Categories
রিভিউ

আজ ২ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  ভিয়েতনামের জাতীয় দিবস।

(খ) বিশ্ব নারিকেল দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৩ – বিল সাঙ্কলয়, (স্কটিশ ফুটবলার ও ম্যানেজার)।

১৯২০ – (বাংলা সাহিত্যের খ্যাতনামা বাঙালি কবি) বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৯২৩ – (ক)  পার্বতীকুমার সরকার,  (আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি ভূতাত্ত্বিক)।

(খ) রেনে থম, (ফরাসি গণিতবিদ)।

১৯৩৩ – ম্যাথিইয়েউ কেরেকোউ, (লেবানিজ সৈনিক, রাজনীতিক ও প্রেসিডেন্ট)।

১৯৩৮ – গিউলিয়ানো গেমা, (ইতালিয়ান অভিনেতা)।

১৯৪৮ – ক্রিস্টা মকাউলিফে, (আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও মহাকাশচারী)।

১৯৫২ – জিমি কনর্স, (প্রাক্তন মার্কিন টেনিস চ্যাম্পিয়ন)।

১৯৬৬ – সালমা হায়েক, (মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র প্রযোজক)।

১৯৬৭ – আন্ড্রেয়াস মোয়েলার, (জার্মান সাবেক ফুটবলার ও ম্যানেজার)।

১৯৭৭ – ফ্রেডেরিক কানোউটে, (মালির সাবেক ফুটবলার)।

১৯৮১ – ক্রিস ট্রেমলেট, (ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার)।

১৯৮২ – জোয়ি বার্টন, (ইংরেজ সাবেক ফুটবলার)।

১৯৮৮ – ইশান্ত শর্মা, (ভারতীয় ক্রিকেটার)।

১৯৮৮ – জাভি মার্টিনেজ, (স্প্যানিশ ফুটবলার)।

১৮১০ – উইলিয়াম সেমুর টেইলার, (মার্কিন শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ)।

১৮৩৮ – ভক্তিবিনোদ ঠাকুর, (ভারতের বৈষ্ণবধর্মের সাধক, ধর্মগুরু, দার্শনিক)।

১৮৫৩ – উইলহেম অসওয়াল্ড, (নোবেল বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ)।

১৮৭৭ – ফ্রেডেরিক সডি, (ইংরেজ রসায়নবিদ)।

১৮৯৪ – জোসেফ রথ, (অস্ট্রীয় সাংবাদিক ও লেখক)।

১৭৭৮ – লুই বোনাপার্ট, (ফরাসি বংশোদ্ভূত ডাচ রাজা)।

১৬৭৫ – উইলিয়াম সামারভিল, (ইংরেজ কবি)।

১৫৪৮ – ভিন্সেঞ্জো স্কামজ্জি, (ইতালীয় স্থপতি)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৫ – চট্টগ্রামে চিলড্রেন ক্যান্সার হোম উদ্বোধন হয়।

১৯১৪ – রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে যুদ্ধের সূচনা করে।

১৯৩৯ – ব্রিটেনে ১৯ থেকে ৪১ বছর বয়সী পুরুষদের বাধ্যতামূলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়।

১৯৪৫ – (ক) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শেষ হয়। টোকিও উপসাগরে জাপান আত্মসমর্পণ করে।

(খ( – ভিয়েতনাম ফ্রান্সের থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৪৭ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে তমদ্দুন মজলিস নামক সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৯ – জাপানি আক্রমনে চীনের চান-কিঙ-এ ১৭০০ জন নিহত হয়।

১৯৫৮ – চীনের প্রথম টেলিভিশন স্টেশন পিকিং-এ চালু হয়।

১৯৭০ – নাসা (NASA) দুইটি অ্যাপোলো(Apollo) চন্দ্র অভিযান বাতিল ঘোষণা করে।

১৯৮১ – বেলিজ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৮৫ – চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায় ভারতবর্ষের অনন্য চলচ্চিত্র উৎকর্ষ কেন্দ্র নন্দন উদ্বোধন করেন।

১৯৯১ – যুক্তরাষ্ট্র এস্তেনিয়া, লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়া কে স্বীকৃতি দেয়।

১৮০১ – ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ওসমানীয় ও বৃটিশ সেনাদের ব্যাপক যুদ্ধের পর অবশেষে ফরাসী বাহিনী পরাজিত হয়ে মিশর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।

১৮৭০ – ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধ: সেদানের যুদ্ধে প্রুশিয়া ফরাসি সম্রাট তৃতীয় নেপোলিয়ন ও তার ১০০,০০০ সৈন্যকে বন্দি করে।

