Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব বায়ু দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।।।

বিশ্ব বায়ু দিবস প্রতি বছর ১৫ জুন পালিত হয় বায়ু শক্তির তাৎপর্য এবং শক্তির একটি বিশুদ্ধতম রূপ হিসাবে এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য। বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের পিছনে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল বায়ু শক্তি সংগ্রহের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা। ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি।

বায়ু শক্তির ব্যবহার টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের অনেক উপায়ে সাহায্য করে।
বিশ্ব বায়ু দিবসে বায়ু শক্তির ইতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম, কর্মশালা, সম্মেলন, সেমিনার এবং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব বায়ু দিবসের স্বীকৃতি শুধুমাত্র টেকসই শক্তি অনুশীলনকে উৎসাহিত করে না বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
গ্লোবাল উইন্ড ডে বা বিশ্ব বায়ু দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট। এটি উইন্ডইউরোপ এবং GWEC (গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল) দ্বারা আয়োজিত হয়। এটি এমন একটি দিন যখন বায়ু শক্তি উদযাপন করা হয়, তথ্যের আদান-প্রদান করা হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে। EWEA এবং GWEC এর সহযোগিতায়, জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলি বিশ্বের অনেক দেশে ইভেন্টের আয়োজন করে। ২০১১ সালে, 4টি মহাদেশে 30টি দেশে ইভেন্ট সংগঠিত হয়েছিল। ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, তথ্য প্রচার, শহরগুলিতে প্রদর্শনী টারবাইন স্থাপন, বায়ু কর্মশালা এবং একটি বায়ু কুচকাওয়াজ। গ্লোবাল উইন্ড ডে (১৫ জুন) নিজেই অনেক ঘটনা ঘটেছে, তবে তার আগের দিন এবং সপ্তাহগুলিতেও ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ২৫০টি ইভেন্ট ছিল এবং একটি খুব জনপ্রিয় ফটো প্রতিযোগিতা ছিল।

বিশ্ব বায়ু দিবস পর্যবেক্ষণের ইতিহাস—

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (EWEA) দ্বারা 2007 সালে প্রথম বায়ু দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু এটি শুধুমাত্র 2009 সালে ছিল যে EWEA গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল (GWEC) এর সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্টে পরিণত করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানুষকে বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

বিশ্ব বায়ু দিবস পালন—

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল প্রতি বছর গ্লোবাল উইন্ড ডে উপলক্ষে বায়ু শক্তির প্রচারে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে। অনেক জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলিও তাদের সমস্ত দেশে ইভেন্ট করে। তথ্য প্রচার, উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, শহরগুলিতে টারবাইন স্থাপনের প্রদর্শনী, বায়ু কর্মশালা এবং বায়ু প্যারেড এই দিনে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। অন্যান্য মজার ক্রিয়াকলাপ যেমন উইন্ড ফার্ম ওপেন ডে, ওয়ার্কশপ, রেগাটাস, ফটো প্রদর্শনী, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

বিশ্ব বায়ু দিবসের তাৎপর্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস হল বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং এটি ধারণ করতে পারে এমন সমস্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উদযাপন করার একটি দিন। এটি মানুষকে, বিশেষ করে শিশুদের, বায়ু শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করার একটি দিন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট গভীর হওয়ার সাথে সাথে এবং জলবায়ুর প্রতি রাজনৈতিক মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৈশ্বিক বায়ু দিবস পালন করা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বায়ু শক্তির সঠিক ব্যবহার অর্থনীতিকে ডিকার্বনাইজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং চাকরি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই এই দিনে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে তাদের ব্যবসায়কে শক্তি দিতে পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী বায়ু শক্তির দিকে যেতে উৎসাহিত করা হয়।

বায়ু শক্তি সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে, আসুন বায়ু শক্তি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিই:
বায়ু শক্তি সবচেয়ে কার্যকরী এবং পরিবেশ বান্ধব শক্তির উত্সগুলির মধ্যে একটি।
২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এটি শুধুমাত্র ১৯৪০ এর দশকে প্রথম আধুনিক বায়ু টারবাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্টে নির্মিত হয়েছিল।
বায়ু শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টি রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০% এরও বেশি সরবরাহ করে।
সবচেয়ে বড় উইন্ড টারবাইন যা ২০ তলা লম্বা এবং একটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্যের ব্লেড যুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত।
বায়ু শক্তির সবচেয়ে ইনস্টল ক্ষমতা জার্মানিতে।
জার্মান পদার্থবিদ, আলবার্ট বেটজ, বায়ু টারবাইন প্রযুক্তির প্রবর্তক।
উইন্ড টারবাইনগুলি দেখতে সহজ হতে পারে তবে বাস্তবে প্রায় ৮০০০ বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যদি বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে প্রবাহিত হয়, তাহলে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসাবে ব্লেডগুলি বাঁকানো বন্ধ করে দেয়।
বায়ু শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্রুততম বর্ধনশীল মোড।
তাই, প্রতি বছরের মতো আজ ১৫ জুন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বায়ু দিবস। বায়ু শক্তিকে ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতেই বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।।

স্বেচ্ছায় রক্তদান এক মহৎ কাজ। রক্তের অভাব একজন ব্যক্তির জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। রক্তের প্রয়োজনে সময়মতো রক্ত সরবরাহ করা না হলে একজনের জীবনও হারাতে পারে। রক্তের ঘাটতি পূরণ করে রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। এই কারণে মানুষকে রক্তদানের জন্য সচেতন করা হয়, যাতে একজন সুস্থ মানুষ প্রয়োজনে রক্ত দান করতে পারে এবং একটি জীবন বাঁচাতে পারে।

হাসপাতালগুলোতে জীবন-মৃত্যুর যুদ্ধে লিপ্ত মানুষ যাতে নতুন জীবন পায় সেজন্য বেশি বেশি মানুষ রক্তদান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তাই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্য জীবন বাঁচাতে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। প্রতি বছর ১৪ জুন সারা বিশ্বে দিনটি উদযাপন করা হয়।এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ’।
আন্তর্জাতিকভাবে এবছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়ে আসছে দিবসটি।
১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।
প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়, অথচ এর মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া এখনো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের রক্তের চাহিদা হলে নির্ভর করতে হয় নিজের পরিবারের সদস্য বা নিজের বন্ধুদের রক্তদানের ওপর, আর অনেক দেশে পেশাদারি রক্তদাতা অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করে আসছে রোগীদের।
আমাদের দেশে রক্তের চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্যে।একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা, ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার কোনও বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনও শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। তবে সব রক্ত ​​সবাইকে দেওয়া যায় না। যদি কারো A+ রক্তের গ্রুপ থাকে, তাহলে এই ধরনের রক্ত ​​A+ এবং AB+ কে দেওয়া যেতে পারে। A- ব্লাড গ্রুপের মানুষের রক্ত ​​AB-, A-, A+-তে স্থানান্তর করা যেতে পারে। B+ ব্যক্তি B+ এবং AB+ রক্ত ​​দিতে পারেন। যদি কারো রক্তের গ্রুপ O+ হয়, তাহলে সে তার রক্ত ​​A+, B+, AB+, O+ কে দিতে পারে। AB+ রক্তের গ্রুপের একজন ব্যক্তি AB+ কে রক্ত ​​দিতে পারেন।চিকিৎসকদের মতে, যে কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক, নারী-পুরুষ উভয়েই রক্ত ​​দিতে পারেন। পুরুষরা প্রতি তিন মাসে একবার নিরাপদে রক্ত ​​দান করতে পারে এবং মহিলারা প্রতি চার মাসে একবার রক্তদান করতে পারে। রক্তদাতার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা রক্ত ​​দিতে পারবেন। ওজন ৪৫ কেজির কম হওয়া উচিত নয়।
অথচ বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।
স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস।
তবে ১৪ জুন এই দিনটি উদযাপনের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তের গ্রুপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও,এবি’। এই অবদানের জন্য, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান । রক্তদাতা দিবসটি বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তার জন্মদিন ১৪ জুন।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫ : তারিখ

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতি বছর ১৪ জুন পালিত হয়। এই বছর, ২০২৫, একটি বিশেষ মাইলফলক চিহ্নিত করে – স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের তাদের জীবন রক্ষাকারী অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়ার ২১ তম বার্ষিকী।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫: থিম

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫-এর থিম হল “রক্ত দিন, আশা দিন: একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই”। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই থিমটি প্রকাশ করেছে, যা রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানোর গুরুত্ব এবং একতাবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলানোর উপর জোর দেয়। PACE Hospitals এই থিমের মাধ্যমে নিয়মিত রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। Netmeds এই থিমটি রক্তদানের মাধ্যমে জীবন পরিবর্তনকারী প্রভাবকে তুলে ধরে। Artemis Hospitals এই থিমটি রক্তদানের গুরুত্ব এবং সমাজের উপর এর প্রভাবকে আরও বেশি করে তুলে ধরেছে।

যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।রক্তদানকে উৎসাহিত করা এবং রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর রক্তদাতা দিবস উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে সারা বিশ্বে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা হয়, যেন রক্তের অভাবে কোনো রোগীর মৃত্যু না হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

দাক্ষিনাত্য কৃষক হাঙ্গামার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।।।।

সূচনা:- মাড়োয়াড়ী সান্থকর মহাজনদের অত্যাচারে ও নিপীড়নে দাক্ষিনাত্যের কৃষকেরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে মহারাষ্ট্রের পুনা ও আহমদ নগরের কৃষক দের, নেতৃত্বে যে প্রবল বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল তা ডেকানরাষ্ট্র বা দাক্ষিনাত্যর কৃষক বিদ্রোহ নামে পরিচিত । দাক্ষিনাত্যের কৃষকেরা বিদ্রোহ সংগঠনের মূলে কতগুলি কারন বিদ্যমান ।

রাজস্ব বৃদ্ধি —
বাংলায় জমিদারদের সঙ্গে ইংরেজদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তোর ফলে রাজস্বের পরিমান নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং এ রাজস্ব আর বাড়ানো সম্ভব হল না । ফলে ইংরেজ সরকার দাক্ষিনাত্যে অন্য ভাবে রাজস্ব ব্যবস্থা প্রচলন করেন । এই রাজস্ব আদায়ের ভার মোড়লদের উপর ন্যস্ত ছিল । মোড়লরা এই সমস্ত টাকা বেশি পরিমানে আত্মসাৎ করার জন্য কৃষক দের উপর নিষ্ঠুর ভাবে নিপীড়ন চালাত । রাজস্ব মেটাবার জন্য কৃষকরা মহাজনদের কাছে চড়াসুদে জমি বন্দক রাখত । এই চড়াসুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছুত যে কৃষকদের পক্ষে তা শোধ করা সম্ভব হত না । ফলে বন্দকী জমি মহাজনদের দখলে চলে যেত । ফলে কৃষকরা ক্রমশই নিজেদের জমি থেকে নিজেরা উৎখাত হয়ে যেতে থাকে । এর ফলে কৃষকরা মহাজন বা সালুকার দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ।
তুলার উৎপাদন ও বিক্রির অসামজস্য
১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে তুলার দাম বাড়লে তুলা চাষ করে রাজস্বের ঘাটতি কিছুটা মেটানো সম্ভব হয় । এই সুযোগে গ্রামাঞ্চলের সম্পন্ন চাষীরা অধিক লাভের আশায় জমিতে তুলোর চাষ বাড়ান । ১৮৬৭ খ্রীঃ রাজস্বের পরিমান আরো বাড়ে । এদিকে ১৮৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে বাজারে তুলোর দাম পড়ে যায় । ফলে চাষীদের দুরাবস্থা আরো বেড়ে যায় । এর ফলে সাধারন চাষী থেকে ততাকথিত সম্পন্ন চাষীরাও মহাজনদের কাছ থেকে ঋন নিতে বাধ্য হয় । কৃষকদের এমন দুরবস্থায় সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করে । এই সুযোগে মহাজনরা কৃষক দের জমি দখল করতে থাকে ফলে শোষিত নীপিড়ীত কৃষকরা ক্রমশ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ।
বিদ্রোহের বিবরন ঃ-
কৃষকরা মহাজনদের বিরুদ্ধে কৃষকরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বয়কট আরম্ভ করে , কিন্তু তাতে কোনো লাভ না হওয়ায় তারা কয়েকটি পথ অবলম্বন করে । তাদের সেই বিদ্রোহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। প্রথমতঃ , এই বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের লক্ষ্য ছিল মাহাজনদের ঋণপত্র , দলিল ও হিসেবের যাতাপত্র ধংস করে ফেলা , কারন তারা বুঝেছিল এই সব জিনিসই তাদের জীবনের চরম দূর্দশা দেকে এনে ছিল। দিতীয়তঃ , বিদ্রোহের ব্যাপকতা থাকলেও মহাজন বা সাহুকারদের প্রানহানি খুব কম ছিল। তৃতীয়তঃ , অনেক স্থানে মহাজনদের ঘর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে দেয় বিদ্রোহীরা । পুনা ও আহামদনগরের প্রায় ৩৩ টি অঞ্চলে এরূপ হিংসাত্মক ঘটে । ক্যাংলিয়া নামে এক কৃষক নেতা এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল । কৃষকরা তাঁকে ‘গরীবের বন্ধু’ মনে করতেন । চতুর্থতঃ , এই বিদ্রোহে দুর্ধর্ষ নিন্মশ্রেনীর কৃষকরা অংশ গ্রহন করলেও , কিছু সম্পন্ন চাষী এই বিদ্রোহে অংশগ্রহন করায় , এই বিদ্রোহ রক্তক্ষরা সংগ্রামে পরিনত হয়নি । পঞ্চমতঃ, এই বিদ্রোহ কোন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে পরিচালিত হয়নি । মহাজন গোষ্ঠীর শোষনের হাতিয়ার গুলিকে ধবংস করাই ছিল এই বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য ।
ফলাফল ঃ
প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ বিরোধী না হলেও দাক্ষিনাত্যের কৃষক বিদ্রোহ ইংরেজদের মনে ভয়ের উদ্রেক করে । তারা বুঝেছিল এইভাবে মহাজন শ্রেনী ধবংস হয়ে গেলে তাদের অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, যা ভবিষ্যতে তাদের পক্ষে মারাত্মক হতে পারে । ইংরেজরা ক্যাংলিয়াকে গ্রেপ্তার করলে কৃষক দের এই বিদ্রোহ নেতৃত্ব হয়ে পড়ে । ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে নিযুক্ত ‘দাক্ষিনাত্য বিদ্রোহ কমিশন’ এর সুপারিশে ১৮৭৯ খ্রীষ্টাব্দে ‘দাক্ষিনাত্যে কৃষক আইন’ পাশ হয় । এই আইনের ফলে কৃষকদের জমি হস্তান্তর ব্যাপারে কিছুটা আইন বিধিবদ্ধ হয় । এছাড়া মহাজনদের সুদের হার ও নিদিষ্ট করা হয় । কৃষকরাও মহাজনদের বিরুদ্ধে ও আদালতের সাহায্য লাভের সুযোগ পায় । ফলে ক্রমশ আন্দোলনে ভাটা পড়ে কিন্তু কৃষক দের অবস্থার বিশেষ কোন উন্নতি সাধন হয় নি ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৪ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৪ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৮ – কার্ল লান্ডষ্টাইনার, ১৯৩০ সালে নোবেলজয়ী অষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।  .
১৮৭৫ – জার্মান বিজ্ঞানী ও নেপচুনের আবিষ্কর্তা হাইনরিখ লুই দ্য আরেস্ট।

১৮৮০ – সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত, প্রখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা ও গঠনমূলক সেবাকার্য ও পল্লীউন্নয়নের বিভিন্ন পদ্ধতির আবিষ্কারক।
১৯০৩ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।
১৯০৯ – বার্ল আইভস, আমেরিকান অভিনেতা এবং গায়ক।

১৯১৭ – বিনয় ঘোষ, বাঙালি সমাজবিজ্ঞানী, সাহিত্য সমালোচক, সাহিত্যিক, লোকসংস্কৃতি সাধক, চিন্তাবিদ ও গবেষক।
১৯১৬ – ডরোথি ম্যাকগুইয়ার, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯২৪ – জেমস হোয়াইট ব্ল্যাক, স্কটিশ ডাক্তার এবং ওষুধবিদ।
১৯২৮ – চে গেভারা, আর্জেন্টিনীয় বিপ্লবী।

১৯২৯ – অ্যালান ডেভিডসন, বিখ্যাত ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৩২ – কবি হাসান হাফিজুর রহমান।

১৯৪৬ – (ক)  ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি।

(খ) বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিক কলকাতা পুরসভার সাবেক মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
১৯৪৭ – সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশী লেখিকা।

১৯৫৫ – কিরণ খের, ভারতীয় মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।
১৯৬৩ – মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মুফতি
১৯৬৯ – স্টেফি গ্রাফ, জার্মান মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৭৭ – বোয়েতা ডিপেনার, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৮২০ – মোহাম্মদ আলী পাশার নেতৃত্বে মিশরীয় বাহিনী, সুদানে হামলা চালিয়ে দেশটির একটি বড় অংশ দখল করে নেয়।
১৮৩০ – ফরাসি বাহিনী আলজেরিয়ায় অভিযান শুরু করে। তবে ফ্রান্সের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার জনগণ প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল।
১৮৩৯ – কলকাতায় বাংলা পাঠশালার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৮৩৯ – সংবাদ প্রভাকর বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৮৫৫ – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়।
১৯০৭ – নরওয়েতে নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯২৭ – ব্রিটিশ নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯৪৯ – সাবেক সম্রাট বাও দাই’র নেতৃত্বে সায়গলে ভিয়েতনামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৩ – বিশ্বের প্রথম মহিলা নভোচারী ভ্যালেনটিনা তেরেশকোভার মহাশূন্য যাত্রা।
১৯৭৫ – বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন।
১৯৮২ – ফক্‌ল্যান্ডস যুদ্ধ শেষ হয়।
১৯৯১ – ঐতিহাসিক নগরী লেনিনগ্রাদের নতুন নামকরণ পিটার্সবার্গ।
১৯৯৩ – তানসু সিলার তুরস্কের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
১৯৯৫ – (ক)  আন্তর্জাতিক রক্তদাতা ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রথম বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত হয়।
(খ) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্পর্কিত “ব্যাঙ্কিং ন্যায়পাল প্রকল্প” প্রথম চালু করে।
১৯৯৭ – সিলেটের মাগুরছড়া গ্যাস ফিল্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১৯৯৯ – কসোভোতে প্রথম গণকবরের সন্ধান লাভ। ৮১টি কঙ্কাল উদ্ধার।
২০১৮ – রাশিয়ায় ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৫৮ – সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
১৮৮৬ – আলেকজান্ডার নিকোলাইভিচ অস্ট্রোফস্কি, রাশিয়ান লেখক।

১৮৮৭ – মেরি কার্পেন্টার, ইংরেজ ভারতপ্রেমিক মহিলা শিক্ষাব্রতী ও সমাজসংস্কারক।
১৯২০ – মাক্স ভেবার, জার্মান সমাজবিজ্ঞানী, দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

১৯২৭ – জেরোম কে জেরোম, ইংরেজ লেখক।
১৯৪৬ – জন বেয়ার্ড, টেলিভিশনের আবিস্কারক।
১৯৮৬ – (ক) খুর্খা লুইস বুরখাস, লাতিন আমেরিকান লেখক।
(খ) হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনার সাহিত্যিক।

১৯৯১ – পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৯৫ – ররি গ্যালাগার, আইরিশ ব্লুস অ্যান্ড রক বহু-যন্ত্রবাদক, সঙ্গীত রচয়িতা ও প্রযোজক।
২০০৭ – কার্ট ওয়াল্ডহেইম, অস্ট্রিয়ান কূটনীতিবীদ এবং রক্ষনশীল রাজনীতিবিদ।
২০২০ – (ক)  সাইফুল আজম – বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জর্ডান ও ইরাক-এই চারটি দেশের বিমানবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি বৈমানিক ও রাজনীতিবিদ।
(খ) সুশান্ত সিং রাজপুত, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৩ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১৩ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) ভূমিকম্প সচেতনতা দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩৬৭ – জোসনের রাজা তেজং, জোসন রাজবংশের রাজা।  .
১৫৫৫ – জোভান্নি আন্তোনিও মাজিনি, ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী, জ্যোতিষী, মানচিত্রাঙ্কনবিদ এবং গণিতজ্ঞ।  .
১৭৬৩ – হোজে বনিফাসিও দে আন্দ্রাদা, ব্রাজিলের একজন কূটনীতিজ্ঞ, নিসর্গী, অধ্যাপক এবং কবি।

১৮৩১ – জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, স্কটল্যান্ডীয় গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ তত্ত্বের জন্য সুবিদিত।
১৮৫৪ – চার্লস এ পারসনস, আইরিস ইঞ্জিনিয়ার ও আবিষ্কারক।

১৮৬৫ – উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস বিশ শতকের একজন আইরিশ কবি ও নাট্যকার।
১৮৯৭ – পাভো নুরমি, ফিনিশীয় মাঝারি ও লম্বা দূরত্বের দৌড়বিদ।

১৯১১ – লুইস ওয়াল্টার আলভারেজ, স্পেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৮ – বেন জনসন, মার্কিন অভিনেতা, স্টান্টম্যান ও রোডিও কাউবয়।

১৯২৭ – বাংলাভাষা শহীদ আবুল বরকত।
১৯২৮ – জন ফর্ব্‌স ন্যাশ, মার্কিন গণিতবিদ।
১৯৪০ – জার্মান গায়িকা সারাহ কোনর।
১৯৪৪ – বান কি মুন, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদ এবং জাতিসংঘের অষ্টম মহাসচিব।
১৯৫৩ – টিম অ্যালেন, মার্কিন অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।

১৯৬৫ – মনিন্দর সিং, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭০ – ক্রিস কেয়ার্নস, নিউজিল্যান্ডের সাবেক ও বিখ্যাত ক্রিকেট তারকা।
১৯৮১ – ক্রিস ইভানস (অভিনেতা), মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮৬ – হন্ডা কেস্‌কে, জাপানি ফুটবলার।
১৯৮৬ – ডিজে স্নেক, ফরাসি সংগীত প্রযোজক এবং ডিজে।

১৯৯০ – অ্যারন টেলর-জনসন, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৯৪ – দীপিকা কুমারী, ভারতীয় মহিলা তীরন্দাজ।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদ অভিমুখে যুদ্ধ অভিযান শুরু করেন।
১৮৪০ – কলকাতায় তত্ত্ববোধিনী সভার উদ্যোগে তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৭ – লর্ড ক্যানিং সংবাদপত্র আইন চালু করেন।
১৮৭৮ – ইউরোপের মুখ্য রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে বার্লিন কংগ্রেস শুরু হয়।
১৯০০ – চীনে বক্সার বিদ্রোহ শুরু হয়।
১৯০৬ – বৃটেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় আয়ারল্যান্ড দ্বীপে আয়ারল্যান্ড রিপাবলিকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা শিনফেন আত্ম প্রকাশ করে।
১৯২১ – ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রথমবারের মতো ব্যাপক আন্দোলনের সূচনা হয়।
১৯৩৪ – আডলফ হিটলার এবং বেনিতো মুসোলিনি দুজনের সাক্ষাৎ হয়েছিল ইতালির ভেনাসে।
১৯৪৩ –  ফ্রান্সের জাতীয় মুক্তি কমিটি গঠিত হয়।
১৯৪৪ – জার্মানি প্রথম বারের মতো বৃটেনকে লক্ষ্য করে ভি-ওয়ান নামের ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
১৯৫৩ – কলম্বিয়ায় জেনারেল গুস্তাভো রোজাস পিনিল্লার নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট লরেয়ানো গোমেজের সরকার উৎখাত।
১৯৫৬ – সর্বশেষ ব্রিটিশ সেনাদল সুয়েজ ত্যাগ করে।
১৯৭১ – অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জি. বডরিক নামে এক মহিলা একসঙ্গে নয় সন্তানের জন্ম দেয়। এর মধ্যে ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে বেঁচে যায়।
১৯৭৪ – ইয়েমেনে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল।
১৯৭৫ – আলজিয়ার্স চুক্তি।
১৯৭৮ – লেবানন থেকে ইসরাইল তার সেনা প্রত্যাহার করে।
১৯৮২ – সৌদি বাদশাহ খালেদের মৃত্যু। যুবরাজ ফাহাদের সিংহাসনে আরোহণ।
১৯৮৩ – ঢাকা জাদুঘর জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়।
১৯৯৩ – কিম ক্যাম্পবেল কানাডার প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
২০০২ – যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র (অ্যান্টি ব্যালাস্টিক মিসাইল) চুক্তি প্রত্যাহার করে।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৪৫ – মিয়ামোতো মুসাশি, জাপানি অসিযোদ্ধা ও রোনিন।
১৬৯৫ – জন লাফুনতান, ফ্রান্সের বিখ্যাত লেখক ও কবি।
১৯৩১ – কিতাসাতো শিবাসাবুরো, জাপানি চিকিৎসক ও ব্যাকটেরিয়া বিজ্ঞানী।

১৯৩২ – অপূর্ব সেন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

১৯৩৯ – আর্থার কনিংহ্যাম, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯৮৩ – বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী ফণীন্দ্রচন্দ্র দত্ত।

১৯৮৭ – জেরাল্ডিন পেজ, আমেরিকান অভিনেত্রী।

২০০৫ – আলভারো কুনহাল, পর্তুগিজ কমিউনিস্ট বিপ্লবী এবং রাজনীতিবিদ।

২০১২ – মেহদী হাসান, পাকিস্তানের গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী।
২০১৫ – মাইক শ্রিম্পটন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও কোচ।
২০২০ – (ক) মোহাম্মদ নাসিম, বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

(খ) শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।
(গ) সুলতান উদ্দিন ভূঁইয়া, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ভারতের যে ৭ জায়গা ঘুরে আসতে পারেন।।।

ভারত এমন একটি দেশ যেখানে একইসঙ্গে বিভিন্ন ঋতুর দেখা মেলে। রাজস্থানের মতো জায়গায় যখন তীব্র গরম তখন উত্তরের রাজ্যগুলোতে যেমন জাম্মু এবং কাশ্মীরে তীব্র শীত।

প্রকৃতির এই মনোরম বৈচিত্রময়তা অনুভব করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন প্রতিবেশি দেশ ভারতের কয়েকটি সুন্দর জায়গা থেকে। এই শীতের ছুটিতে তুষারে ঢাকা পর্বত-মালা, কুয়াশায় মোড়ানো লেক হতে পারে ভ্রমনপিপাসুদের ঘুরে আসার জন্য চমৎকার। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে শীতের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন ভারতের এই ৭ স্থান থেকে-
আন্দামান
যারা পাহাড়ের চেয়ে সমুদ্র দেখতে বেশি ভালোবাসেন তাদের জন্য আন্দামান হবে উপযুক্ত গন্তব্য। সৈকতে বসে অলস সময় কাটাতে কাটাতে গায়ে মাখাতে পারবেন ফুরফুরে হাওয়া। যেহেতু আন্দামান গ্রীষ্মমন্ডলীয় প্রকৃতির, এটি গ্রীষ্মে খুব গরম এবং আর্দ্র থাকে, তাই  শীতের মাসগুলোই এই দ্বীপটি দেখার সেরা সময়। অসংখ্য ওয়াটার স্পোর্টস এবং আলোক প্রদর্শনী পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে দেয়।
রাজস্থান
রাজস্থানের সৌন্দর্য বর্ণনা করা প্রায় অসম্ভব। এই রাজ্য সুন্দর স্থাপত্য এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে। রাজ্যের প্রতিটি শহরই বেশ সুন্দর। উদয়পুরে রয়েছে মনোরম হ্রদ, সেখানে জয়সালমিরের সোনালি মরুভূমিও বেশ আকর্ষণীয়। যেহেতু গ্রীষ্মকালে রাজ্যের তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে, তাই শীতকাল এটি ভ্রমণের জন্য ভালো। এখানে যোধপুর, জয়পুর এবং উদয়পুরের দুর্গ্ ও প্রাসাদের জাঁকজমক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে জয়সালমেরে মরুভূমিতে ক্যাম্পিং এবং পুশকরে হট এয়ার বেলুন রাইডও উপভোগ করতে পারবেন।
কেরালা
শীতকালে ভারতের আরেকটি পর্যটন আকর্ষণ হলো কেরালা। যারা পানি ভালোবাসেন তাদের জন্য রয়েছে সৈকত, যারা অবসর ভালোবাসেন তাদের রয়েছে জন্য স্বস্তিদায়ক ব্যাক ওয়াটার, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বন্যপ্রাণির অভয়ারণ্য, সাফারি ও দর্শনীয় পাহাড়ও রয়েছে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের মাসগুলো কেরালা দেখার সেরা সময়। এখানে আরো পাবেন হাউসবোটে রাইড, সবুজের মাঝে চা বাগানে হাঁটার সুযোগ এবং ব্যাক ওয়াটারে হাউসবোট বা শিকারা রাইড। কেরালায় গেলে কথাকলি নাচের পারফরম্যান্স দেখতে ভুলবেন না।
কচ্ছের রণ
সাদা বালির মরুভূমির জন্য এটি ভারতে বেশ বিখ্যাত। শীতের মাসগুলো এই স্থান ভ্রমণের সেরা সময়, রণ উৎসবও বেশ উপভোগ করার মতো, যা অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হয়ে থাকে। উৎসবটির স্থানীয় খাবার বেশ মজার এবং কেনাকাটার জন্যও এটি সেরা। তারাময় রাতে উটের যাত্রা অভিজ্ঞতা অর্জনের মতো একটি ব্যপার।
মেঘালয়
মেঘালয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উত্তর পূর্বের একটি রাজ্য। মেঘালয় প্রাচীন সব জলপ্রপাত, লেক এবং নদীতে ঘেরা একটি রাজ্য। মেঘালয়ের সবুজ মনোরম পরিবেশ সবসময়ই পর্যটকদের আকর্ষণ করে। মেঘালয়ে গেলে শিলং-এ ঘুরতে, চেরীপুঞ্জির লাইভিং রুট ব্রিজে হাইকিং এবং ডাউকির সুন্দর স্বচ্ছ পানিতে নৌকা নিয়ে ঘুরতে কখনোই ভুলবেন না।
কর্ণাটক
কর্ণাটক উপকূলে ঘেরা এমন একটি রাজ্য যা বর্ষাকালে পানিতে ভরপুর থাকে। শীতকাল এই জায়গা থেকে ঘুরে আসার সবচেয়ে ভালো একটি সময়। কর্ণাটকে গেলে হামপি থেকেও ঘুরে আসতে পারেন এটি ইউনেস্কোর ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন গোকানা, মাল্পে, মুরুদেশশারের বিচগুলোতেও। সেইসঙ্গে উপভোগ করতে পারেন এখানকার মজাদার সামুদ্রিক খাবার।
পন্ডিচেরি
পন্ডিচেরি ছিল সৈকত দ্বারা বেষ্টিত ফ্রান্সের উপনিবেশ। শীতে ভারত ভ্রমণের জন্য এটি একটি সুন্দর জায়গা। ভোরের রোদে সৈকতে পা ভিজিয়ে ঘুরে বেড়ানো কিংবা ককটেলে চুমুক দিয়ে শীতের অলস দিন কাটানোর জন্য এটি সুন্দর জায়গা। শহরের সুন্দর ক্যাফে এবং রেস্তোঁরাগুলো থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। প্রকৃতির শান্ত পরিবেশ উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন অরোভিলে থেকেও।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।

প্রতি বছর ১২ জুন পালিত হয়, শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস একটি উল্লেখযোগ্য বৈশ্বিক ইভেন্ট যার লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং শিশু শ্রমের সকল প্রকারের অবসান ঘটাতে প্রচেষ্টা চালানো। এই দিনটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশুর দুর্দশার কথা তুলে ধরে যারা প্রায়ই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে শ্রমে বাধ্য হয়, তাদের শৈশব, শিক্ষা এবং মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস : থিম ২০২৫—

২০২৫ সালের বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসের থিম এখনও ঘোষণা করা হয়নি । এই বছর বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসটি শিশুশ্রমের উপর জরুরি অবস্থার প্রভাবের উপর আলোকপাত করবে। কোভিড-১৯ মহামারী এবং পরবর্তী আর্থিক ও কর্মসংস্থান বিজ্ঞাপনের ধাক্কা ব্যক্তিদের জীবন এবং কর্মসংস্থানের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) দ্বারা বিশ্ব শিশুশ্রম বিরোধী দিবসটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা বিশ্বব্যাপী শ্রম সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানকারী জাতিসংঘের সংস্থা। এটি নিশ্চিত করে যে ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী অনেক শিশুকে যথাযথ শিক্ষা, চিকিৎসা পরিষেবা, অবসর সময় বা কেবল মৌলিক স্বাধীনতা প্রদান করে তাদের স্বাভাবিক শৈশব কাটাতে হবে।

বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস : ইতিহাস —

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) শিশু শ্রম নির্মূল করার চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে 2002 সালে শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসের সূচনা করে। ILO, ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকদের অধিকারের পক্ষে এবং বিশ্বব্যাপী শ্রম সমস্যা সমাধানের জন্য অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। শিশু শ্রম মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং টেকসই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায় এই ক্রমবর্ধমান স্বীকৃতির প্রতিক্রিয়া ছিল এই দিবসের প্রতিষ্ঠা।
শিশুশ্রমকে আইএলও দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এমন কাজ যা শিশুদের শৈশব, সম্ভাবনা এবং মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করে এবং যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য ক্ষতিকর। এটি প্রায়শই বিপজ্জনক পরিবেশে দীর্ঘ ঘন্টা জড়িত থাকে, শিশুদের স্কুলে যেতে এবং শিক্ষা অর্জনে বাধা দেয়। সাম্প্রতিক ILO অনুমান অনুসারে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৬০ মিলিয়ন শিশু শিশুশ্রমে নিযুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে ৭৯ মিলিয়ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জড়িত।

বিশ্ব শিশু শ্রম বিরোধী দিবস : তাৎপর্য—

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসটি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যে কাজ করে। প্রথমত, এটি শিশুশ্রমের বিশ্বব্যাপী ব্যাপকতার উপর আলোকপাত করে, সরকার, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে উত্সাহিত করে। এটি শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে আলোচনার জন্য, সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেওয়ার এবং অংশীদারিত্ব গঠনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।
এই দিনটি শিশুদের সুরক্ষার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো এবং প্রয়োগকারী ব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন করার একটি সুযোগ। এটি মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং সামাজিক পরিষেবাগুলিতে উন্নত অ্যাক্সেসের আহ্বান জানায়, কারণ শিশু শ্রম প্রতিরোধ ও নির্মূল করার জন্য শিক্ষা একটি মূল কারণ। অধিকন্তু, এটি শিশুশ্রমের মূল কারণগুলি যেমন দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগের অভাব মোকাবেলার গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১২ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১২ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–
(ক) শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬০ – স্যার আশুতোষ চৌধুরী, বাংলার যশস্বী আইনজীবী, শিক্ষব্রতী।  .
১৮৬১ – উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার।

১৮৭১ – হেমচন্দ্র কানুনগো, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৮৭৩ – লুসিলা গামেরো ডে মেডিনা, হন্ডুরীয় ঔপন্যাসিক।

১৮৮৩ – রবার্ট লোভি, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নৃবিজ্ঞানী।
১৯২২ – মারগেরিতা হ্যাক, ইতালিয় জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখিকা।

১৯২৪ – জর্জ এইচ. ডব্লিউ. বুশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪১তম রাষ্ট্রপতি।
১৯২৯ – আন ফ্রাংক, জার্মান নাৎসি বাহিনীর হাতে নিহত ও দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্লখ্যাত কিশোরী।

১৯২৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি বর্বরতার শিকার দিনলিপি লেখিকা আনা ফ্রাংকের জন্ম।

১৯৩৫ – ইয়ান ক্রেগ, অস্ট্রেলীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৩৯ – জিওফ গ্রিফিন, দক্ষিণ আফ্রিকান সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৫৬ – টেরি অল্ডারম্যান, অস্ট্রেলীয় সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৫৭ – জাভেদ মিয়াঁদাদ, পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৫৯ – জালালউদ্দিন, পাকিস্তানি সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬১ – রড ল্যাথাম, নিউজিল্যান্ডীয় সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬৪ – আমেরিকান অভিনেত্রী পাওলা মার্শাল এর জন্ম।
১৯৭৬ – রে প্রাইস, জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৭৯ – দিয়েগো মিলিতো, আর্জেন্টিনীয় সাবেক ফুটবলার।
১৯৮৪ – ক্রিস আমিনি, পাপুয়া নিউগিনির ক্রিকেটার।
১৯৮৮ – তানভীর আফজাল, হংকংয়ের ক্রিকেটার।
১৯৯২ – ফিলিপি কৌতিনিউ, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৮ – ফিলিপাইন স্বাধীন হয়।
১৯৪৪ – বিশ্বের প্রথম ধরনের ভি-১ ক্ষেপণাস্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।
১৯৬৪ – রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে সাতজন সংগ্রামীসহ দক্ষিণ আফ্রিকার মুক্তি আন্দোলনের নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
১৯৭৬ – উরুগুয়েতে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট জুয়ান বর্দাবেরি ক্ষমতাচ্যুত
১৯৭৮ – বাংলাদেশে প্রেসিডেন্ট পদে জিয়াউর রহমানের শপথগ্রহণ
১৯৮২ – পারমাণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের হাজার হাজার লোক রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
১৯৯০ – বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংবিধানের দশম সংশোধনী গৃহীত হয়।
১৯৯১ – বেআইনি অস্ত্র রাখার দায়ে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।
১৯৯১ – রাশিয়া ফেডারেশনের প্রথম সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ – বরিস ইয়েলেৎসিন রাশিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৯৩ – কম্বোডিয়া বিভক্ত হয়ে আলাদা রাষ্ট্র সাম্বেডিয়ার জন্ম।
১৯৯৬ – বাংলাদেশের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ – বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা অপহৃত হন।
১৯৯৮ – পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর অপরাধে পাকিস্তান ও ভারতকে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর ঋণদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ।
২০০২ – আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) উদ্যোগে প্রথম বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবসটি পালিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৯৭ – ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি কবি।

১৯০৪ – যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাভূষণ, ভারতের বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত, চিন্তাবিদ ও সাংবাদিক।
১৯১২ – ফ্রেদেরিক পাসি, ফরাসি অর্থনীতিবিদ এবং শান্তিকর্মী।
১৯১৪ – প্রখ্যাত সমাজসেবী, দানবীর ও ঔষধ ব্যবসায়ী বটকৃষ্ণ পাল।
১৯৭২ – প্রগতিবাদী মারাঠী সাহিত্যিক ডি.ডি তেন্ডুলকার।
১৯৮৩ – নর্মা শিয়েরার, কানাডীয়-মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৮৬ – অমিয় চক্রবর্তী, ভারতীয় বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, গীতিকার এবং সুরকার।

১৯৯৩ – (ক)  হাসিরাশি দেবী, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও লেখিকা।

(খ) বিনয়রঞ্জন সেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থায় প্রথম ভারতীয় বাঙালি পরিচালন অধিকর্তা।
২০০৩ – গ্রেগরি পেক, মার্কিন অভিনেতা।
২০০৩ – রোমেনা আফাজ, বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক।
২০১২ – এলিনর অস্ট্রম, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
২০১৪ – শক্তিপদ রাজগুরু, একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক।
২০১৭ – চার্লস পি. থ্যাকার, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০১৯ – সিলভিয়া মাইলস, মার্কিন অভিনেত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১১ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ১১ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
আজ যাদের জন্মদিন—-

খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ – মহান আলেকজান্ডার, গ্রীক বীর ও সম্রাট।

১৫৭২ – বেন জনসন, ইংরেজ নাট্যকার, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।
১৮৮৫ – উকিল মুন্সী, বাংলাদেশী বাঙালি গীতিকবি।

১৮৯৭ – রামপ্রসাদ বিসমিল, মণিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী।
১৮৯৯ – নোবেলজয়ী (১৯৬৮) জাপানি সাহিত্যিক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা।

১৯০১ – প্রমথনাথ বিশী, বাঙালি লেখক, শিক্ষাব্রতী ও সাংসদ।
১৯০৮ – জর্জ পেইন, ইংরেজ সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯১৯ – রিচার্ড টড, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৩৭ – ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন।
১৯৩৯ – র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, ইংরেজ সাবেক প্রমীলা ক্রিকেটার।
১৯৪২ – সোমাচন্দ্র ডি সিলভা, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৪৭ – বিহারের রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদব।
১৯৫১ – কলিস কিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার।
১৯৬০ – মেহমেত ওজ, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, কার্ডিওথোরাসিক সার্জন, অধ্যাপক, ছদ্মবিজ্ঞান প্রবর্তক এবং লেখক।
১৯৬২ – মানো মেনেজেস, ব্রাজিলীয় সাবেক ফুটবলার ও কোচ।
১৯৬৯ – পিটার ডিংকলেজ, মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক।
১৯৭৮ – ড্যারিল টাফি, সাবেক ও প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৬ – মিচেল ম্যাকক্লেনাগান, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।
১৯৮৯ – রিচমন্ড মুতুম্বামি, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার।
১৯৯১ – স্তাফানি টেলর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০৯ – ক্যাথরিনকে ইংল্যান্ডের রাজা ৮ম হেনরির বিয়ে করেন।
১৭২৭ – দ্বিতীয় জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত।
১৭৬০ – মহীশুরের নবাব হায়দার আলির সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৮৮ – রাশিয়ার অভিযাত্রী গেরাসিম ইসমাইলভ আলাস্কায় পৌঁছেন।
১৮৪৬ – মৌলবি ফরিদ উদ্দিন খাঁর সম্পাদনায় বহুভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জগদুদ্দীপক ভাস্কর’ প্রকাশিত হয়।
১৮৫৫ – বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে সূর্য রশ্মির বিভাজন আবিষ্কার হয়।
১৯৪২ – সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৬৩ – রাজা পলের ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিবাদে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কনস্টান্টিন কারমানসিসের পদত্যাগ।
১৯৮১ – ইরানে ভূমিকম্পে দেড় হাজার লোক নিহত ।
১৯৯১ – নোবেল শান্তি পুরস্কার ভূষিত মাদার তেরেসা বাগদাদ সফরে যান।
২০০৭ – বাংলাদেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ প্লাবন ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিল।
২০১৭ – চট্টগ্রামসহ রাঙামাটি ও বান্দরবানে দুই দিনের টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছিল।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৫৯ – ক্লেমেন্স ভন মেটরনিখ, অস্ট্রীয় সাম্রাজ্য-এর বিদেশমন্ত্রী।
১৮৬০ – রামকমল ভট্টাচার্য, সংস্কৃত পণ্ডিত, গ্রন্থকার এবং লেখক।
১৯০৩ – সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার ও রানী দ্রাগা বেলগ্রেডে আততায়ীর হাতে নিহত।

১৯০৪ – চন্দ্রশেখর সিংহ সামন্ত, প্রখ্যাত ভারতীয় পণ্ডিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৯২৭ – উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংরেজ সাবেক ঘরোয়া ক্রিকেটার।

১৯২৮ – শৈলেশ্বর বসু, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।
১৯৩৬ – আমেরিকার লেখক রবার্ট ই. হাওয়ার্ড।

১৯৬২ – ছবি বিশ্বাস, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

১৯৭০ – লীলা নাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।
১৯৭৯ – জন ওয়েন, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

১৯৯৭ – মিহির সেন, বাঙালি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দূরগামী সাঁতারু।
২০০১ – টিমোথি ম্যাকভেই, আমেরিকান সন্ত্রাসী।
২০০৫ – ভাস্কো গনসালভস পর্তুগালের ১০৩তম প্রধানমন্ত্রী।
২০১৫ – রন মুডি, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, সুরকার এবং লেখক।
২০১৬ – ডোনাল্ড কার, জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আবার পাহাড়ে – এক ভ্রমণ কাহিনী।।।।

পাহাড় আমার ভালোবাসা। পাহাড় আমাকে ডাকে । তাই জীবনের অনেক গুলো বছর শুধু হিমালয়ের কোলে কোলে ঘুরে বেড়িয়েছি। পাহাড়ের মানুষদের ভালো বেসেছি।যে কটি দিন থাকতাম ওদের সুখ ওদের দুঃখ ভাগ করে নিয়েছি।আমাদের সমতলের মানুষের মতো ওরা জটিল নয়।সাদা মনের মানুষ। খুব সহজেই সবাইকে আপন করে নেয় । সেবারে আমরা খাটলিং গ্লেসিয়ার ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম ।

সংগে আমাদের আট বছরের ছেলে ও সংগী হয়েছিল। আমাদের গাইড পোর্টার তো ছিলই । ওর জন্য একজন আলাদা গাইড নেওয়া হয়েছিল যে ওর ছায়া সঙ্গী র মতো পাশে পাশে থাকবে । দুর্গম হাঁটাপথে আমরা নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিলাম। নাম ছিল তার সাম সিং।গাঁট্টাগোট্টা অথচ খুব সুন্দর ।আমার ছেলে’ বব।’খুব ভাব হয়ে গেল দুজনের। জনমানবহীন পাহাড়ি পথে ছোট্ট হলেও আমাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মনের আনন্দে ট্রেক করেছিল সাম সিং বন্ধু হয়ে গিয়েছিল বলে।সারা রাস্তা ছোট্ট বাবু টিকে কতো যে পাহাড়ের গল্প বলতো সেই গল্প শুনতে শুনতে কতো চড়াই উতরাই অক্লেশে পার হয়ে ছিল ভাবলে আমরাও আশ্চর্য হয়ে যাই।
গাড়োয়াল হিমালয়ের টেহেরি ডিসট্রিক্টে
খাটলিং গ্লেসিয়ার। এর তলায় একদম নীচে ভীলাঙ্গনা নদীর উৎস।বাবল্ এর মতো বুদবুদ করে নদী বেরিয়ে আসছে।অপূর্ব তার সৌন্দর্য ।চারিদিকে বরফে ঢাকা পাহাড় ।যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড় । ঘুত্তু ,রী , গাঙ্গীখরশোলি, বেদিখরাগ ,খাটলিং। এই আমাদের যাত্রা পথ। ঘুত্তু থেকে শুরু হাঁটা।এতো সবুজ গাছগাছালির মধ্যে দিয়ে হাঁটাপথ আমরা খুব সুন্দর দৃশ্যাবলি দেখতে দেখতে রী তে এসে পৌঁছলাম। এরপর খরস্রোতা নদী পার হয়ে পরদিন সকালে রওনা হলাম খরশোলি হয়ে বেদি খরাগে।খরশোলি পাহাড়ের কোলে সবুজে মোড়া বিশাল এক ময়দান।সে যে কি অপূর্ব। আর সেখানে চরে বেড়াচ্ছে শত শত ঘোড়া। জোড়ায় জোড়ায়।বাচ্চা নিয়ে মা ঘোড়া। সাদা কালো জোড়া সাদা সাদা জোড়া বাদামি খয়েরি সব জোড়ায় জোড়ায়।কি সে দৃশ্য না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না। আমার ছোট্ট ছেলে বিস্ময়ে চেঁচিয়ে বলে উঠলো ঐ দেখো সাম সিং সাদা ঘোড়ার কালো বাচ্চা। তার হাততালি তে সারা পাহাড় মুখর হয়ে উঠলো।আমি সারা জীবনে এরকম স্বর্গীয় সৌন্দর্য কখনও আর দেখিলি। আসলে এটা ঘোড়া দের ব্রিডিং সেন্টার। আমরা ট্রেকিং এর পথে অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু এরকম বুনো ঘোড়ার সম্মেলন কখনও কোথাও দেখতে পাইনি। হাঁটাপথের সব ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে গেল ।দূরে একটি চালা ঘরে এদের বৃদ্ধ মালিক চুল করে বসে হাসছে আমাদের আনন্দ দেখে। এখনও অনেক পথ বাকী ।গাইড তাড়া দিয়ে আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেল।
ঠিক হল বেদিখরাগে একটু নাস্তা করে খাটলিং এর পথে এগিয়ে যাবো।মাঝে মাঝেই রাস্তা জুড়ে বরফের জমে যাওয়া স্রোত পথ বন্ধ করে নেমেছে নীচে।আইস এক্স দিয়ে গাইডেরা পা রাখার মতো গর্ত খুঁড়ে দিয়ে আমাদের পথচলা র পথ তৈরি করে দিচ্ছে । আমরা অতি সাবধানে সেই পথ এক পা এক পা করে পার হয়ে যাচ্ছি। একবার পা ফসকে গেলেই কোথায় যে তলিয়ে যাব কেউ জানে না। এরকম তিন চারটি গ্লেসিয়ার পার হয়ে আমরা
বেদি খারগে পৌঁছালাম।সবাই বেশ ক্লান্ত। একমাত্র আমার খুদে সদস্য আর তার বন্ধু বহালতবিয়তে গল্প করে চলেছে। আমি ও আমার দলের সবাই তাই দেখে খুব নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। সামান্য খাওয়া দাওয়া করে আমরা খাটলিং এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
এই পথটি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া। অজস্র নাম না জানা বৃহৎ গাছের ডালপালা সরিয়ে সরু পাহাড়ীপথে আমরা চুপচাপ চলেছি। যেমন সুন্দর তেমন বিভীষিকা। থমথমে সবাই নিস্তব্ধতায় হেঁটে চলেছি। গাইড রাও কেমন চুল করে গেছে। চার পাঁচ মাইল আসার পর সামনে উন্মুক্ত তুষারশৃঙ্গ বলে দিল যেন আমরা এসে গেছি।কতো রূপে যে চোখের সামনে খাটলিংগ্লেসিয়ার আবির্ভূত হয়ে এলো।আজও চোখ বুজলে তিরিশ বছর আগের দেখা স্বপ্ন মাখা দৃশ্য ভেসে ওঠে। অনেক নীচে নদী। সেই গভীর ময়দানে নদীর উৎসে আর যাওয়া হলো না।গাইবার প্রচন্ড তাড়া দিয়ে নামিয়ে নিয়ে এলো আমাদের। আবার সেই বুনো পথ। আমার ছেলের ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। সাম সিংওকে পিঠে তুলে নিয়ে দুদ্দাড় করে এগিয়ে গেল। অনেক পথ পেরিয়ে আমরা আবার বেদিখরাগে এসে পৌঁছালাম। ওখানে একটু রান্নার আয়োজন করা হয়েছে। খিচুড়ি আর আলুভাজি।পোর্টাররা খুব ব্যস্ত হয়ে চটপট রান্না করে খাইয়ে দাইয়ে আমাদের বিশ্রাম করতেও দিল না। শুধু তাড়া দিয়ে রী এর পথে নামতে বললো। আমরা এতো খানি ট্রেকিং করে রিল্যাক্সড মুডে আড্ডা দিতে চাইলে গাইড গম্ভীর মুখে বললো আভি রী মে চলো।বাদ মে ক্যাম্প ফায়ার হো গা। এতো রাগ হলো গোমড়ামুখো গাইডের ওপর। আমরা কোন কথা না বলে রী এর পথে পা বাড়ালাম।
রী এর বাংলোতে দেখি সাম সিং আমার ছেলেকে কোলে নিয়ে বসে আছে।মুখ টা খুব বিষন্ন। আমরা ভাবলাম বেচারি র খুব কষ্ট হয়েছে। রাত্রে আমরা টেন্টে নিজেরাই হৈ হুল্লোড়।করলাম। ছেলে আমার ক্লান্ত হয়ে ঘুমোচ্ছে। সাম সিং অনেক রাতে খবর নিয়ে গেল ছোটা সাব ঠিক হ্যায় কিনা। আমরা তখন মজা মস্তি গল্পে মশগুল। আর ছেলে তো আরামসে ঘুমোচ্ছে। আজ ট্রেকিং এর শেষ রাত।মনে স্ফূর্তি একটু নাচা গানা না হলে মন ভরে না। কিন্তু এবারের গাইড আর পোর্টারগুলো যেন কেমন। কাল তো ঘুত্তু। থেকে সোজা ঋষিকেশ। টায়ার্ড ছিলাম সবাই কখন ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরদিন সকালে দেখি সাম সিং দুজন গাইড দুজন পোর্টার দুজন ঘোড়াওলা একসঙ্গে আমাদের টেন্টের বাইরে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে আছে চোখমুখ রাত জাগা য় ক্লান্ত বিষন্ন। আমরা বেরোতেই একসাথে সবাই জিজ্ঞেস করে উঠলো ছোটা সাবধানে ঠিক হ্যায়? আমার ছেলে রিনরিন করে বলে উঠলো হাম ঠিক হ্যায়।আচ্ছা হ্যায়।গুড মর্নিং সবকো।ওরা হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। দেবতার ফুল ওর গায়ে মাথায় ঠেকিয়ে বললো ভগবান মালা করে গা জরুর। হামলোক সারারাত পূজা কিয়া আপ কো লিয়ে সাব।
পরে জানলাম ওখানে গাছের এক রকমের গন্ধ আছে।সেই গন্ধে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে। আর সেই ঘুম ভাঙে না কোনও দিন। ছোটাসাবের সেই গন্ধ লেগেছিল সাব। হাউহাউ করে কাঁদছে তো কাঁদছে। আমি শুনেই ওদের সঙ্গে কাঁদতে শুরু করে দিলাম। আমাদের এক দাদা হিমালয়ে তার জীবন কেটেছে।আমাদের অভিভাবক এবং সহ যাত্রী। তিনি সবাইকে ধমক দিয়ে চুপ করালেন। আভি তো সব ঠিক হ্যায়।রোনা দোনা বন্ধ্ করো। খুশি বানাও।মিঠাই খিলাও। কলকাতা থেকে আনা ভীমনাগের কড়াপাকের একবড়বাক্স সন্দেশ ওদের হাতে দিয়ে বললেন আভি মু মিঠা করো। আমার ছেলেকে ডেকে বললেন বব যাও নিজের হাতে ওদের মিষ্টি খাইয়ে দাও। আমার ছেলে ওদের কোলে উঠে সবাইকে যত্ন করে মিষ্টি খাইয়ে দিল। ওদের চোখে তখনও জল মুখে সলাজ হাসি। তখনই উপলব্ধি করলাম পাহাড়ের মানুষের ভালোবাসা কতো গভীর। দুদিনের চলা পথের সাথী কে কতো আপন করে নিয়েছে তাদের হৃদয়ের মাঝে। এবার আমার কান্না হলো শুরু।আমার কতো বড়ো বিপদের দিন ওরা নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল। আমার কান্না র আওয়াজ ওদের কানে যেতে ই ওরা সবাই দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে মাতাজী মাত্ রো। মাত্ রো বিটিয়া। ওরা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলতে থাকবো মাত রো বিটিয়া।সেই স্নেহের পরশ এখনও আমার শরীরে মাখানো আছে।সএতোদিন পরে লিখছি চোখে জলে ভেসে যাচ্ছে ।
এবার আমরা ঘুত্তু তে ফিরে এলাম। তারপর ঋষিকেশ হয়ে দিল্লি ।তারপরে কোলকাতা ।আমার এই লেখা ভ্রমণের। কিন্তু তার সাথে নিয়ে এলাম এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। উপলব্ধি করে এলাম পাহাড়ের মানুষের কোমল হৃদয় আর তাদের প্রাণের ভালোবাসা।

।। কলমে : শীলা পাল।।

Share This