Categories
কবিতা

বাসন্তী সুন্দরীর সমাচার : লাজু চৌধুরী।

অনেক দিন হয় বাসন্তীর খোঁজ নেওয়া হয় না
কেমন আছে বাসন্তী?
দরজায় কড়া নেড়েছি অনেক বার কোন সারা পাইনি
তাই প্রতিবেশির কাছে খোঁজ নিলাম
জানতে পারলাম এ পাড়ায় থাকেনা বহুদিন হয় চলে গেছে।
কিন্তু কেনো প্রশ্ন করলাম প্রতিবেশির কাছে জানতে পারলাম বাসন্তীর ঠোঁটে লাল রং কপালে লাল টিপ
পাড়ার মানুষের ঘুম কেড়েছে।

লতা পাতার মত ঝুলে থাকা লম্বা বেণুনিতে এক গুচ্ছো ফুল
অনেকের কাছে অপছন্দের ।
সাত সকালে গলা ছেড়ে গান গাওয়া ভরাট কন্ঠে কবিতা পাঠ করা এই সব পাড়ার লোকের ধাঁচে সইছিলনা।
নানা লোকের নানা মন্দ কথায় বিষন্নতায় ডুবে গিয়েছিল।
এক সময় বাসন্তীর বাড়ীর পানি বিদ্যুৎ বন্দ করে দিল।

প্রশ্ন করলাম কেনো???
অট্টো হাসি দিয়ে বললো প্রতিহিংসা বাসন্তী বুঝতে পেড়েছে
তাই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গা চলে গেছে।
তাতে ও শান্তি নেই বাসন্তীর।

আমি ঠিকানা চাইলাম
অতঃপর বুঝতে পারলাম শান্তির পাড়ায় অশান্তির সাথেই আলাপ করলাম যার নিজেরাই কোন ব্যাক্তিগত ভূমিকা নেই।

Share This
Categories
কবিতা

পাইনি ভরসা : রাণু সরকার।।।

দৃষ্টিপাত হবে কামিনীর বনে-
অলস মধ্যাহ্নের নির্জনে একফালি
ছায়ার নিচে,অনুষ্ণ স্পর্শ দেবো শৈলপান্তে কামিনীর সুভাষে,
তুমি এসো কিন্তু?
থাকবো দীর্ঘ প্রতিক্ষায়।

নবোদ্ভিন্ন তরুণ অবস্থায়- বিবেকবর্জিত করে হয়েছি বেপরোয়া, কেনো তুমি বুঝতে পারোনা?
খুঁজে খুঁজে পাগল আঁধার দাঁড়ায় এসে কাছে বিহান বেলায় দুর্বলেরা করে রটনা।

হৃদয় অগ্নিপক্বকরণ, দ্রুত করি স্থান পরিবর্তন কেনো দর্শনে দিয়েছিলে ভরসার স্থান, নজর সরিয়ে করছো দরিদ্র- তোমার মমতা নিষ্ঠুর নৃশংস ভাবে করেছে হত্যা।

শুনতে পাওনি হৃদযন্ত্রটি বেরিয়ে আসছিলো
তোমাকে দেখতে- তাই তো প্রবসিত করছি-
হঠাৎই তুষারপাত কিছু কাঠ কিজানি কে রেখেছিলো কামিনীর তলে ভেজেনি জ্বালিয়ে
কষ্ট গুলোকে তাপ দিয়ে কঠিন করছিলাম।
অকস্মাৎ হৃদয় থেকে বেরিয়ে এলো নিনাদ অস্থিরতায় হারিয়ে ফেলেছিলাম ধৈর্য্য-
কেনো দর্শনে দিয়েছিলে ভরসা?
তাইতো এসেও যেতে হলো ফিরে|

Share This
Categories
কবিতা

ঐ যে দূরে ::: রাণু সরকার।।।

ঐ যে দূরে দেখা যায় বাঁশঝাড়-
পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছোট এক নদী
জলস্রোতের মৃদু কলকলধ্বনি

প্রত্যুষে শূন্যে ডানা ছুঁয়ে জল ভরে,
বেদনা মাখা মুখচন্দ্রিকা
কাজল রাতে ডেকে ছিলো
ঐ নদীটির পাড়ে-
শাপলা লতায় শরীর ঢেকে-
অব্যক্ত কিছু যেন চায় বলতে।

উচ্ছল চপল তব নবীন শালতি
হৃদয়টা অগ্নিদগ্ধ কী করে হয় নিষ্পন্ন
প্রদীপের মৃদু শিখায় মেটেকি বেঁচে থাকার দোহদ।

ভেবে না পাই-
জীবন দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার ঘরে নিশ্চল।

Share This
Categories
কবিতা

মৃত্যুই মিত্র :: রাণু সরকার।।।।।।

জীবন শুরু থেকেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় প্রতি পদক্ষেপে, জীবন-মৃত্যুর অন্তরঙ্গতা এতই গভীর যে কেউ কোনদিন কারো হাত ছাড়বে না।
এসব যখন মনে পড়ে ভেবে ভয় হয়, আবার ভুলেও যাই ভাবতে, প্রতিদিনই জীবনের শেষ দিন হতে পারে।

জীবনটা তো চলছে সরল অঙ্কের মতো-
মন্থর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি সমাপনের দিকে এটা কিন্তু মনে থাকে না, যখন কারোর মৃত্যু দেখি তখনই মনে হয় আমারও তো একদিন এই গতি হবে।

এই যে বেঁচে আছি সংসারে- ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি এদের নিয়ে মেতে আছি আনন্দখেলায়- এতো ক্ষণিকের তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
বেঁচে থাকতে হলে কঠিন লড়াই একাই লড়তে হবে,
কাছের জনেরা কেবল সান্ত্বনা দেবে, দুঃসময়ে পাশে কেউই থাকবে না।

সময় বড়ই মূল্যবান আবার মূল্যহীনও।
সংসারের খেলায় আত্মহারা- প্রিয়জন যদি কিছু জানতে চায় কখনো হ্যাঁ আবার কখনো না বলি,
এই হ্যাঁ বা না শব্দটি খুবই পুরাতন কিন্তু ছোট্ট এই দুটিকে ব্যবহার করতে হয় অনেক ভেবেচিন্তে। অনেক সময় দেখা যায় এই ছোট্ট শব্দ দুটি ভুল জায়গায় ব্যবহার করি ভুল করে- তখনই বিপত্তি দেখা দেয়।
এই সংসার খেলায় জেতার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু জেতা একমাত্র লক্ষ্য নয়, যতদিন বেঁচে থাকবো স্বপ্নও সাথে সাথে চলবে- একে ত্যাগ করতে পারছি না।

Share This
Categories
কবিতা

শিশুমন ::::::: রাণু সরকার।।।।।

মন যদি শিশুসুলভ হয় বার্ধক্য ভয় পায়
স্পর্শ করতে-
শিশুমন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে কারণ অতীত ভীষণ মনে পড়ে আর চোখের জল বৃষ্টির তালে-ছন্দে নৃত্য করতে করতে কখন বিলীন হয় কেউ বুঝতেই পারে না তার আগমন ও গমন।

শিশুমন নিয়ে যতবার চেয়েছি হাত স্পর্শ করতে পারিনি- সে ভুল বুঝে হাল ছেড়ে চলে যায়-
জানতে পারলো না সে সফলতার কাছেই ছিলো।

বুঝতে না পারলে কিছুই করার নেই, রূপ দিয়ে চিরকাল মুগ্ধ করা যায় না পুরুষ মন- তাই একটি শিশুতুল্য মন পারে পুলকিত করতে- কিন্তু সেটাও একসময় দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাতের নিস্তব্ধতা ভীষণ ভালো লাগে তখন তো রাত বিশ্রামরত, কেনোনা রাতের নিজস্ব সৌন্দর্য আছে যা লেখক মনে ধরা দেয় অবিরত,
এই প্রশান্ত গভীর রাতে বসে ফুল হয়ে ভাবি কখন মৌমাছি উগরে দেবে মধু পুংকেশরে।

Share This
Categories
কবিতা

পড়ন্ত বেলা :::: রাণু সরকার।।।।

জীবনটা কাটছে কারাগৃহে, আগামীকালের কথা ভাবলেই প্রহত হয় মন-
পড়ন্ত বেলায় কে রেখে গেলো ডিঙাখানা ঘাটে,
দেখে হৃদযন্ত্রের কম্পনের হার আরো বেড়ে যায়।
দেখছিনা তো যান চালককে-
পাড়ে পারি খায়, ঢেউ কী যেন বলতে চাইছে।
হয়তো শেষ খেয়া কখন যেন গেছে চলে-
আহত শেয়াল সহচর খোঁজে।

Share This
Categories
কবিতা

উলঙ্গ কাল :: রাণু সরকার।।।।

ছোট্ট এ কুটিরে বন্দি রাখার সময় যে কবে কখন চলে এলো বুঝতেই দিলোনা- তাই তো কালের ভাঁজে তাল মিলিয়ে গুছিয়ে রেখে চলছি।

মনোরথের ইচ্ছে একদমই নেই এখনো পর্যন্ত- তবে পরের কথা পারছিনা বলতে-
নজর শুধুই বহন করে আনে সংক্রমণ সংবাদ
তখন ভুলে যাই বিশ্বচরাচরকে;

বাধ্যতামূলক শব্দহীনতা আলিঙ্গন করে মন্থর গতিতে,
দীর্ঘশ্বাসেরা বুকে ধীর ও শান্ত ভাবে চলাচল করে, বাসনাহীন।
হয়তো তখন ভাবে এটাই তার ঠিকানা;

বাক্যহারারা সূঁচের ফোর তোলে, হৃদয়ের অশ্রুধারা পড়ে গড়িয়ে গালে।
বিকৃতাঙ্গের প্রেম দেয় মর্মপীড়া-
উলঙ্গ কালের সাথে শয্যার চলে গভীর মিত্রতা-
নিদ্রিত মুখ করে হাজার চুম্বন।

Share This
Categories
কবিতা

বেলা শেষের শেষ বিকেল :: লাজু চৌধুরী।।।

সবার একটা “তুমি” থাকে।
আমার তুমি কোন শহরে কোন অলি গলিতে গড়ে নিয়েছে নিবাস।

আমাদের মাঝে বিশেষ কোন কথার আদান প্রদান ছিলো না
কিন্তু “তুমি” শব্দটা আমাদের কাছে খুব গরুত্বপূর্ণ ছিলো।

এক দিন বেলা শেষে জানতে পেলাম
আমার তুমি অন্য কারো তুমি হয়ে গেছে।
আমার নিজস্ব পৃথিবীতে তুমি টা অন্য ভুবনের বাসিন্দা হয়ে গেছে।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যেদিন বুঝলাম
আমার নিজস্ব তুমির জন্ম হলো
তখন আমি সূর্যের খুব কাছাকাছি চলে গেছি।

সময়ের সর্তক প্রহর দরজায় কড়া নাড়ে মধ্যে রাতে।
কবিতার শৈশব পেড়িয়ে কবে “তুমি” আমি তুমি হয়ে গেলাম।

তোমার আমার মাঝে তৈরি হলো শিল্পিত বয়স্ক কবিতা।
ভুমিষ্ঠ হলো নব জাতকের মত তুমি আর আমি ।
আমার তুমি।

ভালোবাসার হচ্ছে কবিতার শরীর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবো বলে তোমার বুকে মাথা রেখে ছিলাম ।

বলেছিলাম আমায় প্রেম দাও আমি তার পরিচর্যা করবো।
মেঘাচ্ছন্য আকাশে মনের ক্যানভাসে
“তুমি” আমি ডুবে গেলাম।
এখন আমার একলা মনের রোদের ছায়ায় অসুখ ধরেছে।
আমার উপস্থিতিতে আমার অস্থিত্ব তোমাকে ছুঁয়ে যেতো।

ভেবে ছিলাম “তুমি” আর আমি সমুদ্র স্নান করবো।

হঠাৎ তুমি ঘুমন্ত শহর ছেড়ে চলে গেলে।
একাকীত্বের কাছে আমি পরাজয় হলাম।
পরাজয় আমার একদম সহ্য হয় না
আমার জীবনের সব কোলাহল থেমে গেছে।
হঠাৎ করেই বেলা শেষের শেষ বিকেলে
আমার তুমি অন্য কারো হয়ে গেছে।
আমি তোমার শেষের তুমি অথবা ঘড়ির কাটার মত বিরামহীন অপেক্ষায় থাকবো আমার “তুমির” জন্য।
তাই প্রতি রাতেই আমার ব্যালকণিতে মধ্যে রাতের আকাশে দিকে তাকিয়ে ভাবি একাকিত্বের কতটা সুন্দর আছে।
জীবনটা মনে হচ্ছে সেই পুরনো স্কুল ব্যাগটার মত ভারি ভারি লাগছে।
তোমার ভিন্ন তুমি টাকে আমি ভীষন ভয় পাই এখন আমি।

একটি অসমাপ্ত জীবনে যেখানে মন নেই।
যেখানে “তুমি” নেই।

Share This
Categories
কবিতা

মৃত্যুই মিত্র : রাণু সরকার।।

জীবন শুরু থেকেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায় প্রতি পদক্ষেপে, জীবন-মৃত্যুর অন্তরঙ্গতা এতই গভীর যে কেউ কোনদিন কারো হাত ছাড়বে না।
এসব যখন মনে পড়ে ভেবে ভয় হয়, আবার ভুলেও যাই ভাবতে, প্রতিদিনই জীবনের শেষ দিন হতে পারে।

জীবনটা তো চলছে সরল অঙ্কের মতো-
মন্থর গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি সমাপনের দিকে এটা কিন্তু মনে থাকে না, যখন কারোর মৃত্যু দেখি তখনই মনে হয় আমারও তো একদিন এই গতি হবে।

এই যে বেঁচে আছি সংসারে- ছেলে, মেয়ে, নাতি, নাতনি এদের নিয়ে মেতে আছি আনন্দখেলায়- এতো ক্ষণিকের তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।
বেঁচে থাকতে হলে কঠিন লড়াই একাই লড়তে হবে,
কাছের জনেরা কেবল সান্ত্বনা দেবে, দুঃসময়ে পাশে কেউই থাকবে না।

সময় বড়ই মূল্যবান আবার মূল্যহীনও।
সংসারের খেলায় আত্মহারা- প্রিয়জন যদি কিছু জানতে চায় কখনো হ্যাঁ আবার কখনো না বলি,
এই হ্যাঁ বা না শব্দটি খুবই পুরাতন কিন্তু ছোট্ট এই দুটিকে ব্যবহার করতে হয় অনেক ভেবেচিন্তে। অনেক সময় দেখা যায় এই ছোট্ট শব্দ দুটি ভুল জায়গায় ব্যবহার করি ভুল করে- তখনই বিপত্তি দেখা দেয়।
এই সংসার খেলায় জেতার স্বপ্ন থাকে, কিন্তু জেতা একমাত্র লক্ষ্য নয়, যতদিন বেঁচে থাকবো স্বপ্নও সাথে সাথে চলবে- একে ত্যাগ করতে পারছি না।

Share This
Categories
কবিতা

শিশুমন : রাণু সরকার।।

মন যদি শিশুসুলভ হয় বার্ধক্য ভয় পায়
স্পর্শ করতে-
শিশুমন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে কারণ অতীত ভীষণ মনে পড়ে আর চোখের জল বৃষ্টির তালে-ছন্দে নৃত্য করতে করতে কখন বিলীন হয় কেউ বুঝতেই পারে না তার আগমন ও গমন।

শিশুমন নিয়ে যতবার চেয়েছি হাত স্পর্শ করতে পারিনি- সে ভুল বুঝে হাল ছেড়ে চলে যায়-
জানতে পারলো না সে সফলতার কাছেই ছিলো।

বুঝতে না পারলে কিছুই করার নেই, রূপ দিয়ে চিরকাল মুগ্ধ করা যায় না পুরুষ মন- তাই একটি শিশুতুল্য মন পারে পুলকিত করতে- কিন্তু সেটাও একসময় দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাতের নিস্তব্ধতা ভীষণ ভালো লাগে তখন তো রাত বিশ্রামরত, কেনোনা রাতের নিজস্ব সৌন্দর্য আছে যা লেখক মনে ধরা দেয় অবিরত,
এই প্রশান্ত গভীর রাতে বসে ফুল হয়ে ভাবি কখন মৌমাছি উগরে দেবে মধু পুংকেশরে।

Share This