Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখা ও ভালো রাখার কিছু উপায়।।।।

কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করার জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

 

1. একটি গভীর শ্বাস নিন: আপনার নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন এবং আপনার মুখ দিয়ে বের করুন। এটি আপনার হৃদস্পন্দনকে মন্থর করতে এবং আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।

2. ফিরে যান: কখনও কখনও, পরিস্থিতি থেকে শারীরিক পদক্ষেপ নেওয়া আপনাকে দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে এবং আপনার মাথা পরিষ্কার করতে সহায়তা করতে পারে।
3. মননশীলতার অভ্যাস করুন: বর্তমান মুহুর্তে ফোকাস করুন এবং অতীত বা ভবিষ্যতের উদ্বেগ ত্যাগ করুন। ধ্যান বা যোগের মতো মননশীলতা কৌশলগুলি সাহায্য করতে পারে।
4. আপনার চিন্তাভাবনা পুনর্বিন্যাস করুন: পরিস্থিতিটিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা করুন। একটি রূপালী আস্তরণের বা বৃদ্ধির জন্য একটি সুযোগ আছে কিনা নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন.
5. একটি বিরতি নিন: সম্ভব হলে, এমন কিছু করার জন্য একটি ছোট বিরতি নিন যা আপনাকে আরাম দেয়, যেমন হাঁটতে যাওয়া বা শান্ত সঙ্গীত শোনা।
6. ইতিবাচক স্ব-কথোপকথনের অভ্যাস করুন: সদয় শব্দ দিয়ে নিজেকে উত্সাহিত করুন, যেমন “আমি এটি পেয়েছি” বা “আমি এটি পরিচালনা করতে পারি।”
7. সহায়তা সন্ধান করুন: সমর্থন এবং নির্দেশনার জন্য একজন বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারের সাথে যোগাযোগ করুন।
মনে রাখবেন, কঠিন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার জন্য অনুশীলন লাগে, তবে সময় এবং প্রচেষ্টার সাথে, আপনি অনুগ্রহ এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের পরিচালনা করার দক্ষতা বিকাশ করতে পারেন।
এখানে নিজের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে:
1. শারীরিক স্ব-যত্ন:
– নিয়মিত ব্যায়াম করুন (হাঁটা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি)
– একটি সুষম খাদ্য খাওয়া
– পর্যাপ্ত ঘুম পান (7-8 ঘন্টা)
– জলয়োজিত থাকার
2. মানসিক স্ব-যত্ন:
– মননশীলতা এবং ধ্যান অনুশীলন করুন
– এমন ক্রিয়াকলাপগুলিতে জড়িত হন যা আপনাকে আনন্দ দেয় (শখ, পড়া ইত্যাদি)
– সীমানা নির্ধারণ করুন এবং আপনার প্রয়োজনগুলিকে অগ্রাধিকার দিন
– প্রয়োজনে পেশাদার সাহায্য নিন
3. আবেগজনিত স্ব-যত্ন:
– আত্ম-সহানুভূতি এবং আত্ম-ক্ষমা অনুশীলন করুন
– স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার আবেগ প্রকাশ করুন (জার্নালিং, বন্ধুর সাথে কথা বলা ইত্যাদি)
– ইতিবাচক সম্পর্কের সাথে নিজেকে ঘিরে রাখুন
– আত্ম-প্রতিফলন এবং আত্ম-বৃদ্ধির জন্য সময় নিন
4. আধ্যাত্মিক স্ব-যত্ন:
– প্রকৃতির সাথে সংযোগ করুন
– কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসা অনুশীলন করুন
– এমন ক্রিয়াকলাপগুলিতে জড়িত হন যা আপনাকে উদ্দেশ্য এবং অর্থের বোধ দেয়
– অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং প্রশান্তির অনুভূতি গড়ে তুলুন
মনে রাখবেন, স্ব-যত্ন একটি এক-আকার-ফিট-সব পদ্ধতি নয়। পরীক্ষা করুন এবং আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল কি কাজ করে তা খুঁজুন!

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।।

ক্রীড়া সাংবাদিকতা যে কোনো সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি খেলাধুলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে। এটিকে হাস্যকরভাবে খেলনা বিভাগ নামকরণ করা হয়েছে কারণ খেলাধুলার বিষয়বস্তু একটি খেলা হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে। আজ ২ জুলাই, বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস (World Sports Journalists Day)।

আজ থেকে ৯৯ বছর আগে প্যারিস অলিম্পিকের সময় ১৯২৪ সালের এই দিনে ফ্রান্সে এআইপিএস (আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা) প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই দিনটিকে স্মরণে রেখেই প্রতি বছর ২ জুলাই ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস পালিত হয়।
সাংবাদিকরা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আমাদের সামনে সুগবেষণাকৃত তথ্য তুলে ধরে। ক্রীড়া সাংবাদিকরা বিভিন্ন স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলার বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন। ক্রীড়া লেখকদের তৎপরতা এবং রিপোর্টিং দক্ষতার কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া অনুরাগীরা ক্রীড়া ইভেন্ট এবং ক্রীড়া খেলোয়াড়দের সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য অ্যাক্সেস করতে সক্ষম হয়। আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রীড়া জগতের বর্তমান সেনসেশন এবং ক্রীড়া লেখকরা এটিকে কভার করতে কোন কসরত ছাড়ছেন না। ক্রীড়া প্রচারে ক্রীড়া সাংবাদিকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর ২ জুলাই বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস পালন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে, আমরা বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে এসেছি।
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবসের ইতিহাস—
১৯৯৪ সালে, ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (A.I.P.S.) তার ৭০তম বার্ষিকীর সম্মানে প্রথমবারের মতো বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস উদযাপন করে। ১৯২৪ সালে, A.I.P.S. প্যারিস, ফ্রান্সে L’Association Internationale de la Presse Sportive হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যাইহোক, সমিতির সদর দপ্তর এখন অলিম্পিক রাজধানী লুসানে, সুইজারল্যান্ডে। A.I.P.S. ১৬০টি সদস্য সমিতি সহ একটি স্বাধীন সংস্থা, যেখান থেকে এটি সদস্যতা ফি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং ফেডারেশনের অবদানের মাধ্যমে অর্থায়ন পায়।
এর ওয়েবসাইট অনুসারে, A.I.P.S এর লক্ষ্য। “ক্রীড়া এবং সদস্যদের পেশাগত স্বার্থ রক্ষায় এর সদস্য অ্যাসোসিয়েশনগুলির মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, সমস্ত জাতির ক্রীড়া সাংবাদিকদের মধ্যে বন্ধুত্ব, সংহতি এবং সাধারণ স্বার্থ জোরদার করা এবং সদস্যদের জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য কাজের পরিস্থিতি নিশ্চিত করা।”
ক্রীড়া সাংবাদিকতা এমন এক ধরনের লেখা যা ক্রীড়া-কেন্দ্রিক বিষয়গুলিতে ফোকাস করে। ক্রীড়া সাংবাদিকতা ১৮০০-এর দশকে, বিশেষ করে ১৮২০ এবং ১৮৩০-এর দশকে বিকশিত হয়েছিল। শুরুতে, রিপোর্টিং প্রাথমিকভাবে ঘোড়দৌড় এবং বক্সিং-এর মতো অভিজাত ক্রীড়াগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে, প্রধানত উচ্চ শ্রেণীকে লক্ষ্য করে কারণ সংবাদপত্রগুলি জনসাধারণের নাগালের বাইরে ছিল। যাইহোক, পেনি প্রেসের বিকাশ সাশ্রয়ী মূল্যের সংবাদপত্র উত্পাদনের দ্বার উন্মুক্ত করেছে, শেষ পর্যন্ত তাদের সমাজের নিম্ন স্তরের কাছে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলেছে। বিংশ শতাব্দীতে ক্রীড়া সাংবাদিকতার জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮৮০ সালে, সংবাদপত্রে খেলাধুলার জন্য মাত্র ০. ৪% স্থান উৎসর্গ করা হয়েছিল। এই সংখ্যা ১৯২০ সালের মধ্যে ২০%-এ উন্নীত হয়, কারণ সংবাদপত্রগুলি ক্রীড়া কভারেজের জন্য একচেটিয়াভাবে সাংবাদিকদের নিয়োগ করা শুরু করে। আজ, ক্রীড়া সাংবাদিকতা শুধুমাত্র প্রিন্ট মিডিয়াই নয়, রেডিও, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটকেও ব্যবহার করে।
বিশ্বব্যাপী ক্রীড়া সাংবাদিকরা একত্রিত হয়েছে ISPA।
আজ, স্পনসরশিপ থেকে শুরু করে অলিম্পিক গেমস এবং বিশ্বকাপের মঞ্চায়ন পর্যন্ত বিপুল অর্থের সাথে খেলাধুলা একটি ক্রমবর্ধমান বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।
এই ইভেন্টগুলি বিশ্বজুড়ে সুপরিচিত অনুসন্ধানী এবং দক্ষ সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস প্রতি বছর অনেক আড়ম্বর ও আনন্দের সাথে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনটি বিশেষ করে ক্রীড়া মিডিয়ার সদস্যদের অর্জন উদযাপন করার জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
এটির লক্ষ্য ক্রীড়া সাংবাদিকদের তাদের কাজের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রচেষ্টা করতে এবং বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ স্থাপন করতে উত্সাহিত করা। এই দিনটি সাংবাদিকদের আরও কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহিত করে এবং আরও বেশি লোককে পেশায় আমন্ত্রণ জানায়।
বেশিরভাগ দেশে ক্রীড়া সাংবাদিকদের জন্য তাদের পৃথক জাতীয় সমিতি রয়েছে। স্পোর্টস জার্নালিস্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (SJFI) ২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
ভারতেও বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থা, এবং SJFI খেলাধুলার প্রতি লেখকদের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়ে এই দিনটি উদযাপন করে।
খেলাধুলা নিবন্ধের অর্থ—
খেলাধুলা প্রতিটি মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের সুস্থ ও সুন্দর রাখে এবং শারীরিক শক্তিও রাখে। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম। এটি মানুষের মেজাজকেও প্রসারিত করে। খেলাধুলা আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সজাগ রক্ষা করে এবং বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে আমাদের হৃদয় সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ক্রীড়া সাংবাদিকতা—
ক্রীড়া সাংবাদিকতা হলো সাংবাদিকতার এমন ধারা, যারা ক্রীড়া এবং প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত বিষয়গুলির উপর প্রতিবেদন করে। ১৮০০ এর দশকের গোড়ার দিকে ক্রীড়া সাংবাদিকতা শুরু হয় এবং এটি খবরের কাগজের নিবেদিত সংস্থাগুলির সাথে সংবাদ ব্যবসায়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে রূপান্তরিত হয়। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে খেলাধুলার বর্ধমান জনপ্রিয়তার কারণে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো খেলাধুলার সামগ্রীর আরও বেশি প্রচার শুরু করে, খেলাধুলার প্রতি মানুষের এই আগ্ৰহের ফলে কেবল খেলাধুলার সংবাদ প্রচারের জন্য ইএসপিএন এবং স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের মতো ক্রীড়া প্রকাশনা সংস্থা তৈরি হয়। ক্রীড়া সাংবাদিকতার বিভিন্ন রূপ রয়েছে, যা খেলা থেকে শুরু করে খেলা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো বিশ্লেষণ এবং খেলায় অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পর্যন্ত চলে। প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের যুগে ক্রীড়া সাংবাদিকতার জায়গাগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে কারণ এটি এখন মুদ্রণ সাংবাদিকতার বিস্তৃত বিভাগের সাথে একই সমস্যার সাথে লড়াই করে চলেছে, এরা এখন সাবস্ক্রিপশনের ব্যয় কাটাতে সক্ষম হচ্ছে না। বর্তমান সহস্রাব্দে ইন্টারনেট ব্লগিং এবং টুইটের নতুন রূপগুলি ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে শেষ সীমানা পর্যন্ত ঠেলে দিয়েছে।
ক্রীড়া সাংবাদিকতা কি?
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিকাশ ঘটলে ক্রীড়া সাংবাদিকতা দিনে দিনে বিকশিত হতে পারে। ক্রীড়া বিভাগ সবসময় একটি প্রবণতা বিষয়. যেকোনো দেশের মানুষ যখন খেলাধুলাকে গুরুত্ব সহকারে নেবে, তখন ক্রীড়া সাংবাদিকতা তার অবস্থান শক্তভাবে ধরে রাখবে এবং মিডিয়া সংস্থার একটি প্রধান অংশ হয়ে উঠবে। একটি উন্নয়নশীল সরকার সর্বদা ক্রীড়া বিভাগগুলির উন্নতির জন্য কঠোর চেষ্টা করে। ১৯৯০ সাল থেকে খেলাধুলার গুরুত্ব বাড়ছে। এটি অলিম্পিক, ফুটবল বিশ্বকাপ এবং ক্রিকেট বিশ্বকাপ ইত্যাদির মাধ্যমে বিপুল আয়ের সাথে জড়িত একটি বিশ্বব্যাপী ব্যবসা। ক্রীড়া সাংবাদিকতা যেকোন সংবাদ মাধ্যম সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি খেলাধুলার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে। খেলাধুলার বিষয়বস্তু একটি খেলা হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে বলে হাস্যকরভাবে এর নামকরণ করা হয়েছে খেলনা বিভাগ। এটা সম্পদ, শক্তি এবং প্রভাব উচ্চতর হয়েছে।
ক্রীড়া সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ—-
গত দশকে খেলাধুলার মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন ঘটেছে কারণ আরও ক্রীড়া দলগুলো বিশ্লেষণগুলি ব্যবহার করে চলেছে। একটি খেলার কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্লেষণগুলো ব্যবহারের বর্ধিত সুবিধা সম্পর্কে অনেক নিবন্ধ প্রকাশিত হওয়ায় এখানে স্থানান্তরিত হওয়ার এটি একটি বড় কারণ(ক্রীড়া সাংবাদিকতায়)। যেহেতু প্রতিটি খেলায় প্রতিটি উদাহরণের তথ্য সংগ্রহ করা হয়, স্পোর্টসের ডেটা বিশ্লেষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই দলগুলি পরিচালনা করছে এমন বিশ্লেষণের নিবন্ধ প্রকাশের জন্য স্পোর্টস পাবলিকেশনগুলি এখন পরিসংখ্যান এবং গণিতে বিস্তৃত পটভূমির লোকদের নিযুক্ত করছে। খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সের গুণমান অধ্যয়নের জন্য নতুন মেট্রিক তৈরি করা হয়েছে। মেট্রিকগুলি খেলোয়াড় এবং দলগুলির র‌্যাঙ্কিং সংকলন করতেও ব্যবহৃত হয়। ফাইভ থার্টিইটির মতো ব্লগ সাইটগুলি ফুলটাইম স্পোর্টস অ্যানালিটিক সাইট হিসাবে অঙ্কিত হতে শুরু করেছিল যারা উপলব্ধ ডেটা নিয়েছিল এবং ক্রীড়া সম্পর্কিত বিশ্লেষণী ভারী নিবন্ধগুলি তৈরি করেছিল। ইএসপিএন তাদের অনুষ্ঠানগুলিতে ‘স্পোর্টস সায়েন্স’ নামে একটি বিভাগ প্রয়োগ করেছে যেখানে উন্নত বিশ্লেষণগুলি ক্ষেত্রের পারফরম্যান্সকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা পরীক্ষা করতে প্রতিটি খেলার তারকারা উপস্থিত হন। খেলাধুলায় বিশ্লেষণ ব্যবহারের কারণে অনেকেরই প্রচুর পুশব্যাক রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠিত কোচ দ্রুত বিশ্লেষণকে গুরুত্ব দেন এবং এক্ষেত্রে পেশাদার ক্রীড়া সাংবাদিক নিয়োগের অনেক উদাহরণ রয়েছে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২ জুলাই, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২ জুলাই। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব ক্রীড়া সাংবাদিক দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৩০ – জোসিয়া ওজেউড, ইংল্যান্ডের পটুয়া।
১৮৬২ – উইলিয়াম হেনরি ব্র্যাগ, নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৬৫ – জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার, আফ্রো-আমেরিকান বিজ্ঞানী, আমেরিকার দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে প্রভূত উন্নত সাধন করেন।

১৮৭৭ – হেরমান হেস, জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইজারল্যান্ডীয় কবি এবং চিত্রকর।
১৯০৬ – জার্মান-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী হান্স আলব্রেশ্‌ট বেটে জার্মানির স্ট্রাসবুর্গে জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯২২ – পিয়েরে কার্দিন বিশ্ব বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার।
১৯২৩ – নোবেল বিজয়ী পোলিশ কবি বিস্লাভা সিমবরস্কা।

১৯২৫ – কঙ্গোর স্বাধীনতা সংগ্রামী জননেতা প্যাট্রিস লুমুম্বা।

১৯৯৬ – জেরিন তাসনিম নাওমি, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতার নাম দেন আলীনগর।
১৭৭৬ – মন্টিনেন্টাল কংগ্রেস কর্তৃক আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণা।
১৭৮১ – মহিশুরের হায়দার আলী ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে পরাজিত।
১৮৮৯ – ব্রাজিলে এক রক্তপাতহীন আন্দোলনের মাধ্যমে রাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অবসান ঘটে এবং গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৯০ – আফ্রিকায় ক্রীতদাস প্রথা বিলোপ এবং মাদক ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ব্রাসেলস চুক্তি পাস।
১৯৩৭ – আটলান্টিক অতিক্রমকারী প্রথম নারী বৈমানিক আমেলিয়া ইয়ারহার্ট রহস্যজনকভাবে বিমানসহ নিখোঁজ।
১৯৬১ – সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আসামের ভাষা পরিষদ ভাষা দাবী দিবস পালন করে।
১৯৬৪ – মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত আইন স্বাক্ষর করেন।
১৯৬৭ – আদমশুমারী জালিয়াতির বিরুদ্ধে আসামের দাবী সপ্তাহ ১২ দিন দীর্ঘায়িত করা হয় এবং কাছাড় জেলার সর্বত্র পাবলিক সভা সমাবেশ করা হয় ।
১৯৭২ – ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৭৬ – দক্ষিণ ভিয়েতনাম ভেঙে যায়। সমাজতান্ত্রিক উত্তর ভিয়েতনাম সোশ্যালিস্ট রিপাবলিক অব ভিয়েতনাম ঘোষণা করে।
১৯৭৭ – পশ্চিমবঙ্গের সীমানার মধ্যেই দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলকে স্বশাসিত অঞ্চল ঘোষণার সিদ্ধান্ত হয় রাজ্য ক্যাবিনেটে।
১৯৯০ – মক্কা নগরীর নিকটে মিনার সুড়ঙ্গ দূর্ঘটনায় ১৪১৬ জন হাজী মারা যান।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

৯৩৬ – জার্মানির রাজা হেনরি দ্য ফাউলার।

১৫৬৬ – ফরাসি ভবিষ্যদ্বক্তা, জ্যোতিষী, লেখক এবং ঔষধ প্রস্তুতকারক ও চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রেতা নস্ট্রাদামুস বা মিকেল দে নস্ট্রাদাম।
১৫৯১ – বিখ্যাত ইতালীয় সংগীতজ্ঞ ভিনসেঞ্জো গ্যালিলি (বিজ্ঞানি গ্যালিলিও গ্যালিলির বাবা)।

১৭৫৭ – সিরাজ-উদ-দৌলা, বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব।
১৭৭৮ – জঁ-জাক রুসো, সুইজারল্যান্ডীয় দার্শনিক।
১৮৪৩ – হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আবিষ্কারক জার্মানীর স্যামুয়েল হ্যানিম্যান।
১৮৮১ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০তম প্রেসিডেন্ট জেমস আব্রাহাম গারফিল্ড।

১৯১২ – টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯২৯ – অমৃতলাল বসু, বাঙালি নাট্যকার ও নাট্য অভিনেতা।
১৯৪৩ – জিমন্যাস্টিক্স হল্যান্ড মহিলা দলের কোচ গেরিট ক্লীরকপারকে ১৯২৮ সালের অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জেতার অপরাধে পোল্যান্ডের সবিবর বন্দী শিবিরে হত্যা করা হয়।
১৯৬১ – আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, মার্কিন উপন্যাসিক, ছোটগল্প রচয়িতা এবং সাংবাদিক।
১৯৬৯ – প্রবোধচন্দ্র গুহ, প্রখ্যাত নাট্য প্রযোজক ও পরিচালক।

১৯৭৭ – ভ্‌লাদিমির নাবোকভ্‌, রুশ সাহিত্যিক।
১৯৮২ – চেরাবাণ্ডা রাজু, বিপ্লবী কবি, গীতিকার ও নাট্যকার যিনি তেলুগু ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন।

১৯৮৬ – নিকুঞ্জ সেন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী, রাইটার্স বিল্ডিংস অভিযানের রূপকার।
১৯৯৪ – কলম্বিয়ার ফুটবল খেলোয়াড় এসকোবা একজন অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন ।
১৯৯৯ – আমেরিকার লেখক মারিও পুজো।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১জুলাই, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১জুলাই। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক)  জাতীয় চিকিৎসক দিবস (ভারত)।
(খ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস (বাংলাদেশ)।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮১৮ – ইগনাৎস জেমেলভাইস, হাঙ্গেরীয় চিকিৎসক ও হাত ধোয়া ব্যবস্থার প্রবর্তক।

১৮৭২ – লুই ব্লেরিওট, ফরাসি পাইলট ও প্রকৌশলী।
১৮৭৯ – লিওন জউহাউক্স, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি ইউনিয়ন নেতা।

১৮৮০ – অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় কর্মী, যুগান্তর দলের তহবিল গঠনে ভারপ্রাপ্ত ছিলেন।

১৮৮২ – ভারতরত্ন বিধানচন্দ্র রায়, চিকিৎসক ও পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী।

১৮৯৯ – চার্লস লটন, ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
১৯০২ – উইলিয়াম ওয়াইলার, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯০৩ – আবুল ফজল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং রাষ্ট্রপতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা।
১৯০৭ – আতাউর রহমান খান, বিশিষ্ট রাজনীতিক, পার্লামেন্টারিয়ান।
১৯১৮ – আহমেদ দিদাত, দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক ও ধর্মবেত্ত্বা এবং ভারতীয় বংশদ্ভুত জনবক্তা ও তার্কিক।

১৯২৩ – হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯২৪ – অ্যান্টনি রামালেট্‌স, স্প্যানিশ ফুটবলার।
১৯২৬ – রবার্ট ফোগেল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯২৮ – মীর কাশেম খান, একুশে পদক বিজয়ী বাঙালি সেতারবাদক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৯২৯ – জেরাল্ড এডেলম্যান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।
১৯৩০ – মুস্তফা আক্কাদ, সিরীয়-আমেরিকান পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৩২- (ক)  ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম প্রথম সম্পাদক আনন্দ বাগচী।
(খ) এম এন আখতার, বাংলাদেশি গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী।

১৯৩৮ – হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, বিখ্যাত ভারতীয় বাঁশী বাদক।
১৯৪০ – সৈয়দ আব্দুল হাদী, বাংলাদেশি সঙ্গীত শিল্পী।
১৯৪১ – অ্যালফ্রেড গুডম্যান গিলম্যান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ফার্মাকোলজিস্ট ও প্রাণরসায়নবিদ।
১৯৪৭ – আবদুল কুদ্দুস মাখন, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য।
১৯৪৮ – ডলি আনোয়ার, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৫৩ – লরেন্স গঞ্জি, মল্টিয় আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১২ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫৩ – জাডরানকা কসর, ক্রোয়েশীয় সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ও ৯ম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫৫ – লি কেকিয়াং, চীনের অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিবিদ।
১৯৬১ – (ক)  কার্ল লুইস, মার্কিন ক্রীড়াবিদ।
(খ)প্রিন্সেস ডায়ানা, যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী।
১৯৬৮ – ওস্তাদ রশিদ খান, রামপুর ঘরানার হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী।
১৯৭৬ – রুড ভ্যান নিস্টেল্‌রয়ি, ওলন্দাজ ফুটবলার।
১৯৮৬ – আগনেজ মো, ইন্দোনেশীয় গায়ক, গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী।
২০০১ – চুজেন জেকবস, আমেরিকান বিনোদনকারী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৩৫ – উইলিয়াম অ্যাডাম কর্তৃক বাংলাদেশের প্রথম শিক্ষাবিষয়ক রিপোর্ট (অ্যাডাম রিপোর্ট) পেশ করা হয়।
১৮৪৭ – মার্কিন ডাক বিভাগ প্রথম ডাক টিকিট চালু করে।
১৮৬২ – ভারতের প্রাচীনতম হাইকোর্ট কলকাতা উচ্চ আদালত বা কলকাতা হাইকোর্ট স্থাপিত হয়।
১৮৬২ – রাশিয়ার মস্কোতে রাষ্ট্রীয় গণগ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৬৩ – আমেরিকায় গৃহযুদ্ধ (গ্যাটিসবার্গ যুদ্ধ) শুরু হয়।
১৮৬৭ – কানাডা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৮৭৯ – অবিভক্ত ভারতে প্রথম পোস্টকার্ড চালু হয়।
১৯০৬ – কানাড়া ব্যাঙ্ক ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৮ – আন্তর্জাতিক আতান্তর সংকেত এসওএস চালু হয়।
১৯২১ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২১ – কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২১ – নদীয়ার বড়জাগুলী তে জমিদার গোপাল সিংহের হাত ধরে বড়জাগুলী গোপাল একাডেমি স্কুল প্রতিষ্ঠা হয় , এটি নদীয়া জেলার সবচেয়ে প্রাচীন উচ্চ বিদ্যালয় ।
১৯২৯ – স্যার আবদুর রহিমকে সভাপতি, মওলানা আকরম খাঁকে সম্পাদক এবং শেরেবাংলা একে ফজলুল হককে সহ-সভাপতি করে নিখিল বঙ্গ প্রজা সমিতি গঠিত হয়।
১৯৪৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতা আইন পাস করা হয়।
১৯৫৫ – ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া তথা ভারতীয় স্টেট ব্যাংক নামে পরিচিত হয়।
১৯৬০ – ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়া ও ইতালি নিয়ন্ত্রিত সোমালিয়ার একীভূত হওয়ার মধ্য দিয়ে আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৬২ – আফ্রিকার ছোট্ট দেশ বুরুন্ডি ও রুয়ান্ডা স্বাধীনতা অর্জন করে।
১৯৬৬ – কানাডায় প্রথম রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচারিত হয়।
১৯৬৭ – কানাডা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ – বাংলাদেশে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) চালু হয়।
১৯৯৭ – ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান সংগ্রহালয় ও বিজ্ঞানকেন্দ্রিক বিনোদন উদ্যান- সায়েন্স সিটি কলকাতা এর উদ্বোধন হয়।
২০০২ – নেদারল্যান্ডসের হ্যাগে বিশ্বের প্রথম স্থায়ী আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতের কার্যক্রম শুরু।
২০১৬ – বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশানের একটি রেস্তোরায় আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড দ্য লেভান্ট) কর্তৃক আক্রমণ হয়।
২০১৭ – ভারতে পরোক্ষ কর পণ্য-পরিষেবা কর পদ্ধতি চালু হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৯৬ – হ্যারিয়েট বিচার স্টো, মার্কিন লেখিকা এবং দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী।
১৯৬২ – ভারতরত্ন বিধানচন্দ্র রায়, ভারতীয় চিকিৎসক, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী।
১৯৬৫ – ওয়ালি হ্যামন্ড, ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক।
১৯৭১ – উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ, অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৭১ – লিয়ারি কনস্ট্যান্টাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড়, আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৭৪ – হুয়ান পেরোন, আর্জেন্টিনা ররাষ্ট্রপতি।
১৯৯৬ – মার্গো হেমিংওয়ে, মার্কিন ফ্যাশন মডেল ও অভিনেত্রী।

১৯৯৭ – রবার্ট মিচাম, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, লেখক, কবি, সুরকার ও গায়ক।
১৯৯৯ – সিলভিয়া সিডনি, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০০০ – ওয়াল্টার ম্যাথাউ, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।
২০০১ – নিকোলাই গেন্নাদিয়েভিচ বাসভ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ।
২০০৪ – মার্লোন ব্রান্ডো, অস্কার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।
২০০৪ – পিটার বার্নেস, ইংরেজ লেখক।
২০০৬ – ফ্রেড ট্রুম্যান, ইংরেজ ক্রিকেটার, লেখক এবং ধারাভাষ্যকার।
২০০৬ – রয়ুটারো হাশিমটো, জাপানি রাজনীতিবিদ ও ৫৩ তম প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ – কার্ল মালডেন, মার্কিন অভিনেতা।
২০১৫ – নিকোলাস ওয়িন্টন, ইংরেজ লেফটেন্যান্ট ও মানবিক।
২০২০ – লতিফুর রহমান, বাংলাদেশি শিল্পপতি ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ জাতীয় চিকিৎসক দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সমাজে তাদের আবাদান অনস্বীকার্য। ঈশ্বরের পরে আমরা ডাক্তারদের স্থান দিয়ে থাকি। ডাক্তাররা দেশের এমন এক সৈনিক, যারা সীমান্তে যুদ্ধ করে না কিন্তু জীবন বাঁচাতে এবং জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে রেখে মানুষের আয়ু বাড়াতে নিবেদিতপ্রাণ কাজ করে।।।

জাতীয় চিকিৎসক দিবস হল এমন একটি দিন যা ব্যক্তিগত জীবন ও সম্প্রদায়ের জন্য চিকিৎসকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য উদযাপিত হয়। কিছু দেশে দিনটিকে ছুটির দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তবে দিনটিতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মান জানাতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জাতীয় ডাক্তার দিবসের এই বছরের থিম হল “সেলিব্রেটিং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড হিলিং হ্যান্ডস”। এই বছরের থিমের মাধ্যমে, আমরা সেই চিকিৎসক পেশাদারদের উদযাপন করতে চাই যারা মহামারীর কারণে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
ভারতে জাতীয় চিকিৎসক দিবসের ইতিহাস—
ভারতে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের সম্মানে ১৯৯১ সালের ০১শে জুলাই প্রথম জাতীয় ডাক্তার দিবস পালন করা হয়েছিল। ডাঃ বি.সি. রয়, ১৮৮২ সালের ০১শে জুলাই জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬২ সালের ০১ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন, একটি অদ্ভুত কাকতালীয় ঘটনা।
ডঃ বিধান চন্দ্র রায় একজন সুপরিচিত ডাক্তার, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সমাজসেবক এবং রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ১৯৮৪ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও ছিলেন। ০৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৬১ তারিখে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “ভারত রত্ন” লাভ করেন। তিনি মানুষের জন্য তার জীবন দিয়েছেন, অনেক ব্যক্তির চিকিৎসা করেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত চিকিৎসকও ছিলেন।
১৯৭৬ সালে, B.C. চিকিৎসা, বিজ্ঞান, পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, দর্শন, শিল্প ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে কাজ করা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য তাঁর স্মরণে রায় জাতীয় পুরস্কারও প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাতীয় চিকিৎসক দিবসের তাৎপর্য—
সমাজে চিকিৎসকদের ভূমিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে এবং উপলব্ধি করতে ভারতে জাতীয় ডাক্তার দিবস পালিত হয়েছে। এটি সাধারণ জনগণকে ডাক্তারদের দ্বারা রোগীর যত্নের প্রতি গুরুত্ব, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং দায়িত্বগুলি জানতে সহায়তা করে।
এই বিশেষ দিনে, প্রত্যেক ভারতীয়ের দক্ষ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গর্ব বোধ করা উচিত যারা তাদের দেশের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন এবং চিকিৎসা জরুরী পরিস্থিতিতে তাদের প্রচেষ্টা ও অবদানের জন্য কৃতজ্ঞ হন।
প্রতিটি ভারতীয় নাগরিককে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাতে হবে এবং চিকিৎসা জরুরী অবস্থা এবং মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সাধারণ জনগণকে সহায়তা করার জন্য প্রতিটি ডাক্তারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতে হবে। COVID-19 মহামারী চলাকালীন চিকিৎসা কর্মীদের (ডাক্তার এবং নার্স) বীরত্বপূর্ণ প্রচেষ্টা অক্ষয়, যদিও আজ বিশ্ব করোনাভাইরাস মুক্ত।
ডাক্তারদের গুরুত্ব ও ভূমিকা—
সমাজে ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে; তারা রোগীদের সুস্থতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করে, রোগ বা অবস্থা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ব্যাপকভাবে বোঝে এবং রোগীদের চিকিৎসার অবস্থার চিকিৎসা এবং আয়ু বাড়ানোর জন্য তাদের জ্ঞানকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে।
এমন অনেক ঘটনায় যেখানে রোগী ও তাদের স্বজনদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসকরা হাল ছাড়েননি। সাধারণ জনগণের জন্য তাদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। তাদের অবদান ও অক্লান্ত পরিশ্রম কেউ ভুলতে পারবে না।
ইতিহাস—-
প্রথম ডাক্তার দিবস পালন করা হয়েছিল ২৮ মার্চ, ১৯৩৩, উইন্ডার, জর্জিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এই প্রথম পালনের মধ্যে ছিল চিকিত্সক এবং তাদের স্ত্রীদের কাছে কার্ড পাঠানো, ডক্টর লং সহ মৃত ডাক্তারদের কবরে ফুল দেওয়া এবং ডক্টর এবং মিসেস উইলিয়াম টি. র্যান্ডলফের বাড়িতে একটি আনুষ্ঠানিক নৈশভোজ। ব্যারো কাউন্টি অ্যালায়েন্স চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিসেস অ্যালমন্ডের প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরে, ব্যারো কাউন্টি অ্যালায়েন্সের সভাপতি মিসেস ই.আর. হ্যারিস অফ উইন্ডার দ্বারা ১৯৩৩ সালে জর্জিয়া স্টেট মেডিকেল অ্যালায়েন্সের কাছে পরিকল্পনাটি উপস্থাপন করা হয়েছিল। ১০ মে, ১৯৩৪-এ, অগাস্টা, জর্জিয়ার বার্ষিক রাষ্ট্রীয় সভায় প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছিল। সাউদার্ন মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের উইমেনস অ্যালায়েন্সের কাছে প্রস্তাবটি পেশ করা হয়েছিল তার ২৯তম বার্ষিক সভায় সেন্ট লুইস, মিসৌরিতে, ১৯-২২ নভেম্বর, ১৯৩৫, অ্যালায়েন্স প্রেসিডেন্ট মিসেস জে বোনার হোয়াইট দ্বারা। সেই থেকে, ডাক্তার দিবস সাউদার্ন মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অ্যালায়েন্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং সমার্থক হয়ে উঠেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদ পাস করেছে S.J. RES #৩৬৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১০১তম কংগ্রেসের সময়, যা রাষ্ট্রপতি বুশ ৩০ অক্টোবর, ১৯৯০ তারিখে স্বাক্ষর করেছিলেন (পাবলিক ল ১০১-৪৭৩ তৈরি করে), ৩০ মার্চ পালিত হবে এমন একটি জাতীয় ছুটি হিসাবে ডাক্তার দিবসকে মনোনীত করে।
ডাঃ মেরিয়ন মাস ডঃ কিম্বার্লি জ্যাকসন এবং ডাঃ ক্রিস্টিনা ল্যাং এর সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চিকিৎসক দিবসকে চিকিৎসক সপ্তাহে পরিবর্তিত করার জন্য আবেদন করেছেন। এটি মার্চ ২০১৭ এ গৃহীত হয়েছিল।
২০১৭ সালে ফিজিশিয়ান ওয়ার্কিং টুগেদার (PWT, ডক্টর কিম্বার্লি জ্যাকসন প্রতিষ্ঠিত) কেভিনএমডি-তে আয়োজিত জাতীয় চিকিৎসক সপ্তাহ উদযাপনের জন্য নিবন্ধের একটি সিরিজ স্পনসর করেছে। ২০১৮ সালে PWT ওপেনক্সমেডের সাথে চিকিৎসকের সুস্থতা এবং অ্যাডভোকেসির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে একটি বিনামূল্যের অনলাইন কনফারেন্স স্পনসর করেছে। ২০১৯ সালে, PWT এবং Openxmed মেডিকেল ছাত্র এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম স্পনসর করেছে। সপ্তাহব্যাপী ইভেন্টটি চিকিৎসক সম্প্রদায়কে সমর্থন এবং সমর্থন করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
বিভিন্ন দেশে উদযাপন—
তবে জাতীয় চিকিৎসক দিবস পালনের তারিখ বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে পালিত হয়। এক ই তারিখে সকল দেশে পালিত হয় না। যেমন—
ব্রাজিল–
ব্রাজিলে, জাতীয় ডাক্তার দিবস ১৮ অক্টোবর ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়, যেদিন ক্যাথলিক চার্চ সেন্ট লুকের জন্মদিন উদযাপন করে। গির্জার ঐতিহ্য অনুসারে প্রেরিত এবং ধর্মপ্রচারক সেন্ট লুক একজন ডাক্তার ছিলেন, যেমনটি নিউ টেস্টামেন্টে লেখা আছে (কলোসিয়ান ৪:১৪)।
কানাডা—
জাতীয় চিকিৎসক দিবস ১ মে কানাডায় পালিত হয়। তারিখটি কানাডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা কানাডায় অনুশীলন করা প্রথম মহিলা চিকিৎসক ডঃ এমিলি স্টো-এর স্বীকৃতিতে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়া—
অস্ট্রেলিয়াতে, বিভিন্ন তারিখে জাতীয় ডাক্তার দিবস স্বীকৃত হতে পারে, সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ করা হয় ৩০ শে মার্চ।
চীন—
চাইনিজ ডক্টরস ডে বার্ষিক ১৯ আগস্ট চীনে একটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। তারিখটি গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং কমিশন (পিআরসি) দ্বারা ২০১৬ সালের চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য ও সুস্থতা সম্মেলনে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ২০ নভেম্বর, ২০১৭ পিআরসি-এর স্টেট কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। এর তাৎপর্য চীনা ডাক্তার দিবস হল তাদের সম্প্রদায় এবং সমাজে চীনা ডাক্তারদের মহান অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া, স্বাস্থ্যকর্মীদের ইতিবাচকভাবে ‘জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা, আহতদের নিরাময় এবং মৃত ব্যক্তিদের বাঁচানোর, অবদান রাখতে ইচ্ছুক হওয়া এবং ভালোবাসা ছাড়াই’ মহৎ মনোভাব পোষণ করতে উত্সাহিত করা।
তুরস্ক—
তুরস্কে, ১৯১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১৪ মার্চ মেডিসিন দিবস হিসেবে পালিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র—
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, জাতীয় চিকিৎসক দিবস হল এমন একটি দিন যেখানে চিকিৎসকদের দেশের প্রতি বার্ষিক পরিষেবা স্বীকৃত হয়। ডক্টর চার্লস বি. অ্যালমন্ডের স্ত্রী ইউডোরা ব্রাউন অ্যালমন্ড থেকে ধারণাটি এসেছে এবং যে তারিখটি বেছে নেওয়া হয়েছে সেটি ছিল অস্ত্রোপচারে সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়ার প্রথম ব্যবহারের বার্ষিকী।
নেপাল—
নেপালও ২০ ফাল্গুন (৪ মার্চ) নেপালী তারিখে নেপালী জাতীয় ডাক্তার দিবস উদযাপন করে। নেপাল মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেপাল প্রতি বছর এই দিবসের আয়োজন করে আসছে। ডাক্তার-রোগীর যোগাযোগ, ক্লিনিকাল চিকিৎসক এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক স্বাস্থ্য প্রচার এবং যত্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
এই ভাবে আরো দেশ গুলিতে ভিন্ন তারিখে পালন করা হয় জতিয় চিকিৎসক দিবস। তবে যে দেশে যে তারিখেই পালন হোক না কেনো, এই দিনটি পলের মূল উদ্দেশ্য ই হল ডাক্তারদের সম্মান জানানো।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ৩০ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ৩০ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস।(ভারত – পশ্চিমবঙ্গ)
(খ) আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্যপাঠ দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯২৬ – পল বার্গ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান প্রাণরসায়নী।

১৯৩৩ – এম. জে. কে. স্মিথ, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৩৯ – হোসে এমিলিও পাচেকো, মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের শীর্ষসারির কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৪১ – পিটার পোলক, সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৪৩ – (ক)  সৈয়দ আখতার মির্জা,ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার, চলচিত্র পরিচালক।
(খ) আহমদ ছফা, বাংলাদেশী লেখক, চিন্তক ও ঔপন্যাসিক।
১৯৫৪ – সেরযহ সারগসয়ান, আর্মেনিয় রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট।
১৯৬৩ – য়ংওইয়ে মাল্মস্টেন, সুইডিশ গিটারিষ্ট ও গীতিকার।

১৯৬৪ – মার্ক ওয়াটার্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৬৫ – গ্যারি প্যালিস্টার, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৬৬ – মাইক টাইসন, মার্কিন পেশাদার বক্সিং খেলোয়াড়।

১৯৬৯ – সনাথ জয়াসুরিয়া, শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ।

১৯৭৭ – জুস্টো ভিলার, প্যারাগুয়ের ফুটবলার।
১৯৭৮ – লুসিয়ানা লেওন লুসি, ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে এবং অসংখ্য তরুণের মনে ঝড় তোলেন।
১৯৮০ – রায়ান টেন ডেসকাট, নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার।
১৯৮৩ – শেরিল কোল, ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, ড্যন্সার ও মডেল।

১৯৮৫ – মাইকেল ফেলপস, মার্কিন সাঁতারু এবং ২৩ টি অলিম্পিক স্বর্ণ পদক বিজয়ী।
১৯৮৬ – ফ্রেডয় গুয়ারিন, কলম্বিয়ান ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৭ – বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে ইংরেজ অধিকৃত কোলকাতা দখল করেন।
১৭৫৭ – নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা স্বীয় পত্নী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে রাজমহলে রাত কাটাতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন।
১৭৭২ – বাংলাদেশের রংপুরে ফকির মজনু শাহ জেহাদ শুরু করেন।
১৮৫৫ – ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
১৮৮৬ – ন্যায়বান গভরমেন্ট দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা কোর্ট অব ওয়ার্ডসের শাষনাধীনে গ্রহণ করে বাবু পিতাম্বর বন্ধ্যোপাধ্যায়কে অস্থায়ী ম্যানেজার নির্ধারণ করে দৌলতখায় প্রেরণ করে।
১৮৯৪ – কোরিয়া চীন থেকে স্বাধীনতা পেয়ে জাপানের সহযোগিতা কামনা করে।
১৮৯৪ – লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
১৯০৮ – রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কায় এক প্রচন্ড শক্তির বিস্ফোরন ঘটে।
১৯১৬ – রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২০ – আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজীর নেতৃত্বে ইরাকের জনগণ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।
১৯৩৪ – জার্মানিতে ফ্যাসিবাদী হিটলারের বিরোধীতা করায় প্রায় এক হাজার লোককে হত্যা করা হয়।
১৯৩৭ – বিশ্বে প্রথম আপৎকালীন টেলিফোন নম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয় লণ্ডনে।
১৯৪১ – নাজি গ্রুপের অনুসারীরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৫৭ – আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান, মাওলানা ভাসানী দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন।
১৯৬০ – কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা জায়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৬৯ – নাইজেরীয় সরকার বায়াফ্রায় পাঠানো রেডক্রসের সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেন।
১৯৭১ – ‘নিউইয়র্ক টাইমস’- এর প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৭১ – মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে নীলমনিগঞ্জ, হালসা ও আলমডাঙ্গা রেল লাইন বিষ্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
১৯৭৪ – বিশিষ্ট রাজনীতিক ভাষাসৈনিক জাতীয় লীগ প্রধান জনাব অলি আহাদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।
১৯৭৯ – সুদানের জেনারেল ওমর আল বাশীর অভ্যন্তরীন সংকটের সম্মুখীন সুদানের সাদেক আল মাহদীর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
১৯৯১ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে।
১৯৯৩ – ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে লাখো জনতা অযোধ্যা অভিমুখে প্রতীকি লংমার্চ শুরু করেন।
১৯৯৭ – বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করা হয়।
২০০০ – সমাপ্য অর্থ বত্সরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় ৷
২০০২ – বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয় বিএনপি জোট সরকার৷

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৬০ – উইলিয়াম অউগট্রেড, ইংরেজ মন্ত্রী ও গণিতবিদ।
১৭১৭ – নবাব মুর্শিদ কুলি খান, বাংলার প্রথম নবাব।
১৮৩৯ – দ্বিতীয় মাহমুদ খাঁ, তুর্কি সুলতান।
১৯১৭ – দাদাভাই নওরোজি, বৃটিশ পার্লামেন্টের প্রথম ভারতীয় সদস্য।
১৯১৯ – জন উইলিয়াম স্ট্রাট ৩য় ব্যারন রেলি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৩৪ – কার্ট ভন সচলেইচের, জার্মান জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ২৩ তম চ্যান্সেলর।

১৯৫৯ – খ্যাতনামা বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ী।

১৯৬২ – প্রমীলা নজরুল, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের পত্নী।

১৯৭১ – ভ্লাডিস্লাভ ভোল্কোভ, রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

১৯৭৪ – এ্যালবার্ট কিং, মার্টিন লুথার কিং এর মা।
২০০১ – চ্যাট অ্যাটকিন্স, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটার ও প্রযোজক।
২০০৩ – বাডি হাকেট, আমেরিকান অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।
২০০৯ – পিনা বাউসচ্, জার্মান ড্যন্সার, কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক।
২০১৪ – পল মাযুরস্কয়, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বীরভূমের রাঙা মাটির রাঙ্গা-পথে সিধু-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ।।।।

উনিশ শতকে বঙ্গীয় ‘রেনেসান্স’ বা রেনেসাঁ যে সময়ে প্রকৃত জাতিয়তাবাদের ভিত্তি রচনা করতে ব্যর্থ হয়েছিল ঠিক সেই সময়েই ইংরেজ শাসকের অপশাসন ও জমিদার শ্রেণী আর মহাজনদের শোষণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র কৃষক- সংগ্রাম সমগ্র জাতির সামনে এক নতুন সংগ্রামী ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছিল যাকে ভারতের বৈপ্লবিক জাতিয়তাবাদের ভিত্তিভূমি বলা চলে।

ব্রিটিশ শাসনকালে যে সমস্ত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল তাদের মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ বা খেরওয়ারি হুল বিদ্রোহ।
১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ ও ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহ – দুটোকেই ভারতের প্রথম ঐক্যবদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা চলে। এই উভয় সংগ্রামই শুরু হয়েছিল ইংরেজ শাসনের কবল থেকে, শোষণ থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ধ্বনি নিয়ে।
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রকৃত কারণ ছিল জমির উপর একছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার অকাঙ্খা এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল স্বাধীনতা স্পৃহা- যার ফলে তারা ধ্বনি তুলেছিল – “আমাদের নিজ সম্পত্তির অধীনে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য চাই।”

এই প্রসঙ্গে ওল্ডহাম সাহেব মন্তব্য করেছিলেন – “পুলিশ ও মহাজনের অত্যাচারের স্মৃতি যাহাদের দেশপ্রেম জাগাইয়া তুলিয়াছিল সেই আন্দোলন তাহাদের সকলকেই আকৃষ্ট করিল,কিন্তু যে মূল ভাবধারাকে কার্যে পরিণত করিবার চেষ্টা হইতেছিল তাহা ছিল সাঁওতাল অঞ্চল ও সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার চিন্তা।”
সাঁওতালী ভাষার বিদ্রোহকে বলা হয় ‘হুল’,সুতরাং সাঁওতাল বিদ্রোহ ‘সাঁওতাল হুল’ নামেই বেশি পরিচিত । ১৮৫৪ সাল থেকেই এই বিদ্রোহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উঠতে আরম্ভ করেছিল,তারপর ১৮৫৫ সালে সেই বিদ্রোহ পরিপূর্ণ ভাবে আত্মপ্রকাশ করে দাবাগ্নির মতো চতুর্দিকে বিস্তৃত হলো।শত শত বছরের প্রায় বিচ্ছিন্ন সমাজ জীবনের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাঁওতালরা পথ খোঁজে মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে। জমির অধিকার,জঙ্গলের অধিকার,ফসলের অধিকার,জমিদার ও মহাজনদের শোষণমুক্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন যেন এই প্রথম ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে ওঠে তারা দেখতে পায়।

সাঁওতালরা তাদের সমাজের দুর্দশার কথা গানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কোম্পানির কুশাসনের স্বরূপ তুলে ধরেছিল । যেমন –
“নেরা নিয়া নুরু নিয়া
ডিণ্ডা নিয়া ভিটা নিয়া
হায়রে হায়রে! মাপাঃ গপচদ,
নুরিচ নাড়াঁড় গাই কাডা নাচেল লৌগিৎ পাচেল লৌগিৎ
সেদায় লেকা বেতাবেতেৎ ঞাম রুওয়ৌড় লৌগিৎ
তবে দ বোন লুনাগেয়া হো।”
এর অর্থ হচ্ছে – “স্ত্রীপুত্রের জন্য
জমি জায়গা বাস্তুভিটার জন্য
হায় হায় ! এ মারামারি কাটাকাটি
গো-মহিষ-লাঙ্গল ধন-সম্পত্তির জন্য
পূর্বের মত আবার ফিরে পাবার জন্য
আমরা বিদ্রোহ করবো।”
গানটির প্রতিটি লাইনে প্রতিটি শব্দে শোষণ আর উৎপীড়নে গুমড়ে ওঠা সাঁওতালদের মনের গোপন কথা প্রকাশ পেয়েছিল। সেদিন এই প্রকার আরও অনেক গান তারা রচনা করেছিল সংগ্রাম করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
এরূপ আরো একটা গান এখানে তুলে ধরা হলে –
“আদ বাংবন পৌচঃ সিধু আদ বাংবন থিরঃ,
বাইরি ঞেলতে লৌড়হাই ঘন বাংবন ঞিরঃ।
বহঃক্ ঞুরুঃ রেহঁ সিধু মায়াম লিঙ্গি রেহঁ,
বাংবন পাচঃ লৌড়হাই আবন দেবন সহরঃ।।
এই গানের অর্থ হচ্ছে –
“আর আমরা পিছু হঠব না সিধু আর চুপ থাকবে না,
শত্রু দেখে লড়াই থেকে পালাব না,
মাথা উড়ে গেলেও সিধুর রক্ত বইতে থাকলেও,
আমরা আর পিছু হটবনা,লড়াই মুখো হব।।”

এই সব কবিতা বা গানের মধ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে আদিবাসী সহজ সরল সাঁওতালরা যুগ যুগ ধরে শোষণ-অত্যাচারের শিকার হওয়ার জন্য তারা বাধ্য হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নিয়েছিল। এভাবে ইংরেজ শাসক,জমিদার ও মহাজনদের শোষন -অত্যাচার-অবিচার থেকেই এই বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিদ্রোহের মধ্য থেকেই জন্ম নিয়েছিল নেতৃত্ব। সাঁওতাল পরগনার ধূমায়িত বিদ্রোহের মধ্য থেকে বার হয়ে এলেন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বা হূল বিদ্রোহের নায়ক সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব নামে চার ভাই। এছাড়া এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন কালো প্রামানিক, ডোমন মাঝি,বীরসিংহ মাঝি, গোক্ক ইত্যাদি সাওতাঁল আদিবাসী ।
১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন এই সব নেতাদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল ভাগনাডিহির মাঠে সমবেত হয়েছিল। তাদের মধ্যে রটনা করে দেওয়া হয়েছিল যে , সিধু, কানু, দৈব নির্দেশপ্রাপ্ত। বিভিন্ন এলাকার কামার, কুমোর, তাঁতি, ছুতোর প্রভৃতি নিম্নশ্রেণির মানুষও এই বিদ্রোহে যোগদান করেছিল, শোনা যায়, দুই লক্ষ সাঁওতাল এই বিদ্রোহে সামিল হয়েছিল,ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সাঁওতালরা গেরিলা পদ্ধতিতে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে জমিদার ও মহাজনদের আক্রমণ করে। এই বিদ্রোহীরা এক সময় রাজমহল ভাগলপুরের মধ্যে রেল ও ডাক যোগাযোগের ব্যবস্থা বিছিন্ন করে দেয়,তাদের হাতে শতাধিক ইংরেজ নিহত হয়।”ক্যলকাটা রিভিউ” পত্রিকা থেকে জানা যায় যে, একজন ইংরেজ সেনাপতি মেজর বরোজ সাঁওতালদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হন।

এই বিদ্রোহের সংবাদ বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতো সমস্ত শাসকগোষ্ঠীকে স্তম্ভিত করে দেয়। “ক্যালকাটা রিভিউ” পত্রিকার একজন ইংরেজ মন্তব্য করেছিলেন – “এই রূপ আর কোনো অদ্ভুত ঘটনা ইংরেজের স্মরণকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সমৃদ্ধিকে বিপদগ্রস্ত করিয়া তোলে নাই।”
এই সংবাদে সেনাপতি মেজর বরোজ ভাগলপুরের দিকে সাঁওতাল বাহিনীর গতিরোধ করেন। ১৮৫৫ সালের ১৬ই আগষ্ট ভাগলপুর জেলায় পীরপাইতির ময়দানে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। শোনা যায়, মেজর বরোজের বাহিনী চূড়ান্তভাবে অপদস্থ ও পরাজিত হয়, এতে একজন ইংরেজ অফিসারসহ কয়েক জন ইংরেজ সৈন্য এবং বেশকিছু সাওতাঁল বিদ্রোহী নিহত হয়। ভাগলপুরের কমিশনার এই যুদ্ধের একটা বিবরণ দিয়েছিলেন – “বিদ্রোহীরা নির্ভিক চিত্তে প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াছিল।তাহাদের যুদ্ধাস্ত্র কেবল তীর ধনুক আর কুঠার। তাহারা মাটির উপর বসিয়া পায়ের দ্বারা ধনুক হইতে তীর ছুড়িতে অভ্যস্ত।”
এক সময়ে বীরভূম জেলার সমগ্র উত্তর পশ্চিমাংশে বিদ্রোহীদের দখলভুক্ত হয়েছিল। সরকারের আত্মসমর্পণ নির্দেশকে বিদ্রোহীরা ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেছিল। সিধু ও কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বাহিনী পাকুড়ে পৌঁছায় এবং তিনদিন ও তিনরাত্রি পাকুড়কে অবরোধ করে রাখে। এভাবে তারা বীরভূম থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত এক বিরাট ভূখন্ডকে অধিকার করে। ডাক-তার ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট প্রভৃতি সমস্ত রকমের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিছিন্ন করে দেয়।
কিন্তু কয়েকদিন পরেই ইংরেজশাসক চরমপন্থা গ্রহণ করে সামরিক আইন জারি করে অবাধে লুণ্ঠন, নরহত্যা ও ধ্বংস সাধন করে মানুষের মনে এক বিভীষিকার সৃষ্টি করে। তখন সাঁওতালরা বাধ্য হয়ে পশ্চাৎপদ হতে থাকে।জনৈক ইংরেজ সেনাপতি নিজেই স্বীকার করেছিলেন – “আমরা যুদ্ধ করিনি, করেছিলাম গণহত্যা।”

১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একদল সাঁওতাল হতাশাগ্রস্ত হয়ে সিধুর গোপন আশ্রয় স্থল জানিয়ে দেয়। তাই ইংরেজরা সহজেই সিধুকে গ্রেপ্তার করে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এভাবে পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বীরসন্তান সিধু ইংরেজ শত্রুর হাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন। এর কিছুদিন পরে আর এক নায়ক কানু বীরভূমের ওপারবাঁধের নিকটে সশস্ত্র পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।তাকেও ইংরেজ বাহিনী নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। প্রকৃতপক্ষে,এই সাওতাঁল বিদ্রোহে অন্ততপক্ষে ২৫ হাজার সাঁওতাল নিহত হয়েছিলেন ।এভাবে বীরভূম থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত বিশাল অঞ্চল সাঁওতালদের রক্তস্রোতে রঞ্জিত হয়েছিল।
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রচন্ড আঘাত থেকে ইংরেজ সরকার উপলব্ধি করে যে, যারা অনায়াসে প্রাণ দিতে পারে, যারা আত্মসমর্পণ করতে চায় না তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মিশ্রণের ফলে সারাভারতে আরও বিদ্রোহের বীজ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তারা কৌশল করে সাঁওতালদের জনজীবন থেকে বিছিন্ন করার উদ্দেশ্যে সাঁওতাল পরগণাকে ‘সাঁওতাল ডিহি পরগণা’ নামে একটা পৃথক পরগণা গঠন করে।
দুঃখের বিষয় মৃত্যুভয়হীন বীরত্ব ও শৌর্য থাকা সত্ত্বেও সেদিন সাঁওতাল বিদ্রোহের ভবিষ্যৎ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, কারন ভারতের অন্য অঞ্চলসমূহ এই বিদ্রোহের সময়েও ছিল শান্ত, নির্লিপ্ত,ও নিস্তরঙ্গ । তাই ইংরেজ শাসক এই বিদ্রোহকে সহজেই দমন করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও একথা বলা যেতে পারে শুধুমাত্র তীর-ধনুক-টাঙ্গিকে সম্বল করে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার সাওতাঁল আধুনিক কামান-বন্দুক সজ্জিত পনের হাজার সুশিক্ষিত সেনার বিরুদ্ধে বীরবিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা করে সমগ্র ভারতবাসীর সম্মুখে যে পথনির্দেশ করেছিল, সেই পথ ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ভারতের মুক্তি সংগ্রামের সুপ্রশস্ত রাজপথে পরিণত হয়েছিল আর সেই রাজপথই পরবর্তীকালে বিংশ শতাব্দীর মধ্য দিয়ে প্রসারিত হলো। ভারতের এই অশিক্ষিত দরিদ্র আদিবাসী সাঁওতাল তথা কৃষক সমাজ সেই রাজপথেরই অভিযাত্রী- তাঁরাই হচ্ছেন ভারত মাতার মহান বীর সন্তান, বীরযোদ্ধা – তাই আমরা তাঁদেরই জয়গান গাইবো।

কলমে : প্রশান্ত কুমার দাস।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৯ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৯ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৪ – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
১৮৮৩ – চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক ।

১৮৯৩ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয় বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৯০০ – অঁতোয়ান দ্য স্যাঁত-এগজ্যুপেরি, একজন ফরাসি লেখক, কবি, অভিজাত, সাংবাদিক এবং বৈমানিক।

১৯০৯ – শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী।
১৯২০ – ফরাসি লেখক ফ্রেদরিক দার্দ ।
১৯২৫ – জর্জো নেপোলিতানো, ইতালির নেপলসে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯২৬ – জাবের আল-আহমেদ আল-সাবাহ, আল-সাবা রাজবংশের স্বাধীনতা পরবর্তী কুয়েতে তৃতীয় আমির।

১৯৩৬ – বুদ্ধদেব গুহ, ভারতীয় বাঙালি লেখক।

১৯৩৬ – পি কে আয়েঙ্গার, ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব,ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের অধিকর্তা ও ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

১৯৩৮ – অজিত রায়, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক।
১৯৩৯ – অ্যালেন কনলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – গ্যারি বিউসি, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৪৫ – চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – গুরবানগুলি বেরদিমুহামেদু – একজন তুর্কমেনিস্তানের রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – লেসলি ব্রাউন, মার্কিন প্রিমা বেলেরিনা ও অভিনেত্রী।
১৯৬২ – অ্যামান্ডা ডনোহো, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৮০ – বিখ্যাত ইংরেজ গায়িকা ক্যাথেরিন জেনকিনস।
১৯৮৫ – ইয়ান ওয়ার্ডল, স্কটিশ ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – এ্যাডওয়ার্ড মায়া, রোমানীয় গায়ক ও ডিজে।
১৯৮৮ – এভার বানেগা, আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯৪ – ক্যামিলা মেন্ডেস, মার্কিন অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬১৩ – শেক্সপিয়ারের গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়।
১৭৫৭ – লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন।
১৮০৭ – রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে অ্যাডমিরাল দিমিত্রি সেনিয়াভিন অটোমান নৌবহর ধ্বংস করেন।
১৮১৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ট্রেড ইউনিয়ন আইন পাস।
১৮৬৮ – প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ – নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান।
১৯১৩ – বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়।
১৯৪৬ – বিকিনিতে আমেরিকার প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা।
১৯৬০ – জায়ারের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৬৬ – মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে।
১৯৭৬ – ব্রিটেনের কাছ থেকে সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৯৯২ – আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৫ – র‍্যামন লাল, লেখক ও দার্শনিক।

১৮৭৩ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত, উনিশ শতকের বাঙালি কবি।
১৮৮৬ – এডলফ মন্টিসেলি, ফরাসি চিত্রশিল্পী ।

১৮৯৫ – টমাস হেনরি হাক্সলি, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অজ্ঞেয়বাদ দর্শনের অন্যতম প্রবক্তা।

১৯০৪ – টম এমেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯১৯ – কার্ল ব্রুগমান, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৫৮ – জর্জ গান, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – দামেদার কোশাম্বী, বৌদ্ধ ধর্ম বিশারদ।
২০০২ – উলাহ্‌-ইয়োহান ডাল, নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০০৩ – ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০০৭ – এডওয়ার্ড ইয়াং, তাইওয়ানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা।
২০১৩ – মারগেরিতা হ্যাক, ইতালীয় নভোপদার্থবিজ্ঞানী ও লেখক।
২০১৪ – আবুল হোসেন, বাংলাদেশী বাঙালি কবি।
২০১৫ – মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
২০২০ – আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৮ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৮ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৫৩ – মুহাম্মদ আজম শাহ, মোগল সম্রাট।
১৭১২ – জঁ-জাক রুসো, সুইজারল্যান্ডীয় দার্শনিক।
১৮৬৭ – লুইগি পিরান্ডেলো, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান লেখক, কবি ও নাট্যকার।
১৮৭৩ – অ্যালেক্সিস কারেল, খ্যাতনামা ফরাসি চিকিৎসাবিদ।
১৮৮৩ – পিয়েরে লাভাল, ফরাসি সৈনিক, রাজনীতিক ও ১০১ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৮৮৮ – জর্জ চ্যালেনর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৯৪ – গোকুলচন্দ্র নাগ, প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক ।
১৮৯৯ – আবদুল মোনেম খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
১৯০৬ – মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার, নোবেলজয়ী জার্মান বংশোদ্ভুত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী।
১৯১২ – কার্ল ফ্রিডরিখ ফন ভাইৎস্যেকার, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং দার্শনিক।

১৯২১ – পি. ভি. নরসিংহ রাও, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী।

১৯২৬ – মেল ব্রুক্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার, গীতিকার, কমেডিয়ান, অভিনেতা এবং প্রযোজক।
১৯২৭ – শেরউড রোল্যান্ড, মার্কিন রসায়নবিদ।
১৯২৮ – প্যাট্রিক হেমিংওয়ে, আমেরিকান লেখক।
১৯২৮ – জন স্টুয়ার্ট বেল, আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯২৮ – পিটার হেইন, প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
১৯৩০ – ইতামার ফ্রাঁকু, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৪ – রয় গিলক্রিস্ট, জ্যামাইকান ক্রিকেটার।
১৯৪০ – মুহাম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
১৯৪১ – ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশী প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী।
১৯৪৩ – ক্লাউস ফন ক্লিৎসিং, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৪৬ – ব্রুস ডেভিসন, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৪৮ – ক্যাথি বেট্‌স, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৫৭ – ক্যাথি ক্রস, নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা ক্রিকেটার ও আইসিসি মনোনীত আম্পায়ার।
১৯৬৬ – জন কিউস্যাক, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।
১৯৭০ – মুশতাক আহমেদ (ক্রিকেটার), পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৭১ – ফাবিয়ঁ বার্থেজ, প্রখ্যাত ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭১ – ইলন মাস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা।
১৯৮৫ – ফিলিপ ফিল অ্যান্টোনিও বার্ডসলে, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৯ – মার্কিপ্লায়ার, একজন খ্যাতনামা মার্কিন ইউটিউব ব্যক্তিত্ব।
১৯৯১ – কেভিন ডি ব্রুইন, বেলজিয়ান পেশাদার ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২৬৬ – মুসতানসির বিল্লাহ আব্বাসীয় খিলাফত লাভ করেন।
১৩৮৯ – অটোমান সামরিক বাহিনী সার্বিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৬৫৭ – দারা শিকোহ অনূদিত ‘শিক-ই আকবর’ প্রকাশিত হয়।
১৭৫৭ – মীর জাফর নবাব হন এবং রবার্ট ক্লাইভ বেঙ্গলের গভর্নর নিযুক্ত হন।
১৮২০ – প্রমাণিত হয় যে টমেটো বিষাক্ত নয়।
১৮৩৮ – ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেক ঘটে।
১৯১৯ – ভার্সাই চুক্তি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১৯৫৪ –  জওহরলাল নেহরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীলা নীতি ঘোষণা করেন।
১৯৬৩ –  ক্রুশ্চেভ পূর্ব বার্লিন সফর করেন।
১৯৬৭ –  ইসরাইল কর্তৃক পূর্ব জেরুজালেম দখল হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রোমানিয়া।
১৯৭৬ – ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে সেচিলিসের ১০২ বছর ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকার পর স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৬ – আমেরিকার বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেট অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭৮ – পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।
১৯৯৬ – তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলাইমান ডেমিরেলের ৭৩ বছরের মধ্যে প্রথম দেশে ইসলামিক নেতৃত্বাধীন সরকার অনুমোদিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৩৯ – মহারাজা রণজিৎ সিং, পাঞ্জাব কেশরী এর রাজা।

১৯১৫ – ভিক্টর ট্রাম্পার, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯১৭ – স্টেফান লুচিয়ান, রোমানিয়ান চিত্রশিল্পী।

১৯৩৬ – আলেকজান্ডার বেরকমান, আমেরিকান লেখক ও সমাজ কর্মী।

১৯৭২ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয়বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৪ – ভ্যানিভার বুশ, মার্কিন প্রকৌশলী ও বিজ্ঞান প্রশাসক।
১৯৭৫ – রড সেরলিং, আমেরিকান অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।
১৯৮১ – টেরি ফক্স, কানাডিয়ান ক্রীড়াবিদ, মানবহিতৈষী এবং ক্যান্সার গবেষাণা কর্মী।

১৯৮৬ – হাজী মোহাম্মদ দানেশ, অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের একজন কৃষক নেতা।
১৯৯২ – মিখাইল তাল, লাতভীয় দাবাড়ু।
১৯৯৬ – বিশিষ্ট বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী নীলিমা সেন।
২০০১ – জোয়ান সিমস, ইংরেজ অভিনেত্রী।
২০০৬ – ফুলরেণু গুহ, পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত সমাজ সেবিকা ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ও রাজ্যসভার সদস্যা।
২০০৬ – তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
২০০৯ – এ. কে. লোহিত দাস, ভারতীয় পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
২০১২ – রবার্ট সাবায়টিয়ার, ফরাসি লেখক ও কবি।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও অম্বুবাচী : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।।

আমাদের মূল্যবান সুন্দর মনুষ্য জীবনে ভারতভূমি ধর্মীয় উৎসব-মুখর পুণ্যভূমি পবিত্রভূমি। সৌন্দর্যময় আমাদের এই ভারতবর্ষের সুন্দর প্রকৃতি সকল ধর্মীয় ও নৈসর্গিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এই মনোরম, অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উৎসব অনন্তকাল ধরে আমাদের চিত্তে শিক্ষা ও আনন্দের অমৃতধারা জাগিয়ে তুলছে।

আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতমাতা ও প্রকৃতির অবদান অপরিসীম। আমাদের ভারতমাতা স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
আমাদের ভারতবর্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী। লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। অর্থাৎ, সূর্য আষাঢ় মাসে যে দিন যে সময়ে মিথুন রাশিতে আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে গমন করে সেই সময়কাল থেকে মাতৃস্বরূপা পৃথিবী এবং আদ্যাশক্তি মহামায়া ঋতুমতী হয় বা অম্বুবাচির কাল শুরু হয়। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হোন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
অম্বুবাচী কথাটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘অম্ব’ ও ‘বাচি’ থেকে। ‘অম্ব’ শব্দের অর্থ হলো জল এবং ‘বাচি’ শব্দের অর্থ হলো বৃদ্ধি। অতএব গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের পর যখন বর্ষার আগমনে ধরিত্রী সিক্ত হয় এবং নবরূপে বীজধারণের যোগ্য হয়ে ওঠে সেই সময়কেই বলা হয় অম্বুবাচী। আমাদের মা ঠাকুমারা, ঠাকুরদারা বলেন, কি বা বার কিই বা তিথি, সাতই আষাঢ় ‘অম্বুবাচী’ ঠাকুমা দিদিমারা বলতেন যে দশহরা ও অম্বুবাচী ও রথ এই তিনে বৃষ্টি হবেই। সত্যিই তাই, তবে কালের বিবর্তনে ও আমাদের পাপাচারে প্রকৃতি আজ বিমুখ। তথাপি যারা আমরা ধর্মমতী তারা অম্বুবাচী পালন করি। কি অদ্ভুত এক প্রচলিত প্রথা। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে জনপদ অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। রেহাই পেতে নানারকম ধর্মীয় আচরণ পালন করা হত। অতিখরা ও প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে ভূদেবীর নিকট বা বসুমাতার নিকট প্রার্থনা করা হত। ঠিক নিয়ম মেনে এই আষাঢ়ের ৭-ই হত সেই শুভক্ষণের সূচনা। বর্ষা কালের প্রথম বর্ষার আগমন ঘটত, সিক্ত হত ধরাতল। হিন্দু সনাতন ধর্মের এটাই প্রচলিত মত যে বসুমাতা বা ভূদেবী হন রজস্বলা ঋতুমতী। একজন নারীও যেমন ঋতুমতীর পরই নবজীবন ধারণে উদ্যত হন ঠিক তেমনই বসুমাতার রজস্রাবের পর প্রকৃতি নতুন করে প্রাণ পাই, মৃতপ্রায় গাছসকল নতুনভাবে সজীব হয়।
আমাদের শাস্ত্রে যে ৫১টি শক্তিপীঠের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা মন্দির। সতীপিঠের অন্যতম অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত কামাক্ষ্যা মন্দির। দেবী রজঃস্বলা হওয়ায় তিন দিন মন্দিরের কপাট বন্ধ থাকে এই মন্দিরে সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ এই মন্দির। প্রতি বছর অম্বুবাচীর তিন দিন কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসব এবং মহা মেলার আয়োজন হয়। দেশ- বিদেশ থেকে ভক্তেরা ভিড় জমান মন্দিরে। শাস্ত্রে কথিত আছে, “যথা পিন্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে”। অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডে যা ঘটে তার সব আমাদের শরীরেও ঘটে। যেমন দেবী মহামায়া নিজের মধ্যেই সৃষ্টি স্থিতি ও লয়ের খেলায় মেতে থাকেন একজন নারীও নিজের শরীরে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের খেলা খেলতে থাকেন।
অম্বুবাচী ও নারীর ঋতুমতী হওয়ার একটি পৌরাণিক আখ্যান আছে। দেবরাজ ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে হত্যা করার ফলে ব্রহ্মহত্যার পাপী হন। এই পাপ স্খলন করার উপায় তিনি অন্বেষণ করতে থাকেন। ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আদেশে ইন্দ্র নতজানু হয়ে পৃথিবী, বৃক্ষ, নদী ও সকল নারীদের দ্বারস্থ হন। তার পাপের এক চতুর্থাংশ করে ভাগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন এই চার মাতাকে।
সকলে দেবরাজ ইন্দ্রের আকুতি মঞ্জুর করেন তার পাপ সকলে ধারণ করেন। কিন্তু ইন্দ্রের সেই পাপস্খালন হেতু সমগ্র নারী জাতি তাই মাসিক রজস্বলা হন। এই রজঃরক্ত এতটাই পবিত্র যে ব্রহ্মহত্যার মতন গর্হিত পাপও ধৌত হয়ে যায়। ইন্দ্রের প্রার্থনায় সকল নারী জাতির মধ্যে স্বয়ং মহামায়া বিরাজ করেন। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অম্বুবাচী, অমাবতী বলেও পরিচিত। ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব, রজঃউৎসব নামেও পালিত হয়। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনি। প্রচলিত বিশ্বাস ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকেন। একই ভাবে মনে করা হয় পৃথিবীও সময়কালে অশুচি থাকেন। অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু আচার অনুষ্ঠান। এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। কোনও শুভ কাজও এই কয়েকদিন নিষিদ্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, অম্বুবাচী চলাকালীন কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনদিন পর অম্বুবাচী ফের কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়। অম্বুবাচী চলাকালীন বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ির ঠাকুর ঘরের মাতৃ শক্তির প্রতিমা বা ছবি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সারাবছর জগতজননী মা আমাদেরকে আগলে রাখেন, সব রকম দেখাশোনা করেন। তাই এই তিনটে দিন আমাদেরও উচিত মায়ের একটু খেয়াল রাখা, একটু যত্ন নেওয়া। মা সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল করুন এই কামনা করি।
প্রকৃতপক্ষে সৃষ্টির নিমিত্তে দেবী এই সময় যোগনিদ্রায় মগ্ন থাকেন, সেই কারণে এই সময় দেবীকে স্পর্শ করা উচিত নয়। উপরন্তু যথাসম্ভব একান্ত পরিবেশে নির্জন বাসের ব্যবস্থা করা উচিত। কোনভাবেই আমাদের কোন আচরণে মায়ের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেদিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে হবে। সংকল্প বিহীন নিত্য পূজাপাঠ ও আচার অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা উচিত। কিন্তু এই সময় বেশী করে জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা উচিত। এই কালে জপ করলে বহুগুণ ফল লাভ হয়। উচ্চৈঃস্বরে মন্ত্রপাঠ, ভজন এবং ঘন্টা-কাসর, ঢাক-ঢোল ইত্যাদি বাজানো এই সময় বর্জনীয়। ভূমি কর্ষণ বা ভূমিতে কোনরকম আঘাত করা এবং ক্ষৌরকর্ম ইত্যাদি এই তিন দিন নিষিদ্ধ। সকল সাধক ও ভক্তগণের এই সময় সংযত জীবনযাপন করা একান্ত কর্তব্য।
*পঞ্জিকা অনুসারে ২০২৪-র চলতি বছরে অম্বুবাচী প্রবৃত্তিঃ অর্থাৎ শুরু হবে ২২ জুন অর্থাৎ ৭-ই আষাঢ় শনিবার দিবা ঘ ৮/৪৫ এবং ২৫ জুন অর্থাৎ ১০ আষাঢ় মঙ্গলবার রাত ৯/০৮ গতে এর নিবৃত্তিঃ অর্থাৎ সমাপ্তি হবে ।*
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!
স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক) l

Share This