এই মেয়ে, শোন-
কেনোরে তুই, আতর দিয়ে গা ধুয়েছিস?
তোর গায়ের গন্ধে পাড়ায় থাকা দায় হয়েছে-
সবাই করে কানাকানি,এই গন্ধ কি লুকিয়ে রাখা যায়-
রাতবিরেতে দরজা এঁটে থাকবি তুই খাটে সেঁটে।
শোন বাবু, মাটা আমার গেলো মরে,
ছ’মাস পরে গেলো বাপটাও-
বাপের ছিলো টানের রোগ-কাজ ছিলো তার পরের রিক্সা টানা।
চলছিলো বেশ বাপ-বেটিতে,
বাপের আমি ছিলাম চোখের মনি, একা ফেলে গেলো চলে।
জানিস বাবু গভীর রাতে দমকা বাতাস
গন্ধ নিয়ে-ঢোকে আমার দরজা ঠেলে,
রঙবেরঙের ডালপালা সব গুঁতায় তারা ঘাড়ে-পিঠে।
ভোরের আলো ফোটার আগেই দমকা বাতাস পালায় ছুটে-
ভোরের আলো ফুটলে পরে গায়ের ক্ষত জ্বলতে থাকে–
ক্ষতরা সব আমায় দেখে ব্যথায় ব্যথায় দিন যে কাটে,
ভয়ে ভয়ে থাকি রাত যেন আর না আসে
বলতে পারো বাবুমশাই আমার কি দোষ?
কোন পাপেতে ডুবে আছি-
নিয়ে যাবে বাবুমশাই, তোমার বাড়ি?
সব কাজ করে দেবো গিন্নি মাকে-
সব কাজ আমি করতে পারি,
গায়ে আমার ব্যথা-ভীষণ কষ্ট হয়-
তোমার কাছে আমার কষ্ট একটুও কি কষ্ট নয়?
তোমারও তো মেয়ে আছে,
নেবে আমায় বাবুমশাই, তোমার সাথে?
এই বয়সে তোকে নিলে বদনাম হবে-
তুই যেমন আছিস তেমনই থাক-
আসবো না আর বলতে তোকে-
তোকে নিলে আমার বাড়ির নাম যে দেবে আতর বাড়ি।