Categories
রিভিউ

আজ ১২ অক্টোবর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১২ অক্টোবর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস ৷

বাত ও মাস্কুলোস্কেলেটাল রোগের অস্তিত্ব এবং প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে মানুষের সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১২ অক্টোবর বিশ্ব আর্থ্রাইটিস দিবস পালিত হয়। সত্য: বয়স্কদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায় বটে, কিন্তু এটি যেকোনও বয়সে হতে পারে। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস ২০-৪০ বছর বয়সেই দেখা যায়।

 

(খ) বিশ্ব দৃষ্টি দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পর্বতপ্রেমিক, অক্লান্ত পরিব্রাজক ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ কাহিনিকার।

উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (১২ই অক্টোবর,১৯০২ – ১২ অক্টোবর, ১৯৯৭), একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যাঁর প্রধান বিচরণক্ষেত্রটি হল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ধারা, ভ্রমণ-কাহিনী। মণিমহেশ নামক ভ্রমণকাহিনীর জন্যে, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে, তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

১৯২৪ – কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।

১৯২৭ – এহতেশাম হায়দার চৌধুরী, পাকিস্তানি এবং বাংলাদেশি চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক।

১৯৩১ – উলাহ্‌-ইয়োহান ডাল, নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

 

১৯৪০ – প্রখ্যাত বাঙালি প্রযুক্তিবিদ ও বিজ্ঞানী, অভিনেতা বিকাশ রায়ের পুত্র সুমিত রায়। 

সুমিত রায় (১২ অক্টোবর ১৯৪০ — ২৬ মে ২০২১) ছিলেন প্রখ্যাত প্রযুক্তিবিদ ও কারিগরি বিজ্ঞানী। মোবাইলের প্রথম নকশাকার ও আবিষ্কর্তা। বাংলা চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনেতা বিকাশ রায়ের পুত্র ছিলেন তিনি।

 

১৯৪৪ – কারী আব্দুল গণী, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও কারী

১৯৫৫ – হরিশংকর জলদাস, বাংলাদেশী লেখক।

 

১৯৬০ – হ্যাপী আখন্দ, বাংলাদেশি পপ রক গায়ক।

হ্যাপি আখন্দ (১২ অক্টোবর ১৯৬০ – ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশী রক গায়ক, গীতিকার।  তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অগ্রগামী রক সঙ্গীতশিল্পীদের একজন।  তিনি রক ব্যান্ড মাইলসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।  তাকে কখনো কখনো বাংলাদেশী সঙ্গীতের রাজপুত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়।  তার উল্লেখযোগ্য গানের শিরোনাম “আবার এলো যে সন্ধ্যা (আবার সন্ধ্যায়)”, “কে বাঁশি বাজায় রে? (কে বাঁশি বাজায়?)” এবং আরও অনেক কিছু।  তিনি ২৮ ডিসেম্বর ১৯৮৭ তারিখে ২৭ বছর বয়সে মারা যান।

 

১৯৮১ – দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সুহাসিনী রাজারাম নাইডু ( চলচ্চিত্র নাম স্নেহা)।

সুহাসিনী রাজারাম নাইডু (জন্ম ১২ অক্টোবর ১৯৮১), পেশাগতভাবে স্নেহা নামে পরিচিত , একজন ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি প্রাথমিকভাবে তামিল এবং তেলেগু চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি কয়েকটি মালায়ালাম এবং কন্নড় ভাষায়ও অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন।

 

 

১৮৬৪ – কামিনী রায়, বাঙালি কবি।

কামিনী রায় (জন্ম: ১২ই অক্টোবর ১৮৬৪ – মৃত্যু: ২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৩) একজন প্রথিতযশা বাঙালি মহিলা কবি, সমাজকর্মী এবং নারীবাদী লেখিকা। তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রিধারী ব্যক্তিত্ব। তিনি একসময় “জনৈক বঙ্গমহিলা” ছদ্মনামে লিখতেন।

 

১৮৬৫ – আর্থার হার্ডেন, নোবেলজয়ী ইংরেজ জীবরসায়নবিদ।

স্যার আর্থার হার্ডেন, (১২ অক্টোবর ১৮৬৫ – ১৭ জুন ১৯৪০) একজন ব্রিটিশ বায়োকেমিস্ট ছিলেন।  তিনি ১৯২৯ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান হ্যান্স কার্ল অগাস্ট সাইমন ভন অয়লার-চেলপিনের সাথে চিনির গাঁজন এবং ফার্মেন্টেটিভ এনজাইমের তদন্তের জন্য।  তিনি বায়োকেমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং 25 বছর ধরে এর জার্নালের সম্পাদক ছিলেন।

 

১৮৯৬ – নোবেলজয়ী [১৯৭৫] ইতালীয় কবি ও গল্পকার ইউজিনিও মন্তাল।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

১৯০৯ – কলকাতায় অনুশীলন সমিতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়।

১৯৬৪- তিন রুশ নভোচারী ভ্লাদিমির কোমানভ, কন্সতান্তিন ফিওক্তিস্তভ ও বোসি ইয়োগোরভ নভোযান ভস্তক-২৪ এ করে মহাশূন্যে পাড়ি দেন। তারা ২৪ ঘণ্টা ১৭ মিনিট মহাশূন্যে ভ্রমণ শেষে ভূপৃষ্ঠে অবতরণ করেন।

১৯৬৮ – ঘানা, স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করতে সক্ষম হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশের সংবিধান সর্বপ্রথম গণপরিষদে উত্থাপিত হয়।

১৯৭৬ – বিশ্বের বৃহত্তম মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হয় । সৌদি আরব এই মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে, তাই এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সৌদি আরবের বাদশাহ খালেদ।

১৯৮৬ – এল সালভেদারে ভূমিকম্পে ১৮০০ জন লোকের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৯২ – কলকাতায় প্রথম দক্ষিণ এশীয় উৎসব শুরু।

 

১৯৯৯ – পাকিস্তানের সেনা বাহিনী প্রধান জেনারেল পারভেজ মোশাররফ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অপসারণ করে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন।

১৯৯৯ – হলো জাতিসংঘের ধার্য করা ” বিশ্বের ৬০০ কোটি লোকসংখ্যা দিবস”। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের বিভিন্ন মহলের লোকেরা যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে এক বিরাট সমাবেশ অনুষ্ঠিত করে লোকসংখ্যা ও উন্নয়নের এই অভিন্ন বিশ্বজনীন সমস্যার ওপর মনোযোগ দিয়েছেন।

১৯৯৯ – টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি স্থাপন করা হয়।

১৭৮১ – ব্রিটিশ সেনাবাহিনী দক্ষিণ ভারতের নাগাপট্টম অধিকার করে।

১৫৩২ – ফ্রাসোয়া পিজারোর নেতৃত্বে স্প্যানিশ বাহিনী পেরুর উপর হামলা চালায়।

 

১৪৯২- পর্তুগিজ নাবিক কলম্বাস পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) পৌঁছান, আবিষ্কার হয় আমেরিকা মহাদেশ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯৯১ – ভারতের কমিউনিস্ট ব্যক্তিত্ব ও স্বাধীনতা সংগ্রামী বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায় ।

 

১৯৯৭ – উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, পর্বতপ্রেমিক, অক্লান্ত পরিব্রাজক ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভ্রমণ কাহিনিকার।

উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (১২ই অক্টোবর,১৯০২ – ১২ অক্টোবর, ১৯৯৭), একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক, যাঁর প্রধান বিচরণক্ষেত্রটি হল বাংলা সাহিত্যের অন্যতম ধারা, ভ্রমণ-কাহিনী। মণিমহেশ নামক ভ্রমণকাহিনীর জন্যে, ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে, তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।

 

১৯২৪ – ফরাসী কথাশিল্পী আনাতোল ফ্রাঁস।

আনাতোল ফ্রাঁস (১৬ এপ্রিল ১৮৪৪ – ১২ অক্টোবর ১৯২৪) ছিলেন একজন ফরাসি, কথাসাহিত্যিক, কবি, সাংবাদিক এবং ঔপন্যাসিক। আনাতোল ফ্রাঁসের প্রকৃত নাম আনাতোল তিবো। বিশ শতকের প্রথম দিকে আনাতোল ফ্রাঁস ছিলেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় কথাশিল্পীদের একজন। ফ্রাঁসের সাহিত্য জীবনের সূচনা সাংবাদিক ও কবি হিসেবে।

 

১৯৭৮- প্রখ্যাত সমাজসেবী ও সর্বোদয় সেবক শিশিরকুমার সেন।

শিশিরকুমার সেন (১৮৯৬ — ১২-১০-১৯৭৮)। নদীয়ার সাহেবনগরের সর্বোদয় সেবক। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় দেশসেবার প্রেরণায় বিড়লা কোম্পানীর চাকরি ছেড়ে সস্ত্রীক গান্ধীজী প্ৰদৰ্শিত পথে গঠনমূলক গ্ৰামসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৪২-এর আন্দোলনে ডায়মণ্ডহারবার খাদি-মন্দিরের অধিকাংশ কর্মী যখন কারারুদ্ধ, তখন তিনি ও তাঁর স্ত্রী (কবি, লেখিকা, সর্বোদয় সেবিকা নিরূপমা দেবী) ডায়মন্ডহারবার খাদি মন্দিরের মধুসূদনপুর আশ্রমে এসে বসবাস শুরু করেন এবং ১৯৪৩ খ্রী. দুর্ভিক্ষের সময় ঐ অঞ্চলের দুর্গত অধিবাসীদের সর্বতোভাবে সেবা করেন। ব্ৰাহ্মসমাজভুক্ত ছিলেন। তাঁর চেষ্টায় এই সেবাকার্যে মধুসূদনপুর কেন্দ্রের ব্রাহ্মসমাজ সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। এরপর সাহেবনগরে কেন্দ্ৰ স্থাপন করে তাঁর মাধ্যমে গঠনমূলক কাজ করতেন। নিরুপমা দেবীর পরিচালনায় সেখানে কস্তুরবা ট্রেনিং কলেজ চলত। ১৯৫৫ খ্রী. তিনি নদীয়া জেলায় ভূদান-যজ্ঞ-পদযাত্রা করেন এবং তখন থেকে ভূদান-গ্রামদানের কাজ করে আসছিলেন। ‘সর্বোদয় প্ৰকাশন মণ্ডল’ সংস্থা গঠন করে তিনিই প্ৰথম বাংলায় সর্বোদয় সাহিত্য প্রচারের ব্যবস্থা করেন।

 

 

১৯৮১- ভারতের পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ ড. গুরুপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়।

 

১৯৮৬ – চীনে কোটনিসের নেতৃত্বে ভারতের মেডিক্যাল মিশনের অন্যতম সদস্য ডাঃ বিজয় কুমার বসু, ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার সূচনাকারী।

ডাঃ বিজয় কুমার বসু(ইংরেজি: Dr. Bijaykumar Basu) ( ১ মার্চ, ১৯১২ – ১২ অক্টোবর, ১৯৮৬),দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ডা. অটলের নেতৃত্বে ভারত থেকে চীনে প্রেরিত পাঁচ-সদস্যের মেডিক্যাল মিশনের অন্যতম সদস্য ও ভারতের প্রথম আকুপাংচার সমিতির প্রতিষ্ঠাতা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *