Categories
কবিতা

ব্যস্ত ছিলাম : রাণু সরকার।

অনেক দিন ওপাড়ে আঁধারে ছিলাম নিমজ্জিত,
কতদিন আর থাকা যায়-
তাই সময় বললো এপাড়ে আসতে,অনেক কাজ নাকি বাকি আছে- একরকম জোর করেই পাঠালো-
এলাম এক গোধূলিলগ্নে,
স্রোতের প্রবল বেগে ফেললো এপাড়ে।

কপালে কি যে লিখেছিলো বোঝার উপায় নেই,
চোখ দুটি তো কপালের নিচে কিকরে বুঝবো?
একে তো প্রচ্ছদে ঢাকা আবার সদ্যোজাত, কিকরে
বুঝবো কপালে কী আছে তখন কিছুই বুঝিনি।
তরর্জনীর ছাপ ছিলো বুঝলাম মন্থর গতিতে এতো বছর পর, আমাকে শাসানো হচ্ছে।
তোমার যতোটুকু কাজ ততটুকু করে তাড়াতাড়ি
ফিরে আসবে মায়া- মমতার সাথে বেশি বন্ধুত্ব করবে না, আসতে কষ্ট পাবে।

আমি বললাম এইতো এলাম রাতকে পিছে ফেলে
এখনো চোখেমুখে ক্লান্তির ঘোর কাটেনি এখনি
ফিরবো? তরর্জনীর সংকেত দিয়েই তো পাঠালাম
তুমি রাজি হলে, বললে ডাক দিলেই এক ছুটে চলে আসবে- ঠিক আছে ডাক এলেই চলে যাবো।
যাইহোক এ-পাড়ের রূপ দর্শন করে করে চোখে
এলো জল- কর্মে নিযুক্ত হোলাম, চোখ মুছে মুছে
চলছে দায়িত্ব পালন।

ভাবছি ওপাড়ে ভালোই ছিলাম- কেনো পাঠালো বা কেনো আসলাম? যত করি দর্শন তত হয় রাগ- পারি না সমুচিত জবাব দিতে করতে পারিনা বিরুদ্ধাচরণ, এভাবেই কেটে গেলো কতগুলো বছর।
হঠাৎ একদিন এলো ডাক ভাষাহীন এক সন্ধ্যায় তখন ক্লান্তিহীন পাকা কেশ, প্রণত শরীর চললাম গমনের গন্তব্যস্থলে।

অন্ত্যেষ্টি উৎসবের দিন তখন প্রশান্তচিত্তে করলো সবাই দায়িত্ব পালন, থাকতে পরিনি আমি তখন ছিলাম ও পাড়ের কাজে খুবই ব্যস্ত।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *