কথাসাহিত্য লেখিকা নিরুপমা দেবী ৭ মে, ১৮৮৩ সালে পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল শ্রীমতী দেবী। নিরুপমা দেবীর পিতা নফর চন্দ্র ভট্ট, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী ছিলেন। তিনি বাড়িতে শিক্ষিত হয়েছিলেন।
সাহিত্যকর্ম——–
নিরুপমার অকাল বৈধব্যের পর, তিনি বড় ভাই বিভূতিভূষণ ভট্ট এবং কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য সাধনা শুরু করেন। বিভূতিভূষণ ও শরৎচন্দ্র সম্পাদিত হাতেলেখা পত্রিকায় তাঁর সাহিত্যকর্মের পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হয়। শরৎচন্দ্র তাঁকে গদ্য রচনায় অনুপ্রাণিত করেন এবং অনুরূপা দেবী গল্প রচনায় অনুপ্রাণিত করেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ”উচ্ছৃঙ্খল”। স্বদেশী যুগে তাঁর রচিত অনেক গান ও কবিতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দাম্পত্য জীবনের অন্তর্দ্বন্দ্ব তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু। ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘দিদি’ তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে স্বীকৃত।নিরুপমা দেবীর একাধিক উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত ও মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। অন্যান্য রচনার মধ্য রয়েছে:—যুগান্তরের কথা, অনুকর্ষ, দেবত্র, পরের ছেলে, অন্নপূর্ণার মন্দির , দিদি , আলেয়া, বিধিলিপি, শ্যামলী, বন্ধু, আমার ডায়েরি, ।
পুরস্কার———-
সাহিত্যে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৮ সালে ‘ ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক’ এবং ১৯৪৩ সালে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ লাভ করেন নিরুপমা দেবী।
মৃত্যু—
৭ জানুয়ারী, ১৯৫১ সালে তিনি প্রয়াত হন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।