Categories
কবিতা

মধুর বন্ধন : রাণু সরকার।।

যৌবনের লাবন্য হলো কলাশাস্ত্র
ঘুমিয়ে থাকে কল্পনার কুটিরে
একান্ত আপন দোঁহে গোপনে!
সমাজ সাদরে সম্ভাষণ করে মধুর এক বন্ধনে,
সৃষ্টি হয় সুন্দর এক জীবনের চিত্রনাট্য!

আজ যৌনতা খুবই উদ্দাম-
সংযমহীন, চলে দিশাহীন সংসর্গে,
অদমিত কিছু বাসনা অতৃপ্ত থাকে-
অতিক্রম করার কোন প্রচেষ্টা নেই,
নেই কোন সৃষ্টির আকুতি,
শুধুই জৈবিক!

Share This
Categories
কবিতা

সত্য : রাণু সরকার।

রাত শেষ হলেই ভোর,
ভোর থাকে লক্ষ্যের বাহিরে,
আসতে দেরি হলেও সে আসবেই।

চিত্রণ শিল্পকর্ম,কঠিন ক্রিয়াকলাপ
ঘটে ঘনান্ধকারে,
চলে দখলদারি,
মন বিক্রি হয়-
সত্যিই কি অন্তর বিক্রি হয়?
জোরপূর্বক দাম দর নিয়ে চলে মন
কষাকষি,
এক রাতের অভন্তরে কত না কি ঘটে।

এই সত্য কি সূক্ষ্মদৃষ্টিতে অনুভব করি সবসময়?

Share This
Categories
কবিতা

তুলির টান : রাণু সরকার।

জল তুলিতে এঁকে ছিলাম আত্মভাব,
তুলি দিয়ে যত টান দেই ততই আঘাত-যন্ত্রণারা হুটোপপাটি করে বেরিয়ে এলো-
ভেতরের আরো অনেক রূপও বেরিয়ে এলো বাহিরে;
হয়তো অপেক্ষায় ছিলো তুলির টানের সব টানের-
সত্য বড্ড কঠিন,
কঠিনের সাথেই চললো গার্হস্থ্যজীবন!

Share This
Categories
কবিতা

বেদনাহত : রাণু সরকার।

পেয়েছি অনেক প্রাণ গেছে ভরে,
একটুও দুঃখ নেই যাই যদি মরে।

দিন-রাত এক হয়ে কাটে কষ্টের সুখে,
অনুক্ত স্বরাঘাত এলো কোথা থেকে-
ভাবনা চলে এতো কিছু কিকরে থাকে
ছোট্ট এ বুকে!

আহ্লাদে থেকেছে যখন- রূপ-রস সব করেছে হরণ!
বেঁচে থেকে কীবা লাভ, তাই বলি, আসুক না মরণ।

অজ্ঞাত বাসনা আছে কিছু বাকি-
পূর্ণ কি হবে,
অদৃষ্ট বলে-
পেয়েছি যা তা মেনে নিতে হবে।

কাছে গেলে সরে যাও, দাওনা স্পর্শখানি,
তুমি আছো, থাকবে সকলেই- তা জানি।

যাবো যাবো বলি রোজ- পারি কি যেতে,
একদিন যাবো চলে ওই তরী বাঁধা ঘাটে
যেতে চাইলেও পারবো না কাউকে সাথে
নিয়ে যেতে!

Share This
Categories
কবিতা

তাপদগ্ধ : রাণু সরকার।

নিস্তব্ধ সন্ধ্যায় একা বসে-
পুরোন কিছু স্মৃতি দ্রুতবেগে
এসে বসলো মনের
কোণে,
লাগছিলো বেশ-

সযত্নে নিলাম তাদের-
রাত কাটে পুরোন কথা বলে বলে–
ভালোবেসে একসময় স্পর্শও
করেছিলো!
রেখেছি বুকের অগোচরে
বেঁধে ইতিবৃত্ত!

যে-মালাটি পরিয়েছিলো-
ফুলগুলো তাপদগ্ধ
ঝরে পড়তে দেইনি নিচে!

Share This
Categories
কবিতা

প্রার্থনা : অরূপ পান্তী।

অক্ষরে অক্ষরে যে কিভাবে আগুন জ্বলে
সেই সাধনায় আছি বহুদিন একাকী
সকলেই ভালোবাসা বোঝে
আমি বুঝি অক্ষরের অক্ষর

অক্ষরের দীর্ঘশ্বাস আছে
আমি তোমাকেও অক্ষর ভাবি
আমাকে আলিঙ্গন করো , চুম্বন করো
এ আমার একান্ত অক্ষর ভালবাসা।

হে অনন্ত , হে অপূর্ণতা আমাদের জীবন
ক্ষোভ , দুঃখ, দীর্ঘ শ্বাস, প্রেম ও বাসনার
নিঃশব্দ দহনে অঙ্কুরিত শব্দের প্রাণ
হে ঈশ্বর! প্রাণ দান করো —-

শব্দ ও অক্ষরের পুনর্জন্ম হোক
শব্দের কাঙালকে  শিউলি অক্ষর দাও
দাওয়ায় পিঁড়ি  পেতে বসেছে কবি
এবার কলার পাতায় শব্দান্ন খাবে ।।

Share This
Categories
কবিতা

আনন : রাণু সরকার।

লিপিবদ্ধ হয়নি কোন বন্ধনে করিনি ইচ্ছে করেই-
আগুনে ধৌত এ মন-
খুঁজিনি তো চেনা আনন!

ফুরসত পাইনি তার সম্মুখীন হবার,
পেলেও চাইনা বিপরীত দিকে বসতে!

চোখ বুজলে দেখি শুধু আঁধার।
কখনো চাইনি দেখতে বিষাক্ত ঐ মুখ!

বাতাসের সাথে চলে বাক্যালাপ,
কখনো কখনো হয়ে যাই দিকভ্রষ্ট !

সঙ্গীহীন, তাই দিনভর করি আঁকিবুকি!
প্রলম্বিত কাহিনীর থেকে কোন একদিন
উজ্জ্বল এক চিত্র অনুভবে এসেছিলো-
মধুমাখা ছিলো অনুভূতিতে রাখিনি তাকে শিহরে!
হৃদয়ে রাখা তো দুরস্থ!

Share This
Categories
কবিতা

দেরী : শীলা পাল।

অনেকটা পথ পেরিয়ে এসে দেখি
আমার সবুজ মাখানো
স্বপ্নেরা এসে দাঁড়ায়
চোখে কাজল একটু ভেজা ভেজা
মনখারাপের জলের ফোঁটাগুলো তখনও রেখেছে কালো দাগ গালের আশেপাশে
একটু দাঁড়াই চুপটি করে
মনটি বড় উথাল পাতাল করে
কেমন করে যাব যে সব ছেড়ে

এই মায়ার খেলায় হেরে যাবার শেষে
এমন কি কেউ আছে আমার রাস্তা বড় হোক
সময় লাগুক অনেকদিন
আস্তে আস্তে আমি
নতুন করে ভাবতে বসি আবার
পথ তো আছে বাঁকা সোজা উঁচু নীচু অনেক রকম
ধীরে ধীরে চলি ছুঁয়ে ছুঁয়ে চলি স্বপ্ন গুলো একটু ধূসর হোক
তারপরে তো পৌঁছে যাব ঠিক
একটু না হয় হলই পথে
দেরী।

Share This
Categories
কবিতা

বর্ষশেষের আগে : শীলা পাল।

চৈত্র রাতের জ্যোৎস্নায় বড় মায়া
দিন গুলির ক্লান্ত বাতাসে বিরহের সুর বাজে
আপনাকে যেন সমর্পন করে নতুনের কাছে
বর্ষশেষের গ্লানি গুলি রেখে যায় ধূসর প্রান্তরে
বিষন্নতার ছায়া ঝরাপাতার নিঃশব্দ পতনে
আমরা ভুলে যাই তার রঙীন দিনের উচ্ছলতা ভুলে যাই দিক দিগন্তে তার রঙের খেলা পলাশ শিমূল কৃষ্ণচূড়ার আগুন ঝরা খেলা
ভুলে যাওয়াতেই জীবন অভ্যস্ত।

যে চলে যায় চলেই যায় চলে যেতে দিতে হয় এই তো নিয়ম।
কালের অবিরত যাওয়া আসার খেলা চলতেই থাকে।

Share This
Categories
কবিতা

স্বপ্নের রং ::: রাণু সরকার।।।

প্রাণের পাখি ভালোই তো-
শূন্যে বিচরণ করছিলি,
কেনো তোর মন চাইলো যেতে অজানায়?

নিজে বন্ধনমুক্ত করে দিলি উড়াল!
ভয়ে তোর হৃদযন্ত্রের কম্পন হয়নি বুঝি?
প্রণয়াসক্ত ছিলি তাই না-
তাই তো তোর মস্তিষ্ক বিকৃত হলো-
কে করলো রে তোকে বিবর্ণ?
সেকি বাদ্যকর?

ডানার ভাঁজে রেখেছিলি
অতীতকে আড়ালে!
মনে পড়ে সে স্বপ্নের রং,
তুই তো নিজেই মেখেছিলি গায়ে?

ঝড় তো ওঠেনি তবে কেনো পথ হারালি?
দল থেকে হোলি বিচ্ছিন্ন-
বর্তমানে দিবারাত্রি কাটে তোর আষাঢ়ের প্রত্যাশায়!

তালগাছে যে তোর অতীত বাঁধা-
কি করে ফিরবি?
স্বয়ং ডানা নিয়েছিস ছেঁটে||

Share This