Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও বৈরাগ্য, ত্যাগ : স্বামী আত্মভোলানন্দ।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায়—

***বৈরাগ্য হল সংস্কৃত (সংস্কৃত: वैराग्य) শব্দ, বিশেষ্য পদ, যা হিন্দু  দর্শনে ব্যবহৃত হয় যা মোটামুটিভাবে বৈরাগ্য, বিচ্ছিন্নতা বা ত্যাগ, বিশেষ করে অস্থায়ী বস্তু জগতের বেদনা এবং আনন্দ থেকে ত্যাগ। বৈরাগ্য  হল সংসারে বা বিষয়ভোগে অনাসক্তি, ঔদাসীন্য, বাসনা রহিত। ত্যাগ কি ? ত্যাগ হল সংস্কৃত শব্দ (সংস্কৃত: त्याग) যার অর্থ উদারতায় ত্যাগ করা, পরিত্যাগ করা, ভারতীয় দর্শন অনুযায়ী ত্যাগ হল বর্জন, পরিহার, বিসর্জন,  নিক্ষেপ, বৈরাগ্য ও নিরাসক্তি। এটি মোক্ষ অর্জনের একটি উপায়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে বৈরাগ্যের জ্ঞানও দেন । সেখানে তিনি অর্জুনকে বলেন,  যদি এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাও, তাহলে  অভ্যাস ও বৈরাগ্য— এই দুই তলোয়ার দিয়ে মনকে প্রহার করতে হবে। জ্ঞানই মানুষের হৃদয়ে বৈরাগ্যের জন্ম দেয়। সেই সত্যিকারের জ্ঞানই আমি তোমাকে প্রদান করছি অর্জুন।
সমস্ত জগৎ বাস্তবে মিথ্যা, নশ্বর।  মায়ার প্রভাবে তা সত্য মনে হয়। এই পরম  সত্য-জ্ঞান বিশ্বাস হয়ে গেলেই বৈরাগ্য সম্ভব। যে মানুষের মধ্যে ত্যাগের প্রাবল্য যত বেশী, তিনি ততই ব্যক্তিত্ববান। যে মানুষ যত বেশি ত্যাগী, তিনি ততই ব্যক্তিত্ববান। ত্যাগীর সাথে পেরে ওঠা খুব মুশকিল। ত্যাগীকে বশে আনা খুব মুশকিল। ত্যাগীর ত্যাগ ষড়যন্ত্রকারীর সব ষড়যন্ত্রকে মুহূর্তে নস্যাৎ করে দিতে পারে। মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের  চাবিকাঠি ত্যাগ।তাই, নিজের মনকে সন্যাসী বানাও, মোহের বন্ধন ত্যাগ কর। নিজের কর্তব্যের ওপর মনোনিবেশ কর। তোমার ধর্ম অনুযায়ী কর্ম কর।
জগৎ গুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দ জী মহারাজ ও বলছেন *বৈরাগ্যই সর্বপ্রকার বাসনাকে নাশ করিয়া মানুষকে প্রকৃত মুক্তির পথে লইয়া যায়।*
তিনি আরও বলছেন:- ধর্ম কি ?
ধর্ম হল:- ত্যাগ, সংযম, সত্য ও ব্রহ্মচর্য। অর্থাৎ ধর্মের চারটি ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপই হচ্ছে ত্যাগ। তিনি ধর্মের প্রথম ধাপই বলছেন ত্যাগ।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ …..।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *