Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব মানবতা দিবস ও বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস, জেনে নেবো দিনটির গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা ৷।।

(ক) বিশ্ব মানবতা দিবস।
মানবতাবাদীরা জীবন বাঁচাতে এবং রক্ষা করার জন্য একটি ভাগ করা মিশন দ্বারা একত্রিত হয়।  তারা মানবিক নীতির সাথে কখনই আপস করবে না এবং সর্বদা তারা যে লোকেদের সেবা করে তাদের জন্য সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করে।  যাইহোক, মানবিক কাজটি কঠিন এবং বিপজ্জনক, কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং প্রয়োজনে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানের জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি ত্যাগ করি না, #NoMatterWhat।
এদের মূল নীতি হল মানবতা, নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষতা এবং স্বাধীনতা।
জাতিসংঘের নির্দেশনায় প্রতি বৎসর ঊনিশে আগস্ট সারা বিশ্বে উদযাপিত হয় – বিশ্ব মানবতা দিবস (ইংরেজি: World Humanitarian Day)। যাঁরা চরম আত্মত্যাগ করে, মানব সেবায় ব্রতী হয়েছেন, যাঁরা মানব কল্যাণে, মানবের উন্নতি সাধনে নিজেদের জীবন উত্‍‌সর্গ করেছেন জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে তাঁদের উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধায় পালিত হয় দিনটি।
প্রেক্ষাপট—-
১৯ আগস্ট ২০০৩-এ, ইরাকের বাগদাদের ক্যানাল হোটেলে বোমা হামলায় ২২ জন মানবিক সহায়তা কর্মী নিহত হয়, যার মধ্যে ইরাকের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি সার্জিও ভিয়েরা ডি মেলোও ছিলেন।  পাঁচ বছর পর, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯ আগস্টকে বিশ্ব মানবিক দিবস (WHD) হিসেবে মনোনীত করে একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করে।
প্রতি বছর, WHD একটি থিমের উপর ফোকাস করে, মানবিক ব্যবস্থা জুড়ে অংশীদারদের একত্রিত করে সঙ্কটে আক্রান্ত মানুষের বেঁচে থাকা, মঙ্গল এবং মর্যাদার জন্য এবং সাহায্য কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার পক্ষে।
এই বছরের WHD-এর জন্য, আমরা মানবিক কাজের গুরুত্ব, কার্যকারিতা এবং ইতিবাচক প্রভাব দেখাই।
WHD হল জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস (OCHA)-এর একটি প্রচারাভিযান।
স্মৃতিরক্ষা—–
তার সেই মহান ব্রত যাতে থমকে না যায়, সেজন্য গঠিত হয়েছে সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ফাউন্ডেশন। তাদের উদ্যোগে এবং ফ্রান্স, সুইত্‍‌জারল্যান্ড, জাপান এবং ব্রাজিলের মতো সদস্য দেশের সহায়তায় সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ও তার সহকর্মীদের প্রয়াণ দিবসটিকে জাতিসংঘ ২০০৮ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসের A/63/L.৪৯ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুসারে “বিশ্ব মানবতা দিবস” হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে এবং ২০০৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ শে আগস্ট প্রথম বিশ্ব মানবতা দিবস পালিত হয়। তদনুসারে প্রতি বৎসর বিভিন্ন ভাবনায় তথা প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে সারা বিশ্বে সদস্যদেশগুলি বিশ্ব মানবতা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্‌যাপন করে আসছে।
ভাবনার মূল লক্ষ্য—
সারা বিশ্বে কমবেশি তেরো কোটি মানুষ কেবল মানবিক সহায়তার উপর ভর করে বেঁচে আছে। এদের যদি এক সাথে দলবদ্ধ করে পৃথিবীর কোন স্থানে আশ্রয় দেওয়া হয়,তাহলে সেটি পৃথিবীর দশম জনবহুল দেশ হিসাবে পরিগণিত হবে। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তীব্র অরক্ষিত অবস্থার মধ্যে বসবাসকারী এমন অসহায় মানুষের জীবনে প্রয়োজন সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো এর মত মানুষের একটু সাহায্যের হাতের পরশ। প্রতি বৎসর ভিন্ন ভিন্ন ভাবনায় প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে উদযাপিত হলেও আসল লক্ষ্য কিন্তু স্থির।
এই বছর, আমাদের বিশ্ব মানবিক দিবসের প্রচারণা বিশ্ব মানবিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করে ইরাকের বাগদাদে জাতিসংঘের সদর দফতরে হামলার বিংশতম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং আমরা যে সম্প্রদায়গুলিকে সেবা করি তাদের জন্য আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে, যেই হোক না কেন।
মানবতাবাদীদের জীবন বাঁচানো ও রক্ষা করা এবং জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই, তারা যে সম্প্রদায়ের সেবা করে এবং আশা নিয়ে আসে তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ায়।
১৯ আগস্ট, আমরা বিশ্বজুড়ে মানবতাবাদীদের সম্মান জানাতে একত্রিত হই যারা ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করে।  বিপদ বা কষ্ট যাই হোক না কেন, মানবতাবাদীরা দুর্যোগ-পীড়িত অঞ্চলে গভীরভাবে এবং সংঘাতের প্রথম সারিতে, প্রয়োজনে মানুষকে বাঁচাতে এবং রক্ষা করার চেষ্টা করে।

(খ) বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস ৷
বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস ডেগুয়েরোটাইপের উদ্ভাবনকে স্মরণ করে, একটি ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া যা ১৮৩৭ সালে লুই ডাগুয়েরের দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল যা ফটোগ্রাফির ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত।  দিনটি ফটোগ্রাফির শিল্প এবং বিজ্ঞানের জন্য উত্সর্গীকৃত।
প্রতি বছর ১৯ আগস্ট বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস পালিত হয়।
ইতিহাস:—
বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস ১৯ আগস্ট, ১৮৩৯ তারিখে ফ্রেঞ্চ একাডেমি অফ সায়েন্সেস দ্বারা জনসাধারণের কাছে ড্যাগুয়েরোটাইপ প্রক্রিয়ার ঘোষণার স্মরণে।  আলো-সংবেদনশীল পৃষ্ঠে স্থায়ী ছবি তোলার প্রথম পদ্ধতির মধ্যে একটি ছিল ডাগুয়েরোটাইপ প্রক্রিয়া।
দিনটির উৎপত্তি ১৮৩৭ সালে যখন প্রথম ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া, ‘ড্যাগুয়েরোটাইপ’ ফরাসী লুই ডাগুয়ের এবং জোসেফ নিসেফোর নিপস দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল।  ৯ জানুয়ারী, ১৮৩৯-এ, ফ্রেঞ্চ একাডেমি অফ সায়েন্সেস এই প্রক্রিয়াটি ঘোষণা করে এবং পরে একই বছরে, ফরাসি সরকার এই আবিষ্কারের জন্য পেটেন্ট কিনেছিল এবং এটি “বিশ্বকে বিনামূল্যে” উপহার হিসাবে দেয়।
যাইহোক, প্রথম টেকসই রঙিন ফটোগ্রাফটি ১৮৬১ সালে তোলা হয়েছিল এবং প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা আবিষ্কারের ২০ বছর আগে ১৯৫৭ সালে প্রথম ডিজিটাল ফটোগ্রাফ উদ্ভাবিত হয়েছিল তা নিয়েও জল্পনা রয়েছে।
তাৎপর্য:—
বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবস ফটোগ্রাফিকে শিল্পের একটি বৈধ রূপ হিসাবে তুলে ধরে, ফটোগ্রাফারদের বিভিন্ন কৌশল, রচনা এবং শৈলী নিয়ে পরীক্ষা করতে উত্সাহিত করে।  এটি গল্প বলার, আবেগ ক্যাপচার এবং স্মৃতি সংরক্ষণে ফটোগ্রাফির শক্তির প্রশংসা করতে লোকেদের উত্সাহিত করে।
এটি ফটোগ্রাফির প্রযুক্তিগত দিক, সরঞ্জামের অগ্রগতি এবং ফটোগ্রাফিক কৌশলগুলির বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করার একটি দিন যখন ফটোগ্রাফার এবং উত্সাহীরা প্রায়শই তাদের প্রিয় ছবি, চিত্রগুলির পিছনের গল্প এবং তাদের সৃজনশীল প্রক্রিয়ার অন্তর্দৃষ্টিগুলি ভাগ করে।
উদযাপন:—
সারা বিশ্বের ফটোগ্রাফার এবং ফটোগ্রাফি উত্সাহীরা ফটো তোলার মাধ্যমে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের কাজ ভাগ করে এবং ফটোগ্রাফি-সম্পর্কিত ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে দিনটি উদযাপন করে।  ফটোগ্রাফারদের প্রতিভা প্রদর্শন করতে, তাদের নৈপুণ্যের তাৎপর্য এবং ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নথিপত্রে ফটোগ্রাফি যে ভূমিকা পালন করে তা প্রতিফলিত করার জন্য বিশ্ব ফটোগ্রাফি দিবসে অনেক ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী, কর্মশালা এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
এই দিনে, জীবনের সমস্ত স্তরের লোকেরা ফটোগ্রাফি অফার করে এমন দৃশ্যের গল্প বলার প্রশংসা করতে একত্রিত হয় এবং ফটোগ্রাফারদের উদযাপন করে যারা এমন মুহূর্তগুলি ক্যাপচার করে যা অনুপ্রেরণা দেয়, অবহিত করে এবং আবেগকে উস্কে দেয় এবং তাদের কাজের প্রভাবকে স্বীকৃতি দেয়।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান ।।।।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  শিমলা। এখন আমরা জানব শিমলার কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
শিমলা  উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী। উত্তরে মান্ডি এবং কুল্লু জেলা, পূর্বে কিন্নুর, দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তরখান্ড এবং সোলান-সিমুর জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইংরেজ শাসনামলে শিমলাকে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৭১ সাল থেকে শিমলা পাঞ্জাবের রাজধানী ছিল, পরে ১৯৭১ সালে হিমাচলের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়। মাত্র দুই লক্ষ লোকের আবাস এই শিমলায়, যা ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার প্রাদেশিক রাজধানীও বটে।
শিমলা এর দর্শনীয় স্থানগুলো
ক্রাইস্ট চার্চ —
উত্তর ভারতের প্রাচীনতম গির্জাগুলোর মধ্যে একটি ক্রাইস্ট চার্চ। এটি দ্য রিজে অবস্থিত একটি সুন্দর নিও-গথিক শৈলীর চার্চ।  ক্রাইস্ট চার্চটি ১৮৪৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি উত্তর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম গির্জা। ক্রাইস্ট চার্চটি রিজ্-এ অবস্থিত এবং এটি তার এলিজাবেথীয় স্থাপত্য ও তার নকশায়িত কাঁচের জানলার জন্য পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও গির্জাটিতে একটি পাইপ অর্গান রয়েছে, যেটি দেশের সবচেয়ে এক অন্যতম বৃহৎ হিসাবে বিবেচিত হয়। জানালা, অলঙ্কৃত স্থাপত্য, এবং নির্মল পরিবেশ এখানে স্থাপত্য এবং ইতিহাস উত্‍সাহীদের জন্য এটিকে অবশ্যই দেখার মতো করে তোলে।
সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল—-
সেন্ট মাইকেল চার্চ ১৮৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটা শিমলার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা। এটিতে পাঁচটি মার্বেলের বেদী আছে যেগুলি ১৮৫৫ সালে ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এছাড়াও গির্জাটিতে সুন্দর নকশায়িত কাঁচের জানলা রয়েছে, যেগুলি চোখদুটিকে উচ্ছাসিত করে তোলে।
জাখু মন্দির—
জাখু পাহাড়ে অবস্থিত সিমলার সর্বোচ্চ বিন্দু জাখু মন্দির একটি জনপ্রিয় মন্দির। জাখু পাহাড় হল শিমলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং পারিপার্শ্বিক ভূ-প্রকৃতির এক অত্যাশ্চর্য নিদারুণ দৃ্শ্য পরিদর্শন করা যায় । পাহাড়ের চূড়ায় স্থিত জাখু মন্দির প্রভু হনুমানের প্রতি উৎসর্গীকৃত। স্থানীয় কিংবদন্তিদের অনুমান অনুযায়ী, সঞ্জীবনী ঔষধি বিদ্যমান এই পাহাড়টিকে তুলে নিয়ে আসার সময় প্রভু হনুমান এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এর ফলস্বরূপ, এই স্থানটি একইভাবে ভক্ত এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মন্দিরটি থেকে সিমলা এবং আশপাশের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এই মন্দিরে যাওয়াই একটি দুঃসাহসিক কাজ।
সামার হিল—-
সিমলা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সামার হিল একটি নির্মল এবং মনোরম জায়গা, যা তার সবুজ ও নির্মল পরিবেশের জন্য পরিচিত। বাণিজ্যিক সিমলার শত ব্যস্ততা থেকে দূরে কোনও স্থান অন্বেষণকারী পর্যটকদের মধ্যে সামার হিল হল খুবই জনপ্রিয়। এর পথের চারপাশে ওক, সেডার, রডোডেনড্রন এবং আরোও অনেক গাছপালা বেড়ে উঠেছে। এখানে অবস্থিত ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল এই এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত ভবন, কারণ এটিই সেই জায়গা যেখানে মহাত্মা গান্ধী শিমলা ভ্রমণের সময় ছিলেন। এটি প্রকৃতির পদচারণা, পিকনিক এবং উপত্যকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত স্থান।
দ্যা রিজ —
মল রোডের পাশে অবস্থিত দ্য রিজ একটি খোলা জায়গা, যা তুষারাবৃত হিমালয়ের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখায়। রিজ একটি উন্মুক্ত স্থান, যেটি শিমলার সবচেয়ে বেশি কার্যকলাপ কেন্দ্র রূপে পরিচিত। দ্য রিজ্ বা শৈলশ্রেণীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক আছে এবং বেশ কিছু কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি এখান থেকে পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলির এক সুন্দর দৃশ্য পরির্শনেরও সুযোগ দেয়। শহরের এই অংশটি শিমলার জনজীবনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটির নীচের জলাশয় শহরের একটি প্রধান অংশে জল সরবরাহের দায়ভারে রয়েছে।অবসরে হাঁটা, পিকনিক এবং সিমলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান।
ম্যাল রোড —
সিমলার সবচেয়ে বিখ্যাত আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি মল রোড। এটি দোকান, রেস্তোরাঁ এবং ঔপনিবেশিক যুগের ভবনে পূর্ণ একটি ব্যস্ত রাস্তা। শিমলার বিপূল সংখ্যক ল্যান্ডমার্ক এখানে অবস্থিত হওয়ায়, ম্যাল রোড পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও এখানে বেশ কিছু রেস্তোঁরা, ক্লাব, বার ও দোকান অবস্থিত হওয়ায় এটি শিমলার বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসাবেও বিবেচিত হয়। যেকোনও ক্রেতাদের জন্য ম্যাল রোড স্বর্গোদ্যানের ন্যায়।মল রোড অবসরে হাঁটা, স্থানীয় হস্তশিল্প কেনাকাটা করার এবং আশপাশের পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
ভ্যাইসরিগেল লজ—
অবসারভেটারী পাহাড়ের উপর অবস্থিত ভ্যাইসরিগেল লজ।এটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবেও পরিচিত। ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ভারতের ভাইসরয়, লর্ড ডাফরিনের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এই স্থানটি হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ আ্যডভান্স স্টাডিজ। লজটি সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের এক অত্যাশ্চর্য দৃ্শ্য পরিদর্শনেরও সুযোগ দেয়। ভাইসারেগাল লজ হলো একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশ ভাইসরয়ের গ্রীষ্মকালীন বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৯ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৯ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) বিশ্ব মানবতা দিবস।
(খ) বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস ৷
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০০ – সুশোভন সরকার, প্রখ্যাত বাঙালি ঐতিহাসিক।
১৯০৯ – (ক) হাজারী প্রসাদ দ্বিবেদী ভারতের হিন্দি সাহিত্যের খ্যাতনামা ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক।
(খ) ভারতীয় বাঙালি শিশু ও কিশোর সাহিত্যিক মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায়।  .
১৯১৫ – রিং লার্ডনার জুনিয়র, একজন মার্কিন সাংবাদিক ও চিত্রনাট্যকার।  .
১৯১৮ – শঙ্কর দয়াল শর্মা, ভারতের নবম রাষ্ট্রপতি।  .
১৯২৪ – উইলার্ড বয়েল, কানাডীয় মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী এবং চার্জ কাপল্‌ড ডিভাইস এর সহ-উদ্ভাবক।
১৯৩৫ – জহির রায়হান, প্রখ্যাত বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক, এবং গল্পকার।
১৯৪৬ – উইলিয়াম জেফারসন ক্লিনটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪২তম রাষ্ট্রপতি।
১৯৫০ – গ্রেম বিয়ার্ড, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫৭ – ইয়ান গোল্ড, সাবেক ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৬৯ – ম্যাথু পেরি, মার্কিন অভিনেতা।
১৯৯৬ -এ আর ফারুক,লেখক,সাংবাদিক।
১৯৭৩ – কার্ল বাফিন, সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৮৩০ – ইউলিয়ুস লোটার মাইয়ার, একজন জার্মান রসায়নবিদ।
১৮৬৩ – আশরাফ আলী থানভী, ভারত উপমহাদেশ দেওবন্দী আলেম, সমাজ সংস্কারক, ইসলামি গবেষক এবং পুরোধা ব্যক্তিত্ব।
১৮৭১ – অরভিল রাইট, উড়োজাহাজ আবিষ্কারক রাইট ভ্রাতৃদ্বয়-এর একজন।
১৮৭৮ – ম্যানুয়েল এল. কুয়েজন, ফিলিপাইনের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৬৩১ – ইংরেজ কবি জন ড্রাইডেন।
১৬৪৬ – জন ফ্ল্যামস্টিড, ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৯১৬ – রুমানিয়া মিত্রশক্তিদের সাথে মৈত্রীচুক্তি স্বাক্ষর করে এবং পুরস্কারস্বরূপ তাকে বুকোভিনা (Bukovina), ত্রাণ্সিলভানিয়া (Transylvania) এবং বানাত (Banat) দেয়ার কথা বলা হয়।
১৯৩৯ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিধানচন্দ্র রায় প্রমুখ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে কলকাতায় সুভাষচন্দ্র বসু পরিকল্পিত মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।
১৯৪০ – সোমালিল্যান্ড থেকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করা হয়।
১৯৪৪ – প্যারিসে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের সূচনা হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আপারভোল্টা।
১৯৯১ – গানাদি ইয়ানাউফের নেতৃত্বে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাবাহিনী সর্ব শেষ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্ভাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঘটায়।
১৭৫৭ – কলকাতার পুরোনো টাকশাল থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিল্লির নবাবের নামাঙ্কিত প্রথম মুদ্রা প্রস্তুত করেন।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৩ – সেরগিও ভিয়েরা দ মেলো ব্রাজিলের জাতিসংঘের কূটনীতিক ও মানবিক কর্মী।
২০১২ – টনি স্কট, ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।
২০১৩ – আবদুর রহমান বয়াতী, বাংলাদেশের একজন প্রসিদ্ধ লোকসঙ্গীত শিল্পী।
২০২১ – জুনায়েদ বাবুনগরী, দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক আমীর
১৯২৩ – ভিলফ্রেদো পারেতো, ইতালীয় শিল্পপতি, প্রকৌশলী, অর্থনীতিবিদ এবং দার্শনিক।
১৯৩৬ – ফেদেরিকো গারসিয়া লোরকা, আধুনিক স্প্যানিশ সাহিত্যের অন্যতম কবি।
১৯৬৩ – মৌলভি তমিজউদ্দিন খান, বাঙালি রাজনীতিবিদ, অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
১৯৬৮ – জর্জ গ্যামফ, ইউক্রেনীয় পদার্থবিজ্ঞানী এবং বিশ্বতত্ত্ববিদ।
১৯৭৬ – কেন ওয়াডসওয়ার্থ, নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – হারমায়োনি ব্যাডলি, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৯৩ – উৎপল দত্ত, বাংলা গণনাট্য আন্দোলনের সময়কার বিশিষ্ট অভিনেতা এবং নাট্যকার।
১৯৯৪ – লিনাস পাউলিং, আমেরিকান বিশ্ববিখ্যাত রসায়নবিদ।
১৮৮৭ – পুরাতত্ত্ব বিষয়ক রচনার জন্য খ্যাতিমান লেখক রামদাস সেন।
১৬৬২ – ব্লেজ পাস্কাল, ফরাসি গণিতজ্ঞ, পদার্থবিদ, উদ্ভাবক, লেখক এবং ক্যাথলিক দার্শনিক।
খ্রিস্টাব্দ ১৪ – আউগুস্তুস, রোমান সাম্রাজ্যের প্রথম সম্রাট।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৮ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।।

আজ ১৮ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯৮০ – এস্তেবান কাম্বিয়াসো, সাবেক আর্জেন্টিনীয় ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৩ – ক্যামেরন হোয়াইট, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও মেলবোর্ন স্টার্সের অধিনায়ক।
১৯৯৩ – মিয়া মিচেল, কজন অষ্ট্রেলিয়ান অভিনেত্রী এবং গায়িকা।
১৯০০ – বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, ভারতীয় কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদে ভারতের প্রথম মহিলা সভাপতি।
১৯০৮ – বিল মেরিট, নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
১৯২৭ – রোজালিন কার্টার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টারের সহধর্মণী।
১৯৩৩ – রোমান পোলান্‌স্কি, পোল্যান্ডীয় চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৩৩ – জুস্ত ফোঁতেন, ফ্রান্সের সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৩৪ – গুলজার, প্রখ্যাত ভারতীয় কবি, সুরকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৩৫ – গেইল ফিশার, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৩৬ – রবার্ট রেডফোর্ড, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯৫৪ – ভিকে শশিকলা, ভারতীয় ব্যবসায়ী মহিলা রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন
১৯৪৮ – ফারুক, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক, ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ।
১৯৪৯ – সেলিম আল দীন, বাংলাদেশী নাট্যকার, গবেষক।
১৯৫৬ – সন্দ্বীপ পাতিল, ভারতের সাবেক ও প্রথিতযশা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৬৭ – দলের মেহেন্দী, ভারতীয় কন্ঠশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, লেখক, প্রযোজক, সম্পাদক এবং পরিবেশবিদ।
১৯৬৯ – এডওয়ার্ড নর্টন, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, ও সমাজকর্মী।
১৭০০ – প্রথম বাজিরাও, একজন প্রসিদ্ধ ভারতীয় সেনাপতি।
১৭৫০ – আন্তোনিও সালিয়েরি, ইতালীয় ধ্রুপদী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক এবং শিক্ষক।
১৭৯৪ – জন ক্লার্ক মার্শম্যান ইংরেজ সাংবাদিক ও ঐতিহাসিক, জনপ্রিয় সংবাদপত্র “ফ্রেন্ড অব ইন্ডিয়া” র প্রকাশক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৮ – পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মুশাররফ চাপের মুখে পদত্যাগ করেন।
১৯৪৫ – তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু নিহত হন বলে সংবাদ প্রচারিত হয়।
১৯৫৮ – ব্রজেন দাস প্রথম বাঙালি ও প্রথম এশীয় হিসাবে ইংলিশ চ্যানেল সাঁতার কেটে অতিক্রম করেন।
১৯৫৮ – ব্লাদিমির নবোকভের বিখ্যাত ও বিতর্কিত উপন্যাস ‘ললিতা’ যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ হয়।
১৯৬১ – বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়-এর কার্যক্রম শুরু হয়।
১৯৬৩ – জেমস মেরেডিথ প্রথম কালো নাগরিক যিনি মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭১ – ভিয়েতনাম যুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড তাদের সেনা দল ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৯৭৪ – ভারত পাকিস্তান সীমান্তবর্তী রাজস্থান প্রদেশের মরুভূমিতে প্রথম পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় ।
১৮০০ – লর্ড ওয়েলেসলি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপন করেন।
১৮০৪ – ফ্রান্সের সংসদ সিনেটে এক আইন পাশের মধ্য দিয়ে নেপোলিয়ান বেনাপোর্ট সেদেশের সম্রাট হিসাবে আত্ম প্রকাশ করেন ।
১৮১২ – স্মোলেনস্কের যুদ্ধে রুশরা নেপোলিয়ানের কাছে পরাজিত হন।
১৮৩০ – ফ্রান্স আলজেরিয়া দখলের জন্য ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে ।
১৫৮৭ – আমেরিকায় প্রথম ইংরেজ শিশু ভার্জিনিয়া ডেয়ারের জন্ম।
১২০১ – রিগা শহর প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৯ – কিম দায়ে জং, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
২০১৫ – শুভ্রা মুখোপাধ্যায়, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী।
১৯৪৫ – সরলা দেবী চৌধুরানী, বিশিষ্ট বাঙালি বুদ্ধিজীবী।
১৯৪৫ – সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি নেতা।
১৯৬৮ – মওলানা মুহাম্মদ আকরাম খাঁ, একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ।
১৯৬৯ – হুমায়ুন কবির, ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও দার্শনিক।
১৯৭৫ – শওকত আলী, রাজনীতিবিদ এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন অন্যতম নেতা।
১৯৮০ – দেবব্রত বিশ্বাস, স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসঙ্গীত গায়ক ও শিক্ষক।
১৯৯৮ – পার্সিস খামবাট্টা, একজন ভারতীয় মডেল ও অভিনেত্রী।
১৮৫০ – অনরে দ্য বালজাক, ঊনবিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক এবং নাট্যকার।
১৮৯৮ – রামতনু লাহিড়ী, বাঙালি সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাসংগঠক।
১৬৪৮ – ইব্রাহিম (উসমানীয় সুলতান), অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতান ছিলেন।
১২২৭ – চেঙ্গিজ খান, প্রধান মঙ্গোল রাজনৈতিক ও সামরিক নেতা বা মহান খান, ইতিহাসেও তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ ও সেনাপতি।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার কয়েকটি দর্শনীয় স্থান (প্রথম পর্ব)।।।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  শিমলা।এখন আমরা জানব শিমলার কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।
শিমলা  উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশের রাজধানী। উত্তরে মান্ডি এবং কুল্লু জেলা, পূর্বে কিন্নুর, দক্ষিণ-পশ্চিমে উত্তরখান্ড এবং সোলান-সিমুর জেলা দ্বারা পরিবেষ্টিত। ইংরেজ শাসনামলে শিমলাকে গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৮৭১ সাল থেকে শিমলা পাঞ্জাবের রাজধানী ছিল, পরে ১৯৭১ সালে হিমাচলের রাজধানী হিসেবে ঘোষিত হয়। মাত্র দুই লক্ষ লোকের আবাস এই শিমলায়, যা ভারতের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার প্রাদেশিক রাজধানীও বটে।
শিমলা এর দর্শনীয় স্থানগুলো
ক্রাইস্ট চার্চ —
উত্তর ভারতের প্রাচীনতম গির্জাগুলোর মধ্যে একটি ক্রাইস্ট চার্চ। এটি দ্য রিজে অবস্থিত একটি সুন্দর নিও-গথিক শৈলীর চার্চ।  ক্রাইস্ট চার্চটি ১৮৪৪ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি উত্তর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম গির্জা। ক্রাইস্ট চার্চটি রিজ্-এ অবস্থিত এবং এটি তার এলিজাবেথীয় স্থাপত্য ও তার নকশায়িত কাঁচের জানলার জন্য পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও গির্জাটিতে একটি পাইপ অর্গান রয়েছে, যেটি দেশের সবচেয়ে এক অন্যতম বৃহৎ হিসাবে বিবেচিত হয়। জানালা, অলঙ্কৃত স্থাপত্য, এবং নির্মল পরিবেশ এখানে স্থাপত্য এবং ইতিহাস উত্‍সাহীদের জন্য এটিকে অবশ্যই দেখার মতো করে তোলে।
সেন্ট মাইকেল ক্যাথিড্রাল—-
সেন্ট মাইকেল চার্চ ১৮৫০ সালে নির্মিত হয়েছিল। এটা শিমলার প্রথম ক্যাথলিক গির্জা। এটিতে পাঁচটি মার্বেলের বেদী আছে যেগুলি ১৮৫৫ সালে ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এছাড়াও গির্জাটিতে সুন্দর নকশায়িত কাঁচের জানলা রয়েছে, যেগুলি চোখদুটিকে উচ্ছাসিত করে তোলে।
জাখু মন্দির—
জাখু পাহাড়ে অবস্থিত সিমলার সর্বোচ্চ বিন্দু জাখু মন্দির একটি জনপ্রিয় মন্দির। জাখু পাহাড় হল শিমলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এবং পারিপার্শ্বিক ভূ-প্রকৃতির এক অত্যাশ্চর্য নিদারুণ দৃ্শ্য পরিদর্শন করা যায় । পাহাড়ের চূড়ায় স্থিত জাখু মন্দির প্রভু হনুমানের প্রতি উৎসর্গীকৃত। স্থানীয় কিংবদন্তিদের অনুমান অনুযায়ী, সঞ্জীবনী ঔষধি বিদ্যমান এই পাহাড়টিকে তুলে নিয়ে আসার সময় প্রভু হনুমান এখানে বিশ্রাম নিয়েছিলেন। এর ফলস্বরূপ, এই স্থানটি একইভাবে ভক্ত এবং ভ্রমণকারীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মন্দিরটি থেকে সিমলা এবং আশপাশের পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে এই মন্দিরে যাওয়াই একটি দুঃসাহসিক কাজ।
সামার হিল—-
সিমলা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সামার হিল একটি নির্মল এবং মনোরম জায়গা, যা তার সবুজ ও নির্মল পরিবেশের জন্য পরিচিত। বাণিজ্যিক সিমলার শত ব্যস্ততা থেকে দূরে কোনও স্থান অন্বেষণকারী পর্যটকদের মধ্যে সামার হিল হল খুবই জনপ্রিয়। এর পথের চারপাশে ওক, সেডার, রডোডেনড্রন এবং আরোও অনেক গাছপালা বেড়ে উঠেছে। এখানে অবস্থিত ম্যানরভিল্যে ম্যানশন হল এই এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত ভবন, কারণ এটিই সেই জায়গা যেখানে মহাত্মা গান্ধী শিমলা ভ্রমণের সময় ছিলেন। এটি প্রকৃতির পদচারণা, পিকনিক এবং উপত্যকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত স্থান।
দ্যা রিজ —
মল রোডের পাশে অবস্থিত দ্য রিজ একটি খোলা জায়গা, যা তুষারাবৃত হিমালয়ের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখায়। রিজ একটি উন্মুক্ত স্থান, যেটি শিমলার সবচেয়ে বেশি কার্যকলাপ কেন্দ্র রূপে পরিচিত। দ্য রিজ্ বা শৈলশ্রেণীতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক আছে এবং বেশ কিছু কার্যক্রম আয়োজনের পাশাপাশি এখান থেকে পার্শ্ববর্তী পর্বতগুলির এক সুন্দর দৃশ্য পরির্শনেরও সুযোগ দেয়। শহরের এই অংশটি শিমলার জনজীবনের জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটির নীচের জলাশয় শহরের একটি প্রধান অংশে জল সরবরাহের দায়ভারে রয়েছে।অবসরে হাঁটা, পিকনিক এবং সিমলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এটি একটি জনপ্রিয় স্থান।
ম্যাল রোড —
সিমলার সবচেয়ে বিখ্যাত আকর্ষণগুলোর মধ্যে একটি মল রোড। এটি দোকান, রেস্তোরাঁ এবং ঔপনিবেশিক যুগের ভবনে পূর্ণ একটি ব্যস্ত রাস্তা। শিমলার বিপূল সংখ্যক ল্যান্ডমার্ক এখানে অবস্থিত হওয়ায়, ম্যাল রোড পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও এখানে বেশ কিছু রেস্তোঁরা, ক্লাব, বার ও দোকান অবস্থিত হওয়ায় এটি শিমলার বাণিজ্যিক কেন্দ্রস্থল হিসাবেও বিবেচিত হয়। যেকোনও ক্রেতাদের জন্য ম্যাল রোড স্বর্গোদ্যানের ন্যায়।মল রোড অবসরে হাঁটা, স্থানীয় হস্তশিল্প কেনাকাটা করার এবং আশপাশের পাহাড়ের সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা।
ভ্যাইসরিগেল লজ—
অবসারভেটারী পাহাড়ের উপর অবস্থিত ভ্যাইসরিগেল লজ।এটি রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবেও পরিচিত। ১৮৯৮ সালে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ভারতের ভাইসরয়, লর্ড ডাফরিনের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এই স্থানটি হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ আ্যডভান্স স্টাডিজ। লজটি সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের এক অত্যাশ্চর্য দৃ্শ্য পরিদর্শনেরও সুযোগ দেয়। ভাইসারেগাল লজ হলো একটি ঐতিহাসিক ভবন, যা ঔপনিবেশিক যুগে ব্রিটিশ ভাইসরয়ের গ্রীষ্মকালীন বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৭ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৭ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯২০ – সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় , নৌ-বিদ্রোহের অন্যতম বিপ্লবী শহীদ।
১৯৩২ – বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালি বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।
১৯৩২ – মুর্তজা বশীর, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৪০ – শবনম, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৪৩ – রবার্ট ডি নিরো, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা, ও পরিচালক।
১৯৭২ – হাবিবুল বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক।
১৮০১ – ফ্রেডরিকা ব্রেমার, সুইডিশ লেখক ও নারীবাদী সংস্কারক।
১৮৬৬ – মাহবুব আলি খান, ষষ্ঠ আসাফ জাহ, হায়দ্রাবাদের ষষ্ঠ নিজাম।
১৮৭৮ – রেজি ডাফ, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
১৮৭৯ – স্যামুয়েল গোল্ডউইন, পোলীয় মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৭৬১ – উইলিয়াম কেরি ব্রিটিশ খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক, বাংলায় গদ্য পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তক।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৫ – বাংলাদেশের ৬৩টি জেলার ৩০০টি স্থানে প্রায় ৫০০ হাতে তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
২০০৬ – পাবনায় বন্দুক যুদ্ধে ১০ জন নিহত।
২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্যাডমিন্টনে পুরুষদের সিঙ্গলসের ফাইনাল খেলা। একই দিনে মহিলাদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতার ফাইনালে জার্মানির ব্রিটা স্টিফেন ২৪.০৬ সেকেন্ড সময়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড গড়ে স্বর্ণপদক পান।
১৯০১ – বেঙ্গল থিয়েটার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুনরায় এটি অরোরা থিয়েটার নামে চালু হয়।
১৯১০ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি বাংলায় প্রথম প্রকাশিত হয়।(সূত্র- আকাশবাণী কলকাতার- প্রাত্যহিকি-১৭/০৮/২০২০)
১৯১৮ – বলশেভিক আন্দোলনের নেতা মইসি উরুৎস্কি নিহত হন।
১৯৪৫ – হল্যান্ডের উপনিবেশের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার জনগণ আন্দোলন শুরু করে।
১৯৪৫ – ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৪৭ – ভারত স্বাধীন হওয়ার পর ভারতে নিয়োজিত ব্রিটিশ বাহিনীর প্রথম ব্যাটালিয়ন স্বদেশের উদ্দেশে ভারত ত্যাগ করে।
১৯৬০ – আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গ্যাবন স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৮২ – জার্মানিতে প্রথম কমপ্যাক্ট ডিস্ক উন্মোচিত হয়।
১৯৮৭ – বৃটিশ কারাগারে আটক হিটলারের সহকারী রুডলফ হেস আত্মহত্যা করে।
১৯৮৮ – পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনালের জিয়াউল হক এবং পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরনল্ড রাফের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।
১৯৯৯ – তুরস্কে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
১৮১৫ – কলকাতা শহর থেকে ষাঁড় বহিষ্কারের জন্য আইন প্রণীত হয়।
১৮৩৬ – ব্রিটেনে জন্ম, মৃত্যু ও বিবাহ নিবন্ধীকরণ শুরু হয়।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – নিমাইসাধন বসু বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
২০০৬ -শামসুর রাহমান, প্রখ্যাত বাংলাদেশী কবি।
২০০৬ – বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতজ্ঞ আনোয়ার পারভেজ।
২০২০ – পণ্ডিত যশরাজ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯০৯ – মদন লাল ধিংড়া, ভারতের অগ্নিযুগের বিপ্লবীর ফাঁসি হয়।
১৯৪৯ – পুলিনবিহারী দাস ঢাকা অনুশীলন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৬৯ – অটো ষ্টের্ন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৭৩ – মার্কিন ঔপন্যাসিক ও কবি কনর্যাড এইকিন।
১৯৮৪ -আচার্য চিন্ময় লাহিড়ী, বিশিষ্ট শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী ।
১৮৫০ – হোজে দে সান মার্টিন, আর্জেন্টাইন জেনারেল এবং পেরুর প্রথম রাষ্ট্রপতি।
১৮৫০ – বিশ্ববিশ্রুত কথাশিল্পী অনরে দ্য বালজাক।
১৭৮৬ – প্রুশিয়ার রাজা ফ্রেডেরিখ দ্য গ্রেট (দ্বিতীয়)।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৫ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১৫ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক)  ভারতের স্বাধীনতা দিবস (১৯৪৭)।
(খ) বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০০ – সন্তোষ কুমার মিত্র, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন বিপ্লবী শহীদ।
১৯১২ – (ক) আমির খাঁ, ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী।
(খ) ওয়েন্ডি হিলার, ইংরেজ অভিনেত্রী, ডেম উপাধি প্রাপ্ত ও অস্কার বিজয়ী।
১৯১৫ – সত্যেন্দ্রনাথ মৈত্র সারা ভারতে আধুনিক রীতিতে সাক্ষরতা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ।
১৯১৭ – খোদেজা খাতুন, বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ, লেখক ও সমাজ কর্মী।
১৯২২ – সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, একজন বাঙালি কথাশিল্পী।
১৯২৬ – (ক) সুকান্ত ভট্টাচার্য, বাংলা সাহিত্যের প্রগতিশীল চেতনার কিশোর কবি।
(খ) পণ্ডিত প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি উচ্চাঙ্গ কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।
১৯৩১ – ভারতীয় বাঙালি কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়।
১৯৩৭ – নয়ীম গহর, বাংলাদেশী গীতিকার।
১৯৪৫ – আল্যাঁ জুপে, ফ্রান্সের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৪৫ – খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
১৯৪৭ – রাখী গুলজার, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৫১ – লায়লা আরজুমান বানু, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
১৯৬৮ – আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
১৯৭৩ – মারজুক রাসেল, বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা।
১৯৮৯ – ঈশ্বর পাণ্ডে, ভারতীয় ক্রিকেটার।
১৮৭২ – অরবিন্দ ঘোষ, বাঙালি রাজনৈতিক নেতা, আধ্যাত্মিক সাধক এবং দার্শনিক।
১৮৭৩ – রমাপ্রসাদ চন্দ ,ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ এবং পুরাতত্ত্ববিদ।
১৮৭৯ – ইথেল ব্যারিমোর, মার্কিন অভিনেত্রী, অস্কার বিজয়ী।
১৮৯২ – লুই দ্য ব্রোয়ি, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
১৭৭১ – ওয়াল্টার স্কট, স্কটল্যান্ডীয় ঐতিহাসিক উপন্যাস রচয়িতা এবং কবি।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৫ – ইহুদীবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনীদের প্রতিরোধের মুখে গাজা উপত্যকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়৷
২০০৬ – বাংলাদেশের কাছে পরপর দুইবার হোয়াইট ওয়াশ হয় কেনিয়া।
২০০৮ – ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ১০০০০ মিটার দৌড়ের ফাইনালে তিরুনেশ দিবাবা ২৯:৫৪.৬৬ সময়ে নতুন অলিম্পিক রেকর্ড স্থাপন করেন। একই দিনে মহিলাদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হবার সাথে সাথে মহিলাদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
২০২১ – তালেবান কর্তৃক কাবুল দখলকৃত হয়।
১৯৪১ – পানামা খালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
১৯৪৭ – (২৯ শ্রাবণ, ১৩৫৪ বঙ্গাব্দ,শুক্রবার) ব্রিটিশ শাসন হতে মুক্তি পেয়ে ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জন্ম নেয়।
১৯৪৭ – পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ গভর্নর জেনারেল হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।
১৯৪৮ – কোরীয় উপদ্বীপ বিভক্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়া স্বাধীন দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৬০ – আফ্রিকার দেশ কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ফরাসী উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে৷
১৯৬৫ – ভারতে প্রথম দূরদর্শন প্রদর্শিত হয়।
১৯৭১ – অপারেশন জ্যাকপট সংগঠিত হয়।
১৯৭৫ – বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সামরিক অভ্যুত্থানে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।
১৯৭৫ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সৌদি আরব।
১৯৮২ – ভারতে প্রথম রঙিন টেলিভিশনে দূরদর্শনের সম্প্রচার শুরু হয়।
১৮৫৪ – বাংলায় প্রথম রেলপথ স্থাপন।
১৮৭২ – ইংল্যান্ডে প্রথম গোপন ব্যালটে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৮৭৫ – ব্রিটিশবিরোধী রাজনৈতিক সংগঠন ইন্ডিয়ান লীগের জন্ম।
১৮৮৯ – মোহনবাগান অ্যাথলেটিক ক্লাব কলকাতার প্রসিদ্ধ ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১২৮১ – জাপান আক্রমণ করতে গিয়ে কুবলাই খানের নৌবহর ঝড়ে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়। ইতিহাসে এ ঘটনা ডিভাইন উইন্ড বা দৈব বাতাস বলে পরিচিত।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০২০ – প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর।
১৯১০ – গিরিশ চন্দ্র সেন, ইসলামবিষয়ক পণ্ডিত ও ব্রাহ্মধর্ম-প্রচারক।
১৯৪২ – মহাত্মা গান্ধীর ব্যক্তিগত সচিব মহাদেব দেসাই।
১৯৬০ – এরল হোমস, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৬৯ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়নের ছাত্র আব্দুল মালেক শহিদ হন।
১৯৭৫ (ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।
(খ)বেগম ফজিলাতুন্নেসা, বাংলাদেশের প্রথম ফার্স্ট লেডি এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্ত্রী।
১৯৭৮ – বাণীকুমার নামে সুপরিচিত বৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, গীতিকার, প্রযোজক ও নাট্য পরিচালক।
১৯৯৪ – কবি ও সাহিত্য সমালোচক হরপ্রসাদ মিত্র।
১৮৩৬ – ইতালীয় নোবেল বিজয়ী লেখক গারসিয়া ডেলেডা।
৭৬৭ – আবু হানিফা, ফিকহশাস্ত্রের একজন প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ এবং হিজরী প্রথম শতাব্দীর একজন গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৪ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।

আজ ১৪ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস (১৯৪৭)
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯২৩ – প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।
১৯২৬ – রনে গোসিনি, ফরাসি কমিকস সম্পাদক এবং পোলিশ বংশোদ্ভূত লেখক।
১৯৪২ – আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশের অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।
১৯৪২ – শহীদ কাদরী, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্যিক।
১৯৪৫ – স্টিভ মার্টিন, মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, লেখক, প্রযোজক, নাট্যকার ও সঙ্গীতজ্ঞ।
১৯৪৫ – ভিম ভেন্ডার্স, জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, নাট্যকার, লেখক, আলোকচিত্রী।
১৯৫৯ – মার্সিয়া গে হার্ডেন, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৬২ – রমিজ রাজা, সাবেক পাকিস্তানি ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ক্রিকেটার।
১৯৬৬ – হ্যালি বেরি, মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী, ও প্রযোজক এবং বিশ্ব সুন্দরী যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৬।
১৯৬৮ – প্রবীণ আম্রে, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭১ – প্রমোদ্যা বিক্রমাসিংহে, সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – কফি কিংস্টন, ঘানা-মার্কিন পেশাদার কুস্তিগীর।
১৯৮৩ – মিলা কুনিস, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেত্রী।
১৯৮৩ – সুনিধি চৌহান, ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন সঙ্গীতশিল্পী।
১৮৬৭ – নোবেলজয়ী ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার জন গলসওয়ার্দ।
১৮৯৭ – লাবণ্য প্রভা ঘোষ, ভারতের একজন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মানভূম জেলায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন নেত্রী ছিলেন।
১৭৭৭ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান ওরস্টেড, ড্যানিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ।
১২৫৭ – জাপান সম্রাট হানাজোনো।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ৮০০ মিটার, ১০০ মিটার ও পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মহিলাদের ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালীন, রেবেকা অ্যাডলিংটন ২০০০ সালের অলিম্পিকে সৃষ্ট ব্রুক বেনেটের অলিম্পিক রেকর্ড প্রাথমিক পর্যায়ের ৪নং হিটেই ৮:১৮.০৬ সময়ে ভাঙেন।
১৯০০ – ২০০ মার্কিন নৌ-সেনা অবতরণ করে পিকিং দখল করে নিলে বক্সার বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
১৯১২ – মার্কিন মেরিন সেনা নিকারাগুয়া দখল করে।
১৯৩১ – ইলা সেন ও মীরা দেবী নামে কুমিল্লার অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী তৎপরতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট সিজি স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৪১ – রুজভেল্ট ও চার্চিল আটলান্টিক চার্টার নামক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিম পর্যায়ে জাপান রাশিয়ার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৭ – ব্রিটিশ শাসন হতে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ।
১৮২৫ – বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মাইকেল ফ্যারাড অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পর অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন৷
১৮৪৮ – গঠিত হয় ওরেগন এলাকা।
১৮৮৫ – জাপান জং প্রতিরোধক রং প্যাটেন্ট করে।
১৭৬২ – ইংল্যান্ডের নৌবাহিনী হাভানা দখল করে।
১৭৯০ – সুইডেন ও রাশিয়া শান্তিচুক্তি করে
১৫৫১ – তুরস্কের নৌবাহিনী ত্রিপোলি দখল করে।
১৫৮৫ – রানি প্রথম এলিজাবেথ নেদারল্যান্ডসের সার্বভৌমত্ব খারিজ করে দেন।
১৪৩৭ – মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – চেসোয়াফ মিওশ, পোলীয়-মার্কিনী কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং অনুবাদক।
২০১১ – শাম্মী কাপুর, ভারতের মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় চিত্রতারকা শিল্পী ও পরিচালক।
১৯৩৫ – নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জোলিও-ক্যুরি।
১৯৩৮ – হিউ ট্রাম্বল, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।
১৯৪১ – নোবেলজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ পল সাবাতিয়।
১৯৫৬ – বের্টল্ট ব্রেখট, একজন জার্মান নাট্যকর্মী, নাট্যকার ও কবি।
১৯৬৬ – টিপ স্নুক, দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।
১৯৭২ – ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি ঝুল রম্যাঁ।
১৯৮১ – ডাডলি নোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯৮৫ – গেল সন্ডারগার্ড, একজন মার্কিন অভিনেত্রী।
১৭৭৪ – জোহান জ্যাকব রেইস্ক, জার্মান চিকিৎসক ও পণ্ডিত।
১৪৩৩ – পর্তুগালের রাজা প্রথম জোহান।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ভারতের স্বাধীনতা  ও  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়।।।

আমরা ভারতবাসীরা  ভুলতে পারিনি পরাধীনতার জ্বালা  ।  ব্রিটিশ সরকারের তিক্ত দুশো বছরের শৃঙ্খলাবদ্ধের  ইতিহাস । ইংরেজদের বিভৎস দমন নীতি । ইংরেজ সরকারের শাসন ও শোষন ।  ভারতীয়দের উপরে  অমানবিক অত্যাচার । ব্রিটিশদের পৈশাচিক দমন নীতির জন্য ভারতীয় সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা । দীনবন্ধু মিত্রের “নীল দর্পণ” নাটকটি থকে আরও  জানতে পারি নীল চাষের করুণ কাহিনী ও সাঁওতাল সমাজের উপর ইংরেজদের অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা  । ইংরেজ সরকারের শোষনের মাত্রা ছিলো লাগামছাড়া । নিরীহ ভারতবাসীর উপর কারণে ও অকারণে চলতো অকথ্য নীপিড়ন ।  দেশবাসীদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  নির্মম শোষন আজও ভারতীয়দের হৃদমাঝারে উজ্জীবিত । .
ব্রিটিশ সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে সারা দেশ গর্জে উঠে ।
দেশবাসী সোচ্চার হয় । সারা দেশে বিদ্রোহ শুরু হয় । দেশ মাতার শৃঙ্খলমোচনে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে । ব্রিটিশদের অত্যাচারের আগুনে দগ্ধ হয়ে  আত্নবলিদান ঘটে অনেক দেশপ্রেমী ভারতীয়ের । ইংরেজদের শোষনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, ফলে অনেক রক্তক্ষরণ ঘটে । অনেক বীর শহিদ হন । ইংরেজদের উৎখাতের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গর্জে উঠেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতাজী সুভাষ । দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে অকালে প্রাণ হারান বিনয়-বাদল-দীনেশ । শহিদ হন ক্ষুদিরাম বসু । দেশের পরাধীনতার গ্লানি ঝেড়ে ফেলার তাগিদে ভারতবাসীর ত্যাগ অবর্ণনীয় । দেশ স্বাধীনের মূলমন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাত্না গাঁধী, বিপিন চন্দ্র পাল, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, বাল গঙ্গাধর তিলক, আরও অনেকে । অনেক ত্যাগ, অনেক রক্তক্ষরণ, অনেক বলিদান, অনেক শহিদের পরে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে । ইংরেজদের অপশাসন দূর করে দেশবাসী আনন্দে মেতে উঠে । ভারতে উদয় হয় নতুন সূর্যের ।
স্বাধীনতা লাভ করার পর ভারত ভাগ হয়ে যায়, ভারত ও পাকিস্তান । পাকিস্তান আবার দুটো ভাগে ভাগ হয়, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান । পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান ভারতের সহযোগীতায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে “বাংলাদেশ” গঠন করে  । পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হলেও ভারত একটি “সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক” রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বমাঝারে আবির্ভূত হয় । বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বদকরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংবিধানের বাস্তবরূপ ঘটে । ১৯৫০ সালের ২৬শে জানিয়ারি দেশে সংবিধান লাগু হয় । ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় । এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদে  সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত হয় ।
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস । প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সারা দেশে মহাধুমধামে পালিত হচ্ছে । এবারের স্বাধীনতা উদযাপন একটা মাত্রা বহন করছে । কেননা দেশে এবছর ৭৫ত্ম স্বাধীনতা দিবস । যার জন্য স্বাধীনতা দিবসে গুরুত্ব অপরিসীম ।  উল্লেখ থাকে যে, স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী । তা ছাড়া দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে ।
স্বাধীনতার পরেও আমাদের দেশ অনেক সমস্যায় জর্জরিত । বেকার সমস্যা ও দারিদ্রতা জ্বলন্ত উদাহরণ । তবুও স্বাধীন দেশের একজন দেশবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত । তাই বিনম্র চিত্তে কুর্ণিশ জানাই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের । যাদের আত্নত্যাগের উৎকৃষ্ট নিদর্শন আমাদের দেশের স্বাধীনতা ।
।।কলমে : দিলীপ  রায়।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৮ – পুলিনবিহারী সেন খ্যাতনামা বাঙালি রবীন্দ্র-বিশারদ।
১৯১১ – প্রেম ভাটিয়া, সাংবাদিক।
১৯২৯ – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।
১৯৩৭ – সালমা সোবহান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী।
১৯৩৮ – চঞ্চল কুমার মজুমদার, শান্তিস্বরূপ ভটনাগর পুরস্কারে সম্মানিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী ।
১৯৬৫ – ভায়োলা ডেভিস, মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
১৯৭০ – জিয়ানলুকা পেসোত্তো, ইতালীয় ফুটবলার।
১৯৮৩ – ক্রিস হেমসওর্থ, অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।
১৮৭০ – টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৭৩৭ – ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।
১৮৫৮ – নোবেলজয়ী [১৯২৯] ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৪ – পাকিস্তান পরমাণু বিস্তার রোধ না করলে দেশটির ওপর মার্কিন কংগ্রেসের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব গ্রহণের আহবান করা হয়।
২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
২০১২ – বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রমের মৃত্যু।
১৯০৮ – বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।
১৯০৯ – রেডিওর বিপদবার্তা বা এসওএসের ব্যবহার শুরু হয়।
১৯১৪ – জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।
১৯২২ – কাজী নজরুল ইসলামের ধুমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯২৯ – ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তি করে।
১৯২৯ – রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৫২ – মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।
১৯৬১ – ভারতে পূর্বে পর্তুগিজ শাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলিকে ভারতের সাথে যুক্ত ও একত্রিত করে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি গঠন করা হয়।
১৯৮৬ – এশিয়ার জনসংখ্যা ৩০০ কোটি পূর্ণ হয়।
১৮১০ – আজোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল গ্রাম তলিয়ে যায়।
১৮৮৪ – টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।
১৮৮৮ – বন্ধ হয়ে যায় ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার।
১৭৮০ – বার্বাডোজে হারিকেন শুরু হয়।
৬৮৩ – মুসলমানরা সমরখন্দ বিজয় লাভ করে।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশী লেখক ও ভাষাবিদ।
২০১২ – শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
২০১৮ – বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।
১৯০৮ – ক্ষুদিরাম বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালি বিপ্লবীর ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান।
১৯৩৫ – স্যার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বেসরকারি ( ১৯১৪-১৯১৮) উপাচার্য।
১৯৫৫ – অমলেন্দু দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯৭০ – ইরাবতী কার্বে ভারতের মহারাষ্ট্রের একজন নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
১৯৭২ – নোবেজয়ী [১৯৫১] আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।
১৯৯০ – ননীগোপাল চক্রবর্তী বাঙালি শিশু সাহিত্যিক।
১৯৯৫ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This