Categories
বিবিধ

একশো পঞ্চাশ বছরের পথ পেরিয়ে রিস্তারা গ্রামে অটুট সরকার পরিবারের দুর্গোৎসব।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের রিস্তারা এলাকা। সেখানে সরকার পরিবারের ঠাকুরবাড়ি এ বছর অতিক্রম করল এক ঐতিহাসিক মাইলফলক—দেড়শ বছরেরও বেশি সময়ের পূজা পরম্পরা। ১২৮২ বঙ্গাব্দে পরিবারের জোতদার রূপকান্ত সরকার এলাকার মঙ্গল ও পরিবারের কল্যাণ কামনায় শুরু করেছিলেন এই দুর্গোৎসব। সেই সূত্রেই আজও অবিচলিত থেকে গিয়েছে পূজা, বংশ পরম্পরায়।

পরিবারের সদস্য ব্রতময় সরকার জানালেন, এই পুজোর পুরোহিত ও ঢাকিদের ধারাও বংশানুক্রমে চলে আসছে। অন্য পুজোগুলির তুলনায় আলাদা স্বাদ রয়েছে এই আয়োজনের। বৈষ্ণব মতে নিরামিষ ভোগেই দেবীকে আহ্বান জানানো হয় এখানে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পরিবারের সকল সদস্যরাই নিরামিষ ভক্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, পাঁচদিন ধরে মঙ্গলচণ্ডীর গান আর বিজয়া দশমীতে ঐতিহ্যবাহী চামুণ্ডা নাচ এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।

ব্রতময় সরকারের কথায়, একসময় এই পূজোকে ঘিরে গোটা এলাকায় বসত জমজমাট মেলা। আশপাশের গ্রাম থেকে ভিড় জমত হাজারে হাজারে। সময়ের স্রোতে সেই মেলার উজ্জ্বল দিন আজ ইতিহাসে মিলিয়ে গেলেও, পরিবারের মানুষ ও গ্রামবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণে পূজো আজও আগের মতোই অটুট।

একশো পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পথ পেরিয়ে এই পূজা আজ আর শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা এলাকার ঐতিহ্য। ইতিহাসের সেই সোনালি অধ্যায়কে বুকে নিয়ে এখনও রঙিন হয়ে ওঠে রিস্তারা গ্রাম, দুর্গোৎসবের আবহে।

Share This
Categories
বিবিধ

গান, নাচ আর মিলনমেলায় জমে উঠল বালুরঘাটের জোয়ারদার পরিবারের দুর্গাপুজো।।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা : – ঐতিহ্য, ভক্তি আর আড়ম্বরের মেলবন্ধনে এবার ৩৫ বছরে পা দিল জোয়ারদার পরিবারের দুর্গাপুজো। ১৯৯৫ সালে শুরু হলেও, কথিত আছে দেশভাগের আগে ওপার বাংলায় এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। দেশভাগের পর থেকে এপারে চলে আসে সেই পুজো, আর নিয়মনীতি মেনেই আজও চলে আসছে পূজার আয়োজন। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, বেলুড় মঠের আদর্শে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর বিশেষ আচার মেনে ‘শক্তি দণ্ডে’ ভর দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। দুর্গাপুজোর মূল দিনে একত্রিত হন প্রায় ৩০ জন পরিবার সদস্য, আর তাঁদের সঙ্গে মিশে যায় গোটা এলাকার মানুষও। শুধু পূজার্চনা নয়, সাংস্কৃতিক আবহও জমে ওঠে এই বাড়ির দুর্গোৎসবে। গান, নাচ, আবৃত্তি—সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে ভরে ওঠে এলাকা। প্রতিবছরই যেমন, এবারের পুজোও এলাকার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে মিলনমেলার আসর। প্রসঙ্গত, ভক্তি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি আয়োজনের জাঁকজমকতা এলাকাবাসীকে মুগ্ধ করেছে। তাঁদের এক কথায় প্রতিক্রিয়া— “জোয়ারদার বাড়ির দুর্গাপুজো মানেই ভক্তি, ঐতিহ্য আর আনন্দের এক অনন্য উৎসব।”

Share This
Categories
বিবিধ

মানবিক উদ্যোগে আনন্দিত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, বালুরঘাটে বস্ত্র বিতরণ।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এর ত্রিধারা ক্লাবের শুভলগ্নে ক্লাবের পক্ষথেকে বস্ত্রবিতরন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান,, বালুরঘাট এই তি ধারা ক্ল্যাব,বরাবরই মানুষের পাশে দাঁড়ায়।একসময় বাবার হাত হাত ধরে এই ক্লাবের প্রতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আসতেন।আজ শুভ লগ্নে এই ক্লাবের হয়ে গরিব মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দিতে পেরে নিজেকে আপ্লুত মনে হচ্ছে।

Share This
Categories
বিবিধ

পরিবারিক বিবাদের পর নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী, মালদায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ —- এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। জানা গিয়েছে নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর নাম পল্লবী সাহা,বয়স প্রায় ১৭ বছর। গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা পাঁচ ফিট ২ ইঞ্চি ।বাড়ি গাজোল ব্লকের আলাল অঞ্চলের ময়না এলাকায় । ময়না হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী। নিখোঁজ নাবালিকার পরিবার জানিয়েছেন 29 শে সেপ্টেম্বর পারিবারিক কিছু সমস্যা নিয়ে বিবাদ হয়।তার পর ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া করে রাত্রিতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন ৩০ শে সেপ্টেম্বর তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে দেখে ঘরের বিছানাই ওই স্কুল ছাত্রী নেই। এরপর পরিবারের লোকজন গ্রামে খোঁজাখুঁজি করে।এরপর আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি। এরপর নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বিষয়ে গাজোল থানায় দ্বারস্থ হয়। গাজোল থানার পুলিশ আশ্বাস দেয়। এদিন বুধবার বেলা দুটো নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছেন আমার মেয়ে নিখোঁজ হয় আমরা সকলে বাড়িতে গভির চিন্তিত রয়েছি। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি আমার নাবালিকা মেয়ে কখন আমি ফিরে পাবো।এই ঘটনার পর থেকে চিন্তায় ভেঙে পড়েছে পরিবারবর্গ।

Share This
Categories
বিবিধ

নবাব আমলের পরম্পরা অক্ষুন্ন, রায়চৌধুরী বাড়িতে উৎসবমুখর নবমী।

মালদাঃ- —:নবাব আমলের ৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখনো নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে ঘটা করে প্রতিপদ থেকে হয়ে আসছে মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রামের রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো। নবমীর সকালে নিয়ম মেনেই হল কুমারী পূজা। পরিবারের সকলে একত্রিত হয়েছে পূজা উপলক্ষে। রায়চৌধুরীর বাড়িতে এখন উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে দর্শনার্থীরাও। জানা গেছে একসময় এই পরিবারের সদস্য বদররাম রায়চৌধুরী বাংলার নবাব আলিবর্দি খানের খাজাঞ্চি ছিলেন। সেই সময় এলাকায় ভয়াবহ খড়া দেখা দেয়। কৃষকদের কাছ থেকে তিনি খাজনা আদায় করতে পারেননি। এর জন্য নবাব শাস্তি হিসেবে তাকে বাক্সবন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়। কিছু সাধু আধমরা অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ধীরে সুস্থ হলে সাধুরা বলেন মা দুর্গার আশীর্বাদে তিনি সুস্থ হয়েছেন। তারপর থেকেই চালু হয় পূজো। সেই নিয়ম মেনে এখনো পূজো হয়ে আসছে রায়চৌধুরী বাড়িতে। নবমীর দিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুজো। কুমারী পূজার পরে রয়েছে আরতি এবং যজ্ঞ। পরিবারের লোকের সঙ্গে এলাকার মানুষেরাও আসছেন পুজো দিতে।

Share This
Categories
বিবিধ

বালুরঘাটে অষ্টমীর আনন্দে মাতলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, দর্শনার্থীদের সঙ্গে সময় কাটালেন অভিযাত্রী ক্লাবে।

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :-অষ্টমীতে অভিযাত্রী তে, সুকান্তর সাথে…
এদিন মহাষ্টমীতে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাবে অষ্টমীর আড্ডায় সামিল হন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার। আড্ডার পাশাপাশি, ক্লাবের প্রতিমা দর্শন করে নিজে প্রসাদ গ্রহণ এবং সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেন। এদিন সুকান্ত মজুমদার পুজোর মেজাজে বর্তমান প্রজন্মের সাথে খোলামেলা গল্প, আলোচনা করেন।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আলীবাগ ভ্রমণ – সমুদ্রের কোলে এক শান্ত সাপ্তাহিক অবকাশ।।

যদি আপনি শহরের কোলাহল থেকে কিছুটা দূরে, শান্ত সমুদ্রতীরে কিছুটা সময় কাটাতে চান, তবে মহারাষ্ট্রের আলীবাগ আপনার জন্য এক আদর্শ গন্তব্য। আরব সাগরের তীরে অবস্থিত আলীবাগকে অনেকেই “মিনি গোয়া” বলে থাকেন। এটি মূলত একটি সমুদ্রতীরবর্তী ছোট্ট শহর, যা তার পরিচ্ছন্ন সৈকত, ঐতিহাসিক কেল্লা ও প্রশান্ত আবহাওয়ার জন্য বিখ্যাত।

📜 ইতিহাসের ঝলক

আলীবাগের ইতিহাস বহু পুরনো। এটি একসময় কানহোজি আংরে নামে এক মারাঠা অ্যাডমিরালের দুর্গনগরী ছিল। তিনি এখানে বহু সামুদ্রিক দুর্গ নির্মাণ করেছিলেন, যার মধ্যে কোলাবা ফোর্ট আজও একটি বড় আকর্ষণ।

🏖️ দর্শনীয় স্থান

🔸 আলীবাগ বিচ

আলীবাগের প্রধান সৈকত। এখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখার সময় সমুদ্রের রঙ বদলে যাওয়া এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা। সন্ধ্যায় স্থানীয় খাবারের দোকান, নারকেলের জল আর ঝালমুড়ির স্বাদ অন্যরকম আনন্দ দেয়।

🔸 কোলাবা ফোর্ট

সৈকতের কাছেই অবস্থিত এই দুর্গে হাঁটাপথে বা জোয়ারের সময় নৌকায় পৌঁছানো যায়। দুর্গের প্রাচীর থেকে সমুদ্রের দৃশ্য মনোমুগ্ধকর।

🔸 কিহিম বিচ

এখানে বালির রঙ সোনালি এবং সমুদ্রতীর বেশ নির্জন। প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান।

🔸 কাশিদ বিচ

আলীবাগ থেকে প্রায় ৩০ কিমি দূরে। এখানে নীল জল, সাদা বালু আর নারকেল গাছের সারি যেন ছবির মতো সুন্দর।

🔸 মুরুদ-জঞ্জিরা ফোর্ট

মুরুদ গ্রামে অবস্থিত এই সামুদ্রিক দুর্গটি একসময় অজেয় বলে পরিচিত ছিল। সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এই দুর্গে নৌকায় করে পৌঁছানো যায়।

🚤 করণীয়

সৈকতে ঘোড়ায় চড়া ও উটের সवारी

প্যারাসেইলিং, জেট স্কি ও অন্যান্য জলক্রীড়া

কোলাবা ফোর্ট ও জঞ্জিরা ফোর্ট এক্সপ্লোর করা

সৈকতে বসে সূর্যাস্ত দেখা

স্থানীয় সি-ফুডের স্বাদ নেওয়া

 

🌤️ ভ্রমণের সেরা সময়

নভেম্বর থেকে মার্চ মাস আলীবাগ ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। গ্রীষ্মে বেশ গরম থাকলেও সমুদ্রতীরে সন্ধ্যা মনোরম লাগে। বর্ষায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় জলক্রীড়া এসময় বন্ধ থাকে।

🛣️ যাতায়াত

মুম্বাই থেকে ফেরি: গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া থেকে মাণ্ডভা পর্যন্ত ফেরি চলে, সেখান থেকে বাস/অটোতে সহজেই আলীবাগ পৌঁছানো যায়।

সড়কপথ: মুম্বাই থেকে প্রায় ১০০ কিমি। গাড়িতে বা বাসে ৩-৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়।

রেলপথ: পেন স্টেশন নিকটতম রেলস্টেশন, সেখান থেকে ট্যাক্সি বা বাসে আলীবাগ যাতায়াত হয়।

 

🏁 উপসংহার

আলীবাগ একটি পারফেক্ট উইকএন্ড গেটওয়ে। এখানে একদিকে রয়েছে সমুদ্রের শান্ত ঢেউ, অন্যদিকে ইতিহাসের গৌরবময় দুর্গ। প্রিয়জন বা পরিবার নিয়ে এখানে এলে মন ও শরীর দুটোই প্রশান্ত হবে। তাই পরবর্তী ছুটির দিনে শহরের ব্যস্ততা পেছনে ফেলে আলীবাগে ঘুরে আসুন – প্রকৃতি আপনাকে স্বাগত জানাবে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গোয়ার বাগা বিচ – সমুদ্র, সঙ্গীত আর নির্ভেজাল আনন্দের শহর।।

যদি আপনি ভারতের সবচেয়ে প্রাণবন্ত, রঙিন ও মজাদার সমুদ্রসৈকত খুঁজে থাকেন, তবে গোয়ার বাগা বিচ (Baga Beach) আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। বাগা বিচ শুধু একটি সমুদ্রতীর নয়, এটি গোয়ার রাতের জীবন, সঙ্গীত, খাবার ও পার্টি সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র। এখানে এলে মনে হবে আপনি যেন এক নতুন জগতে এসে পড়েছেন, যেখানে আনন্দই একমাত্র মন্ত্র।

🌊 সমুদ্রতীরের সৌন্দর্য

বাগা বিচের সোনালি বালি, ঝকঝকে নীল জল আর ঢেউয়ের তাল আপনার মনকে মুহূর্তেই শান্ত করে দেয়। সকালে সৈকত প্রায় ফাঁকা থাকে, তখন হাঁটতে বা যোগব্যায়াম করতে অসাধারণ লাগে। বিকেলের দিকে ভিড় বাড়তে থাকে, রঙিন ছাতা, বিচ চেয়ার, জলক্রীড়া আর পর্যটকদের কোলাহল বাগাকে করে তোলে এক জীবন্ত চিত্রপট।

🎉 নাইটলাইফ ও বিচ শ্যাক

বাগা বিচ গোয়ার নাইটলাইফের জন্য বিখ্যাত। সৈকতের ধার ঘেঁষে সারি সারি বিচ শ্যাক (Beach Shack) রয়েছে – টিটোস, মাম্বোস, ব্রিটোসের মতো নামকরা ক্লাব ও রেস্তোরাঁয় রাতে ডিজে মিউজিক, লাইভ ব্যান্ড ও ডান্স পার্টি চলে। সৈকতের আলো, সঙ্গীত আর সাগরের ঢেউয়ের আওয়াজ এক অসাধারণ আবহ তৈরি করে।

🚤 জলক্রীড়ার স্বর্গ

বাগা বিচে বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার জলক্রীড়া করা যায় –

প্যারাসেইলিং

জেট স্কি রাইড

বানানা বোট রাইড

স্নরকেলিং

ডলফিন স্পটিং বোট ট্রিপ

এগুলো সৈকতের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ এবং পরিবার কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ভ্রমণের আনন্দ দ্বিগুণ করে তোলে।

🍤 খাবার ও কেনাকাটা

গোয়ার বিখ্যাত সি-ফুড যেমন প্রন কারি, ফিশ ফ্রাই, ক্র্যাব স্যুপ বাগা বিচের শ্যাকগুলোতে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। এখানকার ফ্লি মার্কেট থেকে নানা ধরনের হ্যান্ডিক্রাফট, বিচ ড্রেস, অ্যাকসেসরিজ ও গোয়ান মসলা কেনা যায়।

🌤️ ভ্রমণের সেরা সময়

অক্টোবর থেকে মার্চ মাস বাগা বিচ ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। তখন আবহাওয়া মনোরম থাকে, সমুদ্র শান্ত থাকে এবং সব ক্লাব, শ্যাক খোলা থাকে। ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার পার্টির সময় বাগা বিচ থাকে সবচেয়ে জমজমাট।

🛣️ যাতায়াত

নিকটতম বিমানবন্দর: গোয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ডাবোলিম), প্রায় ৪৫ কিমি দূরে।

নিকটতম রেলস্টেশন: থিভিম ও মাডগাঁও স্টেশন থেকে ট্যাক্সি বা বাসে পৌঁছানো যায়।

রোডওয়ে: পানাজি বা মাপুসা থেকে সহজেই ট্যাক্সি, স্কুটি বা লোকাল বাসে বাগা পৌঁছানো যায়।

 

🏁 উপসংহার

গোয়ার বাগা বিচ এক কথায় অ্যাডভেঞ্চার, পার্টি আর প্রশান্তির মিলনস্থল। দিনে সৈকতের রোদে ভিজে জলক্রীড়ার মজা, আর রাতে লাইভ মিউজিক ও বিচ পার্টির উন্মাদনা – সব মিলিয়ে এটি এক পূর্ণাঙ্গ ছুটির গন্তব্য। যদি আপনি প্রাণবন্ত ভ্রমণ চান, তবে বাগা বিচ আপনার পরবর্তী ট্রাভেল লিস্টে অবশ্যই থাকা উচিত।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গোয়ার কালাঙ্গুট বিচ – গোয়ার “কুইন অফ বিচেস”।

গোয়ার নাম শুনলেই প্রথমেই যেটির ছবি চোখে ভেসে ওঠে, তা হলো এর রোদমাখা সোনালি সৈকত। আর এই সৈকতগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো কালাঙ্গুট বিচ (Calangute Beach)। এটি গোয়ার বৃহত্তম সমুদ্রসৈকত, যাকে সবাই স্নেহ করে “কুইন অফ বিচেস” নামে চেনে। কালাঙ্গুট বিচ শুধু একটি ভ্রমণ গন্তব্য নয়, এটি গোয়ার প্রাণকেন্দ্র, যেখানে প্রকৃতি, আনন্দ আর অ্যাডভেঞ্চার মিলেমিশে একাকার।

🌊 সমুদ্রতীরের সৌন্দর্য

কালাঙ্গুট বিচের প্রসারিত বালুকাবেলা, নীল সমুদ্র আর ঢেউয়ের ছন্দ এক অনন্য সৌন্দর্য তৈরি করে। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় এই বিচ যেন রঙিন ক্যানভাসে রূপ নেয়। সকালের শান্ত নির্জনতায় সমুদ্রতীরে হাঁটলে এক অদ্ভুত প্রশান্তি অনুভূত হয়।

🎉 রঙিন পরিবেশ ও নাইটলাইফ

কালাঙ্গুট বিচ দিনে যেমন ব্যস্ত থাকে, রাতে তেমনি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। সৈকতের ধারে সারি সারি বিচ শ্যাক ও ক্যাফে পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে লাইভ মিউজিক, ডিজে নাইট, আগুনের শো (Fire Show) আর বিচ পার্টি গোয়ার রাতের জীবনকে আরও রঙিন করে তোলে।

🚤 জলক্রীড়ার স্বর্গরাজ্য

কালাঙ্গুট বিচে রয়েছে নানা ধরণের ওয়াটার স্পোর্টস –

প্যারাসেইলিং

জেট স্কি

স্পিড বোট রাইড

বানানা বোট রাইড

উইন্ড সার্ফিং

অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য এটি আদর্শ গন্তব্য। এইসব খেলাধুলা সৈকতের আনন্দ দ্বিগুণ করে তোলে।

🍤 খাবারের আসর

কালাঙ্গুট বিচের শ্যাক ও রেস্তোরাঁগুলোতে আপনি পাবেন গোয়ান সি-ফুডের আসল স্বাদ – প্রন কারি, ক্র্যাব এক্সএসি, কিংফিশ ফ্রাই থেকে শুরু করে ফেনি (Feni) পর্যন্ত। এছাড়াও আন্তর্জাতিক কুইজিনের বৈচিত্র্যও এখানে পাওয়া যায়।

🛍️ কেনাকাটার মজা

কালাঙ্গুট বিচের আশেপাশে অনেক ফ্লি মার্কেট ও হস্তশিল্পের দোকান রয়েছে। এখানে আপনি কিনতে পারেন শাঁখের গয়না, বিচ ড্রেস, হ্যান্ডক্রাফট, উডেন সুভেনির আর গোয়ান স্পাইস।

🌤️ ভ্রমণের সেরা সময়

অক্টোবর থেকে মার্চ মাস কালাঙ্গুট বিচ ভ্রমণের জন্য সেরা সময়। তখন আবহাওয়া মনোরম থাকে এবং সমুদ্র থাকে শান্ত। ডিসেম্বর মাসে ক্রিসমাস ও নিউ ইয়ার পার্টির জন্য কালাঙ্গুট হয় সবচেয়ে জমজমাট।

🛣️ যাতায়াত

নিকটতম বিমানবন্দর: গোয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ডাবোলিম), প্রায় ৪০ কিমি দূরে।

নিকটতম রেলস্টেশন: থিভিম স্টেশন, প্রায় ২০ কিমি দূরে।

পথে: পানাজি থেকে প্রায় ১৫ কিমি, ট্যাক্সি, লোকাল বাস বা স্কুটি ভাড়া করে সহজেই পৌঁছানো যায়।

 

🏁 উপসংহার

কালাঙ্গুট বিচ এক কথায় প্রকৃতি, অ্যাডভেঞ্চার আর আনন্দের এক অনন্য মিশ্রণ। সকালে সূর্যোদয় দেখা, দিনে জলক্রীড়ার উত্তেজনা আর রাতে বিচ পার্টির উন্মাদনা – সবকিছু একসঙ্গে উপভোগ করা যায় এখানে। যদি গোয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তবে কালাঙ্গুট বিচকে অবশ্যই আপনার ভ্রমণ তালিকায় রাখুন।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গোয়ার পালোলেম বিচ – শান্ত সমুদ্রের স্বর্গ।

গোয়া মানেই রঙিন রাত, ব্যস্ত বিচ আর অবিরাম পার্টি। কিন্তু যদি আপনি চান এক টুকরো নির্জন স্বর্গ, যেখানে প্রকৃতির নীরবতা, নরম ঢেউয়ের সুর আর সোনালি বালুর স্পর্শে মন শান্ত হয়ে যায়, তবে আপনার গন্তব্য হওয়া উচিত পালোলেম বিচ। দক্ষিণ গোয়ায় অবস্থিত এই বিচ তার শান্ত সৌন্দর্য আর স্বচ্ছন্দ পরিবেশের জন্য পরিচিত।

🌊 সমুদ্রের শান্ত সৌন্দর্য

পালোলেম বিচ একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির উপসাগর। এর বিস্তৃত সোনালি বালুকাবেলা, নীলাভ সমুদ্র আর নারকেল গাছের সারি এক অপূর্ব দৃশ্য তৈরি করে। এখানে ঢেউ খুব বেশি জোরালো নয়, তাই পরিবারের ছোটদের সঙ্গেও নিরাপদে স্নান করা যায়।

🛶 শান্তিপূর্ণ জলভ্রমণ

পালোলেম বিচে সবচেয়ে জনপ্রিয় আকর্ষণ হলো ডলফিন-ওয়াচিং বোট রাইড। ভোরবেলা বা বিকেলের দিকে নৌকা নিয়ে সমুদ্রে বেরিয়ে পড়লেই দেখা মেলে লাফিয়ে ওঠা ডলফিনের। এছাড়াও কায়াকিং, সাঁতার কাটা, প্যাডেল বোটিং ইত্যাদি শান্ত জলক্রীড়ার আনন্দও নেওয়া যায়।

🛏️ বিচ শ্যাক ও হাট

পালোলেম বিচে সারি সারি কাঠের শ্যাক, রঙিন ছাতা আর বিচ-সাইড ক্যাফে রয়েছে। এখানে বসে আপনি উপভোগ করতে পারেন তাজা সি-ফুড, গোয়ান কারি, কিংবা এক কাপ ঠান্ডা নারকেল জল। স্থানীয় ফ্লি মার্কেটে পাওয়া যায় হস্তশিল্প, কাপড়, শাঁখের অলংকার – যা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বাড়ি নিয়ে আসতে পারেন।

🧘‍♀️ যোগা ও রিলাক্সেশনের স্বর্গ

পালোলেম বিচে রয়েছে নানা যোগা সেন্টার ও ওয়েলনেস রিট্রিট। এখানে সকালের শান্ত বাতাসে যোগাসন করা বা সমুদ্রতীরে ধ্যান করা এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

🌅 সূর্যাস্তের জাদু

পালোলেম বিচের সূর্যাস্ত একেবারেই বিশেষ। যখন সূর্য ধীরে ধীরে দিগন্তের ওপারে ঢলে পড়ে, সমুদ্রের রঙ সোনালি থেকে কমলা, তারপর গাঢ় লাল হয়ে যায় – তখন পুরো বিচ এক স্বপ্নিল আবহ তৈরি করে।

🌤️ ভ্রমণের সেরা সময়

অক্টোবর থেকে মার্চ হলো পালোলেম বিচ ভ্রমণের আদর্শ সময়। তখন আবহাওয়া আরামদায়ক থাকে এবং পর্যটকদের ভিড়ও বেশি থাকে। বর্ষার সময় সমুদ্র উত্তাল থাকায় ভ্রমণ কম নিরাপদ।

🛣️ যাতায়াত

নিকটতম বিমানবন্দর: গোয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ডাবোলিম), প্রায় ৬০ কিমি দূরে।

নিকটতম রেলস্টেশন: ক্যানাকোনা স্টেশন, প্রায় ৩ কিমি দূরে।

পথে: পানাজি থেকে ট্যাক্সি, লোকাল বাস বা বাইক ভাড়া করে সহজেই পৌঁছানো যায়।

 

🏁 উপসংহার

পালোলেম বিচ হলো শান্তির খোঁজে থাকা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য এক স্বর্গরাজ্য। এখানে নেই ব্যস্ত পার্টির কোলাহল, আছে কেবল সমুদ্রের ঢেউ, ডলফিনের খেলা আর প্রকৃতির স্নিগ্ধ সৌন্দর্য। গোয়ায় যদি আপনি একটু শান্ত সময় কাটাতে চান, তবে পালোলেম বিচ হবে আপনার জন্য একেবারে সেরা পছন্দ।

Share This