Categories
বিবিধ

হরিশ্চন্দ্রপুরে ‘গরিবের বন্ধু’ মতিউর রহমানের স্বাস্থ্য শিবিরে হাজার মানুষের সাড়া।

হরিশচন্দ্রপুর, মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতা :- একের পর এক সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া। ক্রমশ বাড়ছে জনপ্রিয়তা। সাথে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও হচ্ছে জোড়ালো।চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে মন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের অন্যান্য দাপুটে নেতাদের কপালে।সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হরিশ্চন্দ্রপুরের ব্যবসায়ী গরিবের বন্ধু মতিউর রহমান কে নিয়ে ব্যাপক চর্চা জেলা রাজনৈতিক মহলে। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনাও জিইয়ে রাখলেন মতিউর। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিভিন্ন এলাকায় গরিব দুঃস্থ মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করছেন তিনি। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে ওষুধ। প্রয়োজন অনুযায়ী যাদের পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন।সেই দায়িত্বও নিয়ে নিচ্ছেন গরীবের বন্ধু।এদিন হরিশ্চন্দ্রপুরের চিতলিয়া হাই মাদ্রাসায় তৃতীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হয়। মতিউর রহমান সমগ্র শিবির পরিদর্শন করেন। সকলের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় হাজার মানুষ এসে ছিলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে।সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। প্রসঙ্গত এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ছিলেন। যদিও তারপর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে তাকে দেখা যায়নি। সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কর্মসূচি করে এলাকায় তিনি জনপ্রিয়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল গরিবের বন্ধু নামে। তাকে নিয়ে জল্পনা চলছে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন তিনি।গোষ্ঠীদ্বন্ধে জর্জরিত মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের হরিশ্চন্দ্রপুরে টিকিট পাওয়ার দৌড়ে তিনি রয়েছেন বলেও জেলা রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে। এই পরিস্থিতিতে মতিউর দাবি করেন,’ মানুষ যেটা চাইবে তিনি করবেন। তার কাছে কোন রাজনৈতিক দল প্রস্তাব দিলে অবশ্যই ভেবে দেখবেন। তৃণমূল প্রস্তাব দিলে দৌড়ে যাবেন। সাথে নাম না করে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিশানা করে বলেন কিছু মানুষ চোখ বন্ধ করলেই তাকে দেখছে।’ তার এই ধরনের বিভিন্ন মন্তব্যের পর জল্পনা আরো জোড়ালো হয়েছে।মূলত হরিশ্চন্দ্রপুরে স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের সঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের দ্বন্দ্ব বার বার সামনে এসেছে। নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই পক্ষ। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে খারাপ ফলাফল তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে এলাকায় জনপ্রিয়তা বাড়ছে মতিউরের। তাই তাকে মুখ করে লড়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।যদিও এই নিয়ে তাজমুল হোসেনের দাবি তিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তার কথা বিজেপি বলতে পারবে। অন্যদিকে বুলবুলের বক্তব্য কেউ দলে যোগ দিবে কি দিবে না সেটা মমতা ব্যানার্জি অভিষেক ব্যানার্জি ঠিক করবে। সমগ্র বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *