🌇 ১. পরিচয়
শ্রেয়া আর ঋষভ।
কলেজ লাইফের বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠা এক নিঃশব্দ ভালোবাসার গল্প।
শ্রেয়া – শান্ত, বইপ্রেমী, রবীন্দ্রসংগীতপসন্দ।
ঋষভ – চঞ্চল, ক্যামেরার পেছনে থাকা ছেলেটা, স্বপ্ন দেখত সিনেমা বানানোর।
প্রথম দেখা হয়েছিল কলেজ ফেস্টে, ক্যাম্পাসের পুরনো অডিটোরিয়ামে। শ্রেয়া রবীন্দ্রসংগীত গাইছিল আর ঋষভ ভিডিও করছিল। ক্যামেরার লেন্স越 যতই ফোকাস করছিল, ঋষভের হৃদয়ও যেন ততটাই জুম ইন করছিল তার গলার দিকে, চোখের দিকে।
🍂 ২. কাছে আসা
তাদের মধ্যে কোনোদিন ভালোবাসা বলে কিছু উচ্চারিত হয়নি।
তবু শ্রেয়ার প্রতিটি সকালে “সুপ্রভাত ঋষভ”, আর ঋষভের প্রতিটি রাত “ঘুমোও ভালো করে, শ্রেয়া”— এসব যেন বলেই দিত কিছু একটা আছে।
বৃষ্টির দিন তারা একসাথে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিজত,
চায়ের কাপে ভাগ বসাত,
বইয়ের পাতা টেনে বলত, “এই গল্পটা আমাদেরও হতে পারত।”
🕯️ ৩. ভুল বোঝাবুঝি
কিন্তু প্রেম যত গভীর হয়, Ego তত বড় হয়ে দাঁড়ায়।
ঋষভ একদিন বলল — “তুই তো আমায় কখনও ভালোবাসিস না। শুধু ব্যবহার করিস।”
শ্রেয়া কেঁদে ফেলেছিল। তাও ঋষভ ফিরল না।
তারা কথা বলা বন্ধ করল।
নীরবতা ছিন্ন করল তাদের সব স্মৃতি।
🌒 ৪. অনেক বছর পর…
৫ বছর কেটে গেছে।
শ্রেয়া এখন প্রকাশনা সংস্থায় চাকরি করে।
ঋষভ নামী ডকুমেন্টারি ফিল্মমেকার।
তাদের কেউ একে অপরের খোঁজ রাখত না, কিন্তু মনে ঠিকই করত।
একদিন, শ্রেয়া অফিস থেকে ফেরার পথে গাড়ির কাচের ওপারে এক চেনা মুখ। ঋষভ।
চোখাচোখি…
একটা হাসি…
এবং তারপর আবার ছুটে আসা দিনগুলোর স্মৃতি।
🍁 ৫. শেষবার দেখা
রবিবার, কলেজের পুরনো ক্যাম্পাসে তারা দেখা করল।
শ্রেয়ার চোখে জল, ঋষভ বলল — “ভুলগুলো আমার ছিল, ক্ষমা করিস।”
শ্রেয়া একবার ঋষভের কাঁধে মাথা রাখল। অনেকদিন পর…
“আমরা কি আবার শুরু করতে পারি?” — প্রশ্ন করল ঋষভ।
শ্রেয়া বলল, “তোমার ক্যামেরার লেন্সে আমায় আজও স্পষ্ট দেখা যায়?”
ঋষভ মুচকি হাসল —
“আজও, প্রথম দিনের মতোই, পরিষ্কার।”
🌸 শেষ কথা
ভালোবাসা কখনও মরে না।
কখনও কখনও শুধুই একটা দেখা, একটা হাসি — অনেক কিছু ফিরিয়ে আনে।
তাদের গল্পটা শেষ হয়নি, শুধু আবার শুরু হয়েছে… একটু দেরিতে।
ধরন: আবেগঘন প্রেমকাহিনি
সময়কাল: আধুনিক শহর কলকাতা
শব্দসংখ্যা: প্রায় ২০০০