Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

কিংবদন্তি বাঙালি অভিনেত্রী সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।।

বাংলা সিনেমার জগতে সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় এক অতি পরিচিত নাম। সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় একজন খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী যিনি বাংলা সিনেমায় তাঁর কাজের জন্য পরিচিত ছিলেন। বহু অভিনেতার সঙ্গে তিনি অভিনয় করে তাঁর দক্ষতার পরিচয় রেখে গিয়েছেন। রঞ্জিত মল্লিক, উত্তম কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সন্তু মুখোপাধ্যায় এবং দীপঙ্কর দে-র মতো অভিনেতাদের সাথে তাঁর অন-স্ক্রিন জুটি খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যা মানুষের হৃদয়ে আজও দাগ কেটে রয়েছে।

কর্মজীবন—–

সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ৩০ মার্চ ১৯৪৯ সালে।অভিনয়ের প্রতি ছিলো তাঁর অমোঘ টান। ১৯৭২ সালে
শ্রীমতি সুমিত্রা মুখোপাধ্যায়ের প্রথম চলচ্চিত্র “আজকের নায়ক” মুক্তি পেয়েছিল। তাঁর অভিনয় দক্ষতা দর্শক-প্রশংসা পেয়েছে । অনাবিল অভিনয়র মধ্য দিয়ে তিনি প্রতিটি বাঙালীর হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁর অভিনীত কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য বই হলো –

অগ্নিশ্বর, শ্রীকান্তের উইল, দেবদাস, ওগো বধূ সুন্দরী, দেবী চৌধুরাণী, বসন্ত বিলাপ – যা আজও অমর হয়ে রয়েছে। তিনি প্রায় ৪০০ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। নীচে আমরা দেখে নেবো তাঁর অভিনিত ছবি গুলির নাম—

অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা—-

আমি ও মা, নটি বিনোদিনী, তপস্যা, ৩ভ্রান্ত পথিক, ক্রান্তিকাল, পেন্নাম কলকাতা, অহংকার, গড়মিল, ব্যবধান, মহাপীঠ তারাপীঠ, অভিসার, অপরাহৃ-এর আলো, বিদায়, প্রতীক, আগমন, আগুন, ওরা চারজন, অবৈধ, সাথী, পারমিতার এক দিন, সপ্তমী, প্রতিরোধ, মেজ বৌ, মোহিনী, কলঙ্কিনী নায়িকা, অমর কন্টক, দাবার চাল, স্বর্ণময়ীর ঠিকানা, মহামিলন, ডাক্তার বৌ, পরিনতি, স্বর্গ সুখ, আমার পৃথিবী, ভালোবাসা ভালোবাসা, তিল থেকে তাল, মিলন তিথী, বৈকুন্ঠের উইল, সোনার সংসার, দিদি, অগ্নি শুদ্ধি, মোহনার দিকে, দাদামণি, সম্পত্তি, ইন্দিরা, জীবন মরণ, অর্পিতা, অভিনয় নয়, সংসারের ইতিকথা, প্রায়শ্চিত্ত, অমৃত কুম্ভের সন্ধানে, প্রফুল্ল, মায়ের আশীর্বাদ, বদনাম, কপাল কুন্ডলা, ন্যায়ের অন্যায়, দেবদাস, মান অভিমান, তিলোত্তমা, তুশি, ডাক দিয়ে যাই, ময়না, বনসারি, সন্ধ্যার রাগ, এই পৃথিবী পান্থ নিয়াস, মন্ত্রমুগ্ধ, এক যে ছিলো দেশ, দত্তা, রাগ অনুরাগ, অগ্নিশ্বর, ছেড়া তামসুখ, বিকেলে ভোরের ফুল, দেবী চৌধুরাণী, সঙ্গিনী, বসন্ত বিলাপ, আজকের নায়ক, ওগো বধূ সুন্দরী, স্বামী স্ত্রী, বৈশাখী মেঘ, প্রিয়তমা, সমাধান, শ্রীকান্তের উইল, নৌকাডুবি, চিরন্তন, গণদেবতা প্রভৃতি ।

পুরস্কার——-

অভিনয়ের জন্য তিনি বেশকিছু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন–
বিজয়ী – বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন – দেবী চৌধুরানীর পক্ষে সেরা সহায়ক অভিনেত্রীর পুরস্কার (১৯৭৫); বিজয়ী – বেঙ্গল ফিল্ম জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন – অন্বেষণ – এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার (১৯৮৬); বিজয়ী – ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পূর্ব – বৈশাখী মেঘ – সেরা অভিনেত্রী।

২১ মে ২০০৩ সালে কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

কঠিন সময়ে আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায় মা সারদার এই বাণী গুলো।।।।

রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সহধর্মিনী তিনি সারদা দেবী মহাসমাধির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের সন্তানদের দুঃখ লাঘবের চেষ্টা করে গিয়েছেন। অত্যন্ত সহজ ভাবে জীবনের কঠিন সমস্যার সমাধানের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ একজন গ্রাম্য মহিলা প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া যে ভাবে গভীর দর্শনের কথা বলে গিয়েছেন, তা সত্যিই বিষ্ময়ের উদ্রেক করে।

কত সৌভাগ্য, মা এই জন্ম, খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না-খাটলে কি কিছু হয়? সংসারে কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়।
কর্মফল ভুগতে হবেই। তবে ঈশ্বরের নাম করলে যেখানে ফাল সেঁধুত, সেখানে সুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডণ হয়। যেমন সুরথ রাজা লক্ষ বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেছিল বলে লক্ষ পাঁঠায় মিলে তাঁকে এক কোপে কাটলে। তার আর পৃথক লক্ষ বার জন্ম নিতে হল না। দেবীর আরাধনা করেছিল কিনা। ভগবানের নামে কমে যায়।’
‘কাজ করা চাই বইকি, কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একদণ্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।’
‘ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে ক’জনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে ক’জনে?’
‘একশো জনকে খাওয়াতে হবে না, কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।’
‘মনটাকে বসিয়ে আলগা না দিয়ে কাজ করা ঢের ভাল। মন আলগা হলেই যত গোল বাধায়।’
‘দয়া যার শরীরে নাই, সে কি মানুষ? সে তো পশু। আমি কখনও কখনও দয়ায় আত্মহারা হয়ে যাই, ভুলে যাই যে আমি কে।’
‘যেমন ফুল নাড়তে নাড়তে ঘ্রাণ বের হয়, চন্দন ঘষতে ঘষতে সুগদ্ধ বের হয়, তেমনই ভগবত্‍ তত্ত্বের আলোচনা করতে করতে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়।’
‘যদি শান্তি চাও মা, কারও দোষ দেখো না। দোষ দেখবে নিজের। জগৎকে আপনার করে নিতে শেখ। কেউ পর নয়, মা জগৎ তোমার।’ ভক্তদের প্রতি এই ছিল শ্রী শ্রী সারদা মায়ের শেষ বাণী।
।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

9000+ ম্যাগাজিনস্ এক্সপ্লোর করুন

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

এক সংগ্রামী মায়ের সংগ্রামের কাহিনী।।।।

এমন মায়ের সংগ্রাম আপনারা আগে শোনেননি। নিজের নয় বছরের মেয়েকে ঝকঝকে একটা ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পেট্রোল পাম্পে কাজ করছেন ২৭ বছরের মা। উপলক্ষ একটাই, মেয়ের শিক্ষা। বাঁকুড়ার তীব্র দাবদাহ, গনগনে আগুন ছুটেছে বেশ কিছুদিন। এবার পালা বৃষ্টির। তবে গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে প্রতিদিন বাসে করে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর পেট্রোল পাম্পে কাজ করতে আসছেন টুম্পা সিংহ।

মাঝে মাঝে এই পেট্রোল পাম্পেই মেয়েকে নিয়ে আসেন টুম্পা। এখানেই বসে পড়াশোনা করে টুম্পার কন্যা আয়ুশী সিংহ। কেন এই কাজ করছেন টুম্পা? একজন নারী হয়েও পেট্রোল পাম্পের চাকরি করছেন বলে কি সমাজের কাছে কোনও কথা শুনতে হয়েছে তাঁকে? উত্তরে টুম্পা বলেন, “বাড়িতে বাবা মা রয়েছেন, আয়ুশীকে বড় করে তোলাই আমার লক্ষ। কষ্ট হলেও আমাকে কাজ করতে হবে। সবাই মোটামুটি মুখ চেনা হয়ে গেছে, মানুষ আমার কাজকে ছোট না করে বরঞ্চ উৎসাহ যোগায়।”
পেট্রোল পাম্প এর ওনার নিবেদিতা বিশ্বাস জানান, টুম্পার বাড়িতে তার বাবার দোকান থেকে যা আয় হয় তাতে খাবার খরচই ভাল ভাবে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই মেয়েকে পড়াশোনা শিখিয়ে মানুষ করার জন্য টুম্পা কাজের সন্ধানে আসেন এই পেট্রোল পাম্পে। তার পর থেকেই কাজ শুরু করেছেন টুম্পা। পেট্রোল পাম্পের ওনার নিবেদিতা বিশ্বাস আরও বলেন যে, “আমি এই ফাইটিং স্পিরিটটাকে কুর্নিশ জানাই।”
একজন মা পেট্রোল পাম্পে কাজ করছেন। সেই ছবি যেন আরও বেশি করে অনুপ্রেরণা যোগায় মহিলাদের। প্রায় নিয়মিত গোবিন্দনগর এলাকার এই পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজের নার্সিং স্টাফ নিবেদিতা খাঁ। তিনি বলেন, “এত প্রতিকূলতার মধ্যেও জীবন যুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন এই দিদি। এই লড়াই সত্যিই অপ্রিসিয়েবেল।” এছাড়াও পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা ভানু বিশ্বাস বলেন, “পৃথিবীতে এর উদাহরণ বিরল। একজন মা তার সন্তানকে শিক্ষিত করতে যে কাজ করছে এরকম আর কোথাও হয়নি।”
বাঁকুড়ার টুম্পা সিংহ যেন সেই সব মেয়েরই জলন্ত উদাহরণ।

।।আবদুল হাই, বাঁকুড়া।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে, বিংশ শতাব্দী বাংলা গানের কিংবদন্তি গায়িকা – উৎপলা সেন।।।।

উৎপলা সেন ১২ মার্চ, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দী বাংলা গানের একজন প্রধান জনপ্রিয় গায়িকা। বাংলা গানের স্বর্ণযুগে প্রেম ও বিরহের গানে তিনি আলাদা বিষণ্ণ সুর তুলে ধরেছেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, স্বামী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য গায়কদের সাথে অনেক জনপ্রিয় দ্বৈত গানও গেয়েছেন।

তিনি প্রথমে মা হিরণবালা দেবীর কাছে প্রশিক্ষণ নেন, তারপর ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের কাছে। তিনি ১৯৩৫ সালে ১৯১৩ বছর বয়সে ঢাকা বেতারে প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিত হন। প্রথম রেকর্ড ১৯৩৯ সালে। ১৯৪১ সালে, সুরকার সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুর করা এক হাতে মোর পূজা থালি গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। মহিষাসুরবমর্দিনীর – শান্তি দিল ভরি গানে আরও জনপ্রিয়তা পান, যা আজও শোনা যায়। এর পর তিনি
চল্লিশের দশকের গোড়ার দিকে কলকাতায় চলে আসেন এবং তখন থেকেই আকাশবাণীর সঙ্গে যুক্ত হন। বাংলা চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন আনেক। বেনু সেনের সাথে প্রথম বিয়ে হয় তাঁ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সঙ্গীত সহকর্মী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় কে ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
তাঁর ৬০০০ এর বেশি সিনেমা এবং রেকর্ডের গানের অধিকাংশই আজ বিস্মৃতপ্রায়। ইদানীং কালে দুই বাঙলাতেই পুরানো দিনের গানের চর্চা বাড়ছে – কিছু গান ‘পুনঃনির্মাণ’ মাধ্যমে আবার শোনা যাচ্ছে – এবং উৎপলা সেনের নাম আবার জনসমক্ষে শোনা যাচ্ছে। তাঁর কিছু জনপ্রিয় গান হলো যেমন, এত মেঘ এত যে আলো, ময়ুরপঙ্ক্ষী ভেসে যায়, পাখি আজ কোন সুরে গায় বা ঝিকমিক জোনাকির দ্বীপ জ্বলে শিয়রে।
দীর্ঘ কয়েক বছর ক্যান্সারাক্রান্ত উৎপলা সেন ১৩ মে, ২০০৫ সালে মারা যান কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

মা ​​দিবসের তাৎপর্য: আমাদের পরিবারের স্তম্ভগুলিকে সম্মান করা।

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারে পালিত মা দিবস, একটি বিশেষ উপলক্ষ যা মা এবং মাতৃত্বের ব্যক্তিত্বদের তাদের অটল ভালোবাসা, ত্যাগ এবং পরিবার ও সমাজে অবদানের জন্য সম্মান জানাতে নিবেদিত। এই দিনটি আমাদের জীবন গঠনে মায়েদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্মারক হিসেবে কাজ করে এবং এটি আমাদের জন্য তাদের নিঃস্বার্থ নিষ্ঠার প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার একটি সুযোগ।

*মা দিবসের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস*

মা দিবসের উৎপত্তি বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, যখন একজন আমেরিকান কর্মী আনা জার্ভিস মায়েদের সম্মানে একটি ছুটি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচারণা চালান। ১৯১৪ সালে আন্নার প্রচেষ্টা সফল হয় যখন রাষ্ট্রপতি উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে মনোনীত করেন এবং এটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। সময়ের সাথে সাথে, মা দিবস একটি বিশ্বব্যাপী ঘটনায় পরিণত হয়েছে, দেশগুলি মায়েদের সম্মান জানাতে অনন্য ঐতিহ্য গ্রহণ করেছে ¹ ²।

*মা ​​দিবস উদযাপনের গুরুত্ব*

মা দিবস উদযাপনের প্রচুর মানসিক উপকারিতা রয়েছে, কারণ এটি পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করে এবং মাতৃত্বের সুস্থতা বৃদ্ধি করে। এই দিনটি আমাদের জীবনে মায়েদের ভূমিকা নিয়ে চিন্তা করতে এবং তাদের মানসিক শ্রম এবং লালন-পালনের স্বীকৃতি জানাতে উৎসাহিত করে। মায়েদের সম্মান করে আমরা ³:

– *কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন*: মায়েদের ভালোবাসা, যত্ন এবং ত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি
– *পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করি*: প্রজন্মের মধ্যে সংযোগ তৈরি করি এবং ঐক্যের অনুভূতি গড়ে তুলি
– *মাতৃত্বের সুস্থতা প্রচার করি*: মায়েদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলি স্বীকৃতি দেই এবং তাদের সুস্থতাকে সমর্থন করি

*বিশ্বজুড়ে মা দিবস উদযাপন*

স্থানীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটিয়ে বিভিন্ন দেশে মা দিবস ভিন্নভাবে পালিত হয়। কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে ⁴:
– *ভারত*: মা দিবস ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, মানুষ তাদের মায়ের প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে।
– *মেক্সিকো*: ১০ মে পালিত হয়, মা দিবস সেরেনাড, ঐতিহ্যবাহী গান এবং পারিবারিক সমাবেশের মাধ্যমে পালিত হয়।
– *থাইল্যান্ড*: ১২ আগস্ট মা দিবস পালিত হয়, জাতির মা রাণী সিরিকিত এবং সাধারণভাবে মায়েদের সম্মানে।
– *যুক্তরাজ্য*: মা দিবস পালিত হয় মাতৃত্বকালীন রবিবারে, সাধারণত মার্চ মাসে, পরিবারগুলি কার্ড, ফুল এবং উপহার প্রদান করে।

*মা দিবস উদযাপনের উপায়*

আপনার পছন্দ এবং বাজেটের উপর নির্ভর করে মা দিবস উদযাপনের অনেক উপায় রয়েছে। কিছু ধারণার মধ্যে রয়েছে ² ⁵:
– *মানসম্মত সময় কাটান*: আপনার মায়ের সাথে একটি বিশেষ ভ্রমণ বা কার্যকলাপের পরিকল্পনা করুন
– *উপহার-দান*: আপনার মাকে ফুল, চকলেট বা ব্যক্তিগতকৃত জিনিসপত্রের মতো চিন্তাশীল উপহার দিন
– *কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন*: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য একটি হৃদয়গ্রাহী বার্তা লিখুন বা হাতে তৈরি কার্ড তৈরি করুন
– *স্বেচ্ছাসেবক*: অভাবী মা এবং পরিবারগুলিকে সাহায্য করে এমন সংস্থাগুলিকে সহায়তা করুন

*উপসংহার*

মা দিবস একটি বিশেষ উপলক্ষ যা আমাদের জীবনে মা এবং মাতৃত্বের ব্যক্তিত্বের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই দিনটি উদযাপনের মাধ্যমে, আমরা পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করতে পারি, মাতৃত্বের মঙ্গলকে উৎসাহিত করতে পারি এবং মায়েদের দেওয়া ভালোবাসা এবং যত্নের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি। আপনি কোনও মহৎ অঙ্গভঙ্গি বা দয়ার ছোট কাজ করে উদযাপন করুন না কেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আপনার মাকে ভালোবাসা এবং প্রশংসা বোধ করা। তাই, এই সুযোগটি গ্রহণ করুন আপনার মা যা কিছু করেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে এবং এই মা দিবসে তাকে বিশেষ বোধ করাতে।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

সাহস ও সংগ্রামের প্রতীক – বাসন্তী দেবীর অবদান।।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক উল্লেখযোগ্য নাম বাসন্তী দেবী। বাসন্তী দেবী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ কারাগারে কারারুদ্ধ প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামী নারী। বাসন্তী দেবী মন ও মানসিকতায় পৌরাণিক সতীনারীদের চারিত্রিক মহত্বটি যেমন অনুকরণীয় মনে করতেন; তেমনি গার্গী, মৈত্রেয়ীদের মতো চারিত্রিক দৃঢ়তায় বুদ্ধি দিয়ে আপন যুক্তি তুলে ধরার ক্ষমতাও রাখতেন।

এ-দুইয়ের মেলবন্ধনে তিনি অনন্যা।তিনি একাধারে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের পত্নী ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগ্রামী। সংগ্রামের জন্য কারাবরণ করেছেন। অন্দর ছেড়ে অবগুন্ঠণ ছেড়ে উপনিষদের বিদুষীদের মতো পুরুষের সমকক্ষ হয়ে সহকর্মী হয়ে দেশমুক্তির সাধনা করে গেছেন।
বাসন্তী দেবী ২৩ মার্চ ১৮৮০ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম বরদানাথ হালদার ও মাতার নাম হরিসুন্দরী দেবী। তার পিতা ছিলেন আসামের বিজনি ও অভয়াপুরী এস্টেটের দেওয়ান। দশ বছর বয়েসে তিনি দার্জিলিংয়ের লরেটে কনভেন্টে শিক্ষার জন্যে ভর্তি হন। ১৮৯৬ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে বিবাহ হয়।
১৮৯৪ থেকে ১৯০১ সালের মধ্যে দুজনের তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিল। দেশবন্ধু ও তার তিন সন্তান- দুই কন্যা, অপর্ণা ও কল্যাণী ও একপুত্র চিররঞ্জন।

তার স্বামীর অনুসরণে, বাসন্তী দেবী আইন অমান্য আন্দোলন এবং খিলাফত আন্দোলনের মতো বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ১৯২০ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরের বছর, তিনি দাসের বোন ঊর্মিলা দেবী এবং সুনিতা দেবীর সাথে যোগ দেন। নারী কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র “নারী কর্ম মন্দির” প্রতিষ্ঠা করুন। ১৯২০-২১ সালে, তিনি জলপাইগুড়ি থেকে তিলক স্বরাজ ফান্ডের জন্য স্বর্ণের অলঙ্কার এবং ২০০০ টি স্বর্ণমুদ্রা সংগ্রহে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।
১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ধর্মঘট এবং বিদেশী পণ্য নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানায়। কলকাতায়, পাঁচজন স্বেচ্ছাসেবকের ছোট দলকে কলকাতার রাস্তায় খাদি, হাতে কাটা কাপড় বিক্রি করার জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। দাস, যিনি স্থানীয় আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তার স্ত্রী বাসন্তী দেবীকে এমন একটি দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সুভাষ চন্দ্র বসুর সতর্কতা সত্ত্বেও দেবী রাস্তায় নেমেছিলেন যে এটি তাকে গ্রেফতার করতে ব্রিটিশদের উস্কে দেবে। যদিও তাকে মধ্যরাতে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, তার গ্রেপ্তার ব্যাপক আন্দোলনের প্রেরণা জুগিয়েছিল। কলকাতার দুটি কারাগার বিপ্লবী স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পূর্ণ ছিল এবং আরও সন্দেহভাজনদের আটক করার জন্য দ্রুত আটক শিবির তৈরি করা হয়েছিল। ১৯২১ সালের ১০ ডিসেম্বর পুলিশ দাস ও বসুকে গ্রেপ্তার করে।

দাসের গ্রেপ্তারের পর, বাসন্তী দেবী তার সাপ্তাহিক প্রকাশনা বাঙ্গালার কথা (বাংলার গল্প) এর দায়িত্ব নেন। তিনি ১৯২১-২২ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। ১৯২২ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সম্মেলনে তার বক্তৃতার মাধ্যমে, তিনি তৃণমূল আন্দোলনকে উৎসাহিত করেছিলেন। ভারতের চারপাশে ভ্রমণ, তিনি ঔপনিবেশিকতার বিরোধিতা করার জন্য শিল্পের সাংস্কৃতিক বিকাশকে সমর্থন করেছিলেন।
দাস যেহেতু সুভাষ চন্দ্র বসুর রাজনৈতিক পরামর্শদাতা ছিলেন, বসন্তী দেবীর প্রতি বসন্তের খুব শ্রদ্ধা ছিল। ১৯২৫ সালে দাসের মৃত্যুর পর, বসু দেবীর সাথে তার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সন্দেহ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে জানা যায়। সুভাষ চন্দ্র বসুর ভ্রাতৃপ্রতিম ভাতিজি কৃষ্ণ বোস বাসন্তী দেবীকে তাঁর “দত্তক মা” এবং তাঁর জীবনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ মহিলার একজন হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন, বাকি তিনজন হলেন তাঁর মা প্রভাবতী, তাঁর ভগ্নিপতি বিভাবতী (শেরতের স্ত্রী) চন্দ্র বসু) এবং তার স্ত্রী এমিলি শেঙ্কল।
তার স্বামীর মতো, বাসন্তী দেবীও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী কর্মীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। ১৯২৮ সালে, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী লালা লাজপত রায় তার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলের বিরুদ্ধে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হওয়ার কয়েকদিন পর মারা যান। এর পর বাসন্তী দেবী লাজপত রায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় যুবকদের উদ্বুদ্ধ করেন।
১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর, বাসন্তী দেবী সামাজিক কাজ চালিয়ে যান। বাসন্তী দেবী কলেজ, কলকাতার প্রথম মহিলা কলেজ যা সরকারের অর্থায়নে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে, তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হন।

বাসন্তী দেবী ৭ মে ১৯৭৪ মৃত্যুবরণ করেন।

।।তথ্য ঋণ : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক ধাত্রী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও গুরুত্ব।।।

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস (আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফস ডেও বলা হয়) হল একটি বার্ষিক বিশ্ব উদযাপন যা ৫ মে বিশ্বজুড়ে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মিডওয়াইফরা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা স্বীকৃতি দিতে এবং সম্মান করার জন্য চিহ্নিত করা হয়। মিডওয়াইফরা প্রায়ই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রাথমিক পরিচর্যাকারী, গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর সময়কালে সহায়তা এবং নির্দেশনা প্রদান করে।

দিনটি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় মিডওয়াইফরা যে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে তা চিনতে এবং উদযাপন করার একটি সুযোগ প্রদান করে। ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ মিডওয়াইভস (ICM) দ্বারা ১৯৯২ সালে মিডওয়াইফের আন্তর্জাতিক দিবসটি ধাত্রী পেশার বিষয়ে উদযাপন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক নথি অনুসারে, এই অনুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ৫০ টিরও বেশি দেশ এবং সেইসাথে আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন WHO এবং UNFPA দ্বারা পালন করা হয়।
মিডওয়াইফরা হলেন দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার যারা গর্ভাবস্থা, প্রসবকালীন এবং প্রসবোত্তর সময়কালে মহিলাদের প্রয়োজনীয় যত্ন এবং সহায়তা প্রদান করে। তারা মা ও নবজাতক উভয়ের জন্য প্রসবপূর্ব যত্ন, প্রসব ও প্রসবের সময় সহায়তা এবং প্রসবোত্তর যত্ন প্রদান করে।

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস ২০২৫ তারিখ–

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস ২০২৪, ৫ মে রবিবার পালিত হবে।

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবসের তাৎপর্য–

আন্তর্জাতিক মিডওয়াইফ দিবস গর্ভাবস্থায় এবং সন্তানের জন্মের পরে মহিলাদের জন্য একজন মিডওয়াইফের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে একটি সুযোগ প্রদান করে। দিনটি নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে অনুশীলন করার জন্য ধাত্রীদের অধিকারের পক্ষে সমর্থন করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। এই দিনে সেমিনার, ওয়ার্কশপের মতো বেশ কিছু ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই দিনটি মিডওয়াইফারি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং সংস্থানগুলিতে বৃহত্তর বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তাকেও তুলে ধরেছে যাতে সমস্ত মহিলার মানসম্পন্ন মা ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবাগুলিতে অ্যাক্সেস রয়েছে তা নিশ্চিত করতে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ভারতীয় বাঙালি ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহিদ ব্যক্তিত্ব।।।।।।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বাসন্তী দেবী প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (৫ মে ১৯১১ – ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩১) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন ভারতীয় বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী যিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ছিলেন। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় তার শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন। তিনি স্বাতন্ত্র্যের সাথে দর্শনে স্নাতক হন এবং একজন স্কুল শিক্ষক হন। তিনি “বাংলার প্রথম নারী শহীদ” হিসেবে প্রশংসিত হন।
প্রীতিলতা ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের (বর্তমানে বাংলাদেশে) পটিয়া উপজেলার ধলঘাট গ্রামে একটি মধ্যবিত্ত বাঙালি বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওয়াদ্দেদার একটি উপাধি ছিল যা পরিবারের একজন পূর্বপুরুষের কাছে প্রদত্ত ছিল যার মূল নাম ছিল দাশগুপ্ত। তার বাবা জগবন্ধু ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রাম পৌরসভার কেরানি ছিলেন। তার মা প্রতিভাময়ী দেবী ছিলেন একজন গৃহিণী।
কলকাতায় শিক্ষা শেষ করে প্রীতিলতা চট্টগ্রামে ফিরে আসেন। চট্টগ্রামে, তিনি নন্দনকানন অপর্ণাচরণ স্কুল নামে একটি স্থানীয় ইংরেজি মাধ্যম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকার চাকরি নেন।
প্রীতিলতা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। সুরজো সেন তার সম্পর্কে শুনেছিলেন এবং তাকে তাদের বিপ্লবী দলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। ১৯৩২ সালের ১৩ জুন প্রীতিলতা তাদের ধলঘাট ক্যাম্পে সুরজো সেন এবং নির্মল সেনের সাথে দেখা করেন। একজন সমসাময়িক বিপ্লবী, বিনোদ বিহারী চৌধুরী, আপত্তি করেছিলেন যে তারা মহিলাদের তাদের দলে যোগ দিতে দেয়নি। যাইহোক, প্রীতলতাকে দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কারণ বিপ্লবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে অস্ত্র পরিবহনকারী মহিলারা পুরুষদের মতো ততটা সন্দেহজনক আকর্ষণ করবে না।
প্রীতিলতা সূর্য সেনের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী দলে যোগদান করেন।সুরজো সেনের বিপ্লবী দলের সাথে প্রীতিলতা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ অফিসে হামলা এবং রিজার্ভ পুলিশ লাইন দখলের মতো অনেক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। জালালাবাদ যুদ্ধে তিনি বিপ্লবীদের বিস্ফোরক সরবরাহের দায়িত্ব নেন। তিনি পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাবে ১৯৩২ সালে সশস্ত্র আক্রমণে পনেরোজন বিপ্লবীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত, যে সময়ে একজন নিহত এবং এগারোজন আহত হয়। বিপ্লবীরা ক্লাবে অগ্নিসংযোগ করে এবং পরে ঔপনিবেশিক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। প্রীতিলতা সায়ানাইড খেয়ে আত্মহত্যা করেন। একজন আহত প্রীতিলতাকে ঔপনিবেশিক পুলিশ ফাঁদে ফেলেছিল। গ্রেফতার এড়াতে তিনি সায়ানাইড গিলে ফেলেন। পরদিন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে শনাক্ত করে। তার মৃতদেহ তল্লাশি করে পুলিশ কয়েকটি লিফলেট, রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ছবি, গুলি, বাঁশি এবং তাদের হামলার পরিকল্পনার খসড়া পায়। ময়নাতদন্তের সময় দেখা গেছে যে বুলেটের আঘাত খুব গুরুতর ছিল না এবং সায়ানাইডের বিষ তার মৃত্যুর কারণ। তবে, তার আত্মহত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গ্রেফতার এড়াতে নয়। তার সাথে একটি সুইসাইড নোট বা একটি চিঠি ছিল, যেখানে তিনি ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মি, চট্টগ্রাম শাখার উদ্দেশ্যগুলি লিখেছিলেন। চিঠিতে, মাস্টারদা সূর্য সেন এবং নির্মল সেনের নামের সাথে, তিনি আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের সাথে কয়েকবার দেখা করার অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেছিলেন।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

আজ ০৩ মে, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৩ মে। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব প্রেস স্বাধীনতা দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৪৬৯ – নিক্কোলো মাকিয়াভেল্লি, ইতালীয় ইতিহাসবিদ এবং দার্শনিক।

১৮৩৯ – জামশেদজী টাটা, ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৬৭ – জে. টি. হার্ন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৮৮৩ – বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত।
১৮৯২ – জর্জ প্যাজেট টমসন, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৯৬ – ভি কে কৃষ্ণমেনন, ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
১৯০২ – আলফ্রেড কাস্টলার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ।
১৯০৩ – বিং ক্রাজবি, মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা।
১৯০৬ – ম্যারি অ্যাস্টর, মার্কিন অভিনেত্রী।
১৯১৯ – পিট সিগার, মার্কিন লোকসঙ্গীত শিল্পী।
১৯২৯ – জাহানারা ইমাম, শহীদজননী-খ্যাত বাংলাদেশি লেখিকা।
১৯৩০ – হুয়ান গেলমান, আর্জেন্টিনার কবি ও লেখক।
১৯৩৩ – স্টিভেন ভেইনবার্গ, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৪৬ – নুরুল ইসলাম বাবুল, বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা, যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
১৯৫১ – অশোক গহলোত, ভারতীয় রাজনীতিক ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৫২ – লিওনিদ খাচিয়ান, আর্মেনীয়-বংশোদ্ভুত রুশ গণিতবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
১৯৫৫ – ডেভিড হুকস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার।
১৯৬০ – ডেরেক অ্যাবট, ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৭৭ – মরিয়ম মির্জাখানি, ইরানি গণিতবিদ।
১৯৮৫ – এজেকিয়েল লাভেজ্জি, আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৯ – কাতিনকা হসু, হাঙ্গেরীয় প্রমিলা সাঁতারু ও ব্যবসায়ী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪৯৪ – কলম্বাস জ্যামাইকা আবিষ্কার করেন।
১৫১৫ – পর্তুগীজ নৌসেনারা ইরানের হরমুজ দ্বীপ দখল করে।
১৭৬৫ – বাংলার গভর্নর পদে নিযুক্ত হয়ে রবার্ট ক্লাইভ কলকাতায় উপনীত হন।
১৭৬৫ – ব্রিটিশদের সঙ্গে মারাঠাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়।
১৭৮৮ – লন্ডনে প্রথম সান্ধ্য দৈনিক ‘দি স্টার’ প্রকাশিত হয়।
১৮০২ – শহর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির যাত্রা শুরু।
১৮৩৭ – অ্যাথেন্স বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় গ্রীসে।
১৯১৩ – প্রথম ভারতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রাজা হরিশচন্দ্র মুক্তি পায়।
১৯২৩ – ভারতের গোরখপুরে হিন্দুধর্মীয় গ্রন্থের বৃহত্তম প্রকাশনা সংস্থা গীতা প্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৩৭ – মার্গারেট মিচেল তার “Gone with the Wind.” এর জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পান।
১৯৩৯ – সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।
১৯৫৩ – ডয়চে ভেলে জার্মানির জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জার্মানির বন্ শহরে স্থাপিত হয়।
১৯৬০ – অ্যান ফ্রাঙ্ক হাউস উদ্বোধন করা হয় আমস্ট্রাডামে।
১৯৬৮ – ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৭১ – পিরোজপুর পতন হয় এবং পাক হানাদার বাহিনী ৬২ জনকে হত্যা করে।
১৯৭৩ – বাঙালি স্থাপত্যবিদ এফ আর খান -এর ডিজাইনে নির্মিত তৎকালীন পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবন সিয়ার্স টাওয়ার (বর্তমান উইলিস টাওয়ার) -এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন।
১৯৭৬ – বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৮ নম্বর অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয় এবং সংশোধনে বলা হয়, বাংলাদেশে ধর্ম ভিত্তিক দল গঠন করা যাবে।
১৯৭৯ – রক্ষণশীল দলের মার্গারেট থ্যাচার বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন ইউরোপের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
২০০১ – যুক্তরাষ্ট্র প্রথম জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পদ হারায়। ২০০২ – পাকিস্তান নিউজিল্যান্ডকে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইনিংস ও ৩২৪ রানে পরাজিত করে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৪৮১ – দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান), অটোমান সুলতান।

১৯৬৯ – জাকির হুসেইন রাজনীতিবিদ, ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি।
১৯৭১ – (ক)  মুক্তিযোদ্ধা সাইফ মিজানুর রহমান (২০১৪ সালে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত)।
(খ ) ফায়জুর রহমান আহমেদ (কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের পিতা)।
১৯৮১ – নার্গিস দত্ত ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৮৮ – প্রেমেন্দ্র মিত্র কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব।
১৯৯২ – জর্জ মার্ফি, মার্কিন নৃত্যশিল্পী, অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ।
১৯৯৯ – গডফ্রে ইভান্স, ইংলিশ ক্রিকেটার।
২০০৫ – জগজিত সিং অরোরা, ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল।
২০০৯ – ভারতের মারাঠি লেখক রাম শেখর।
২০১১ – জ্যাকি কুপার, মার্কিন অভিনেতা, টেলিভিশন পরিচালক, প্রযোজক ও নির্বাহী।
২০১৪ – গ্যারি বেকার, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা সাহিত্যের পাতায় অমর হয়ে আছেন মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা – এক অবিস্মরণীয় কাব্য প্রতিভা।।।।

মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক আলোকিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন, যিনি প্রথম মহিলা কবি হিসেবে পালিত হয়েছেন। ১৯০৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তার পিতা খান বাহাদুর সুলাইমান রাজশাহী বিভাগের ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন, সিদ্দিকার সাহিত্যিক যাত্রা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সমৃদ্ধ একটি অঞ্চলে শুরু হয়েছিল।

তার শিকড় কুষ্টিয়া জেলার নিয়ামতবাড়ী গ্রামে ফিরে এসেছে, এটি এমন একটি জায়গা যা পরবর্তীতে তার কবিতায় প্রকৃতি এবং মানবিক আবেগের প্রাণবন্ত চিত্রায়নকে প্রভাবিত করবে।
বাংলা সাহিত্যে প্রথম নারী হিসেবে সনেট ও গদ্য ছড়া লেখার উত্তরাধিকারের সাথে, সিদ্দিকার কবিতা মানুষের মধ্যে আনন্দ ও দুঃখের খাঁটি অভিজ্ঞতার সাথে অনুরণিত হয়েছিল, যা পার্শ্ববর্তী বিশ্বের সাথে তার গভীর সংযোগের প্রতিফলন। তার পারিবারিক অবস্থা এবং শিক্ষাগত পটভূমি দ্বারা উত্সাহিত সাহিত্যের সাথে তার প্রথম দিকের এক্সপোজার, তার কাব্যিক প্রতিভা গড়ে তুলেছিল, যার ফলে তার রচনাগুলি অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
তার উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে রয়েছে তার কবিতার বই ‘পাসারিণী’, ‘মানুষ ও মৃত্তিকা’ এবং ‘অরণ্য সুর’, প্রতিটিই প্রকৃতি, প্রেম এবং সামাজিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে তার গভীর উপলব্ধি এবং প্রকাশের প্রমাণ। ১৯৩২ সালে ‘পাসারিণী’ প্রকাশের মাধ্যমে সিদ্দিকার প্রাথমিক পথচলা চিহ্নিত হয়েছিল, এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক কারণ এটি বাংলা ভাষায় একজন মুসলিম মহিলা কবির আধুনিক কবিতার প্রথম বই হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল। মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন, একজন সমসাময়িক সমালোচক, একটি নিপুণ স্পর্শে প্রকৃতি, প্রেম এবং ক্রোধের বিষয়বস্তু বুনতে তার ক্ষমতার প্রশংসা করেছেন।
যাইহোক, তার প্রথম দিকের খ্যাতি এবং বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকা সত্ত্বেও, সিদ্দিকা তার পরবর্তী বছরগুলিতে জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে সরে যান। যথাযথ সম্মান এবং স্বীকৃতির অভাব তাকে সাহিত্যের বৃত্ত থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছিল, তার জীবনের শেষ আট থেকে দশ বছর জনসাধারণের ব্যস্ততা থেকে দূরে কাটিয়েছিল। তিনি ২ মে, ১৯৭৭ তারিখে ঢাকায় ৭১ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন, একটি সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার রেখে যান যা ভবিষ্যত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।
সারা জীবন ধরে, সিদ্দিকার কাজ তার মর্যাদাপূর্ণ প্রশংসা অর্জন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৬৬ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭৭ সালে একুশে পদক, প্রতিটি বাংলা কবিতায় তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব তুলে ধরে। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি হিসেবে, মাহমুদা খাতুন সিদ্দিকার অবদানগুলি তাদের অগ্রগামী চেতনা এবং গভীর আবেগগত গভীরতার জন্য পালিত হচ্ছে, যা তার শব্দের সৌন্দর্যের মাধ্যমে মানুষের অভিজ্ঞতার সারমর্মকে প্রতিফলিত করে।

Share This