Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

আজ নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান ঘটানোর আর্ন্তজাতিক দিবস – জানব আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় তাদের অবস্থান আজ কোথায়!

আজ ২৫ নভেম্বর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে ফর দ্য এলিমিনেশন অব ভায়োলেন্স এগেইনস্ট উইমেন’ বা আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস। দিন দিন বাড়ছে নারীর প্রতি নির্যাতনের মাত্রা। পরিবার, সমাজ কোথাও রেহাই পাচ্ছেন না তারা। নারী নির্যাতন বলতে নারীদের ওপর দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক যে কোনো ধরনের নিপীড়ন ও নির্যাতনকে বোঝায়।
নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস হলো জাতিসংঘ কর্তৃক প্রবর্তিত একটি বিশেষ দিবস যার লক্ষ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সংগত আন্দোলন করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল—এই তিন বোনকে হত্যা করা হলে তাদের স্মরণে ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

নারী পুরুষের সম-অধিকারের দাবিতে গলা ফাটানো চিৎকার আজকের নয়। বহুকাল আগে থেকেই শুরু হয়েছে এই জাগরণ।বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০০ জনে ৭ জন নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ৭ শতাংশ নারী সরাসরি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। উন্নত-অনুন্নত সব দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র আরও অমানবিক।
এই দিবস পালনের পেছনে রয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল নামের তিন বোনকে হত্যা করা হলে তাদের স্মরণে ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।
এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়।
মানবসভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নারীর অবদানকে ছোট করে দেখার কোনো অবকাশ নেই।   লাখ লাখ বছর আগে গুহাবাসী নারী-পুরুষ যৌথ প্রচেষ্টায় যে জীবন শুরু করেছিল, তা ক্রমেই বিকশিত হয়ে আজকের সভ্যতার সৃষ্টি। নারী-পুরুষের স্বার্থ এক ও অভিন্ন।
তাই নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে না দেখে তার সঠিক মর্যাদা তাকে দিতে হবে। সকল অভিশাপ থেকে নারীকে মুক্ত করতে হবে। নারীরা প্রতিনিয়ত কোনো না কোনোভাবে নির্যাতনের শিকার হন। নির্যাতিত নারীদের অধিকাংশই নীরবে নির্যাতন সহ্য করেন। এই নির্যাতন নারীর অগ্রগতির পথে একটি মারাত্মক হুমকি বা বাধা।
নারীর ওপর নির্যাতনের প্রভাব সমাজের সব ক্ষেত্রে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই নারীর প্রতি সব ধরনের নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৫ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৫ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান ঘটানোর আর্ন্তজাতিক দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৪ – বা জীন, চীনা লেখক।

১৯০৮ – নাট্যকার নূরুল মোমেন।

১৯১৫ – অগাস্টো পিনোশের, চিলির জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৩০তম প্রেসিডেন্ট।

১৯১৫ – রন হামেন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯১৯ – ধ্বনি বিজ্ঞানী ও ভাষাতাত্ত্বিক মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের জন্ম।

 

১৯২০ – রিকার্ডো মন্টাল্বান, মেক্সিকান বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা, গায়ক ও পরিচালক।

১৯২৩ – মাউন কইভিস্টো, ফিনিশ মহাজন, রাজনীতিবিদ ও ৯ম প্রেসিডেন্ট।

 

১৯২৫ – নারায়ণ দেবনাথ, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী।

 

১৯৩১ – মিন্টু দাশগুপ্ত বাংলা প্যারোডি গানের রচনাকার ও গায়ক।

 

১৯৩৩ – শক্তি চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি কবি।

 

১৯৩৪ – ভৈরব গঙ্গোপাধ্যায়, বিশিষ্ট বাঙালি যাত্রা পালাকার।

 

১৯৪৬ – ইউসুফ মুতালা, পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও দায়ী।

 

১৯৫২ – ইমরান খান, পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ।

১৯৬২ – হিরনবু সাকাগুচি, জাপানি খেলা ডিজাইনার ও মিস্টওয়াল্কারের প্রতিষ্ঠিাতা।

 

১৯৭৭ – গুইলেরমো কানাস, আর্জেন্টিনার টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮১ -জাবি আলোনসো, স্পেনীয় ফুটবলার।

১৯৮৪ – গাস্পারড উলিয়েল, ফরাসি মডেল ও অভিনেতা।

 

১৯৮৬ – ক্রেগ গার্ডনের, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।।

১৮৪১ – আর্নেস্ট সচ্রডের, জার্মান গণিতবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৮৯৫ – লুডভিক সভোবডা, চেক জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৮ম প্রেসিডেন্ট।

 

১৮৯৮- দেবকী কুমার বসু, বাংলা চলচ্চিত্রের শীর্ষ পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা।

১৫৬২ – লাফান ডি ভেগা, স্পেনীয় নাট্যকার ও কবি।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১ – সুইস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হলে ২৪ জন নিহত হয়।

২০০৪ – রাতে তাজমহল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

২০০৭ – উপদেষ্টা পরিষদ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য প্রস্তাবিত আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস অধ্যাদেশ ২০০৭ অনুমোদন করে।

১৯১৮ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পোল্যান্ড দখলকারী দেশগুলো অর্থাৎ রাশিয়া, জার্মানি ও অষ্ট্রিয়া পরাজিত হওয়ার পর পোল্যান্ড আবারও স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৩৬ – জার্মানি ও জাপান কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল বিরোধী চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় উত্তর ভিয়েতনাম এবং ইথিওপিয়া।

১৯৭৫ – দক্ষিণ আমেরিকার দেশ সুরিনাম হল্যান্ডের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৯১ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্রতীরবর্তী বৃহত্তর একটি বিমান ঘাঁটি ফিলিপিন্সের হাতে তুলে দেয়।

১৯৯১ – খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়-এর একাডেমিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৯২ – চেক পার্লামেন্ট চেকযুক্তরাষ্ট্র বিভাজন বিল অনুমোদন করা হয়।

১৯৯৬ – পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।

১৮১৩ – জেনারেল হেস্টিংসের উপস্থিতিতে কলকাতার বিখ্যাত চৌরঙ্গী থিয়েটারের উদ্বোধন হয়।

১৮৩৮ – ভারতের করিঙ্গ (বন্দর শহর) শহরে সাইক্লোন আঘাত করে। ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে পুরো শহর তছনছ হয়ে যায়। প্রায় তিন লাখ লোক নিহত হয়।

১৮৩৯ – ভারতের করিঙ্গ (বন্দর শহর) শহরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করে। ঝড়ো হাওয়া ও জলোচ্ছ্বাসের তোড়ে পুরো শহর তছনছ হয়ে যায়। প্রায় তিন লাখ লোক নিহত হয়।

১৮৭৫ – ব্রিটেন মিশরে খতিবের কাছ থেকে সুয়েজ খালের ৪৪ শতাংশ মালিকানা কিনে নেয়।

১৮৮০ – ফরাসী বিজ্ঞানী লাভরান ম্যালেরিয়া রোগের কারণ আবিষ্কার করেন।

১৭৫৯ – একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত করে বৈরুত ও দামেস্কে । তাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

১৫৩৮ – পর্তুগিজ নৌবাহিনী ভারত থেকে নৌ-সেনাদের সরিয়ে নিয়ে যায়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৩ – উইলিয়াম অ্যান্থনি ফোকেস, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

 

২০১৬ – ফিদেল কাস্ত্রো , কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী।

 

২০২০ – (ক) ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা।

(খ) বাঙালি প্রাবন্ধিক, নাট্যগবেষক, শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবনের অধ্যক্ষ স্বপন মজুমদার।

১৯১১ – ফরাসি মার্কসবাদী নেতা পল লাফাগ।

১৯২৫ – যদুনাথ পাল,খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী।

১৯৪১ – বিনয় কুমার, সমাজতাত্ত্বিক।

১৯৫০ – ইয়োহানেস ভিলহেল্ম ইয়েনসেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডেনিশ লেখক ও নাট্যকার।

১৯৫৬ – অলিয়েক্সান্দ্র পেত্রভিচ দোভজেন্‌কো, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত রুশ পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৫৯ – জেরার্ড ফিলিপ, ফরাসি অভিনেতা।

১৯৭০ – ইয়ুকিও মিশিমা, জাপানি লেখক, অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৭৩ – লরেন্স হার্ভি, লিথুয়ানীয় ব্রিটিশ অভিনেতা।

১৯৭৪ – উ থান্ট, জাতিসংঘের তৃতীয় মহাসচিব।

 

১৯৮১ – রাইচাঁদ বড়াল,প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সুরশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯৯০ – ভারতের ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠক মহম্মদ ইলিয়াস

১৯৯৭ – হাস্টিংস বান্ডা, মালাউইর চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।

 

১৮৫৭ – সিপাহী বিদ্রোহ দমনকারী ব্রিটিশ সেনা অফিসার স্যার হেনরি হ্যাভলক।

১৮৮৫ – টমাস এ. হেন্ড্রিক্স, মার্কিন আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ২১তম উপ-রাষ্ট্রপতি।

১৫৬০ – আন্দ্রেয়া ডরিয়া, ইতালীয় এডমিরাল।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

নারায়ন দেবনাথ, একমাত্র ভারতীয় কার্টুনিস্ট যিনি কার্টুনিস্ট হিসেবে ডি.লিট লাভ করেন।

নারায়ন দেবনাথ, একমাত্র ভারতীয় কার্টুনিস্ট যিনি কার্টুনিস্ট হিসেবে ডি.লিট লাভ করেন।

জন্ম ও ছেলেবেলা—

 

নারায়ণ দেবনাথ ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কমিকস শিল্পী।  নারায়ণ দেবনাথের জন্ম (২৫ নভেম্বর ১৯২৫ ) ও বেড়ে ওঠা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া জেলার শিবপুরে। পারিবারিক আদি বাসস্থান বাংলাদেশের বিক্রমপুর অঞ্চলে হলেও তাঁর জন্মের আগেই পরিবার শিবপুরে এসে স্থায়ী ভাবে বসবাস করা শুরু করে। অল্প বয়স থেকেই শিল্পের প্রতি তার ঝোঁক ছিল। পারিবারিক পেশা স্বর্ণকার হওয়ায় অলঙ্কার প্রভৃতির নক্সা করার সুযোগ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি আর্ট কলেজে পাঁচ বছরের ডিগ্রীর জন্য লেখাপড়া শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত তা চালিয়ে যাননি, শেষ বর্ষে এসে পড়া ছেড়ে দেন।

 

 

কর্মজীবন—

 

প্রথমদিকে তাঁর চলার পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। মনের মতো কাজ তো দূর অস্ত, ‘বাংলা বাজারে’ আঁকাআঁকি করে যে অন্তত খেয়ে-পরে টিকে থাকবেন, তেমন কোনো রাস্তাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না। যতদিন মনের মতো কাজ পেয়েছেন, ততদিন প্রসাধন সামগ্রীর লোগো বানাতেন। আর বানাতেন সিনেমা কোম্পানির বিভিন্ন লিফলেট। টুকটাক বইয়ের অলঙ্করণের কাজও করতেন। এরপরে কিছু বছর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সংস্থার জন্য কাজ করেন।

 

 

আজও হৃদয়ে–

সৃষ্টিতে তিনি বেঁচে আছেন আর থাকবেন চিরকাল।নারায়ণ দেবনাথ  হাঁদা ভোঁদা, বাঁটুল দি গ্রেট, নন্টে ফন্টে, বাহাদুর বেড়াল, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, কৌশিক রায় প্রভৃতি বিখ্যাত কার্টুন চরিত্রের স্রষ্টা। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর লেখা ও আঁকা কমিকস ছোট-বড় বাঙালিকে মাতিয়ে রেখেছে।

 

 

কমিকস জগতে প্রবেশ–

বাংলা কমিকসের জগতে নারায়ন দেবনাথের আগমন ঘটে দেব সাহিত্য কুটিরের সম্পাদক মন্ডলীর উৎসাহে। তার প্রথম কমিকস হাঁদা ভোঁদা নামটিও তাদের প্রস্তাবিত। সেসময় বাংলা কমিকস বলতে ছিল একমাত্র প্রফুল্লচন্দ্র লাহিড়ি বা কাফি খাঁ’র আঁকা শেয়াল পণ্ডিত, যা তখন যুগান্তরে প্রকাশিত হত। হাঁদা ভোঁদা প্রকাশের সাথে সাথেই পাঠকদের সমাদর পায় এবং শুকতারা থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে। শুরুতে দেবনাথ নিজেই হাঁদা ভোঁদায় অঙ্কন ও কালি বসানোর কাজ করতেন। পরবর্তীতে তা গ্রেস্কেলে প্রকাশ করার ব্যবস্থা করা হয়। হাঁদাভোদা ৫৩ সপ্তাহ ধরে শুকতারা পত্রিকায় চলেছিল।

 

 

রঙীন কমিক স্ট্রিপ—

 

নারায়ণ দেবনাথের প্রথম রঙীন কমিক স্ট্রিপ ছিল বাঁটুল দি গ্রেট। ১৯৬৫ সালে বাঁটুল দি গ্রেটের সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে বাঁটুল প্রথমবার ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়।
পরবর্তীকালে কিশোর ভারতী পত্রিকায় দীনেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদক হিসেবে নারায়নবাবুকে গোয়েন্দা-গল্প (স্ট্রিপের) প্রস্তাব দেন যা পরে পরিণত হয় ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইন্দ্রজিৎ রায়’ চরিত্রে। ১৯৬৯ সালে নন্টে-ফন্টের সৃষ্টি করেন নারায়ণ দেবনাথ। কিশোর ভারতীতে তাঁর আঁকা প্রথম ধারাবাহিক কমিক স্ট্রিপ হলো ‘ম্যাজিশিয়ান পটলচাঁদ’, যার একটি সংখ্যা বেরোয়।

 

 

মুখ্য/ধারাবাহিক কমিক চরিত্র—

 

তাঁর সৃষ্ট বিভিন্ন কার্টুন চরিত্র গুলো অমর হয়ে আছে শিশু থেকে শুরু করে ছোট বড় সকলের হৃদয়ে। বাঁটুল দি গ্রেট (প্রথম প্রকাশ ১৯৬৫), হাঁদা ভোঁদা (প্রথম প্রকাশ ১৯৬২), নন্টে ফন্টে (প্রথম প্রকাশ ১৯৬৯), বাহাদুর বেড়াল (প্রথম প্রকাশ ১৯৮২), ব্ল্যাক ডায়মন্ড ইন্দ্রজিৎ রায়, ম্যাজিশিয়ান পটলচাঁদ, ডানপিটে খাঁদু আর তার কেমিক্যাল দাদু, গোয়েন্দা কৌশিক রায়, পেটুক মাস্টার বটুকলাল, শুঁটকি আর মুটকী, হাসির অ্যাটম বোম প্রভৃতি এখনো সকলের মুখে মুখে।

 

সম্মাননা—-

 

বিভিন্ন সম্মানে তিনি সম্মানিত হয়েছেন।প্রেসিডেন্ট বিশেষ স্বীকৃতি পুরস্কার (২০০৭), সাহিত্য অকাদেমী (২০১৩) , বঙ্গবিভূষণ (২০১৩), ভারত সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোনয়নের দ্বারা তাঁকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়(২০২১)।

 

মৃত্যু—

 

তিনি ১৮ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে প্রয়াত পিয়াস করিমের । মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।

 

।।ছবি ও তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা ১৯৬০ সালের ৩০শে অক্টোবর তারিখে আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আইরেসের লানুসের পলিপলিনিকো (পলিক্লিনিক) আবিতা হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবার নাম দিয়েগো মারাদোনা “চিতরো” (মৃত্যু: ২০১৫) এবং তার মায়ের নাম দালমা সালভাদোর ফ্রাঙ্কো “দোনিয়া তোতা” (১৯৩০–২০১১)।

 

দিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা (৩০ অক্টোবর ১৯৬০ – ২৫ নভেম্বর ২০২০; দিয়েগো ম্যারাডোনা নামে বেশি পরিচিত) ছিলেন একজন আর্জেন্টিনার পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার।  তার ভক্তদের কাছে এল পিবে দে ওরো (দ্য গোল্ডেন বয়) ডাকনাম, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স এবং নাপোলির জন্য সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন।  তিনি প্রাথমিকভাবে আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন কিন্তু মাঝে মাঝে দ্বিতীয় আক্রমণাত্মক খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।  অনেক ফুটবল খেলোয়াড় এবং বিশেষজ্ঞ তাকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলে মনে করেন।  ম্যারাডোনাকে ক্রীড়া জগতের অন্যতম বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং মিডিয়ার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়।  ১৯৯১ সালে, ইতালিতে একটি ড্রাগ পরীক্ষায় কোকেনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে 15 মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।  ইফিড্রিনের জন্য ইতিবাচক পরীক্ষায় তাকে ১৯৯৪ ফিফা বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।  তিনি ২০০৫ সালে তার কোকেন আসক্তিকে লাথি দিয়েছিলেন। তার কঠোর শৈলীর কারণে মাঝে মাঝে তার এবং সাংবাদিক-ক্রীড়া বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়।

 

১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার ফুটবল ক্লাব এস্ট্রেয়া রোজার যুব পর্যায়ে খেলার মাধ্যমে ফুটবলের জগতে প্রবেশ করেন এবং পরে লস সেবোইটাস এবং আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের যুব দলের হয়ে ফুটবল খেলায় বিকশিত হন।  ১৯৭৬-৭৭ মৌসুমে, তিনি আর্জেন্টিনা ফুটবল ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের প্রথম দলে খেলে তার সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন;  আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে ৫ সিজনে ১৬৭টি খেলার পর, তিনি প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ইউরোতে আরেকটি আর্জেন্টিনীয় ক্লাব বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন।  বোকা জুনিয়র্সে মাত্র এক সিজনে একটি লিগ শিরোপা জেতার পর, প্রায় €5 মিলিয়নের বিনিময়ে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগদান করেন (তখন একটি বিশ্ব রেকর্ড);  যেখানে তিনি সিজার লুইস মেনোত্তির অধীনে তিনটি শিরোপা জিতেছেন।  বার্সেলোনার হয়ে ২ মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় ৪৫ ম্যাচে ৩০ গোল করার পর, প্রায় €7 মিলিয়নের বিনিময়ে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিতে যোগ দেন;  এই ট্রান্সফারের মাধ্যমে আবারও বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ম্যারাডোনা।  ম্যারাডোনা ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় যিনি দুবার বদলির বিশ্ব রেকর্ড ভাঙলেন।  পরে, তিনি সেভিলা এবং নেয়েলস ওল্ড বয়েজের হয়ে খেলেন।  চূড়ান্ত ১৯৯৫-৯৬ সিজনে, তিনি নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবার বোকা জুনিয়র্সে যোগ দেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম কাটানোর পর অবসর নেন।

 

 

 

১৯৭৭ সালে, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার যুব পর্যায়ে আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, যেখানে তিনি ১৫ ম্যাচে ৮ গোল করেন।  একই বছর, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার হয়ে তার আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়, যেখানে তিনি মোট ৯১ ম্যাচে ৩৪ গোল করেন।  তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ৪ টি ফিফা বিশ্বকাপ (১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০ এবং ১৯৯৪) এবং ৩ টি কোপা আমেরিকায় (১৯৭৯, ১৯৮৭ এবং ১৯৮৯) অংশগ্রহণ করেছিলেন।  ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ জয়ে আর্জেন্টিনার হয়ে ম্যারাডোনার দুটি গোলই ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয়।  প্রথম গোলটি ছিল একটি হ্যান্ডবল, যা “হ্যান্ড অফ গড” নামে পরিচিত এবং দ্বিতীয় ম্যারাডোনা প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে পাঁচজন ইংলিশ ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করেছিলেন।  ২০০২ সালে, এটি ফিফা ভক্তদের দ্বারা শতাব্দীর সেরা গোল হিসাবে ভোট দেওয়া হয়েছিল।

 

 

১৯৯৪ সালে, ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার ফুটবল ক্লাব টেক্সটিল মান্ডিউ-এর ম্যানেজার হিসেবে তার ম্যানেজারিয়াল আত্মপ্রকাশ করেন।  তিনি টেক্সটাইল মান্ডিউতে ম্যানেজার হিসেবে মাত্র ১ বছর পর ম্যানেজার হিসেবে রেসিং ক্লাবে যোগ দেন।  প্রায় ১৩ বছর ফুটবল থেকে দূরে থাকার পর, ২০০৮ সালে, তিনি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব নেন।  তার অধীনে, আর্জেন্টিনা ২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল।  তিনি প্রায় ২ বছর আর্জেন্টিনার ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছেন।  পরবর্তীতে তিনি আল-ওয়াসল, দেপোর্তিভো রিয়েস্ট্রা, ফুজাইরাহ এবং ডোরাডোস সিনালোয়ার ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  ২০১৮ সালের মে মাসে, ম্যারাডোনা বেলারুশিয়ান ক্লাব দিনামো ব্রেস্টের নতুন সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত হন, কিন্তু তিনি জুলাই মাসে এই পদের সমস্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।  গত সেপ্টেম্বর ২০১৯, তিনি লা প্লাটাতে ম্যানেজার হিসাবে যোগদান করেছিলেন, যেখানে তিনি তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই অবস্থানে ছিলেন।

 

ব্যক্তিগতভাবে, ম্যারাডোনা ১৯৮৬ সালে গোল্ডেন বল এবং ১৯৯০ সালে ব্রোঞ্জ বল সহ বেশ কয়েকটি পুরষ্কার জিতেছেন। এছাড়াও তিনি ২০০০ সালের ডিসেম্বরে ফিফা প্লেয়ার অফ দ্য সেঞ্চুরি পুরস্কার জিতেছিলেন (পেলের সাথে যৌথভাবে)। দলগতভাবে, ঘরোয়া ফুটবলে ম্যারাডোনা মোট জিতেছিলেন।  বোকা জুনিয়র্সের জন্য ১ টি, বার্সেলোনার জন্য ৩ টি এবং নাপোলির জন্য 6টি সহ ৯ টি শিরোপা।  অন্যদিকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতেছেন মোট ৩ টি শিরোপা;  ১৯৮৬ ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা তাদের মধ্যে একটি ছিল।

 

২০২০ সালের ২৫শে নভেম্বর তারিখে ৬০ বছর বয়সে মারাদোনা আর্জেন্টিনার বুয়েনোস আয়ার্স প্রদেশের তিগ্রেতে তার নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্বাধীনতা আন্দোলনের অক্লান্ত কর্মী, মেদিনীপুরের মুকুটহীন সম্রাট, বীরেন্দ্রনাথ শাসমল : প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের

রতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে বহু মনুষ এই অন্দলনে সামিল হয়েছিলেন। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বীরেন্দ্রনাথ শাসমল প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল একজন আইনজীবী এবং রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। দেশের প্রতি ভালবাসা ও কাজ এবং স্বদেশী আন্দোলনে তার প্রচেষ্টার জন্য তিনি মেদিনীপুরের “দ্য আনক্রাউনড কিং” এবং “দেশপ্রাণ” নামে পরিচিত ছিলেন।

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার কন্টাইতে জন্মগ্রহণ করেন ২৬ অক্টোবর ১৮৮১। তাঁর পিতা ছিলেন একজন মহিষ্য জমিদার বিশ্বম্ভর শাসমল এবং মাতা আনন্দময়ী দেবী। তিনি ১৯০০ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং কলকাতার মেট্রোপলিটন কলেজে ভর্তি হন এবং তারপরে সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কলকাতার রিপন কলেজে স্থানান্তরিত হন। কলেজ শেষ করার পর তিনি মিডল টেম্পলে আইন অধ্যয়নের জন্য ইংল্যান্ডে যান; এই সময়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপান সফর করেন। ব্যারিস্টার হওয়ার পর তিনি ভারতে ফিরে আসেন।

রাজনৈতিক কারণে, ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক মেদিনীপুর জেলাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রস্তাব করা হয় এবং বীরেন শাসমল এর প্রতিবাদ শুরু করেন। তিনি এলাকা সফর করেন এবং প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করেন। দেশভাগের প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়। তিনি ১৯০৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন অনুশীলন শুরু করেন। ১৯১৩ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ছেড়ে, বীরেন্দ্রনাথ কয়েক বছর মেদিনীপুর জেলা আদালতে প্র্যাকটিস করেন কিন্তু পরে তিনি আবার হাইকোর্টে যোগ দেন। হাইকোর্টে তিনি চট্টগ্রাম সশস্ত্র ডাকাতি মামলার আসামিদের পক্ষে ছিলেন। রাজা পঞ্চম জর্জের ব্রিটিশ ভারত সফরের সময় সাধারণ ধর্মঘট ডাকার জন্য ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক তাকে নয় মাসের জন্য জেলে পাঠানো হয়েছিল। প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার সময় তিনি স্রোটার ত্রিনা নামে তাঁর আত্মজীবনী লেখেন। তিনি রাজনীতিকে সমাজকল্যাণের সমার্থক বলে মনে করেন এবং ১৯১৩, ১৯২০, ১৯২৬ এবং ১৯৩৩ সালের মেদিনীপুর বন্যার সময় ত্রাণকর্মী হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন।

অসহযোগ আন্দোলন –

শাসমল ১৯২০ সালের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং ১৯২১ সালের অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব সমর্থন করেছিলেন। ততক্ষণে শাসমল চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ্য পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। নাগপুর অধিবেশন থেকে ফিরে আসার পর, তিনি তার লাভজনক পেশা ত্যাগ করেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সেক্রেটারি করা হয়। এই সময়কালে তিনি মেদিনীপুরে স্থানীয় ইউনিয়ন বিরোধী বোর্ড আন্দোলনেও সফলভাবে নেতৃত্ব দেন।

নো-ট্যাক্স আন্দোলন –

বেঙ্গল ভিলেজ সেলফ গভর্নমেন্ট অ্যাক্ট ১৯১৯ সালে পাশ হয়। সেই আইন অনুসারে জেলায় ২২৭টি ইউনিয়ন বোর্ড গঠিত হয়েছিল। বীরেন্দ্রনাথ তার জনগণের স্বার্থ গ্রহণ করেন এবং বয়কট আন্দোলনে নিমজ্জিত হন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে যতক্ষণ না ইউনিয়ন বোর্ডগুলি বাতিল না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি খালি পায়ে হাঁটবেন। ১৯২১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, ২২৬টি ইউনিয়ন বোর্ড বিলুপ্ত করা হয় এবং পরের বছর শেষটি বিলুপ্ত করা হয়। জনসমাবেশে জনগণ তাদের নেতার পায়ে জুতা পরিয়ে দেয়।

লাবন সত্যাগ্রহ (১৯৩০)-

বীরেন্দ্রনাথের আন্দোলনেও যুক্ত ছিলেন। জনগণকে সংগঠিত করতে তার অনুসারীরা সক্রিয় অংশ নেন। সত্যাগ্রহীরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে লবণ আইন ভাঙতে নরঘাট ও পিছবনিতে আসেন। সত্যাগ্রহ এলাকায় গণআন্দোলনের রূপ ধারণ করে।

আইন অমান্য আন্দোলন, কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচন, কেন্দ্রীয় আইনসভা –

১৯৩০ সালের আইন অমান্য আন্দোলনের সময়, তিনি গ্রেফতার হন। মুক্তি পেয়ে তিনি কোনো ফি ছাড়াই অস্ত্রাগার রেইড মামলায় (১৯৩০) আসামিদের রক্ষা করতে চট্টগ্রামে ছুটে যান। আবার ১৯৩২ সালে তিনি ডগলাস শ্যুটিং মামলায় প্রতিরক্ষা আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। তিনি রামসে ম্যাকডোনাল্ডের ‘সাম্প্রদায়িক পুরস্কার’-এর বিরোধিতা করার জন্য কংগ্রেস জাতীয়তাবাদী দলের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত কলকাতা সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৩৩ সালে, বীরেন্দ্রনাথ কলকাতা কর্পোরেশনে নির্বাচিত হন। পণ্ডিত মদন মোহন মালভিয়ার অনুরোধে, তিনি বর্ধমান বিভাগের একটি দুই-জেলা আসন থেকে কেন্দ্রীয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং এটি জিতেছিলেন কিন্তু ফলাফল ঘোষণার আগে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যু-

বীরেন্দ্রনাথ শাসমল ১৯৩৪ সালের ২৪ নভেম্বর ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

রবি ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা – জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভুমিকা— রবি ঘোষ বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাঁর অভিনয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্যই ছিল হাস্যরসের মাধ্যমে সামাজিক রূঢ় বাস্তবিক ঘটনাগুলিকে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করা। চার্লি চ্যাপলিন বলেছিলেন, “To truly laugh, you must be able to take your pain, and play with it.” তারপর আরও বলেছিলেন, “Life is a tragedy when seen in close-up, but a comedy in long-shot.” এই অমোঘ সমস্ত কথাগুলির সঙ্গে দৃশ্যত মানিয়ে যায় আমাদের প্রত্যেকের পছন্দের এক অভিনেতার নাম। ‘গল্প হলেও সত্যি’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘অভিযান’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘কাপুরুষ ও মহাপুরুষ’ এরকম অজস্র ছবিতে একের পর চুটিয়ে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। তাই একথা বলাই যায়, শুধু ভারত নয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার ওরফে রবি ঘোষ।

 

 

জন্ম ও কৈশোর–‐

 

তিনি ১৯৩১ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।  তার পুরো নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দস্তিদার।  ১৯৪৯ সালে তিনি দক্ষিণ সুবর্ধন প্রধান বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।  বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করে স্নাতকের জন্য আশুতোষ কলেজে যোগ দেন।  ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত তিনি বনশাল কোর্টে চাকরি করেন।

 

বৈবাহিক জীবন—

 

তিনি অভিনেত্রী অনুভা গুপ্তকে বিয়ে করেন। প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যুর দশ বছর পর তিনি ২৪শে নভেম্বর, ১৯৮২ সালে বৈশাখী দেবীকে বিয়ে করেন।

 

চলচ্চিত্র জীবন—-

অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় তাকে অঙ্গার নাটকে অভিনয় করতে দেখেন। ১৯৫৯ সালে তিনি আহবান চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন। তপন সিনহার গল্প হলেও সত্যিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি সবার নজরে আসেন। ১৯৬৮ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ রায় নির্মিত গুপী গাইন বাঘা বাইন চরিত্রে তার অভিনয় চলচ্চিত্রজগতে একটি মাইলফলক। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত গুপী গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রে বাঘা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য তিনি সবচেয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি একজন বিখ্যাত থিয়েটার অভিনেতাও বটে।  তিনি চলাচল থিয়েটার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।

 

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।  যাইহোক, তিনি তার হাস্যকর চরিত্র চিত্রিত করার জন্য বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে সর্বাধিক পরিচিত।  চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি বাংলা মঞ্চ ও টেলিভিশনের পাশাপাশি ছোট পর্দায় অভিনয় করেছেন।

 

 

অভিনীত চলচ্চিত্রসমূহ—

 

কাহিনী (১৯৯৭), বাক্স রহস্য (টেলিভিশন) (১৯৯৬), বৃন্দাবন ফিল্ম স্টুডিওস (১৯৯৬), পাতাং (১৯৯৪), পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩), আগন্তুক (১৯৯১), গুপী বাঘা ফিরে এলো (১৯৯১), অন্তর্জালি যাত্রা (১৯৮৭), মহাযাত্রা (১৯৮৭), আমার গীতি (১৯৮৩), বাঁচামরার বাগান (১৯৮০), হীরক রাজার দেশে (১৯৮০), পাকা দেখা (১৯৮০), নৌকাডুবি (১৯৭৯), চারমূর্তি (১৯৭৮), জন অরণ্য (১৯৭৬), কোরাস (১৯৭৪), মৌচাক (১৯৭৪), সঙ্গিনী (১৯৭৪), ঠগিনী (১৯৭৪), বসন্ত বিলাপ (১৯৭৩), মর্জিনা আব্দুল্লাহ (১৯৭৩), আজকের নায়ক (১৯৭২), পদি পিসির বার্মি বাক্স (১৯৭২), সবসে বড়া সুখ (১৯৭২), ধন্যি মেয়ে (১৯৭১), অরণ্যের দিনরাত্রি (১৯৭০), আরোগ্য নিকেতন (১৯৬৯), আপনজন (১৯৬৮), বাঘিনী (১৯৬৮), গুপী গাইন বাঘা বাইন (১৯৬৮), বালিকা বধূ (১৯৬৭), কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬), মণিহার (১৯৬৬), দল গোবিন্দের করচা (১৯৬৬), গল্প হলেও সত্যি (১৯৬৬), উত্তরপুরুষ (১৯৬৬),  গৃহ সন্ধানে (১৯৬৬), স্বপ্ন নিয়ে (১৯৬৬), আরোহী (১৯৬৫), মহাপুরুষ (১৯৬৫), এতটুকু বাসা (১৯৬৫), সুরের আগুন (১৯৬৫), আরোহী (১৯৬৪), লাল পাথর (১৯৬৪), শুভ ও দেবতার গ্রাস (১৯৬৪), মোমের আলো (১৯৬৪), অবশেষে (১৯৬৩), নির্জন সৈকতে (১৯৬৩), কষ্টিপাথর (১৯৬৩), শেষ প্রহর (১৯৬৩), ছায়াসূর্য (১৯৬৩), বিনিময় (১৯৬৩), ন্যায়দন্ড (১৯৬৩), পলাতক (১৯৬৩), আগুন (১৯৬২), অভিযান (১৯৬২) হাঁসুলীবাঁকের উপকথা (১৯৬২), মেঘ (১৯৬১), কিছুক্ষণ (১৯৫৯)।

 

পরিচালিত চলচ্চিত্রসমূহ—-

 

নিধি রাম সরদার (১৯৭৬), সাধু যুধিষ্ঠিরের কড়চা (১৯৭৪)।

পুরস্কার—-

১৯৯৮ সালে আনন্দলোক অ্যাওয়ার্ড (নয়নতারার জন্য)

কলাকার অ্যাওয়ার্ড। ১৯৭০ সালে তিনি গুপী গাইন বাঘা বাইন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভালেও অংশ নেন।

 

মৃত্যু—

 

তিনি ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৪ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৪ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৪ – হাতেম আলী খান, একজন যুক্তফ্রন্ট দলীয় রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য।

 

১৯২৬ – নোবেলজয়ী  চীনা-মার্কিন পদার্থবিদ সুং দাও লি।

 

১৯৩০ – কেন ব্যারিংটন, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৯৩১ – রবি ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

১৯৫৯ – খিজির আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক।

 

১৮৬০ – গণিতজ্ঞ কালীপদ বসু।

 

১৮৬৪ – অঁরি দ্য ত্যুল্যুজ্‌-লোত্রেক, উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর।

 

১৭৮৪ -জ্যাকারি টেইলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি।

 

১৬৩২ – হল্যান্ডের বিখ্যাত দার্শনিক ও সমাজ-বিজ্ঞানী বারুখ ডি স্পিনোজা।

 

১৬৫৫ – সুইডেনের রাজা একাদশ চার্লস।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – ইউক্রেনের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

২০১২ – বাংলাদেশের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের নিশ্চিন্তপুর এলাকার তাজরীন পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১২ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হন আরও তিন শতাধিক শ্রমিক।

১৯১৪ – বেনিটো মুসোলিনি ইতালির সোশ্যালিস্ট পার্টি ত্যাগ করেন।

১৯২৩ – বেলজিয়ামে প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু।

১৯২৬ – ভারতের পণ্ডিচেরিতে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্রীঅরবিন্দ আশ্রম।

১৯৩৩ – বঙ্কিমচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর বিখ্যাত সাহিত্য-সাপ্তাহিক ‘দেশ’ প্রথম প্রকাশিত।

১৯৫০ – ইরানের জাতীয় সংসদের জ্বালানী তেল বিষয়ক কমিটি ইরান অয়েল কোম্পানী ও বৃটেনের মধ্যে সম্পূরক চুক্তি নাকচ করে।

১৯৯৫ – দেড় বছরাধিকাল ধরে সংসদ বয়কট আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পঞ্চম জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়া হয়।

১৮০০ – ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রকৃত কর্মযাত্রার সূচনা।

১৮৩১ – বিখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থ-বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে বৈদ্যুতিক আবেশ আবিষ্কার করেন।

১৮৫৯ – চার্লস ডারউইনের অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস বইটি প্রকাশিত হয়।

১৭১৫ – টেমস নদীর পানি জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল।

১৭৫৯ – বিসুভিয়াসে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।

১৬৩৯ – ডেরিনিয়ার হরফ প্রথমবারের মত শুক্রগ্রহের গতিবিধি লক্ষ্য করেন।

১৬৪২ – আবেল তাসম্যান তাসমানিয়া আবিষ্কার করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৭ – সাধক সংগীতশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী।

 

১৯৩৪ – বীরেন্দ্রনাথ শাসমল,ভারতের বাঙালি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতা।

 

১৯৪৯ – বিনয় কুমার সরকার, ভারতীয় সমাজ বিজ্ঞানী।

 

১৯৬৩ – লি হার্ভে অসওয়াল্ড, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি’র আততায়ী।

 

১৯৮২ – বারাক ওবামা সিনিয়র। কেনিয়ার অর্থনীতিবিদ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার বাবা।

১৮৮৪ – বাংলা নাটকের প্রথম যুগের নাট্যকার হরচন্দ্র ঘোষ।

 

১৫০৪ – স্পেনের ক্যাস্টিলের রানী প্রথম ইসাবেলা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৩ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৩ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫৫৩ – ইতালির চিকিৎসক প্রোসপেরো আলপিনি।

১৭৬০ – ফ্রাঞ্চইস-নয়েল বাবেউফ, ফরাসি সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।

 

১৮০৪ – ফ্রাংক্‌লিন পিয়ের্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি।

১৮৩৭ – জোহানেস ডিডেরিক ভ্যান ডার ওয়ালস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ পদার্থবিদ ও তাপগতিবিদ্যা বিশারদ।

১৮৬০ – ইয়ালমার ব্রান্তিং, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১৬ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৮৮৭ – হেনরি মোসলে, ইংরেজ পদার্থবিদ।

 

১৮৯৭ – নীরদচন্দ্র চৌধুরী, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী। খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় বাঙালি লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

 

১৯০৭ – (ক) বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য, যিনি বাণীকুমার নামেই পরিচিত বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক।

 

(খ) প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ ও শিক্ষাবিদ হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।

(গ) রুন রুন শাও, চীনা বংশোদ্ভূত হংকং ব্যবসায়ী, মানবপ্রেমিক ও শাও ব্রাদার্স স্টুডিও এর প্রতিষ্ঠিাতা।

১৯২২ – ম্যানুয়েল ফ্রাগা ইরিবারনে, স্প্যানিশ রাজনীতিবিদ।

১৯২৫ – সাবেক প্রধানন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমান ।

 

১৯২৬ – সত্য সাঁই বাবা , পূর্বাশ্রমের নাম সত্যনারায়ণ রাজু) ভারতীয় হিন্দু ধর্মগুরু, আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯৩০ – গীতা দত্ত, বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৩৫ – ভ্লাডিস্লাভ ভোল্কভ, রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

১৯৪১ – ফ্রাঙ্কো নিরো, ইতালিয়ান অভিনেতা ও প্রযোজক।

 

১৯৫০ – নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, বাঙালি লেখক,ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ।

১৯৫৫ – লুডোভিকো ইনাউডি, ইতালিয়ান পিয়ানোবাদক ও সুরকার।

১৯৬৬ – ভিনসেন্ট ক্যাসেল, ফরাসি অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯৭১ – খালেদ আল-মুয়াল্লিদ, সৌদি আরব ফুটবল।

১৯৯১ – আহমেদ শেহজাদ, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৪৪ – ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জন কার্টারেট পদত্যাগ করেন।

১৭৮৩ – অ্যানাপোলিস মেরিল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী হয়।

১৮৭৩ – ফরাসী সেনারা ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় দখল করে নেয়।

১৮৯০ – নেদারল্যান্ড থেকে লুক্সেমবার্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

১৯১৪ – যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী মেক্সিকো থেকে সরে আসে।

১৯১৬ – প্রথম কার্ল অস্ট্রিয়ার সিংহাসন আরোহণ করেন।

১৯১৯ – দিল্লীতে প্রথম নিখিল ভারত খিলাফত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯২২ – রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

১৯৩৬ – লাইফ ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।

১৯৬৪ – ব্রিটেনে সর্বপ্রথম বাণিজ্যিক বেতার কেন্দ্র চালু হয়।

১৯৯৫ – বসনিয়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৯৭ – ভারতে সরকারি সম্প্রচার সংস্থা প্রসার ভারতী গঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৮ – জাপানের গণিতবিদ ইয়োরিইয়ুকি।

১৪৫৭ – লাডিস্লাউস পুস্থুমউস, হাঙ্গেরিয়ান রাজা।

 

১৫১১ – মাহমুদ শাহ্, গুজরাটের শাসক।

১৫৭২ – ব্রনযিনো, ইতালীয় চিত্রশিল্পী ও কবি।

১৬৮২ – ক্লাউডে লরাইন, ফরাসি বংশোদ্ভূত ইতালীয় চিত্রশিল্পী ও খোদকার।

 

১৮৮৩ – প্যারীচাঁদ মিত্র, বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক, ছদ্মনাম টেকচাঁদ ঠাকুর।

 

১৯৩৭ – জগদীশ চন্দ্র বসু বাঙালি বিজ্ঞানী।

 

১৯৭০ – তুন ইউসুফ বিন ইসহাক, সিঙ্গাপুরের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৭৬ – ফ্রান্সের বিখ্যাত লেখক আন্দ্রে মালরো।

১৯৮৭ – রাজেন তরফদার বাংলা চলচ্চিত্রের বিশিষ্ট পরিচালক, শিল্পনির্দেশক চিত্রনাট্যকার।

 

১৯৯০ – রুয়াল দাল, ওয়েল্‌সীয় সাহিত্যিক।

১৯৯৫ – লুই মালে, ফরাসি বংশোদ্ভূত আমেরিকান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

২০০৩ – দিলীপকুমার বিশ্বাস প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি অবসান দিবস।

আজ আন্তর্জাতিক দায়মুক্তি দিবস।  দায়মুক্তির অবসানের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস ২৩ নভেম্বর, ২০১১ বিশ্বজুড়ে জোরপূর্বক নীরব শিল্পী, সাংবাদিক, সঙ্গীতশিল্পী এবং লেখকদের বিচার দাবি করার একটি দিন। মতপ্রকাশের বিনিময়ের স্বাধীনতা।  অপরাধীদের দায়মুক্তি বিশ্বজুড়ে বাকস্বাধীনতা সংকুচিত হওয়ার একটি বড় কারণ।  সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রতি ১০টি অপরাধের মধ্যে মাত্র একজনের শাস্তি হয়।  ফলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ দিন দিন বাড়ছে।  দায়মুক্তির এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে প্রতি বছর জাতিসংঘ স্বীকৃত ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তির অবসানের আন্তর্জাতিক দিবস’ দিবসটি সারা বিশ্বে পালিত হয়।

প্রাথমিকভাবে, ‘মাগুইন্দানাও গণহত্যা’ স্মরণে ২৩ নভেম্বর দায়মুক্তি প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।  পরে ২০১৩ সালে ২রা নভেম্বর দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।  ওই বছরের নভেম্বরের এই দিনে, মালিতে ভারলন এবং ডুপন্ট নামে দুই সাংবাদিক নিহত হন, এমন একটি ঘটনায় দেশটির একটি শীর্ষ রাজনৈতিক দল এবং আল কায়েদাকে দায়ী করা হয়।  এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি মালি পুলিশ।  একই বছরের ডিসেম্বরে, IFEX-এর সমর্থনে, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক সভায় 2শে নভেম্বরকে দায়মুক্তি প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

 

দেখা যায়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো না কোনোভাবে সাংবাদিক হত্যার সঙ্গে কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি জড়িত থাকে।  ফলে তারা আদালতে গিয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার পান না।  IFEX আশা করে যে বার্ষিক দায়মুক্তি দিবস পালনের মাধ্যমে, এটি এমনভাবে শাস্তিবিহীন মৃত্যুর প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করবে যাতে বিচার করতে অনীহা দেখিয়েছে এমন দেশগুলোর সরকারও তা করতে বাধ্য হবে।  বলা হয়, দেশের পুলিশ প্রশাসন ও আইন আদালতে যখন একজন ব্যক্তি সুষ্ঠু বিচার থেকে বঞ্চিত হন, তখন সাংবাদিকের কলমই তার শেষ ভরসা হয়ে তার পাশে দাঁড়ায়।  সেই কলম-সৈনিকরা যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে তাদের কলম কীভাবে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেবে?  সাধারণ মানুষের মধ্যে এই ধরনের জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াও এই আন্তর্জাতিক দিবসটি পালনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।
দায়মুক্তি প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবসে সারা বিশ্বের সংবাদপত্রগুলো বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করে, সম্পাদকরা বিবৃতি প্রকাশ করে, বাকস্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলো তাদের নিজস্ব কর্মসূচি উপস্থাপন করে।  এতে করে সরকার বা প্রভাবশালীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চাপে ধামাচাপা পড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষও নতুন করে আলোচনায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে।  ফলে চাপা সত্য বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে।  তাছাড়া সাংবাদিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিগত দিনে সাংবাদিক হত্যার তদন্তের দাবি জানিয়ে নিজ নিজ দেশের সরকারের কাছে স্মারকলিপি পাঠানো হয়।  জাতিসংঘও আনুষ্ঠানিকভাবে সারা বিশ্বের দেশগুলিতে স্মারকলিপি পাঠায়, বিশেষ করে সাংবাদিক হত্যার জন্য উচ্চ দায়মুক্তির হার রয়েছে।  পরের বছর ওই সব দেশে খুনের বিচারের অগ্রগতি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে বৈশ্বিক সংস্থাটি।  ফলে বিশ্ব রাজনীতিতে ভাবমূর্তি সংকটে পড়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানরা সাংবাদিক হত্যার বিচারের চেষ্টা করছেন।

 

প্রতি বছর দায়মুক্তি প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সাংবাদিকদের সব মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করা হয় এবং সেই হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার দাবি করা হয়, যাতে অপরাধী একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করতে পারে,  অথবা অন্য কেউ একই অপরাধ করার সাহস করে না।  এই দিনে, #EndImpunity, #JournoSafe এবং #TruthNeverDies হ্যাশট্যাগগুলির সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়।  তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লবের এই যুগে যেকোনো অপরাধ প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে প্রচার প্রচারণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি।  শুধু আইন প্রয়োগ করে সাংবাদিকদের রক্ষা করা সম্ভব নয়।  তাই এই আন্তর্জাতিক দিবসের গুরুত্ব বাড়ছে।
চলতি দশকে বিশ্বজুড়ে নিহত সাংবাদিকদের ৪৫ শতাংশই হয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে, বাকি ৫৫ শতাংশ হয়েছে শান্তিপূর্ণ এলাকায়।  যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকার চেয়ে শান্তিপূর্ণ এলাকায় বেশি সাংবাদিক নিহত হওয়ার চেয়ে খারাপ খবর আর কী হতে পারে?  এটি পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য দুঃসংবাদ, অন্যদিকে এটি সাংবাদিকদের কলম আটকাতে অপরাধীদের তৎপরতার দিকেও ইঙ্গিত করে।  তাই সাংবাদিকদের হত্যার জন্য দায়মুক্তি প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস একটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন।  এ দিনকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী মানুষের সচেতনতা বাড়বে, প্রতিটি অহেতুক হত্যার বিচার হবে, কলম সৈনিকদের পেশা নিরাপদ হবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২২ নভেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২২ নভেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬০২ – স্পেনের রানি এলিজাবেথ।

 

১৭৮৭ – রাস্‌মুস রাস্ক, ডেনীয় ভাষাতাত্ত্বিক ও পণ্ডিত।

১৮১৯ – জর্জ ইলিয়ট, ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

 

১৮৬৯ – আঁদ্রে জিদে, নোবেলজয়ী (১৯৪৭) ফরাসি কথাশিল্পী ও সমালোচক।

১৮৭০ – হ্যারি গ্রাহাম, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

১৮৮৬ – বেণী মাধব দাস, প্রাজ্ঞ বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক ও দেশপ্রেমিক। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর প্রিয় শিক্ষক।

 

১৮৯০ – শার্ল দ্য গ্যলে, ফরাসী রাষ্ট্রনায়ক।

 

১৮৯৪ – পুলিনবিহারী সরকার, ভারতের বাঙালি বিশ্লেষক অজৈব রসায়নের গোড়াপত্তনকারী বিজ্ঞানী।

১৯০৪ – নোবেলজয়ী [১৯৭০] ফরাসি পদার্থবিদ লুই নিল।

 

১৯১৬ – শান্তি ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী।

১৯১৭ – শরীরবিদ্যা/ভেষজশাস্ত্রে নোবেলজয়ী [১৯৭৩] ব্রিটিশ জীবজিজ্ঞানী স্যার অ্যানড্রু ফিল্ডিং হাক্সেলে।

১৯৪৮ – সরোজ খান,বলিউডের প্রখ্যাত নৃত্য পরিচালক।

১৯৬২ – রেজাউদ্দিন স্টালিন, বাংলাদেশী কবি, লেখক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব।

১৯৬৫ – শাকুর মজিদ, বাংলাদেশী স্থপতি, নাট্যকার, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও চিত্রগ্রাহক।

১৯৬৭ – মার্ক রাফালো, হাল্ক খ্যাত মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮৪ – স্কার্লেট জোহ্যানসন, মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২২১ – দ্বিতীয় ফ্রেডরিক জার্মানির রাজা হন।

১৭০৭ – যুবরাজ জন উইলেম ফ্রিসো ফ্রাইসল্যান্ডের ভাইসরয় নিযুক্ত হন।

১৮৫৬ – বিধবা বিবাহ আইনের প্রেক্ষাপটে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয় যে, বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে।

১৮৫৭ – সিপাহি বিদ্রোহের এক পর্যায়ের ঢাকার লালবাগ দুর্গে সিপাহি ও ইংরেজদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

১৮৭৭ – টমাস আলফা এডিসন গ্রামোফোন যন্ত্র আবিষ্কার করেন।

১৯১০ – লর্ড হার্ডিঞ্জ ভারতের ভাইসরয় পদে লর্ড মিন্টোর স্থলাভিষিক্ত হন।

১৯২২ – ব্রিটিশ লেবার পার্টি রামসে ম্যাকডোনাল্ডকে নেতা নির্বাচন করে।

১৯২৪ – ইংল্যান্ড মিসরীয়দের সুদান থেকে বেরিয়ে যেতে বলে।

১৯৪৩ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে লেবানন স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৩ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ডালাস শহর সফরের সময় একজন মার্কিন নাগরিকের গুলিতে নিহত হন।

১৯৭৯ – খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলায় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়।

১৯৯০ – ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থেচার পদত্যাগ করেন।

১৯৯০ – বাংলাদেশে জরুরী অবস্থা জারি করা হয়।

১৯৯১ – মিশরীয় উপপ্রধানমন্ত্রী ড. বুত্রো বুত্রোস ঘালি জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়িত্ব পান।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৮ – রাশিয়ার রাজকুমার মিখাইল।

 

১৭৭৪ – রবার্ট ক্লাইভ, ভারত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠায় মূল ভূমিকা পালনকারী।

 

১৯০৮ – বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিপ্লবী-শহীদ।

 

১৯১৬ – মার্কিন কথাসাহিত্যিক জ্যাক লন্ডন।

 

১৯৪৪ – আর্থার স্ট্যানলি এডিংটন, বিজ্ঞানী।

 

১৯৪৬ – আলবার্ট রোজ-ইন্স, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

 

১৯৪৮ – ফখরুদ্দিন পাশা, মদিনার শেষ উসমানীয় গভর্নর।

 

১৯৬৩ – জন এফ. কেনেডি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৮৭ – সুরকার ও সঙ্গীতশিল্পী হেমাঙ্গ বিশ্বাস।

 

২০০৬ – অসীমা চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি জৈব রসায়নবিদ ও উদ্ভিদ রসায়নবিদ।

 

২০১৬ – কর্ণাটকী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের কণ্ঠশিল্পী এম বালামুরলীকৃষ্ণ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This