Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024: তারিখ, থিম, ইতিহাস, তাৎপর্য এবং কার্যকলাপ।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024: প্রতি বছর 18 মে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত হয়। দিবসটি 1977 সালে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মিউজিয়াম (আইসিওএম) দ্বারা সমাজে জাদুঘরের ভূমিকা প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

সামগ্রিকভাবে, জাদুঘর দিবস হল জাদুঘরের বিশ্ব উদযাপন করার এবং সমাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেওয়ার একটি দিন। জাদুঘর আমাদের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক বিস্ময় সম্পর্কে জানতে সাহায্য করে। তারা প্রতিফলন এবং সৃজনশীলতার জন্য স্থান প্রদান করে। আসুন ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024 উদযাপনের উপায় সম্পর্কে আরও জানি।

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024: থিম

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024-এর থিম হল  “শিক্ষা ও গবেষণার জন্য জাদুঘর”

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024: তাৎপর্য

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হল জাদুঘরগুলি কীভাবে সমাজে অবদান রাখে সে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়, বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তি প্রচার করা। জাদুঘরগুলি মানুষকে একত্রিত করতে এবং উদযাপনের জন্য একটি থিমের সাথে তাদের আবদ্ধ করতে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। প্রতি বছরের আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের থিম একটি বার্তা বহন করে যা একটি নির্দিষ্ট বিষয় এলাকার গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

জাদুঘর হল এমন জায়গা যেখানে লোকেরা বিভিন্ন সংস্কৃতি , ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক বিস্ময় সম্পর্কে জানতে পারে । তারা প্রতিফলন এবং সৃজনশীলতার জন্য স্থান প্রদান করে। আমরা কেন জাদুঘর দিবস উদযাপন করি তার একটি প্রধান কারণ হল সমাজ গঠনে যাদুঘরের মূল্যকে উপলব্ধি করা। জাদুঘরগুলি আমাদের চারপাশের জগতকে বুঝতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অন্যান্য মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।

তারা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জাদুঘরগুলি বিভিন্ন সংস্কৃতির লোকেদের মধ্যে ঐক্য ও বোঝাপড়ার প্রচারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জাদুঘরগুলি জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া এবং বিশ্বের একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি প্রচারের জন্য নিবেদিত৷

যাদুঘরগুলি পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই অনুশীলনের প্রচারের জন্য নিবেদিত। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণেও তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 

কিভাবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস 2024 উদযাপন করবেন?

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল একটি জাদুঘর পরিদর্শন করা। একা বা বন্ধু বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি একটি জাদুঘরে যান৷ আপনার আগ্রহের একটি যাদুঘর দেখার জন্য আপনি একটি ভিন্ন শহরে ভ্রমণের মাধ্যমে দিনটিকে স্মরণ করতে পারেন৷

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের আরেকটি উপায় হল আপনার স্থানীয় যাদুঘরে একটি সংগ্রহ, শিল্পের অংশ, উত্তরাধিকার বা অর্থ দান করা। এটি আপনার স্থানীয় জাদুঘরকে সমর্থন করার এবং ভবিষ্যত প্রজন্মেররাও এটি উপভোগ করতে সক্ষম হবে তা নিশ্চিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়।

আপনার যদি আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপনের অন্য কোন পরিকল্পনা থাকে, যেমন একটি ইভেন্ট বা কর্মশালায় যোগদান করা, তবে আজ একটি জাদুঘর পরিদর্শন করা এবং একটি পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পরিদর্শন জাদুঘরের গুরুত্ব এবং সমাজে তাদের ভূমিকা সম্পর্কে আপনার মন পরিবর্তন করতে পারে।

 

আন্তর্জাতিক যাদুঘর দিবস: ইতিহাস

 

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস আনুষ্ঠানিকভাবে 1977 সালে রাশিয়ার মস্কোতে ICOM সাধারণ পরিষদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের ধারণাটি 1951 সালে মস্কোতে জাদুঘরের জন্য ক্রুসেডের বৈঠকের সময় প্রথম রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল। মিটিং, যা যাদুঘর এবং শিক্ষার থিমের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, যাদুঘর অ্যাক্সেসযোগ্যতার জন্য একটি কাঠামোর উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করে।

1977 সালে, কাঠামোটি ICOM সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল এবং 1979 সালে, ইভেন্টের প্রথম অফিসিয়াল পোস্টার চালু করা হয়েছিল। “সাংস্কৃতিক পণ্যে অবৈধ ট্রাফিকের বিরুদ্ধে লড়াই” শিরোনামের পোস্টারটি 28 টি দেশ দ্বারা অভিযোজিত হয়েছে।

2011 সালে, ICOM আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের জন্য একটি ওয়েবসাইট এবং যোগাযোগ কিট তৈরি করেছে। এই উদ্যোগটি প্রথমবারের মতো চিহ্নিত করেছে যে ICOM ইউরোপীয়ান নাইট অফ মিউজিয়ামের পৃষ্ঠপোষক ছিল। ইভেন্টটি, যা প্রতি বছর 18 মে অনুষ্ঠিত হয়, যাদুঘরের কার্যকলাপে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং যাদুঘর সংস্কৃতি সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা উদযাপন করে।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে মৃণাল সেনের অবদান।।।।

প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও লেখক মৃণাল সেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন, যিনি তাঁর ছবির মধ্য দিয়ে মানুষের কথা, তাদের দুঃখ-বেদনা, হেরে যাওয়ার কথা, আর সেই হেরে যাওয়া থেকে লড়াই করে উঠে আবার বেঁচে ওঠার কথা  বলেছেন।  তৎকালীন যে তিন স্তম্ভ (সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক এবং মৃণাল সেন এই ত্রিশঙ্কু), বাংলা চলচ্চিত্র কে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠা করেছিল, তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মৃণাল সেন। আজ তার জন্ম দিবস।

 

 

জন্ম–

 

১৯২৩ সালের ১৪ মে মৃণাল সেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত পূর্ব বঙ্গের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের একটি শহরে বৈদ্যব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

 

প্রথমিক জীবন —

ফরিদপুরে থাকাকালীন সময়ে তিনি সেখানেই উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও তিনি কখনও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন নি। চল্লিশের দশকে তিনি সমাজবাদী সংস্থা আইপিটিএর (ইন্ডিয়ান পিপ্‌লস থিয়েটার অ্যাসোসিয়েশন) সঙ্গে যুক্ত হন এবং এর মাধ্যমে তিনি সমমনভাবাপন্ন মানুষদের কাছাকাছি আসেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার পর তিনি একজন সাংবাদিক, একজন ওষুধ বিপননকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দ কলাকুশলী হিসাবে কাজ করেন। চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে, এক জার্মান লেখক রুডল্ফ আর্নহেইম লেখা, ‘ফিল্ম এস আর্ট’ বইটি পড়ে। চলচ্চিত্র জগতে তাঁর প্রথম হাতেখড়ি ঘটে, কলকাতার টলিপাড়ার একটি স্টুডিওতে অডিও টেকনিশিয়ান হিসেবে। যদিও সে কাজটি তাঁর একেবারেই পছন্দ ছিল না।

 

 

কর্ম জিবন—

 

মৃণাল সেন বাংলা, হিন্দি, ওড়িয়া ও তেলুগু ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তিনি কখনও কঠোর বাস্তব, তো কখনও মানুষের মনের থেকে স্বপ্ন ও দুঃস্বপ্নকে নিংড়ে নিয়ে এসে পর্দায় তৈরি করতেন এক অদ্ভুত ছবি।আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক বেড়াজালে, যে মানুষগুলোর ভাষা হারিয়ে গেছিল, সেন হয়ে উঠেছিলেন তাদের কণ্ঠস্বর, তাদের প্রতিবাদের ভাষা।
১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাত-ভোর মুক্তি পায়। তবে এই ছবিটি বেশি সাফল্য না পেলেও তার দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নিচে তাকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। আর তার তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবণ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান।
১৯৬৯ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত ছবি ভুবন সোম।অনেকের মতে এই ছবিটি মৃণাল সেনের শ্রেষ্ঠ ছবি। তৎকালীন অন্যান্য বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের মত সেনের ছবিতেও ধরা পড়েছিল শহর কলকাতা। তিনটি ছবি  ‘সাক্ষাৎকার’ , ‘কলকাতা 71’ ,  এবং ‘পদাতিক’, বিভিন্ন কলকাতাকেন্দ্রিক ছবিগুলির মধ্যে সেরা ছবি হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রথাগত ধারণার ঊর্ধ্বে এই ছবিগুলি, দারিদ্র, দুর্ভিক্ষ, বেকারত্বের মতন বাস্তব বিষয়গুলি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছিল। মৃণাল সেন মধ্যবিত্ত সমাজের নীতিবোধকে তুলে ধরেন তার দুটি ছবি এক দিন প্রতিদিন (১৯৭৯) এবং খারিজ (১৯৮২) এর মাধ্যমে। খারিজ ১৯৮৩ সালের কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল। ১৯৮০ সালের চলচ্চিত্র আকালের সন্ধানে। এই ছবিতে দেখানো হয়েছিল একটি চলচ্চিত্র কলাকুশলীদলের একটি গ্রামে গিয়ে ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষের উপর একটি চলচ্চিত্র তৈরির কাহিনী। আকালের সন্ধানে ১৯৮১ সালের বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ জুরি পুরস্কার হিসাবে রুপোর ভালুক জয় করে। মৃণাল সেনের পরবর্তীকালের ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মহাপৃথিবী (১৯৯২) এবং অন্তরীন (১৯৯৪)। এখনও অবধি তার শেষ ছবি আমার ভুবন মুক্তি পায় ২০০২ সালে।

 

 

মৃণাল সেন শুধু বাংলা নয় ওড়িয়া এবং তেলেগু ছবিও তৈরি করেছিলেন, যেগুলি একই রকম প্রশংসার অধিকারী। সত্যজিৎ রায়, তার তেলেগু ছবি, ‘ওকা ওরি কথা’, দেখার পর বলেছিলেন, মৃণাল সেনের ছবি এবং তার তৈরীর ধরন দেখে তিনি ঈর্ষান্বিত।মৃনাল সেন বেশকিছু ডকুমেন্টারি ও শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছিলেন, যেগুলি বেশিরভাগই আন্তর্জাতিক উৎসবে জায়গা করে নিয়েছিল।

ভারত সরকার দ্বারা তিনি, ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৮১) এবং ‘দাদাসাহেব ফালকে’( ২০০৫) পুরস্কার এ ভূষিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ অবধি ভারতীয় সংসদের সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করেন। ফরাসি সরকার তাকে কম্যান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস (Ordre des Arts et des Lettres ) সম্মানে সম্মানিত করেন। এই সম্মান ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করেন।

মৃণাল সেন ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের ৩০ তারিখ রবিবার সকালে নিজ বাসভবনে ৯৫ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
নারী কথা

এক মায়ের সংগ্রামের কহানী।

এমন মায়ের সংগ্রাম আপনারা আগে শোনেননি। নিজের নয় বছরের মেয়েকে ঝকঝকে একটা ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পেট্রোল পাম্পে কাজ করছেন ২৭ বছরের মা। উপলক্ষ একটাই, মেয়ের শিক্ষা। বাঁকুড়ার তীব্র দাবদাহ, গনগনে আগুন ছুটেছে বেশ কিছুদিন। এবার পালা বৃষ্টির। তবে গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন বাসে করে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর পেট্রোল পাম্পে কাজ করতে আসছেন টুম্পা সিংহ। মাঝে মাঝে এই পেট্রোল পাম্পেই মেয়েকে নিয়ে আসেন টুম্পা। এখানেই বসে পড়াশোনা করে টুম্পার কন্যা আয়ুশী সিংহ। কেন এই কাজ করছেন টুম্পা? একজন নারী হয়েও পেট্রোল পাম্পের চাকরি করছেন বলে কি সমাজের কাছে কোনও কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে? উত্তরে টুম্পা বলেন, “বাড়িতে বাবা মা রয়েছেন, আয়ুশীকে বড় করে তোলাই আমার লক্ষ। কষ্ট হলেও আমাকে কাজ করতে হবে। সবাই মোটামুটি মুখ চেনা হয়ে গেছে, মানুষ আমার কাজকে ছোট না করে বরঞ্চ উৎসাহ যোগায়।”

পেট্রোল পাম্প এর ওনার নিবেদিতা বিশ্বাস জানান, টুম্পার বাড়িতে তার বাবার দোকান থেকে যা আয় হয় তাতে খাবার খরচই ভাল ভাবে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করার জন্য টুম্পা কাজের সন্ধানে আসেন এই পেট্রোল পাম্পে। তার পর থেকেই কাজ শুরু করেছেন টুম্পা। পেট্রোল পাম্পের ওনার নিবেদিতা বিশ্বাস আরও বলেন যে, “আমি এই ফাইটিং স্পিরিটটাকে কুর্নিশ জানাই।”

একজন মা পেট্রোল পাম্পে কাজ করছেন। সেই ছবি যেন আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা যোগায় মহিলাদের। প্রায় নিয়মিত গোবিন্দনগর এলাকার এই পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের নার্সিং স্টাফ নিবেদিতা খাঁ। তিনি বলেন, “এত প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন এই দিদি। এই লড়াই সত্যিই অপ্রিসিয়েবেল।” এছাড়াও পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা ভানু বিশ্বাস বলেন, “পৃথিবীতে এর উদাহরণ বিরল। একজন মা তার সন্তানকে শিক্ষিত করতে যে কাজ করছে এরকম আর কোথাও হয়নি।”
বাঁকুড়ার টুম্পা সিংহ যেন সেই সব মেয়েরই জলন্ত উদাহরণ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মানবতা মানুষের উৎকৃষ্ট বৈশিষ্ট্য – একটি পর্যালোচনা :  দিলীপ রায়।

“মানবতা” শব্দ নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা পাঠক সমাজে ইতিমধ্যে উপহার দিয়েছি । তবুও আমি মনে করি ‘মানবতা’ নিয়ে ঐ কয়েকটা লেখা জন-সচেতনার পক্ষে যথেষ্ট নয় । মানবতা, মানবিকতা, মানবপ্রেমী, ইত্যাদি শব্দগুলি আজকের দিনে খুব প্রাসঙ্গিক । রাস্তা ঘাটে হাঁটলে এবং চারিদিকের মানুষজনের দিকে তাকালে মানবিকতার কথা মনের ভিতর উদ্রেক ঘটলে, মুখে একটা শুকনো হাসি পায় । একটা কথা বার বার ঘুরপাক খায়, “হায় রে মানবিকতা ! তোর এত আকাল !” চোখ বুজে ভাবলে একটা কথা মুখ দিয়ে উচ্চারণ হয়, “নিঃস্বার্থ মানবিকতা কোথায় ?” অথচ আমরা জানি, প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে মানবিকতা বিরাজমান । মনুষ্যত্বহীন মানুষকে মানুষ বলা সমাজের দৃষ্টিতে প্রচণ্ড কঠিন । সমাজের দৃষ্টিতে মানবিকতা মানুষের সুপ্ত গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম গুণ ।  সুতরাং এটা বলা যায়, মানুষ মানবিকতার অধিকারী । মানুষ্যত্ববোধ, মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানুষের কার্যকর অস্তিত্বের মধ্যেই “মানুষ’এর প্রকাশ । তাই বলা চলে, মানবিকতা  ছাড়া মানুষ নয় । মানবিকতা  আছে বলেই মানুষ অর্থাৎ মানবিকতা ধারন বা লালন করে বলেই মানুষ । কিন্তু দুঃখের বিষয় —  মানব কল্যাণে মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ দূরবীণ দিয়ে দেখার মতো  !
“মানবতা” শব্দের সঙ্গে গভীরভাবে যে শব্দটি জড়িয়ে আছে সেটা হচ্ছে ‘নিঃস্বার্থ’ । কারণ আমরা জানি, যখন কোনো মানুষ, মানুষের কল্যাণে কাজ করবে সেটা থাকতে হবে সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ ।  কিন্তু বতর্মানে একেবারে স্বাথের্র বাইরে মানুষ মানবিকতার নিরিখে কতটা কাজ করে বা করছে সেটা স্থিরভাবে বলা খুব কঠিন । কিছু ক্ষেত্রে  প্রত্যক্ষভাবে কোনো স্বার্থ না থাকলেও পরোক্ষভাবে রয়েছে । বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক সংগঠনকেই  মানবসেবা, মানব কল্যাণে কাজ করতে দেখা যায় । তাদের প্রয়াস কতটা  ব্যাপৃত সেটা এখন ভাববার বিষয় ? সমাজে  যারা অভাবী, অসহায়, সম্বলহীন, খেটে খাওয়া অতি সাধারণ মানুষ  প্রয়োজনে ঐসব সংগঠন থেকে  তারা কতটা উপকৃত হচ্ছে — তার কোনো রিপোর্টিং বা সংবাদ মাধ্যমে খবর আমাদের চোখে পড়ছে  না  !  তারা আর্থিক দিক থেকে যেমন দুর্বল তেমনি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের  ক্ষেত্রে  অনেক পিছিয়ে । মুখে না বলে বাস্তবে অভাবী, যাকে বলে অভাবগ্রস্থ  মানুষের পাশে দাঁড়ালে মানব কল্যাণ কথাটার  স্বার্থক রূপ  পেতো ।
মানবতাপ্রেমী বলে যারা চিল্লাচ্ছেন তাঁদের কর্মকাণ্ড খানিকটা বিজ্ঞাপনের ন্যায় । বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে  নিজেদেরকে মানবতাপ্রেমী হিসাবে মানুষের সামনে তুলে ধরতে তাদের মুখ্য চিন্তা । চোখের সামনে কোনো কিছুর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আজকের মানুষেরা সেই অসহায় মানুষের হাতে ধরে ওঠানোর সময়টুকু পর্যন্ত পান না, অথচ চলমান সেই (কিছু) মানুষের মুখে অহরহ — তিনি একজন  প্রকৃত মানবতাপ্রেমী মানুষ  । এটা লজ্জার, যেমনি নিজের কাছে তেমনি সমাজের কাছেও ।  তাই মাঝে মাঝে মনে হয় মানুষ আজ বড় অদ্ভূত  ধরনের, বোঝা কঠিন  ! আবার একই মানুষকে দুই ধরনের ভূমিকায় দেখা যায় — কোনো সময় তিনি  জনদরদি আবার কোনো সময় তিনি পশুর চেয়ে হিংস্র । মানবিক দিকের কাজটা দেখাতে গিয়ে নিজের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে, তিনি তখন আসল রূপ ধারন  করেন । পশুর চেয়েও হিংস্র হয়ে ওঠেন । তখন হিতাহিত জ্ঞানের অভাব ঘটে ।
তাই বলি, মনুষ্যত্ব বা মানবিকতা আমাদের অন্তরের বিষয় । আর এই অভ্যন্তরীণ বিষয়কে জাগ্রত করতে আমাদের চাই আন্তরিক ইচ্ছা । এই  মানবতা বা মানবিকতা গড়ে তুলতে আমাদের চাই মানসিক শক্তি, অন্তরের দৃঢ় বিশ্বাস, যা আমাদের প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে ও  বিভিন্ন বিপদের বিরূদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে । এই ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দের কথায় আসা যেতে পারে । তিনি মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “নীতিপরায়ন ও সাহসী হও ।  কাপুরুষেরা পাপ করিয়া থাকে, বীর কখনও পাপ করে না—এমনকি মনে পর্যন্ত পাপ আনতে দেয় না । সিংহ-গর্জনে আত্মার মহিমা ঘোষণা কর, জীবকে অভয় দিয়ে বল – “উত্তিষ্ঠিত জাগ্রত প্রাপ্য বরান্‌ নিবোধিত” —ওঠ, জাগো, লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামিও না ।  এস মানুষ হও । …… নিজেদের সংকীর্ণ গর্ভ থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে গিয়ে দেখ, সব জাতি কেমন উন্নতির পথে চলেছে । তোমরা কি মানুষকে ভালবাস ? তোমরা কি দেশকে ভালবাস ? তাহলে এসে, আমরা ভাল হবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করি ।”
মানবতা ও মানবসেবা একার্থক নয় । মানবসেবার মধ্যে পরোপকার জাতীয় একপ্রকার অনুভূতির জন্ম হয় । সেক্ষেত্রে স্বজ্ঞানে বা অ-জ্ঞানে বিশেষ অহংকারবোধের উদ্রেক হয় । তবে মানবসেবা মানবিক হতে পারে — “যখন মানুষ অন্যের সেবা করে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিকে উপেক্ষা করে, নিঃস্বার্থভাবে অন্যের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে, সেবা ও মানবিকতার আদর্শের মিলনকে স্বার্থক করে তোলে ।” মানুষের মানবিকতার উৎকর্ষতা নির্ধারিত হয় জগতে বিরাজমান সমস্ত জীবের প্রতি আচরণের নিরিখে । মানুষের  নৈতিকতা, দায়দায়িত্ব, কর্তব্যপরায়নতার বহিঃপ্রকাশ হয় এই মহান আদর্শের মধ্য দিয়ে । সুতরাং এই কথা বলাই যায় যে, মানবতা কোনো মতবাদ নয়, একটি আদর্শ ।
পরিশেষে এটা পরিষ্কার, মানুষ মানবতার অধিকারী । আর ‘মানবতা’ হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য । মানুষের সেবা করাই হচ্ছে মানব ধর্ম । জীব ঈশ্বরের এক মহান সৃষ্টি । প্রতিটি জীবের মধ্যে ঈশ্বর বর্তমান । জীবের সেবা করার মাধ্যমে ঈশ্বরের সেবা করা যায় । সেইজন্যেই স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “জীবে প্রেম করে যেই জন,  সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” । বাণীটি মানব কল্যাণের ক্ষেত্রে ভীষণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ । (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত) ।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৪ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৪ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩১৬ – চতুর্থ চার্লস, পবিত্র রোমান সম্রাট, হাউজ অফ লুক্সেমবার্গ থেকে বোহেমিয়ার দ্বিতীয় রাজা।

১৭৭১ – রবার্ট ওয়েন, ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক এবং কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও সমবায় আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।

 

১৮৪৯ – ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিকে।

১৮৬৩ – জন চার্লস ফিল্ডস, কানাডীয় গণিতবিদ এবং ফিল্ডস পদক এর প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৮৯২ – অগ্নিযুগের বিপ্লবী, যুগান্তর দলের নেতা ও শ্ৰীসরস্বতী প্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অরুণ চন্দ্র গুহ।

১৯০০ – কানাডার কবি রবার্ট পিঙ্ক।

১৯০৭ – আইয়ুব খান, পাকিস্তানি সেনাপতি ও রাষ্ট্রপতি।

১৯১০ – কেন ভিলজোয়েন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯১০ – নে উইন, বার্মার (বর্তমান – মায়ানমার) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সামরিক কমান্ডার ছিলেন।

 

১৯২৩ – মৃণাল সেন, বাঙালী চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার এবং লেখক।

 

১৯৪৪ – জর্জ লুকাস, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

 

১৯৪৮ – বব উলমার, আন্তর্জাতিক ইংরেজ ক্রিকেট তারকা, পেশাদার ক্রিকেট কোচ ও ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার।

১৯৫২ – রবার্ট জেমেকিস, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং লেখক।

 

১৯৫৫ – পিটার কার্স্টেন, সাবেক ও প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৫৯ – কার্লাইল বেস্ট, বার্বাডীয় বংশোদ্ভূত সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৯ – কেট ব্লানচেট, অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী ও নাট্য নির্দেশক।

১৯৮৩ – তাতেন্দা তাইবু, জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

 

১৯৮৪ – মার্ক জাকারবার্গ, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৮৫ – জ্যাক রাইডার (কুস্তিগির), মার্কিন পেশাদার কুস্তিগির।

১৯৯৩ – মিরান্ডা কসগ্রভ, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং গায়িকা।

১৯৯৪ – মারকিনয়োস, ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার।

১৯৯৬ – মার্টিন গ্যারিক্স, ডাচ ডিজে, রেকর্ড প্রযোজক এবং গায়ক।

 

১৯৯৭ – মানুষী ছিল্লার, ভারতীয় মডেল এবং মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭ এর বিজয়ী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৭৫ – এ্যাংগোলা পোর্তুগীজ ঔপনিবেশিক শক্তি দখল করে নেয়।

১৬৪৩ – চতুর্দশ লুই মাত্র চার বছর বয়সে ফ্রান্সের সম্রাট হন।

১৭৯৬ – এডওয়ার্ড জেনার পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দানের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেন।

১৮১১ – স্পেনের শাসন থেকে প্যারাগুয়ে মুক্তি লাভ করে।

১৮১১ – প্যারাগুয়ের স্বাধীনতা ঘোষণা।

১৮৪২ – ইলাস্ট্রেটেড লন্ডন নিউজ প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয়।

১৮৮৯ – লন্ডনে শিশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ সংস্থার উদ্বোধন হয়।

১৯১৩ – নিউ ইয়র্কের গভর্নর উইলিয়াম সুলজার রকফেলার ফাউন্ডেশনের তহবিল অনুমোদন করেন। যার হিসাব শুরু হয় জন ডি রকফেলারের ১০০ মিলিয়ন ডলার অনুদানের অর্থ দিয়ে।

১৯২৫ – ভার্জিনিয়া উলফ্-এর উপন্যাস ‘মিসেস ডলওয়ে’ প্রকাশিত হয়।

১৯৩৯ – লিনা মেডিনা চিকিৎসা ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মা হিসেবে চিহ্নিত হন। যার বয়স ছিল মাত্র পাঁচ বছর।

১৯৪৮ – সর্বশেষ ব্রিটিশ সেনাদল ফিলিস্তিন ছাড়লে ইজরায়েল স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়।

১৯৫০ – ওয়ারস চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৫৪ – আদমজী পাটকলে বাঙালী ও অবাঙালী শ্রমিকদের মধ্যে দাঙ্গা সংঘটিত হয়।

১৯৫৫ – সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে ওয়ার শ’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৬৫ – চীন তার দ্বিতীয় আণবিক বোমার বিস্ফারণ ঘটায়।

১৯৭৩ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্কাইল্যাব উৎক্ষেপণ।

১৯৭৬ – ইংল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী রডেশীয় ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর নিষিদ্ধ করেন।

২০১৮ – আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম টেস্টে তাদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম শতক করেন কেভিন ও’ব্রায়ান

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯১২ – অগুস্ত স্ত্রিন্দবারি, সুয়েডীয় নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্রশিল্পী।

১৯২৫ – হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

১৯৪০ – এমা গোল্ডম্যান, নৈরাজ্যবাদী রাশিয়ান লেখক।

১৯৪৩ – অঁরি লা ফোঁতেন, বেলজীয় আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ব্যুরোর প্রধান।

 

১৯৭২ – প্রভাবতী দেবী সরস্বতী, বাঙালি ঔপন্যাসিক।

 

১৯৮৭ – রিটা হেওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেত্রী ও নর্তকী।

 

১৯৯৫ – ক্রিস্টিয়ান ব. আনফিন্সেন, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

১৯৯৮ – ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা, মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা।

 

১৯৯৮ – শওকত ওসমান, বাঙালি কথাসাহিত্যিক এবং প্রাবন্ধিক।

২০০১ – গিল ল্যাংলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

২০০৩ – ওয়েন্ডি হিলার, ইংরেজ অভিনেত্রী।

 

২০২০ – (ক)  আনিসুজ্জামান, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক।

(খ) ড. খালিদ মাহমুদ, পাকিস্তানি বিচারক ও দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।

 

(গ) দেবেশ রায়, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।

২০২২ – অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

চির তরুণী : রাণু সরকার।।

ঊর্ধ্বে অসীম আকাশকুসুম-
প্রকৃত প্রেমের পাত্র,
নিম্নে বিপুলায়তন ভূখণ্ড-
যেন মনে হয় চির তরুণী
এক রমনী,
বহুদূরের অতীত থেকে নিগড়
প্রেমনদীর দিশেহারা ভাব,
আঁধারে চলে তাদের দুর্দমনীয়
রসজনিত শৃঙ্গার,
তখন ধরিত্রী হয়
রজঃস্বলা-
নিঃশব্দে অন্যের অলক্ষ্যে
অঙ্গবিক্ষেপ করে গোপনে।

তখন ধরাধাম বৃষ্টিমুখর–
তাদের যৌনমিলনে
গড়ে ওঠে প্রাণিজগৎ,
সৃষ্ট হয় জীবজগতের ধারণকারী মেদিনী-
তিনি হলেন পালিকা ধরিত্রী মাতা।

Share This
Categories
কবিতা

তৃষ্ণালু ::: রাণু সরকার।।

বশীকৃত এ মন কিসের ছলনে
হলো মতিভ্রংশ,
ইতস্তত ভ্রমণে দেখেছি বহুবিচিত্র
বর্ণের সমারোহ।

হায় রে- তটিনী তুমি গর্ভিণী,
এই তো বিহান বেলায় ছিলে
ঋতুমতী!
স্নেহদৃষ্টি আছে পরিপূর্ণ কিন্তু
বড্ড তৃষ্ণালু-
কোন ঘাটে মিটবে সম্ভোগ?
ক্ষরণশীল হলে রসসম্ভোগে
হতো পরিতৃপ্ত!

Share This
Categories
কবিতা

মন :: রাণু সরকার।।

মন থাকে অন্দরমহলে অন্তঃপুর
তার মনঃপূত স্থান,
প্রতীতিকে আলিঙ্গন করে থাকে
ভাবনার স্বপ্নাবেশ।

মনস্তাপ ও ক্লেশ সে তো নিজেরই
থাকে,
এদের বারংবার অনুরোধ উপরোধ
অন্তরের কাছে হয় বোঝা।

ভারবাহী অন্তর সহ্যশক্তি হারিয়ে সে
তখন কম্পমান,
তখন ত্যাগপূর্বক দেবতার শ্রীচরণে করে সমর্পণ।

Share This
Categories
কবিতা

ব্যাধি :: রাণু সরকার।।। 

দৃষ্টির অগোচরে যে ব্যাধি আছে
কোনদিনও কেউ পারবে না তার
অঙ্গে ধারণ করতে,

অপরিচিত কি নীরবে বেসুরে
অশ্রুকণা ঝরবে-
দিবারাত্রি সন্ধান করেও পাইনি তার
গোপন ঠিকানা,

নিষ্ফল দুরূহ প্রশ্ন ব্যাকুল বসবাস
করে গোপন মনে।
প্রকৃতির সাথে দৃষ্টিবিনিময় করে দেখা
সকলেই অত্যন্ত দ্বিধান্বিত–

সমব্যথী কি আছে ?
নিজের যন্ত্রণার ভার সহ্য করে
নিজেরই বহন করা।

Share This
Categories
কবিতা

বারিধরা :: রাণু সরকার।। 

তপ্ত রোদে মাঠঘাট বির্দীণ,
বর্ষার অপেক্ষায় থেকে থেকে অবশেষে সে এলো-
অবিরাম বারিধারা ঝরছে দেখে মনে হয় যেন কাঁচের
কুচি ঝরঝর করে ধরণীর স্তনগ্রন্থিতে
উপছে পড়ছে!

তখন তরুলতাপাতা তৃপ্ত হয়ে মনের হরষে করে নৃত্য!
গ্রীষ্মের দহনের পর চারিধার নবরূপে
অলঙ্কার স্বরূপ,
শুকনো মাটির গুঁড়োতে মাখা মলিন রূপ।
পিপাসিত মাঠঘাট রসবতী হয়ে হয় ঋতুমতী-
নতুন বীজের আশায় শ্রীঅঙ্গে ধারণ করে।
নতুন করে সাজিয়ে তোলে সম্পূর্ণরূপে তৃপ্ত
চারিধার তখন সে রূপবতী।

Share This