Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৩ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১৩ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩৬৭ – জোসনের রাজা তেজং, জোসন রাজবংশের রাজা।  .
১৫৫৫ – জোভান্নি আন্তোনিও মাজিনি, ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী, মানচিত্রাঙ্কনবিদ এবং গণিতজ্ঞ।  .
১৭৬৩ – হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা, ব্রাজিলের একজন কূটনীতিজ্ঞ, নিসর্গী, অধ্যাপক এবং কবি।

১৮৩১ – জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, স্কটল্যান্ডীয় গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ তত্ত্বের জন্য সুবিদিত।
১৮৫৪ – চার্লস এ পারসনস, আইরিস ইঞ্জিনিয়ার ও আবিষ্কারক।

১৮৬৫ – উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস বিশ শতকের একজন আইরিশ কবি ও নাট্যকার।
১৮৯৭ – পাভো নুরমি, ফিনিশীয় মাঝারি ও লম্বা দূরত্বের দৌড়বিদ।

১৯১১ – লুইস ওয়াল্টার আলভারেজ, স্পেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৮ – বেন জনসন, মার্কিন অভিনেতা, স্টান্টম্যান ও রোডিও কাউবয়।

১৯২৭ – বাংলাভাষা শহীদ আবুল বরকত।
১৯২৮ – জন ফর্ব্‌স ন্যাশ, মার্কিন গণিতবিদ।
১৯৪০ – জার্মান গায়িকা সারাহ কোনর।
১৯৪৪ – বান কি মুন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব।
১৯৫৩ – টিম অ্যালেন, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।

১৯৬৫ – মনিন্দর সিং, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭০ – ক্রিস কেয়ার্নস, নিউজিল্যান্ডের সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা।
১৯৮১ – ক্রিস ইভানস (অভিনেতা), মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮৬ – হন্ডা কেস্‌কে, জাপানি ফুটবলার।
১৯৮৬ – ডিজে স্নেক, ফরাসি সংগীত প্রযোজক এবং ডিজে।

১৯৯০ – অ্যারন টেলর-জনসন, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৯৪ – দীপিকা কুমারী, ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যুদ্ধ অভিযান শুরু করেন।
১৮৪০ – কলকাতায় তত্ত্ববোধিনী সভার উদ্যোগে তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৭ – লর্ড ক্যানিং সংবাদপত্র আইন চালু করেন।
১৮৭৮ – ইউরোপের মুখ্য রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বার্লিন কংগ্রেস শুরু হয়।
১৯০০ – চীনে বক্সার বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯০৬ – বৃটেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় আয়ারল্যান্ড দ্বীপে আয়ারল্যান্ড রিপাবলিকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা শিনফেন আত্ম প্রকাশ করে।
১৯২১ – ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা হয়।
১৯৩৪ – আডলফ হিটলার এবং বেনিতো মুসোলিনি দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল ইতালির ভেনাসে।
১৯৪৩ –  ফ্রান্সের জাতীয় মুক্তি কমিটি গঠিত হয়।
১৯৪৪ – জার্মানি প্রথম বারের মতো বৃটেনকে লক্ষ্য করে ভি-ওয়ান নামের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
১৯৫৩ – কলম্বিয়ায় জেনারেল গুস্তাভো রোজাস পিনিল্লার নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট লরেয়ানো গোমেজের সরকার উৎখাত।
১৯৫৬ – সর্বশেষ ব্রিটিশ সেনাদল সুয়েজ ত্যাগ করে।
১৯৭১ – অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জি. বডরিক নামে এক মহিলা একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে বেঁচে যায়।
১৯৭৪ – ইয়েমেনে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল।
১৯৭৫ – আলজিয়ার্স চুক্তি।
১৯৭৮ – লেবানন থেকে ইসরাইল তার সেনা প্রত্যাহার করে।
১৯৮২ – সৌদি বাদশাহ খালেদের মৃত্যু। যুবরাজ ফাহাদের সিংহাসনে আরোহণ।
১৯৮৩ – ঢাকা জাদুঘর জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়।
১৯৯৩ – কিম ক্যাম্পবেল কানাডার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
২০০২ – যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (অ্যান্টি ব্যালাস্টিক মিসাইল) চুক্তি প্রত্যাহার করে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৪৫ – মিয়ামোতো মুসাশি, জাপানি অসিযোদ্ধা ও রোনিন।
১৬৯৫ – জন লাফুনতান, ফ্রান্সের বিখ্যাত লেখক ও কবি।
১৯৩১ – কিতাসাতো শিবাসাবুরো, জাপানি চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী।

১৯৩২ – অপূর্ব সেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

১৯৩৯ – আর্থার কনিংহ্যাম, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯৮৩ – বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী ফণীন্দ্রচন্দ্র দত্ত।

১৯৮৭ – জেরাল্ডিন পেজ, আমেরিকান অভিনেত্রী।

২০০৫ – আলভারো কুনহাল, পর্তুগিজ কমিউনিস্ট বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ।

২০১২ – মেহদী হাসান, পাকিস্তানের গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী।
২০১৫ – মাইক শ্রিম্পটন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও কোচ।
২০২০ – (ক) মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

(খ) শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
(গ) সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ভারতের যে ৭ জায়গা ঘুরে আসতে পারেন।।।

ভারত এমন একটি দেশ যেখানে একইসঙ্গে বিভিন্ন ঋতুর দেখা মেলে। রাজস্থানের মতো জায়গায় যখন তীব্র গরম তখন উত্তরের রাজ্যগুলোতে যেমন জাম্মু এবং কাশ্মীরে তীব্র শীত।

প্রকৃতির এই মনোরম বৈচিত্রময়তা অনুভব করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন প্রতিবেশি দেশ ভারতের কয়েকটি সুন্দর জায়গা থেকে। এই শীতের ছুটিতে তুষারে ঢাকা পর্বত-মালা, কুয়াশায় মোড়ানো লেক হতে পারে ভ্রমনপিপাসুদের ঘুরে আসার জন্য চমৎকার। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে শীতের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের এই ৭ স্থান থেকে-
আন্দামান
যারা পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র দেখতে বেশি ভালোবাসেন তাদের জন্য আন্দামান হবে উপযুক্ত গন্তব্য। সৈকতে বসে অলস সময় কাটাতে কাটাতে গায়ে মাখাতে পারবেন ফুরফুরে হাওয়া। যেহেতু আন্দামান গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রকৃতির, এটি গ্রীষ্মে খুব গরম এবং আর্দ্র থাকে, তাই  শীতের মাসগুলোই এই দ্বীপটি দেখার সেরা সময়। অসংখ্য ওয়াটার স্পোর্টস এবং আলোক প্রদর্শনী পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
রাজস্থান
রাজস্থানের সৌন্দর্য বর্ণনা করা প্রায় অসম্ভব। এই রাজ্য সুন্দর স্থাপত্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। রাজ্যের প্রতিটি শহরই বেশ সুন্দর। উদয়পুরে রয়েছে মনোরম হ্রদ, সেখানে জয়সালমিরের সোনালি মরুভূমিও বেশ আকর্ষণীয়। যেহেতু গ্রীষ্মকালে রাজ্যের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে, তাই শীতকাল এটি ভ্রমণের জন্য ভালো। এখানে যোধপুর, জয়পুর এবং উদয়পুরের দুর্গ্ ও প্রাসাদের জাঁকজমক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে জয়সালমেরে মরুভূমিতে ক্যাম্পিং এবং পুশকরে হট এয়ার বেলুন রাইডও উপভোগ করতে পারবেন।
কেরালা
শীতকালে ভারতের আরেকটি পর্যটন আকর্ষণ হলো কেরালা। যারা পানি ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে সৈকত, যারা অবসর ভালোবাসেন তাদের রয়েছে জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাক ওয়াটার, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বন্যপ্রাণির অভয়ারণ্য, সাফারি ও দর্শনীয় পাহাড়ও রয়েছে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের মাসগুলো কেরালা দেখার সেরা সময়। এখানে আরো পাবেন হাউসবোটে রাইড, সবুজের মাঝে চা বাগানে হাঁটার সুযোগ এবং ব্যাক ওয়াটারে হাউসবোট বা শিকারা রাইড। কেরালায় গেলে কথাকলি নাচের পারফরম্যান্স দেখতে ভুলবেন না।
কচ্ছের রণ
সাদা বালির মরুভূমির জন্য এটি ভারতে বেশ বিখ্যাত। শীতের মাসগুলো এই স্থান ভ্রমণের সেরা সময়, রণ উৎসবও বেশ উপভোগ করার মতো, যা অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উৎসবটির স্থানীয় খাবার বেশ মজার এবং কেনাকাটার জন্যও এটি সেরা। তারাময় রাতে উটের যাত্রা অভিজ্ঞতা অর্জনের মতো একটি ব্যপার।
মেঘালয়
মেঘালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উত্তর পূর্বের একটি রাজ্য। মেঘালয় প্রাচীন সব জলপ্রপাত, লেক এবং নদীতে ঘেরা একটি রাজ্য। মেঘালয়ের সবুজ মনোরম পরিবেশ সবসময়ই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মেঘালয়ে গেলে শিলং-এ ঘুরতে, চেরীপুঞ্জির লাইভিং রুট ব্রিজে হাইকিং এবং ডাউকির সুন্দর স্বচ্ছ পানিতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে কখনোই ভুলবেন না।
কর্ণাটক
কর্ণাটক উপকূলে ঘেরা এমন একটি রাজ্য যা বর্ষাকালে পানিতে ভরপুর থাকে। শীতকাল এই জায়গা থেকে ঘুরে আসার সবচেয়ে ভালো একটি সময়। কর্ণাটকে গেলে হামপি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন এটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন গোকানা, মাল্পে, মুরুদেশশারের বিচগুলোতেও। সেইসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন এখানকার মজাদার সামুদ্রিক খাবার।
পন্ডিচেরি
পন্ডিচেরি ছিল সৈকত দ্বারা বেষ্টিত ফ্রান্সের উপনিবেশ। শীতে ভারত ভ্রমণের জন্য এটি একটি সুন্দর জায়গা। ভোরের রোদে সৈকতে পা ভিজিয়ে ঘুরে বেড়ানো কিংবা ককটেলে চুমুক দিয়ে শীতের অলস দিন কাটানোর জন্য এটি সুন্দর জায়গা। শহরের সুন্দর ক্যাফে এবং রেস্তোঁরাগুলো থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন অরোভিলে থেকেও।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।

প্রতি বছর ১২ জুন পালিত হয়, শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক ইভেন্ট যার লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিশু শ্রমের সকল প্রকারের অবসান ঘটাতে প্রচেষ্টা চালানো। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশুর দুর্দশার কথা তুলে ধরে যারা প্রায়ই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শ্রমে বাধ্য হয়, তাদের শৈশব, শিক্ষা এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস : থিম ২০২৫—

২০২৫ সালের বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসের থিম এখনও ঘোষণা করা হয়নি । এই বছর বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসটি শিশুশ্রমের উপর জরুরি অবস্থার প্রভাবের উপর আলোকপাত করবে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং পরবর্তী আর্থিক ও কর্মসংস্থান বিজ্ঞাপনের ধাক্কা ব্যক্তিদের জীবন এবং কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) দ্বারা বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী শ্রম সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানকারী জাতিসংঘের সংস্থা। এটি নিশ্চিত করে যে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী অনেক শিশুকে যথাযথ শিক্ষা, চিকিৎসা পরিষেবা, অবসর সময় বা কেবল মৌলিক স্বাধীনতা প্রদান করে তাদের স্বাভাবিক শৈশব কাটাতে হবে।

বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস : ইতিহাস —

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) শিশু শ্রম নির্মূল করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে 2002 সালে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসের সূচনা করে। ILO, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে এবং বিশ্বব্যাপী শ্রম সমস্যা সমাধানের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শিশু শ্রম মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং টেকসই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় এই ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া ছিল এই দিবসের প্রতিষ্ঠা।
শিশুশ্রমকে আইএলও দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এমন কাজ যা শিশুদের শৈশব, সম্ভাবনা এবং মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে এবং যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। এটি প্রায়শই বিপজ্জনক পরিবেশে দীর্ঘ ঘন্টা জড়িত থাকে, শিশুদের স্কুলে যেতে এবং শিক্ষা অর্জনে বাধা দেয়। সাম্প্রতিক ILO অনুমান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬০ মিলিয়ন শিশু শিশুশ্রমে নিযুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৭৯ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত।

বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস : তাৎপর্য—

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসটি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে কাজ করে। প্রথমত, এটি শিশুশ্রমের বিশ্বব্যাপী ব্যাপকতার উপর আলোকপাত করে, সরকার, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করে। এটি শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য, সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়ার এবং অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
এই দিনটি শিশুদের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো এবং প্রয়োগকারী ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন করার একটি সুযোগ। এটি মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সামাজিক পরিষেবাগুলিতে উন্নত অ্যাক্সেসের আহ্বান জানায়, কারণ শিশু শ্রম প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য শিক্ষা একটি মূল কারণ। অধিকন্তু, এটি শিশুশ্রমের মূল কারণগুলি যেমন দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব মোকাবেলার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১২ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১২ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬০ – স্যার আশুতোষ চৌধুরী, বাংলার যশস্বী আইনজীবী, শিক্ষব্রতী।  .
১৮৬১ – উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার।

১৮৭১ – হেমচন্দ্র কানুনগো, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৮৭৩ – লুসিলা গামেরো ডে মেডিনা, হন্ডুরীয় ঔপন্যাসিক।

১৮৮৩ – রবার্ট লোভি, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নৃবিজ্ঞানী।
১৯২২ – মারগেরিতা হ্যাক, ইতালিয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখিকা।

১৯২৪ – জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম রাষ্ট্রপতি।
১৯২৯ – আন ফ্রাংক, জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত ও দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্লখ্যাত কিশোরী।

১৯২৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি বর্বরতার শিকার দিনলিপি লেখিকা আনা ফ্রাংকের জন্ম।

১৯৩৫ – ইয়ান ক্রেগ, অস্ট্রেলীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৩৯ – জিওফ গ্রিফিন, দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৫৬ – টেরি অল্ডারম্যান, অস্ট্রেলীয় সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৫৭ – জাভেদ মিয়াঁদাদ, পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৫৯ – জালালউদ্দিন, পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬১ – রড ল্যাথাম, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬৪ – আমেরিকান অভিনেত্রী পাওলা মার্শাল এর জন্ম।
১৯৭৬ – রে প্রাইস, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৭৯ – দিয়েগো মিলিতো, আর্জেন্টিনীয় সাবেক ফুটবলার।
১৯৮৪ – ক্রিস আমিনি, পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেটার।
১৯৮৮ – তানভীর আফজাল, হংকংয়ের ক্রিকেটার।
১৯৯২ – ফিলিপি কৌতিনিউ, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৮ – ফিলিপাইন স্বাধীন হয়।
১৯৪৪ – বিশ্বের প্রথম ধরনের ভি-১ ক্ষেপণাস্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
১৯৬৪ – রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাতজন সংগ্রামীসহ দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
১৯৭৬ – উরুগুয়েতে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জুয়ান বর্দাবেরি ক্ষমতাচ্যুত
১৯৭৮ – বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট পদে জিয়াউর রহমানের শপথগ্রহণ
১৯৮২ – পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের হাজার হাজার লোক রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
১৯৯০ – বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংবিধানের দশম সংশোধনী গৃহীত হয়।
১৯৯১ – বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
১৯৯১ – রাশিয়া ফেডারেশনের প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ – বরিস ইয়েলেৎসিন রাশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৯৩ – কম্বোডিয়া বিভক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র সাম্বেডিয়ার জন্ম।
১৯৯৬ – বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ – বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা অপহৃত হন।
১৯৯৮ – পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর অপরাধে পাকিস্তান ও ভারতকে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর ঋণদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
২০০২ – আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে প্রথম বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসটি পালিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৯৭ – ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি কবি।

১৯০৪ – যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, ভারতের বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও সাংবাদিক।
১৯১২ – ফ্রেদেরিক পাসি, ফরাসি অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিকর্মী।
১৯১৪ – প্রখ্যাত সমাজসেবী, দানবীর ও ঔষধ ব্যবসায়ী বটকৃষ্ণ পাল।
১৯৭২ – প্রগতিবাদী মারাঠী সাহিত্যিক ডি.ডি তেন্ডুলকার।
১৯৮৩ – নর্মা শিয়েরার, কানাডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৮৬ – অমিয় চক্রবর্তী, ভারতীয় বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, গীতিকার এবং সুরকার।

১৯৯৩ – (ক)  হাসিরাশি দেবী, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও লেখিকা।

(খ) বিনয়রঞ্জন সেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় প্রথম ভারতীয় বাঙালি পরিচালন অধিকর্তা।
২০০৩ – গ্রেগরি পেক, মার্কিন অভিনেতা।
২০০৩ – রোমেনা আফাজ, বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক।
২০১২ – এলিনর অস্ট্রম, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
২০১৪ – শক্তিপদ রাজগুরু, একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক।
২০১৭ – চার্লস পি. থ্যাকার, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০১৯ – সিলভিয়া মাইলস, মার্কিন অভিনেত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১১ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১১ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আজ যাদের জন্মদিন—-

খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ – মহান আলেকজান্ডার, গ্রীক বীর ও সম্রাট।

১৫৭২ – বেন জনসন, ইংরেজ নাট্যকার, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।
১৮৮৫ – উকিল মুন্সী, বাংলাদেশী বাঙালি গীতিকবি।

১৮৯৭ – রামপ্রসাদ বিসমিল, মণিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
১৮৯৯ – নোবেলজয়ী (১৯৬৮) জাপানি সাহিত্যিক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা।

১৯০১ – প্রমথনাথ বিশী, বাঙালি লেখক, শিক্ষাব্রতী ও সাংসদ।
১৯০৮ – জর্জ পেইন, ইংরেজ সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯১৯ – রিচার্ড টড, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৩৭ – ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন।
১৯৩৯ – র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, ইংরেজ সাবেক প্রমীলা ক্রিকেটার।
১৯৪২ – সোমাচন্দ্র ডি সিলভা, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৪৭ – বিহারের রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদব।
১৯৫১ – কলিস কিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬০ – মেহমেত ওজ, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, কার্ডিওথোরাসিক সার্জন, অধ্যাপক, ছদ্মবিজ্ঞান প্রবর্তক এবং লেখক।
১৯৬২ – মানো মেনেজেস, ব্রাজিলীয় সাবেক ফুটবলার ও কোচ।
১৯৬৯ – পিটার ডিংকলেজ, মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৭৮ – ড্যারিল টাফি, সাবেক ও প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৬ – মিচেল ম্যাকক্লেনাগান, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৯ – রিচমন্ড মুতুম্বামি, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার।
১৯৯১ – স্তাফানি টেলর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০৯ – ক্যাথরিনকে ইংল্যান্ডের রাজা ৮ম হেনরির বিয়ে করেন।
১৭২৭ – দ্বিতীয় জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত।
১৭৬০ – মহীশুরের নবাব হায়দার আলির সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৮৮ – রাশিয়ার অভিযাত্রী গেরাসিম ইসমাইলভ আলাস্কায় পৌঁছেন।
১৮৪৬ – মৌলবি ফরিদ উদ্দিন খাঁর সম্পাদনায় বহুভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জগদুদ্দীপক ভাস্কর’ প্রকাশিত হয়।
১৮৫৫ – বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে সূর্য রশ্মির বিভাজন আবিষ্কার হয়।
১৯৪২ – সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৩ – রাজা পলের ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিবাদে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কনস্টান্টিন কারমানসিসের পদত্যাগ।
১৯৮১ – ইরানে ভূমিকম্পে দেড় হাজার লোক নিহত ।
১৯৯১ – নোবেল শান্তি পুরস্কার ভূষিত মাদার তেরেসা বাগদাদ সফরে যান।
২০০৭ – বাংলাদেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ প্লাবন ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিল।
২০১৭ – চট্টগ্রামসহ রাঙামাটি ও বান্দরবানে দুই দিনের টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছিল।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৫৯ – ক্লেমেন্স ভন মেটরনিখ, অস্ট্রীয় সাম্রাজ্য-এর বিদেশমন্ত্রী।
১৮৬০ – রামকমল ভট্টাচার্য, সংস্কৃত পণ্ডিত, গ্রন্থকার এবং লেখক।
১৯০৩ – সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার ও রানী দ্রাগা বেলগ্রেডে আততায়ীর হাতে নিহত।

১৯০৪ – চন্দ্রশেখর সিংহ সামন্ত, প্রখ্যাত ভারতীয় পণ্ডিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৯২৭ – উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংরেজ সাবেক ঘরোয়া ক্রিকেটার।

১৯২৮ – শৈলেশ্বর বসু, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৯৩৬ – আমেরিকার লেখক রবার্ট ই. হাওয়ার্ড।

১৯৬২ – ছবি বিশ্বাস, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

১৯৭০ – লীলা নাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।
১৯৭৯ – জন ওয়েন, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

১৯৯৭ – মিহির সেন, বাঙালি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দূরগামী সাঁতারু।
২০০১ – টিমোথি ম্যাকভেই, আমেরিকান সন্ত্রাসী।
২০০৫ – ভাস্কো গনসালভস পর্তুগালের ১০৩তম প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ – রন মুডি, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, সুরকার এবং লেখক।
২০১৬ – ডোনাল্ড কার, জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আবার পাহাড়ে – এক ভ্রমণ কাহিনী।।।।

পাহাড় আমার ভালোবাসা। পাহাড় আমাকে ডাকে । তাই জীবনের অনেক গুলো বছর শুধু হিমালয়ের কোলে কোলে ঘুরে বেড়িয়েছি। পাহাড়ের মানুষদের ভালো বেসেছি।যে কটি দিন থাকতাম ওদের সুখ ওদের দুঃখ ভাগ করে নিয়েছি।আমাদের সমতলের মানুষের মতো ওরা জটিল নয়।সাদা মনের মানুষ। খুব সহজেই সবাইকে আপন করে নেয় । সেবারে আমরা খাটলিং গ্লেসিয়ার ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম ।

সংগে আমাদের আট বছরের ছেলে ও সংগী হয়েছিল। আমাদের গাইড পোর্টার তো ছিলই । ওর জন্য একজন আলাদা গাইড নেওয়া হয়েছিল যে ওর ছায়া সঙ্গী র মতো পাশে পাশে থাকবে । দুর্গম হাঁটাপথে আমরা নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিলাম। নাম ছিল তার সাম সিং।গাঁট্টাগোট্টা অথচ খুব সুন্দর ।আমার ছেলে’ বব।’খুব ভাব হয়ে গেল দুজনের। জনমানবহীন পাহাড়ি পথে ছোট্ট হলেও আমাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মনের আনন্দে ট্রেক করেছিল সাম সিং বন্ধু হয়ে গিয়েছিল বলে।সারা রাস্তা ছোট্ট বাবু টিকে কতো যে পাহাড়ের গল্প বলতো সেই গল্প শুনতে শুনতে কতো চড়াই উতরাই অক্লেশে পার হয়ে ছিল ভাবলে আমরাও আশ্চর্য হয়ে যাই।
গাড়োয়াল হিমালয়ের টেহেরি ডিসট্রিক্টে
খাটলিং গ্লেসিয়ার। এর তলায় একদম নীচে ভীলাঙ্গনা নদীর উৎস।বাবল্ এর মতো বুদবুদ করে নদী বেরিয়ে আসছে।অপূর্ব তার সৌন্দর্য ।চারিদিকে বরফে ঢাকা পাহাড় ।যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড় । ঘুত্তু ,রী , গাঙ্গীখরশোলি, বেদিখরাগ ,খাটলিং। এই আমাদের যাত্রা পথ। ঘুত্তু থেকে শুরু হাঁটা।এতো সবুজ গাছগাছালির মধ্যে দিয়ে হাঁটাপথ আমরা খুব সুন্দর দৃশ্যাবলি দেখতে দেখতে রী তে এসে পৌঁছলাম। এরপর খরস্রোতা নদী পার হয়ে পরদিন সকালে রওনা হলাম খরশোলি হয়ে বেদি খরাগে।খরশোলি পাহাড়ের কোলে সবুজে মোড়া বিশাল এক ময়দান।সে যে কি অপূর্ব। আর সেখানে চরে বেড়াচ্ছে শত শত ঘোড়া। জোড়ায় জোড়ায়।বাচ্চা নিয়ে মা ঘোড়া। সাদা কালো জোড়া সাদা সাদা জোড়া বাদামি খয়েরি সব জোড়ায় জোড়ায়।কি সে দৃশ্য না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না। আমার ছোট্ট ছেলে বিস্ময়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো ঐ দেখো সাম সিং সাদা ঘোড়ার কালো বাচ্চা। তার হাততালি তে সারা পাহাড় মুখর হয়ে উঠলো।আমি সারা জীবনে এরকম স্বর্গীয় সৌন্দর্য কখনও আর দেখিলি। আসলে এটা ঘোড়া দের ব্রিডিং সেন্টার। আমরা ট্রেকিং এর পথে অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু এরকম বুনো ঘোড়ার সম্মেলন কখনও কোথাও দেখতে পাইনি। হাঁটাপথের সব ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে গেল ।দূরে একটি চালা ঘরে এদের বৃদ্ধ মালিক চুল করে বসে হাসছে আমাদের আনন্দ দেখে। এখনও অনেক পথ বাকী ।গাইড তাড়া দিয়ে আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেল।
ঠিক হল বেদিখরাগে একটু নাস্তা করে খাটলিং এর পথে এগিয়ে যাবো।মাঝে মাঝেই রাস্তা জুড়ে বরফের জমে যাওয়া স্রোত পথ বন্ধ করে নেমেছে নীচে।আইস এক্স দিয়ে গাইডেরা পা রাখার মতো গর্ত খুঁড়ে দিয়ে আমাদের পথচলা র পথ তৈরি করে দিচ্ছে । আমরা অতি সাবধানে সেই পথ এক পা এক পা করে পার হয়ে যাচ্ছি। একবার পা ফসকে গেলেই কোথায় যে তলিয়ে যাব কেউ জানে না। এরকম তিন চারটি গ্লেসিয়ার পার হয়ে আমরা
বেদি খারগে পৌঁছালাম।সবাই বেশ ক্লান্ত। একমাত্র আমার খুদে সদস্য আর তার বন্ধু বহালতবিয়তে গল্প করে চলেছে। আমি ও আমার দলের সবাই তাই দেখে খুব নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। সামান্য খাওয়া দাওয়া করে আমরা খাটলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
এই পথটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া। অজস্র নাম না জানা বৃহৎ গাছের ডালপালা সরিয়ে সরু পাহাড়ীপথে আমরা চুপচাপ চলেছি। যেমন সুন্দর তেমন বিভীষিকা। থমথমে সবাই নিস্তব্ধতায় হেঁটে চলেছি। গাইড রাও কেমন চুল করে গেছে। চার পাঁচ মাইল আসার পর সামনে উন্মুক্ত তুষারশৃঙ্গ বলে দিল যেন আমরা এসে গেছি।কতো রূপে যে চোখের সামনে খাটলিংগ্লেসিয়ার আবির্ভূত হয়ে এলো।আজও চোখ বুজলে তিরিশ বছর আগের দেখা স্বপ্ন মাখা দৃশ্য ভেসে ওঠে। অনেক নীচে নদী। সেই গভীর ময়দানে নদীর উৎসে আর যাওয়া হলো না।গাইবার প্রচন্ড তাড়া দিয়ে নামিয়ে নিয়ে এলো আমাদের। আবার সেই বুনো পথ। আমার ছেলের ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। সাম সিংওকে পিঠে তুলে নিয়ে দুদ্দাড় করে এগিয়ে গেল। অনেক পথ পেরিয়ে আমরা আবার বেদিখরাগে এসে পৌঁছালাম। ওখানে একটু রান্নার আয়োজন করা হয়েছে। খিচুড়ি আর আলুভাজি।পোর্টাররা খুব ব্যস্ত হয়ে চটপট রান্না করে খাইয়ে দাইয়ে আমাদের বিশ্রাম করতেও দিল না। শুধু তাড়া দিয়ে রী এর পথে নামতে বললো। আমরা এতো খানি ট্রেকিং করে রিল্যাক্সড মুডে আড্ডা দিতে চাইলে গাইড গম্ভীর মুখে বললো আভি রী মে চলো।বাদ মে ক্যাম্প ফায়ার হো গা। এতো রাগ হলো গোমড়ামুখো গাইডের ওপর। আমরা কোন কথা না বলে রী এর পথে পা বাড়ালাম।
রী এর বাংলোতে দেখি সাম সিং আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে।মুখ টা খুব বিষন্ন। আমরা ভাবলাম বেচারি র খুব কষ্ট হয়েছে। রাত্রে আমরা টেন্টে নিজেরাই হৈ হুল্লোড়।করলাম। ছেলে আমার ক্লান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। সাম সিং অনেক রাতে খবর নিয়ে গেল ছোটা সাব ঠিক হ্যায় কিনা। আমরা তখন মজা মস্তি গল্পে মশগুল। আর ছেলে তো আরামসে ঘুমোচ্ছে। আজ ট্রেকিং এর শেষ রাত।মনে স্ফূর্তি একটু নাচা গানা না হলে মন ভরে না। কিন্তু এবারের গাইড আর পোর্টারগুলো যেন কেমন। কাল তো ঘুত্তু। থেকে সোজা ঋষিকেশ। টায়ার্ড ছিলাম সবাই কখন ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন সকালে দেখি সাম সিং দুজন গাইড দুজন পোর্টার দুজন ঘোড়াওলা একসঙ্গে আমাদের টেন্টের বাইরে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে আছে চোখমুখ রাত জাগা য় ক্লান্ত বিষন্ন। আমরা বেরোতেই একসাথে সবাই জিজ্ঞেস করে উঠলো ছোটা সাবধানে ঠিক হ্যায়? আমার ছেলে রিনরিন করে বলে উঠলো হাম ঠিক হ্যায়।আচ্ছা হ্যায়।গুড মর্নিং সবকো।ওরা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। দেবতার ফুল ওর গায়ে মাথায় ঠেকিয়ে বললো ভগবান মালা করে গা জরুর। হামলোক সারারাত পূজা কিয়া আপ কো লিয়ে সাব।
পরে জানলাম ওখানে গাছের এক রকমের গন্ধ আছে।সেই গন্ধে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। আর সেই ঘুম ভাঙে না কোনও দিন। ছোটাসাবের সেই গন্ধ লেগেছিল সাব। হাউহাউ করে কাঁদছে তো কাঁদছে। আমি শুনেই ওদের সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে দিলাম। আমাদের এক দাদা হিমালয়ে তার জীবন কেটেছে।আমাদের অভিভাবক এবং সহ যাত্রী। তিনি সবাইকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন। আভি তো সব ঠিক হ্যায়।রোনা দোনা বন্ধ্ করো। খুশি বানাও।মিঠাই খিলাও। কলকাতা থেকে আনা ভীমনাগের কড়াপাকের একবড়বাক্স সন্দেশ ওদের হাতে দিয়ে বললেন আভি মু মিঠা করো। আমার ছেলেকে ডেকে বললেন বব যাও নিজের হাতে ওদের মিষ্টি খাইয়ে দাও। আমার ছেলে ওদের কোলে উঠে সবাইকে যত্ন করে মিষ্টি খাইয়ে দিল। ওদের চোখে তখনও জল মুখে সলাজ হাসি। তখনই উপলব্ধি করলাম পাহাড়ের মানুষের ভালোবাসা কতো গভীর। দুদিনের চলা পথের সাথী কে কতো আপন করে নিয়েছে তাদের হৃদয়ের মাঝে। এবার আমার কান্না হলো শুরু।আমার কতো বড়ো বিপদের দিন ওরা নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল। আমার কান্না র আওয়াজ ওদের কানে যেতে ই ওরা সবাই দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে মাতাজী মাত্ রো। মাত্ রো বিটিয়া। ওরা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলতে থাকবো মাত রো বিটিয়া।সেই স্নেহের পরশ এখনও আমার শরীরে মাখানো আছে।সএতোদিন পরে লিখছি চোখে জলে ভেসে যাচ্ছে ।
এবার আমরা ঘুত্তু তে ফিরে এলাম। তারপর ঋষিকেশ হয়ে দিল্লি ।তারপরে কোলকাতা ।আমার এই লেখা ভ্রমণের। কিন্তু তার সাথে নিয়ে এলাম এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। উপলব্ধি করে এলাম পাহাড়ের মানুষের কোমল হৃদয় আর তাদের প্রাণের ভালোবাসা।

।। কলমে : শীলা পাল।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ ।।।

সূচনা :-
বাঙালী জাতির জাতীয় সংহতি জাতীয়তাবাদকে আঘাত করার জন্য লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। এটি প্রকাশিত হলে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর “বেঙ্গলী পত্রিকায় বঙ্গভঙ্গের কুফল সম্পর্কে একে “একটি গভীর জাতীয় বিষাদ” বলে ব্যাখ্যা করে জাতিকে সজাগ করেন। তিনি লেখেন যে “আমরা অপমানিত, লাঞ্ছিত ও প্রতারিত হয়েছি …… এখনও সরকার যদি বঙ্গভঙ্গ সম্পর্কে মত না বদলান তবে স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন পথে মোড় নেবে। সারা ভারতে আগুন জ্বলবে।”
আন্দোলনের পর্যায় :-
বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন দুটি পর্যায়ে ঘটে ছিল। প্রথমে সভা, সমিতি, আবেদনের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক পথে প্রতিবাদ জ্ঞাপন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে বয়কট স্বদেশী আইনভঙ্গ এবং সর্বশেষে সহিংস প্রতিবাদ। বঙ্গভঙ্গ বাঙালী তথা ভারতীয়দের কাছে ছিল এক জতীয় অপমান। তাই এর বিরুদ্ধে উপরোক্ত পর্যায়ে আন্দোলন চালানোর মাধ্যমে সমগ্র ভারতবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল।
বয়কট আন্দোলন:-
১৯০৫ খ্রীঃ এর ১লা জুলাই ‘সুঞ্জীবণী’ পত্রিকার সম্পাদক কৃষ্ণকুমার মিত্র দেশোবাসীকে ব্রিটিশ পন্য বয়কট স্বদেশী দ্রব্য ব্যবহারে আহ্বান জানান। তাঁর এই প্রস্তাব বাংলাদেশের সর্বত্র সমর্থন লাভ করেন। এরপর বাঙলার সকল স্থানে বয়কট আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। বিলাতি কাপড়, লবন, চিনি, সিগারেট, কাচের চুড়ি প্রভৃতি সকল দ্রব্য বয়কট করা হয়। বিলাতী জিনিসের দোকানের সামনে ছাত্ররা পিকেটিং করে ক্রেতাদের নিরস্ত্র করতে থাকেন। বয়কট আন্দোলন ভারতবসীদের মধ্যে এমন উন্মাদনা সৃষ্টি করে যে ব্রাহ্মণ পণ্ডিতেরাও বিলাতি চিনির দ্বারা প্রস্তুত মিষ্টানও ঠাকুরকে দিতে অস্বীকার করে। ধোপারা বিলিতি কাপড় কাচতে অস্বীকার করে। নারীরা মিহি বিলাতি কাপড় ছেড়ে মোটা তাঁতের কাপড় ব্যবহার করেন এবং বিলাতী চুড়ি পড়া বর্জন করেন। ছাত্ররা ইংরেজদের স্কুল কলেজ ছেড়ে বেরিয়ে আসে, উকিল ব্যারিষ্টাররা ইংরেজদের অফিস আদালত বয়কট করেন।
রাখীবন্ধন ও অরন্ধন :-
বঙ্গভঙ্গ কার্যকলাপের দিন অর্থাৎ ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দের ১৬ই অক্টোবর দিনটি রবীন্দ্রনাথের প্রস্তাব অনুযায়ী ‘রাখী বন্ধন দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। সূর্যোদয়ের পূর্বে হাজার হাজার মানুষ গঙ্গাস্নান করে মুখে বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলে হিন্দু –মুসলমান নির্বিশেষে পরস্পর এর হাতে রাখী বেঁধে দেন।  এছাড়া রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর প্রস্তাব অনুযায়ী ঐ দিনটি আবার ‘অরন্ধন দিবস’ হিসাবেও পালিত হয়। মুসলমান সম্প্রদায়ের এক অংশ, এই আন্দোলনকে সমর্থন না করলেও এই আন্দোলন ব্যর্থ হয় নি।
স্বদেশী আন্দোলন :-
বঙ্গভঙ্গ বরোধী এই আন্দোলন পরবর্তী পর্যায়ে দ্বদেশী আন্দোলনে পরিনত হয়। কেনপ্না মানুষ বুঝতে পারে শুধুমাত্র বয়কট আন্দোলনে কাজ চলবে না। কারণ বয়কট আন্দোলনের ফলে বাজারে মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব দেখা দেবে। আর সে সময় পরিষধরক হিসাবে কোন কিছু না পেলে এ আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে। ফলে স্বদেশী মোটা কাপড়, চিনি, গুড়, ব্যবহার শুরু হয়। বিদেশী সিগারেট বর্জন করে মানুষ দেশীয় বিড়ি-সিগারেট ব্যবহার করতে শুরু করে জনসাধারণের স্বদেশী জিনিসের প্রতি আগ্রহ বাড়ায় স্বদেশী শিল্পের প্রসার ঘটে। দ্বদেশী ভাবধারার অনুপ্রেরণায় বহু কাপড়ের কল, ব্যাঞক, জীবনবিমা কোম্পানি , গেঞ্জি-মোজা, সাবান-চিনি, চামড়া, ঔষধ প্রভৃতির কারখানা গড়ে ওঠে। কুটির শিল্পেরও উন্নতি সাধন ঘটে।
জাতীয় ঐক্য  :-
লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ কায়েম করলে সমগ্র বাঙালী জাতি বেদনায় শিউরে ওঠে। এটা তাদের জীবনে এক জাতীয় অপমান এই অপমান ও বেদনা থেকে তাদের মনে জমা হয় ক্রোধ ও প্রতিজ্ঞা। তাই রাখী বন্ধন ও অরন্ধন এর মাধ্যমে সমগ্র হিন্দু –মুসলমান ঐক্য বদ্ধ হয়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জাতীয় আন্দোলনের শপথ নেয়।
জাতীয় শিক্ষা-পরিষদ :-
স্বদেশী আন্দোলনের প্রভাব শিক্ষা ক্ষেত্রেও পরিলক্ষিত হয়। নবজাগ্রত জাতীয় চেতনার এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ছিল ইংরাজী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তে জাতীয় শিক্ষালয়ের প্রতিষ্ঠা। সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ে ‘ডন সোস্যাইটি’ এই ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে। এই সোস্যাইটির আহ্বানে ১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে ৫ই নভেম্বর জনসভা ডাকা হয়। সেখানে সতীশচন্দ্র কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ‘গোলদীঘির গোলাম খানা’ পরিত্যাগ করার আহ্বান জানান। ১৯০৬ খ্রীষ্টাব্দের ১৪ই আগস্ট ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ গঠিত হয়। এই পরিষদ অনেক বিদ্যালয়ে স্থাপন করেছিল। যেখানে বৈজ্ঞানিক যান্ত্রিক ও মানবিক শিক্ষাকে জাতীয় অবধারায় পরিচালিত করা হত।
পুলিশী দমন নীতি :-
সরকার বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন দমন করার জন্য প্রচণ্ড দমন নীতির আশ্রয় নেয়, কার্ললাইল সার্কুলার দ্বারা ছাত্রদের দমন করার ব্যবস্থা করা হয়। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে বরিশালে প্রাদেশিক সম্মেলন ডাকা হলে পুলিশ প্রচণ্ড দমন নীতি ও গ্রেপ্তার দ্বারা সম্মেলন ভণ্ড করে।
উপসংহার :-
ক্রমশ স্বদেশী আন্দোলনের মূল আদর্শ গুলি ভারতের অন্যত্র বিস্তার লাভ করে এবং বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনের চাপে পড়ে ইংরেজ সরকার ১৯১১ খ্রীষ্টাব্দে বপঙ্গভঞগ রদ করতে বাধ্য হয়।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১০ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১০ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩২ – নিকোলাস অটো, জার্মান প্রকৌশলী।  .

১৮৩৬ – সন্তদাস কাঠিয়াবাবা নিম্বার্ক সম্প্রদায়ের প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু।  .
১৯১৫ – সল বেলো, কানাডীয়-আমেরিকান লেখক।  .

১৯১৮ – ফররুখ আহমদ, বাঙালি কবি।  .

১৯২২ – জুডি গারল্যান্ড, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন।

১৯৪২ – আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান: বাংলাদেশ) একজন শহীদ ছাত্রনেতা।

১৯৫৫ – প্রকাশ পাডুকোন, ভারতের অন্যতম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।

১৯৬০ – নন্দমুরি বলকৃষ্ণ, ভারতের তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অভিনেতা।
১৯৬৫ – এলিজাবেথ হার্লি, ইংরেজ অভিনেত্রী ও মডেল।
১৯৭২ – এরিক উপশান্ত, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – আলবি মরকেল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯৮৯ – আলেক্সান্দ্রা স্তান, রোমানীয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত লেখক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৬১০- গ্যালিলিও শনি গ্রহের দ্বিতীয় চক্র আবিষ্কার করেন।
১৭৫২- বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বজ্র থেকে বিদ্যুৎ আহরণ করতে সক্ষম হন।
১৭৯০- ইংরেজ সেনাবাহিনী মালয় নামে পরিচিত বর্তমানকালের মালয়েশিয়ার ওপর হামলা চালায়।
১৮৮১- রাশিয়ার বিখ্যাত লেখক কাউন্ট লিও তলস্তয় চাষির ছদ্মবেশে একটি মঠের দিকে তীর্থযাত্রা শুরু করেন।
১৮৯০ – আজকের দিন রবিবার ছিল। এদিন থেকেই ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার নির্ধারিত হয় এবং এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
১৯০৫- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বঙ্গীয় শিল্পকলা তথা বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট গঠিত হয়।
১৯১৬ – হুসাইন বিন আলি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের ঘোষণা দেন।
১৯২৬- তুরস্কে সর্বশেষ জানেসারী বিপ্লবের সূচনা।
১৯৪০- ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইতালির যুদ্ধ ঘোষণা।
১৯৪০- উইনস্টন চার্চিল তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।
১৯৭২- ভারতের প্রথম তাপানুকূল যাত্রীবাহী জাহাজ হর্ষবর্ধনের সমুদ্রযাত্রা।
২০০১- মিডিয়া সম্রাট সিলভিও বালুসকনি দ্বিতীয়বারের মতো ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৭৭ – বাংলার অগ্রগণ্য সমাজপতি মহারাজা রমানাথ ঠাকুর।

১৯০২ – জ্যাসিন্ট ভার্ডাগুয়ের, কাতালান কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

১৯২৬ – অ্যান্টনি গাউদি, স্প্যানিশ কাতালান স্থপতি ছিলেন।

১৯৪৮- বাঙালি লেখক অতুলচন্দ্র সেন।
১৯৪৯ – সিগ্রিড উন্ড্‌সেট, নরওয়ান ঔপন্যাসিক।
১৯৫১ – এস ওয়াজেদ আলি, বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৬৫ – অতীন্দ্রনাথ বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী।
১৯৬৭ – স্পেন্সার ট্রেসি, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮২ – রাইনার ভের্নার ফাসবিন্ডার, পশ্চিম জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা এবং নাট্যকার।

১৯৮৭ – এলিজাবেথ হার্টম্যান, মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৯৩ – বিশিষ্ট বাঙালি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক সুধীরনাথ সান্যাল।
১৯৯৬ – জো ভ্যান ফ্লিট, আমেরিকান অভিনেত্রী।
২০০০ – হাফেজ আল-আসাদ, সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
২০০০ – ব্রায়ান স্ট্যাদাম, ইংলিশ ক্রিকেটার।
২০০১ – লেইলা পাহলভি, ইরানের রাজকন্যা।
২০১৪ – গ্যারি গিলমোর, প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
২০১৯ – গিরিশ কারনাড, ভারতীয় ভাষাবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
২০২১ – বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে খাদ্য। সেই খাদ্যকে গুরুত্ব দিতেই ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয় যাতে খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনা এবং মানব স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০২৫ এর থিম

২০২৫ সালের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের প্রতিপাদ্য হল :

“খাদ্য নিরাপত্তা: বিজ্ঞানের প্রয়োগ”

এই বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হল বৈজ্ঞানিক গবেষণা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন কীভাবে খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে তা তুলে ধরা হয়েছে । এটি নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভূমিকা তুলে ধরে:

বিপদ সনাক্তকরণে ডেটা এবং ডায়াগনস্টিকস ,

উন্নত অনুশীলন বিকাশে গবেষণা ,

এবং খামার থেকে শুরু করে কাঁটা পর্যন্ত সমগ্র খাদ্য শৃঙ্খলে স্বাস্থ্যবিধি এবং সুরক্ষা বৃদ্ধির বৈজ্ঞানিক সমাধান ।

বিজ্ঞানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে , ২০২৫ সালের প্রতিপাদ্য প্রমাণ-ভিত্তিক নীতি নির্ধারণকে উৎসাহিত করে এবং নিরাপদ খাদ্য জীবন বাঁচায় এই ধারণাটিকে আরও শক্তিশালী করে ।

এই খাদ্য নিরাপত্তা মানগুলি কৃষক এবং যারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তাদের গাইড করে। সংযোজন, দূষক, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং পশুচিকিত্সা ওষুধের পরিমাণ যা আমাদের দ্বারা নিরাপদে সেবন করা যায়, পরিমাপ করা, প্যাকেজিং এবং পরিবহন করা যায়, সেগুলিও এই মানগুলির অধীনে নির্ধারিত হয়। পুষ্টি এবং অ্যালার্জেনের লেবেলগুলি গ্রাহকদের একটি জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
WHO প্রতি বছরের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের থিম ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সংগঠিত প্রচারাভিযান চালু করেছে। নিরাপদ খাদ্য সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যারান্টারগুলির মধ্যে একটি। অনিরাপদ খাবার অনেক রোগের কারণ এবং অন্যান্য খারাপ স্বাস্থ্যের অবস্থার জন্য অবদান রাখে, যেমন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধি এবং বিকাশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি, অসংক্রামক বা সংক্রামক রোগ এবং মানসিক অসুস্থতা। বিশ্বব্যাপী, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়। ক্যাম্পেইনটি বেশিরভাগ খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি টেকসই পদ্ধতিতে উন্নত স্বাস্থ্য সরবরাহ করার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। খাদ্য ব্যবস্থার নীতি-নির্ধারক, অনুশীলনকারী এবং বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্যের ফলাফলের উন্নতির জন্য নিরাপদ খাদ্যের টেকসই উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়ানোর জন্য তাদের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর ইতিহাস–
কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশন (সিএসি), যা এফএও/ডব্লিউএইচও ফুড স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে, ২০১৬ সালে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উদযাপনের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এক বছর পরে, জুলাই মাসে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সম্মেলন। এর ৪০ তম অধিবেশন ডব্লিউএইচও দ্বারা সমর্থিত একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করে ধারণাটিকে সমর্থন করেছে।
অবশেষে, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজোলিউশন ৭৩/২৫০ দ্বারা বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস প্রতিষ্ঠা করে। আরও, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সর্বাত্মক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে এবং তুলে ধরার জন্য 3 আগস্ট, ২০২০ তারিখে WHA73.5 রেজুলেশন পাস করে। খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা জোরদার করা।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর তাৎপর্য—
আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি খাদ্যে কীটনাশক, রাসায়নিক এবং সংযোজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে যা নিয়ন্ত্রিত না হলে ভোক্তাদের ক্ষতি করবে। পানি দূষণও একটি বড় সমস্যা। বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস নিশ্চিত করে যে সমস্ত ভোক্তাদের জন্য সর্বোত্তম স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে খাদ্যের মান মেনে চলা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। এ কারণে প্রতিবছর মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশই খাবারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রাণ হারায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।
পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। তাই প্রতি বছর খাদ্যজনিত সমস্যায় প্রায় ৬ কোটি মানুষ অসুস্থতায় ভোগেন। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতরকণ বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
খাদ্যজনিত অসুস্থতা সাধারণত সংক্রামক ও বিষাক্ত পদার্থের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও নানা রাসায়নিক পদার্থের কারণে খাদ্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। আর, এই অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রোগ জীবাণু ও দূষিত পদার্থ, যা অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
পরিবেশ দূষণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মাটি ও ফসল। একই সাথে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে শস্যের মাঝে। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। যা পরোক্ষ ভাবে আমাদের ই শরীরে প্রবেশ করছে। এতে মানুষের শরীরে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হচ্ছে না।
তাই মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিরাপদ খাদ্য সৃষ্টি করে নানা রকম রোগ-বালাই ও দুর্বল দেহ। যেমন, শিশুর দুর্বল বা অক্ষম হয়ে বেড়ে ওঠা, পুষ্টির অভাব, সংক্রামক কিংবা অসংক্রামক রোগের সৃষ্টি এবং মানসিক অসুস্থতা।
তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে ৭ই জুন পৃথিবীব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত রোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ, চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ ও তার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এই দিনটি আয়োজিত হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ০৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ০৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস।
(খ) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস, বাংলাদেশ।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৮ – মোহাম্মদ আকরম খাঁ, বাঙালি সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, সাহিত্যিক এবং ইসলামী পণ্ডিত।

১৮৭১ – খাজা সলিমুল্লাহ, ঢাকার নবাব।
১৮৭৩ – প্রখ্যাত বাঙালি চিকিৎসাবিজ্ঞানী স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।
১৮৭৯ -আর্নেস্ট হার্টসফিল্ড, জার্মানীর বিখ্যাত প্রাচ্যবিদ ও ইরান-বিশেষজ্ঞ।

১৮৯৬ – রবার্ট সেন্ডারসন মুল্লিকেন, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিজ্ঞানী।
১৮৯৬ – ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ।
১৯০৯ – জেসিকা ট্যান্ডি, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।

১৯১৭ – (ক)  রাজেন তরফদার, প্রখ্যাত বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালক,অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকার ।
(খ) ডিন মার্টিন, আমেরিকান গায়ক, অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯২৩ – সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, খ্যাতিমান বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৯২৮ – জেমস আইভরি, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯৩১ – ভার্জিনিয়া ম্যাকেনা, ব্রিটিশ অভিনেত্রী।
১৯৩৫ – শ্যামা, ভারতীয় অভিনেত্রী।
১৯৪৭ – তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত বাঙালি লেখক।
১৯৪৮ – জিম ওয়ালটন, আমেরিকান ব্যবসায়ী।
১৯৫২ – ওরহান পামুক, ২০০৬ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তুর্কী সাহিত্যিক।

১৯৫২ – লিয়াম নিসন, আইরিশ চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯৫৫ – রঞ্জন ঘোষাল, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী, গায়ক,গীতিকার, লেখক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।
১৯৫৮ – প্রিন্স রজার্স নেলসন, বিখ্যাত মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫৯ – মাইক পেন্স, মার্কিন রাজনীতিবিদ এবং আইনজীবী।
১৯৬৪ – গ্রেইম লেব্রয়, সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৫ – মাইক ফোলি, আমেরিকান লেখক, অভিনেতা, এবং সাবেক পেশাদার কুস্তিগির এবং ধারাভাষ্যকার।
১৯৭০ – কাফু, ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭২ – ফেরদৌস, বাংলাদেশের একজন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৪১৩ – নেপলসের রাজা ল্যাডিস্ল রোম দখল করেন।
১৫৪৬ – আরড্রেস শান্তিচুক্তির মাধ্যমে ফ্রান্স ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ইংল্যান্ডের যুদ্ধাবসান ঘটে।
১৫৫৭ – ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৬৫৪ – ষোড়শ লুই ফ্রান্সের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৭৬৫ – উত্তর পারস্যে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।
১৮১০ – নবাব সৈয়দ জিনে উদ্দিন বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।
১৮৭৯ – লাতিন আমেরিকার তিনটি দেশ পেরু, চিলি ও বলিভিয়ার মধ্যে পাঁচ বছরের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯০৪ – সুইডেনের কাছ থেকে নরওয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬৬ – ছয় দফার সমর্থন ও পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে পূর্ব বাংলায় হরতাল পালিত হয়। পুলিশের গুলিতে ১১ জন নিহত ও শত শত আহত হয়।
১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ৫শ’ ও ১শ’ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা হয়।
১৯৭৩ – বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে সন্তু লারমার নেতৃত্বে শান্তিবাহিনী গঠিত হয়।
১৯৭৫ – ইংল্যান্ডে প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৮০ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের জঙ্গীবিমান ইরাকের রাজধানী বাগদাদের কাছে অবস্থিত ইরাকি পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে।
১৯৮৮ – বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী গৃহীত হবার মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা করা হয়।
১৯৮৯ – সুরিনামে বিমান দুর্ঘটনায় ১৬২ জন মৃত্যুবরণ করে।
১৯৯১ – পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২শ’ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে।
১৯৯২ – আজারবাইজানে প্রথম বহুদলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এবুলতাজ এলসিব জয়লাভ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৬৫ – হুসাইন নিজাম শাহ, দাক্ষিণাত্যের রাজা।
১৮২৬ – ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, জার্মান আলোকবিজ্ঞানী।
১৮৬৩ – রিচার্ড মার্শ হো, রোটারি ছাপাখানার মার্কিন উদ্ভাবক।
১৯৩৭ – জিন হার্লো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৪৮ – লুই ল্যুমিয়ের, ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্রের অগ্রদূত।
১৯৫৪ – অ্যালান টুরিং, ইংরেজ গণিতবিদ, যুক্তিবিদ ও ক্রিপ্টোবিশেষজ্ঞ।
১৯৬৫ – জুডি হলিডে, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী ও গায়িকা।
১৯৬৭ – ডরোথি পার্কার, আমেরিকান কবি, লেখক, সমালোচক এবং বিদ্রুপাত্মক রচনাকার।
১৯৭০ – এডওয়ার্ড মরগ্যান ফরস্টার, ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।
১৯৭৮ – রোনাল্ড জর্জ রেফর্ড নোরিশ, ব্রিটিশ রসায়ন বিজ্ঞানী।
১৯৮০ – হেনরি মিলার, আমেরিকান লেখক।
২০০২ – বসপ্পা ধনপ্পা জত্তী, ভারতের পঞ্চম ভারতের উপরাষ্ট্রপতি।
২০১৫ – ক্রিস্টোফার লী, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, লেখক এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী।
২০১৫ – শেখ রাজ্জাক আলী, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক স্পিকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This