষ সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে এই দিবস সমগ্র বিশ্বের এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহ এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্য সংস্থাগুলি ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ এবং সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই দিবস পালন করে। ১০৬ টি দেশের প্রায় ৩.৩ বিলিয়ন লোক ম্যালেরিয়ার কবলে পরার সম্ভাবনা আছে। ২০১২ সালে ম্যালেরিয়াতে প্রায় ৬,২৭,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এর বহুসংখ্যক আফ্রিকার শিশু ছিল। এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, মধ্য প্রাচ্য এবং ইউরোপের কিছু অংশ ম্যালেরিয়ার কবলে পড়েছে।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পালন করা বিশ্বের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত ৮ টা সরকারি দিবস এবং কার্যসূচীর অন্যতম। বাকীগুলো হল বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস, বিশ্ব রোগপ্রতিরোধক সপ্তাহ, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস, বিশ্ব তামাকবিরোধী দিবস, বিশ্ব এইডস দিবস, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস এবং বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া রিপোর্টের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, ২০১৫ সালে প্রায় ৪,২৯,০০০ মানুষের মৃত্যু এবং ২১২ মিলিয়ন নতুন করে ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিল। ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হার ২১% এবং মৃত্যুর হার ২৯% কমেছে। উপ-সাহারান আফ্রিকাতে সেই হার ক্রমে ২১% এবং ৩১% কমেছে।
১৮৮০ সাল নাগাদ চার্লস ল্যাভেরন লোহিত রক্ত কণিকা থেকে ম্যালেরিয়ার কারণ হিসেবে একটিমাত্র কোষবিশিষ্ট পরজীবী প্রোটোজোয়াকে চিহ্নিত করেন। ফলে শত বছর ধরে চলা দূষিত বায়ু সেবনের ফলে রোগ সৃষ্টির ভুল ধারণার অবসান ঘটে। ১৮৯৭ সালে ভারতে কর্মরত ব্রিটিশ ডাক্তার স‍্যার রোনাল্ড রস প্রমান করেন যে Anopheles (অ্যানোফিলিস) মশা এই রোগের বাহক হিসেবে কাজ করে। এ যুগান্তকারী আবিষ্কারের কারণে তাকে ১৯০২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।
এটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (আনোফেলিস মশা) কামড়ের সাথে শুরু হয়, যা তার লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। ম্যালেরিয়ার সাধারণ রোগের লক্ষণসমূহ হল জ্বর এবং মাথা ব্যাথা, যা খুব গুরুতর ক্ষেত্রে কোমা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
ফলে মশা দূর করতে, মশার লার্ভা ধ্বংস করার বার্তা দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের সরকারের তরফে সচেতনতা প্রচার করা হয়। কিন্তু যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হল মানুষের সার্বিক সচেতনতা।
ম্যালেরিয়ার লক্ষ্মণ –
নির্দিষ্ট সময় পরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা। জ্বর সাধারণত ১০৫-১০৬ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
জ্বর ছেড়ে গেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে যেতে পারে।
মাঝারি থেকে তীব্র কাঁপুনি বা শীত শীত অনুভব,
গায়ে মারাত্মক ব্যথা এবং মাথাব্যথা।
বমি-বমি ভাব
ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে করণীয়–
মশাবাহিত রোগ থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার ব্যপারে সচেতন হতে হবে। মশার কামড় থেকে দূরে থাকাই এ রোগ প্রতিরোধের উপায়।
দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি বা কয়েল ব্যবহার করতে হবে। দরজা-জানালায় মশা প্রতিরোধক জাল, শরীরে প্রতিরোধক ক্রিম, ঘরে মশা মারা স্প্রে ব্যবহার করুন।
ঘরের আশপাশে কোথাও পানি জমে যেন মশা বংশবিস্তার না করতে পারে; সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মশাবহুল স্থানে কীটনাশক বা কেরোসিন ছিটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন হলে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ঔষধ সঙ্গে রাখা উচিত।
চিকিৎসা—–
রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সংক্রমণের তীব্রতা আর ম্যালেরিয়ার ধরণের উপর এই রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে। সাধারণতঃ তীব্রতা কম হলে ম্যালেরিয়া-প্রতিকারের জন্য মুখে খাওয়ার ঔষধ দেওয়া হয়। কিন্তু সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার (মারাত্মক ম্যালেরিয়া) ক্ষেত্রে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
এ রোগ প্রতিরোধের জন্য কার্যকরী টিকা এখনো বিশ্বব্যাপী বহুল প্রচলিত নয়। তাই অন্যান্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণই এ রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।
উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে ম্যালেরিয়া থেকে আরোগ্য লাভ করা সম্ভব। ম্যালেরিয়া রোগে অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ হলো সময়মতো রোগ সনাক্ত না হওয়া এবং চিকিৎসায় বিলম্ব করা। সেজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে জটিলতা সৃষ্টির আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৫ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৫ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৯৯ – অলিভার ক্রমওয়েল, ইংরেজ জেনারেল ও রাজনীতিবিদ।

১৮৪৮ – টম আর্মিটেজ, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৮৪৯ – ফেলিক্স ক্লাইন, জার্মান গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৮৫০ – লুইসে আদলফা লি বেয়াউ, জার্মান সুরকার।
১৮৭২ – চার্লস বার্জেস ফ্রাই, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৮৭৪ – গুলিয়েলমো মার্কোনি, ১৯০৯ সালে নোবেলজয়ী ইতালীয় উদ্ভাবক এবং প্রকৌশলী।
১৮৮৬ – চার্লস কেলেওয়ে, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।
১৮৯২ – বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাব্রতী জিতেন্দ্রমোহন সেন।
১৮৯৮ – ভিয়েসনতি আলেসান্দ্র, নোবেলজয়ী স্পেনীয় কবি।
১৯০০ – ভোল্‌ফগাং পাউলি, অস্ট্রীয় নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯০০ – গ্লাডউইন জেব, ইংরেজ রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল।
১৯০৩ – আন্দ্রেই কোলমোগোরোভ, রাশিয়ান গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ।
১৯১৮ – গেরারড ডে. ভাউচউলেউরস, ফরাসি জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৯২১ – ক্যারেল অ্যাপেল, ডাচ চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।
১৯২৭ – অ্যালবার্ট উদেরজো, ফরাসি কমিক বই লেখক।
১৯৩০ – রয় মার্শাল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।
১৯৩৮ – মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় প্রখ্যাত বাঙালি কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।
১৯৪০ – আল পাচিনো, মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৪৫ – বিজোরন উল্ভায়েউস, সুইডিশ গায়ক, গীতিকার ও প্রযোজক।
১৯৪৬ – তালিয়া শায়ার, মার্কিন অভিনেত্রী।
১৯৪৭ – হেনড্রিক ইয়ুহানেস ক্রুইফ, ডাচ সাবেক ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৪৯ – ডমিনিকুয়ে স্ট্রস-কাহন, ফরাসি অর্থনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৫৫ – পারভিজ পারাস্তুই, ইরানি অভিনেতা ও গায়ক।
১৯৫৯ – অমিত চাকমা, বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডীয় রাসায়নিক প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদ।
১৯৫৯ – আকরাম হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক
১৯৬৩ – ডেভিড উইলিয়াম মোয়েস, স্কটিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
১৯৬৪ – জেমি সিডন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও ক্রিকেট কোচ।
১৯৬৪ – ফিওনা ব্রুস, ব্রিটিশ সাংবাদিক।
১৯৬৯ – রানে জেলওয়েগার, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৭০ – জেসন ফুসলান, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৭৬ – রেইনার সচুটলের, জার্মান সাবেক টেনিস খেলোয়াড় ও কোচ।
১৯৮০ – ব্রুস মার্টিন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।
১৯৮২ – মার্কো রাসো, ইতালিয়ান ফুটবলার।
১৯৮২ – মন্টি পানেসর, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৯০ – অ্যান্ড্রু পয়েন্টার, আইরিশ ক্রিকেটার।
১৯৯৩ – রাফায়েল ভারানে, ফরাসি ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৮৬ – মুর্শিদাবাদ জেলার আত্মপ্রকাশ হয়।
১৭৯২ – প্যারিতে প্রথম গিলেটিন স্থাপিত হয়।
১৮৫৯ – সুয়েজ খাল খননের কাজ শুরু হয়।
১৮৮২ – খুলনা জেলা গঠিত হয়।
১৯০১ – যুক্তরাস্ট্রের প্রথম রাজ্য হিসাবে নিউইয়র্কে অটোমোবাইলের প্লেট চালু হয়।
১৯১৫ – গ্যালিপলির যুদ্ধের সূচনা।
১৯৬৬ – ভয়ানক এক ভুমিকম্পে তাসখন্দ শহর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
১৯৭১ – ভিয়েতনামে সামরিক অভিযানের বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় দুই লক্ষ জনতা ওয়াশিংটনে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় লাওস।
১৯৭৫ – ৫০ বছর পর পর্তুগালে প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮২ – ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি অনুসারে ইসরায়েল সিসনাই উপত্যাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন করে।
১৯৮৯ – ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী নোবোরু তাকাশিতা পদত্যাগ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৪৭২ – লেওন বাতিস্তা অ্যালবার্তি, ইতালীয় লেখক, কবি ও দার্শনিক।
১৭৭৪ – অ্যান্ডার্স সেলসিয়াস, সুয়েডীয় জ্যোতির্বিদ।
১৮০০ – উইলিয়াম কাউপার, ইংরেজ কবি।
১৮৪০ – সিম্যান ডেনিস পইসন, ফরাসি গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৭৮ – আন্না সেওয়েল, ইংরেজ লেখক।
১৯১১ – এমিলিও সালগারি, ইতালিয়ান লেখক।
১৯২০ – ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম পালি ভাষার চর্চা ও বৌদ্ধশাস্ত্রানুরাগী বাঙালি ব্যক্তিত্ব সতীশচন্দ্র আচার্য বিদ্যাভূষণ।
১৯৪০ – প্রখ্যাত সাংবাদিক সাহিত্যিক মৌলভী মুজিবুর রহমান।
১৯৪৮ – ধ্রুপদী রাগসঙ্গীত শিল্পী গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী।
১৯৬৮ – বাঙালি বিপ্লবী ও প্রখ্যাত চিকিৎসক যতীন্দ্রনাথ ঘোষাল।
১৯৭২ – জর্জ স্যান্ডার্স, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৭৩ – বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তী, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৯৭৫ – ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়, বাঙালি লেখক।
১৯৭৬ – ক্যারল রিড, ইংরেজ পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৮৮ – ভালেরি সলানাস, আমেরিকান লেখক।
১৯৯০ – ডেক্সটার গর্ডন, আমেরিকান স্যাক্সোফোননিস্ট, সুরকার এবং অভিনেতা।
১৯৯২ – য়ুটাকা অযাকি, জাপানি গায়ক।
১৯৯৫ – জিঞ্জার রজার্স, মার্কিন অভিনেত্রী, নৃত্যশিল্পী ও গায়িকা।
২০০০ – লুচিন্‌ লে ক্যাম, ফরাসি গণিতবিদ।
২০০১ – ছায়া দেবী(চট্টোপাধ্যায়), প্রখ্যাত চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।
২০০৭ – লেস জ্যাকসন।
২০০৭ – আর্থার মিল্টন, ইংলিশ ফুটবলার এবং ক্রিকেটার।
২০১২ – লুই লি ব্রকিয়, আইরিশ চিত্রকর।
২০১৪ – টিটো ভিলানোভা, স্প্যানিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মা কালীর সামনে বর্গীদের আত্মসমর্পণ: এক অজানা ইতিহাসের পাতা।।।

ইং১৭৪২ খ্রী: বাংলা সন ১১৪৯ সালে শিবাজীর বর্গী সেনাপতি ভাস্কর পন্ডিত বর্গীদের একটি দল সহ বিষ্ণুপুর থেকে সোনামুখী আসে।এখানে লুটপাট করার জন্য বাদ্যযন্ত্র সহ ‘হর হর বোম বোম’ শব্দ করতে করতে রাণীর বাজারে আমাদের মাঁ কালীর মন্দিরের সামনে বর্গীদল সমবেত হয়। এখানে তখন মন্দিদের চারদিক গাছ পালাতে পরিপূর্ণ ছিল।

দিনের বেলাতেই অনেকেই মন্দিরের সামনে আসতে সাহস করতো না।
তখন দিবা অপরাহ্ণ। এই অঞ্চলের মানুষ জন সকলে বর্গীদের ভয়ে নিজ নিজ ঘরে নিজেদের বন্ধ করে রাখলেন।
বর্গীদল বাজনা বাজাতে বাজাতে নাচতে লাগলো। তখন এক বৃদ্ধ সন্ধ্যায় দেবীমন্দিরে আলো দেবার জন্য একটি প্রদীপ নিয়ে মন্দিরে মাঁয়ের ঘটের সামনে রেখে বলি স্থানে হাড়িকাঠের সামনে প্রনাম রত হলেন। এমন সময় বর্গীদলের সর্দার একটি খাঁড়া উঠিয়ে প্রনাম রত বৃদ্ধকে বলি দিতে উদ্যত হলেন,কিন্তু মায়ের দৈবশক্তিতে ঐ উদ্যত খাঁড়া আর নামলো না,যেন পেছন থেকে কেউ টেনে রেখেছে এবং ঐ ঘাতক অন্ধ হয়ে গেলেন। তখন সেনাপতি তাঁর সাথীদের বললেন,
‘কেন তোমরা আমার খাঁড়া পেছন থেকে টেনে রেখেছো’??
বর্গীদল উত্তর দিলো, “কেউ আপনার খাঁড়া পেছন থেকে টানে নাই”।
সর্দার বললেন,”মন্দিরে প্রদীপটি এখনও জ্বলছে কিনা,আর যে বৃদ্ধ প্রনাম করছিলো সে আছে কিনা”??
অন্যান্য বর্গীরা উত্তর দিলো,
“প্রদীপ ঠিকই জ্বলছে এবং বৃদ্ধ এখানেই আছে”।
সর্দার বললেন, “প্রদীপের আলো আমি দেখতে পাচ্ছি না ; তবে কি আমি অন্ধ হলাম?কোন দৈবশক্তিতে আমার খাঁড়া আটকানো আছে যে আমি খাঁড়া নামাতে পারছি না? আচ্ছা ঐ বৃদ্ধ কে হত্যা না করে আটকাও এবং আমার পূর্ব্বাবস্থা প্রাপ্তির জন্য অনুরোধ করো”।
ইতিমধ্যে ঐ বৃদ্ধ প্রনাম শেষ করে উঠে সব ব্যাপার বুঝতে পারলেন।
তখন সকলে ঐ বৃদ্ধ কে অনুরোধ করায় তিনি মন্দিরে মাঁয়ের ঘট হতে জল নিয়ে ঐ ঘাতক সর্দার এর চোখে এবং সর্বাঙ্গে শান্তি জল দিলেন। তখন সর্দার দৃষ্টি শক্তি ফিরে পেলেন এবং তিনি খাঁড়া নামাতে পারলেন।
সর্দার বৃদ্ধকে বললেন, “এখানে কোন দেবতা আছেন “? বৃদ্ধ উওর দিলেন,
” মা কালী আছেন “। বর্গী সর্দার
বললেন, ” মায়ী-ত কালী হ্যায় “।
আচ্ছা আমি তোমকে যে খাঁড়াতে কাটতে যাচ্ছিলাম সেটি এবং আরো একটি খাঁড়া নাও, তোমারা এই খাঁড়া দিয়ে বলিদান করবে।
আমরা আর এখানে লুটপাট করবো না, কাটোয়া চললাম।
বাজনা বাজাও ” মায়ী-ত কালী হ্যায়, মায়ী-ত কালী হ্যায়”।
তারপর বর্গীদল বাজনা বাজাতে ঐ রূপে মায়ের নাম করতে করতে সোনামুখী ছেড়ে চলে যায়। তদদিক আমাদের মাঁয়ের নাম
হলো ” মায়ী- ত কালী ” বা ” মাঁ-ই-ত কালী “। অর্থাৎ এই দেবী স্বয়ং মা ইনি স্বয়ং ব্রহ্মার অংশ।

।। আবদুল হাই, বাঁকুড়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ভারতের গ্রামীণ উন্নয়নে পঞ্চায়েতি রাজের ভূমিকা : এক নতুন দিগন্ত।।।।

জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস ২০২৫ : তৃণমূল স্তরের লোকেদের উন্নয়ন প্রয়োজন এবং তাদের জন্য কোনটি সেরা তা ঠিক করার জন্য সর্বোত্তম ব্যক্তিরা হলেন যারা এই ধরনের এলাকায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বড় হয়েছেন। এই ব্যবস্থাকে মাথায় রেখেই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। ভারত বৈচিত্র্যময় ভূখণ্ড এবং এলাকাগুলির একটি দেশ যার প্রত্যেকটির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

তাই, যখন আমরা সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করি, তখন বিভিন্ন সম্প্রদায়, বৈচিত্র্য এবং স্থানীয়তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৯৩ সালে ৭৩তম সাংবিধানিক সংশোধনী আইনের মাধ্যমে, পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করার জন্য এবং দেশের প্রতিটি কোণে গণতন্ত্রকে ঘটতে দেওয়ার জন্য কাজ করে। আমরা যখন জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন এখানে কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

তারিখ–

HT Crick-it চালু করেছে, যে কোনো সময়, যেকোনো জায়গায় ক্রিকেট খেলার জন্য একটি ওয়ান স্টপ গন্তব্য। এখন অন্বেষণ!
প্রতি বছর, জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস ২৪ এপ্রিল পালিত হয়। এই বছর, বিশেষ দিনটি বুধবার পড়ে।

ইতিহাস–

১৯৫০-এর দশকের গোড়ার দিকে, প্রথম জাতীয় উন্নয়ন পরিষদ তৃণমূল পর্যায়ে একটি গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গঠনের সুপারিশ করেছিল। তবে, ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত, গঠনটি কার্যকর হয়নি। ১৯৯৩ সালে, ৭৩ তম সাংবিধানিক সংশোধনী আইন দ্বারা, পঞ্চায়েত ব্যবস্থা গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োগ করা হয়েছিল যাতে তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন ঘটতে পারে।

তাৎপর্য-

জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস ২০২৫ এর তাৎপর্য
ভারতে বিকেন্দ্রীকরণের চেতনাকে সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস ২০২৫ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ব্যবস্থা গ্রামীণ সম্প্রদায়গুলিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে। ভারতে পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ:

তৃণমূল গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা – পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা নাগরিকদের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম করে যা সরাসরি তাদের সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে। এই বিকেন্দ্রীকরণ নিশ্চিত করে যে শাসন ব্যবস্থা কেবল উপরে থেকে নীচের নির্দেশাবলীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং স্থানীয় চাহিদা, রীতিনীতি এবং চ্যালেঞ্জগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থার প্রচার – নারী, তফসিলি জাতি এবং উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণের মাধ্যমে, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠানগুলি ঐতিহাসিকভাবে প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলিকে ক্ষমতায়িত করেছে। ১৪ লক্ষেরও বেশি নির্বাচিত মহিলা প্রতিনিধি বর্তমানে পিআরআই-তে কাজ করছেন, যা এটিকে শাসনব্যবস্থায় মহিলাদের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম অংশগ্রহণমূলক প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।

গ্রামীণ উন্নয়ন পরিচালনা – গ্রাম পর্যায়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে পিআরআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো গ্রামীণ সম্প্রদায় এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করে, উন্নত পরিষেবা প্রদান নিশ্চিত করে।

জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা – সামাজিক নিরীক্ষা, সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ এবং রিয়েল-টাইম অভিযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে, পঞ্চায়েতগুলি জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলে। গ্রাম সভা বা গ্রামসভাগুলি সম্মিলিত আলোচনা, বাজেট অনুমোদন এবং কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির পর্যবেক্ষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায় : ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায় প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।

ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায় ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।
ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ ও লেখক। তিনি ফরোয়ার্ড ব্লকপন্থী রাজনৈতিক নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভার সদস্য ছিলেন।

জীবনী-

তিনি ময়মনসিংহ শহরে ১৯ মার্চ,১৯০২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল যোগেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায়। ঢাকায় হেমচন্দ্র ঘোষের নেতৃত্বে বিপ্লবী জীবন শুরু করেন। তিনি অল্প বয়সেই বিপ্লবী ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ দলের সভ্য হন এবং সেই দলের বিশিষ্ট ব্যক্তি হয়ে উঠেন। ১৯৩০ সনের গ্রীষ্মকালে বিপ্লবী বিনয়কৃষ্ণ বসু তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি বিনয় বসুকে ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র রাজনীতিতে দীক্ষা দেন।১৯৩০ -৩৮ খ্রিস্টাব্দে স্টেট প্রিজনাররূপে বিভিন্ন জেলে বন্দিজীবন কাটান। গান্ধীজির সঙ্গে কথা বলার জন্য ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে আনা হয়। তার কিছুকাল পর তিনি মুক্তি পান। তিনি দণ্ডকারণ্যে উদ্বাস্তু পুনর্বাসনে সহযোগিতা করেন। কলকাতার মহাজাতি সদনের ট্রাস্টি ও বিপ্লবী নিকেতনের সহসভাপতি ছিলেন। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার সপ্তগ্রাম সর্বেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও বাদু পল্লী নিকেতন সংস্থার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।

রচনাবলী-

১৯২৮-৩২ খ্রিস্টাব্দে তার পরিচালিত “বেণু” পত্রিকা যুবমহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। তিনি ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী উজ্জ্বলা মজুমদারকে বিবাহ করেন। তিনি ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও রাজনৈতিক ধারার বিবর্তনের উপর কতিপয় মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তার রচিত ভারতের সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত

গ্রন্থ-

যে পতাকা মাটিতে নামেনি, ভারতীয় রাজনীতির রূপরেখা, চলার পথে, নারী, সবার অলক্ষ্যে(২ খণ্ড), ভারতের সশস্ত্র বিপ্লব।

২৪ এপ্রিল,১৯৭২ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

শচীন রমেশ তেন্ডুলকার, এক জীবন্ত কিংবদন্তি, ক্রিকেটের ভগবান – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।।।

শচীন তেন্ডুলকর, এমন একটি নাম যাকে চেনননা ভূভারতে এমন মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। কারন শচীন তেন্ডুলকর এমন একটি আবেগের নাম, যিনি গোটা ভারতবাসীর রক্তে, হৃদয়ে মিশে আছেন। শুধু আমাদের দেশ কেন বোলি, গোটা বিশ্বে তিনি এক পরিচিত নাম। লক্ষ লক্ষ ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে বিদেশেও। একজন ক্রিকেটার হিসেবে তিনি গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের নাম রোশন করেছেন।

যারা ক্রিকেট পাগল, যারা ক্রিকেট দেখেন ভালোবাসেন, আবার যারা দেখেননা, সকলেই একডাকে চেনেন তাকে। তিনি শুধু একজন ক্রিকেটার নন একজন সত্যিকারের মানুষ, তিনি আমাদের গর্ব, তিনি আমাদের ভারত রত্ন। আজ তার জন্মদিন।
শচীন রমেশ তেন্ডুলকর একজন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার।১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে এপ্রিল নির্মল নার্সিং হোমে শচীন তেন্ডুলকর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রমেশ তেন্ডুলকর একজন মারাঠি ঔপন্যাসিক ছিলেন। তার মাতা রজনী তেন্ডুলকর বীমা কোম্পানিতে কাজ করতেন। রমেশ বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার শচীন দেববর্মণের নামানুসারে তার নাম শচীন রাখেন। শচীনের দুই দাদা নিতিন ও অজিত এবং দিদি সবিতা রমেশের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান। প্রথম জীবনে শচীন বান্দ্রা (পূর্ব) অঞ্চলের সাহিত্য সহবাস কো-ওপারেটিভ হাউসিং সোসাইটিতে বসবাস করতেন।
তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চমানের ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শচীনের মাত্র ষোলো বছর বয়সে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় এবং এরপর থেকে প্রায় চব্বিশ বছর তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের হয়ে ক্রিকেট খেলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলায় সর্বোচ্চসংখ্যক শতকের অধিকারীসহ বেশ কিছু বিশ্বরেকর্ড ধারণ করে আছেন। তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা ও টেস্ট ক্রিকেট ম্যাচ মিলিয়ে শততম শতক করেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১২ সালের এশিয়া কাপ চারদেশীয় ক্রিকেট ম্যাচে তিনি এই রেকর্ড করেন। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে প্রথম দ্বি-শতরানের মালিক তিনি। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই অক্টোবর, তিনি সমস্ত ধরনের স্বীকৃত ক্রিকেট খেলায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে মোট ৫০,০০০ রানের মালিক হন।
শচীন ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে ডিসেম্বর একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন।২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই অক্টোবর তেন্ডুলকর ঘোষণা করেন যে, তিনি তার জীবনের ২০০তম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সেই অনুযায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঐ বছর নভেম্বর মাসে কলকাতা ও মুম্বই শহরে দুইটি টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করেন। মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত তার ২০০তম টেস্ট ম্যাচে তিনি ৭৪ রান করেন, ফলে টেস্ট ক্রিকেটে তার ১৬,০০০ থেকে মাত্র ৭৯ রান দূরে তিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করেন।
তেন্ডুলকর বিভিন্নভাবে দলীয়, ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও পুরস্কারগুলো হলো:
(১)আইসিসি পুরস্কার – স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি, ২০১০-এর সেরা ক্রিকেটার
(২)পদ্মবিভূষণ, ভারতের ২য় সর্বোচ্চ পুরস্কার, ২০০৮
(৩)আইসিসি বিশ্ব একদিনের আন্তর্জাতিক একাদশে খেলোয়াড় হিসেবে অন্তর্ভুক্তি: ২০০৪ ও ২০০৭
(৪)রাজীব গান্ধী পুরস্কার (খেলা): ২০০৫
(৫)ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০০৩-এ টুর্ণামেন্টের সেরা খেলোয়াড়
(৬)মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ নাগরিকের পুরস্কার লাভ: ২০০১
(৭)পদ্মশ্রী, ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিকের পুরস্কার, ১৯৯৯
(৮)খেলাধূলায় ভারতে সর্বোচ্চ সম্মাননা হিসেবে রাজীব গান্ধী খেলরত্ন লাভ: ১৯৯৭-৯৮
(৯)উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার: ১৯৯৭
(১০)ক্রিকেটে অভূতপূর্ব ফলাফল করায় ভারত সরকার কর্তৃক অর্জুন পুরস্কার লাভ।
(১১)অক্টোবর, ২০১০-এ লন্ডন স্পোর্ট এন্ড দ্য পিপল্‌স চয়েজ এওয়ার্ড হিসেবে দি এশিয়ান এওয়ার্ড লাভ।
(১২)জুলাই ২০১৯-এ আইসিসির হল অব ফেমে শচীনের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়। ষষ্ঠ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এ বিরল সম্মাননায় তাকে ভূষিত করা হয়
(১৩)ইন্ডিয়ান আইকন শচীন টেন্ডুলকার লরিয়াস ওয়ার্ল্ড স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ডস ২০২০ জিতেছেন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৪ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৪ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  জাতীয় পঞ্চায়েতী রাজ দিবস (ভারত)
(খ) রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস (বাংলাদেশ)৷
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৫ – মুরলীধর বন্দ্যোপাধ্যায়, নারীশিক্ষার পথপ্রদর্শক শিক্ষাবিদ।  .

১৮৯৭ – বেনজামিন হোর্ফ, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯০৮ – যোসেফ গসলোভস্কি, পোলিশ ভাস্কর।
১৯২৮ – টমি ডোচার্টি, স্কটিশ ফুটবলার এবং পরিচালক।
১৯৩৪ – শার্লি ম্যাকলেইন, মার্কিন অভিনেত্রী, গায়িকা, নৃত্যশিল্পী, সমাজকর্মী ও লেখক।
১৯৪২ – বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, মার্কিন গায়িকা, গীতিকার,অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৪৬ – ভারতের প্রখ্যাত নারীবাদী লেখক, প্রশিক্ষক এবং অধিকারকর্মী কমলা ভাসিন।
১৯৬৪ – জিমোঁ উন্সু, বেনিনীয় অভিনেতা ও মডেল।
১৯৬৮ – এইডান গিলেন, আইরিশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা।
১৯৭৩ – শচীন টেন্ডুলকার, ভারতীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৭ – ইয়ান ভের্তোনেন, বেলজিয়াম ফুটবলার।
১৯৮৭ – বরুণ ধবন, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০৬১ – ইংল্যান্ডের আকাশে হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়।
১২৭১ – ভ্যানেশীয় বিখ্যাত পর্যটক ও ব্যবসায়ী মার্কো পোলো তার ঐতিহাসিক এশিয়া সফর শুরু করেন।
১৫৫৮ – ফ্রান্সের যুবরাজ ফ্রাঙ্কোইস মেরি স্টুয়ার্টকে বিয়ে করেন।
১৭৬২ – রাশিয়া ও প্রুশিয়া শান্তিচুক্তি করে।
১৮০০ – লাইব্রেরি অব কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৮৯৮ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পেন যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯১২ – ব্রিটিশ শাসিত আয়ারল্যান্ড স্বাধীনতার দাবীতে এবং সেদেশে ইংরেজদের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করে।
১৯১৬ – ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ডের গণ-অভ্যুত্থান শুরু।
১৯২৬ – যক্ষার ভ্যাকসিন বিসিজি আবিষ্কার হয়।
১৯৪৫ – সাবেক সোভিয়েত সেনাবাহিনী বার্লিনে প্রবেশ করে।
১৯৫৪ – রাজশাহীর কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কম্পরাম সিং, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ৭ জন রাজবন্দীকে হত্যা করা হয়।
১৯৫৫ – প্রথম বান্দুং সম্মেলন সমাপ্ত হয়।
১৯৭০ – গাম্বিয়া প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ঘোষিত হয়।
২০১৩ – রানা প্লাজা ট্র‍্যাজিডিতে প্রাণ হারায় ১,১৩৪ জন শ্রমিক এবং আহত হয় আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিক।এটি ইতিহাসের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৩১ – ড্যানিয়েল ডিফো, ইংরেজ ব্যবসায়ী, লেখক, সাংবাদিক, প্যাম্ফলেট রচয়িতা এবং গোয়েন্দা।
১৯৪২ – দীনানাথ মঙ্গেশকর, মারাঠি মঞ্চ অভিনেতা, নাট্য সঙ্গীতজ্ঞ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৬৫ – লুইস ড্রেসার, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৭২ – যামিনী রায়, বাঙালি চিত্রশিল্পী।
১৯৭২ – ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত রায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন-এর অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
২০০৬ – নাসরীন পারভীন হক, বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার নেত্রী।
২০১১ – সত্য সাঁই বাবা , (পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

অনলাইনে লেখালেখির স্বাধীনতা : আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড টেকনোপিয়াসেন্ট দিবসের উদযাপন।।।

বিশ্ব প্রতি বছর ২৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড টেকনোপিয়াসেন্ট দিবস উদযাপন করে। হাওয়ার্ড হেন্ডরিক্সের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় লেখক জো ওয়ালটন এই দিনটিকে ঘোষণা করেছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন যে তিনি “আমাদের ওয়েবস্ক্যাবগুলির সংগঠনে ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিরোধী ছিলেন, যারা বিনামূল্যে তাদের সৃষ্টি নেটে পোস্ট করুন।” ওয়ালটনের মতে এই দিনটি হল লেখকদের বিনামূল্যে ইন্টারনেটে পেশাদার মানের কাজ পোস্ট করতে উৎসাহিত করা।।

দিবসটি সকল লেখককে উদযাপন করে এবং তাদের কাজকে জনসাধারণের কাছে প্রদর্শনের স্বাধীনতা দেয় শুধু তাদের বিনোদন বা শিক্ষিত করার জন্য নয় বরং পেশা গড়ে তোলার জন্য এবং পেশাকে প্রদর্শনে রাখার জন্য যাতে এটি যথাযথভাবে প্রশংসা করা যায়।
আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড টেকনোপিয়াসেন্ট দিবসের

ইতিহাস—–

যখন থেকে ব্লগিং অনলাইন সংস্কৃতির একটি অংশ হয়ে উঠেছে, তখন থেকে অনেক মানুষ শিক্ষামূলক বিষয়বস্তু থেকে বিনোদন পর্যন্ত বিষয়গুলিতে জিনিসগুলি ভাগ করতে বেছে নিয়েছে। পেশাদার লেখকরা নিজেদের জন্য শ্রোতা তৈরি করতে এই মাধ্যমটি ব্যবহার করেছেন এবং তা চালিয়ে যাচ্ছেন। যেহেতু একটি বিশাল শ্রোতা রয়েছে যারা অনলাইনে বিনোদনের জন্য পড়ে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে পেশাদার লেখক সহ আরও বেশি লোক তাদের চাহিদা পূরণ করছে।
হাওয়ার্ড ভি. হেনড্রিক্সের করা অবমাননাকর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড টেকনোপিয়াসেন্ট দিবস শুরু হয়েছিল কারণ তিনি বিশ্বাস করেছিলেন পেশাদার লেখকদের কখনই তাদের কাজ বিনামূল্যে দেওয়া উচিত নয়। তিনি যে কাউকে ‘ওয়েবস্ক্যাব’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ‘ওয়েবস্ক্যাব’কে ‘পিক্সেল-দাগযুক্ত টেকনোপিয়াসেন্ট দুর্ভাগ্য’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। তার মন্তব্য সায়েন্স ফিকশন অ্যান্ড ফ্যান্টাসি রাইটারস অফ আমেরিকা (S.F.W.A.) সোসাইটির মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে, যার মধ্যে হেন্ডরিক্স একজন সদস্য ছিলেন এবং যাদের কাছে তার মন্তব্য নির্দেশিত হয়েছিল।
সোসাইটির একজন সদস্য জো ওয়াল্টন একটি ভালো প্রতিক্রিয়া জাগিয়েছিলেন: তারা যা করতে ভালোবাসেন তা চালিয়ে যেতে যতটা সম্ভব ‘ওয়েবস্ক্যাব’ পাওয়া, যা ছিল বিনামূল্যে অনলাইনে পেশাদার-গ্রেড লেখা পোস্ট করা। এটি ২৩ এপ্রিল, ২০০৭-এ আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড টেকনোপিয়াসেন্ট দিবসের জন্মের দিকে পরিচালিত করে। উদ্দেশ্যগুলি পরিষ্কার ছিল। যেকোনো ধরনের লেখা-কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, মৌলিক এবং পূর্বে প্রকাশিত- জমা দেওয়া যাবে। প্রচুর পেশাদার লেখা অনলাইনে উপলব্ধ করা তাদের লক্ষ্য ছিল এবং হেন্ডরিক্স যা চেয়েছিলেন তার সরাসরি বিপরীত ছিল। উদযাপনটি ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর উদযাপিত হয়ে আসছে এবং তারপর থেকে লেখকরা পেশাদার মানের কাজ বিনামূল্যে পোস্ট করছেন।
আন্তর্জাতিক পিক্সেল-দাগযুক্ত প্রযুক্তিবিদ দিবসের কার্যক্রম–

একটি ব্লগ পড়ুন—

একটি ব্লগ পড়ে দিনটি উদযাপন করুন। এটি নতুন এবং প্রতিষ্ঠিত লেখকদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতে সাহায্য করে।

অনলাইনে কিছু লিখুন—

একটি পেশাদার-স্তরের কাজ লিখুন বা একটি অনলাইন পোস্ট করুন। এটি আপনাকে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ পর্যালোচনা পেতে এবং অন্যদেরও আপনার লেখার অংশ উপভোগ করতে সাহায্য করতে পারে।

সচেতনতা ছড়িয়ে দিন—

দিবসটি সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন। একটি সামাজিক মিডিয়া পোস্ট একটি দীর্ঘ পথ যেতে পারে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

জাতিসংঘের ইংরেজি ভাষা দিবস : বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার।।।

ইংরেজি ভাষা উদযাপন এবং এর ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং কৃতিত্বের প্রচারের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক প্রতি ২৩ এপ্রিল ইংরেজি ভাষা দিবস পালন করা হয়। ভাষাটি দুটি কর্মক্ষম ভাষার একটি এবং জাতিসংঘের ছয়টি অফিসিয়াল ভাষার মধ্যে একটি। এই সরকারী ভাষায় ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, চীনা, আরবি এবং রাশিয়ান অন্তর্ভুক্ত।

এছাড়াও তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কথ্য ভাষা। আপনি কি জানেন যে ২৩ এপ্রিল বার্ড অফ অ্যাভন, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জন্মদিন এবং মৃত্যু দিবসও? জাতিসংঘের ইংরেজি ভাষা দিবস শুধুমাত্র ভাষার প্রচারের জন্যই নয়, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের জীবন ও কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যও পালিত হয়।
জাতিসংঘের ইংরেজি ভাষা দিবসের ইতিহাস—
ইংরেজি ভাষার ইতিহাস শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে তিনটি জার্মানিক উপজাতি – অ্যাঙ্গেলস, স্যাক্সন এবং জুটস – 5ম শতাব্দীতে – দ্বারা ব্রিটেন আক্রমণের মাধ্যমে। ব্রিটেনের বাইরের আদি বাসিন্দা – কেল্টিক-ভাষী মানুষ। স্থানীয় ব্রিটিশরা আজকের স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসে পুনর্বাসিত হয়েছে। কোণগুলি ইংলা-ল্যান্ড (কোণের দেশ) থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং তারা ইংরেজিতে কথা বলেছিল। এই শব্দগুলি থেকেই ইংল্যান্ড এবং ইংরেজি উদ্ভূত হয়েছিল।
জার্মানিক উপজাতিরা একই ভাষায় কথা বলত, যা পুরানো ইংরেজিতে বিবর্তিত হয়েছিল। এই ভাষাটি বর্তমানে ব্যবহৃত ইংরেজি থেকে আলাদা, এমনকি স্থানীয় ইংরেজি ভাষাভাষীদেরও এটি বোঝা কঠিন হবে। যদিও পুরানো ইংরেজি অপ্রচলিত, এটি আধুনিক ইংরেজির ভিত্তি, এবং সাধারণভাবে ব্যবহৃত শব্দ যেমন ‘হও’, ‘শক্তিশালী’ এবং ‘জল’ এটি থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।
১০৬৬ সালে, উইলিয়াম দ্য কনকারর, নরম্যান্ডির ডিউক, ইংল্যান্ড আক্রমণ করেন এবং জয় করেন। ফলস্বরূপ, নরম্যানদের ভাষা, বিভিন্ন ধরণের ফরাসি, রাজদরবার এবং ব্যবসায়ের ভাষা এবং ইংরেজি নিম্ন শ্রেণীর ভাষা হয়ে ওঠে। যাইহোক, অবস্থার পরিবর্তন সত্ত্বেও, ল্যাটিন এবং ফরাসি শব্দগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে ইংরেজি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
১৪ থেকে ১৫ শতকে, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের লোকেরা ফরাসি শাসনের অবসান ঘটায় এবং ইংরেজি ভাষা তার রাজকীয় এবং ব্যবসায়িক মর্যাদা ফিরে পায়। এটি ভাষার জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশের একটি সময়ও ছিল। উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের মতো ব্যক্তিরা এই বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছিলেন। শেক্সপিয়র তার বই এবং নাটকের মাধ্যমে ইংরেজি শব্দভাণ্ডারে ১৭০০ টিরও বেশি শব্দ যোগ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘সমঝোতা,’ ‘বধিরকরণ,’ ‘কোল্ড-ব্লাডেড,’ ‘ব্লাশিং,’ ‘কেটার’ এবং ‘বেয়ারফেসড’।
১৬০০-এর দশক থেকে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, মুদ্রণযন্ত্র এবং ধ্রুপদী শিক্ষার কারণে ইংরেজি ভাষার বিবর্তন ও বিকাশের একটি সিরিজ হয়েছে। উত্তর আমেরিকার ইংরেজি উপনিবেশের ফলে ভাষার বৃদ্ধি এবং জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়। আজ অবধি, ভাষাটি ক্রমবর্ধমান এবং প্রসারিত হচ্ছে, বিভিন্ন ইংরেজি-ভাষী দেশের শব্দ এবং ব্যবসা এবং প্রযুক্তির জন্য নতুন উদ্ভাবিত শব্দগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করছে।
কেন আমরা জাতিসংঘের ইংরেজি ভাষা দিবসকে ভালোবাসি–
আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য ইংরেজি অপরিহার্য–
যেহেতু এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার মতো অর্থনৈতিক শক্তিশালায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ভাষা, তাই যে কোনো ব্যবসার জন্য ইংরেজি অপরিহার্য যেটি সত্যিই বিশ্বব্যাপী যেতে চায়। ইংরেজি ব্যক্তিদের তাদের দেশের বাইরে চাকরির সুযোগ অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে।
ইংরেজি বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের মাধ্যম—
ইংরেজি হল একটি ভাষা যা ১১৮ টিরও বেশি দেশে এক বিলিয়নেরও বেশি লোক বলে। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ইংরেজিতে কথা বলে। এটি ইন্টারনেটে ব্যবহৃত ভাষা এবং প্রধান সংবাদ স্টেশন এবং চলচ্চিত্র শিল্প সহ বেশিরভাগ মিডিয়া সংস্থা। ইংরেজি দক্ষতা থাকা আপনাকে বিভিন্ন জাতীয়তার লোকেদের সাথে যোগাযোগ করতে, অন্যান্য সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে এবং তথ্যে অ্যাক্সেস পেতে সক্ষম করতে পারে।
ইংরেজি শেখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ—-
অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হওয়ার আগে, বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক কাগজপত্র, পাঠ্যপুস্তক এবং উপন্যাসগুলি প্রথমে ইংরেজিতে লেখা হয়। এমনকি বিশ্বের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিশালী ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণের জন্য অনুরোধ করে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৩ এপ্রিল, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ২৩ এপ্রিল। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  বিশ্ব বই দিবস ও গ্রন্থস্বত্ব দিবস।

(খ) আন্তর্জাতিক পিক্সেল-স্টেইনড ট্যাকনোপিসেন্ট দিবস .

(গ)  জাতিসংঘ ইংরেজি ভাষা দিবস – জাতিসংঘ .

আজ যাদের জন্মদিন—- .

১৫৬৪ – উইলিয়াম শেকসপিয়র , ইংরেজি সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক।  .

১৭৭৫ – উইলিয়াম টার্নার, প্রখ্যাত ইংরেজ আর্টিস্ট।

১৭৯১ – জেমস বিউকানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চদশ রাষ্ট্রপতি।
১৮৫৮ – ম্যাক্স প্লাঙ্ক, নোবেলজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৬৭ – জোহানেস ফিবিগের, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডেনিশ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৯১ – সের্গেই প্রোকোফিভ, রাশিয়ার প্রখ্যাত সংগীত রচয়িতা, সুরকার এবং পিয়ানোবাদক।

১৮৯৩ – জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, মৃত্তিকাবিজ্ঞানী।
১৮৯৭ – লাস্টের বি. পিয়ারসন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কানাডিয়ান রাজনীতিবিদ ও ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৮৯৯ – বারটিল অহলীন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ।
১৯০২ – হাল্ডর লাক্সনেস্‌, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইসল্যান্ডিক লেখক ও কবি।
১৯১৮ – মরিস দরুন, ফরাসি লেখক।

১৯২৭ – অন্নপূর্ণা দেবী,ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের দিকপাল ওস্তাদ আলাউদ্দীন খানের কন্যা এবং পণ্ডিত রবি শঙ্করের প্রথমা স্ত্রী।

১৯২৮ – শার্লি টেম্পল, আমেরিকান অভিনেত্রী, গায়িকা, ড্যান্সার ও কূটনীতিক।
১৯৪১ – রে টমলিনসন, মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী।

১৯৪১ – পাভো লিপোনেন, ফিনিশ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ৩৮ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৪ – মাইকেল মুরে, আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও সমাজ সেবী।
১৯৫৫ – জুডি ডেভিস, অস্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী।
১৯৬২ – জন হান্নাহ, স্কটিশ অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৬৮ – টিমোথি ম্যাকভেই, আমেরিকান সন্ত্রাসবাদী, ওকলাহোমা শহরে বোমা হামলার ঘটনার অপরাধী।
১৯৬৯ – মনোজ বাজপেয়ী, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।
১৯৭৭ – জন সিনা, মার্কিন রেসলার।
১৯৮৯ – নিকলে ভাইডিসোভা, চেক টেনিস খেলোয়াড়।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৬৩৫ – যুক্তরাষ্ট্রে বোস্টন ল্যাটিন স্কুল নামে প্রথম পাবলিক স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৬৬১ – ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে দ্বিতীয় চার্লস ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন।
১৭৯৫ – ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর ওয়ারেন হেস্টিংস রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পান।
১৮২৭ – আইরিশ গণিতজ্ঞ ও পদার্থবিদ উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন আলোকরশ্মির তত্ত্ব প্রদান করেন।
১৮৯৬ – নিউইয়র্ক শহরে জনসমক্ষে প্রথম চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
১৯২০ – তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে ঐদেশের এক কক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ আংকারা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২০ – মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক তুরস্কের নেতা নির্বাচিত।
১৯২৩ – গদানস্ক উপসাগরের তীরে পোলীয় বন্দর গদানিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৭ – তুরস্ক একমাত্র দেশ, যেখানে শিশু দিবসকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৩২ – লন্ডনে শেক্সপিয়র মেমোরিয়াল থিয়েটার উদ্বোধন করা হয়।
১৯৬১ – ১৯৪০ এর দশকের সেনাপতির পোশাক পরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চার্লস দ্য গল ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান, তারা যেন আলজিয়ার্সে উদ্ভূত অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন।
১৯৬৮ – নিউ ইয়র্ক শহরের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের এক পর্যায়ে ছাত্ররা প্রশাসনিক ভবনগুলো দখল করে নেয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ করে দেয়।
১৯৬৮ – ব্রিটেনে প্রথম দশমিক মুদ্রা চালু হয়।
১৯৭১ – ভারতে প্রথম সুপার এক্সপ্রেস টেলিগ্রাফ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়।
১৯৭১ – বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকাররা প্রায় তিন হাজার হিন্দু হত্যা করেছিল জোতিভাঙ্গা নামক এলাকায়।
১৯৭৭ – বাংলাদেশ সংবিধানের ৫ম সংশোধনী গৃহীত হয়।
১৯৮৮ – লিবিয়ায় বিস্ফোরক ভর্তি ট্রাক বিস্ফোরণে ৫৪ জন নিহত হন।
১৯৯০ – ২৬ বছরের মধ্যে প্রথম চীনের সরকার প্রধান, প্রধানমন্ত্রী লি পেং সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরে যান।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬১৬ – উইলিয়াম শেকসপিয়র , ইংরেজি সাহিত্য তথা বিশ্বসাহিত্যের প্রথম সারির নাট্যকার ও সাহিত্যিক।
১৬১৬ – মিগেল দে থের্ভান্তেস, স্পেনীয় ঔপন্যাসিক, কবি ও নাট্যকার।
১৮৫০ – উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ অন্যতম ইংরেজ রোমান্টিক কবি।
১৮৬৮ – নেপালি ভাষার আদি কবি ভানুভক্ত আচার্য।
১৯১৫ – রুপার্ট ব্রুক, ইংরেজ কবি।
১৯৪০ – বাঙালি বহুভাষাবিদ পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ।
১৯৫১ – চার্লস জি. ডাওস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ব্যাংকার, রাজনীতিবিদ ও ৩০ তম ভাইস প্রেসিডেন্ট।
১৯৬৮ – বড়ে গুলাম আলী খান বিখ্যাত হিন্দুস্থানী খেয়াল সঙ্গীতজ্ঞ ।
১৯৭৫ – উইলিয়াম হার্টনেল, ইংরেজ অভিনেতা।
১৯৮১ – জোসেপ প্লা ই কাসাডেভেল, কাতালান সাংবাদিক ও লেখক।
১৯৮৬ – অটো লুডভিগ প্রেমিঙার, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৮৭ – কবি ও প্রাবন্ধিক সুফি জুলফিকার হায়দার।
১৯৯০ – পাউলেটে গডার্ড, আমেরিকান অভিনেত্রী ও সমাজসেবী।
১৯৯২ – ভারত-রত্ন সত্যজিৎ রায়, বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক, সাহিত্যিক, চিত্রকর।
১৯৯৩ – শ্রীলংকার শীর্ষ বিরোধীদলীয় নেতা ললিত আথুলাথ মুদালি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।
১৯৯৭ – ডেনিস কম্পটন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
২০০৭ – বরিস ইয়েল্টসিন, রাশিয়ান রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।
২০১৪ – পাট্রিক স্টান্ডফরড, ইংরেজ সুরকার ও শিক্ষক।
২০২০ – ঊষা গাঙ্গুলি, প্রখ্যাত ভারতীয় নাট্য পরিচালক-অভিনেত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This