Categories
রিভিউ

আজ ২২ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২২ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব জীব বৈচিত্র্য দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৭০- রাজকুমারী এলিজাবেথ।

 

১৭৭২ – রাজা রামমোহন রায়, প্রথম ভারতীয় ধর্মীয়-সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক।

১৮২২ – কিশোরীচাঁদ মিত্র, বাঙালী লেখক,সমাজকর্মী।

 

১৮৫৯ – আর্থার কোনান ডয়েল, স্কটিশ সাহিত্যিক, শার্লক হোম্‌সের গল্পসমূহের জন্য বিখ্যাত।

১৯০৭ – অ্যার্জে, বেলজীয় কমিক্স লেখক ও চিত্রকর।

১৯০৭ – লরন্স অলিভিয়ে, ইংরেজ অভিনেতা ও পরিচালক।

 

১৯১৭ – সুনীতি চৌধুরী ঘোষ, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী বিপ্লবী।

 

১৯৪৬ – জর্জ বেস্ট, আইরিশ ফুটবলার।

 

১৯৫০ – স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, কিংবদন্তি বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৪৫ – আফগান সম্রাট শের শাহ নিহত হন।

১৭১২ – ষষ্ঠ ক্যারেল হাঙ্গেরির রাজা হিসেবে অভিষিক্ত

১৭৪৬ – রাশিয়া ও অষ্ট্রিয়া সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর।

১৭৬২ – সুইডেন ও প্রুশিয়া শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর।

১৮০৩ – কানেকটিকাটে প্রথম পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন।

১৮৯৭ – টেমস নদীর তলদেশে ব্লাক ওয়াল টানেল আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।

১৯২৭ – চীনের নানশানে প্রচণ্ড ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোকের প্রাণহানি।

১৯৩৯ – জার্মানির বার্লিনে ইতালী ও জার্মানির মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৯৭২ – সিলোনের নাম শ্রীলঙ্কা রাখা হয় এবং দেশটি প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়।

১৯৯০ – উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ ঘোষণা পত্রে দুই ইয়েমেনকে একত্রীকরণের কথা ঘোষণা করেন।

১৯৯৪ – সম্মিলিত জার্মানীর প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন রোমান হারজগ।

২০০৪ – ভারতের কংগ্রেস জোটের মনোনীত দেশটির ১৭তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ডঃ মনমোহন সিং শপথ গ্রহণ করেছিলেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১১৫৭ – জাপানের সম্রাট গো-রেইজেই।

 

১৫৪৫ – আফগান সম্রাট শের শাহ।

 

১৮৮৫ – ভিক্টর হুগো, ফরাসি সাহিত্যক, রাজনীতিবিদ এবং মানবাধিকার কর্মী।

 

১৮৯৮ – এডওয়ার্ড বেলামি, মার্কিন লেখক এবং সমাজতন্ত্রী।

 

১৯৬৬ – টম গডার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

১৯৬৭ – মার্কিন কবি ল্যাংস্টন হিউজ।

 

১৯৯১ – শ্রীপাদ অমৃত ডাঙ্গে, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ।

 

২০১১ -চিদানন্দ দাসগুপ্ত, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্র সমালোচক, চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ।

২০১৮ – তাজিন আহমেদ, বাংলাদেশী অভিনেত্রী, সাংবাদিক ও উপস্থাপক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা সিনেমার জগতে সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় এক কিংবদন্তির নাম।

বাংলা সিনেমার জগতে সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় এক অতি পরিচিত নাম।  সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়  একজন খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী যিনি বাংলা সিনেমায় তাঁর কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন। বহু অভিনেতার সঙ্গে তিনি অভিনয় করে তাঁর দক্ষতার পরিচয় রেখে গিয়েছেন। রঞ্জিত মল্লিক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্তু মুখোপাধ্যায় এবং দীপঙ্কর দে-র মতো অভিনেতাদের সাথে তাঁর অন-স্ক্রিন জুটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যা মানুষের হৃদয়ে আজও দাগ কেটে রয়েছে।

কর্মজীবন—–

সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ৩০ মার্চ ১৯৪৯ সালে।অভিনয়ের প্রতি ছিলো তাঁর অমোঘ টান। ১৯৭২ সালে
শ্রীমতি সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম চলচ্চিত্র “আজকের নায়ক”  মুক্তি পেয়েছিল।  তাঁর অভিনয় দক্ষতা দর্শক-প্রশংসা পেয়েছে । অনাবিল অভিনয়র মধ্য দিয়ে তিনি প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর অভিনীত কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য বই হলো – অগ্নিশ্বর, শ্রীকান্তের উইল, দেবদাস, ওগো বধূ সুন্দরী, দেবী চৌধুরাণী, বসন্ত বিলাপ – যা আজও অমর হয়ে রয়েছে। তিনি প্রায় ৪০০ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নীচে আমরা দেখে নেবো তাঁর অভিনিত ছবি গুলির নাম—

অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা—-

আমি ও মা, নটি বিনোদিনী, তপস্যা, ৩ভ্রান্ত পথিক, ক্রান্তিকাল, পেন্নাম কলকাতা, অহংকার, গড়মিল, ব্যবধান, মহাপীঠ তারাপীঠ, অভিসার, অপরাহৃ-এর আলো, বিদায়, প্রতীক, আগমন, আগুন, ওরা চারজন, অবৈধ, সাথী, পারমিতার এক দিন, সপ্তমী, প্রতিরোধ, মেজ বৌ, মোহিনী, কলঙ্কিনী নায়িকা, অমর কন্টক, দাবার চাল, স্বর্ণময়ীর ঠিকানা, মহামিলন, ডাক্তার বৌ, পরিনতি, স্বর্গ সুখ, আমার পৃথিবী, ভালোবাসা ভালোবাসা, তিল থেকে তাল, মিলন তিথী, বৈকুন্ঠের উইল, সোনার সংসার, দিদি, অগ্নি শুদ্ধি, মোহনার দিকে, দাদামণি, সম্পত্তি, ইন্দিরা, জীবন মরণ, অর্পিতা, অভিনয় নয়, সংসারের ইতিকথা, প্রায়শ্চিত্ত, অমৃত কুম্ভের সন্ধানে, প্রফুল্ল, মায়ের আশীর্বাদ, বদনাম, কপাল কুন্ডলা, ন্যায়ের অন্যায়, দেবদাস, মান অভিমান, তিলোত্তমা, তুশি, ডাক দিয়ে যাই, ময়না, বনসারি, সন্ধ্যার রাগ, এই পৃথিবী পান্থ নিয়াস, মন্ত্রমুগ্ধ, এক যে ছিলো দেশ, দত্তা, রাগ অনুরাগ, অগ্নিশ্বর, ছেড়া তামসুখ, বিকেলে ভোরের ফুল, দেবী চৌধুরাণী, সঙ্গিনী, বসন্ত বিলাপ, আজকের নায়ক, ওগো বধূ সুন্দরী, স্বামী স্ত্রী, বৈশাখী মেঘ, প্রিয়তমা, সমাধান, শ্রীকান্তের উইল, নৌকাডুবি, চিরন্তন, গণদেবতা প্রভৃতি ।

পুরস্কার——-

অভিনয়ের জন্য তিনি বেশকিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন–

বিজয়ী – বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন – দেবী চৌধুরানীর পক্ষে সেরা সহায়ক অভিনেত্রীর পুরস্কার (১৯৭৫);  বিজয়ী – বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন – অন্বেষণ – এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার (১৯৮৬); বিজয়ী – ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পূর্ব – বৈশাখী মেঘ – সেরা অভিনেত্রী।

২১ মে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সুপ্রসিদ্ধ গীতিকবি হিসেবে সুপরিচিত বিহারীলাল চক্রবর্তী। 

বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতিকবি হিসেবে সুপরিচিত বিহারীলাল চক্রবর্তী ছিলেন বাংলা ভাষার সুপ্রসিদ্ধ একজন কবি।  তার সব কবিতাই বিশুদ্ধ গানের কথা।  মনোবীণার মনোবীণার নিভৃত ঝংকারে তার কবিতার সৃষ্টি।  বাঙালি কবি মানসের বহির্মুখী দৃষ্টিকে অন্তর্মুখী করতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।  খুব অল্প সময়ে তিনি বাংলা কবিতার প্রচলিত ধারা পরিবর্তন করে তীব্র অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে গীতিকবিতার ধারা প্রবর্তন করেন।  এ বিষয়ে তিনি সংস্কৃত ও ইংরেজি সাহিত্যের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।  তিনি তাঁর কবিতায় ভাবের প্রকাশের প্রাচুর্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।  প্রকৃতি ও প্রেম, সঙ্গীতের উপস্থিতি, সরল ভাষা বিহারীলালের কবিতাকে দিয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। রবীন্দ্রনাথ তাকে বাংলা গীতি কাব্য-ধারার ‘ভোরের পাখি’ বলেছেন।

জন্ম ও শৈশব——

বিহারীলাল চক্রবর্তী ২১ মে, ১৮৩৫ তারিখে কলকাতার জোড়াবাগান অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম দীননাথ চক্রবর্তী। মাত্র চার বছর বয়সে মাতা মারা যান।

শিক্ষাজীবন——

বিহারীলাল চক্রবর্তী শৈশবে নিজ গৃহে সংস্কৃত ইংরেজি ও বাংলা সাহিত্যে জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি কলকাতার সংস্কৃত কলেজে তিন বছর অধ্যয়ন করেন।

বিবাহ——-

বিহারীলাল চক্রবর্তী উনিশ বছর বয়সে দশ বছরের অভয়া দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

কর্মজীবন———

বিহারীলাল এর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ হল “স্বপ্নদর্শন”(১৮৫৮)। তার রচনাবলীর মধ্যে “স্বপ্নদর্শন” (১৮৫৮), “সঙ্গীত শতক” (১৮৬২), “বঙ্গসুন্দরী” (১৮৭০), “নিসর্গসন্দর্শন “(১৮৭০), “বন্ধুবিয়োগ “(১৮৭০), “প্রেম প্রবাহিনী” (১৮৭০), “সারদামঙ্গল “(১৮৭৯), ” দেবরানী” (১৮৮২), “বাউলবিংশতি” (১৮৮৭), “সাধের আসন” (১৮৮৯), ” ধূূমকেতু “(১৮৯৯) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তিনি “পূর্ণিমা” (১২৬৫ বঙ্গাব্দ), “সাহিত্য সংক্রান্তি”(১৮০৬),” অবোধবন্ধু “(১৮৬৩)ইত্যাদি তার সম্পাদিত পত্রিকা। সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও তিনি যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন।

“সারদামঙ্গল ” কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ কাব্য। আখ্যানকাব্য হলেও এর আখ্যানবস্তু সামান্যই। মূলত গীতিকবিতাধর্মী কাব্য এটি। সমালোচক শিশিরকুমার দাশের মতে, “মহাকাব্যের পরাক্রমধারার পাশে সারদামঙ্গল গীতিকাব্যের আবির্ভাব এবং শেষপর্যন্ত গীতিকাব্যের কাছে মহাকাব্যের পরাজয়ের ইতিহাসে সারদামঙ্গল ঐতিহাসিক তাৎপর্যপূর্ণ কাব্য। তার প্রথম স্বার্থক গীতিকাব্য “বঙ্গসুন্দরী “(১৮৭০)। এই কাব্যটি দশটি সর্গে বিভক্ত।কবি এই কাব্যে বঙ্গ নারীর বন্দনা করেছেন। কাব্যের দশটি সর্গ হল “উপহার”, “নারী বন্দনা”, “সুরবালা”, “চিরপরাধিনী” “করুনাসুন্দরী”, “বিষাদিনী”, “প্রিয়সখী”, “বিরহিনী”, “প্রিয়়়তমা” ও ” অভাগিনী”।
“পূর্ণিমা” (১২৬৫ বঙ্গাব্দ) নামে একটি পক্ষিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও অবোধ বধূ ও সাহিত্য সংক্রান্তি তার সম্পাদিত পত্রিকা।

মৃত্যু—-

বিহারীলাল চক্রবর্তী ২৪ মে, ১৮৯৪ সালে প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২১ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২১ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক চা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—–

১৬৮৮ – আলেকজান্ডার পোপ, ইংরেজ কবি, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।

 

১৮৩৫ – বিহারীলাল চক্রবর্তী, বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি-কবি হিসেবে তিনি সুপরিচিত।

 

১৮৪৪ – ফরাসি চিত্রশিল্পী আঁরি রুশো।

১৮৬০ – হৃদরোগ চিকিৎসায় ইলেকট্রোকার্ডিওগ্রাফির প্রবর্তক ওলন্দাজ চিকিৎসক উইলিয়াম আইটোফেন ডাচ।

 

১৮৮৮ – ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞ ভূপতিমোহন সেন।

 

১৯০৪ – রবার্ট মন্টগামারি, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।

 

১৯২১ – (ক)  শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি নামে পরিচিত প্রভাতরঞ্জন সরকার, ভারতীয় বাঙালি দার্শনিক ও আনন্দমার্গ’-এর প্রতিষ্ঠাতা।

 

(খ) আন্দ্রে শাখারভ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু বিজ্ঞানী, ভিন্নামতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মী, নোবেল বিজয়ী।

 

১৯৬০ – মোহনলাল, দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা।

 

১৯৭৫ – রব জেনকিনস বিখ্যাত অস্টেলিয়ান অভিনেতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০২ – জোয়া দ্য নোভা সেন্টের হেলেনা দ্বীপ আবিষ্কার করেন।

১৭৪৪ – ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যুদ্ধ শুরু।

১৮৪০ – ক্যাপ্টেন হবসনের নিউজিল্যান্ডে ব্রিটিশ সার্বভৌমত্ব দাবি।

১৮৫১ – অস্ট্রেলিয়ায় স্বর্ণ আবিষ্কৃত হয়।

১৮৭৭ – দশম রুশ-তুরস্ক যুদ্ধ শুরু।

১৯০৪ – ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) গঠিত।

১৯৩৮ – বেঙ্গল মোশন পিকচার এ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫৬ – প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ।

১৯৭৪ – যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সাহায্য চুক্তিস্বাক্ষর।

১৯৯০ – ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব ইয়েমেন এবং উত্তর ইয়েমেন রিপাবলিক অব ইয়েমেন নামে একত্র হতে সম্মত হয়।

১৯৯১ – রাজীব গান্ধী মাদ্রাজের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে মারা যান।

১৯৯১ – ক্রিকেট তারকা সাঈদ আনোয়ারের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ (১৯৪) রানের বিশ্ব রেকর্ড।

১৯৯৪ – ইয়েমেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৯৮ – ইন্দোনেশিয়ার স্বৈরশাসক জেনারেল সুহার্তো গণ-আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

২০০৩ – এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আলজেরিয়ায় দুই হাজার লোক নিহত হয়।

২০০৬ – বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবল সিস্টেমের উদ্বোধন হয়। এ কেবলের সাথে বিশ্বের ১৪টি দেশ যুক্ত রয়েছে।

২০১৭ – আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের কলকাতা ‘ক’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘গীতাঞ্জলি’ ও কলকাতা ‘খ’ প্রচারতরঙ্গের নাম ‘সঞ্চয়িতা’ য় পরিবর্তিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১১ – উইলিয়ামিনা ফ্লেমিং, স্কটল্যান্ডীয় জ্যোতির্বিদ।

১৯২০ – গ্রেট বেঙ্গল সার্কাসের প্রতিষ্ঠাতা প্রিয়নাথ বসু।

১৯২৬ – ফ্রিড্‌রিশ ক্লুগে, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৪৯ – জার্মান লেখক ক্লাউস মান।

১৯৫২ – জন গারফিল্ড, মার্কিন অভিনেতা।

 

১৯৯১ – রাজীব গান্ধী, ভারতের সাবেক (ষষ্ঠ) প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস সভাপতি।

১৯৯৪ – মাসিক সওগাত পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন।

 

২০০০ – জন গিলগুড, ইংরেজ অভিনেতা ও মঞ্চ পরিচালক।

 

২০০৩ – সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, বাঙালি অভিনেত্রী।

 

২০২১ – ভারতীয় বিশিষ্ট গড়ওয়ালি পরিবেশবিদ এবং চিপকো আন্দোলনের নেতা সুন্দরলাল বহুগুণা।

 

২০২১ – উসমান মনসুরপুরী, জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সভাপতি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২০ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২০ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস আজ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৯৯ – অনরে দ্য বালজাক, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার।

 

১৮০৬ – জন স্টুয়ার্ট মিল, ইংরেজ দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনীতিবিদ।

১৮২২ – ফ্রেদেরিক পাসি, ফরাসী অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিকর্মী।

১৮৬০ – এডুয়ার্ড বুখনার, জার্মান রসায়নবিদ।

১৮৮২ – সিগ্রিড উন্ড্‌সেট, একজন নরওয়ান ঔপন্যাসিক।

১৮৮৫ – প্রথম ফয়সাল, আরব বিদ্রোহের অন্যতম নেতা এবং ইরাকের প্রথম বাদশাহ।

 

১৯০৮ – জেমস স্টুয়ার্ট, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯১৩ – উইলিয়াম হিউলেট, আমেরিকান প্রকৌশলী এবং হিউলেট প্যাকার্ড কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

১৯১৮ – এডওয়ার্ড বি লুইস, মার্কিন জিনবিজ্ঞানী।

 

১৯২৩ – মমতাজ বেগম,মহান বাংলা ভাষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগ্রামী নারী।

 

১৯৩৫ – হোসে মুজিকা, উরুগুয়ের রাজনীতিবিদ এবং ৪০তম রাষ্ট্রপতি।

১৯৪১ – গোহ চক টং, সিঙ্গাপুরের রাজনীতিবিদ, সিঙ্গাপুরের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।

১৯৪৩ – ডেরেক মারে, সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

১৯৪৪ – কিথ ফ্লেচার, সাবেক ও বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৪৬ – শের, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী।

 

১৯৫২ – রজার মিলা, অবসরপ্রাপ্ত ক্যামেরুনিয়ান ফুটবলার।

১৯৫৭ – ইয়োশিহিকো নোদা, জাপানের রাজনীতিবিদ এবং ৬২তম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৪ – শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক ও অভিনেতা।

১৯৮১ – ইকার ক্যাসিয়াস, স্প্যানিশ ফুটবলার।

১৯৮২ – ইমরান ফরহাত, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

১৯৯২ – কেট ক্যাম্পবেল, অস্ট্রেলীয় প্রমিলা সাঁতারু।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৮ – ভাস্কো ডা গামা প্রথম ইউরোপীয়, যিনি আজকের দিনে জলপথে ভারতের কালিকট বন্দরে উপস্থিত হন।

১৬০৯ – শেক্সপিয়ারের সনেট প্রথম প্রকাশিত হয় লন্ডনে। প্রকাশক ছিলেন থমাস থর্প।

১৮৬৭ – মহারানি ভিক্টোরিয়া আজকের দিনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে রয়াল অ্যালবার্ট হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।

১৯০২ – কিউবা নিজেকে একটি প্রজাতন্ত্র হিসাবে ঘোষণা করে।

১৯১০ – টোকিও সরকার কোরীয় উপদ্বীপকে জাপানের অংশ বলে ঘোষণা করে।

১৯৩২ – ইয়ারহার্ট প্রথম মহিলা ‍যিনি একক উড্ডয়নে আটলান্টিক পাড়ি দেন।

১৯৩৪ – সীমান্ত বিরোধ নিয়ে সৌদী আরব ও ইয়েমেনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ হবার পর পরাজিত ইয়েমেন সরকার তায়েফ চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৯৩৯ – আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে প্যান আমেরিকান এয়ারওয়েজের বিমান চলাচল শুরু হয়।

১৯৫৪ – পাকিস্তানে ৯২ ক ধারায় গভর্নর শাসন জারি এবং পূর্ব পাকিস্তানে ফজলুল হক মন্ত্রিসভা বাতিল ঘোষণা।

১৯৭১ – ২০ মে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে খুলনার চুকনগরে পাকিস্থান আর্মি কর্তৃক সর্ববৃহৎ গণহত্যা সংগঠিত হয়।

১৯৮৩ – এইচআইভি ভাইরাস সম্পর্কে প্রথম প্রকাশিত হয় সায়েন্স ম্যাগাজিনে।

১৯৮৬ – বাংলা ভাষা নিয়ন্ত্রক সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ – বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল নাসিম ক্ষমতাচ্যুত হন।

২০০০ – ফিজির অভ্যুত্থানের নেতা জর্জ স্পেইট কর্তৃক নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫০৬ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস, ইতালীতে জন্মগ্রহণকারী নাবিক ও অভিযাত্রী।

১৮৫৪ – মতিলাল শীল,বিখ্যাত বাঙালি ব্যবসায়ী,সমাজসেবী ও দানবীর।

 

১৯৩২ – বিপিন চন্দ্র পাল, বাগ্মী বাঙালী নেতা ও ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের সৈনিক।

১৯৪০ – সুইডেনের নোবেলজয়ী (১৯১৬) কথাসাহিত্যিক কার্ল গুস্তাফ ভন হাইডেনস্টম।

 

১৯৪৭ – ফিলিপ লেনার্ড, বিখ্যাত হাঙ্গেরীয়-জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

 

১৯৪৭ – প্যারীমোহন সেনগুপ্ত, বাঙালি কবি প্রবন্ধকার ও শিশুসাহিত্যিক।

 

২০০২ – স্টিভেন জে গুল্ড, মার্কিন জীবাশ্মবিজ্ঞানী, বিবর্তনবাদী জীববিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ।

 

২০১৭ – আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও লেখক।

 

২০১৯ – অদ্রীশ বর্ধন,ভারতীয় বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস, জানুন দৈনন্দিন জীবনে মেট্রোলজির গুরুত্ব।

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস 2024: প্রতি বছর 20 মে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত হয়। এই দিনটি পরিমাপের বিজ্ঞান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ভূমিকার জন্য উত্সর্গীকৃত। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মেট্রোলজির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর একটি সুযোগ।

মেট্রোলজি হল সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য পরিমাপ পাওয়ার প্রক্রিয়া। এটি বৈজ্ঞানিক, শিল্প এবং আইনি দিক সহ পরিমাপের সমস্ত দিককে অন্তর্ভুক্ত করে। মেট্রোলজি পণ্য ও পরিষেবার গুণমান মূল্যায়ন, বাণিজ্যিক লেনদেনে ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে এবং নিরাপত্তা ও গুণমানকে উন্নীত করতে ব্যবহৃত হয়। আসুন বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস 2024-এর থিম, ইতিহাস, তাৎপর্য এবং ক্রিয়াকলাপগুলি দেখে নেওয়া যাক।

 

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস 2024: থিম

 

20 মে 2024-এ প্রথমবারের মতো বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস পালিত হবে। এই উপলক্ষে, ইউনেস্কো 14 মে প্যারিস সদর দফতরে “আমরা একটি টেকসই আগামীকালের জন্য আজ পরিমাপ করি” থিম নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

 

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস: ইতিহাস

 

ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অফ ওয়েটস অ্যান্ড মেজারস (বিআইপিএম) 1875 সালে মিটার কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বিআইপিএম হল একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা প্রমিত পরিমাপ ব্যবস্থার ব্যবহার প্রচারের জন্য নিবেদিত। মিটার কনভেনশন পরিমাপের মানগুলির উপর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছে। এর ফলে কিলোগ্রামের আন্তর্জাতিক প্রোটোটাইপ (IPK) ভরের মানক একক হিসেবে গড়ে ওঠে। ইন্টারন্যাশনাল প্রোটোটাইপ অফ দ্য মিটার (IPM) দৈর্ঘ্যের আদর্শ একক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।

 

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস 2024: তাৎপর্য

 

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের তাৎপর্য বোঝা যায় যে এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেট্রোলজির গুরুত্ব তুলে ধরার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এটি বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সামাজিক কল্যাণ প্রচারে এর ভূমিকার উপর জোর দেওয়ার একটি সুযোগ। উপরন্তু, বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস মেট্রোলজিস্টদের দক্ষতা প্রদর্শন এবং সমাজে তাদের অবদান প্রচার করার একটি সুযোগ প্রদান করে।

একজনকে সচেতন হওয়া উচিত যে মেট্রোলজির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে রয়েছে প্রমিত পরিমাপ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের জন্য যন্ত্র এবং পদ্ধতির বিকাশ, এবং বাণিজ্য, শিল্প, পরিবহন এবং জল সম্পদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেট্রোলজির প্রয়োগ। .

বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস 2024 উদযাপনের উপায়

  1. একটি সম্মেলনে যোগ দিন- বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উদযাপনের একটি ভাল উপায় হল মেট্রোলজি সম্পর্কে একটি সম্মেলনে যোগদান করা। আপনি দৈনন্দিন জীবনে মেট্রোলজির গুরুত্ব এবং প্রয়োগ সম্পর্কে আরও জানতে পারেন।
  2. মেট্রোলজি সম্পর্কে আরও জানুন- আপনি যদি মেট্রোলজি সম্পর্কে অনিশ্চিত হন তবে আপনি এটি সম্পর্কে আরও জানতে পারেন। মেট্রোলজি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ এবং এর প্রয়োগ বিভিন্ন মূল শিল্পে দেখা যায়। সুতরাং এটি সম্পর্কে শেখা দিনটি উদযাপন করার একটি দুর্দান্ত উপায়।
  3. সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন- আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে দিনটি সম্পর্কে আরও লোকেদের জানাতে পারেন৷ আপনি পোস্টার বা ইনফোগ্রাফিক্স তৈরি করতে পারেন যাতে অন্যরা মেট্রোলজি এবং এর গুরুত্ব সম্পর্কে আরও জানতে এবং শেয়ার করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য–

 

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ লিগাল মেট্রোলজি সদর দপ্তর: প্যারিস, ফ্রান্স।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ লিগাল মেট্রোলজি প্রতিষ্ঠিত: ১৯৫৫।

 

।।তথ্য ঋণ  : অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ইন্টারনেট।।

 

Share This
Categories
কবিতা

মানবিকতা : রাণু সরকার।

অন্ধকূপে ডুবে যাচ্ছে মানবিকতা,
খুঁজে পাওয়া যাবে না ভবিষ্যতে পরিমাপন যন্ত্রের সাহায্যেও,
অধঃপতিত অবস্থায় এখন বর্তমান,
সংকটের বন্ধনে আছে আবদ্ধ।

মানব জীবনের সম্মুখে সংকটকাল-
জীবন্ত মানুষ ঘুরে বেড়ায় মৃত্যুর দরবারে,
গোপন পথেও চলছে প্রতারণা,
হারিয়ে ফেলছে সভ্যতার অঙ্গীকার।
মানুষের পরিচয় দিতে কষ্ট হয়-
নব প্রজন্মের কাছে,
বারেবারে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।

মানবিকতা এখন ক্ষতবিক্ষত,
কারাবন্দি অবস্থায় জানা নেই তার গন্তব্যস্থল,
ঠায় দাঁড়িয়ে তাই দিন গোনে মুক্তির।
তবে, মুক্তি কি পাবে মনে সংশয় জাগে।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৯ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৯ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৯০ – হো চি মিন,ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯০৮ – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

 

১৯১০ – অ্যালান মেলভিল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯১৩ – নীলম সঞ্জীব রেড্ডি, ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।

 

১৯১৪ – (ক)  অমিতা সেন, ১৯৩০ এর দশকে শান্তিনিকেতনে ‘খুকু’ নামে পরিচিত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

(খ) ম্যাক্স ফার্দিনান্দ পেরুতয, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আণবিক জীববিজ্ঞানী।

১৯২২ – অমর পাল,ভারতের বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লেখক।

১৯২৫ – পল পট, কম্বোডিয়ার খেমাররুজ দলের নেতা।

১৯২৫ – ম্যালকম এক্স, আফ্রিকান-মার্কিন মুসলিম রাজনীতিবিদ ও ধর্মীয় নেতা।

 

১৯৩৪ – রাস্কিন বন্ড, ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ভারতীয় লেখক।

 

১৯৩৮ – গিরিশ কারনাড, ভারতীয় ভাষাবিজ্ঞানী, চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক।

১৯৪৬ – আন্দ্রে দি জিয়ান্ট, ফরাসী বংশোদ্ভূত আমেরিকান পেশাদার কুস্তিগির এবং অভিনেতা।

 

১৯৭৪ – নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

১৯৭৯ – আন্দ্রেয়া পিরলো, ইতালীয় পেশাদার ফুটবলার।

১৯৭৯ – দিয়েগো ফরলান, উরুগুয়ের জাতীয় ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়।

১৯৮৫ – অ্যালিস্টার ব্ল্যাক, ওলন্দাজ পেশাদার কুস্তিগির।

১৯৯২ – মার্শমেলো, মার্কিন ইলেকট্রনিক সঙ্গীত প্রযোজক এবং ডিজে।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৭ – ইংরেজ কবি অস্কার ওয়াইল্ডের কারামুক্তি।

১৯৩০ – দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ মহিলাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ।

১৯৩৬ – বৃটিশ আবিষ্কারক ওয়াটসন ওয়াট রাডার নির্মাণ করেন।

১৯৪৩ – তৎকালীন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন রুজভেল্ট ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করে জার্মান অধিকৃত ফ্রান্সের উপকূল নর্মান্ডিতে মিত্রপক্ষের সৈন্য অবতরণের একটি তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন।

১৯৫৪ – ভারত-মার্কিন সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৬১ – আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারি ভাষার মর্যাদার দাবিতে বাংলা ভাষা আন্দোলন (বরাক উপত্যকা)-এ প্রাদেশিক পুলিশের গুলিতে ১১ জন শহীদ হন।

১৯৮০ – পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি হতে প্রথম উত্তরবঙ্গ সংবাদ প্রকাশিত হয়।

১৯৮৯ – বেজিংয়ে সামরিক শাসন জারি।

১৯৯১ – সাবেক যুগশ্লাভিয়াভুক্ত ক্রোয়েশিয়ীদের স্বাধীনতার জন্য গণভোট।

১৯৯৩ – মেডেলিনে কলম্বিয়া জেটলাইনার বিধ্বস্ত হয়ে ১৩২ জন নিহত।

১৯৯৪ – মালাবিতে প্রথম বহুদলীয় নির্বাচনে বাকিলি মুলুজের কাছে ৩০ বছরের সামরিক শাসক কামুজুবান্দা পরাজিত।

১৯৯৭ – বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ে সাড়ে ৩ শতাধিক প্রাণহানি, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।

২০০১ – প্রথম অ্যাপল রিটেইল স্টোর উদ্ভোধন।

২০১৯ – বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬২৩ – জোধাবাই, রাজস্থানের রাজপুতঘারানার রাজা ভারমালের জ্যেষ্ঠ কন্যা।

১৮৬৪ – ন্যাথানিয়েল হথর্ন, আমেরিকান উপন্যাসিক, ডার্ক রোম্যান্টিক এবং ছোটগল্প লেখক।

১৯০৩ – আর্থার শ্রিউসবারি, ইংলিশ ক্রিকেটার।

 

১৯০৪ – জামশেদজী টাটা, ভারতের অগ্রণী শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৩৫ – টি. ই. লরেন্স, লরেন্স অব এ্যারাবিয়া নামে পরিচিত ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ব বিশারদ, সামরিক নীতি নির্ধারক এবং লেখক।

১৯৩৬ – মারমাডিউক পিকথাল, ইংরেজ ইসলামি পণ্ডিত।

১৯৪৬ – বুথ টার্কিংটন, মার্কিন ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার।

১৯৫৮ – স্যার যদুনাথ সরকার, বাঙালি ইতিহাসবিদ।

১৯৫৮ – রোনাল্ড কলম্যান, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৬১ – বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষার আন্দোলনে যে এগারোজন শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে শহীদ হন –

কমলা ভট্টাচার্য

কানাইলাল নিয়োগী

 

চন্ডীচরণ সূত্রধর,

হিতেশ বিশ্বাস,

সত্যেন্দ্রকুমার দেব,

কুমুদরঞ্জন দাস,

সুনীল সরকার,

 

তরণী দেবনাথ ;

শচীন্দ্র চন্দ্র পাল;

বীরেন্দ্র সূত্রধর  এবং

সুকোমল পুরকায়স্থ।

 

১৯৬৬ – সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, খ্যাতনামা সাহিত্যিক ও আইনজীবী।

১৯৭০ – অভিধানকার, লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আবদুল ওদুদ।

 

১৯৭৯ – হাজারী প্রসাদ দ্বিবেদী , হিন্দি ভাষার ঔপন্যাসিক,প্রাবন্ধিক ও সমালোচক।

১৯৮৭ – (ক) বাঙালি বামপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও ইতিহাসবিদ চিন্মোহন সেহানবীশ।

 

(ক) ছিদ্দিক আহমদ, বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ।

১৯৯৪ – জ্যাকলিন কেনেডি ওনাসিস, সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি।

 

১৯৯৭ – শম্ভু মিত্র, বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব।

২০০৯ – রবার্ট ফ্রান্সিস ফার্চগট, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

২০১২ – সফিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী।

 

২০২২ – আবদুল গাফফার চৌধুরী, কালজয়ী একুশে গানের রচিয়তা, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বিশ্ব তথ্য সমাজ দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস 2024–

প্রতি বছর 17 মে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস উদযাপন করা হয়।  এই বিশেষ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় তথ্য সোসাইটির বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনের সময় যে দৃষ্টিভঙ্গি সেট করা হয়েছিল।  লক্ষ্য হল এমন একটি সমাজ তৈরি করা যা মানুষের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং মৌলিক মানবাধিকারের উপর ভিত্তি করে উন্নয়নের লক্ষ্য রাখে।

তথ্যের শক্তি—-

 

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের উদ্দেশ্য হল কীভাবে তথ্য ও যোগাযোগ সমাজকে পরিবর্তন করতে পারে সে সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা।  ধারণাটি হল ব্যক্তিদের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছানোর জন্য তথ্য এবং জ্ঞান তৈরি, অ্যাক্সেস, ব্যবহার এবং ভাগ করে নিতে সহায়তা করা।  ইউনেস্কোর মতো সংস্থাগুলি এই দিনের লক্ষ্যগুলিকে সমর্থন করে এমন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে সক্রিয়ভাবে লোকেদের উত্সাহিত করে৷

 

জনসাধারণকে জড়িত করা—-

 

কিছু ছুটির দিন থেকে ভিন্ন, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস একটি ছুটির দিন নয়।  যাইহোক, আমাদের সংযুক্ত বিশ্বে তথ্য এবং যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য বিশ্বজুড়ে লোকেরা বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করে।

 

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস 2024 থিম—

 

2024 সালের বিশ্ব টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সোসাইটি ডে (WTISD) এর জন্য নির্বাচিত থিম হল “টেকসই উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল উদ্ভাবন।”“Digital Innovation for Sustainable Development.”।

 

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের ইতিহাস—

 

এই দিনের উৎপত্তি এই দিবসে ফিরে যায়, যা 1865 সালের 17 মে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর প্রতিষ্ঠাকে চিহ্নিত করেছিল। 2006 সালে, জাতিসংঘ 17 মেকে এই দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিল।  প্রথম উদযাপন 17 মে, 2006-এ হয়েছিল, বিশ্বব্যাপী মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপনে ITU-এর ভূমিকাকে স্বীকৃতি দিয়ে।

মূলত, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস, 1969 সালে শুরু হয়, বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের চ্যালেঞ্জগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।  প্রযুক্তির বিকাশের সাথে সাথে, জাতিসংঘ উদযাপনটিকে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সোসাইটি দিবসে প্রসারিত করেছে।  উদ্দেশ্য হ’ল ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তি কীভাবে সমাজ এবং অর্থনীতিকে উপকৃত করতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণভাবে, ডিজিটাল বিভাজনের সেতুবন্ধন করতে পারে সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

 

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবসের তাৎপর্য——

 

যদিও টেলিযোগাযোগ দিবসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো প্রতীক নেই, তবুও এই দিনটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেখানোর জন্য ইউনেস্কো আধুনিক প্রযুক্তির ছবি ব্যবহার করে।  এই চিহ্নগুলি দৃশ্যত আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমাদের বিশ্ব গঠনে তথ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

 

17 মে 2024 বিশেষ দিন—-

 

17 মে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, জন-কেন্দ্রিক তথ্য সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পিছনে বিশ্বব্যাপী একত্রিত হওয়ার একটি অর্থবহ সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে।  এই সংযোগ-কেন্দ্রিক অনুষ্ঠানের প্রতীকী সময় ডিজিটাল ইক্যুইটির দিকে অগ্রাধিকার পুনরুদ্ধার করার নিখুঁত সুযোগ উপস্থাপন করে, একটি মানবাধিকার হিসাবে অ্যাক্সেসের জন্য গভীর উপলব্ধি বৃদ্ধি করে এবং একটি ন্যায্য ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদ প্রকাশ করে।  ইনফরমেশন সোসাইটির বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলন যেমন সার্বজনীন অধিকারের উপর ভিত্তি করে উন্নয়নের জন্য উচ্চাকাঙ্খী লক্ষ্য নির্ধারণ করে, বিশ্ব টেলিযোগাযোগ দিবস সম্মিলিত আশাকে পুনর্নবীকরণ করে এবং এমন একটি সমাজ তৈরি করার আমাদের ভাগ করা ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাসকে পুনরুজ্জীবিত করে যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।  এই বিশেষ দিনে একত্রিত হওয়ার মাধ্যমে, আমরা সংহতির চেতনা জাগিয়ে তুলতে পারি যা প্রযুক্তির সম্ভাবনায় ভরপুর একটি ভবিষ্যতের সূচনা করে যা সকল মানুষকে ক্ষমতায়ন এবং সংযুক্ত করতে পারে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ

১৯শে মে বাংলা ভাষা অন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি : দিলীপ রায় (৯৪৩৩৪৬২৮৫৪) ।

আজ ১৯শে মে । ১৯৬১ সালের আজকের দিনে বাংলা মাতৃভাষা অন্দোলনে  অসম রাজ্যের শিলচরে ১১ জন তরতাজা প্রাণ দিয়েছিলেন ।
প্রথমেই বলে রাখি অসম রাজ্যে দুটি উপত্যকা — একটি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা যেমন গুয়াহাটি ও আশপাশ এলাকা এবং অন্যটি হচ্ছে বরাক উপত্যকা । ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অসম রাজ্যের অন্তর্গত বাংলাভাষী ভূ-খণ্ড বরাক উপত্যকার মধ্যে রয়েছে করিমগঞ্জ, হইলাকান্দি, বদরপুর, শিলচর প্রভৃতি বাঙালি অধ্যুষিত শহর  । দেশ বিভাগের আগে অবিভক্ত সিলেট জেলাসহ এই বরাকের অধিবাসী বাঙালিরাই পুরো আসাম প্রদেশের নেতৃত্ব দিয়েছে । আপনাদের হয় তো মনে থাকবে,  অবিভক্ত অসম রাজ্য ভেঙে তৈরি হয় ত্রিপুরা, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মেঘালয় ও  অরুণাচল প্রদেশ রাজ্য ।
আসামের বরাক উপত্যকার বাংলা ভাষার আন্দোলন ছিল আসাম সরকারের অসমীয়া ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে । ১৯৬০-৬১ সালের ঘটনা । তৎকালীন আসাম  প্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিলো, বাংলাভাষী অধ্যুষিত এই অঞ্চলের সরকারি ভাষা হবে অসমীয়া । বরাক উপত্যকার সাধারণ মানুষ হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এই সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখলেন না । তাই  বাংলা ভাষার স্বীকৃতির জন্যে তাঁরা মরণপণ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন । এই গণ আন্দোলনের প্রধান উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি ঘটে ১৯৬১ সালের ১৯ মে । সেদিন ১১ জন প্রতিবাদীকে শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে আসাম পুলিশ গুলি করে হত্যা করে । সেই আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত আসাম সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল ।  শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তারপর থেকে  ১৯শে মে, বাংলা ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে দিনটি পালিত  হচ্ছে  সারা দেশে ।
এবার পেছনের দিকে আসা যাক ।   আমরা জানি, পাকিস্তান সরকারের উর্দু ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী ভাষা অন্দোলনের কথা । ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বরকত-সালাম-জব্বারেরা শহিদ হয়েছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে । তারপর ধাপে ধাপে বাংলা ভাষার নিরিখে ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছিল একটি রাষ্ট্র, নাম বাংলাদেশ ।
এবারে আসছি তৎকালীন আসাম রাজ্যের বাঙালী অধ্যুষিত বরাক উপত্যকায় অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত প্রসঙ্গে । ১৯৬০ সালের এপ্রিলে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে অসমীয়া ভাষাকে প্রদেশের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার একটি প্রস্তাবের সূচনা হয় । তারপর ১০ অক্টোবর, ১৯৬০ সালের  তদানীন্তন আসামের মুখ্যমন্ত্রী বিমলা প্রসাদ চলিহা অসমীয়াকে আসামের একমাত্র সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন । যদিও  উত্তর করিমগঞ্জ-এর  বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাস এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন । কিন্তু তা সত্ত্বেও ২৪ অক্টোবর প্রস্তাবটি বিধানসভায় গৃহীত হয় ।
তারপর অসমীয়া ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার বিরূদ্ধে বরাক উপত্যকার মানুষদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা শুরু হয় । মানুষ প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন । ফলশ্রুতি হিসাবে বরাক উপত্যকার মানুষেরা সরকারের প্রতিবাদ করতে ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি  কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদ নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন ।  আসাম  সরকারের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ১৪ এপ্রিল  শিলচর, করিমগঞ্জ ও  হাইলাকান্দির মানুষেরা  সংকল্প দিবস হিসাবে পালন করেন ।  বরাকের জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য গণ সংগ্রাম পরিষদ  ২৪ এপ্রিল  দীর্ঘ পদযাত্রা শুরু করেছিল । ২মে  শেষ হওয়া এই পদযাত্রাটিতে অংশ নেওয়া অন্দোলনকারিরা  প্রায় ২০০ মাইল উপত্যকাটির গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রচার চালিয়েছিলেন । পদযাত্রার শেষে সিদ্ধান্ত হয়, ১৯ মে তাঁরা ব্যাপক হরতাল করবেন  । ১৯ মে  শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে হরতাল ও  পিকেটিং শুরু হয় । করিমগঞ্জে আন্দোলনকারীরা সরকারী কার্যালয়, রেলওয়ে স্টেশন, কোর্ট,  ইত্যাদিতে পিকেটিং করেন । শিলচরে তারা রেলওয়ে স্টেশনে সত্যাগ্রহ করেছিলেন । বিকেল ৪টার সময়সূচির ট্রেনটির সময় পার হওয়ার পর হরতাল শেষ করার কথা ছিল । ভোর ৫:৪০ এর ট্রেনটির একটিও টিকিট বিক্রি হয়নি । সকালে হরতাল শান্তিপূর্ণ ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল । কিন্তু বিকালে স্টেশনে অসম রাইফেল এসে উপস্থিত হয় । বিকেল প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনে   আন্দোলনকারীদেরকে  বন্দুক ও লাঠি  দিয়ে মারতে শুরু করে । এরপর সাত মিনিটের ভিতর তারা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে  চালায় ।  ন’জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন,  দু’জন পরে মারা যান । (নীচে শহীদদের ফটোসহ নাম দেওয়া হলো ) । সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ,  প্রথম একজন মহিলা ভাষা অন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন, নাম কমলা ভট্টাচার্য ।
সেই আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত  আসাম সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল এবং আসাম সরকার বরাক উপত্যকায় বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসাবে ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল  । তারপর সেই ঘটনার পর থেকে ১৯শে মে বাংলা ভাষা শহীদ দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা দেশে । উল্লেখ থাকে যে বরাক উপত্যকায়  শুধু নয়,  পৃথিবীর আপামর বাংলা ভাষাভাষীর মানুষ ১৯ মে কে বাংলা ভাষা শহীদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছে  যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে । তাই বলা চলে,  ১৯৬১ সালের ১৯শে মে বরাক উপত্যকার শিলচরের ভাষা অন্দোলন — বিশ্বের মাতৃভাষা আন্দোলনের অন্যতম দৃষ্টান্ত ।  (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)
১৯শে মে ভাষা দিবসের শহীদদের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

Share This