জীর্ণ বস্ত্র, শীর্ণ গাত্র, বেশভূষা মলিন, কোমরে কাপড় গোঁজা, হাতে একটা ছেঁড়াফাটা ব্যাগ, পায়ে দু’রঙের চটি দড়ি দিয়ে বাঁধা, ভালো করে চলতে পারছে না, কোমরে কাপড় গোঁজা, এলোমেলো চুলে বেঁধেছে খোঁপা ঝুলে আছে ঘাড়ের উপর।
ক্ষুধায় কন্ঠ ক্ষীণ, আদরের মানিক কোলে সেও ক্ষুধার জ্বালায় মা মা কোরে মায়ের চোখে মুখে হাত বুলায়, কখনো মায়ের গালে গাল ঠেকায়, তখন মায়ের দু’চোখের কোলে জলের ফোঁটা এই বুঝি গড়িয়ে পড়বে গালে।
আদরের মানিককে চুমু দেয় আর বলে- এই তো সোনা আমরা খাবো, একটু বাকি আছে আমাদের গন্তব্য আসতে।
কষ্ট হয় ভীষণ এই নারীদের দেখলে। তবুও চোখ ফেরাতে পারছি না তার রূপের সৌন্দর্য দেখে। সে দেখতে ভালো না অথচ তার রূপ যেন গা গড়িয়ে পড়ছে।
সুন্দর নারী নিয়ে লেখা হয় অনেক কাব্য কিন্তু এই নারীটির সৌন্দর্য কারোর হয়তো চোখে পড়েনা ধরা, বড্ড কঠিন তার সৌন্দর্যকে অনুভব করা।
কিন্তু সে ক্ষুধার জ্বালায় জর্জরিত ।
বেদনার সুর কাব্যে ঝঙ্কৃত। তারা যে পথচারী, দয়ার দান হলো অন্ন বস্ত্র।
আজও দেখি প্রত্যন্ত রাস্তায় প্লাস্টিকের ছাউনিতে থাকা মানুষ। নেই কোন আলোর ব্যবস্থা রাস্তার পোস্টের আলোতে করে বাস। ধুলো মাটিতে কত কুসুম ভূমিষ্ঠ হয় কি করুণ জীবন এদের।
কোন ভবিষ্যত্ নেই ওদের জন্য কিছু করতে যদি না পারি তবে ওদের সঙ্গে আমার চোখের দুফোটা জল তো ঢালতে পারি। দারিদ্র ওদের নিত্যসঙ্গী।
তবুও আদরের মানিক কোলের দৃশ্য আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খায় এতো সৌন্দর্য দারিদ্রতায় আমার চোখে ধরা পড়ে।