Categories
রিভিউ

আজ ২৮ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৮ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৭ – আলবার্তো মোরাভিয়া, ইতালীয় সাংবাদিক ও লেখক।

 

১৯৩১ – গোলাম রহমান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

 

১৯৪৩ – (ক) রফিকুন নবী, বাংলাদেশী চিত্রকর ও কার্টুনিস্ট।

(খ) র‍্যান্ডি নিউম্যান, মার্কিন গায়ক-গীতিকার, সঙ্গীত সমন্বয়ক ও সুরকার।

১৯৫০ – রাসেল অ্যালান হাল্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯৫৫- জিয়াদ আল-জাজা, ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ।

 

১৯৬২ – জন স্টুয়ার্ট, আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা ও টেলিভিশন উপস্থাপক।

 

১৯৬৭ – আন্না নিকলে স্মিথ, আমেরিকান মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৬৯ – নিক নাইট, সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।

 

১৯৭৫ – তাকাশি শিমডা, জাপানি ফুটবলার।

১৯৭৭ – ফেবিও গ্রসও, ইতালিয়ান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৮৩ – নেলসন ভাল্ডে্য, প্যারাগুয়ের ফুটবলার।

 

১৯৮৭ – কারেন গিলান, স্কটিশ অভিনেত্রী।

১৯৯৯ – শ্রেষ্ঠা রায়, সোনারপুরের সুন্দরী।

১৮২০ – সমাজতাত্ত্বিক ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস।

 

১৮৮০ – আলেকজান্ডার ব্লক, রাশিয়ান কবি ও নাট্যকার।

১৮৮১ – স্টিফান য্বেইগ, অস্ট্রিয়ান লেখক, নাট্যকার ও সাংবাদিক।

১৮৮৭ – আর্নেস্ট রহম, জার্মান সৈনিক ও সহ-প্রতিষ্ঠিত স্টুর্মাবটেইলুং এর।

 

১৭৫৭ – উইলিয়াম ব্লেক, ইংরেজ কবি ও চিত্রকর।

১৭৯৩ – কার্ল জোনাস লাভ আল্মকভিস্ট, সুইডিশ কবি, সুরকার ও সমালোচক।

১৬২৮ – জন বুনয়ান, ইংরেজ প্রচারক ও লেখক।

১১১৮ – প্রথম ম্যানুয়েল কম্নেনস, বাইজেন্টাইন সম্রাট।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১২ – তুরস্কের নিকট থেকে আলবানিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬০ – মৌরিতানিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রান্সের নিকট থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৭১ – ইরানের তিনটি দ্বীপ আবু মুসা,তাম্বে বোযোর্গ,তাম্বে কুচাক থেকে ব্রিটিশ দখলদার সেনারা চলে যাবার পর ইরান ঐ তিনটি দ্বীপের ওপর নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

১৮১৪ – কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে ভারতের প্রথম প্রাটস্ট্যান্ট বিশপ টমাস ফ্যানশ মিডলটন পদার্পণ করেন।

১৮১৪ – লন্ডনের টাইমস পত্রিকা প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিনে ছাপা হয়।

১৮২১ – স্পেনের নিকট থেকে পানামা স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৬৬০ – ইংল্যান্ডে রয়েল সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৬৭৬ – ভারতের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত তখনকার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পন্ডিচেরি বন্দর ফরাশিরা দখল করে নেয়।

১৫২০ – প্রথম ইউরোপীয়ান নাবিক হিসেবে ফার্ডিনান্ড ম্যাগেলান আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে প্রবেশ করেন।

১৪৪৩ – সেকেন্দার বেগ তার বাহিনী নিয়ে মধ্য আলবেনিয়ার খ্রুজ অঞ্চল জয় করেন ও প্রথমবারের মতো আলবেনিয়ার পতাকা উত্তোলন করেন।

১০৯৮ – সিরিয়ায় খ্রিস্টানদের হাতে ৭০ হাজার মুসলমান নিহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৬ – মোহাম্মদ হানিফ, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও অবিভক্ত ঢাকার প্রথম মেয়র।

 

২০১০ – লেসলি নিলসেন, কানাডিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান অভিনেতা ও প্রযোজক।

২০১৪ – চেস্পিরিটো, মেক্সিক্যান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৩২ – অভিনেতা সুরেন্দ্রনাথ ঘোষ (দানীবাবু)।

১৯৪৫ – ডুইট এফ. ডেভিস, আমেরিকান টেনিস খেলোয়াড় ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯৫৪ – এনরিকো ফের্মি, ইতালীয় পদার্থবিদ।

১৯৬০ – রিচার্ড রাইট, তিনি ছিলেন আমেরিকান বংশোদ্ভূত ফরাসি লেখক ও কবি।

 

১৯৬২ – সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার কৃষ্ণচন্দ্র দে মৃত্যুবরণ করেন।

 

১৯৬৮ – এনিড ব্ল্যটন, ইংরেজ লেখক ও কবি।

১৯৭১ – ওয়াসফি তাল নিহত হন, জর্দানের বাদশা।

 

১৯৮০ – বীরেন্দ্রনাথ সরকার,ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং কলকাতার নিউ থিয়েটার্সের প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৯৮৯ – ফকির শাহাবুদ্দীন, বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল।

১৯৯৯ – জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং বুদ্ধিজীবী।

 

১৮৫৯ – ওয়াশিংটন আরভিং, মার্কিন ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, জীবনীকার, ইতিহাসবেত্তা ও কূটনীতিক।

১৮৭০ – জন ফ্রেদেরিখ বাজিল, ফরাসি চিত্রশিল্পী ও সৈনিক।

 

১৬৮০ – গিয়ান লরেনযো বিরনিনি, ইতালিয়ান ভাস্কর ও পেইন্টার।

 

১৬৯৪ – মাৎসু বাসো, জাপানি কবি।

১০৫৮ – পোল্যান্ডের ডিউক কেজিমিয়ের্জ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৭ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৭ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) শহীদ ডা. মিলন দিবস,বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, ভারতীয় উপমহাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

 

১৯০৩ – লার্স অনসেজার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নরওয়েজিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান রসায়নবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।

 

১৯০৭ – হরিবংশ রাই বচ্চন, প্রখ্যাত ভারতীয় হিন্দি ভাষার কবি ও লেখক।

 

১৯১৩ – চিত্রনিভা চৌধুরী, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী।

 

১৯২৫ – মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশী ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী।

১৯২৫ – আবদুস সালাম (ভাষা শহীদ), ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের একজন শহীদ।

 

১৯৪০ – ব্রুস লী, চীনা মার্শাল আর্ট শিল্পী, শিক্ষক, অভিনেতা।

১৯৪০ – চীনের রাজা জিয়াওজিংয়ে।

 

১৯৫২ – বাপ্পী লাহিড়ী ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীত পরিচালক।

 

১৯৫৪ – শ্রীলংকার বিচ্ছিন্নতাবাদী তামিল দল লিবারেশন টাইগার্স ফর তামিল ইলাম এর প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ।

১৯৬৪ – রবার্ট ম্যান্সিনি, সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৭৯ – টেমু টাইনিও, ফিনিশ ফুটবলার।

১৯৮৪ – সানা নিলসেন, সুইডিশ গায়িকা।

১৯৮৬ – সুরেশ কুমার রায়না, ভারতীয় ক্রিকেটার।

১৮৫৭ – চার্লস স্কট শেরিংটন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ শারীরবিজ্ঞানী, জীবাণুবিদ ও প্যাথলজিস্ট।

১৮৭০ – জুহ কুস্টি পাসিকিভি, ফিনল্যাণ্ডের ফিনিশ অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রেসিডেন্ট।

 

১৮৭৮ – যতীন্দ্রমোহন বাগচী, বাংলা ভাষার কবি।

 

১৮৮৮ – কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর,বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক।

১৮৯২ – আজিজুল হক, বাঙালি শিক্ষাবিদ, কূটনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক এবং লেখক।

১৭০১ – অ্যান্ডার্স সেলসিয়াস, সুইডিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী, পদার্থবিদ ও গণিতবিদ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০১ – ওয়াশিংটন ডিসিতে আর্মি ওয়ার কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯১২ – আলবেনিয়ার জাতীয় পতাকা গৃহীত হয়।

১৯১৪ – ব্রিটেনে প্রথম মহিলা পুলিশ নিয়োগ দেওয়া হয়।

১৯১৯ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধশেষে মিত্র ও সহযোগী শক্তির সাথে বুলগেরিয়ার নোই চুক্তি (Traité de Neuilly) স্বাক্ষরিত।

১৯৩২ – পোল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন পরস্পরকে আক্রমণ না করার চুক্তি করে।

১৯৪০ – আততায়ীর গুলিতে রুমানিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইয়ার্গাসহ ৬৪ জন নিহত হন।

১৯৪১ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মস্কোর উপকণ্ঠে জার্মানি ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদের মধ্যে বিখ্যাত ট্যাংক যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

১৯৪৩ – চার্চিল রুজভেল্ট ও স্টালিন তেহরান সম্মেলনে মিলিত হন।

১৯৮০ – ইরানের ওপর ইরাকের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের গোড়ার দিকে ইরানের নৌবাহিনী পারস্য উপসাগরে এক অভিযানে ইরাকের নৌ বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হয়।

১৯৯২ – এই দিন থেকে ব্রিটেনের রানী আয়কর দিতে শুরু করেন।

১৯৯২ – তুর্কমেনিস্তান, কিরঘিযিস্তান, উজবেকিস্তান, কাযাকিস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান ও আজারবাইজান- অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা “ইকো”তে যোগ দেয়।

১৮৯৫ – বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল তার সমুদয় সম্পত্তি উইল করে নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য তহবিল গঠন করেন।

১৫৮২ – উইলিয়াম শেকসপিয়ার বিয়ে করেন।

১০০১ – পেশাওয়ারের যুদ্ধ সংঘটিত।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৮ – বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও অষ্টম প্রধানমন্ত্রী।

 

২০১৪ – ফিলিপ হিউজ, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

২০২০ – আলী যাকের, বাংলাদেশি অভিনেতা, ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট।

১৯৪০ – নিকলাএ ইওরগা, রোমানিয়ান ইতিহাসবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৩৪ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫৩ – ইউজিন ও’নিল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান নাট্যকার।

১৯৭১ – হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক), বাংলাদেশী খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৭৭ – ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকার সম্পাদক ছাত্রনেতা আতাউর রহমান।

 

১৯৮১ – লটে লেনয়া, অস্ট্রিয়ান গায়িকা ও অভিনেত্রী।

১৯৮৪ – অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেতা এবং গায়ক।

 

১৯৯০ -শহীদ ডা. মিলন, প্রতিবাদী ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ

১৯৯৮ – গবেষক ও লেখক নরেন বিশ্বাস ।

১৮৫২ – অগাস্টা অ্যাডা, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ধারণার একজন প্রবর্তক।

১৫৭০ – জাকপ সান্সভিনো, ইতালিয়ান ভাস্কর ও স্থপতি।

১৫৯২ – সুইডেনের রাজা তৃতীয় জন।

খ্রিস্টপূর্ব ৮ অব্দ – হোরেস, রোমান সৈনিক ও কবি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ব্রুস লী : মার্শাল আর্টের এক কিংবদন্তীর উপাখ্যান, জেনে নেবো তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন ইতিহাস।

ব্রুস ইয়ুন ফান লী (নভেম্বর ২৭, ১৯৪০ – জুলাই ২০, ১৯৭৩) একজন চীনা মার্শাল আর্ট শিল্পী, শিক্ষক, অভিনেতা এবং জিৎ কুন দো নামক নতুন ধরনের মার্শাল আর্ট ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠাতা। তার জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিস্কোতে। তাকে সর্বকালের অন্যতম প্রভাবশালী এবং বিখ্যাত মার্শাল আর্ট শিল্পীদের একজন হিসেবে গণ্য করা হয়। তার শিক্ষকের নাম ছিলো আয়প (ওয়াই আই পি) ম্যান।
ব্রুস লির জন্ম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে হলেও গায়ে বইছিল চিনা রক্ত। শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে হংকংয়ে। ছোটবেলা থেকেই তিনি সিনেমা ও টিভিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেন। বারো বছর বয়সে এক দিন রাস্তার কিছু বখাটে ছেলে শত্রুতাবশত তাঁকে মারধর করে। আর এ ঘটনাটাই আমুলে পাল্টে দেয় তাঁর জীবন, সেই সঙ্গে মার্শাল আর্ট আর বিশ্ব চলচ্চিত্রের ভবিষ্যতও। পরবর্তী সময়ে মনপ্রাণ ঢেলে মার্শাল আর্টে তালিম নেন তিনি। এই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার আয়ু মাত্র পাঁচ বছর। এই শিল্পে যোগ করেন নিজস্ব ধাঁচের কুংফু কৌশল। মার্শাল আর্টের সঙ্গে আরও অনেক শারীরিক কলা জুড়ে দিয়ে তৈরি করেন নতুন আর্ট ‘জিৎ কুনে দো’। নাচে দক্ষ লি ১৮ বছর বয়সে জাতীয় প্রতিযোগিতায় হংকংয়ের ঐতিহ্যবাহী চা-চা নাচের জন্য শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।

 

এই জিনিয়াসের মেজাজটা ছিল বেশ কড়া। সে কারণে বেশ কয়েক বার হংকং পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা পোহাতে হয়। তাই বাবা-মা তাঁকে পাঠিয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রে । ১৯ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রের চায়নাটাউনে আত্মীয়ের রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেন। ক’দিন বাদেই তিনি ওয়াশিংটনের সিয়াটলে এসে দর্শনশাস্ত্রে পড়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সিয়াটলেই তিনি তাঁর প্রথম কুংফু স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় লি টিভিতে টুকটাক কাজ করতে থাকেন। ক্যালফোনির্য়ার ওকল্যান্ডে তিনি দ্বিতীয় কুংফু স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। টিভিতে কাজ করার সুবাদে তাঁর নামডাক হতে শুরু করে এবং তিনি আস্তে আস্তে হলিউডের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। সেখানে স্ট্যান্টম্যান ও পার্শ্বচরিত্রে কিছু কাজও করেন। সে ভাবে নজর কাড়তে না পারলেও আর্থিক ভাবে লাভবান হন। ফিরে আসেন হংকংয়ে। হংকংয়ে বেশ কয়েকটি ছবি নির্মিত হয় তাঁকে নিয়ে। দ্য বিগ বস (১৯৭১), ফিস্ট অফ ফিউরি (১৯৭২) ও দ্য ওয়ে অব দ্য ড্রাগন (১৯৭২) তার মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। রাতারাতি সর্বত্র হৈ চৈ পড়ে যায় তাঁকে নিয়ে। হলিউডে তাঁকে নিয়ে তৈরি হয় ‘এন্টার দ্য ড্রাগন’ (১৯৭৩)। হলিউডে ব্রুস লি তখন এক সিনেমা দিয়েই বিশাল তারকা।

 

সারা বিশ্ব যখন কাঁপছে ব্রুস লি জ্বরে, এন্টার দ্য ড্রাগনের প্রিমিয়ারের কিছু দিন আগে হঠাৎ হংকংয়ে মারা যান ব্রুস লি। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে।
একের পর এক বক্স অফিস কাঁপানো ছবি, মুভিতে নতুনত্বের ছোঁয়া, সর্বোচ্চ দর্শক জনপ্রিয় এই অভিনেতার মাত্র ৩২ বছর বয়সের মৃত্যু কারোর পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব ছিলো না। তাই স্বভাবতই ব্রুস লির মৃত্যু নিয়ে রয়েছে নানা সন্দেহ এবং বিতর্ক। হঠাৎ করেই ১৯৭৩ সালে একটি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় ব্রুসলির মস্তিষ্কে প্রদাহ শুরু হয় এবং মস্তিষ্ক ফুলে উঠতে শুরু করে এবং মাথা ব্যথায় কাতর হয়ে যান তিনি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় সেরিব্রাল এডেমা। ‌

 

ডাক্তারদের সার্বিক চেষ্টায় ব্রুস লি সেই যাত্রায় মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে মুক্তি পান কিন্তু সেই মুক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বরং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মস্তিষ্কের ফোলা কমতে শুরু করলেও আবারো ৬ সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে তা আবার পূর্বের রূপ ধারণ করে। ১৯৭৩ সালের ২০ জুলাই তার সহ-অভিনেত্রী বেটি টিং পেইর কাউলুনের বাড়িতে একটি সিনেমার শুটিং এর আলাপচারিতার উদ্দেশ্যে যান। হঠাৎ করেই তার সহ-অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় ব্রুসলির মাথা ব্যথা শুরু হয় এবং তাকে ইকুয়াজেসিক নামে একটি পেইন কিলার খেতে দেয়া হয়। পেইনকিলারটি খাওয়ার পর ব্রুস লি ঘুমাতে যান কিন্তু ঘুম থেকে ব্রুস লিকে কোনোভাবেই উঠানো সম্ভব হচ্ছিল না বলে কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয় এবং কয়েক ঘন্টা পর ঘোষণা করা হয় যে মার্শাল আর্ট কিংবদন্তী ব্রুস লি মারা গেছেন।
মার্শাল আর্ট কিংবদন্তী ব্রুস লির মৃত্যু নিয়ে অনেকগুলো বিতর্ক থাকলেও কোনো কারণকেই প্রকৃত কারণ হিসেবে ধরা যায় না। তাঁর মৃত্যু রহস্য আজও অমীমাংসিত। কেউ বলে ড্রাগ ওভারডোজ, কেউ বলে বিষ খাওয়ানো হয়েছিল। তবে মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কের সূত্রপাত হয়। মার্শাল আর্ট জগতের কিংবদন্তী ব্রুস লির অকাল মৃত্যু এখনো পুরো পৃথিবীর কাছে আজও অমীমাংসিত একটি রহস্য হয়েই আছে।

 

ব্রুসলির সম্পর্কে মজার কয়েকটি তথ্য  পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
১। ব্রুস লি চাইনিজ নন! অনেকের ধারণা তার জন্ম চীনে। কিন্তু তার জন্ম হয়েছিলো সানফ্রান্সিসকোতে। বেড়ে ওঠা হংকংয়ে। তার দাদী ছিলেন একজন জার্মান ভদ্রমহিলা।
২। ব্রুস লি অসাধারণ নাচতে পারতেন। ১৯৫৮ সালে তিনি একটি নাচের প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়নও হন! তখন মাত্র হাই স্কুলে পড়তেন তিনি। অভিনয়, মার্শাল আর্টের ট্রেইনিংসহ দৈনন্দিন অন্যান্য কাজের বাইরে নাচের অনুশীলনের জন্য আলাদা সময় বের করতেন তিনি।
৩। ব্রুস লি বাতাসের চেয়েও বেশি গতিতে ফাইট করতে পারতেন! এত ক্ষীপ্র গতিতে তিনি হাত চালাতেন যে প্রতিপক্ষ আঘাত প্রতিহত করারও সময় পেত না! ১৯৬২ সালেই একটি ফাইটে তিনি মাত্র ১১ সেকেন্ডে তার প্রতিপক্ষকে পরাজিত করেন। এই ১১ সেকেন্ডে তিনি ১৫ টা ঘুষি আর একটা কিক করেছিলেন বেচারাকে।

 

৪। তার আসল নাম ছিলো লি-জান-ফান। কিন্তু তার পরিবার তাকে ডাকতো ম সি তুং যার অর্থ যে কখনো স্থির হয়ে বসে থাকতে পারে না। ব্রুস লি জন্মেছিলেন ড্রাগন বর্ষে। এটি প্রতি বারো বছর অন্তর অন্তর আসে। চীনাদের রাশিচক্রে যারা ড্রাগন বর্ষে জন্মায় তাদেরকে খুব ভাগ্যবান ও ক্ষমতার অধিকারী মনে করা হয়। যেহেতু সে ড্রাগন বর্ষে জন্মেছে , একারণে ব্রুস লিকে ছোট্ট ড্রাগন বলেও ডাকা হতো।
৫। দর্শনের বিষয়ে ব্রুস লির ছিল প্রবল আগ্রহ! মার্শাল আর্ট ও অভিনয়ের বাইরে ব্রুস লি আরেকটু কাজে খুব সময় দিতেন। সেটি হচ্ছে ফিলোসফি পড়া ও লেখা। ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে তার পড়ার বিষয়ও ছিলো দার্শনিকতা। অনেকে বিভিন্ন বিষয়ে তার কাছে মতামত জানতে চাইতো, এবং তার কথাকে গুরুত্বও দিতো খুব। “দ্যা ওয়ারিয়র উইথইন” নামে ব্রুস লি’র দার্শনিকতার ইতিবৃত্ত নিয়ে একটি অসাধারণ বইও আছে, যেখানে এই বিশ্বকে আরো গভীরভাবে বোঝা ও একটি সফল জীবন গড়ার জন্যে কী করা উচিৎ সে সম্পর্কে বলা হয়েছে।
৬। ব্রুস লি ছিলেন একজন সত্যিকারের শিল্পী! ব্রুস লির নানান দিকে আগ্রহ ছিল। অবসরে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। তাছাড়া কবিতাও লিখতেন তিনি! তার কবিতা সংকলিত হয়েছে “The Tao Of JeetKune Do”-এই বইটিতে। মার্শাল আর্ট আর ফাইটিংয়ের দৃশ্য বেশি আঁকতে পছন্দ করতেন তিনি। তার নিজের সংগ্রহের ২০০০+ বই নিয়ে একটি লাইব্রেরিও আছে। নতুন কিছু পড়তে তার খুবই ভালো লাগতো।
৭। ব্রুস লি ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন না! তিনি এমন এক পরিবারে জন্মেছিলেন যেখানে তার মা ছিলেন একজন ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্বাসী। আর বাবা ছিলেন একজন বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। ছোটবেলায় তাকে ক্যাথলিক স্কুলে পাঠানো হলেও এক পর্যায়ে তাকে ধর্ম নিয়ে আর কোনো চাপ দেয়া হয় নি। একবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি স্বীকার করেন, তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নন।
৮। কিছু কাজ ছিল যা ব্রুস লি একদমই করতে পারতেন না! সাঁতার পারতেন না, পানি দেখলেই তার ভয় করতো। বাইক, গাড়ি কোনোটাই তিনি চালাতে পারতেন না। তার বন্ধুদের মতে, তিনে ছিলেন একজন জঘন্য ড্রাইভার এইজন্য ব্রুস নিজেই মাঝেমধ্যে বন্ধুদের অনুরোধ করতেন তার হয়ে গাড়ি কিংবা বাইক চালানোর জন্যে!
৯। ব্রুস লি’র মৃত্যু নিয়ে এখনো গুঞ্জন চলে।
১০। ব্রুস অসাধারণ একটি উক্তি –
সবসময় নিজস্বতা ধরে রাখো, নিজেকে প্রকাশ করো, নিজের উপর বিশ্বাস রাখো। সফল ব্যক্তিত্ব খুঁজে বেড়ানো আর তাদের নকল করে তাদের মতো হওয়ার চিন্তা বাদ দাও।

 

ব্রুস লির ২০টি অমিয় বাণী
ব্রুস লি অবসরে তিনি ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। মার্শাল আর্ট বা কারাতের দৃশ্য বেশি আঁকতেন তিনি। তার নিজের সংগ্রহের দুই হাজারের বেশি বই নিয়ে একটি লাইব্রেরিও ছিলো। কবিতাও লিখতেন, তার কবিতা রয়েছে তার লেখা ‘টাও অব জিত কুনে দু’ বা মার্শাল আর্টের কৌশল বইটিতে। এ বইয়ের কিছু কথা এখানে সংকলিত হলো-
১. ঘুসি বা লাথি মেরে কখনো জেতা যায় না।
২. টেলিস্কোপের চেয়ে চোখের জল দিয়েই মানুষ বেশিদূর দেখতে পায়।
৩. জ্ঞান মাত্রই নিজেকে জানা।
৪. পালাবে না, দৌড়াও।
৫. আমি খালি গা থাকতেই পছন্দ করি। মানুষ কাপড় পরে একে অপরকে মুগ্ধ করার জন্য।
৬. সুখি হও, কিন্তু অল্প সাফল্যে আত্মতুষ্টিতে ভুগো না।
৭. জ্ঞান তোমাকে শক্তি দেবে, কিন্তু সম্মান পেতে হলে দরকার ভালো চরিত্র।
৮.  লক্ষ্য থাকলেই সেখানে পৌঁছে যেতে হবে এমন নয়, কখনও লক্ষ্য মানে নিশানা বা তাক করা।
৯. জ্ঞানীর কাছ থেকে বোকা যা শেখে, জ্ঞানী তারচেয়ে বেশি শেখে বোকার প্রশ্ন থেকে।
১০. জ্ঞানই শেষ কথা নয়, জ্ঞানের প্রয়োগ চাই। ইচ্ছাই যথেষ্ট নয়, কাজ করা চাই।
১১. অন্ধকারে হাঁটতে না চাইলে আলো প্রত্যাশা করা যায় না।
১২. পরাজয় মনের ব্যাপার, কেউ-ই পরাজিত নয় যতক্ষণ না সে মন থেকে পরাজয় মেনে নেয়।
১৩. সহজ জীবন চাও কেন? শক্তি চাও যেনো কঠিনকে মোকাবেলা করতে পারো।
১৪. ভুল ক্ষমা করে দেওয়া যায়, যদি তা স্বীকার করে সামনে এগুতে পারো।
১৫. স্বনির্ভরতাই সবচেয়ে বড় শক্তি।
১৬. যদি ভাবতেই থাকো, কাজ করতে পারবে না। জীবনের লক্ষ্যের দিকে প্রতিদিন অন্তত এক পা করে এগোও।
১৭. যদি আগামীকাল ব্যর্থ হতে না চাও, তাহলে আজ সত্যটা বলো।
১৮. সবচেয়ে শক্ত ঠাড়মোড় গাছটাই সবার আগে ভেঙে পড়ে, কিন্তু কঠিন বাতাসেও নিজের নমনীয়তা দিয়ে টিকে থাকতে পারে বাঁশ বা উইলো গাছ।
১৯ খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তাকে মনে জায়গা দিও না, এগুলো হলো আগাছা যা তোমার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করবে।
২০. সত্যিকারের বেঁচে থাকা মানে অন্যদের জন্য বেঁচে থাকা।
তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতনামা অভিনেতা, গায়ক ও নাট্যব্যক্তিত্ব – অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বাংলা ও হিন্দি সিনেমার জগতে এক অতি পরিচিত নাম অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়। অসিতবরণ পুরো নাম অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়  একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র অভিনেতা, গায়ক এবং থিয়েটার ব্যক্তিত্ব ছিলেন।

 

অসিতাবরণ ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় ১৯১৩ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।  জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছ থেকে তবলা শেখার পর তিনি কলকাতা বেতারে তবলা বাদক এবং পরে গ্রামোফোন কোম্পানিতে কাজ করেন।  তিনি তার সুন্দর কণ্ঠের জন্য মাঝে মাঝে গানও করতেন।  নিখিল ভারত সঙ্গীত সম্মেলনে তার তবলা বাজানো শোনার পর, পাহাড়ী সান্যাল তার সাথে কথা বলে এবং তাকে নতুন থিয়েটারে নিয়ে আসে পারফর্ম করার জন্য।  তার আগে অবশ্য তবলা-বাজনার সঙ্গে ফিল্ম জগতের সম্পর্ক শুরু হয়।
প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ‘কাশীনাথ’ ছবিতে।  হিন্দি ছবি “পরিণীতা” থেকে তিনি নায়ক হিসেবে সারা ভারতে পরিচিতি লাভ করেন এবং “Waps” চলচ্চিত্র থেকে তার জনপ্রিয়তা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।  সেই ছবিতে তাঁর কণ্ঠের গান হাম কোচোয়ান, হাম কোচোয়ান তাঁকে রাতারাতি বিখ্যাত করে তোলে।  ‘চলচল’, ‘পাঁচতপা’, ‘মা’-এর মতো ছবিতে তাঁর দুর্দান্ত অভিনয় দক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়।  বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মহানায়ক উত্তম কুমারের চোখে সেই সময়ে অসিতবরণ ছিলেন ‘আদর্শ নায়ক’।  চলচ্চিত্র জগতে তার ডাক নাম ছিল ‘কালোদা’।  মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও তার সুনাম ছিল।  ‘রাসারঙ্গ’ নামে একটি থিয়েটার দল গঠন করেন।  এই দলের মাধ্যমে তিনি শেষ জীবনে শোভাবাজার বি কে পালের বাড়িতে নুতু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গীত আকারে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের জীবন কাহিনী পরিবেশন করতেন।  তিনি ঠাকুরের আখ্যান পরিবেশন করতেন।  মাত্র চার বছরে টানা তিনটি সুপারহিট ছবিতে অসাধারণ গান গেয়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করার বিরল নজির স্থাপন করেন তিনি।

 

তাঁর অভিনিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের তালিকা সমূহ—-

 

প্রতিশ্রুতি, ওয়াপস, কাশীনাথ, নার্স, দৃষ্টিদান, সুধার প্রেম’, প্রত্যাবর্তন, পরিণীতা, তিন বাতি চার রাস্তা, মন্ত্রশক্তি, হ্রদ, চলাচল, বন্ধু, আলোর পিপাসা,  জোড়াদীঘির চৌধুরীপরিবার,  এন্টনী ফিরিঙ্গী, পৃথিবী আমাদের চায়,  স্মৃতিটুকু থাক,  খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন, ৮০তে আসিওমানুষ না,  বাঘবন্দী খেলা, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, সূর্যসাক্ষী।

 

জীবনাবসান—

 

১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ শে নভেম্বর এই খ্যাতনামা গায়ক-নায়ক  কলকাতায় প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৬ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৬ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

 

(ক) বিশ্ব কেক দিবস।

 

(খ) সংবিধান দিবস (ভারত)

 

(গ) জাতীয় দুগ্ধ দিবস (ভারত)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৯ – মুহম্মদ আবদুল হাই, ধ্বনি বিজ্ঞানী ও ভাষাতাত্ত্বিক।

 

১৯২১ – ভার্গিজ কুরিয়েন , ভারতে দুগ্ধ উৎপাদনে শ্বেত বিপ্লবের জনক।

 

১৯৫৪ – ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণ, শ্রীলঙ্কার বিচ্ছিন্নতাবাদী দল লিবারেশন টাইগার্স অব তামিল ইলমের প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৯৭২ – অর্জুন রামপাল, ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, মডেল এবং টেলিভিশন উপস্থাপক।

 

১৮৮৫ – দেবেন্দ্র মোহন বসু, প্রখ্যাত বাঙালি বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান-প্রশাসক।

 

১৮৯০ – সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি, ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

 

১৮৯৬ – গোকুলানন্দ গীতিস্বামী, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ।

 

১৮৯৮ – নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ কার্ল জিগলার।

 

১৭৩১ – উইলিয়াম কাউপার, ইংরেজ কবি।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১ – নেপালে মাওবাদী বিদ্রোহীদের হামলায় ২৮০ জনের প্রাণহানী।

২০০৪ – জাতীয় শিক্ষা-সংস্কৃতি আন্দোলন নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ।

২০০৮- ভারতের মুম্বাই শহরে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এর মদতে জঙ্গী হামলা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯০৭ – লর্ড কার্নারভন তাকে ভ্যালি অব দি কিংসে খনন কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব প্রদান করেন।

১৯২২ – ব্রিটিশ প্রত্নবিদ হাওয়ার্ড কার্টার এবং লর্ড কার্নারভন মিসরের ভ্যালি অব দি কিংসে অবস্থিত তুতাংখামেনের সমাধিগৃহে প্রবেশ করেন।

১৯২২ – দুই রঙ বিশিষ্ট টেকনিকালারে নির্মিত প্রথম ছবি টোল অব দ্য সী মুক্তি পেয়েছিলো।

১৯৪৩ – যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অধূনালুপ্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন তেহরানে বৈঠকে বসে। বৈঠকে জার্মানির সাথে যুদ্ধ পরিচালনার ব্যাপার সহ মিত্র পক্ষের দেশগুলোকে সহায়তা প্রদান এবং নিজেদের মধ্যে সহযোগিতার ব্যাপারে আলোচনা হয়।

১৯৪৯ – ভারতীয় গণপরিষদে ভারতের সংবিধান অনুমোদিত হয়।

১৯৫০ – চীনের বাহিনীর আক্রমণের ফলে কোরিয়া যুদ্ধের প্রকৃতি বদলে গিয়েছিলো।

১৯৫৫ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন অভাবনীয় শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।

১৯৭৬ – ‘মাইক্রোসফট’ নামটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোতে ট্রেডমার্ক হিসেবে নিবন্ধিত হয়।

১৯৮৯ – ৪২ বছর পর জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৯১ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্র তীরবর্তী বৃহত্তম একটি বিমান ঘাঁটি ফিলিপাইনের হাতে তুলে দেয়।

 

১৯৯২ – টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কমবয়েসী ক্রিকেটার হিসেবে [১৯ বছর ২২ দিন] শচীন টেন্ডুলকার ১ হাজার রান করেন।

১৭০৩ – ইংল্যান্ডে এক প্রচন্ড ঘূর্ণিঝড়ে ৮ হাজার লোকের জীবনহানি ঘটে।

১৩৭৯ – ইংল্যান্ডে অক্সফোর্ড নিউ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৭ – রবীন্দ্রজীবনকার প্রশান্তকুমার পাল।

 

২০১৭ – রাহিজা খানম ঝুনু, বাংলাদেশী নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যশিক্ষক।

 

১৯২৩ – গণিতবিদ যাদব চন্দ্র চক্রবর্তী।

 

১৯৪৯ – সমাজতাত্ত্বিক বিনয় কুমার সরকার।

 

১৯৫০ – প্রখ্যাত শল্যচিকিৎসক ও সমাজসেবী দ্বিজেন্দ্রনাথ মৈত্র।

১৮৫৭ – সুইস ভাষাবিজ্ঞানী ফের্দিনা দে সোসুর।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আজ ভারতীয় সংবিধান দিবস – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

সংবিধান দিবস হল একটি দেশের সংবিধানকে সম্মাননা জানানোর জন্য সরকারি ছুটির দিন। সংবিধান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি লিখিত আবার কোন কোন দেশের ক্ষেত্রে অলিখিত দলিল।

সাধারণভাবে সংবিধান বলতে রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়মকানুনকে বােঝায়। যে-কোনাে প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে গেলে যেমন কতকগুলি সাধারণ নিয়মকানুনের প্রয়ােজন হয়, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তা দেখা যায়। রাষ্ট্রের পরিচালনার জন্য একান্ত আবশ্যক এই নিয়মকানুনগুলি হল সংবিধান। সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলি লিখিত বা অলিখিত, দুই-ই হতে পারে। এই কারণেও সংবিধানের শ্রেণিবিভাজন করা হয়ে থাকে।
দেশের শাসনব্যবস্থার মৌলিক নীতিগুলি যেক্ষেত্রে একটি দলিলের আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়, তাকে লিখিত সংবিধান বলে। সাধারণত একটি সংবিধান পরিষদ বা কনভেনশন এসব সাংবিধানিক মৌলিক নীতিগুলিকে লিপিবদ্ধ করার কাজ করে থাকে। বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত সংবিধান হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান। সুইটজারল্যান্ড, ভারত, রাশিয়া প্রভৃতি দেশের সংবিধান লিখিত সংবিধানের অন্যতম উদাহরণ।

 

 

ভারতে ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস পালিত হয়। দিনটি সম্বিধান দিবস নামেও পরিচিত। সংবিধান দিবস ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধান গৃহীত হওয়ার স্মরণে পালন করা হয়।

যে দিনটি ভারতের সংবিধান গৃহীত হয়েছিল সেই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস হিসাবে পালন করা হয়।সংবিধান গৃহীত হয় ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ সালে। এটি ২৬ জানুয়ারী ১৯৫০ সালে কার্যকর হয়েছিল। ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ তারিখে সংবিধান এবং গণপরিষদ মিলিত হয়েছিল|উচ্চস্বরে ও দীর্ঘায়িত সমর্থনে  রাষ্ট্রপতির সংবিধান পাসকে স্বাগত জানানো হয়েছিল।গণপরিষদের সভাপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ সংবিধান পাশ করার প্রস্তাব দেওয়ার আগে তিনি বক্তৃতা ও মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ বলেছিলেন মনে রাখবে যে এটি একটি অনন্য বিজয় যার রাস্তা আমরা জাতির পিতার দেখানো অনন্য পদ্ধতিতে অর্জন করেছি এবং আমরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছি তা রক্ষা করা এবং এটি সত্যিকার অর্থে মানুষের জন্য ফলপ্রসূ করে তোলা আমাদের উপর নির্ভর করে।
৯ ই নভেম্বর ২০১৫ সালে ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১২৫ তম জন্মবার্ষিকীর বছরব্যাপী উদযাপনের সময় ভারত সরকার ২৬ শে নভেম্বরকে সংবিধান দিবস হিসাবে ঘোষণা করে।সংবিধান পাশ হওয়ার পর প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী যোদ্ধা, অরুণা আসাফ আলী এবং প্রয়াত স্বাধীনতার বোন পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের “জন-গণ-মন আধিনায়ক জয় হে, ভারত ভাগ্য বিধাতা” জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে গণপরিষদের ঐতিহাসিক অধিবেশন শেষ হয়। আগে এই দিনটি আইন দিবস হিসেবে পালিত হত। সংবিধানের গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে এবং আম্বেদকরের চিন্তাভাবনা ও ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২৬ নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছিল।

 

 

২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার ঠিক এক বছর আগে ১৯৪৬ সালে লেখা হয় ভারতের সংবিধান। যা এককথায় ‘সুপ্রিম রুল বুক’, দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রযোজ্য। সংবিধান গণপরিষদ দ্বারা লিখিত, যার ড্রাফটিং কমিটির প্রধান ছিলেন বি.আর আম্বেদকর। ১৯৪৯ সালের আজকের দিনেই সংবিধান গ্রহন করেন গণপরিষদ। যদিও, আইনত তা বলবৎ হয়েছিল পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী। সেই বছর থেকেই ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবস বা জাতীয় আইন দিবস পালিত হয়।

সংবিধান দিবস প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর দিনটি পালিত হয়। দেশের নাগরিকের অধিকার এবং এই দেশের সংবিধানের সঙ্গে বড় আশ্চর্য ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে মাসের ২৬ নম্বর দিনটি! একটি আমাদের অতি সুপরিচিত জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ, যা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। এ ছাড়াও ভারত, ভারতীয় নাগরিক এবং তার সংবিধানকে ঘিরে বছরের  নভেম্বর মাসের ২৬ নম্বর দিনটি উদযাপন করে থাকে।দিবসটির লক্ষ্য সংবিধানের গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়া এবং ভারতীয় সংবিধানের জনক বি .আর. আম্বেদকরের চিন্তাভাবনা ও ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া।

 

 

বি: দ্র:- বিশ্বের সমস্ত সার্বভৌম দেশগুলির মধ্যে ভারতীয় সংবিধান দীর্ঘতম লিখিত সংবিধান। এটি ৪৪৮টি নিবন্ধ নিয়ে গঠিত এবং মোট ২৫ ভাগে বিভক্ত।  সংবিধানের মূল বইটি প্রেম বিহারী নারায়ণ রায়জাদা লিখেছিলেন। গোটা বইটি ইটালিক স্টাইলে লেখা হয়েছিল। সংবিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠাসজ্জা করেছিলেন শান্তিনিকেতনের শিল্পীরা। যাদের মধ্যে ছিলেন রামমনোহর সিনহা এবং নন্দলাল বসু।

 

 

তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ বিশ্ব কেক দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও ইতিহাস।

ভূমিকা–

 

আন্তর্জাতিক কেক দিবস প্রতি বছর ২৬শে নভেম্বর পালিত হয়।  কেক হল একটি বেকড খাবার যা সাধারণত ময়দা, চিনি এবং অন্যান্য উপাদান দিয়ে তৈরি।  তাদের প্রাচীনতম ফর্মগুলিতে, কেকগুলি ছিল রুটির পরিবর্তন, একটি আরও পরিশীলিত প্রকার, কিন্তু আজকাল, কেকগুলি পেস্ট্রি, পাই, ইত্যাদির মতো বিস্তৃত বেকড মিষ্টিকে কভার করে।  কেক প্রায়ই আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়, যেমন বিবাহ, বার্ষিকী, এবং জন্মদিন।  অসংখ্য কেকের রেসিপি রয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলি শতাব্দী পুরানো।

 

আন্তর্জাতিক কেক দিবসের ইতিহাস—-

 

আমাদের প্রিয় মিষ্টান্ন, কেক, একটি চমত্কার দীর্ঘ ইতিহাস আছে.  ‘কেক’ শব্দটি নিজেই ভাইকিং-এর উৎপত্তি, এবং প্রাচীন নর্স শব্দ ‘কাকা’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে। গ্রীকদেরও তাদের নিজস্ব কেক ছিল যা ডিম, দুধ, বাদাম এবং মধুর মতো অন্যান্য উপাদানের সাথে মিশ্রিত ময়দা ব্যবহার করে বেক করা হত।  তাদের কাছে ‘সাতুরা’ নামে একটি কেকও ছিল, যা সমতল ছিল এবং একটি ভারী সামঞ্জস্য ছিল।
রোমান শাসনের সময় “কেক” শব্দটি একটি ভিন্ন নাম ধারণ করেছিল এবং এটি ছিল ‘প্ল্যাসেন্টা’, একটি গ্রীক খাবার যা তাদের কেকের শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল।  একটি প্ল্যাসেন্টা ময়দার অনেক স্তর থেকে তৈরি করা হয়েছিল এবং সাধারণত একটি পেস্ট্রি বেস বা পেস্ট্রি কেসের ভিতরে বেক করা হত।  গ্রীকরা এটিকে খামির করার জন্য বিয়ার ব্যবহার করত এবং ছাগলের দুধ ব্যবহার করে তৈরি পনিরের মিশ্রণে অন্তর্ভুক্ত ছিল।  মৌলিক রুটির ময়দা কখনও কখনও মাখন, ডিম এবং মধু দিয়ে সমৃদ্ধ করা হত, একটি পরিশীলিত ধরণের রুটি হিসাবে যা একটি মিষ্টি এবং কেকের মতো বেকড ভাল উত্পাদন করে।  রান্নার এই পদ্ধতিটি একটি সাধারণ প্রাচীন রোমান অনুশীলন ছিল।
ইংল্যান্ডে প্রাথমিক কেকগুলিও নিয়মিত রুটি হিসাবে শুরু হয়েছিল, তাদের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট পার্থক্য ছিল তাদের আকৃতি, অর্থাৎ কেকগুলির আরও গোলাকার, সমতল আকৃতি।  আরেকটি পার্থক্য হল উৎপাদন পদ্ধতি, যেখানে কেকগুলি বেক করার সময় উল্টে দেওয়া হয়, রুটির বিপরীতে যা পুরো বেকিং প্রক্রিয়া জুড়ে সোজা রেখে দেওয়া হয়।

 

আন্তর্জাতিক কেক দিবসের কার্যক্রম–

 

(ক)  কেক বানাও–

 

আন্তর্জাতিক কেক দিবস উদযাপনের অন্যতম সেরা উপায় হল কিছু কেক বেক করা।  এখন অনেকগুলি অনলাইন রেসিপি রয়েছে যা সহজেই পাওয়া যায়, তাই আপনাকে রান্নার বই খুঁজতে বিরক্ত করতে হবে না।

 

(খ) কিছু কেক খান–

 

অবশ্যই, আন্তর্জাতিক কেক দিবসে আপনার কিছু কেক উপভোগ করা উচিত।  আপনি যদি না করেন তবে এটি একটি পরম লজ্জা হবে।

 

(গ) মজা অনলাইন শেয়ার করুন—

 

আপনি যে রেসিপিটি নিয়ে এসেছেন, আপনার কিছু কেক বানানোর ভিডিও বা আপনার মুখরোচক স্লাইস উপভোগ করার একটি ছবি হোক না কেন, এটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না।  #InternationalCakeDay হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।

 

কেন আমরা আন্তর্জাতিক কেক দিবস ভালোবাসি—

 

(ক) কেক সুস্বাদু–

 

কেক সঠিকভাবে তৈরি করলে খুব সুস্বাদু হয়।  এই আন্তর্জাতিক কেক দিবসে আপনি যতটা চান ততটা উপভোগ করুন।

 

(খ) কেক আক্ষরিক অর্থে সুখ প্রদান করে—

 

এটি একটি পৌরাণিক কাহিনী নয়।  কেক খেলে অক্সিটোসিন নিঃসৃত হয় যা সুখের জন্য দায়ী।

 

(গ) কেক স্বাস্থ্যকর–

 

সঠিকভাবে খাওয়া হলে কেক আসলে বেশ স্বাস্থ্যকর।  কারণ এতে উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে।

 

।। তথ্য: সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

শ্বেত বিপ্লবের স্থপতি ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের ও জাতীয় দুগ্ধ দিবস – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

দুধ অত্যন্ত পুষ্টিকর।  ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিতে ভরপুর দুধ শরীরের পুষ্টিতে অবদান রাখে।  প্রতিদিন দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে।  হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে এবং জ্ঞানীয় পতনের ঝুঁকি কমায়।  এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করতেও সাহায্য করে।  দুধ খাওয়ার গুরুত্ব এবং এটি কীভাবে আমাদের উপকার করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর জাতীয় দুধ দিবস পালিত হয়।

 

জাতীয় দুধ দিবস হল ভারতে উদযাপিত একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান।  দুধকে ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  ক্যালসিয়াম ছাড়াও, দুধ প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস।  এটি হাড়, পেশী এবং শরীরের সামগ্রিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  এটি শক্তি প্রদান করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  ভারত একটি বিশাল দুগ্ধ শিল্প চালায় যা ভারতের জিডিপির প্রায় ৫.৩% অবদান রাখে।  দুগ্ধ শিল্পে ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২৬ নভেম্বর জাতীয় দুধ দিবস পালিত হয়।

 

ভারতে জাতীয় দুধ দিবস কবে পালিত হয়?

 

এটি ২৬ নভেম্বর পালিত হয়। জাতীয় দুধ দিবস হল একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান যা ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মবার্ষিকী স্মরণে উদযাপন করা হয়।  তাকে সম্মান জানানোর জন্য এটি উদযাপন করা হয় কারণ তিনি শ্বেত বিপ্লব এনেছিলেন এবং ভারতের দুগ্ধ শিল্পকে একটি স্বনির্ভর শিল্পে পরিণত করেছিলেন।  তার অবদানের কারণে, তাকে “শ্বেত বিপ্লবের জনক” হিসাবেও উল্লেখ করা হয়।
এই দিনটি ন্যাশনাল ডেইরি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (NDDB) এবং ইন্ডিয়ান ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন (IDA) দ্বারা শুরু হয়েছিল।  ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম জাতীয় দুধ দিবস পালিত হয়।

 

ডাঃ ভার্গিস কুরিয়ান কে ছিলেন?

 

ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েন একজন ভারতীয় ছিলেন যার জন্ম ২৬ নভেম্বর ১৯২১ সালে। তিনি একটি সিরিয়ান খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।  আমরা তাকে শ্বেত বিপ্লবের জনক হিসেবে গণ্য করি কারণ তিনি দুগ্ধ শিল্পের দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন কারণ তিনি সফলভাবে বিশ্বের বিস্তৃত প্রকল্প অর্থাৎ অপারেশন ফ্লাডের নেতৃত্ব দিয়েছেন।  একটি বিখ্যাত দুগ্ধ ব্র্যান্ড Amul তার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৯৯৮ সালে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী হয়ে ওঠে।
ভার্গিস কুরিয়েন পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণের মতো অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।  তিনি বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার এবং কৃষি রত্ন দিয়েও ভূষিত হন।

 

জাতীয় দুধ দিবস থিম ২০২৩–

 

প্রতিটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস একটি নির্দিষ্ট থিমকে ঘিরে পালিত হয়।  কিন্তু জাতীয় দুগ্ধ দিবসের কোনো প্রতিপাদ্য নেই।  এটি সাধারণভাবে দুধের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উদযাপিত হয়, এবং দুগ্ধ শিল্পের পরিবর্তন এবং লোকেরা ভারতে দুধ বিপ্লবের জনককে শ্রদ্ধা জানায়।
যদিও বিশ্ব দুধ দিবসের একটি থিম রয়েছে।  এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুসারে, বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৩ এর থিম হল ‘দুগ্ধ কীভাবে তার পরিবেশগত পদচিহ্ন কমিয়ে দিচ্ছে, সেইসঙ্গে পুষ্টিকর খাবার এবং জীবিকাও সরবরাহ করছে’।

 

জাতীয় দুধ দিবস: ইতিহাস ও তাৎপর্য—

 

জাতীয় দুগ্ধ দিবস ভারতের শ্বেত বিপ্লবের স্থপতি ডক্টর ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মবার্ষিকীকে স্মরণ করে।  ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে আসার পর দুগ্ধ শিল্পে তার যাত্রা শুরু করেন।  কয়রা জেলা দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় লিমিটেড প্রতিষ্ঠায় তার অবদান প্রশংসিত।  কোম্পানিটি পরবর্তীকালে দেশের সবচেয়ে স্বীকৃত ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে বিকশিত হয়: আমুল।  ডক্টর কুরিয়েনও শ্বেত বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যা সম্পূর্ণরূপে সামরিক ল্যান্ডস্কেপ পরিবর্তন করেছিল।
এটি তিনটি পর্যায়ে অপারেশন ফ্লাডের মাধ্যমে করা হয়েছিল, যা একটি দেশব্যাপী দুগ্ধ নেটওয়ার্ক তৈরি, দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং সমস্ত কৃষকদের জন্য ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।  ২০১৪ সালে, ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (NDDB), ইন্ডিয়ান ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন (IDA) এবং ২২টি রাজ্য-স্তরের দুগ্ধ ফেডারেশন ডাঃ ভার্গিস কুরিয়েনের জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় দুগ্ধ দিবস উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  তাই প্রতি বছর ২৬ নভেম্বর বিশেষ দিনটি পালিত হয়।

দুধ বিপ্লবের কিছু সুবিধা নীচে তালিকাভুক্ত করা হল:

দুধ বিপ্লবের সুবিধা?

 

বিপ্লব দেশে দুধ উৎপাদন বাড়াতে ভারতকে সমর্থন করেছিল।

এটি দুগ্ধ শিল্পে কাজ করার মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ খাতকে আরও বেশি আয় করতে সহায়তা করেছে।

উচ্চ উৎপাদনের কারণে, অপারেশন খরচ হ্রাস পেয়েছে যা পণ্যগুলিকে ভোক্তাদের জন্য যুক্তিসঙ্গত করেছে।

২০১৬-১৭ সালে, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদনকারী হয়ে ওঠে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
কবিতা

কবিতাস্নাত হই : লাজু ঢৌধুরী।

আমি আর আমার বন্ধু…
আমরা যৌথ রচনা করেছি
গত কাল রাতে…….

আজ আমার জানালায় উঁকি দিয়েছে চাঁদ…..
মনে হয় তোমাকে খুঁজছে?

চাঁদটা খুব বোকা. …
তোমার হৃদয় না খুঁজে,ঘরে খুঁজছে….
হৃদয়ের দরজা তো খোলাই ছিল. .
সেই খানে তুমি ছিলে না।

ছিলাম আমি ক্ষণিকের জন্য..মেঘে ঢাকা পড়েছিল চাঁদ….
তাই পাইনি দেখতে।
মেঘ কন্যার প্রেমে পড়োনি তো?
আমি তো মেঘনাদ নই……..
মেঘের দেশে আমার অচেনা……যদি ও তোমার হৃদয়ের দেশের প্রতিটি অলি গলি আমি চিনি ..

আমি তো তোমার হাত ধরে নিয়ে এসেছি আমার হৃদয়ের শহরে…..
জানি তোমার হাতের উষ্ণতা আমার হাতে লেগে আছে. …….
তাই তো যেতে পারিনি এখনও…….

আমি অন্ধকারে ও তোমার ছায়া দেখতে পাই….
তুমি চলে গেলে ও আমি তোমার বিন্দু বিন্দু স্পর্শ নিয়ে আমার ভাবনার ঘোড়ে কেটে যাবে……

দেখবে সশরীরে আমি দাঁড়িয়ে আছি….
তোমারই সামনে …
ভাবনায় নয়. .বাস্তবে ……….
তোমার নিঃশ্বাসের উষ্ণতা লাগছে আমার গায়ে…

সে আমি জানি….অনেক আগেই আমার কবিতার সাদা পৃষ্ঠায় জায়গা করে নিয়েছ……

আর তোমার মনের খাতায় ?
সেখানকার পৃষ্ঠা গুলো আমি কবের থেকে ভরবার চেষ্টা করছি. …..
চলছি. ..করেই চলছি. …..
যাই হোক,সে গুলো পূর্ণ হয়ে আজ কবিতা হয়ে
ঝরে পড়ছে .. ……
চল,এই চাঁদের জ্যোৎশ্না রাতে আমরা ভালোবাসার কবিতা যাপন করি।

আমার হাত টা শক্ত করে ধরো……
চল কবিতায় ডুবে যাই…..
চল ধরেছি কবিতাস্নাত হই আজ…..
তবে তাই হোক ………..

Share This
Categories
কবিতা

মাটি আমাদের মা : মৌসুমী ডিংগাল।

আমরা কৃষক ফসল ফলাই
রোদ বৃষ্টিতে ভিজে
সমাজের মুখে ভাত তুলে দিই
অভুক্ত থেকে নিজে।

মাটিকে আমরা মা বলে জানি
নাড়ির টানে বাঁধা
ভালোবেসে তাই গায়ে হাতে পায়ে
মুখেতে মাখি কাদা।

সকাল থেকে সারাটা দিনই
এ মাঠে ও মাঠে ঘুরি
হরেক রকম চারা লাগাই
ওড়ে স্বপ্নের ঘুড়ি।

রাত্রিরে শুধু ঘরে ফিরে আসা
মন পড়ে থাকে মাঠে
মাঠেতেই আমাদের শৈশব যায়
মাঠেতেই যৌবন কাটে।

আমাদের পুরো জীবন কাহিনী
মাটিতে আছে লেখা
কত ভাঙা গড়ার এ সভ্যতার
মাটিতে পেয়েছি দেখা।

মাটির বুকেতে মাথা রেখে
দেখেছি মায়ের মুখ
আমরা মাটিরই ছেলে – মেয়ে
গর্ব করে সুখ।

Share This