Categories
কবিতা

চৈতন্য বিহীন কাপালিক ও অতৃপ্ত একোয়ারিয়ামের প্রেতপুরী : নিমাই জানা।

অবৈধ কনটাজিয়াস স্তন , মেগালড্রেট ক্যান্সার ফুলদানির টবের মত দোদুল্যমান প্যান্থারা চামড়ার কারখানা , টু পাই এইট ও স্বস্তিক ছত্রাক ভৃঙ্গের মতো প্রচেত বীজের দাঁতালো পাখিদের ক্যাটায়নিক হাড়ের থেকেও আরো ক্ষুদ্রতম কোন বিমুগ্ধ সরোবরে তিনটি প্রেত মাংস বিক্রি করা ময়ূরী স্নান করছে মেনকা গন্ধের ইবলিশ দাঁতের মার্গ শাস্ত্র দিয়ে , সারারাত তিনটে জবাই নিজেদের পোশাকে কটকটে তৈলাক্ত একটা গলা বন্ধ খুনিকে ধরে রেখেছে ভ্যানিসেবল আরবিয়ান মেন্থল হ্যান্ডওয়াশ বেসিনের উন্মুক্ত তলপেটে, জীবিত মাংস খেয়ে বমি করছি কাইনেটিক মাংসের ,

কটকটে খুনিদের গলা ধোয়া রক্তাক্ত জলের ভেতরে ক্যানবেরি, মার্গার পাখিদের রমন দৃশ্যের অনিষিক্ত ডিম্বকোষের তরল গলাটাকে ডুবিয়ে লাল চৈতন্যের কাপালিকের রোমাঞ্চে পূর্ণ ৩৩ উপপাদ্যের লিঙ্গবর্ধক রক্ত নালিকা আবিষ্কার করি কুকুরদের ধরে ধরে,  কৃত্রিম গলার হাড় তৈরি করি অথচ যজ্ঞের পিতার ডিম্বকোষে কামড়ে ধরে তেরো ডিগ্রি শুক্র মাখানো পিঁপড়ের ফরমিক লেজের ক্ষার বিষয়ক সোডিয়াম সাইট্রেট চামড়ার উপর ন্যাতানো ফেটে যাওয়া ডিমের নেতানো নুলিয়াটি সাঁতারুদের ধরে ধরে গর্ভপাত ঘরে নিয়ে যাচ্ছে , কবরের ভেতর নিঃশব্দে বসে থাকা কালো মাকড়সা হত্যাকারীর জঘন্য অন্ধকারের কার্বোনেট ঈশ্বরের তাপ বিক্রি করা তলপেটের অদ্রবীভূত খণ্ডাংশ , বিজ্ঞাপন বিহীন শৌচাগারে থকথকে শ্যাওলা জেগে ওঠা অতি নাইট্রোজেনঘটিত চিৎকারে নখ ডুবিয়ে লিঙ্গের ভেতরে জমে থাকা স্কোয়াশ ছাড়াচ্ছি , লিঙ্গের ভেতরে ঢুকিয়ে দিচ্ছি ১২ এম এম ক্যাথিটার ও ব্রাকিয়ালের রক্তের ভেতরে এক একটি ডায়ালিসিস নল সারারাত প্রশমশালায় লাল রঙের তুলোতে মুখ গুঁজে ক্ষুধার্ত হয়ে পড়ি নিজের রেচনালীর মাংস খাব , কে জান্নাত দেখি রক্তের ফোটা দেখে বমি বন্ধের ঔষধ দেখে ঠোঁটের স্কোয়া মাছ দেখে নৌকা দেখে নৌকার ভিতর লুকিয়ে রাখা প্রেম দ্রব্য দেখে যারা নারীর তলপেটে অদৃশ্য কাজ ভাঙ্গায় আয়নায় মুখ ভেঙ্গে দ্রোণাচার্য ভাঙার কুরুক্ষেত্রে পৃথিবীর নষ্ট নক্ষত্রের বংশধরদের প্রিম্যাচিউ ইজাকুলেশন দেখে ,

হায় চর্বি!  তিন দিন হল আমার মুখের কাছে একটা কালচিতিকা সাপ নষ্ট মলমূত্র আর মুত্রের খনিতে ১৩৩ জোড়া মাথা কাটা ভ্রুণের রোস্টেট বিস্কুট রেখে যাচ্ছে , নিজের দেহটাকেই দেখি উলঙ্গ করে , গোলাপের পাঁপড়ি মাখাই মরচে লাগা স্ক্রু টাইট দেই মাথার ক্রেনিয়ালে পিঠের সপ্তম কক্সিসে ঢুকিয়ে দেই অ্যাবাকাস আর প্লাস্টিক পাইপের ভাঙ্গা টুকরো। ঘুমের ঘোরে পিতার সাথে ভ্রমণ করি ঢেলে দেই পাতলা বীর্য আর একটা পরিতক্ত পুকুরে ফেলি ঘোড়ার ডিম
প্রতিটি হাতে অভিশাপ মাখানো আছে , পিতাকে প্রণাম করতে নেই ছুঁতে নেই ঈশ্বর ভাবতে নেই ছাল ছাড়াতে নেই বায়ুমন্ডলে নিয়ে যেতে নেই বারুদ মাখাতে নেই কঙ্কালের মুখে টক লেবুর জেলিফিকেসন খাওয়াতে নেই অথচ তার দিকে তাক করে রাখতে হয় অর্গাজমোগ্লিপিক লিঙ্গ , হিমায়িত এমব্রোয়ডারি বীজের রক্ত উদ্রেক আগ্নেয়শিলার থেকেও আরো ধ্বংসাত্মক কোন মহাজাগতিক নক্ষত্রের ঋষি পুত্রের ভরদ্বাজ বিধ্বংসী অস্ত্রের নৈঃশব্দ্য শ্বেতাঙ্গ অস্থিসন্ধি থেকে বেরিয়ে পৃথিবীর নীহারিকায় অজস্র ব্রহ্মাণ্ড খুঁজে বেড়াচ্ছে আমার শরীরের নীলাভ ও মেনকা পুরীতে বাস করা বাদাম রঙের ফুসফুস বিক্রেতা , আমি মাঝরাতে হাসপাতালের মর্গে যাই হাসপাতালে রোডে যাই কুয়াশার কামড় খেতে খেতে এখানে হাঁ করে তাকিয়ে থাকি ব্যালকনির ডিপ লাল পিঙ্গলার সাথে সাথে রমন বিকারক অগ্নুৎপাত অন্তর্বাসে , তরুণ সর্দি ও জাইলেম ফেলা কুকুরের জুতো মুখে করে উঠে যাই সিঁড়ি দিয়ে দেখি রাজহাঁসের চিৎকারে ইলিশ মাছেরা রক্তের স্রাব  চেটে চেটে খাচ্ছে শেষ রাতের যৌন বর্ধক খেয়ে ।

পৃথিবীতে তিনজন লোহার ব্যবসায়ী কোনদিন গ্রেপ্তার হয়নি যাদের জাহাজ ছিল তারা মাঠে ব্রহ্মাকে পুষে রাখত আর কাঠের উনুনে ভাজতে দিত নিজের মালপিজিয়ান নালিকা , গলার ভেতরে টি বি রোগের রোগীরা জরায়ু বিক্রি করে পৃথিবীর জন্য নীলনদ কিনতো , কাঁচের মতো স্ফটিক ও ঘনত্বময় মোমের প্রলেপ মাখিয়ে গেঁথে দেয় জীবিত ও মৃত মানুষের মাথার ব্লেড , পৃথিবীতে ব্রহ্মচর্য জানে না বলে তার তলপেটে আঙ্গুরের সিস্টাইটিস গুলো অহেতুক পলল গন্ধের মহাপ্রাকৃত জননাঙ্গে পুঁতে দিচ্ছে একটা অমৃত মানুষের জীবন ও চরক সংহিতা সমূহ পৃথিবীতেই শুধু আর্থাইটিক মানুষদের নষ্ট বরফের ভেতর ডানাওয়ালা একটি করে গুপ্ত হত্যার মহার্ঘ্য গুদামঘর আছে , গুদাম ঘরে যাই সাবক হত্যাকারীদের ফনা নিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ভেঙে দেই বরফের হিমালয় অদৃশ্য চামড়া গুলো জলে ভিজিয়ে পৃথিবীর জন্য নৌকা বানাচ্ছে আর উলঙ্গ ঈশ্বর তৃতীয়বার হোয়াইট ওয়াসেবল ভি জেল নিয়ে জানালার পাশে একুরিয়াম বানাচ্ছে লবঙ্গের কাঠ দিয়ে।

মাছেদের মতোই আঁশের ভেতরে নিহত পাতালপুরির সব জন্মের পরজন্ম পরজন্মের পর অতি জন্ম অতি জন্মের পরও কারণ জন্ম কারণ জন্মের থেকেও অচ্ছ্যুৎ জন্ম ফেলে স্তনবিহীন নিউট্রিনো রাক্ষসেরা সাতটি কঙ্কালের মাথা নিয়ে জগদীশ্বর গর্তের ভেতর অলৌকিক মহাপ্রদীপ জ্বেলে সঙ্গমশূন্য যক্ষ্মার ঔষধি ও ঔষধালয়ে মৃত তামাক গাছের চাষ করছে , প্রতিটি প্রস্রাব শৌচালয়ের প্রস্রাব ও পায়খানা ত্যাগের বিমুগ্ধ নিউক্লিয় ক্রন্দন বিষয়ক হড়হড়ে গন্ধর্বদেশে আমাদের মৃত পিতার একটি ভয়ংকর স্কেলিটন দাঁড়িয়ে আছে , আমি তৃতীয়বারের জন্য আবারো মৃত্যুর পোশাক পরে জলের অনেক অতলে উড়তে থাকা প্যারাগ্লাইডিং আর সারকো ফেরাস পর্বতের নিঝুম বরফের জিনসেং টুকরোয় নাচতে থাকা নিধুবন অপ্সরাদের ফ্রোজেন শোলডারের তলায় ঘামতে থাকা পাইনের জীবাণু আর লোমবর্ধক স্টেরয়েড লিপগ্লসে বারবার ফিরে আসা কমলালেবুর আত্মহত্যার সব গলার ফাঁস গুলো মৃত্যুর ভিতর ডি constructive আত্মহত্যা তত্ত্ব নিয়ে মেডিকেল সুপারভিশন দিচ্ছে যক্ষা রোগীদের জন্য , আর কোন সিংহাসন রথের বিবিধ অলংকরণ দৃশ্য নেই। জলাধারে জলাধারে অতৃপ্ত সঙ্গমের চর্ম রোগের চক্রাকার স্যুট প্যান্ট গলা কাটা গেজির রোমাঞ্চ পূর্ণ হাত গুলো নাইট্রিক ছত্রাকের মতো ঝুলে আছে। আমি অন্তর্বাসের ভেতরে লাল হলুদ পিত্ত নক্ষত্রের অবৈধ গাণিতিক দৃশ্য গুলো ভাঙতে ভাঙতে একটি ছায়াছন্নের ভিতরে ডুবতে থাকা শ্রমিকদের গায়ে ফুটে ওঠা এক একটা মুখ ঢুকিয়ে দেখি সব নিহত আততায়ীদের এক একটি যৌনাঙ্গে কর্কট রোগ বিষয়ক নিষিদ্ধ প্রবেশ পত্রের সতর্কীকরণ ঝুলে আছে , একাই মধ্যরাতে বিষাক্ত টমেটো ফলের জন্য চিৎকার করি ,

আমার আঙ্গুল থেকে লিঙ্গের অগ্রভাগ পর্যন্ত সব পাখিদের খন্ডিত অক্টোপাসের রোস্টেড দানাদার অ্যালকোহলিক স্নান ঘরের বাথটবে পৃথিবীর উত্তর মেরুর কাপালিকেরা মোমজনিত সাঁতার কাটছে , আমি নেট সিরিয়াল কিলার , খেজুর বাগানে ঢুকে নিজেরই ফোকাসের বিবর্ধিত ম্যাগনিফাইং আত্মহত্যা দেখিয়ে দিচ্ছি শ্বাস রোধ করে যারা ঝুলে পড়ে পৃথিবীর বুক থেকে তাদের যৌনাঙ্গ চোখের কণা স্তনের অগ্রভাগ থেকে রক্তের অতি দ্রবীভূত ঘনত্বহীন মাংসাশীরা জলের অনেক বোতলে ভেসে থাকা সাপেদের চামড়ার তলায় একটি ব্যায়ামাগারে ময়ূরাসন দৃশ্য দেখাচ্ছে , স্ত্রীলিঙ্গ নাবিকদের পিতার দেহ থেকে তাদের জড় পিতাকে চামচে করে নাড়িয়ে নাড়িয়ে ডাকি ,  পতিতা পিতাকে ডাকি পিন্ডের ভিতর ঢুকে যাই ঘৃতাহুতি দিয়ে যজ্ঞ শেষ করি পঞ্চশস্যের মতো আর কোনো আগুন জ্বলে না আমাদের এখানে , দুগ্ধবতী হরিণীরা অলৌকিক দৃশ্যের চিতা সাজানো কোভালামিনকে আত্মসমর্পণের বিবিধ অন্তরীক্ষে এক একটি মহীশূর অন্তর্ঘাতের টু এক্স ডিগ্রী দেখসো মিথাসন খাচ্ছে , পৃথিবীতে কফের দাম সব থেকে বেশি বলে প্রতিটি মৃৎশিল্পীর দোকানের কোণে প্যাকেটজাত বন্দী হয়ে কফেরা এক্সপায়ার ডেটের জন্য দিন গুনছে আর উঁকি মেরে দেখছে জিওল মাছের আছে লেগে থাকা চুম্বক।

আমি কোনদিন মৃত্যুর শরীরে নরম কিসমিস বুলিয়ে দিয়ে রক্তাক্ত রুদ্রকে ডেকে এনে খাওয়াতে খাওয়াতে সমুদ্রের কলঙ্ক দ্রাঘিমার নিশাচর সেজে যম অন্ধকারে সৌনক রণ নীতিতে সাজিয়ে ফেলছি ম্যাডপাই গাছের বিষধর অ্যান্টিভেনাম টু এম এল সুঁচ , ছুরির মতো তীব্র লিঙ্গ , বারুদের মতো ভূমিজ গলা , ধূপের মতো জাহান্নাম , আর চামড়ায় তৈরি স্বর্গের মতো মণি চক্র , অন্তঃপুরের কারাকোরাম ভেষজ দৃশ্য ,
পৃথিবীতে সব রেডিমেড পোশাকের দোকানে মৃত মানুষ গুলোই আসলে ভাঁজ করে শুয়ে থাকে দিনরাত , যাদের গলার কাছে সরু কফ থাকে বলে নল দিয়ে অক্সিটেটিভ রেডাকশন নিউক্লিয় বিস্ফোরণের থেকেও আরো সালফেট কোন অবৈধ পরজীবীরা জলীয় সংঘাতে পুঁতে দেবে এ জন্মের সব নিশাচর ইউটেরাস রিমুভাল কথা , প্রতিটি ঘরের চৌকাঠে ঝুলে আছে মৃত মানুষের সাতটি কঙ্কাল হাড় , অজৈব সারের কারখানা দুটো বিড়ালের চোখ দুটি বর্ষাতির ঠ্যাং হাফ বোতল এগারিকাস হলুদ জল ,  তাদের ভেতরে পাইন গাছের শ্বেত রক্তকণিকা বেড়ে যায় পাইন গাছে ঝুলে থাকে তরল দৈবক মহাপ্রাচীর মহা ব্যঞ্জন ময় ললিত চন্দ্রভাগা বৈদ্য নারীর বিশ্বামিত্র দাঁত, সেবিকাদের ডান স্তন , তাদের কোন দিন শরীরের ভেতর কালো কুচকুচে গম বাগানের হড়হড়ে ক্ষেত্রফল নেই অসুস্থ উপবৃত্তের মতো ,

আমিও ঘাতক সেজে শুঁয়োপোকার মতো নরম স্তন গাছগুলোকে উপড়ে ফেলি গর্ত করি অর্ধ সলভাসনে , জলজ কমলা লেবু উপড়ে উপড়ে বিধৌত পর্বতের খাঁজে রোপণ করি একটি নির্জন তৈলাক্ত দ্বিতীয় পরজন্মের অনিত্য সংসারে বেড়ে ওঠা কালো কুচকুচে কার্বনিক হাঁসের থেকেও আরো তীব্র তেতো কোন মাংসাশী আপেলের বাগান  , শৈলোৎক্ষেপ ঈশ্বরের রক্তচোষকের নারী আমার গলাটাকে কোনদিনই লাল পাথর গলানো জলে ডুবিয়ে ঈশ্বরের নবম জাহান্নামের পাতলা চামড়া গুলোতে আগুন লাগিয়ে আমাকে কোন মতেই ক্ষত্রিয় হতে দিচ্ছে না , একটা ডলফিন রেস্তোরাঁর নিচে আমি ও শঙ্খলাগা চিনামাটির তৈরি রূপলি মাছেদের সাথে আবহকালীন সঙ্গমের প্লেট গুলো দাঁত দিয়ে কামড়াতেই পৃথিবীর সব মৃত ক্রিয়া পদের হসন্ত স্তনে অদৃশ্য পোকা গুলো কিলবিল করে উঠছে ,  আমি একটি হত্যাকে লাল কৃষকের বাগানে পুঁতে দিচ্ছে আর ধর্মান্ধ ভ্যাজাইনাল ক্যাপসুল খেতে দিচ্ছি অলিখিত ইভিএম পরমাত্মাকে
এ ব্রহ্মাণ্ডে একটা ইলাস্টিক ছেঁড়া স্টেথোস্কোপ আর স্টেপলার হবে ? জনন ছিদ্রের মাথায় পিরামিডের রক্ত ভর্তি বেলুন আর সাদা আমাশা লিখবো !
নিমাই জানা
রুইনান , সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর , ৭২১১৪৪
rudrapakhi1984@gmail.com
9733619088

Share This
Categories
কবিতা

খানিক সময় : শীলা পাল।

যদি কিছু নাইই লিখি
আমার মনের অন্দরে একটা ভালো লাগা
অনবরত মনে করিয়ে দেয়
সে তোমার ই আছে ।
এখন আকাশে সুসময়ের যাপন কথা,
তারায় তারায় বলা বলি
সকালের রোদে প্রেম আর প্রার্থনার সহবাস।
বৃষ্টি ধোওয়া আঙিনায় শিউলি ফুলের আল্পনা,
একটু পা সামলে উঠে এসো
তোমার জন্য সাজানো ঘর অপেক্ষায়,
উৎসব শুরু হয়ে যাবে খানিক পরে
সে সময়টুকু একটু ধৈর্য ধরো।

Share This
Categories
কবিতা

আমরা করবো জয় : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

রঢাকের উপর পড়ছে কাঠি
কি মজা ভাই অনেক ছুটি
মায়ের আরাধনায়।

শব্দ শুনে ভুলিস নাকো
আনন্দ স্রোতে ভাসিস নাগো
পড়িস না বিড়ম্বনায়।

মা আসছেন,আকাশ হাসে, কাশের বনে দোলা
স্বপ্ন আঁখি সুরমা মেখে ভাসায় সুখের ভেলা
আগমনির সুর ভাসছে ,জাগছে দশভূজা।

মেঘ ভাসছে,মন হাসছে ,নানান খুশির মেলা
দুটিমনের মিলন আশে কাটছে অধীর বেলা
জানি,জানি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ এ পূজা।

ভুলিস নে ভাই ,মহাশত্রু ওতপেতে আজ বসে
বিশ্বমাঝে মৃত্যু মড়ক ছড়ায় হেসে-হেসে
নিরুপায়,অসহায় আজ ধরণী আচ্ছন্ন শোকে।

আমরা করবো জয় থাক মৃত্যু ভয়
ভাইরাস পরাভূতে মাস্ক,সেনিটাইজার রাখতে হয়
ভিড় এড়িয়ে,সামাজিক দূরত্বে চলবো সাহসিক বুকে।

বাবা গেলন,মা গেলন ,গেলেন প্রিয়জন
অর্থহীন পরিবারের সামর্থ আজ কৃপণ
রুটি,রুজিহীন ভুখার মিছিল বাড়ছে ক্রমে,ক্রমে।

জানি জ্বলবে আলো ,চলবে মানুষ ,যাবেও কেটে দিন
শুধু মনের মানুষ থাকবে না কাছে হয়েছে অন্তহীন
বাজুক বীনা আলোকমালায়,শুধু থাকবো নাগো ভ্রমে।

ডাকরে মাকে,শিউলি- শাঁখে, চন্ডীরূপে যেনো-
অসুর ছেড়ে করোনা বধে – তোমার ত্রিশূল খানি হেনো
অশ্রুসজল চোখরমনি অপেক্ষাতে হোক সফল ।

ভক্তি থাক,শ্রদ্ধা থাক, থাক সাবধানতা
সচেতনতা রাখবো বজায় ,মানবো না অধীনতা
করোনা ধ্বংসে – “দুর্গা মাইকি জয়” সমস্বরে বল।

হাসবো,খেলবো ঘরেতেই ডাকবো মাকে
আনন্দ স্রোতে না ভেসে ,বলবো ডেকে,ডেকে
ধৈর্য ধরো, বিপদ হর ,আমরা ভয় করবো না।

চোখে জল থাকবে না ,আনন্দের বান ডাকবে
নতুন বস্ত্রে আগমনীর নতুন সূর্য উঠবে
আসছে বছর আবার হবে কোন বাধাই থাকবে না।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

একান্ত আপন : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

ভুলে যাওয়া
যত পাওয়া
বেদনার পাওনা,

মধ্যাহ্নের অবেলায়
বড় বেশি অবহেলায়
ভোলা তবু যায়না।

ঘুরে-ঘুরে ফিরে আসে
নিঃসঙ্গতা ভালোবাসে
সহচর্যহীন এ জীবন,

কোথা পাই কোথা খুঁজি
আজ বড় একা বুঝি
ভবপারে ,অপেক্ষাতে একান্ত আপন।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

সৃষ্টি র রহস্য : শীলা পাল।

 

তুমি বললে
কবিতা সৃষ্টি করো।
মনের সব ভালো লাগা দিয়ে
একটু একটু করে সাজাও তাকে।
তার রূপে তোমার স্বপ্ন ফুটে উঠবে।
তোমার কাব্য তার চোখে মুখে শরীরে
লাবণ্যের স্পর্শ পেয়ে প্রাণবন্ত হবে।
তবে তোমাকে থামতে জানতে হবে।
তুমি যদি সাজাতেই থাকো, না থেমে
তোমার কবিতা কিন্তু পথ হারাবে।
পরিমিতি বোধ আগে আনো
তবে তো পরিপূর্ণ হয়ে তোমাকে
পূর্ণতা দেবে।
অনেক ভাবলাম দেখি তোমার কথাই ঠিক ।
আমি এতো এতো বর্ণনার মালা পরিয়েছি
তার সুন্দর গ্রীবা গেছে ঢেকে
তার বড়ো বড়ো কাজলকালো চোখ
সুর্মার আধিক্যে মোহময় দৃষ্টি টাই গেছে হারিয়ে ।
আমি একটু একটু করে অতিরিক্ত যা মনে হলো
তুলে নিলাম খুলে নিলাম ।
বেশি আভরনে যে আবরণ ছিল সরে গেল।
তাকিয়ে দেখি আমার কবিতা হাসছে
সেই হাসি আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকলাম ।
আমার স্বপ্ন ধরা দিয়েছে তার উচ্ছল হাসিতে।
আমি আবার তোমার কথা স্মরণ করলাম ।
আমি ঠিক জায়গায় থামতে পেরেছি।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

কামনা : শীলা পাল।

যদি আমি দ্রৌপদী হতাম
পঞ্চ স্বামী কখনও চাইতাম না।
এতো মন রেখে কতো বুঝে শুনে
প্রতি পদে পদে সমঝোতা করা
নৈব নৈব চ।
শুধু আমার থাকতো প্রিয় সখা
মৃদু হেসে ভালোবেসে ডাকবে এসে
সখী ভালো আছো?
হাতে নিয়ে বাঁশি
বাজাবে আসি
মনে মনে তারে
দেব ভালবাসি
যা আছে দেওয়ার আমার ।
সুখে দুঃখে পাশে
মুহূর্তে দাঁড়াবে এসে
শুধাবেআমায়
সখী কি হয়েছে তোমার ।
আমার বেদনা যতো
নিয়ে নেবে নিজ বুকে
আমি যেন থাকি সুখে।

অলীক ভাবনা জানি
তবু তাহা প্রকাশে আনি
জানালাম নারীর কামনা খানি।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

রিজার্ভেশন বাতিল করার বিষয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য: ভারতে ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য ‘একটি হুমকি’।

Share This