Categories
কবিতা

খানিক সময় : শীলা পাল।

যদি কিছু নাইই লিখি
আমার মনের অন্দরে একটা ভালো লাগা
অনবরত মনে করিয়ে দেয়
সে তোমার ই আছে ।
এখন আকাশে সুসময়ের যাপন কথা,
তারায় তারায় বলা বলি
সকালের রোদে প্রেম আর প্রার্থনার সহবাস।
বৃষ্টি ধোওয়া আঙিনায় শিউলি ফুলের আল্পনা,
একটু পা সামলে উঠে এসো
তোমার জন্য সাজানো ঘর অপেক্ষায়,
উৎসব শুরু হয়ে যাবে খানিক পরে
সে সময়টুকু একটু ধৈর্য ধরো।

Share This
Categories
কবিতা

আমরা করবো জয় : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

রঢাকের উপর পড়ছে কাঠি
কি মজা ভাই অনেক ছুটি
মায়ের আরাধনায়।

শব্দ শুনে ভুলিস নাকো
আনন্দ স্রোতে ভাসিস নাগো
পড়িস না বিড়ম্বনায়।

মা আসছেন,আকাশ হাসে, কাশের বনে দোলা
স্বপ্ন আঁখি সুরমা মেখে ভাসায় সুখের ভেলা
আগমনির সুর ভাসছে ,জাগছে দশভূজা।

মেঘ ভাসছে,মন হাসছে ,নানান খুশির মেলা
দুটিমনের মিলন আশে কাটছে অধীর বেলা
জানি,জানি বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ এ পূজা।

ভুলিস নে ভাই ,মহাশত্রু ওতপেতে আজ বসে
বিশ্বমাঝে মৃত্যু মড়ক ছড়ায় হেসে-হেসে
নিরুপায়,অসহায় আজ ধরণী আচ্ছন্ন শোকে।

আমরা করবো জয় থাক মৃত্যু ভয়
ভাইরাস পরাভূতে মাস্ক,সেনিটাইজার রাখতে হয়
ভিড় এড়িয়ে,সামাজিক দূরত্বে চলবো সাহসিক বুকে।

বাবা গেলন,মা গেলন ,গেলেন প্রিয়জন
অর্থহীন পরিবারের সামর্থ আজ কৃপণ
রুটি,রুজিহীন ভুখার মিছিল বাড়ছে ক্রমে,ক্রমে।

জানি জ্বলবে আলো ,চলবে মানুষ ,যাবেও কেটে দিন
শুধু মনের মানুষ থাকবে না কাছে হয়েছে অন্তহীন
বাজুক বীনা আলোকমালায়,শুধু থাকবো নাগো ভ্রমে।

ডাকরে মাকে,শিউলি- শাঁখে, চন্ডীরূপে যেনো-
অসুর ছেড়ে করোনা বধে – তোমার ত্রিশূল খানি হেনো
অশ্রুসজল চোখরমনি অপেক্ষাতে হোক সফল ।

ভক্তি থাক,শ্রদ্ধা থাক, থাক সাবধানতা
সচেতনতা রাখবো বজায় ,মানবো না অধীনতা
করোনা ধ্বংসে – “দুর্গা মাইকি জয়” সমস্বরে বল।

হাসবো,খেলবো ঘরেতেই ডাকবো মাকে
আনন্দ স্রোতে না ভেসে ,বলবো ডেকে,ডেকে
ধৈর্য ধরো, বিপদ হর ,আমরা ভয় করবো না।

চোখে জল থাকবে না ,আনন্দের বান ডাকবে
নতুন বস্ত্রে আগমনীর নতুন সূর্য উঠবে
আসছে বছর আবার হবে কোন বাধাই থাকবে না।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

একান্ত আপন : প্রবীর কুমার চৌধুরী।

ভুলে যাওয়া
যত পাওয়া
বেদনার পাওনা,

মধ্যাহ্নের অবেলায়
বড় বেশি অবহেলায়
ভোলা তবু যায়না।

ঘুরে-ঘুরে ফিরে আসে
নিঃসঙ্গতা ভালোবাসে
সহচর্যহীন এ জীবন,

কোথা পাই কোথা খুঁজি
আজ বড় একা বুঝি
ভবপারে ,অপেক্ষাতে একান্ত আপন।

সংরক্ষিত
গড়িয়া,কলকাতা।

Share This
Categories
কবিতা

সৃষ্টি র রহস্য : শীলা পাল।

 

তুমি বললে
কবিতা সৃষ্টি করো।
মনের সব ভালো লাগা দিয়ে
একটু একটু করে সাজাও তাকে।
তার রূপে তোমার স্বপ্ন ফুটে উঠবে।
তোমার কাব্য তার চোখে মুখে শরীরে
লাবণ্যের স্পর্শ পেয়ে প্রাণবন্ত হবে।
তবে তোমাকে থামতে জানতে হবে।
তুমি যদি সাজাতেই থাকো, না থেমে
তোমার কবিতা কিন্তু পথ হারাবে।
পরিমিতি বোধ আগে আনো
তবে তো পরিপূর্ণ হয়ে তোমাকে
পূর্ণতা দেবে।
অনেক ভাবলাম দেখি তোমার কথাই ঠিক ।
আমি এতো এতো বর্ণনার মালা পরিয়েছি
তার সুন্দর গ্রীবা গেছে ঢেকে
তার বড়ো বড়ো কাজলকালো চোখ
সুর্মার আধিক্যে মোহময় দৃষ্টি টাই গেছে হারিয়ে ।
আমি একটু একটু করে অতিরিক্ত যা মনে হলো
তুলে নিলাম খুলে নিলাম ।
বেশি আভরনে যে আবরণ ছিল সরে গেল।
তাকিয়ে দেখি আমার কবিতা হাসছে
সেই হাসি আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকলাম ।
আমার স্বপ্ন ধরা দিয়েছে তার উচ্ছল হাসিতে।
আমি আবার তোমার কথা স্মরণ করলাম ।
আমি ঠিক জায়গায় থামতে পেরেছি।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

কামনা : শীলা পাল।

যদি আমি দ্রৌপদী হতাম
পঞ্চ স্বামী কখনও চাইতাম না।
এতো মন রেখে কতো বুঝে শুনে
প্রতি পদে পদে সমঝোতা করা
নৈব নৈব চ।
শুধু আমার থাকতো প্রিয় সখা
মৃদু হেসে ভালোবেসে ডাকবে এসে
সখী ভালো আছো?
হাতে নিয়ে বাঁশি
বাজাবে আসি
মনে মনে তারে
দেব ভালবাসি
যা আছে দেওয়ার আমার ।
সুখে দুঃখে পাশে
মুহূর্তে দাঁড়াবে এসে
শুধাবেআমায়
সখী কি হয়েছে তোমার ।
আমার বেদনা যতো
নিয়ে নেবে নিজ বুকে
আমি যেন থাকি সুখে।

অলীক ভাবনা জানি
তবু তাহা প্রকাশে আনি
জানালাম নারীর কামনা খানি।

Share This
Categories
কবিতা

নদীর কথা : শীলা পাল।

আমি জল ছলছল ছোট্ট
একটি নদী
এক আকাশ বিষাদ মেখে আশ্বিন এসে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়।
আমি ছোট নদীটি
আপনমনে মনের সুখে ভেসে যাই স্রোতের টানে।
গাছগাছালির মধুর হাওয়া
আমার গায়ে আপনজনের দোলা মাখিয়ে আদর করে,
পাখিরা গান শুনিয়ে মনের মাঝে ঢেউ তুলে যায়।
এই শরতে এ কেমন মনখারাপী হাওয়া আমার প্রাণে এসে বাজলো
‘বিচার চাই বিচার চাই ‘
আমার চলার স্রোতের রঙ
রক্তের মত লাল হয়ে যেন বললো, দ্যাখ শারদীয় আকাশে রক্তমাখা মুখ ভাসে তাই তোমার জলেও
সেই রঙ।
এত অবিচার?
আমি ছোট নদী তবু আমার জলের তরঙ্গে তরঙ্গে ধিক্কার ছড়িয়ে দিলাম পৃথিবীর সর্বত্র।

Share This
Categories
কবিতা

রিজার্ভেশন বাতিল করার বিষয়ে রাহুল গান্ধীর মন্তব্য: ভারতে ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য ‘একটি হুমকি’।

Share This
Categories
কবিতা

মনের মানুষ গুরু মহারাজ : রাণু সরকার।

ঘুরিফিরি একতারা হাতে,
বুলি চলে তরঙ্গের সাথে,
অন্তরঙ্গ বন্ধু টুং টাং
চায় বাজতে।

নদীর ঘাটে বসে,
তাকিয়ে থাকি উদাস মনে,
পড়বো তার শ্রীচরণে,
দেখা যদি পাই কোনক্রমে।

ঘুম আসে না রাত্রি হলে,
তাকিয়ে থাকি জানালা খুলে,
সকালসন্ধ্যা জপি তারে,
আসে না সে আমার দ্বারে।

দূর হতে দেখি তারে অস্পষ্ট চোখে,
পাষাণ সে আসে না তবু আমার সম্মুখে।

ওগো, আমার মনের মানুষ
আমি দেখতে চাই তোমায়!
তোমার দেখা না পেলে প্রাণের
পাখি যাবে উড়ে
খাঁচাটি মিশবে কালো ধোঁয়ায়।

প্রাণপাখি যাবো যাবো করছে
স্বজনেরা কে কোথায় আছো
এসো কাছে,
মনের মানুষ,স্মরণ করিয়ে দিও
তোমার নাম মনে করে,
অতি কষ্টে খাঁচার মায়া ত্যাগ করে
পাখি দিলো উড়াল খাঁচা চললো
পালকি চড়ে।

সোনার খাঁচা পুড়ে হলো এক মুঠো ছাই,
কিছু ভুল ছিলো হয়তো আমার দেখা দিলো না তাই।

Share This