সূচনা—
লেখক ও ঔপন্যাসিক হিসেবে মণীন্দ্রলাল বসু ছিলেন এক পরিচিত নাম। তিনি ছিলেন ভারতীয় বাঙালি লেখক। তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট রোমান্টিক উপন্যাস “রমলা”র জন্য ।
জন্ম ও বাল্যকাল —-
বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় মণীন্দ্রলাল বসুর জন্ম ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জুন । পিতা ছিলেন মুনসেফ প্রবোধচন্দ্র বসু এবং মাতা ইন্দিরাসুন্দরী। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার চাংড়িপোতাতে ছিল তাঁদের আদি নিবাস ।
শিক্ষা জীবন—-
তার পড়াশোনা ব্রাহ্ম বয়েজ স্কুল, হেয়ার স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. পাশের (১৯২০ খ্রিস্টাব্দে) পর আইন বিষয়ে বি.এল. পাশ (১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে) করে কিছুদিন হাইকোর্টে আইন ব্যবসা করেন। এর পরে তিনি উচ্চ শিক্ষার্থে ইউরোপ যাত্রা করেন ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে । ব্যারিস্টারি পাশ করেন ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে। এর পরে ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন।
সাহিত্যচর্চা —–
সাহিত্যচর্চায় তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা পাঠাতেন। প্রথম পুরস্কার লাভ করেছেন প্রবাসী পত্রিকায় একাধিকবার গল্প প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে । আর এই প্রবাসী পত্রিকাতেই ১৩২৯ -৩০ বঙ্গাব্দে ধারাবাহিক ভাবে তার রোমান্টিক উপন্যাস “রমলা” প্রকাশিত হয়েছিল। তবে ছোট গল্প দিয়ে লেখা শুরু করেছিলেন তিনি।
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি সমূহ—
তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো রক্তকমল, সোনার হরিণ, কল্পলতা, জীবনায়ন, সহযাত্রিণী, স্বপ্ন, মায়াপুরী, ঋতুপর্ণ, সোনার কাঠি – শিশু ও কিশোরদের জন্য গল্পগ্রন্থ।
অন্যান্য কাজ—-
তিনি শিশুদের জন্য পাঠ্যপুস্তকও রচনা করেছেন। তার কয়েকটি অনূদিত বইও রয়েছে। তাছাড়া ইউরোপে অবস্থানকালে সেখানকার চিত্রকলার বিষয়ে তিনি ‘ইউরোপের চিত্রশালা’ রচনা করেন। মণীন্দ্রলাল ১৩৫১ বঙ্গাব্দে অর্থনৈতিক সাময়িকী “পরিকল্পনা” সম্পাদনা করছিলেন।
মৃত্যু—-
১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২২ শে জুলাই তিনি প্রয়াত হন।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।