ললিতা পবার ছিলেন একজন অতিপ্রজ ভারতীয় অভিনেত্রী। হিন্দি, মারাঠি এবং গুজরাটি চলচ্চিত্রের ৭০০ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করে তিনি চরিত্রাভিনেত্রী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সেখানে তিনি ভালজি পেন্ধারকরের তৈরি নেতাজি পালকর (১৯৩৮), নিউ হানা পিকচার্সের সেন্ট দমজী, ভি. এস খন্দকার রচিত নবযুগ চিত্রাপতের অমৃত এবং ছায়া ফিল্মসের গোরা কুম্ভর এর মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনীত অন্যান্য স্মরণীয় ছবির মধ্যে আছে আনাড়ি (১৯৫৯), শ্রী ৪২০ এবং মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ৫৫, এবং রামনন্দ সাগরের টেলিভিশন মহাকাব্য ধারাবাহিক রামায়ণের মন্থরার চরিত্রে অভিনয়।
১৯১৬ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাশিক জেলার য়েবলাতে একটি রক্ষণশীল পরিবারে পবার জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের সময় তার নাম ছিল আম্বা লক্ষ্মণ রাও সাগুন। তার বাবা লক্ষ্মণ রাও শাগুন ছিলেন এক ধনী সিল্ক এবং সুতা পণ্যের ব্যবসায়ী।
তিনি বিশেষ করে মায়ের ভূমিকায়, বিশেষত খারাপ মায়ের বা শ্বাশুড়ীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। তার বিখ্যাত অভিনয় হলো রাজ কাপুরের সাথে আনাড়ি (১৯৫৯) ছবিতে কঠোর অথচ দয়ালু মিসেস এল. ডি’সা এর চরিত্রে। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তিনি আজীবন অভিনয় করেছেন, যার জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেছেন। এবং প্রফেসর (১৯৬২) চলচ্চিত্রে কঠোর মায়ের ভূমিকায় যে প্রেমে পড়েন এবং রামানন্দ সাগরের টেলিভিশন ধারাবাহিক রামায়ণে কুটিল কুব্জা দাসী মন্থরার ভূমিকায় অভিনয় করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ভারত সরকারের ভারতীয় চলচ্চিত্রের ফার্স্ট লেডি হিসাবে সম্মানিত হন।
নির্বাচিত চলচ্চিত্রের তালিকা—-
রাম শাস্ত্রী, দাহেজ, অমর গান, দাগ (১৯৫২ সালের চলচ্চিত্র), পারচাইন, শ্রী ৪২০, মি. এন্ড মিসেস ৫৫, আনাড়ি, নাও দো গায়ারাহ, সুজাতা, জঙ্গি (১৯৬১ সালের সুবোধ মুখোপাধ্যায় রচিত চলচ্চিত্র), হাম দুনো, সম্পূর্ণ রামায়ণ, প্রফেসর, সেহরা, গ্রহস্তি,ঘর বাসাকে দেখো, ফুল অর পাথর, খান্দান, বুন্দ জো বান গাইয়ে মতি, নূর জাহান, আব্রু, মেরি ভাবি, আনন্দ, পুষ্পাঞ্জলী, গোপি, জ্বালা, দুশ্রি সিতা।
১৯৫৯: আনাড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
১৯৬১: সংগীত নাটক একাদেমি পুরস্কার – অভিনয়
২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ সালে তিনি প্রয়াত হন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।