Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন।

সুমিত্রা সেন ছিলেন বিখ্যাতএকজন ভারতীয় বাঙালি গায়িকা। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতি এবং বাংলা আধুনিক গানের অ্যালবাম করেছেন। তবে তিনি মূলত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে বেশি পরিচিতি লাভ করেন।

 

বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন এর জন্ম ৭ মার্চ, ১৯৩৩ সালে।সঙ্গীত পরিবারের সদস্যা সুমিত্রা সেন। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গান ‘সখী ভাবনা কাহারে বলে’, ‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে’ আজও শ্রোতার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ২০১১ সালে রবীন্দ্রসদনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি ।

 

 

সুমিত্রা সেন একমাত্র ব্যতিক্রমী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, যিনি সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া দেবী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন– সমস্ত তাবড় অভিনেত্রীর লিপে প্লে ব্যাক করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু গীতিনাট্য, গীতিআলেখ্য, নৃত্যনাট্যের গানে সুমিত্রা সেনের গলা শোনা গিয়েছে।

 

 

সুচিত্রা সেনের লিপে তাঁর রবীন্দ্রসংগীত অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, ‘বিপদে মরে রক্ষা করো’, ‘ঘরেতে ভ্রমর এল’, ‘সখি ভাবনা কাহারে বলে’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’-এর মতো রবীন্দ্রসংগীতগুলি তাঁর কণ্ঠে চিরস্মরণীয়। পাশাপাশি ‘শাপমোচন’, ‘মায়ার খেলা’ নৃত্যনাট্যের গানও শোনা গিয়েছে এই প্রখ্যাত শিল্পীর গলায়।
সুমিত্রা সেন এক বিখ্যাত শিল্পী হয়েও খুব সহজ মানুষ ছিলেন। মধ্যবিত্ত সারল্য ওঁর থেকে হারিয়ে যায়নি কখনও।

 

দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্গীত জগতের বিভিন্ন কৃতিদের গুরু তিনি। সুমিত্রা সেনের দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন(Indrani Sen) ও শ্রাবণী সেন, দুজনেই নামী সঙ্গীত শিল্পী। দুই মেয়ে- ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেনও বাংলার সঙ্গীত জগতে ছাপ ফেলেছেন। মায়ের পথে হেঁটে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাই করে গিয়েছেন ছোট মেয়ে শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন অবশ্য সব ধরনের গানেই নিয়েই ছাপ রেখেছেন।

 

 

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই শিল্পী  সুমিত্রা সেন। তাঁর ছোট মেয়ে শ্রাবনী সেনের সঙ্গেই বালিগঞ্জে থাকতেন তিনি। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মধ্যে ডিসেম্বরে (২০২৩) ভীষণ ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেন তিনি। এর ফলে জ্বরের সঙ্গে বুকে সর্দি বসে অবস্থার অবনতি হতে থাকে ক্রমশ। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ২ জানুয়ারি ২০২৩, তাঁকে ছুটি করিয়ে বাড়ি আনা হয়। কিন্তু ভোর রাতেই প্রয়াত হন গায়িকা।  ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে ৯০ বছর বয়সে  প্রয়াত হন কিংবদন্তী এই শিল্পী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *