Categories
গল্প

পুজোর আলোয় বাঁধা স্মৃতি।

কলকাতার সরু গলির এক প্রান্তে, ছোট্ট একটি আবাসিক এলাকা। সেপ্টেম্বরের শেষের দিনগুলো ছিল, আর বাতাসে যেন পুজোর ঘ্রাণ ভেসে বেড়াচ্ছিল। এই বাঙালি মহল্লার প্রতিটি কোণায় হালকা আলো, আর ফুলের সাজ। সকলের মুখে যেন অপেক্ষার আনন্দ; কারোর চোখে উৎসাহ, কারোর চোখে নস্টালজিয়া।

রেখা, এক চাকুরিজীবী মহিলা, দীর্ঘদিন ধরে শহরে একা থাকলেও পুজোর সময় তাঁর মন যেন অন্যরকম হয়ে ওঠে। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে মা ও দিদিমার সঙ্গে যে দূর্গা পুজোতে আনন্দ করত, সেই স্মৃতি এখনও জীবন্ত। এবার সে ঠিক করেছিল—নিজেই ছোট্ট হলেও পুজোর মেজাজ ঘরে তৈরি করবে।

সপ্তাহব্যাপী পরিকল্পনা, বাজার ঘুরে সামগ্রী সংগ্রহ, ফুল, আলো, বেলুন—সবকিছু। এক সন্ধ্যায়, প্রতিটি দীপ আর বাতির আলো মিলিয়ে রুমটি যেন সোনালি হয়ে উঠল। রেখা দেখল, সে যতই ব্যস্ত থাকে, এই ছোট্ট পুজোই তার মনকে শান্তি দিচ্ছে।

পরদিন, মহল্লার বাচ্চারা এবং প্রতিবেশীরা তার ঘরে আসতে শুরু করল। সবাই মিলে ঠাকুরমার পূজা—ছোট্ট মণ্ডপ, হাতে মালা, আর ঠাকুরমার সামনে লাল চন্দন আর ফুল। শিশুরা খুশিতে উল্লসিত, কেউ কেউ মুখে মিষ্টি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে।

রেখা দেখল, পুজো শুধুই রীতি নয়, এটি মানুষের হৃদয়কে একত্রিত করার একটি সেতু। প্রত্যেকের হাসি, প্রতিটি আলোর ঝলক—সবকিছু যেন বলছে, “এটাই বাঙালির পুজোর আসল রূপ।” সেই সন্ধ্যায়, যখন ঢাকের ঢাকনা বাজছিল এবং বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছিল ধূপের গন্ধ, রেখার মনে হল, এই ছোট্ট পুজোও বড় আনন্দ দিতে পারে।

পুজো শেষ হলে, সবাই বিদায় নিলো। কিন্তু রেখা জানে, এই স্মৃতিগুলো তার সঙ্গে সারাজীবন থাকবে—প্রতিটি আলোর ঝলক, প্রতিটি হাসি, প্রতিটি ধূপের গন্ধ। পুজো হয়তো শেষ, কিন্তু তার আনন্দ চিরস্থায়ী।


নিশ্চয়ই! এখানে আমি একটি পূর্ণাঙ্গ, সংক্ষিপ্ত কিন্তু আবেগময় “দূর্গা পুজোর গল্প” তৈরি করলাম:

 

 

 

শিরোনাম: পুজোর আলোয় বাঁধা স্মৃতি

 

কলকাতার সরু গলির এক প্রান্তে, ছোট্ট একটি আবাসিক এলাকা। সেপ্টেম্বরের শেষের দিনগুলো ছিল, আর বাতাসে যেন পুজোর ঘ্রাণ ভেসে বেড়াচ্ছিল। এই বাঙালি মহল্লার প্রতিটি কোণায় হালকা আলো, আর ফুলের সাজ। সকলের মুখে যেন অপেক্ষার আনন্দ; কারোর চোখে উৎসাহ, কারোর চোখে নস্টালজিয়া।

 

রেখা, এক চাকুরিজীবী মহিলা, দীর্ঘদিন ধরে শহরে একা থাকলেও পুজোর সময় তাঁর মন যেন অন্যরকম হয়ে ওঠে। ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে মা ও দিদিমার সঙ্গে যে দূর্গা পুজোতে আনন্দ করত, সেই স্মৃতি এখনও জীবন্ত। এবার সে ঠিক করেছিল—নিজেই ছোট্ট হলেও পুজোর মেজাজ ঘরে তৈরি করবে।

 

সপ্তাহব্যাপী পরিকল্পনা, বাজার ঘুরে সামগ্রী সংগ্রহ, ফুল, আলো, বেলুন—সবকিছু। এক সন্ধ্যায়, প্রতিটি দীপ আর বাতির আলো মিলিয়ে রুমটি যেন সোনালি হয়ে উঠল। রেখা দেখল, সে যতই ব্যস্ত থাকে, এই ছোট্ট পুজোই তার মনকে শান্তি দিচ্ছে।

 

পরদিন, মহল্লার বাচ্চারা এবং প্রতিবেশীরা তার ঘরে আসতে শুরু করল। সবাই মিলে ঠাকুরমার পূজা—ছোট্ট মণ্ডপ, হাতে মালা, আর ঠাকুরমার সামনে লাল চন্দন আর ফুল। শিশুরা খুশিতে উল্লসিত, কেউ কেউ মুখে মিষ্টি নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে।

 

রেখা দেখল, পুজো শুধুই রীতি নয়, এটি মানুষের হৃদয়কে একত্রিত করার একটি সেতু। প্রত্যেকের হাসি, প্রতিটি আলোর ঝলক—সবকিছু যেন বলছে, “এটাই বাঙালির পুজোর আসল রূপ।” সেই সন্ধ্যায়, যখন ঢাকের ঢাকনা বাজছিল এবং বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছিল ধূপের গন্ধ, রেখার মনে হল, এই ছোট্ট পুজোও বড় আনন্দ দিতে পারে।

 

পুজো শেষ হলে, সবাই বিদায় নিলো। কিন্তু রেখা জানে, এই স্মৃতিগুলো তার সঙ্গে সারাজীবন থাকবে—প্রতিটি আলোর ঝলক, প্রতিটি হাসি, প্রতিটি ধূপের গন্ধ। পুজো হয়তো শেষ, কিন্তু তার আনন্দ চিরস্থায়ী।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *