Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৪ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।।।

আজ ১৪ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
দিবস—–
(ক) পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস (১৯৪৭)
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯২৩ – প্রথিতযশা প্রবীণ ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার।
১৯২৬ – রনে গোসিনি, ফরাসি কমিকস সম্পাদক এবং পোলিশ বংশোদ্ভূত লেখক।
১৯৪২ – আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশের অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।
১৯৪২ – শহীদ কাদরী, বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্যিক।
১৯৪৫ – স্টিভ মার্টিন, মার্কিন অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, লেখক, প্রযোজক, নাট্যকার ও সঙ্গীতজ্ঞ।
১৯৪৫ – ভিম ভেন্ডার্স, জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, নাট্যকার, লেখক, আলোকচিত্রী।
১৯৫৯ – মার্সিয়া গে হার্ডেন, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৬২ – রমিজ রাজা, সাবেক পাকিস্তানি ডান-হাতি ব্যাটসম্যান ক্রিকেটার।
১৯৬৬ – হ্যালি বেরি, মার্কিন মডেল, অভিনেত্রী, ও প্রযোজক এবং বিশ্ব সুন্দরী যুক্তরাষ্ট্র ১৯৮৬।
১৯৬৮ – প্রবীণ আম্রে, সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭১ – প্রমোদ্যা বিক্রমাসিংহে, সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – কফি কিংস্টন, ঘানা-মার্কিন পেশাদার কুস্তিগীর।
১৯৮৩ – মিলা কুনিস, ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেত্রী।
১৯৮৩ – সুনিধি চৌহান, ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন সঙ্গীতশিল্পী।
১৮৬৭ – নোবেলজয়ী ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও নাট্যকার জন গলসওয়ার্দ।
১৮৯৭ – লাবণ্য প্রভা ঘোষ, ভারতের একজন গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং মানভূম জেলায় অনুষ্ঠিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের একজন নেত্রী ছিলেন।
১৭৭৭ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান ওরস্টেড, ড্যানিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ।
১২৫৭ – জাপান সম্রাট হানাজোনো।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ৮০০ মিটার, ১০০ মিটার ও পুরুষদের ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। মহিলাদের ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা চলাকালীন, রেবেকা অ্যাডলিংটন ২০০০ সালের অলিম্পিকে সৃষ্ট ব্রুক বেনেটের অলিম্পিক রেকর্ড প্রাথমিক পর্যায়ের ৪নং হিটেই ৮:১৮.০৬ সময়ে ভাঙেন।
১৯০০ – ২০০ মার্কিন নৌ-সেনা অবতরণ করে পিকিং দখল করে নিলে বক্সার বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
১৯১২ – মার্কিন মেরিন সেনা নিকারাগুয়া দখল করে।
১৯৩১ – ইলা সেন ও মীরা দেবী নামে কুমিল্লার অষ্টম শ্রেণীর দুই ছাত্রী ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী তৎপরতার অংশ হিসেবে কুমিল্লার ম্যাজিস্ট্রেট সিজি স্টিভেন্সকে গুলি করে হত্যা করে।
১৯৪১ – রুজভেল্ট ও চার্চিল আটলান্টিক চার্টার নামক শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিম পর্যায়ে জাপান রাশিয়ার কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
১৯৪৭ – ব্রিটিশ শাসন হতে পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভ।
১৮২৫ – বৃটিশ পদার্থ বিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ মাইকেল ফ্যারাড অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণার পর অপরিশোধিত তেল থেকে পেট্রোল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন৷
১৮৪৮ – গঠিত হয় ওরেগন এলাকা।
১৮৮৫ – জাপান জং প্রতিরোধক রং প্যাটেন্ট করে।
১৭৬২ – ইংল্যান্ডের নৌবাহিনী হাভানা দখল করে।
১৭৯০ – সুইডেন ও রাশিয়া শান্তিচুক্তি করে
১৫৫১ – তুরস্কের নৌবাহিনী ত্রিপোলি দখল করে।
১৫৮৫ – রানি প্রথম এলিজাবেথ নেদারল্যান্ডসের সার্বভৌমত্ব খারিজ করে দেন।
১৪৩৭ – মুদ্রণ যন্ত্রের আবিষ্কার।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – চেসোয়াফ মিওশ, পোলীয়-মার্কিনী কবি, লেখক, শিক্ষাবিদ এবং অনুবাদক।
২০১১ – শাম্মী কাপুর, ভারতের মুম্বইয়ের চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় চিত্রতারকা শিল্পী ও পরিচালক।
১৯৩৫ – নোবেলজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ ফ্রেদেরিক জোলিও-ক্যুরি।
১৯৩৮ – হিউ ট্রাম্বল, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।
১৯৪১ – নোবেলজয়ী ফরাসি রসায়নবিদ পল সাবাতিয়।
১৯৫৬ – বের্টল্ট ব্রেখট, একজন জার্মান নাট্যকর্মী, নাট্যকার ও কবি।
১৯৬৬ – টিপ স্নুক, দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক।
১৯৭২ – ফরাসি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও কবি ঝুল রম্যাঁ।
১৯৮১ – ডাডলি নোর্স, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।
১৯৮৫ – গেল সন্ডারগার্ড, একজন মার্কিন অভিনেত্রী।
১৭৭৪ – জোহান জ্যাকব রেইস্ক, জার্মান চিকিৎসক ও পণ্ডিত।
১৪৩৩ – পর্তুগালের রাজা প্রথম জোহান।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ভারতের স্বাধীনতা  ও  স্বাধীনতার পরবর্তী সময়।।।

আমরা ভারতবাসীরা  ভুলতে পারিনি পরাধীনতার জ্বালা  ।  ব্রিটিশ সরকারের তিক্ত দুশো বছরের শৃঙ্খলাবদ্ধের  ইতিহাস । ইংরেজদের বিভৎস দমন নীতি । ইংরেজ সরকারের শাসন ও শোষন ।  ভারতীয়দের উপরে  অমানবিক অত্যাচার । ব্রিটিশদের পৈশাচিক দমন নীতির জন্য ভারতীয় সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা । দীনবন্ধু মিত্রের “নীল দর্পণ” নাটকটি থকে আরও  জানতে পারি নীল চাষের করুণ কাহিনী ও সাঁওতাল সমাজের উপর ইংরেজদের অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা  । ইংরেজ সরকারের শোষনের মাত্রা ছিলো লাগামছাড়া । নিরীহ ভারতবাসীর উপর কারণে ও অকারণে চলতো অকথ্য নীপিড়ন ।  দেশবাসীদের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  নির্মম শোষন আজও ভারতীয়দের হৃদমাঝারে উজ্জীবিত । .
ব্রিটিশ সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে সারা দেশ গর্জে উঠে ।
দেশবাসী সোচ্চার হয় । সারা দেশে বিদ্রোহ শুরু হয় । দেশ মাতার শৃঙ্খলমোচনে বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে । ব্রিটিশদের অত্যাচারের আগুনে দগ্ধ হয়ে  আত্নবলিদান ঘটে অনেক দেশপ্রেমী ভারতীয়ের । ইংরেজদের শোষনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, ফলে অনেক রক্তক্ষরণ ঘটে । অনেক বীর শহিদ হন । ইংরেজদের উৎখাতের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গর্জে উঠেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নেতাজী সুভাষ । দেশকে শৃঙ্খলামুক্ত করতে অকালে প্রাণ হারান বিনয়-বাদল-দীনেশ । শহিদ হন ক্ষুদিরাম বসু । দেশের পরাধীনতার গ্লানি ঝেড়ে ফেলার তাগিদে ভারতবাসীর ত্যাগ অবর্ণনীয় । দেশ স্বাধীনের মূলমন্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন মহাত্না গাঁধী, বিপিন চন্দ্র পাল, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল, বাল গঙ্গাধর তিলক, আরও অনেকে । অনেক ত্যাগ, অনেক রক্তক্ষরণ, অনেক বলিদান, অনেক শহিদের পরে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা লাভ করে । ইংরেজদের অপশাসন দূর করে দেশবাসী আনন্দে মেতে উঠে । ভারতে উদয় হয় নতুন সূর্যের ।
স্বাধীনতা লাভ করার পর ভারত ভাগ হয়ে যায়, ভারত ও পাকিস্তান । পাকিস্তান আবার দুটো ভাগে ভাগ হয়, পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান । পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান ভারতের সহযোগীতায় স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে “বাংলাদেশ” গঠন করে  । পাকিস্তান ও বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র হলেও ভারত একটি “সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক” রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বমাঝারে আবির্ভূত হয় । বাবা সাহেব ভীম রাও আম্বদকরের অক্লান্ত পরিশ্রমে সংবিধানের বাস্তবরূপ ঘটে । ১৯৫০ সালের ২৬শে জানিয়ারি দেশে সংবিধান লাগু হয় । ১৯৩৫ সালের ভারত সরকার আইনের পরিবর্তে ভারতীয় সংবিধান কার্যকরী হয় । এটি ভারতের একটি জাতীয় দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি ভারতীয় গণপরিষদে  সংবিধান কার্যকরী হলে ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পরিণত হয় ।
৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস । প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সারা দেশে মহাধুমধামে পালিত হচ্ছে । এবারের স্বাধীনতা উদযাপন একটা মাত্রা বহন করছে । কেননা দেশে এবছর ৭৫ত্ম স্বাধীনতা দিবস । যার জন্য স্বাধীনতা দিবসে গুরুত্ব অপরিসীম ।  উল্লেখ থাকে যে, স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দেশের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী । তা ছাড়া দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে ।
স্বাধীনতার পরেও আমাদের দেশ অনেক সমস্যায় জর্জরিত । বেকার সমস্যা ও দারিদ্রতা জ্বলন্ত উদাহরণ । তবুও স্বাধীন দেশের একজন দেশবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত । তাই বিনম্র চিত্তে কুর্ণিশ জানাই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের । যাদের আত্নত্যাগের উৎকৃষ্ট নিদর্শন আমাদের দেশের স্বাধীনতা ।
।।কলমে : দিলীপ  রায়।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-
আজ যাদের জন্মদিন—-
১৯০৮ – পুলিনবিহারী সেন খ্যাতনামা বাঙালি রবীন্দ্র-বিশারদ।
১৯১১ – প্রেম ভাটিয়া, সাংবাদিক।
১৯২৯ – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার।
১৯৩৭ – সালমা সোবহান, বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, শিক্ষক, মানবাধিকারকর্মী।
১৯৩৮ – চঞ্চল কুমার মজুমদার, শান্তিস্বরূপ ভটনাগর পুরস্কারে সম্মানিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানী ।
১৯৬৫ – ভায়োলা ডেভিস, মার্কিন অভিনেত্রী ও প্রযোজক।
১৯৭০ – জিয়ানলুকা পেসোত্তো, ইতালীয় ফুটবলার।
১৯৮৩ – ক্রিস হেমসওর্থ, অস্ট্রেলীয় অভিনেতা।
১৮৭০ – টম রিচার্ডসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৭৩৭ – ইংরেজ ভাস্কর জোসেফ নোলেকেনস।
১৮৫৮ – নোবেলজয়ী [১৯২৯] ওলন্দাজ চিকিৎসক ক্রিস্টিয়ান আইকমান।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
২০০৪ – পাকিস্তান পরমাণু বিস্তার রোধ না করলে দেশটির ওপর মার্কিন কংগ্রেসের নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব গ্রহণের আহবান করা হয়।
২০০৮ – গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে মহিলাদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল শেষ হয়। একই দিনে মহিলাদের ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
২০১২ – বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফাত জামিল বীর বিক্রমের মৃত্যু।
১৯০৮ – বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি কার্যকর হয়।
১৯০৯ – রেডিওর বিপদবার্তা বা এসওএসের ব্যবহার শুরু হয়।
১৯১৪ – জন রে অ্যানিমেশন পেটেন্ট করেন।
১৯২২ – কাজী নজরুল ইসলামের ধুমকেতু পত্রিকা প্রকাশিত হয়।
১৯২৯ – ইরাক ও পারস্য শান্তিচুক্তি করে।
১৯২৯ – রাশিয়া ও চীনের সীমান্তে যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৫২ – মানসিক অসুস্থতার জন্য জর্দানের বাদশাহ তালাল সিংহাসনচ্যুত হন।
১৯৬১ – ভারতে পূর্বে পর্তুগিজ শাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলিকে ভারতের সাথে যুক্ত ও একত্রিত করে নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা ও নগর হাভেলি গঠন করা হয়।
১৯৮৬ – এশিয়ার জনসংখ্যা ৩০০ কোটি পূর্ণ হয়।
১৮১০ – আজোরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাও মিগুয়েল গ্রাম তলিয়ে যায়।
১৮৮৪ – টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকডোনেল।
১৮৮৮ – বন্ধ হয়ে যায় ক্যালিফোর্নিয়া থিয়েটার।
১৭৮০ – বার্বাডোজে হারিকেন শুরু হয়।
৬৮৩ – মুসলমানরা সমরখন্দ বিজয় লাভ করে।
এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-
২০০৪ – হুমায়ুন আজাদ, বাংলাদেশী লেখক ও ভাষাবিদ।
২০১২ – শাফায়াত জামিল বীর বিক্রম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
২০১৮ – বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল, ভারতীয়-নেপালীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক।
১৯০৮ – ক্ষুদিরাম বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালি বিপ্লবীর ফাঁসির মঞ্চে আত্মবলিদান।
১৯৩৫ – স্যার দেবপ্রসাদ সর্বাধিকারী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বেসরকারি ( ১৯১৪-১৯১৮) উপাচার্য।
১৯৫৫ – অমলেন্দু দাশগুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক।
১৯৭০ – ইরাবতী কার্বে ভারতের মহারাষ্ট্রের একজন নৃবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এবং লেখক।
১৯৭২ – নোবেজয়ী [১৯৫১] আফ্রিকান-মার্কিন অণুজীব বিজ্ঞানী ম্যাক্স থিলাব।
১৯৯০ – ননীগোপাল চক্রবর্তী বাঙালি শিশু সাহিত্যিক।
১৯৯৫ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।
।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক — এক অসাধারণ পাহাড়ি সফর।।

যাত্রার শুরু: শিলিগুড়ির সকাল

শিলিগুড়ি, উত্তরবঙ্গের প্রধান প্রবেশদ্বার, পাহাড়ি সফরের এক স্বাভাবিক সূচনা বিন্দু। শীতের এক হালকা কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে আমরা যাত্রা শুরু করি। শহরের ভিড় পেরিয়ে, যখন গাড়ি সেভক রোড ধরে এগোতে থাকে, তখন তিস্তার রূপ চোখে ধরা দেয়। নদীর দু’পাশে সবুজ পাহাড়ের প্রহর, মাঝে মাঝে চা-বাগানের গন্ধ বাতাসে ভেসে আসে।

সেভক ব্রিজ ও তিস্তা নদী

সেভক ব্রিজের কাছে পৌঁছে প্রথমবার পাহাড়ি সফরের আসল রূপ দেখা দেয়। গাঢ় নীলচে সবুজ তিস্তা নদী পাহাড় কেটে বয়ে চলেছে, আর দূরে সান্দাকফুর মতো পাহাড়চূড়া মেঘের আড়ালে। সেভক থেকে রংপো পর্যন্ত রাস্তা হলো এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা—এক পাশে পাহাড়, আরেক পাশে খরস্রোতা নদী।
পথে ছোট ছোট দোকান, যেখানে গরম চা ও মোমো পাওয়া যায়। আমরা থেমে এক কাপ লাল চা (লেপচা চা) খাই, যার স্বাদ এখনও জিভে লেগে আছে।

সিকিম প্রবেশদ্বার: রংপো

প্রায় দেড় ঘণ্টার ড্রাইভের পর পৌঁছাই রংপোতে—সিকিমের প্রবেশদ্বার। এখানে গাড়ির পারমিট চেক হয়, কারণ সিকিমে প্রবেশের জন্য অনেক জায়গায় বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। রংপো থেকেই পাহাড়ি রাস্তার বাঁক বেড়ে যায়, আর প্রতিটি বাঁক যেন নতুন দৃশ্যপট খুলে দেয়।

তিস্তার বাঁক আর পাহাড়ি গ্রাম

রংপো পেরিয়ে রাস্তা কখনো পাহাড়ের গা ঘেঁষে উপরে উঠে যায়, কখনো নিচে নেমে যায় নদীর ধারে। তিস্তার পানির রঙ এখানে আরও উজ্জ্বল। মাঝে মাঝে দেখা মেলে পাহাড়ি গ্রামের—ছোট কাঠের বাড়ি, টিনের ছাদ, উঠানে গাঁদা ফুল আর বাঁশের বেড়া। গ্রামের মানুষরা হাসিমুখে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানায়।

সিংতাম ও রুমটেকের পথে

গ্যাংটকের দিকে যেতে সিংতাম নামের একটি জায়গা পড়ে, যেখান থেকে রুমটেক মঠের রাস্তা বেরিয়েছে। রুমটেক সিকিমের অন্যতম বিখ্যাত বৌদ্ধ মঠ, কার্মাপার আসন। যদিও আমাদের সফরের সময় রুমটেক সরাসরি যাওয়া হয়নি, কিন্তু দূর থেকে পাহাড়ের গায়ে বসে থাকা সোনালি ছাদের ঝলক দেখা গিয়েছিল।

গ্যাংটকের পথে শেষ কয়েক কিলোমিটার

শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক প্রায় ১২০ কিলোমিটার, কিন্তু পাহাড়ি রাস্তার কারণে সময় লাগে ৪–৫ ঘণ্টা। শেষ কয়েক কিলোমিটারে পাহাড়ি বন ঘন হয়ে আসে, বাতাস আরও শীতল। ছোট ছোট ঝর্ণা রাস্তার ধারে পড়ে, আর পাখিদের ডাক শোনা যায় স্পষ্টভাবে।

গ্যাংটকে প্রবেশ

গ্যাংটক শহরে ঢোকার আগে তিস্তার উপর দিয়ে শেষবারের মতো একটি সেতু পার হতে হয়। তারপরই শহরের প্রথম ঝলক—উচ্চতায় বসে থাকা রঙিন বাড়ি, রেলিং ঘেরা রাস্তা, আর দূরে বরফঢাকা পাহাড়। সন্ধ্যা নেমে আসছিল, আর পাহাড়ি বাতাসে এক ধরনের উৎসবের গন্ধ ছিল।

গ্যাংটকের রাত

গ্যাংটকের এমজি মার্গে রাতের আলোর রঙ অপরূপ। এখানে গাড়ি চলাচল নেই, শুধুই পথচারীদের জন্য। দুই ধারে দোকান, ক্যাফে, পাহাড়ি পোশাক ও হস্তশিল্পের স্টল, আর পর্যটকদের ভিড়। এক বাটি থুকপা আর গরম কফি খেয়ে রাতটা যেন পূর্ণতা পেল।

পরদিনের অভিযাত্রা

গ্যাংটক থেকে পরের দিন আমরা ছুটে গেলাম তাশি ভিউ পয়েন্টে, যেখানে ভোরের আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘার অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়। পাহাড়ের উপরে লেগে থাকা মেঘের ফাঁক দিয়ে সোনালি আলো পড়ছিল—এমন দৃশ্য জীবনে একাধিকবার পাওয়া যায় না।
এরপর হানুমান টক, গণেশ টক, এবং বানঝাকরি ওয়াটারফল—প্রতিটি জায়গার নিজস্ব সৌন্দর্য আছে। পাহাড়ি ঝর্ণার কাছে দাঁড়িয়ে বরফঠান্ডা পানির ফোঁটা মুখে লাগার অনুভূতি সত্যিই অন্যরকম।

সংস্কৃতি ও মানুষ

গ্যাংটকের মানুষ শান্ত, অতিথিপরায়ণ এবং হাসিখুশি। এখানে লেপচা, ভুটিয়া, নেপালি—বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে থাকে। শহরে বৌদ্ধ মঠের প্রার্থনা ঘণ্টা আর তিব্বতি পতাকার রঙিন দোল এক অন্য আবহ তৈরি করে।

ফেরার পথ

ফেরার পথে একই রাস্তা হলেও দৃশ্যপট আলাদা লাগছিল। হয়তো মন তখন পাহাড়ের মায়ায় আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছিল। শিলিগুড়িতে ফেরার সময় একরাশ স্মৃতি আর পাহাড়ি হাওয়ার স্বাদ বুকে বয়ে নিয়ে এসেছিলাম।

উপসংহার

শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক সফর কেবল পাহাড়ি ভ্রমণ নয়—এটি এক আত্মার যাত্রা, যেখানে প্রকৃতি, মানুষ, আর সংস্কৃতি মিলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে। প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি দৃশ্য যেন বলে—পাহাড়ে ফিরে এসো আবার।
আপনি চাইলে আমি এর জন্য একটি প্রতীকী ছবি বা পোস্টার ডিজাইনের বর্ণনাও দিতে পারি, যাতে পরে ছবিতে রূপান্তর করা যায়।
আপনি কি সেই বর্ণনাটিও চান?

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

পিঁয়াজ: গুণাগুণ, উপকারিতা ও ব্যবহার।।

ভূমিকা:-  পিঁয়াজ (Onion), আমাদের প্রতিদিনের রান্নার অপরিহার্য একটি উপাদান। এটি শুধুমাত্র স্বাদের জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং একটি প্রাচীন ভেষজ উদ্ভিদ হিসেবেও পরিচিত। প্রাচীন মিশরীয়, ভারতীয় এবং গ্রিক চিকিৎসাশাস্ত্রে পিঁয়াজের ব্যবহারের ইতিহাস লক্ষণীয়। আধুনিক বিজ্ঞানও পিঁয়াজের পুষ্টিগুণ ও ঔষধি কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
এই প্রবন্ধে আমরা পিঁয়াজের বৈজ্ঞানিক পরিচয়, খাদ্যগুণ, ভেষজ গুণাগুণ, ব্যবহার, চাষাবাদ, ইতিহাস এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করব।

১. পিঁয়াজের বৈজ্ঞানিক পরিচয়

বিষয়তথ্যস্থানীয় নামপিঁয়াজ, পেয়াজইংরেজি নামOnionবৈজ্ঞানিক নামAllium cepaপরিবারAmaryllidaceaeঅংশ ব্যবহৃতকান্ড (bulb), পাতা, রস

২. পিঁয়াজের পুষ্টিগুণ

পিঁয়াজে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান:

ভিটামিন C: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

ভিটামিন B6, B9 (Folate): রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস: কোষ সুরক্ষা দেয়

ফাইবার: হজম শক্তি বাড়ায়

মিনারেলস: যেমন পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালসিয়াম

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা পিঁয়াজে যা থাকে:

উপাদানপরিমাণক্যালরি৪০ Kcalকার্বোহাইড্রেট৯.৩৪ গ্রামফাইবার১.৭ গ্রামপ্রোটিন১.১ গ্রামচর্বি০.১ গ্রামভিটামিন C৭.৪ মি.গ্রা.পটাশিয়াম১৪৬ মি.গ্রা.

৩. পিঁয়াজের ভেষজ ও স্বাস্থ্যগুণ

৩.১ হৃদরোগ প্রতিরোধ

পিঁয়াজে রয়েছে quercetin নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তনালিকে শিথিল করে ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পিঁয়াজ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৩.২ রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ

পিঁয়াজ ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত কাঁচা পিঁয়াজ খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩.৩ প্রদাহ প্রতিরোধ

পিঁয়াজে থাকা sulfur compounds এবং flavonoids প্রদাহ হ্রাস করে। গাঁটের ব্যথা বা বাতের সমস্যা থাকলে উপকারী।

৩.৪ হজম শক্তি বৃদ্ধি

ফাইবার ও প্রিবায়োটিক উপাদান থাকার কারণে এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া উন্নত করে এবং হজমে সহায়তা করে।

৩.৫ ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্ভাব্য ভূমিকা

গবেষণায় দেখা গেছে যে, পিঁয়াজে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার যৌগসমূহ অন্ত্র, পাকস্থলী ও প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।

৩.৬ ঠান্ডা ও সর্দিতে উপকারী

পিঁয়াজের রস সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় উপশম আনে। একে মধু বা আদার সাথে মিশিয়ে খাওয়া হয়।

৪. পিঁয়াজের ইতিহাস ও ঐতিহ্য

৪.১ প্রাচীন মিশরে

প্রায় ৫০০০ বছর আগেও মিশরের লোকেরা পিঁয়াজ খেত। এটি ছিল পুনর্জন্ম ও চক্রাকার জীবনধারার প্রতীক।

৪.২ ভারতীয় আয়ুর্বেদে

পিঁয়াজকে “রসালো, উষ্ণ, পিত্তবর্ধক” বলা হয়েছে। এটি যৌনক্ষমতা, বল এবং তেজ বৃদ্ধি করে বলে বিশ্বাস করা হত।

৪.৩ গ্রিক ও রোমান যুগে

যোদ্ধাদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য পিঁয়াজ খাওয়ানো হতো। অলিম্পিক ক্রীড়াবিদদের খাদ্যতালিকায়ও এটি ছিল।

৫. পিঁয়াজের প্রকারভেদ

পিঁয়াজ বিভিন্ন ধরনের হয়:
ধরনবৈশিষ্ট্যলাল পিঁয়াজস্বাদে ঝাঁজালো, বেশি সময় রাখা যায়সাদা পিঁয়াজনরম ও হালকা স্বাদের, স্যালাডে ব্যবহৃতহলুদ পিঁয়াজরান্নায় ব্যবহারযোগ্যবসন্ত পিঁয়াজ (Spring Onion)পাতা ও কাণ্ডসহ খাওয়া যায়

৬. পিঁয়াজ চাষাবাদ

আবহাওয়া: শীতপ্রধান ও শুষ্ক আবহাওয়ায় ভালো হয়

মাটি: বেলে দোআঁশ মাটি

সেচ: নিয়মিত জলসেচ দরকার

ফসল সংগ্রহ: বপনের ৯০–১২০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়

ভারতের মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, ও গুজরাটে সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজ চাষ হয়।

৭. ঘরোয়া ব্যবহার ও ঘরোয়া টোটকা

৭.১ মাথা যন্ত্রণায়

পিঁয়াজের রস কপালে লাগালে মাথাব্যথা উপশম হয়।

৭.২ চুল পড়া রোধে

পিঁয়াজের রস চুলে লাগালে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

৭.৩ পোকামাকড়ের কামড়ে

পিঁয়াজ ঘষে দিলে বিষক্রিয়া কমে ও জ্বালাভাব দূর হয়।

৭.৪ অজ্ঞান অবস্থায়

কাঁচা পিঁয়াজ কেটে নাকের কাছে ধরলে অজ্ঞান ব্যক্তি সাড়া দিতে পারে।

৮. রান্নায় ব্যবহার

পিঁয়াজ ব্যবহারের মাধ্যমে রান্নায় যে স্বাদ ও ঘ্রাণ তৈরি হয় তা এককথায় অতুলনীয়। এটি:

ঝোল ও তরকারিতে স্বাদ ও ঘনত্ব আনে

সালাদ ও চাটে খাওয়া যায়

ভাজা পিঁয়াজ দিয়ে পোলাও বা বিরিয়ানির স্বাদ বাড়ানো যায়

৯. সতর্কতা

খালি পেটে বেশি পিঁয়াজ খেলে অম্বল বা পেটফাঁপা হতে পারে

গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পিঁয়াজ বর্জন করা ভালো

রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেলে অতিরিক্ত পিঁয়াজ খাওয়া নিরাপদ নয়

কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে

১০. আধুনিক গবেষণায় পিঁয়াজ

গবেষণাফলাফলJournal of Nutrition (2012)পিঁয়াজ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়Food and Chemical Toxicology (2015)পিঁয়াজের অ্যান্টিক্যান্সার প্রভাবPhytotherapy Research (2010)অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ

উপসংহার

পিঁয়াজ কেবল একটি মসলা নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধ, যা হাজার বছর ধরে মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা এবং সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। এর গুণাগুণ দৈহিক স্বাস্থ্য রক্ষায় যেমন সহায়ক, তেমনি ঘরোয়া চিকিৎসাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে এর অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও রক্ষাবন্ধন : স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)।

আমাদের মূল্যবান মনুষ্য জীবনে রক্ষাবন্ধন বা রাখীবন্ধন উৎসব ভারতীয় সংস্কৃতি সভ্যতায় ধর্মীয়, সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সত্য সনাতন ধর্মে এই উৎসবটি ভাই ও বোনের শুভ রাখীবন্ধন উৎসব। ভাই ও বোনের মধ্যে ভালোবাসা ও প্রীতিবন্ধনের উৎসব। হিন্দু জৈন, বৌদ্ধ ও শিখরা এই উৎসব পালন করেন। এই দিন দিদি বা বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে পবিত্র রাখী বেঁধে দেয়। এই রাখীটি ভাই বা দাদার প্রতি দিদি বা বোনের ভালবাসা ও ভাইয়ের মঙ্গলকামনা এবং দিদি বা বোনকে আজীবন রক্ষা করার ভাই বা দাদার শপথের প্রতীক হিসাবে পরিগণিত হয়।

রক্ষাবন্ধন শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। রাখীপূর্ণিমা উৎসব কে রাখীবন্ধন ও বলা হয়। আবার ঝুলন পূর্ণিমা ও বলা হয়। ঝুলন পূর্ণিমা কিছু মন্দিরে শুধুমাত্র একদিনের জন্য ঝুলন যাত্রা উৎসব পালন করা হলেও, কিছু মন্দিরে একাদশীর দিন থেকে পূর্ণিমার দিন পর্যন্ত পালন করা হয়, যা শ্রাবণ মাসে পাঁচ দিন ধরে চলে। ঝুলন যাত্রা একটি ধর্মীয় উৎসব যা ভগবান কৃষ্ণ এবং ভগবান জগন্নাথকে উৎসর্গ করা হয়।

পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী দৈত্যরাজা বলি ছিলেন বিষ্ণুর ভক্ত। বিষ্ণু বৈকুণ্ঠ ছেড়ে বলির রাজ্য রক্ষা করতে চলে এসেছিলেন। বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী স্বামীকে ফিরে পাওয়ার জন্য এক সাধারণ মেয়ের ছদ্মবেশে বলিরাজের কাছে আসেন। লক্ষ্মী বলিরাজের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। বলিরাজা ছদ্মবেশী লক্ষ্মীকে আশ্রয় দিতে রাজি হন। শ্রাবণ পূর্ণিমা উৎসবে লক্ষ্মী বলিরাজার হাতে একটি রাখী বেঁধে দেন। বলিরাজা এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে লক্ষ্মী আত্মপরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন। এতে বলিরাজা মুগ্ধ হয়ে বিষ্ণুকে বৈকুণ্ঠে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। বলিরাজা বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করেন। সেই থেকে শ্রাবণ পূর্ণিমা তিথিটি বোনেরা রক্ষাবন্ধন বা রাখীবন্ধন উৎসব হিসেবে পালন করে।

মহাভারতের ব্যাখ্যা অনুযায়ী একবার যুদ্ধে ভগবান কৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতে বেঁধে দেন। এতে ভগবান কৃষ্ণ অভিভূত হয়ে যান। দ্রৌপদী তাঁর অনাত্মীয়া হলেও, তিনি দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন এবং দ্রৌপদীকে এর প্রতিদান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। পরে, পাশাখেলায় কৌরবরা দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে গেলে কৃষ্ণ দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখী বন্ধনের প্রচলন হয়।

ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী ৩২৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে মহামতি আলেকজান্ডার ভারত আক্রমণ করলে আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোজানা রাজা পুরুকে একটি পবিত্র সুতো পাঠিয়ে তাঁকে অনুরোধ করেন আলেকজান্ডারের ক্ষতি না করার জন্য। পুরু ছিলেন কাটোচ রাজা। তিনি রাখীকে সম্মান করতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি নিজে আলেকজান্ডারকে আঘাত করেননি।

তাছাড়াও ১৫৩৫ সালে গুজরাটের সুলতান বাদশা চিতোর আক্রমণ করলে চিতোরের রানী কর্ণাবতী হুমায়ুনের সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং তার কাছে একটি রাখী পাঠান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হুমায়ুন চিতোর রক্ষা করতে পারেননি কারণ তিনি চিতোর পৌঁছানোর আগেই বাহাদুর শাহ চিতোর জয় করে নিয়েছিলেন। বিধবা রানী কর্ণাবতী নিজেকে রক্ষা করতে না পেরে এবং বাহাদুর শাহ এর হাত থেকে বাঁচার জন্য ১৩০০০ স্ত্রীকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জহর ব্রত পালন করেন। পরে হুমায়ুন চিতোর জয় করে কর্ণাবতীর ছেলে বিক্রম সিংহ কে রাজা ঘোষণা করেন। রাণী কর্ণাবতী ও সম্রাট হুমায়ুনের সম্পর্কের বুনিয়াদ ছিল শুধুই একটি রাখি আর সাথে থাকা একটি চিঠি। ভিন্ন ধর্ম কিংবা রাজনৈতিক সম্পর্ক কিছুই মুখ্য হয়নি ভাইকে পাঠানো বোনের রক্ষাবার্তায়। বোনকে রক্ষায় ছুটে এসেছেন ভাই। শেষ রক্ষা না হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছেন অপরাধীকে।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রক্ষাবন্ধন বা রাখীবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। আজ কাল আমরা সবাই রাখী বন্ধন উৎসবে মেতে উঠি। কিন্তু অনেক সময় তা উৎসব হয়েই থেকে যায়। অনেক সময় দামী ও রংচঙে রাখীর নিচে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে পবিত্র রাখি বন্ধন উৎসব এর সেই পুরোনো মহিমাময় ঐতিহ্য ও গৌরব। উত্তর প্রদেশের মথুরা এবং বৃন্দাবন শহরগুলির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপ ধাম ও শান্তিপুরে অত্যন্ত আড়ম্বর ও আনন্দের সাথে উদযাপিত হয়। সারা দেশে ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে কৃষ্ণমন্দির, জগন্নাথ মন্দির এবং অন্যন্য মন্দিরেও ঝুলন যাত্রা পালিত হয়। সারা বিশ্ব এবং সারা দেশ থেকে ভক্তরা এই মন্দির গুলিতে উৎসব উদযাপন করতে সমবেত হন। এই বছর রক্ষাবন্ধন বা রাখিপূর্ণিমা বাংলা ২৩ শে শ্রাবণ ১৪৩২ সাল শনিবার (09.08.2025)। পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ৮ আগস্ট, শুক্রবার বেলা ১ টা বেজে ৫৭ মিনিটে ও শেষ হচ্ছে ৯ আগস্ট শনিবার বেলা ১ টা ৪১ মিনিটে। সবাইকে শুভ ঝুলন পূর্ণিমা ও রক্ষাবন্ধনের শুভেচ্ছা। আজ এই শুভ দিনে জগৎগুরু ভগবান প্রণবানন্দজী মহারাজের শুভ ও মঙ্গলময় আশির্বাদ সবার শিরে বর্ষিত হোক এই প্রার্থনা করি।
ওঁ গুরু কৃপাহি কেবলম্ ….!

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

রেড ক্রসের গঠন : মানবিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক।।।।।

8 আগস্ট, 1864, মানবিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে, কারণ এই দিনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে রেড ক্রস গঠিত হয়েছিল। রেড ক্রস, ইন্টারন্যাশনাল রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট মুভমেন্ট নামেও পরিচিত, একটি মানবিক সংস্থা যা যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য সংকট দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জরুরী সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ এবং শিক্ষা প্রদান করে।

একটি ধারণার জন্ম—–

যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে রেড ক্রসের ধারণার জন্ম হয়েছিল। 1859 সালে, হেনরি ডুনান্ট, একজন সুইস ব্যবসায়ী, সলফেরিনোর যুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছিলেন, যেখানে হাজার হাজার সৈন্য আহত হয়েছিল এবং চিকিৎসা ছাড়াই যুদ্ধক্ষেত্রে মারা গিয়েছিল। ডুনান্ট যে দুর্দশা দেখেছিলেন তার দ্বারা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং বুঝতে পেরেছিলেন যে যুদ্ধের সময়ে মানবিক সহায়তা প্রদান করতে পারে এমন একটি নিরপেক্ষ সংস্থার প্রয়োজন ছিল।
1862 সালে প্রকাশিত ডুনান্টের বই, “এ মেমোরি অফ সোলফেরিনো”, আহত সৈন্যদের যত্নের জন্য জাতীয় ত্রাণ সমিতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছিল। বইটি ইউরোপ জুড়ে আগ্রহের ঢেউ ছড়িয়ে দেয় এবং 1863 সালে জেনেভায় আহতদের জন্য আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করা হয়।

প্রথম জেনেভা কনভেনশন—-

1864 সালের 8 আগস্ট, প্রথম জেনেভা কনভেনশনে 16টি দেশ স্বাক্ষরিত হয়েছিল, রেড ক্রসকে একটি নিরপেক্ষ মানবিক সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। কনভেনশন রেড ক্রস প্রতীককে স্বীকৃতি দিয়েছে, একটি সাদা পটভূমিতে একটি লাল ক্রস, চিকিৎসা কর্মীদের এবং সুবিধার জন্য একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রতীক হিসাবে।

কনভেনশনটি বেসামরিক, আহত এবং যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষা সহ মানবিক আইনের নীতিগুলিও প্রতিষ্ঠা করে। এই নীতিগুলি তখন থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের ভিত্তি হয়ে উঠেছে।

বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণ—

প্রথম জেনেভা কনভেনশনের পরের বছরগুলিতে, রেড ক্রস আন্দোলন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ন্যাশনাল রেড ক্রস সোসাইটি ইউরোপ জুড়ে এবং তার বাইরের দেশগুলিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং সংস্থাটি মানবিক সাহায্যের জন্য একটি বিশ্বশক্তিতে পরিণত হয়েছিল।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, রেড ক্রস সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা এবং ত্রাণ প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সংস্থাটি ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC) প্রতিষ্ঠা করতেও সাহায্য করেছিল, যেটি আজও রেড ক্রস আন্দোলনের গভর্নিং বডি।

তারপরের দশকগুলিতে, রেড ক্রস বিশ্বজুড়ে নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সংকটের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবর্তিত এবং সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে। আজ, রেড ক্রস বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সম্মানিত মানবিক সংস্থাগুলির মধ্যে একটি, যার উপস্থিতি 190 টিরও বেশি দেশে রয়েছে।

প্রভাব এবং উত্তরাধিকার—

রেড ক্রস গঠন মানবিক ইতিহাসে গভীর প্রভাব ফেলেছে। সংস্থাটি অগণিত জীবন বাঁচিয়েছে, সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত লক্ষ লক্ষ মানুষকে সান্ত্বনা ও সহায়তা প্রদান করেছে এবং মানবিক আইনের নীতিগুলি প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে।
বিশ্বজুড়ে শান্তি ও বোঝাপড়ার প্রচারে রেড ক্রসও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার নিরপেক্ষতা এবং নিরপেক্ষতার মাধ্যমে, সংস্থাটি সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও মানুষকে একত্রিত করতে এবং সংলাপ সহজতর করতে সক্ষম হয়েছে।

উপসংহার—

1864 সালের 8 আগস্ট রেড ক্রসের গঠন মানবিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। জেনেভায় তার নম্র সূচনা থেকে, সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষকে সাহায্য ও সমর্থন প্রদান করে, ভালোর জন্য একটি বৈশ্বিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আমরা যখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাই, রেড ক্রস আশার আলো এবং অন্যদের জীবনে পরিবর্তন আনতে মানবতার শক্তির অনুস্মারক হিসাবে রয়ে গেছে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিপ্লবী কণ্ঠের জন্ম : বন্দেমাতরমের প্রথম প্রকাশ।।।

8 আগস্ট, 1906, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করে, কারণ এই দিনেই ইংরেজি দৈনিক ‘বন্দেমাতরম’ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায়। এই সংবাদপত্রটি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকে গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, ভারতীয় জনগণের জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের পাশে একটি কাঁটা হিসেবে কাজ করবে।

পটভূমি—

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে, ভারত ছিল বিপ্লবী কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল, বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ব্যক্তিরা ব্রিটিশ শাসনকে উৎখাত এবং একটি স্বাধীন ও স্বাধীন জাতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিল। এমনই একজন ব্যক্তি ছিলেন বিপিনচন্দ্র পাল, একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক এবং মুক্তিযোদ্ধা যিনি এর আগে বেশ কয়েকটি বাংলা সংবাদপত্র সম্পাদনা করেছিলেন। পাল ভারতীয় স্ব-শাসনের পক্ষে একজন শক্তিশালী উকিল ছিলেন এবং স্বামী বিবেকানন্দ এবং অন্যান্য জাতীয়তাবাদী চিন্তাবিদদের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রয়োজন
সেই সময়ে, বেশিরভাগ ভারতীয় সংবাদপত্র স্থানীয় ভাষায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা তাদের নাগাল এবং প্রভাবকে সীমিত করেছিল। পাল এমন একটি ইংরেজি ভাষার দৈনিকের প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছিলেন যা ব্রিটিশ কর্মকর্তা, ভারতীয় বুদ্ধিজীবী এবং আন্তর্জাতিক পাঠক সহ বিস্তৃত শ্রোতার সাথে কথা বলতে পারে। তিনি এমন একটি সংবাদপত্রের কল্পনা করেছিলেন যেটি শুধুমাত্র সংবাদ এবং ঘটনাগুলি নিয়েই রিপোর্ট করবে না বরং দিনের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা ও বিতর্কের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
লঞ্চ এবং প্রারম্ভিক বছর
বন্দেমাতরম, যা বাংলায় “হাইল টু দ্য মাদারল্যান্ড” অনুবাদ করে, কলকাতা (বর্তমানে কলকাতা) থেকে 1906 সালের 8 আগস্ট চালু হয়েছিল। সংবাদপত্রটি ভারতের স্বাধীনতার বিষয়ে তার সাহসী এবং আপসহীন অবস্থানের জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা এবং মনোযোগ অর্জন করে। পালের সম্পাদকীয় এবং নিবন্ধগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল, কারণ তারা ব্রিটিশ শাসনের তীব্র সমালোচনা এবং ভারতীয় স্বাধীনতার জন্য একটি আবেগপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছিল।
প্রভাব এবং প্রভাব
বন্দেমাতরমের প্রভাব ছিল তাৎক্ষণিক এবং সুদূরপ্রসারী। সংবাদপত্রটি ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিল, অগণিত ব্যক্তিকে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদানের জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল। ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংবাদপত্রের সাহসী অবস্থানের আন্তর্জাতিক পাঠকরা লক্ষ্য করার সাথে সাথে এর প্রভাব ভারতের সীমানার বাইরেও প্রসারিত হয়েছিল।
সংবাদপত্রটি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যা দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বন্দেমাতরমের সম্পাদকীয় লাইনটি কংগ্রেসের লক্ষ্যগুলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং সংবাদপত্রটি প্রায়শই সংগঠনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং নীতিগুলির জন্য একটি মুখপত্র হিসাবে কাজ করে।

চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরাধিকার‐-

এর প্রভাব থাকা সত্ত্বেও, বন্দেমাতরম তার প্রথম বছরগুলিতে আর্থিক সংগ্রাম, সরকারী সেন্সরশিপ এবং এমনকি এর অফিসগুলিতে শারীরিক আক্রমণ সহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। যাইহোক, সংবাদপত্রটি অধ্যবসায়ী ছিল এবং এর উত্তরাধিকার বাড়তে থাকে।
আজ, বন্দেমাতরমকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি অগ্রগামী কণ্ঠস্বর হিসাবে স্মরণ করা হয়, জনমত গঠন করতে এবং কর্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সাংবাদিকতার শক্তির প্রমাণ। এর প্রভাব অনেক ভারতীয় সংবাদপত্রে দেখা যায় যেগুলি তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিল, সেইসাথে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের প্রতি দেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিতে।

উপসংহার—-

8ই আগস্ট, 1906-এ বন্দেমাতরমের প্রকাশনা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে চিহ্নিত করে। বিপিনচন্দ্র পালের সম্পাদনায়, সংবাদপত্রটি ভারতীয় জনগণের জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে। এর উত্তরাধিকার আজও ভারতীয় সাংবাদিকতা ও রাজনীতিকে অনুপ্রাণিত ও প্রভাবিত করে চলেছে।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং গুরুত্ব।।।।

7ই আগস্ট আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবসকে চিহ্নিত করে, একটি দিন যা বায়োডিজেলের গুরুত্ব এবং একটি টেকসই ভবিষ্যত তৈরিতে এর ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে নিবেদিত। বায়োডিজেল, একটি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উত্স, জীবাশ্ম জ্বালানির একটি পরিষ্কার বিকল্প হিসাবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।

বায়োডিজেল দিবসের ইতিহাস
আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবসটি ডিজেল ইঞ্জিনের উদ্ভাবক রুডলফ ডিজেলের জন্মদিনকে স্মরণ করে। 1893 সালের 7 আগস্ট, ডিজেল তার ইঞ্জিন প্রদর্শন করে, যা চিনাবাদাম তেলের উপর চলে, শিকাগোতে বিশ্ব মেলায়। জ্বালানী হিসাবে উদ্ভিজ্জ তেলের এই উদ্ভাবনী ব্যবহার বায়োডিজেল শিল্পের সূচনা করে।—-
বায়োডিজেলের উপকারিতা
বায়োডিজেল অনেক সুবিধা দেয়, এটি জীবাশ্ম জ্বালানির একটি আকর্ষণীয় বিকল্প করে তোলে। কিছু সুবিধার মধ্যে রয়েছে:
1. নবায়নযোগ্য এবং টেকসই: বায়োডিজেল জৈব পদার্থ থেকে উত্পাদিত হয়, এটি একটি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস করে তোলে।
2. গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন কমায়: জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় বায়োডিজেল কার্বন নিঃসরণ 80% পর্যন্ত কমায়।
3. শক্তির স্বাধীনতা: বায়োডিজেল স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত হতে পারে, আমদানি করা জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করে।
4. চাকরি তৈরি করে: বায়োডিজেল শিল্প কৃষি, উৎপাদন এবং বিতরণে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
5. বায়ুর গুণমান উন্নত করে: বায়োডিজেল কম দূষক নির্গত করে, যার ফলে বায়ু পরিষ্কার হয় এবং জনস্বাস্থ্য উন্নত হয়।

চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ—-

এর সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, বায়োডিজেল শিল্প চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, যেমন:
1. ফিডস্টকের প্রাপ্যতা: উদ্ভিজ্জ তেলের মতো ফিডস্টকের ধারাবাহিক সরবরাহ নিশ্চিত করা কঠিন হতে পারে।
2. খরচ: জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় বায়োডিজেল উৎপাদন খরচ বেশি, এটি কম প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে।
3. অবকাঠামো: ব্যাপক গ্রহণের জন্য স্টোরেজ এবং বিতরণ সুবিধা সহ অবকাঠামোতে বিনিয়োগের প্রয়োজন।
যাইহোক, এই চ্যালেঞ্জগুলি উদ্ভাবন এবং বৃদ্ধির সুযোগও উপস্থাপন করে:
1. উন্নত ফিডস্টক: শেত্তলা এবং কৃষি বর্জ্যের মতো নতুন ফিডস্টকগুলিতে গবেষণা স্থায়িত্ব উন্নত করতে পারে।
2. প্রযুক্তিগত অগ্রগতি: উন্নত উৎপাদন প্রক্রিয়া খরচ কমাতে পারে এবং দক্ষতা বাড়াতে পারে।
3. নীতি সমর্থন: সরকারগুলি ট্যাক্স ক্রেডিট এবং ভর্তুকির মাধ্যমে বায়োডিজেল উত্পাদন এবং ব্যবহারকে উত্সাহিত করতে পারে।
আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবস উদযাপন—

আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবসে, আমরা বায়োডিজেল শিল্পে যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা স্বীকার করি এবং এখনও যে কাজগুলি করা বাকি আছে তা স্বীকার করি। ইভেন্ট এবং কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করতে পারে:
1. সম্মেলন এবং কর্মশালা: শিল্প বিশেষজ্ঞরা জ্ঞান এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি ভাগ করে নেন।
2. প্ল্যান্ট ট্যুর: বায়োডিজেল উত্পাদন সুবিধাগুলি প্রদর্শন করুন এবং উদ্ভাবনগুলি হাইলাইট করুন।
3. সম্প্রদায়ের ব্যস্ততা: জনসাধারণকে বায়োডিজেল সুবিধা সম্পর্কে শিক্ষিত করুন এবং দত্তক নেওয়ার প্রচার করুন।

উপসংহার—

আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবস টেকসই শক্তি সমাধানের গুরুত্বের অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে। যেহেতু বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন এবং শক্তি সুরক্ষার সাথে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে, বায়োডিজেল একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বিকল্প সরবরাহ করে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এবং সুযোগগুলিকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে, আমরা একটি পরিষ্কার, আরও টেকসই ভবিষ্যত তৈরি করতে পারি। আন্তর্জাতিক বায়োডিজেল দিবস উদযাপনে এবং আগামীকাল একটি সবুজের প্রচারে আমাদের সাথে যোগ দিন।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ হিরোশিমা দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত এবং গুরুত্ব।।।।

প্রতিবছর ৬ আগস্ট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের বার্ষিকী হিসাবে পালন করা হয়।১৯৪৫ সালের ৬ই আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ভয়াবহ বোমা নিক্ষেপ ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের উদ্দেশ্য করা হয়েছিল। এই দিনটিকে শান্তির প্রচারের জন্য এবং পারমাণবিক শক্তি ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়ানোর জন্য স্মরণ করা হয়।
কি হয়েছিলো সেদিন—
হিরোশিমার কথা মনে আছে সবার? ভুলে যাওয়ার কথা নয়। ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। জাপানের একটি শহর যুগের পর যুগ কেন এতো আলোচনায়? ইতিহাস বলছে, জাপানের একটি শহর হিরোশিমা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই শহরের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী ‘লিটল বয়’ নামের পারমাণবিক বোমা ফেলে। ঘটনাটি ঘটে ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে। এর তিন দিন পর জাপানের নাগাসাকি শহরের ওপর ‘ফ্যাট ম্যান’ নামের আরেকটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে জাপানের হিরোশিমা শহরে ফেলা হয় বিশ্বের প্রথম পরমাণু বোমা। তখনও ঘুম থেকে জেগে ওঠেনি হিরোশিমার মানুষ। সকাল ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। হঠাৎই দানবের মতো হিরোশিমার আকাশের নীলিমায় উদয় হল মার্কিন বি টুয়েন্টিনাইন বোমারু বিমান এনোলা গ্রে। কল্পকথার আগুনমুখো ড্রাগনের মতো সেখান থেকে হিরোশিমার একটি হাসপাতালের ১ হাজার নশো ফুট ওপর বিস্ফোরিত হয় বিশ্বের প্রথম আণবিক বোমা লিটল বয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আণবিক বোমার বিষাক্ত ছোবলে মারা গেল ৮০ হাজার মানুষ। আহত হল আরও ৩৫ হাজার। ঘুমের মধ্যে মারা গেল নারী, শিশু, বৃদ্ধ, যুবা। মাটির সঙ্গে মিশে গেল বেশির ভাগ দালান-কোঠা। হাসপাতালগুলোতে আহতদের চিকিৎসার জন্য বেঁচে রইল খুব অল্পসংখ্যক চিকিৎসক ও সেবিকা। মুহূর্তের মধ্যে যেন এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল ছবির মতো সুন্দর জাপানের ছোট্ট শহর হিরোশিমা। এখানেই শেষ নয় বছর না ঘুরতেই আণবিক বোমার ভয়াবহ তেজস্বক্রিয়তায় মারা যায় আরও ৮০ হাজার জাপানি।
কেন চালানো হল এই হামলা ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানের আত্মসমর্পণের আহ্বানে জাপান সাড়া না দেওয়ায় তাঁর নির্দেশেই ঠান্ডা মাথায় হিরোশিমায় চালানো হয় নারকীয় এই হামলা। এর উদ্দেশ্যে ছিল দু’টি। এক হল জাপানিদের জব্দ করা, আরেক হল যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে জাপানকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। ১৯৩৯-১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৯০০০ পাউন্ডেরও বেশি ইউরেনিয়াম-235 বিশ্বের সর্বপ্রথম মোতায়েন করা পারমাণবিক বোমা এবং মার্কিন B-29 বোমারু বিমান, এনোলা গে ৬ আগস্ট ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা শহরে আক্রমণ করেছিল । বিস্ফোরণটি এতটাই বিশাল ছিল যে তাৎক্ষণিকভাবে ৭০০০০ জন লোকের হত্যা হয়, যা শহরের ৯০% এলাকায় ছড়িয়ে পরে এবং পরবর্তীকালে প্রায় ১০০০০ জন মানুষ রেডিয়েশন এক্সপোজারের প্রভাবে মারা যায়।
যার কারণে মুহূর্তেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল একটি শহর। এতে বহু ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, গাছ-গাছালিসহ হিরোশিমার সার্বিক নির্মাণ কাঠামো বিধ্বস্ত হয়েছিল। জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট জানায়, এ হামলায় হিরোশিমার ৬৫ শতাংশ ভবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তারপরই ১৫ অগাস্ট নিঃশর্ত সমর্পণ করার ঘোষণা দেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো। কেননা পারমাণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল জাপানের কয়েক প্রজন্মকে।
এখনও সে দিনের সেই হামলার দু:সহ স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে হিরোশিমার মানুষ। আণবিক বোমা হামলার এত বছর পরও শহরে জন্ম নিচ্ছে বিকলাংগ শিশু, ক্যনসারসহ দুরারোগ্য ব্যধিতে ভুগছে বহু মানুষ। শোনা যায়, নারীদের গর্ভের সন্তানও এতে আক্রান্ত হয়েছিল। প্রসবের পর বেশিরভাগকেই বিকলাঙ্গ হতে দেখা যায়। সেই ভয়াবহতাকে স্মরণ করতেই প্রতিবছর দিনটিকে ‘হিরোশিমা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বশান্তি ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রচার করতেই দিবসটি পালন করা হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This