Categories
কবিতা

অহেতুক কেন বেঁচে থাকা :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

অভাবের থলি সবার হাতে কাঁকর পড়েছে সবার ভাতে ,
নিষ্কৃতি নাই , বল কোথায় শান্তি পাই ?
মিছিল চলেছে পথেঘাটে পাপের পশরা জীবনের হাটে ,
হন্যে হয়ে খুঁজে যাই, তবু মুক্তির দেখা নাই ।
দৈনন্দিন তালিকা আকাশ ছোঁয়া,গরীবের রান্নাঘরে কাল ধোঁয়া,
বাঁচার পথ নাই , আয়ু কেবলই পালাই,পালাই।

দিশাহারা মনপ্রাণ, এ সময়ের অবদান ,
খিদেগুলো কেদেঁ মরে ,অনন্ত অনাহারে।
জীবন আজ এলোমেলো ,ব্যথা বুকেই চলে গেল –
কত প্রিয় অনাহারে ,বিড়ম্বিত এ সংসারে।
শুধু সুযোগ সন্ধানী ওত্পেতে অভাব কেনে কাল হাতে –
শিশু আর নারী পণ্য পাচারে । কে আছিস বাঁচারে।

ভাষণে ভাষণে ভরে গেছে দেশ, মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে হয়েছি শেষ,
কেউ ব্যাথা বোঝেনি,কেউ কথা রাখেনি ।
মনের দাবানলে পুড়ে যাই ,শত সমস্যায় বাঁচার পথ নাই ,
অসময়ে কেউ পাশে থাকেনি ,যতসব সুযোগ সন্ধানী।
উৎপীরণের হাজার ক্ষত বয়ে ,যেন আছি বেওয়ারিশ লাশ হয়ে-
কেউ সুখচিতায় তোলেনি,এখনও ভাঙ্গা বুকে আগুন জ্বলেনি ।

রাতজাগা চোখগুলো হাহাকারে ভরা, চকচকে রাজপথ পাপে আধমরা,
এ যেন থাকা পরবাসে, ক্ষমতা দূরে দূরে হাসে।
সকালের রোদ্দুরের বেদনার মুখ ,দুর্বলে দলন,বিকৃত, কদর্য সুখ,
উদার আকাশে রক্তকনারা ভাসে,দিনভর ত্রাসে, ত্রাসে ,
আজ মনেহয় বেঁচে থাকাই মিছে,সুখপাখিটা কবেই মরে গেছে।

সংরক্ষিত/প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *