Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ৩০ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।

আজ ৩০ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস।(ভারত – পশ্চিমবঙ্গ)
(খ) আন্তর্জাতিক রবীন্দ্রকাব্যপাঠ দিবস।
আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯২৬ – পল বার্গ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান প্রাণরসায়নী।

১৯৩৩ – এম. জে. কে. স্মিথ, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৩৯ – হোসে এমিলিও পাচেকো, মেক্সিকোর তরুণ প্রজন্মের শীর্ষসারির কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, ছোটগল্পকার, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৪১ – পিটার পোলক, সাবেক ও বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

১৯৪৩ – (ক)  সৈয়দ আখতার মির্জা,ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার, চলচিত্র পরিচালক।
(খ) আহমদ ছফা, বাংলাদেশী লেখক, চিন্তক ও ঔপন্যাসিক।
১৯৫৪ – সেরযহ সারগসয়ান, আর্মেনিয় রাজনীতিবিদ ও ৩য় প্রেসিডেন্ট।
১৯৬৩ – য়ংওইয়ে মাল্মস্টেন, সুইডিশ গিটারিষ্ট ও গীতিকার।

১৯৬৪ – মার্ক ওয়াটার্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৬৫ – গ্যারি প্যালিস্টার, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৬৬ – মাইক টাইসন, মার্কিন পেশাদার বক্সিং খেলোয়াড়।

১৯৬৯ – সনাথ জয়াসুরিয়া, শ্রীলংকার সাবেক ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ।

১৯৭৭ – জুস্টো ভিলার, প্যারাগুয়ের ফুটবলার।
১৯৭৮ – লুসিয়ানা লেওন লুসি, ছোটবেলা থেকে রাজনীতির মাঠে এবং অসংখ্য তরুণের মনে ঝড় তোলেন।
১৯৮০ – রায়ান টেন ডেসকাট, নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটার।
১৯৮৩ – শেরিল কোল, ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, ড্যন্সার ও মডেল।

১৯৮৫ – মাইকেল ফেলপস, মার্কিন সাঁতারু এবং ২৩ টি অলিম্পিক স্বর্ণ পদক বিজয়ী।
১৯৮৬ – ফ্রেডয় গুয়ারিন, কলম্বিয়ান ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৭ – বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ত্রিশ হাজার সেনা নিয়ে ইংরেজ অধিকৃত কোলকাতা দখল করেন।
১৭৫৭ – নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা স্বীয় পত্নী ও কন্যাসহ পালিয়ে যাবার সময় পথিমধ্যে রাজমহলে রাত কাটাতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন।
১৭৭২ – বাংলাদেশের রংপুরে ফকির মজনু শাহ জেহাদ শুরু করেন।
১৮৫৫ – ব্রিটিশবিরোধী সাঁওতাল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
১৮৮৬ – ন্যায়বান গভরমেন্ট দক্ষিণ সাহাবাজপুর পরগনা কোর্ট অব ওয়ার্ডসের শাষনাধীনে গ্রহণ করে বাবু পিতাম্বর বন্ধ্যোপাধ্যায়কে অস্থায়ী ম্যানেজার নির্ধারণ করে দৌলতখায় প্রেরণ করে।
১৮৯৪ – কোরিয়া চীন থেকে স্বাধীনতা পেয়ে জাপানের সহযোগিতা কামনা করে।
১৮৯৪ – লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়।
১৯০৮ – রাশিয়ার সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের উত্তর-পশ্চিমের দুর্গম পার্বত্য এলাকা টাঙ্গুস্কায় এক প্রচন্ড শক্তির বিস্ফোরন ঘটে।
১৯১৬ – রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯২০ – আয়াতুল্লাহ মীর্যা মোঃ ত্বাক্বী শিরাজীর নেতৃত্বে ইরাকের জনগণ বৃটিশ দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করে।
১৯৩৪ – জার্মানিতে ফ্যাসিবাদী হিটলারের বিরোধীতা করায় প্রায় এক হাজার লোককে হত্যা করা হয়।
১৯৩৭ – বিশ্বে প্রথম আপৎকালীন টেলিফোন নম্বর ‘৯৯৯’ চালু হয় লণ্ডনে।
১৯৪১ – নাজি গ্রুপের অনুসারীরা ইউক্রেনের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৫৭ – আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক প্রধান, মাওলানা ভাসানী দলের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন।
১৯৬০ – কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বা জায়ার স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৯৬৯ – নাইজেরীয় সরকার বায়াফ্রায় পাঠানো রেডক্রসের সব ধরনের সাহায্য বন্ধ করে দেন।
১৯৭১ – ‘নিউইয়র্ক টাইমস’- এর প্রতিনিধি সিডনি শ্যানবার্গকে ঢাকা থেকে বহিষ্কার করা হয়।
১৯৭১ – মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে নীলমনিগঞ্জ, হালসা ও আলমডাঙ্গা রেল লাইন বিষ্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দিয়ে পাকসেনাদের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
১৯৭৪ – বিশিষ্ট রাজনীতিক ভাষাসৈনিক জাতীয় লীগ প্রধান জনাব অলি আহাদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন।
১৯৭৯ – সুদানের জেনারেল ওমর আল বাশীর অভ্যন্তরীন সংকটের সম্মুখীন সুদানের সাদেক আল মাহদীর সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।
১৯৯১ – দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদী শাসনের অবসান ঘটে।
১৯৯৩ – ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রতিবাদে ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে লাখো জনতা অযোধ্যা অভিমুখে প্রতীকি লংমার্চ শুরু করেন।
১৯৯৭ – বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তর করা হয়।
২০০০ – সমাপ্য অর্থ বত্সরের কার্যাদি নির্বাহের জন্য সংযুক্ত তহবিল হইতে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয় ৷
২০০২ – বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাটকল আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয় বিএনপি জোট সরকার৷

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৬০ – উইলিয়াম অউগট্রেড, ইংরেজ মন্ত্রী ও গণিতবিদ।
১৭১৭ – নবাব মুর্শিদ কুলি খান, বাংলার প্রথম নবাব।
১৮৩৯ – দ্বিতীয় মাহমুদ খাঁ, তুর্কি সুলতান।
১৯১৭ – দাদাভাই নওরোজি, বৃটিশ পার্লামেন্টের প্রথম ভারতীয় সদস্য।
১৯১৯ – জন উইলিয়াম স্ট্রাট ৩য় ব্যারন রেলি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৩৪ – কার্ট ভন সচলেইচের, জার্মান জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ২৩ তম চ্যান্সেলর।

১৯৫৯ – খ্যাতনামা বাঙালি অভিনেতা ও নাট্যাচার্য শিশিরকুমার ভাদুড়ী।

১৯৬২ – প্রমীলা নজরুল, বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের পত্নী।

১৯৭১ – ভ্লাডিস্লাভ ভোল্কোভ, রাশিয়ান প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

১৯৭৪ – এ্যালবার্ট কিং, মার্টিন লুথার কিং এর মা।
২০০১ – চ্যাট অ্যাটকিন্স, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, গিটার ও প্রযোজক।
২০০৩ – বাডি হাকেট, আমেরিকান অভিনেতা ও কৌতুকাভিনেতা।
২০০৯ – পিনা বাউসচ্, জার্মান ড্যন্সার, কোরিওগ্রাফার ও পরিচালক।
২০১৪ – পল মাযুরস্কয়, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বীরভূমের রাঙা মাটির রাঙ্গা-পথে সিধু-কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বিদ্রোহ।।।।

উনিশ শতকে বঙ্গীয় ‘রেনেসান্স’ বা রেনেসাঁ যে সময়ে প্রকৃত জাতিয়তাবাদের ভিত্তি রচনা করতে ব্যর্থ হয়েছিল ঠিক সেই সময়েই ইংরেজ শাসকের অপশাসন ও জমিদার শ্রেণী আর মহাজনদের শোষণের বিরুদ্ধে সশস্ত্র কৃষক- সংগ্রাম সমগ্র জাতির সামনে এক নতুন সংগ্রামী ঐতিহ্য সৃষ্টি করেছিল যাকে ভারতের বৈপ্লবিক জাতিয়তাবাদের ভিত্তিভূমি বলা চলে।

ব্রিটিশ শাসনকালে যে সমস্ত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছিল তাদের মধ্যে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ছিল সাঁওতাল বিদ্রোহ বা খেরওয়ারি হুল বিদ্রোহ।
১৮৫৫ সালের সাঁওতাল বিদ্রোহ ও ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ বা মহাবিদ্রোহ – দুটোকেই ভারতের প্রথম ঐক্যবদ্ধ স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা চলে। এই উভয় সংগ্রামই শুরু হয়েছিল ইংরেজ শাসনের কবল থেকে, শোষণ থেকে মুক্তি ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ধ্বনি নিয়ে।
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রকৃত কারণ ছিল জমির উপর একছত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার অকাঙ্খা এবং তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল স্বাধীনতা স্পৃহা- যার ফলে তারা ধ্বনি তুলেছিল – “আমাদের নিজ সম্পত্তির অধীনে স্বাধীন সাঁওতাল রাজ্য চাই।”

এই প্রসঙ্গে ওল্ডহাম সাহেব মন্তব্য করেছিলেন – “পুলিশ ও মহাজনের অত্যাচারের স্মৃতি যাহাদের দেশপ্রেম জাগাইয়া তুলিয়াছিল সেই আন্দোলন তাহাদের সকলকেই আকৃষ্ট করিল,কিন্তু যে মূল ভাবধারাকে কার্যে পরিণত করিবার চেষ্টা হইতেছিল তাহা ছিল সাঁওতাল অঞ্চল ও সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠার চিন্তা।”
সাঁওতালী ভাষার বিদ্রোহকে বলা হয় ‘হুল’,সুতরাং সাঁওতাল বিদ্রোহ ‘সাঁওতাল হুল’ নামেই বেশি পরিচিত । ১৮৫৪ সাল থেকেই এই বিদ্রোহের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ উঠতে আরম্ভ করেছিল,তারপর ১৮৫৫ সালে সেই বিদ্রোহ পরিপূর্ণ ভাবে আত্মপ্রকাশ করে দাবাগ্নির মতো চতুর্দিকে বিস্তৃত হলো।শত শত বছরের প্রায় বিচ্ছিন্ন সমাজ জীবনের ধারা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সাঁওতালরা পথ খোঁজে মুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে। জমির অধিকার,জঙ্গলের অধিকার,ফসলের অধিকার,জমিদার ও মহাজনদের শোষণমুক্তির অধিকার ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন যেন এই প্রথম ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে ওঠে তারা দেখতে পায়।

সাঁওতালরা তাদের সমাজের দুর্দশার কথা গানের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কোম্পানির কুশাসনের স্বরূপ তুলে ধরেছিল । যেমন –
“নেরা নিয়া নুরু নিয়া
ডিণ্ডা নিয়া ভিটা নিয়া
হায়রে হায়রে! মাপাঃ গপচদ,
নুরিচ নাড়াঁড় গাই কাডা নাচেল লৌগিৎ পাচেল লৌগিৎ
সেদায় লেকা বেতাবেতেৎ ঞাম রুওয়ৌড় লৌগিৎ
তবে দ বোন লুনাগেয়া হো।”
এর অর্থ হচ্ছে – “স্ত্রীপুত্রের জন্য
জমি জায়গা বাস্তুভিটার জন্য
হায় হায় ! এ মারামারি কাটাকাটি
গো-মহিষ-লাঙ্গল ধন-সম্পত্তির জন্য
পূর্বের মত আবার ফিরে পাবার জন্য
আমরা বিদ্রোহ করবো।”
গানটির প্রতিটি লাইনে প্রতিটি শব্দে শোষণ আর উৎপীড়নে গুমড়ে ওঠা সাঁওতালদের মনের গোপন কথা প্রকাশ পেয়েছিল। সেদিন এই প্রকার আরও অনেক গান তারা রচনা করেছিল সংগ্রাম করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
এরূপ আরো একটা গান এখানে তুলে ধরা হলে –
“আদ বাংবন পৌচঃ সিধু আদ বাংবন থিরঃ,
বাইরি ঞেলতে লৌড়হাই ঘন বাংবন ঞিরঃ।
বহঃক্ ঞুরুঃ রেহঁ সিধু মায়াম লিঙ্গি রেহঁ,
বাংবন পাচঃ লৌড়হাই আবন দেবন সহরঃ।।
এই গানের অর্থ হচ্ছে –
“আর আমরা পিছু হঠব না সিধু আর চুপ থাকবে না,
শত্রু দেখে লড়াই থেকে পালাব না,
মাথা উড়ে গেলেও সিধুর রক্ত বইতে থাকলেও,
আমরা আর পিছু হটবনা,লড়াই মুখো হব।।”

এই সব কবিতা বা গানের মধ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে আদিবাসী সহজ সরল সাঁওতালরা যুগ যুগ ধরে শোষণ-অত্যাচারের শিকার হওয়ার জন্য তারা বাধ্য হয়ে সশস্ত্র বিপ্লবের পথ বেছে নিয়েছিল। এভাবে ইংরেজ শাসক,জমিদার ও মহাজনদের শোষন -অত্যাচার-অবিচার থেকেই এই বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিদ্রোহের মধ্য থেকেই জন্ম নিয়েছিল নেতৃত্ব। সাঁওতাল পরগনার ধূমায়িত বিদ্রোহের মধ্য থেকে বার হয়ে এলেন ঐতিহাসিক সাঁওতাল বা হূল বিদ্রোহের নায়ক সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব নামে চার ভাই। এছাড়া এই নেতাদের মধ্যে ছিলেন কালো প্রামানিক, ডোমন মাঝি,বীরসিংহ মাঝি, গোক্ক ইত্যাদি সাওতাঁল আদিবাসী ।
১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন এই সব নেতাদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল ভাগনাডিহির মাঠে সমবেত হয়েছিল। তাদের মধ্যে রটনা করে দেওয়া হয়েছিল যে , সিধু, কানু, দৈব নির্দেশপ্রাপ্ত। বিভিন্ন এলাকার কামার, কুমোর, তাঁতি, ছুতোর প্রভৃতি নিম্নশ্রেণির মানুষও এই বিদ্রোহে যোগদান করেছিল, শোনা যায়, দুই লক্ষ সাঁওতাল এই বিদ্রোহে সামিল হয়েছিল,ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সাঁওতালরা গেরিলা পদ্ধতিতে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে জমিদার ও মহাজনদের আক্রমণ করে। এই বিদ্রোহীরা এক সময় রাজমহল ভাগলপুরের মধ্যে রেল ও ডাক যোগাযোগের ব্যবস্থা বিছিন্ন করে দেয়,তাদের হাতে শতাধিক ইংরেজ নিহত হয়।”ক্যলকাটা রিভিউ” পত্রিকা থেকে জানা যায় যে, একজন ইংরেজ সেনাপতি মেজর বরোজ সাঁওতালদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হন।

এই বিদ্রোহের সংবাদ বিনা মেঘে বজ্রাঘাতের মতো সমস্ত শাসকগোষ্ঠীকে স্তম্ভিত করে দেয়। “ক্যালকাটা রিভিউ” পত্রিকার একজন ইংরেজ মন্তব্য করেছিলেন – “এই রূপ আর কোনো অদ্ভুত ঘটনা ইংরেজের স্মরণকালের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের সমৃদ্ধিকে বিপদগ্রস্ত করিয়া তোলে নাই।”
এই সংবাদে সেনাপতি মেজর বরোজ ভাগলপুরের দিকে সাঁওতাল বাহিনীর গতিরোধ করেন। ১৮৫৫ সালের ১৬ই আগষ্ট ভাগলপুর জেলায় পীরপাইতির ময়দানে উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়। শোনা যায়, মেজর বরোজের বাহিনী চূড়ান্তভাবে অপদস্থ ও পরাজিত হয়, এতে একজন ইংরেজ অফিসারসহ কয়েক জন ইংরেজ সৈন্য এবং বেশকিছু সাওতাঁল বিদ্রোহী নিহত হয়। ভাগলপুরের কমিশনার এই যুদ্ধের একটা বিবরণ দিয়েছিলেন – “বিদ্রোহীরা নির্ভিক চিত্তে প্রাণপণে যুদ্ধ করিয়াছিল।তাহাদের যুদ্ধাস্ত্র কেবল তীর ধনুক আর কুঠার। তাহারা মাটির উপর বসিয়া পায়ের দ্বারা ধনুক হইতে তীর ছুড়িতে অভ্যস্ত।”
এক সময়ে বীরভূম জেলার সমগ্র উত্তর পশ্চিমাংশে বিদ্রোহীদের দখলভুক্ত হয়েছিল। সরকারের আত্মসমর্পণ নির্দেশকে বিদ্রোহীরা ঘৃণাভরে পরিত্যাগ করেছিল। সিধু ও কানুর নেতৃত্বে সাঁওতাল বাহিনী পাকুড়ে পৌঁছায় এবং তিনদিন ও তিনরাত্রি পাকুড়কে অবরোধ করে রাখে। এভাবে তারা বীরভূম থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত এক বিরাট ভূখন্ডকে অধিকার করে। ডাক-তার ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট প্রভৃতি সমস্ত রকমের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিছিন্ন করে দেয়।
কিন্তু কয়েকদিন পরেই ইংরেজশাসক চরমপন্থা গ্রহণ করে সামরিক আইন জারি করে অবাধে লুণ্ঠন, নরহত্যা ও ধ্বংস সাধন করে মানুষের মনে এক বিভীষিকার সৃষ্টি করে। তখন সাঁওতালরা বাধ্য হয়ে পশ্চাৎপদ হতে থাকে।জনৈক ইংরেজ সেনাপতি নিজেই স্বীকার করেছিলেন – “আমরা যুদ্ধ করিনি, করেছিলাম গণহত্যা।”

১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একদল সাঁওতাল হতাশাগ্রস্ত হয়ে সিধুর গোপন আশ্রয় স্থল জানিয়ে দেয়। তাই ইংরেজরা সহজেই সিধুকে গ্রেপ্তার করে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। এভাবে পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম বীরসন্তান সিধু ইংরেজ শত্রুর হাতে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে ভারতের ইতিহাসে অমর হয়ে রয়েছেন। এর কিছুদিন পরে আর এক নায়ক কানু বীরভূমের ওপারবাঁধের নিকটে সশস্ত্র পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।তাকেও ইংরেজ বাহিনী নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে। প্রকৃতপক্ষে,এই সাওতাঁল বিদ্রোহে অন্ততপক্ষে ২৫ হাজার সাঁওতাল নিহত হয়েছিলেন ।এভাবে বীরভূম থেকে ভাগলপুর পর্যন্ত বিশাল অঞ্চল সাঁওতালদের রক্তস্রোতে রঞ্জিত হয়েছিল।
সাঁওতাল বিদ্রোহের প্রচন্ড আঘাত থেকে ইংরেজ সরকার উপলব্ধি করে যে, যারা অনায়াসে প্রাণ দিতে পারে, যারা আত্মসমর্পণ করতে চায় না তাদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মিশ্রণের ফলে সারাভারতে আরও বিদ্রোহের বীজ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই তারা কৌশল করে সাঁওতালদের জনজীবন থেকে বিছিন্ন করার উদ্দেশ্যে সাঁওতাল পরগণাকে ‘সাঁওতাল ডিহি পরগণা’ নামে একটা পৃথক পরগণা গঠন করে।
দুঃখের বিষয় মৃত্যুভয়হীন বীরত্ব ও শৌর্য থাকা সত্ত্বেও সেদিন সাঁওতাল বিদ্রোহের ভবিষ্যৎ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন, কারন ভারতের অন্য অঞ্চলসমূহ এই বিদ্রোহের সময়েও ছিল শান্ত, নির্লিপ্ত,ও নিস্তরঙ্গ । তাই ইংরেজ শাসক এই বিদ্রোহকে সহজেই দমন করতে সক্ষম হয়েছিল। তা সত্ত্বেও একথা বলা যেতে পারে শুধুমাত্র তীর-ধনুক-টাঙ্গিকে সম্বল করে ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার সাওতাঁল আধুনিক কামান-বন্দুক সজ্জিত পনের হাজার সুশিক্ষিত সেনার বিরুদ্ধে বীরবিক্রমে যুদ্ধ পরিচালনা করে সমগ্র ভারতবাসীর সম্মুখে যে পথনির্দেশ করেছিল, সেই পথ ১৮৫৭ সালে মহাবিদ্রোহের মধ্য দিয়ে ভারতের মুক্তি সংগ্রামের সুপ্রশস্ত রাজপথে পরিণত হয়েছিল আর সেই রাজপথই পরবর্তীকালে বিংশ শতাব্দীর মধ্য দিয়ে প্রসারিত হলো। ভারতের এই অশিক্ষিত দরিদ্র আদিবাসী সাঁওতাল তথা কৃষক সমাজ সেই রাজপথেরই অভিযাত্রী- তাঁরাই হচ্ছেন ভারত মাতার মহান বীর সন্তান, বীরযোদ্ধা – তাই আমরা তাঁদেরই জয়গান গাইবো।

কলমে : প্রশান্ত কুমার দাস।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৯ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৯ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৪ – আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, শিক্ষাবিদ, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য।
১৮৮৩ – চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত অধ্যাপক ও লেখক ।

১৮৯৩ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয় বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৯০০ – অঁতোয়ান দ্য স্যাঁত-এগজ্যুপেরি, একজন ফরাসি লেখক, কবি, অভিজাত, সাংবাদিক এবং বৈমানিক।

১৯০৯ – শ্যামাদাস চট্টোপাধ্যায়, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী।
১৯২০ – ফরাসি লেখক ফ্রেদরিক দার্দ ।
১৯২৫ – জর্জো নেপোলিতানো, ইতালির নেপলসে জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯২৬ – জাবের আল-আহমেদ আল-সাবাহ, আল-সাবা রাজবংশের স্বাধীনতা পরবর্তী কুয়েতে তৃতীয় আমির।

১৯৩৬ – বুদ্ধদেব গুহ, ভারতীয় বাঙালি লেখক।

১৯৩৬ – পি কে আয়েঙ্গার, ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব,ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের অধিকর্তা ও ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

১৯৩৮ – অজিত রায়, বাংলাদেশী সংগীতশিল্পী, সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠক।
১৯৩৯ – অ্যালেন কনলি, অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৪৪ – গ্যারি বিউসি, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯৪৫ – চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – গুরবানগুলি বেরদিমুহামেদু – একজন তুর্কমেনিস্তানের রাজনীতিবিদ।
১৯৫৭ – লেসলি ব্রাউন, মার্কিন প্রিমা বেলেরিনা ও অভিনেত্রী।
১৯৬২ – অ্যামান্ডা ডনোহো, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৮০ – বিখ্যাত ইংরেজ গায়িকা ক্যাথেরিন জেনকিনস।
১৯৮৫ – ইয়ান ওয়ার্ডল, স্কটিশ ক্রিকেটার।
১৯৮৬ – এ্যাডওয়ার্ড মায়া, রোমানীয় গায়ক ও ডিজে।
১৯৮৮ – এভার বানেগা, আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯৪ – ক্যামিলা মেন্ডেস, মার্কিন অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬১৩ – শেক্সপিয়ারের গ্লোব থিয়েটার ভস্মীভূত হয়।
১৭৫৭ – লর্ড ক্লাইভ মুর্শিদাবাদে প্রবেশ করেন এবং মীরজাফর বাংলা বিহার ও উড়িষ্যার নবাব হন।
১৮০৭ – রাশিয়া-তুরস্ক যুদ্ধে অ্যাডমিরাল দিমিত্রি সেনিয়াভিন অটোমান নৌবহর ধ্বংস করেন।
১৮১৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ট্রেড ইউনিয়ন আইন পাস।
১৮৬৮ – প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের নিউজ এজেন্সি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯১৩ – নরওয়েতে মহিলাদের ভোটাধিকার প্রদান।
১৯১৩ – বলকান অঞ্চলে দ্বিতীয় যুদ্ধের সূচনা হয়।
১৯৪৬ – বিকিনিতে আমেরিকার প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা।
১৯৬০ – জায়ারের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৬৬ – মার্কিন বোমারু বিমান উত্তর ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বোমা বর্ষণ করে।
১৯৭৬ – ব্রিটেনের কাছ থেকে সেইশেলস নামক দীপপুঞ্জটি স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – কোমেকোন নামক অর্থনৈতিক জোটের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।
১৯৯২ – আততায়ীর গুলিতে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোদিয়াফ নিহত হন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩১৫ – র‍্যামন লাল, লেখক ও দার্শনিক।

১৮৭৩ – মাইকেল মধুসূদন দত্ত, উনিশ শতকের বাঙালি কবি।
১৮৮৬ – এডলফ মন্টিসেলি, ফরাসি চিত্রশিল্পী ।

১৮৯৫ – টমাস হেনরি হাক্সলি, ইংরেজ জীববিজ্ঞানী, শিক্ষক ও অজ্ঞেয়বাদ দর্শনের অন্যতম প্রবক্তা।

১৯০৪ – টম এমেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯১৯ – কার্ল ব্রুগমান, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৫৮ – জর্জ গান, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – দামেদার কোশাম্বী, বৌদ্ধ ধর্ম বিশারদ।
২০০২ – উলাহ্‌-ইয়োহান ডাল, নরওয়েজীয় কম্পিউটার বিজ্ঞানী।
২০০৩ – ক্যাথরিন হেপবার্ন, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০০৭ – এডওয়ার্ড ইয়াং, তাইওয়ানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা।
২০১৩ – মারগেরিতা হ্যাক, ইতালীয় নভোপদার্থবিজ্ঞানী ও লেখক।
২০১৪ – আবুল হোসেন, বাংলাদেশী বাঙালি কবি।
২০১৫ – মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশি চিকিৎসা বিজ্ঞানী।
২০২০ – আবদুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৮ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৮ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৬৫৩ – মুহাম্মদ আজম শাহ, মোগল সম্রাট।
১৭১২ – জঁ-জাক রুসো, সুইজারল্যান্ডীয় দার্শনিক।
১৮৬৭ – লুইগি পিরান্ডেলো, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান লেখক, কবি ও নাট্যকার।
১৮৭৩ – অ্যালেক্সিস কারেল, খ্যাতনামা ফরাসি চিকিৎসাবিদ।
১৮৮৩ – পিয়েরে লাভাল, ফরাসি সৈনিক, রাজনীতিক ও ১০১ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৮৮৮ – জর্জ চ্যালেনর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৯৪ – গোকুলচন্দ্র নাগ, প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক ।
১৮৯৯ – আবদুল মোনেম খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।
১৯০৬ – মারিয়া গ্যোপের্ট-মায়ার, নোবেলজয়ী জার্মান বংশোদ্ভুত মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানী।
১৯১২ – কার্ল ফ্রিডরিখ ফন ভাইৎস্যেকার, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং দার্শনিক।

১৯২১ – পি. ভি. নরসিংহ রাও, ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের দ্বাদশ প্রধানমন্ত্রী।

১৯২৬ – মেল ব্রুক্স, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সুরকার, গীতিকার, কমেডিয়ান, অভিনেতা এবং প্রযোজক।
১৯২৭ – শেরউড রোল্যান্ড, মার্কিন রসায়নবিদ।
১৯২৮ – প্যাট্রিক হেমিংওয়ে, আমেরিকান লেখক।
১৯২৮ – জন স্টুয়ার্ট বেল, আয়ারল্যান্ডীয় পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯২৮ – পিটার হেইন, প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।
১৯৩০ – ইতামার ফ্রাঁকু, ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি।
১৯৩৪ – রয় গিলক্রিস্ট, জ্যামাইকান ক্রিকেটার।
১৯৪০ – মুহাম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশী নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ।
১৯৪১ – ফেরদৌসী রহমান, বাংলাদেশী প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী।
১৯৪৩ – ক্লাউস ফন ক্লিৎসিং, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৪৬ – ব্রুস ডেভিসন, মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৪৮ – ক্যাথি বেট্‌স, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৫৭ – ক্যাথি ক্রস, নিউজিল্যান্ডীয় প্রমিলা ক্রিকেটার ও আইসিসি মনোনীত আম্পায়ার।
১৯৬৬ – জন কিউস্যাক, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।
১৯৭০ – মুশতাক আহমেদ (ক্রিকেটার), পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৭১ – ফাবিয়ঁ বার্থেজ, প্রখ্যাত ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৭১ – ইলন মাস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা।
১৯৮৫ – ফিলিপ ফিল অ্যান্টোনিও বার্ডসলে, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮৯ – মার্কিপ্লায়ার, একজন খ্যাতনামা মার্কিন ইউটিউব ব্যক্তিত্ব।
১৯৯১ – কেভিন ডি ব্রুইন, বেলজিয়ান পেশাদার ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২৬৬ – মুসতানসির বিল্লাহ আব্বাসীয় খিলাফত লাভ করেন।
১৩৮৯ – অটোমান সামরিক বাহিনী সার্বিয়ান বাহিনীকে পরাজিত করে।
১৬৫৭ – দারা শিকোহ অনূদিত ‘শিক-ই আকবর’ প্রকাশিত হয়।
১৭৫৭ – মীর জাফর নবাব হন এবং রবার্ট ক্লাইভ বেঙ্গলের গভর্নর নিযুক্ত হন।
১৮২০ – প্রমাণিত হয় যে টমেটো বিষাক্ত নয়।
১৮৩৮ – ওয়েস্ট মিনস্টার অ্যাবেতে ব্রিটেনের রানী ভিক্টোরিয়ার অভিষেক ঘটে।
১৯১৯ – ভার্সাই চুক্তি, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপর যুদ্ধের মিত্রশক্তি ও তৎসংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহ এবং জার্মানির মধ্যে সম্পাদিত হয়।
১৯৫৪ –  জওহরলাল নেহরু ও চৌ এন লাই ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীলা নীতি ঘোষণা করেন।
১৯৬৩ –  ক্রুশ্চেভ পূর্ব বার্লিন সফর করেন।
১৯৬৭ –  ইসরাইল কর্তৃক পূর্ব জেরুজালেম দখল হয়।
১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রোমানিয়া।
১৯৭৬ – ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে সেচিলিসের ১০২ বছর ব্রিটিশ শাসনাধীন থাকার পর স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৭৬ – আমেরিকার বিমান ও নৌবাহিনীতে প্রথম মহিলা ক্যাডেট অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৭৮ – পণ্ডিত অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের দেহভস্ম ঢাকার ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহারে সংরক্ষণ করা হয়।
১৯৯৬ – তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলাইমান ডেমিরেলের ৭৩ বছরের মধ্যে প্রথম দেশে ইসলামিক নেতৃত্বাধীন সরকার অনুমোদিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৩৯ – মহারাজা রণজিৎ সিং, পাঞ্জাব কেশরী এর রাজা।

১৯১৫ – ভিক্টর ট্রাম্পার, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯১৭ – স্টেফান লুচিয়ান, রোমানিয়ান চিত্রশিল্পী।

১৯৩৬ – আলেকজান্ডার বেরকমান, আমেরিকান লেখক ও সমাজ কর্মী।

১৯৭২ – প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, ভারতীয়বিজ্ঞানী, পরিসংখ্যানবিদ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৭৪ – ভ্যানিভার বুশ, মার্কিন প্রকৌশলী ও বিজ্ঞান প্রশাসক।
১৯৭৫ – রড সেরলিং, আমেরিকান অভিনেতা, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক।
১৯৮১ – টেরি ফক্স, কানাডিয়ান ক্রীড়াবিদ, মানবহিতৈষী এবং ক্যান্সার গবেষাণা কর্মী।

১৯৮৬ – হাজী মোহাম্মদ দানেশ, অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের একজন কৃষক নেতা।
১৯৯২ – মিখাইল তাল, লাতভীয় দাবাড়ু।
১৯৯৬ – বিশিষ্ট বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী নীলিমা সেন।
২০০১ – জোয়ান সিমস, ইংরেজ অভিনেত্রী।
২০০৬ – ফুলরেণু গুহ, পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত সমাজ সেবিকা ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ও রাজ্যসভার সদস্যা।
২০০৬ – তাপস সেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের বাঙালি আলোকসম্পাত শিল্পী।
২০০৯ – এ. কে. লোহিত দাস, ভারতীয় পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।
২০১২ – রবার্ট সাবায়টিয়ার, ফরাসি লেখক ও কবি।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও অম্বুবাচী : স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক)।।।।

আমাদের মূল্যবান সুন্দর মনুষ্য জীবনে ভারতভূমি ধর্মীয় উৎসব-মুখর পুণ্যভূমি পবিত্রভূমি। সৌন্দর্যময় আমাদের এই ভারতবর্ষের সুন্দর প্রকৃতি সকল ধর্মীয় ও নৈসর্গিক উপাদানে সমৃদ্ধ। এই মনোরম, অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উৎসব অনন্তকাল ধরে আমাদের চিত্তে শিক্ষা ও আনন্দের অমৃতধারা জাগিয়ে তুলছে।

আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতমাতা ও প্রকৃতির অবদান অপরিসীম। আমাদের ভারতমাতা স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
আমাদের ভারতবর্ষে সনাতন হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উৎসব অম্বুবাচী। লোকবিশ্বাস মতে আষাঢ় মাসের ৭ তারিখে মৃগশিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হয়। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। অর্থাৎ, সূর্য আষাঢ় মাসে যে দিন যে সময়ে মিথুন রাশিতে আদ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে গমন করে সেই সময়কাল থেকে মাতৃস্বরূপা পৃথিবী এবং আদ্যাশক্তি মহামায়া ঋতুমতী হয় বা অম্বুবাচির কাল শুরু হয়। পূর্ণ বয়স্কা ঋতুমতী নারীরাই কেবল সন্তান ধারণে সক্ষম হোন। তাই অম্বুবাচীর পর ধরিত্রীও শস্য শ্যামলা হয়ে ওঠেন।
অম্বুবাচী কথাটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘অম্ব’ ও ‘বাচি’ থেকে। ‘অম্ব’ শব্দের অর্থ হলো জল এবং ‘বাচি’ শব্দের অর্থ হলো বৃদ্ধি। অতএব গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের পর যখন বর্ষার আগমনে ধরিত্রী সিক্ত হয় এবং নবরূপে বীজধারণের যোগ্য হয়ে ওঠে সেই সময়কেই বলা হয় অম্বুবাচী। আমাদের মা ঠাকুমারা, ঠাকুরদারা বলেন, কি বা বার কিই বা তিথি, সাতই আষাঢ় ‘অম্বুবাচী’ ঠাকুমা দিদিমারা বলতেন যে দশহরা ও অম্বুবাচী ও রথ এই তিনে বৃষ্টি হবেই। সত্যিই তাই, তবে কালের বিবর্তনে ও আমাদের পাপাচারে প্রকৃতি আজ বিমুখ। তথাপি যারা আমরা ধর্মমতী তারা অম্বুবাচী পালন করি। কি অদ্ভুত এক প্রচলিত প্রথা। এই গ্রীষ্মের দাবদাহে জনপদ অতিষ্ঠ হয়ে উঠত। রেহাই পেতে নানারকম ধর্মীয় আচরণ পালন করা হত। অতিখরা ও প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে ভূদেবীর নিকট বা বসুমাতার নিকট প্রার্থনা করা হত। ঠিক নিয়ম মেনে এই আষাঢ়ের ৭-ই হত সেই শুভক্ষণের সূচনা। বর্ষা কালের প্রথম বর্ষার আগমন ঘটত, সিক্ত হত ধরাতল। হিন্দু সনাতন ধর্মের এটাই প্রচলিত মত যে বসুমাতা বা ভূদেবী হন রজস্বলা ঋতুমতী। একজন নারীও যেমন ঋতুমতীর পরই নবজীবন ধারণে উদ্যত হন ঠিক তেমনই বসুমাতার রজস্রাবের পর প্রকৃতি নতুন করে প্রাণ পাই, মৃতপ্রায় গাছসকল নতুনভাবে সজীব হয়।
আমাদের শাস্ত্রে যে ৫১টি শক্তিপীঠের উল্লেখ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল কামাখ্যা মন্দির। সতীপিঠের অন্যতম অসমের গুয়াহাটিতে অবস্থিত কামাক্ষ্যা মন্দির। দেবী রজঃস্বলা হওয়ায় তিন দিন মন্দিরের কপাট বন্ধ থাকে এই মন্দিরে সতীর গর্ভ এবং যোনি পড়েছিল। তন্ত্র সাধনার অন্যতম পীঠ এই মন্দির। প্রতি বছর অম্বুবাচীর তিন দিন কামাক্ষ্যা মন্দিরে বিশেষ উৎসব এবং মহা মেলার আয়োজন হয়। দেশ- বিদেশ থেকে ভক্তেরা ভিড় জমান মন্দিরে। শাস্ত্রে কথিত আছে, “যথা পিন্ডে তথা ব্রহ্মাণ্ডে”। অর্থাৎ ব্রহ্মাণ্ডে যা ঘটে তার সব আমাদের শরীরেও ঘটে। যেমন দেবী মহামায়া নিজের মধ্যেই সৃষ্টি স্থিতি ও লয়ের খেলায় মেতে থাকেন একজন নারীও নিজের শরীরে সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের খেলা খেলতে থাকেন।
অম্বুবাচী ও নারীর ঋতুমতী হওয়ার একটি পৌরাণিক আখ্যান আছে। দেবরাজ ইন্দ্র বৃত্রাসুরকে হত্যা করার ফলে ব্রহ্মহত্যার পাপী হন। এই পাপ স্খলন করার উপায় তিনি অন্বেষণ করতে থাকেন। ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আদেশে ইন্দ্র নতজানু হয়ে পৃথিবী, বৃক্ষ, নদী ও সকল নারীদের দ্বারস্থ হন। তার পাপের এক চতুর্থাংশ করে ভাগ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন এই চার মাতাকে।
সকলে দেবরাজ ইন্দ্রের আকুতি মঞ্জুর করেন তার পাপ সকলে ধারণ করেন। কিন্তু ইন্দ্রের সেই পাপস্খালন হেতু সমগ্র নারী জাতি তাই মাসিক রজস্বলা হন। এই রজঃরক্ত এতটাই পবিত্র যে ব্রহ্মহত্যার মতন গর্হিত পাপও ধৌত হয়ে যায়। ইন্দ্রের প্রার্থনায় সকল নারী জাতির মধ্যে স্বয়ং মহামায়া বিরাজ করেন। হিন্দু শাস্ত্রে ও বেদে পৃথিবীকে মা বলা হয়ে থাকে। পৌরাণিক যুগেও পৃথিবীকে ধরিত্রী মাতা বলে সম্বোধন করা হয়েছে।
বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় অম্বুবাচী, অমাবতী বলেও পরিচিত। ভারতের একাধিক স্থানে অম্বুবাচী উৎসব, রজঃউৎসব নামেও পালিত হয়। এই উৎসবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাস্ত্রের নানা কাহিনি। প্রচলিত বিশ্বাস ঋতুকালে মেয়েরা অশুচি থাকেন। একই ভাবে মনে করা হয় পৃথিবীও সময়কালে অশুচি থাকেন। অম্বুবাচীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহু আচার অনুষ্ঠান। এই তিনদিন সন্ন্যাসী এবং বিধবারা বিশেষ ভাবে পালন করেন। কোনও শুভ কাজও এই কয়েকদিন নিষিদ্ধ থাকে। শুধু তাই নয়, অম্বুবাচী চলাকালীন কৃষিকাজ বন্ধ রাখা হয়। তিনদিন পর অম্বুবাচী ফের কোনও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান ও চাষাবাদ শুরু হয়। অম্বুবাচী চলাকালীন বিভিন্ন মন্দির ও বাড়ির ঠাকুর ঘরের মাতৃ শক্তির প্রতিমা বা ছবি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। সারাবছর জগতজননী মা আমাদেরকে আগলে রাখেন, সব রকম দেখাশোনা করেন। তাই এই তিনটে দিন আমাদেরও উচিত মায়ের একটু খেয়াল রাখা, একটু যত্ন নেওয়া। মা সকলের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল করুন এই কামনা করি।
প্রকৃতপক্ষে সৃষ্টির নিমিত্তে দেবী এই সময় যোগনিদ্রায় মগ্ন থাকেন, সেই কারণে এই সময় দেবীকে স্পর্শ করা উচিত নয়। উপরন্তু যথাসম্ভব একান্ত পরিবেশে নির্জন বাসের ব্যবস্থা করা উচিত। কোনভাবেই আমাদের কোন আচরণে মায়ের বিরক্তির উদ্রেক যেন না হয় সেদিকে সর্বদাই খেয়াল রাখতে হবে। সংকল্প বিহীন নিত্য পূজাপাঠ ও আচার অনুষ্ঠান যথাসম্ভব অনাড়ম্বর ভাবে পালন করা উচিত। কিন্তু এই সময় বেশী করে জপ-ধ্যান ইত্যাদি করা উচিত। এই কালে জপ করলে বহুগুণ ফল লাভ হয়। উচ্চৈঃস্বরে মন্ত্রপাঠ, ভজন এবং ঘন্টা-কাসর, ঢাক-ঢোল ইত্যাদি বাজানো এই সময় বর্জনীয়। ভূমি কর্ষণ বা ভূমিতে কোনরকম আঘাত করা এবং ক্ষৌরকর্ম ইত্যাদি এই তিন দিন নিষিদ্ধ। সকল সাধক ও ভক্তগণের এই সময় সংযত জীবনযাপন করা একান্ত কর্তব্য।
*পঞ্জিকা অনুসারে ২০২৪-র চলতি বছরে অম্বুবাচী প্রবৃত্তিঃ অর্থাৎ শুরু হবে ২২ জুন অর্থাৎ ৭-ই আষাঢ় শনিবার দিবা ঘ ৮/৪৫ এবং ২৫ জুন অর্থাৎ ১০ আষাঢ় মঙ্গলবার রাত ৯/০৮ গতে এর নিবৃত্তিঃ অর্থাৎ সমাপ্তি হবে ।*
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!
স্বামী আত্মভোলানন্দ(পরিব্রাজক) l

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮০৬ – অগাস্টাস ডি মর্গান, ভারতে জন্মগ্রহণকারী ব্রিটিশ গণিতবিদ ও যুক্তিবিজ্ঞানী।

১৮৩৮ – পল মাউজার, জার্মান অস্ত্র নকশাকার ও প্রস্তুতকারক।
১৮৬৯ – এমা গোল্ডম্যান, একজন নৈরাজ্যবাদী রাশিয়ান লেখক যিনি লেখা, বক্তৃতা এবং রাজনৈতিক।

১৮৮০ – হেলেন কেলার, আমেরিকান একজন গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী।
১৮৮৬ – চার্লি ম্যাককার্টনি, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন।

১৯০৩ – সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত, ইংরাজী সাহিত্যের দিকপাল শিক্ষক, শেক্সপিয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক।
১৯১৫ – আইদেউ সন্দিকৈ, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯১৯ – অমলা শংকর, ভারতীয় ব্যালে নর্তকী।
১৯২২ – জহুর হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশী সাংবাদিক, সম্পাদক, কলাম লেখক ও রাজনীতিবিদ।
১৯২৪ – বব এপলইয়ার্ড, ইংরেজ ক্রিকেটার।
১৯৩৯ – রাহুলদেব বর্মন, ভারতীয় সুরকার, সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৩৯ – নীল হক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এবং ফুটবলার।
১৯৪১ – ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৫৫ – ইজাবেল আদজানি, ফরাসি অভিনেত্রী।
১৯৫৯ – আমেরিকান গায়িকা লরে মরগান।
১৯৬৪ – পি. টি. ঊষা, ভারতীয় ট্র্যাক এবং ফিল্ড ক্রীড়াবিদ।
১৯৭৫ – টোবি ম্যাগুইয়ার, মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।
১৯৭৭ – রাউল গনজালেস, স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮০ – কেভিন পিটারসন, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী বিশিষ্ট ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৮১ – পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৮৩ – ডেল স্টেইন, দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০০ – সেন্ট্রাল লন্ডনে ইলেকট্রিক রেলওয়ে চালু হয়।
১৯৫৪ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়।
১৯৬৭ – পৃথিবীর প্রথম এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) স্থাপন করা হয় ইংল্যান্ডের এনফিল্ড শহরে।
১৯৭৪ – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিঙ্ন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণে যান।
১৯৭৭ – জিবুতি (সাবেক ফরাসী সোমালিল্যান্ড) স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯১ – সোভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৯১ – বিখ্যাত ‘কমিউনিস্ট ইস্তেহারে’র প্রথম সংস্করণের একটি কপি লন্ডনে নিলামে ৬৮১০০ ডলারে বিক্রি হয়।
২০০৭ – গর্ডন ব্রাউন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮২৯ – ইংলিশ বিজ্ঞানী ও দার্শনিক জেমস স্মিথসন।
১৮৩৯ – শিখ মহারাজা রণজিৎ সিং।
১৮৪৪ – জোসেফ স্মিথ, আমেরিকান ধর্মীয় নেতা।
১৯১২ – জর্জ বোনর, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ছিলেন।
১৯২৮ – উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস, ভারতের ওড়িশা রাজ্যের প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক ও কর্মী, কবি,সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক।
১৯৫৭ – ব্রিটিশ কথাসাহিত্যিক ম্যালকম লাউরি।
১৯৭৯ – বন্দে আলী মিয়া, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক, শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক ও চিত্রকর।
১৯৮০ – ইরানের সাবেক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি।
১৯৮৯ – এ. জে. এয়ার, ব্রিটিশ দার্শনিক।

১৯৯৮ – নিখিল চক্রবর্তী খ্যাতনামা সাংবাদিক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও প্রসার-ভারতীর বোর্ডের প্রথম চেয়ারম্যান।
২০০০ – বাঙালি ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক এবং সাহিত্যিক শঙ্কর ভট্টাচার্য।
২০০১ – জ্যাক লেমন, আমেরিকান অভিনেতা।
২০০৮ – শ্যাম মানেকশ’ পারস্য বংশোদভূত ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রথম ফিল্ড মার্শাল।
২০১২ – মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি ধ্রুপদী কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ “আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস’, জানব দিন’টি পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে কিছু কথা।।।।।

নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক দিবস হল প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য এবং সারা বিশ্বে ভুক্তভোগী এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সম্মান ও সমর্থন করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক পালন করা হয়। এই দিনটি সমাজে অগ্রহণযোগ্য মানবিক নির্যাতন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে শুধু সচেতনতাই ছড়ায় না, তাদের জানিয়ে দেয় যে এটি একটি অপরাধ।।

বিশ্ব জুড়ে, অসংখ্য মানুষ আছে যারা শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হয়। যদিও এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে একটি অপরাধ, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যা রিপোর্ট করা হয়নি। তাই, সমস্ত স্টেকহোল্ডারদেরকে একত্রিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানোর জন্য যারা অপব্যবহার ও নির্যাতনের মুখোমুখি হয়েছেন এবং অব্যাহত রেখেছেন, প্রতি বছর ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালন করা হয়। জাতিসংঘ দাবি করে যে নির্যাতনের পরিণতি হল এটি সহিংসতার চক্রে পরিণত হতে পারে এবং পরবর্তী প্রজন্মের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

ইতিহাস—-

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দুটি কারণে দিনটিকে বেছে নেয় । প্রথমত, ২৬ জুন ১৯৪৫ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানে জাতিসংঘের সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছিল – প্রথম আন্তর্জাতিক উপকরণ যা জাতিসংঘের সদস্যদের মানবাধিকারকে সম্মান ও প্রচার করতে বাধ্য করে । দ্বিতীয়ত, ২৬ জুন ১৯৮৭ ছিল যখন নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক বা অবমাননাকর আচরণ বা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের কনভেনশন কার্যকর হয়েছিল।
বার্ষিক নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস পালনের সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ডেনমার্কের প্রস্তাবে গৃহীত হয়েছিল, যা বিশ্বখ্যাত আন্তর্জাতিক পুনর্বাসন কাউন্সিল ফর টর্চার ভিকটিম (আইআরসিটি) এর আবাসস্থল।
১৯৯৮ সালের ২৬ জুন নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে প্রথম আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন করে, জাতিসংঘ সমস্ত সরকার, স্টেকহোল্ডার এবং বৈশ্বিক সমাজের সদস্যদের এই আইনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং যারা বিশ্বের প্রতিটি কোণে এটি কার্যকর করুন। দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি তাদের সমর্থনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে যারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর তারপর থেকে, সারা বিশ্বের কয়েক ডজন দেশে প্রায় ১০০টি সংস্থা প্রতি বছর ইভেন্ট, উদযাপন এবং প্রচারাভিযানের মাধ্যমে দিবসটিকে চিহ্নিত করে।
১৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনাতে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবসটিকে সরকারী ছুটি হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল ।

সর্বশেষ ২৬ জুন গ্লোবাল রিপোর্ট (২০১২) অনুসারে, বিশ্বের ৬০টি দেশে অন্তত ১০০টি সংস্থা সম্মেলন, কর্মশালা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সাংস্কৃতিক ও সঙ্গীত অনুষ্ঠান, শিশুদের জন্য অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করেছে। এশিয়ায় এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন প্রতি বছর আঞ্চলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নির্যাতন বিরোধী নেটওয়ার্ক যারা এখনও নির্যাতনের ব্যাপক ব্যবহারে ভুগছে তারা সমাবেশ এবং জনসাধারণের অনুষ্ঠান করে। এই কারণেই জাতিসংঘ এই দিনটিকে নির্যাতনের শিকারদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে বেছে নিয়েছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৬জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৬ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ

গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–

(ক) আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস।
(খ) আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩৮ – সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৮৭৩ – গওহর জান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।
১৮৮৫ – সুইস মনোবিদ ও চিকিৎসক কার্ল গুস্তাফ ইয়ুং।

১৮৮৭ – যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, বাংলা ভাষার অন্যতম কবি।
১৮৯২ – পার্ল এস. বাক, মার্কিন লেখিকা ও ঔপন্যাসিক।
১৯০৮ – সালবাদোর আইয়েন্দে, চিলির প্রথম সমাজতন্ত্রবাদী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

১৯১২ – জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।
১৯১৩ – এমে সেজায়ার, মার্তিনিকের একজন ফ্রাঙ্কোফোন কবি, লেখক, এবং রাজনীতিবিদ।

১৯১৪ – সুলতান আহমদ নানুপুরী, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব।
১৯২১ – ভিয়োলেট জাবো, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ফ্রেন্স-ব্রিটিশ গুপ্তচর।

১৯২২ – এলিনর পার্কার, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৩৪ – কামাল লোহানী, বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সাহিত্যজন, শিল্পকলা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক।
১৯৩৭ – রবার্ট কোলম্যান রিচার্ডসন, মার্কিন পরীক্ষামূলক পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪০ – কেতকী কুশারী ডাইসন, ভারতীয় বংশোদ্ভূত কবি, লেখিকা, অনুবাদক ও গবেষক।
১৯৫১ – গ্যারি গিলমোর, প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।
১৯৬৮ – পাওলো মালদিনি, ইতালির সাবেক ফুটবলার।
১৯৭০ – পল টমাস অ্যান্ডারসন, মার্কিন চলচ্চিত্র নির্মাতা।
১৯৭৬ – পমি এমবাঙ্গা, জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৩ – নিক কম্পটন, দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – সামির নাসরি, ফরাসি ফুটবলার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৯৬ – আমেরিকায় প্রথম সিনেমা হল চালু হয়।
১৯২৪ – আমেরিকান সৈন্যরা ডোমিনিয়ন রিপাব্লিক ত্যাগ করে।
১৯৩৪ – প্রথম বারের মত ব্যবহারিক হেলিকপ্টারফক উল্‌ফ এফ ডাব্লিউ ৬১ আকাশে উড়ে।
১৯৪০ – ২য় বিশ্বযুদ্ধ।
১৯৪১ – ফিনল্যান্ড দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়।
১৯৪৫ – সানফ্রান্সিসকোতে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠায় বিশ্ব নিরাপত্তা সনদে ৫০টি দেশের প্রতিনিধিদের স্বাক্ষর।
১৯৪৫ – ব্রিটেনের লেবার পার্টি জয়লাভ করার পর উইনস্টন চার্চিল ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।
১৯৪৮ – পশ্চিমা জোট বার্লিন এ এয়ার লিফট দেয়া শুরু করে যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন পশ্চিম বার্লিন অবরুদ্ধ করে দেয়।
১৯৫২ – মিসরের রাজা ফারুক তার ছেলে ফুয়াদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
১৯৫৭ – গুয়েতেমালার একনায়ক কার্লোস ক্যাস্টিলো আরমাস নিহত হন।
১৯৫৯ – উত্তর আমেরিকার মহাসাগর গামী জাহাজ এর জন্য সেইন্ট লরেন্স সি-ওয়ে খুলে দেয়া হয়।
১৯৬০ – সোমালিল্যান্ড ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায়।
১৯৬০ – গণপ্রজাতন্ত্রী মালাগাছি নামে মাদাগাস্কারের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৭৪ – প্রথম বারের মত বারকোড ব্যবহার করে কোন খুচরা পণ্য বিক্রয় হয়। পণ্যটি ছিল চিবানোর গাম।
১৯৭৬ – সি এন টাওয়ার যেটি তৎকালীন পৃথিবীর উঁচুতম ভবন, খুলে দেয়া হয়।
১৯৭৭ – এলভিস প্রিসলি শেষ কনসার্ট করেন।
১৯৭৮ – উইনিপেগ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা এয়ার কানাডা ফ্লাইট ১৮৯ বিধ্বস্ত হয়।
১৯৭৮ – দক্ষিণ ইয়েমেনে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটে।
১৯৭৯ – কিংবদন্তির মুষ্ঠীযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৯১ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার পান্ডুলিপি লন্ডনে নিলামে উঠলে ভারত সরকার ২৬,৬০০ পাউন্ড দামে তা কিনে নেয়।
১৯৯২ – বাংলাদেশের কাছে ভারতের ৩ বিঘা করিডর হস্তান্তর।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১২৭৪ – নাসির আল দীন তুসী, পারস্য বিজ্ঞানী ও লেখক।
১৫৪১ – ফ্রান্সিসকো পিসার্‌রো, একজন স্পেনীয় দখলদার।

১৮৩০ – ইংল্যান্ডের রাজা চতুর্থ জর্জ।
১৮৩৬ – ক্লদ জোসেফ রুজে দ্য লিল, ফরাসি জাতীয় সংগীতের লেখক।
১৯০২ – ইংল্যান্ডের তৃতীয় হেনরির স্ত্রী ইলিয়েনর।

১৯৩৭ – যোগীন্দ্রনাথ সরকার,প্রখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক।
১৯৩৯ – ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ড, ইংরেজ ঔপন্যাসিক, কবি, সমালোচক ও সম্পাদক।

১৯৪৩ – কার্ল লান্ডষ্টাইনার, ১৯৩০ সালে নোবেলজয়ী অষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।
১৯৬৪ – নগেন্দ্রচন্দ্র শ্যাম, শিলচরের লব্ধ-প্রতিষ্ঠ আইনজীবী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৯৪ – জাহানারা ইমাম, বাংলাদেশী লেখিকা।

২০০৪ – ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের চরমপত্রখ্যাত এম আর আখতার মুকুল।

২০১৫ – ইয়েভগেনি প্রিমাকভ, রুশ রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ‘আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস’, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব ।।।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মাদক সেবন রোধ করি, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ি’। মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ১৯৮৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় ২৬ জুনকে মাদকবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস হিসাবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।পরের বছর থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দিবস হল মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের একটি আন্তর্জাতিক দিবস । এটি ১৯৮৯ সাল থেকে প্রতি বছর ২৬ জুন পালিত হয়। চীনে প্রথম আফিম যুদ্ধের ঠিক আগে ২৫ জুন, ১৮৩৯-এ শেষ হয়েছিল হুমেন , গুয়াংডং -এ লিন জেক্সুর আফিম ব্যবসার অবসানের স্মরণে ২৬ জুন তারিখটি। ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৭-এর সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন ৪২/১১২ দ্বারা এই পালন করা হয়েছিল ।

২৬ জুন ১৯৮৭, ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্য ( মাদক অপব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যত কার্যক্রমের ব্যাপক বহুবিভাগীয় রূপরেখা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ঘোষণা ) গৃহীত হয়েছিল। ১৭-২৬ জুন ১৯৮৭ সময়কালে। সম্মেলন সুপারিশ করে যে মাদকের অপব্যবহার এবং অবৈধ পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্ব চিহ্নিত করার জন্য একটি বার্ষিক দিবস পালন করা উচিত। ১৭ জুন এবং ২৬ জুন উভয় তারিখই প্রস্তাব করা হয়েছিল এবং পরবর্তী বৈঠকে ২৬ জুন বেছে নেওয়া হয়েছিল এবং খসড়া এবং চূড়ান্ত রেজোলিউশনে লিখিত হয়েছিল।
সারা পৃথিবী জুড়ে আজ মাদক পাচার একটি গভীর সঙ্কটের রূপ নিয়েছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে, যেসব দেশে অর্থের অভাবে ভুগছেন বহু সংখ্যক মানুষ, এবং নিরাপত্তার অভাবে আটকানো যায় না বহু অপরাধ। এই পরিস্থিতিতে অপরাধের পথে মানুষকে চালিত করা সহজতর হয়ে পড়ে। সমীক্ষায় প্রকাশ, মাদক পাচারের ফলে ব্যাহত হয় শিক্ষা, বাড়ে অপরাধ। আন্তর্জাতিক স্তরে মাদক বিরোধী দিবস পালনের উদ্দেশ্য, সমস্যাটির প্রতি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা, এবং বিভিন্ন স্তরে আলচনার মঞ্চ গড়ে তোলা। এই দিনটি পালন করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো মাদক সেবন ও পাচারের মারাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা।
বিভিন্ন দেশের মানুষ একসঙ্গে দিবসটি উদযাপন করে। যেহেতু ওষুধের ব্যবহার বৃদ্ধি পায়, দিনটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাগ পলিসি কনসোর্টিয়াম দ্বারা সমন্বিত , এটি দাবি করে যে ওষুধ নীতির পন্থাগুলি স্বাস্থ্য, মানবাধিকার এবং মাদক ব্যবহারকারী লোকেদের অপরাধীকরণের অবসানের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। আজ ২৬ জুন, আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও দিবসটি পালিত হচ্ছে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ২৫ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ২৫ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন, ব্রিটিশ নৌ বাহিনী অফিসার ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ-এর স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মামা।

১৯০৩ – জর্জ অর্‌ওয়েল, এক কালোত্তীর্ণ ইংরেজ সাহিত্যিক।
১৯০৭ – ইয়োহানেস হান্স ডানিয়েল ইয়েনসেন, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯০৮ – সুচেতা কৃপালনী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

১৯১১ – উইলিয়াম এইচ. স্টেইন, মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।
১৯১৩ – আফ্রিকান-ফরাসি কবি এমে সেজেয়ার।
১৯১৮ – পি. এইচ. নিউবি, ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও বিবিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

১৯২৪ – (ক) ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহন কোহলি।

(খ) সিডনি লুমেট, একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯২৮ – আলেক্সেই আলেক্সেভিচ আব্রিকোসোভ, একজন সোভিয়েত এবং রাশিয়ান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৩১ – বিশ্বনাথ প্রতাপ সিং, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং অষ্টম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৩৪ – দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সংবাদ পাঠক আবৃত্তিকার ও বাচিকশিল্পী।

১৯৩৬ – ইউসুফ হাবিবি, ইন্দোনেশিয়ার প্রকৌশলী ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
১৯৫৩ – ইয়ান ডেভিস, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৫৫ – ভিক মার্কস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৬১ – রিকি জারভেজ, ইংরেজ স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা, অভিনেতা, লেখক, পরিচালক, প্রযোজক ও সঙ্গীতজ্ঞ।
১৯৬৩ – ইয়ান মার্টেল, বুকার পুরস্কার বিজয়ী একজন কানাডীয় সাহিত্যিক।
১৯৬৩ – জর্জ মাইকেল, ইংরেজ পপ গায়ক, সুরকার, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক এবং সমাজ সেবক ছিলেন।
১৯৬৪ – ফিল এমরি, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৭৪ – বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর।
১৯৭৫ – ভ্লাদিমির ক্রামনিক, বিখ্যাত রুশ দাবাড়ু ও গ্র্যান্ডমাস্টার।
২০০৬ – ম্যাককেনা গ্রেস, মার্কিন কিশোরী অভিনেত্রী।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫২৯ – বঙ্গ বিজয়ের পর মোগল সম্রাট বাবর আগ্রা প্রত্যাবর্তন করেন।
১৮৯১ – ভারতীয় সংবাদপত্রের ওপর ব্রিটিশরাজ সেন্সর আরোপ করেন।
১৯৩২ – ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম টেস্ট ক্রিকেট খেলা শুরু হয়।
১৯৩৫ – সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কলম্বিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৫০ – উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়।
১৯৭৫ – সারা ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তৃতীয় বারের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। (২৫ জুন,১৯৭৫ হতে ২১ মার্চ ১৯৭৭)
১৯৭৫ – পর্তুগালের কাছ থেকে মোজাম্বিকের স্বাধীনতা লাভ।
১৯৭৮ – নেদারল্যান্ডকে হারিয়ে (৩-১) আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফুটবলে জয়ী হয়।
১৯৮৩ – কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভারতীয় ক্রিকেট দল ৪৩ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় করে।
১৯৯১ – ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া যুগোস্লাভিয়া থেকে বের হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯৩ – তুরস্কে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী তানুস সিলার জোটের সরকার গঠন।
১৯৯৫ – পুত্র শেখ হামাদ কর্তৃক কাতারের আমির শেখ খলিফা উৎখাত।
২০১৪ – পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ভেঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করা হয়।
২০২২ – বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সেতু (পদ্মা সেতু) চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৪২ – সিসমন্দি, সুইস অর্থনীতিবিদ ও লেখক।
১৯১৬ – টমাস এয়াকিনস, মার্কিন বাস্তবতাবাদী চিত্রশিল্পী, চিত্রগ্রাহক, ভাস্কর ও চারুকলা শিক্ষক।

১৯২২ – সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, বাঙালি কবি ও ছড়াকার।
১৯৩৩ – জগদানন্দ রায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি কল্পকাহিনী লেখক।
১৯৩৮ – নিকোলাই ত্রুবেৎস্‌কোয়, রুশ ভাষাবিজ্ঞানী।
১৯৪৪ – নওয়াব বাহাদুর ইয়ার জঙ্গ।
১৯৬০ – সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি।
১৯৭৭ – ওলেভ ব্যাডেন পাওয়েল, ব্রিটিশ স্কাউটিং এবং গার্ল গাইডসের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েলের সহধর্মিনী।
১৯৮৪ – মিশেল ফুকো, ফরাসি দার্শনিক।
১৯৯৫ – আর্নেস্ট ওয়াল্টন, আইরিশ পদার্থবিজ্ঞানী।
২০০৬ – বাসন্তী দুলাল নাগচৌধুরী,ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী,ভারত সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ও পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ।
২০০৯ – মাইকেল জ্যাকসন, মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীত ব্যবসায়ী।
২০২০ – নিমাই ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লেখক ও সাংবাদিক।
২০২৩ – লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জন বি গুডএনাফ।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This