১৭৫২ – যুক্তরাজ্য গ্রেগারিয়ান দিনপঞ্জি গ্রহণ করে নেয়।

১৭৯২ – ফরাসি বিপ্লব সময় বিপ্লবীরা তিনজন রোমান ক্যাথলিক বিশপ ও প্রায় দুইশত পুরোহিতদের হত্যা করে। এই ঘটনা সেপ্টেম্বর গনহত্যা নামে পরিচিত।

১৬৪৯ – ইতালির ক্যাস্টো শহর [পোপ দশম ইন্নোসেন্টের সৈন্যদের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়।

১৬৬৬ – লন্ডনে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০,০০০ বাড়ি পুড়ে যায় (সেন্ট পলের ক্যাথেড্রাল সহ)। এই অগ্নিকাণ্ড প্রায় তিন দিন যাবৎ চলে।

৪৪ খৃস্টপূর্ব – মিশরের ফারাও সপ্তম ক্লিওপেট্রা তার পুত্র পঞ্চদশ টলেমি সিজারিয়নকে সহকারী শাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।

৩১ খৃস্টপূর্ব – রোমান গৃহযুদ্ধ: গ্রীসের পশ্চিম উপকূলের অ্যাক্টিয়ামের যুদ্ধে অক্টোভিয়ান মার্ক আন্টনি ও ক্লিওপেট্রার সৈন্যদের পরাস্ত করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ – ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড, (দক্ষিণ আফ্রিকান সার্জন ও শিক্ষাবিদ)।

২০০৯ – ইয়েদুগুরি সন্দিন্তি রাজশেখর রেড্ডি, (ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী)।

২০১০ – দিলীপ রায়, (ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা)।

২০১৩ – রোনাল্ড কোসে, (নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ বংশোদ্ভূত আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও লেখক)।

২০১৪ – নরম্যান গর্ডন, (দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার)।

২০২১ – (ভারতীয় অভিনেতা) সিদ্ধার্থ শুক্লা।

১৯১০ – হেনরি রুশো, (ফরাসি চিত্রশিল্পী)।

১৯১৩ – ওকাকুরা কাকুজো, (জাপানের প্রখ্যাত শিল্পী ও বাংলায় বিংশ শতকের গোড়ার দিকে নব উন্মেষের সূচনাকারী)।

১৯৩৩ – অনাথবন্ধু পাঁজা, (ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী)।

১৯৩৭ – চট্টো নামে পরিচিত বীরেন চট্টোপাধ্যায়, (আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কমিউনিস্ট বিপ্লবী)।

১৯৪৬ – প্রমথ চৌধুরী, (বাংলা ভাষার সাহিত্যিক)।

১৯৫২ – বেণী মাধব দাস, (প্রাজ্ঞ বাঙালি পণ্ডিত, শিক্ষক, দেশপ্রেমিক এবং শরৎচন্দ্র বসু, সুভাষচন্দ্র সহ আরও অনেক প্রখ্যাত ব্যক্তির শিক্ষাগুরু)।

১৯৬৭ – আয়েত আলী খাঁ, (উপমহাদেশের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সেতার ও সুরবাহার বাদক)।

১৯৬৯ – হো-চি-মিন, (ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী)।

১৯৭৩ – জে. আর. আর. টলকিন, (ইংরেজ ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, কবি ও ভাষাতত্ত্ববিৎ)।

১৯৯১ – আলফান্সো গার্সিয়া রোব্লেয়া, (নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মেক্সিকান রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিক)।

১৯৯২ – বারবারা ম্যাকলিন্টক, (নোবেলজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী)।

১৯৯৬ – মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহী, (ভারতীয় দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও মুফতি)।

১৯৯৭ – ভিক্টর ফ্রাঙ্কেল, (অস্ট্রিয়ান নিউরোলজিস্ট)।

১৮২০ – জিয়াকিং, (চীন সম্রাট)।

১৮৬৫ – উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টন, (আইরিশ গণিতবিদ ও বিজ্ঞানী)।

৪২১ – কনস্টানটিয়াস, (রোমান সম্রাট)।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব নারিকেল দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটি পালনের গুরুত্ব।

নারকেল একটি অর্থকারী ফসল। এর উপকার, গুণাগুণ হিসেবের বাহিরে। জীবন জীবিকায় এর ভূমিকা আনস্বীকার্য। যে কোন দেশের অর্থনীতিটে নারকেল এক গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখে। এ এমন এক গাছ যার শুরু থেকে শেষ প্রতিটি অঙ্গই কাজেলগে কোনোনা কোনো ক্ষেত্রে। তাই এর গুরুত্ব বোঝাতে প্রতি বছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব নারকেল দিবস। এই দিনটা পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল নারকেলের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা এবং এর উপকারিতা বোঝানো।

 

নারকেল নামটি পর্তুগিজ শব্দ কোকো থেকে এসেছে। যার অর্থ মাথা বা মাথার খুলি এবং বলা বয় যে এটি ইন্দো-মালয় অঞ্চলের কোথও উদ্ভুত হয়েছে। নারকেল গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Cocos Nucifera। ৮২ ফুট বা ২৫ মিটার উচ্চতা হয়ে থাকে এই গাছের। বিশ্বব্যাপী নারকেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় তিনটি দেশে। যথা ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন। সংস্কৃত ভাষায় নারকেল গাছটিকে কল্পবৃক্ষ বা স্বর্গের গাছ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।

 

নারকেল হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম ভার্সেটাইল ফল, এর একাধিক উপকারিতা আছে। এটা যেমন খাওয়া যায়, তেমনই আবার এর তেল রান্না থেকে ত্বক পরিচর্চায় ব্যবহার করা যায়। এই দিনটি সাধারণত এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় রাষ্ট্রগুলিতে বিশেষ ভাবে পালিত হয়। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে অধিক পরিমাণে নারকেল উৎপাদন হয়ে থাকে। নারকেলের স্বাস্থ্যোপযোগিতা ও বাণিজ্যিক লাভ সম্পর্কে জন সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়। ২০০৯ সালে এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। তার পর থেকে প্রতিবছর ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নারকেল দিবস পালিত হয়ে আসছে।

এশিয়া প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (APCC) ২০০৯ সালে এই দিবসটি প্রথম উদযাপন করে। তারপর থেকে, প্রতি বছর UN-ESCAP (United nations economic and social commission for Asia Pacific) এবং APCC একত্রে এই দিবসটি উদযাপন করে। দিবসটি পালনের লক্ষ্য হল, এই ফলের প্রচার এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

আমরা জানি,  বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফলগুলির মধ্যে একটি হল নারকেল, পাশপাশি এই ফলের বহুমুখী প্রকৃতি এটিকে বাকি ফলের থেকে আলাদা করে তোলে। নারকেল বা ডাব আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নারকেলের জল, দুধ এবং তেল আমাদের স্বাস্থ্য, ত্বক, চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি। ডাব বা নারকেল দিয়ে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারও তৈরি করা যায়। নারকেল দিবসে, নারকেল থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকার মিষ্টান্ন, নারকেল গাছ থেকে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী এই প্রদর্শনী তে রাখা হয়।

সারা বিশ্বে প্রায় অনেকগুলো দেশেই নারকেলের চাষ হয়। তার মধ্যে, মইক্রোনেসিয়া, ফিজি,ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া,থাইল্যান্ড,ভারত,ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপিন্স অন্যতম। এর মধ্যে সর্বাধিক নারকেল উৎপাদন হয়, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা, ও ব্রিজেলে।
এটা বিশ্বের একটি অন্যতম দরকারি গাছ এবং এটিকে প্রায়ই “জীবনের গাছ” হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এটি মানুষ খাদ্য, জ্বালানী, প্রসাধনী, ভেষজ ঔষধ সরবরাহ, দালান নির্মান সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করে এবং এর রয়েছে আরও নানাবিধ ব্যবহার।

নারকেল চাষের উপর ভারতের প্রায় কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভর করে।  ভারতের কেরল,অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু তে সর্বাধিক নারকেলের চাষ দেখা যায়। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ নারকেল এখানেই চাষ হয়। সমুদ্রের পার্শবর্তী স্থানে,লবনাক্ত মাটিতেই নারকেলের চাষ ভালোভাবে হয়।
নারকেল এমন একটি ফল, যা পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। এই গাছের কাঠ থেকে শুরু করে, পাতা, নারিকেলের ছোবড়া, জল, দুধ, মালা, সবটাই ব্যবহৃত হয় কোনও না কোনও কাজে। তাই অর্থনীতিতে নারিকেলের ভূমিকা যে অসীম তা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না।

একটি নারকেল গাছে প্রত্যেক বছর ৭০-১০০ টি নারকেল উৎপন্ন হয়। ভারতবর্ষে প্রায় দেড় কোটি গাছ শুধুমাত্র কেরলেই আছে ,যার কারণে কেরল কে কোকোনাট ল্যান্ডও বলা হয়।

 

ডাব বা নারকেলের জল কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক—

 

নারকেল একটি সুস্বাদু পুষ্টিকর ফল। এই ফল কাঁচাও খাওয়া যায়, এবং এর থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও তৈরি হয়,যেমন কেক, লাড্ডু, বরফি ইত্যাদি। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, পুজো তে, এবং রান্নাতেও ব্যাবহার করা হয়।

নারকেলের পাতা জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয়,নারকেলের পাতা থেকে তৈরি হয় ঝাঁটা যা সর্বত্রই ব্যবহার করা হয়।
নারকেলের ছোবা থেকে তৈরি হয় দড়ি,সোফা, পাদানি এবং বিভিন্ন ব্যাবহারিক জিনিস।

নারকেল গাছ ও জ্বালানির কাজে ব্যবহার করা হয় এবং নারকেল গাছ চেরাই করে ছোটখাটো আসবাবপত্র ও তৈরি করা হয়।

নারকেল থেকে তৈরি হয় নারকেল তেল যা আমাদের চুলের জন্য উপযোগী।  যার ব্যবহার ভারতে এবং অন্যান্য দেশেও রয়েছে।
নারকেলের জল আমাদের শরীরের পক্ষে প্রচুর মাত্রায় উপযোগী।

নারকেলের জলে রয়েছে গ্লুকোজ, ভিটামিন সি,পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম যা আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা প্রদান করে।

কোলেস্টল এবং ফ্যাট ফ্রী হবার দরুন এটি হৃদয়ের পক্ষেও লাভদায়ক। এর মধ্যে থাকা আন্টি-অক্সিডেন্টের গুন শরীরের রক্ত সঞ্চালন কে সক্রিয় রাখে। এবং এটি শরীরের ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কার্যকর।

নারকেলের জল আমাদের শরীরের থাইরয়েড হরমোন কে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

নারকেলের জল আমাদের কিডনির পক্ষেও উপযোগী, যদি প্রতিদিন নারকেলের জল খাওয়া যায় তাহলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনা থাকে না।

তাছাড়া নারকেলের জল রূপচর্চার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়।

 

নারকেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়—

 

নিয়মিত নারকেল খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে অনেক ফাইবার থাকে।
ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখে- নারকেল বা ডাবের জল এই জল পান করলে বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমানো যায় এবং ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে নারকেল। নিয়মিত নারিকেল খেলে ত্বক কোমল ও সুন্দর হয়। এছাড়াও নারকেল খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না।

হাড় মজবুত করে- ডাবের জল হাড় মজবুত এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এর ফলে অল্প বয়সে অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, অস্টিওপেনিয়া ইত্যাদি হাড়ের রোগের সমস্যা রোধ করা যায়।
অ্যাসিডিটি প্রতিরোধ করে- ডাবের জল শরীরের পিএইচ স্তরে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি অ্যাসিডিটি ও বুক জ্বালার হাত থেকে স্বস্তি দেয়।
চুলের টনিকের কাজ করে- চুল ঝরার সমস্যা থাকলে ডাবের জল পান করা শুরু করে দিন।
হজম শক্তি উন্নত করে- ডাবের জল প্রাকৃতিক উপায়ে সতেজতা প্রদান করে। পাশাপাশি শরীরে ব্লটিং ও গ্যাসের জন্য দায়ী সোডিয়ামের পরিমাণও কম করে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি পাচনতন্ত্রকেও মজবুত করে।
ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে, হজম শক্তি উন্নত করার পাশাপাশি ডাবের জল শরীররে হাইড্রেট রাখে। এটি শরীরের হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি উপাদানগুলিকে পুনঃস্থাপিত করে।
নিয়মিত নারকেল খেলে স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমে।
ডাবের জল পান করলে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা কমে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে নারকেল।
নারকেলের দুধ  হেপাটাইটিস সি, জন্ডিস ও লিভারের বিভিন্ন অসুখ সারাতে নারকেল দুধ কার্যকরী।
নিয়মিত নারকেল খেলে মাথায় খুশকি ও শুষ্কতা দূর হয়। এছাড়াও নারকেল তেল ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ হয়।
নারকেলে বেশি ক্যালোরি থাকায় তা দ্রুত শরীরে শক্তি যোগায়। তাই কাজের মাঝে ক্লান্তি আসলে বা হালকা খিদে পেলে নারকেল খেলে তাৎক্ষণিক অ্যানার্জি বাড়বে।
নারকেলে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যা কোলেস্টেরল বাড়ায় না বরং আথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট ভালো রাখতে সহায়তা করে।হৃদযন্ত্র ভালো রাখে নারকেল। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে হৃদরোগের সমস্যা দূর করে।
নারকেল রক্তের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীরাও পরিমিত নারকেল খেতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

