Categories
প্রবন্ধ

রামকৃষ্ণ রায় : ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে  রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।  রামকৃষ্ণ রায়  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী। তাঁর আবাদান ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজ সেই বীর বিপ্লবীর জন্ম দিবস। জানব তাঁর সেই আত্মত্যাগের কিছু কথা। রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

রামকৃষ্ণ রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন।

রামকৃষ্ণ রায় ৯ জানুয়ারি, ১৯১২ সালে মেদিনীপুরের চিরিমাতসাইতে জন্মগ্রহণ করেন।  তার পিতার নাম কেনরাম রায়।  মায়ের নাম ভবতারিণী দেবী।  রামকৃষ্ণ ১৯২২ সালে মেদিনীপুর টাউন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।  ছোটবেলা থেকেই ব্যায়াম করতেন।  ১৯২৪ সালে মহাত্মা গান্ধী মেদিনীপুরে এলে বালক রামকৃষ্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে যোগ দেন।  তিনি ১৯২৬ সালের পৌর নির্বাচনে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের সাথে এবং ১৯২৮ সালে সুভাষ চন্দ্রের সাথে কাজ করেন।

১৯৩০ সালে তিনি জেলাশাসক পেডিকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন। ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৪ মেদিনীপুর জেলে তার ফাঁসি হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *