Categories
কবিতা

চাপা থাক অলিন্দে :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজকাল ডানাদুটো ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে,
স্বপ্নের পাহাড় ডিঙাতে অপারগ হয়ে-
নেমে আসি আচেনা আঙিনায়।
অপরিচিত চোখগুলো অপার বিস্ময়ে জরিপ করে,
ঠিক তখনই তুমি হয়তো আমাতেই নদী খোঁজ-
তোমার শুস্ক,রুক্ষ সময়ের অবগাহনে।

চাঁদের রূপের বহিঃপ্রকাশ জ্যোৎস্নার বিভাবরী,
সেই মুহূর্তে তোমার অষ্টাদশী এলোচুলে-
আমার হারানো যৌবন স্মৃতির পথ ধরে হাঁটে,
অশান্ত বেলার অন্বেষণে প্রখর রৌদ্রে ।
এপাশ-ওপাশ ঠেলেঠুলে রক্তমাংসের কিছুটা দলা উঠে আসে,
খুশির মেহেন্দি মাখা দুটি হাতে খুঁজি হারানো চিরশ্বাশত প্রেম।

উৎস থেকে বিচ্যুত বেদনায় মেঘমালা ঝড়ে পড়ে,
এসো সেই বৃষ্টিতে ভিজে,ভিজেই চোখের জল লুকাই।
অনভিপ্রেত বিধ্বংসী পতনের বাধা পেড়িয়ে,পেড়িয়ে-
আজ কোত্থাও না থেমে অতৃপ্তির কাঁটা তুলি প্রতিটি হৃদয়ের।
কবিতা যা লিখেছি সব জমা থাক আগামীর দেরাজে,
অন্তর্নিহিত অক্ষরমালায় বিদ্রোহ রেখে গেলাম আগামীর সঞ্চয়ে।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
কবিতা

এই দুঃসময়ে :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

বড় দুঃসময় ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে সমানে
পাঙ্গাস আকাশ শোকাতুর,বিহ্বল ভয়াভয় তুফানে।
বেলাশেষে গোধূলি আজ প্রেমহীন,অপাংতেও,
রক্ষা নেই একান্তেও ,পাকেচক্রে দৈবপাকে নিষ্কৃতি মেলে।

বড় অসহায় তিমিরে মৃত্যুহাসে একনাগাড়ে,
আত্মীয়-পরিজন নিপাত্তা,খোঁজহীন বিবরে,
শ্মশান বন্ধু এখন শুধু ইতিহাস খোঁজে ভয়ে,ত্রাসে।
সকল রোগের নিদানে একই নামাবলি গায়।

এতো কষ্টেও হাসি আসছে,শ্মশান পথেও –
নিজেকে পুরুষ্ট করার নির্লজ্য প্রয়াস, নানা মতেও-
শেষ সময়েও মিথ্যার নিবীত ঢাকা আঙিনায়
কেউ,কেউ প্রকাশে ব্যস্ত দানের খতিয়ান।

পৃথিবী জুড়েই নিস্কৃতির ব্রহ্মাস্ত্র খুঁজতে খুঁজতেও –
ক্লান্তিতে ভেঙে পড়ে কিছু মানবিক। ঘুমহীন ব্যস্ত কাকভোরেও।
এতো জেনেও উর্ধলোকের কিছু অর্বাচীন অবহেলায় মত্ত-
বেহুশ,বেতাল ,লেখে নিত্য অনিয়ম জীবনের পাঁচালি।

একটু শান্তিতে থাকতে দাও ঈশ্বর,গর্বিত আওয়াজে-
তোমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাভিশ্বাস উঠছে সমাজে।
জানি অনিচ্ছাতেও যেতে হবে ,মৃত্যুদূত দাঁড়িয়ে দরজায়,
আর নিষ্প্রয়োজন সহমর্মিতা,জানি মেঘে বৃষ্টি নেই যতটা গর্জায়।

সংরক্ষিত
গড়িয়া, কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ফিরে এসো পুনর্বার :: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।

আজ সহসা মাতাল হলাম ক্ষণিক আশায়
তৃপ্তি আনে শ্রাবণ ধারায়, স্তব্ধ ভাষায়।
চকিত চাহুনি ঝড় তুলে হৃদয় করে তোলপাড়-
পথমাঝে হটাৎ দেখা, একি ললাট লিখন দুর্নিবার ,
ফিরে পাওয়ায় পুনর্বার – খুলে গেল হৃদয়ের রুদ্ধ দ্বার ?

দৃঢ়নিশ্চিত ফিরবে তোমার তমস মুখের হাসি
জ্যোৎস্না ধোয়া এ মধু রাত ভালোবাসি ওগো ভালোবাসি।

হাতখানি তাই বাড়িয়ে দিলাম,হাতটি তোমার রাখো
দেওয়া-নেওয়ার হিসাব নহে ,পুনর্মিলনে থাকো।
তোমার নয়ন ভরা চোখের জলে নিঃস্ব অহংকার
ওই মুখেতে দেখছি কেবল চরম হাহাকার,
রজনী এখনো বাকি ,আকাশভরা চন্দ্র-তারা কি চমৎকার।

নাই বা ঘুমালে ,আঁখি মেলে দেখো জ্যোৎস্নার হাসি
এ ধরণীর বুকে অমৃত প্রেম ভরে আছে রাশি-রাশি।

Share This
Categories
কবিতা

স্বাধীনতার স্বপ্ন : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

(গদ্য -1)
স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছরে অনেক কিছুই ব্রাত্য ,
স্বপ্ন আর উন্মাদনা থিতিয়ে গেছে অভাবে ,
মূল্যবোধটিকে খুঁজতে হয় পুরানো পাতায় –
যা হারিয়ে গেছে সমাজ থেকে।
এখন নজরহীন শালীনতা,বেপরোয়া বেয়াদপি –
হয়তো তুমি ছদ্মবেশী ! হয়তো মুখোশের আড়ালে ।

( পদ্য -1)
স্বাধীনতার ইতিহাসের পাতা খুলে –
দেখি কতই বিস্ময়,আত্মত্যাগী শহীদদের গেছে ভুলে ,
সাজান বাগানে কর্পোরেটরা হাসে,তাদের এখন পৌষমাস ,
দারিদ্রসীমার ভুখা পেট করে চিৎ্কার, বারমাস শোষিত, সর্বনাশ।
নব্বই শতাংশ সম্পদ দশ শতাংশের হাতে –
ভুখার মিছিলে অধিকারের দাবী,অন্ন নেই পাতে ।

(গদ্য -2)
স্বাধীনতা চুপি চুপি বলি-
তুমি আজও অদেখা, অধরা ।
নিস্পৃহ যত আবেগ ,যত ভালোবাসা –
তোমার মিথ্যা ছায়ায় পদভারে মানবিকতার মস্তক ।ব্যক্তিস্বাতন্ত্র ,অধিকারবোধ ,আজ –
দেওয়ালে টাঙ্গানো তৈলচিত্র মাত্র ,
প্রতিশ্রুতিগুলো লিপিবদ্ধ শুধু অসত্যের নামাবলি আজ।
আজও ক্ষুদিরাম কেঁদে যায় রাজপথে –
বিপ্লবীদের আশাভঙ্গ,মিথ্যা স্বপ্ন,স্বাধীনতার এই মানে,
প্রফুল্ল চাকির চোখভরা জল ,বৃথাগেল রণাঙ্গনে ।
আজও রয়ে গেছে রহস্য ,তবু অনেকে সহাস্য –
কৌতুহল মেটেনি,সমাধানহীন নেতাজী মৃত্যু।

(পদ্য -2)
পরাধীনতা নতুন মুখোশে আজও আঘাত হানে ,
প্রাত্যহিক জীবনের হালখাতা আশাভঙ্গের অভিমানে ।
শহরে ,গ্রামে ,অফিসে ,কলে ,কারখানায় –
প্রাত্যহিক সংসারে শোষণ, বঞ্চনা আর
ব্যথাভরা ব্যর্থতায় সময় কাটে প্রহর গোনার।
চেয়ে দেখো দূষিত বাতাস ভরা দুই ফুসফুসে –
স্বাধীনতা তুমি বিভীষিকা জাগাও রক্ত শুষে শুষে ।
মিছিলে মিছিলে প্রতিবাদ দেখি ,প্রতিবাদ মায়ের বুকেও-
ধর্ষণ ,পণপ্রথায় বিদ্ধ আকুল প্রতিবাদ নারীর চোখে ।
প্রতিটি রাতে স্বপ্ন ভাঙ্গে ,ভাঙ্গে বেকারের মন ,
প্রতিটি প্রহরে ব্যর্থতার আঘাতে বিপথে যায় যৌবন।

(গদ্য -3)
স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে বহু আত্মবলিদানে-
মৃত্যুর মিছিল ডিঙ্গিয়ে,রক্তনদীতে স্নান করে,
বঞ্চিত ,নিপীড়িত মানুষের মুখের হাসি ফেরাবার-
দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়,আজ দেখি উল্টোপুরান –
অতৃপ্ত আত্মার কান্না শুনে তুমি ক্রোধান্বিত,রক্তচক্ষু-
দাম্ভিকতার পরাকাষ্ঠে শাসন চলে নিষ্ঠুর বীজমন্ত্রে।
দেশের যত মহান সন্তান করেছিল আত্মদান ,
আকাশে বাতাসে কাঁদে তাদের অতৃপ্ত আত্মা ।
নীলাকাশে উড্ডীন পতাকার রং ফিকে ,
জাতপাত,অসাম্য,শোষণ,জীবণযন্ত্রনার দংশন ,
ব্যর্থতার প্রতিধ্বনি,স্বাধীনতাতো আমরা পাইনি ,
এমন নির্লজ্জ ,বেহায়া ,পাপেদীর্ণ দেশ কেউ চাননি ।

(পদ্য -3)
স্বাধীনতা ফিরিয়ে দাও ভারতবাসীর হাসি
বুকভরা প্রেম,বাঁচার আশা,মায়ের মনের খুশি ।
স্বাধীনতার চুয়াত্তর বছরে দূর হোক্ যত অসাম্য ,
গরীব খেটেখাওয়া মানুষ যেন না হয় বিপন্ন ।
সকল ধর্মের মহামিলনের দূর হোক্ জাতপাত ,
একতার আহ্বানে ধ্বংস হোক্ উগ্র জাতীয়তাবাদ।
নতুন সূর্যোদয়ে জাগুক শান্তির সকাল,
এদেশ আমার এদেশ তোমার এখনেই ইন্তেকাল ।
দূর হোক্ যত কালশিরা পড়া আলো –
এক জাতি,এক প্রান,আমার স্বদেশ ভালো ।
সুখ শান্তি ,প্রেমানুভূতি ,নিশ্চিন্তের একটু জীবন,
আর তো চাইনি কিছু ,চাইনি বিত্তের প্লাবন ।

স্বদেশপ্রীতির নব জাগরণ জাগুক সবার প্রাণে,
ভালোবাসার মূলমন্ত্র বাজুক স্বাধীনতার গানে ।

( গদ্য ও পদ্যের মেলবন্ধন ঘটিয়ে একটি সম্পূর্ণ কবিতা। )

Copyright @প্রবীর কুমার চৌধুরী/১৪/০৮/২০১৮

Share This
Categories
কবিতা

দুটি পরমাণু কবিতা।

আত্মজন
প্রবীর কুমার চৌধুরী

মনমন্দিরের সেজন-
বিরাজমান আত্মজন,
সর্বধর্মের সমন্বয়-
অটুট থাকুক নির্ণয় ।

চেতনায় ( শব্দ সংখ্যা -৯)
প্রবীর কুমার চৌধুরী

হৃদয়ে আল্লা- ভগবান,
বিশ্বাসের আহ্বান,
ভুলেছি অপমান-
মান-অভিমান ।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

ত্যাগ : শীলা পাল।

 

আম্রপালীর রূপে সমস্ত রাজা মহারাজ যখন তাকে পাবার আকাঙ্ক্ষায়
নিজেদের বিকিয়ে দিতে চাইতেন ,
অতুল ঐশ্বর্য নিয়ে তিনি সম্রাজ্ঞীর
মতো জীবন যাপনে ব্যস্ত সুন্দরী
একরাত্রের বেশী কেউ তাকে পায় নি।

কী করে একজন বৌদ্ধ শমন তার হৃদয়
জয় করেছিল এর বিনিময়ে নিজের সমস্ত ত্যাগ করে বুদ্ধের চরণে নিজেকে সমর্পণ করে ছিলেন,
ত্যাগের মহিমায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন
নিঃস্ব ভিক্ষুকের মতো।

এই অপার শান্তি তাকে কোনও রাজা বা রাজ ঐশ্বর্য দিতে পারে নি।
জীবন তাই বলে তুমি ভোগ করে কত সুখ পাবে?
একজন বাউল একজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীর
যে শান্তি আছে আমাদের কণা টুকু ও
নেই।

আমরা চাই চাই আরও চাই
যখন চলে যেতে হবে একা তখন তো সেই
ভিখারী ,তোমার আপন বলে কেউ নেই
একা একদম একা।

Share This
Categories
কবিতা

কালবেলায় অবগাহন ::: প্রবীর কুমার চৌধুরী।।।

আজানুলম্বিত বাহু মেলে মস্তিষ্কে হাত রাখে বিধাতা
হস্তনির্গত বিষধর সাপ যেন বহুফনায় করে দংশন
নীলকণ্ঠ নহি,নীলাক্রান্ত মৃত্যুই প্রাত্যহিক উপসংহার।
ভক্তি বিনত নত মাথা,মিথ্যা অভিশাপে ভরাও হে কালকূট।

কালবেলার সরিয়ে চাদর ঘুমন্ত দাবনায় রাখে মাথা,
কামনায় আবৃত চোখে প্রস্ফুটিত স্তন পান করে জিঘাংসায়।
নগ্নতায় ভরায় এ ধরণীর নির্মল সিঁথির সিঁদুর,
তারপর বেশ্যাদ্বারের মাটি শুষে নেয় সহস্র সতীর অশ্রুবিন্দু।

শুস্ক নদীতে পচা, গলা,ফোলা প্রাণহীন শবেদের অবগাহন,
বালুকায় অষ্টপ্রহর ভাঙা গড়ার চিরাচরিত ইতিহাস।
অগ্নিদগ্ধ দক্ষিণা বাতাসের তৃপ্তিহীন দীর্ঘশ্বাস বাতায়নে,
শতসহস্র পরিযায়ী ফিরে যায় ক্ষত বিক্ষত ডানা মেলে।

ঝরা পাতার দীর্ঘশ্বাস ,দূষণ,শোষণ আর লোভে মৃত্যু হাসে
প্রতি প্রভাতে গণিকার ঘুম ভাঙে শত ব্যথা বয়ে পাঁজরে ।
পুরুষের প্রতিস্পধী দেবী মাটি খোঁজে কুমারের টুলিতে, টুলিতে,
অনুশোচনায় চোখ মোছে স্বাধীনতা,অদৃশ্য বেড়ি পায়ে ক্লান্ত যৌবন।

সোনালী ধান প্রেতাত্মা হয়ে ঘুরে বেড়ায় সবুজ শস্য ক্ষেতে,
প্রাণহীন কাকতাড়ুয়া মহাশূন্যে হাত মেলে দীর্ঘ তপস্যায়।
আজ হয়তো কোন পোয়াতির গর্ভে অপেক্ষায় নির্ভীক-
পুরুষাকার, হয়তো দেশাত্ববোধের আগামী রূপকার।

সংরক্ষিত/ প্রবীর কুমার চৌধুরী।

Share This
Categories
কবিতা

নখের দৈর্ঘ্য সেন্টিমিটার স্কেল ::: নিমাই জানা।।।

স্টেনলেস স্টিলের বোতামে জং ধরছেনা
ব্লেড এর দুটি ধারে পা পিছলে যাচ্ছে শামুকের রেলিং এর পাশে আলপিনের ভয় গা ছমছম
রাত এখন শুধু অপেক্ষার , প্রতিটি জাহাজ ফিরে যাচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে
কসবা নামে উর্বর ভূমি পড়ে আছে মন খারাপ নিয়ে

এক্সপোনেনশিয়াল ভূমি বড় সরলরৈখিক প্রতিটি অংকেই অগণিত যোগ চিহ্ন আছে
জিলেট গার্ড রাতের সব অবাঞ্ছিত লোম দূর করে, পিয়ানো বাজায় কোন ঐতিহাসিক
গভীর রাতে কেউ সান্দ্রতার ভ্যাকুয়াম টিউব খায়নি
নক্ষত্র থেকে বৃষ্টি পড়তে জাস্ট ২ মিনিট সময় লাগে

পৃথিবীর আয়ু কতবার মেপে নিয়েছি নিরক্ষীয় দৈর্ঘ্যৈ , ভাঁজ করা ব্লেড রেখেছি নখের ভেতর
মেঘকে সাদা আয়ু ভেবে ,
সাপের স্বপ্ন দেখেছি অনেক বার ।হাইগ্রোমিটার ভিজিয়ে যাচ্ছে অতীতের ডেভিল সম্পর্কগুলো
সোলার ল্যাম্পে সোডিয়াম হলুদ সন্ন্যাসী হেঁটে যাচ্ছে আশ্রমের দিকে
জামার হাতার নিচে একটা নরখাদক লুকিয়ে আছে

স্যালাইভার ভেতর কাঁটা ফুল ফুটে আছে শরীরের অবিচ্ছিন্ন সংকর ধাতু পচে যাচ্ছে এখন পিচ্ছিল পদার্থ রাইজোবিয়াম মূলের
সেন্সর কাজ করছে, অনেকটাই দূর সম্পর্কের ।
ফিজিক্যাল মেনটেন্স করছে নিলু দা ।
কাপড়ের দোকানে টুকরো কাপড়ের গন্ধ
বন্য ডিওড্যারান্ট ।আজ এটারই দরকার ।

যাদের আনফ্রেন্ড করেছি তারা এখন রাত্রিবেলার নোটিফিকেশনে আসছে
সিমেন্ট বালি বড় ঋণ করে গেছে ধ্রুপদী গানের কাছে ,দেউলিয়া হয়েছে পলাশ ফুল
আমার পাশে চেয়ার টেবিলে বসে তারা সেলোসিয়া ফুলের কথা বলে , মোরগের ফুল লুটিয়ে পড়েছে চোখে

আমি কেবল বাবার পাকা চুলের ভেতর হিমালয় পর্বত খুঁজে বেড়াচ্ছি এখন
হলুদ কেঁচোর মতো ক্রমশ মাটির গভীরে ঢুকে যাচ্ছে সে
আমরা ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছি ফসলের জন্য
রাংতা খসে খসে পড়েছে পায়ের গাঁট থেকে ।
আমি এখন এক নর্তকী সাজছি

Share This