নারকেল সম্পর্কে তথ্য—

(ক) ‘coconut’ শব্দটি ‘nut’ এবং পর্তুগিজ শব্দ ‘coco’ এর সমন্বয়ে উদ্ভূত।
(খ) বিশ্বে নারকেল উৎপাদনের ৯০ শতাংশই আসে এশিয়া থেকে।
(গ) ইন্দোনেশিয়া, Philippines, ব্রাজিল এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি ভারত বিশ্বের অন্যতম বড় রপ্তানিকারক দেশ।

(ঘ) নারকেল পুরোপুরি পরিপক্ক হতে এক বছর সময় লাগে।

(ঙ) একটি নারকেল গাছ প্রতি বছর কমকরে প্রায় ১০০টি নারকেল দেয়।
তাই বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিরা ডাবের জলকে অধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই জল ত্বক, হৃদয়, চুল, রক্তচাপ এবং হজমের পক্ষে বিশেষ উপকারী। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে, স্পোর্টস ড্রিঙ্কসের তুলনায় এটি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কম ক্যালরি সম্পন্ন। তাই আজ এই বিশেষ দিনটিতে ডাব বা নারকেলের জল কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।
ভারতসহ মোট ১৮টি দেশ নিয়ে এপিসিসি সংস্থাটি গঠিত। এ দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারকেল শিল্পের উন্নতির মাধ্যমে একটি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে মজবুত করা। নারকেলের মূল্য ও উপকারিতা সম্পর্কে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পালিত হয় দিনটি। খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ, প্রসাধনী, নির্মাণ সামগ্রী ও অন্যান্য নানা কারণে ব্যবহৃত হয় নারকেল। এই নারকেল গাছকে প্রায়শই ‘Tree Of Life’ নামে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। এশিয়া প্যাসিফিক কোকোনাট কমিউনিটি (এপিসিসি) নারকেলের মূল্য ও সমাজে তাদের প্রভাবের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই দিনটির প্রচার শুরু করে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও  বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

লে-লাদাখ্‌ : ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কছে এক স্বর্গ ভূমি।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  লে-লাদাখ্‌ ।

 

জন্মু ও কাশ্মীরকে আমরা ভারতের ভূস্বর্গ হিসাবে জানি । ভূস্বর্গ দর্শনের স্পৃহা অনেক দিনের । লে-লাদাখ্‌ ভ্রমণ ঐ স্পৃহারই  অন্যতম অঙ্গ ।
রাজ্যের একটি জেলা ছিল লে-লাদাখ্‌ ।  এখন লে-লাদাখ্‌ কেন্দ্রিয়শাসিত অঞ্চল । বর্গায়তনে হিসাব করলে লে-লাদাখ্‌ অনেক বড় । কিন্তু লোকসংখ্যার বসবাস খুব কম । সর্বসাকুল্যে আনুমানিক তিন-লক্ষ মানুষের বসবাস । স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়া প্রচুর সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনী কর্মরত । এছাড়া রয়েছে দেশী ও বিদেশী ভ্রমণ-পিপাসু মানুষের অহরহ আনাগোনা ।
লে-লাদাখের মানুষ ভীষণ গরীব । তাঁদের উপায়ের জায়গাটাও খুব নড়বড়ে । বলা চলে সীমিত । লে-লাদাখের জনবসতির ত্রিশ শতাংশ মানুষ ক্ষেতি জমির উপর নির্ভরশীল ।  ক্ষেতি জমি বলতে যব, জোয়ার, বাজরা, গম, চাষ । পাহাড়ি কোল ঘেঁষা  জমিতে চাষের দৃশ্য সর্বত্র । ঋতু অনুযায়ী বিভিন্ন চাষবাস । চাষের দৃশ্য নিঃসন্দেহে হৃদয়কাড়া । পয়ত্রিশ শতাংশ মানুষ রুটিরোজগারের জন্য পশুপালনের উপর নির্ভরশীল । পশুপালন বলতে লোমে ভরা ছাগল, গরু, ভেড়া, ইত্যাদি । আর অবশিষ্ট পয়ত্রিশ শতাংশ পর্যটকদের উপর নির্ভরশীল ।
বছরের প্রায় অর্ধেক সময় লে-লাদাখ্‌ বরফে ঢাকা থাকে । মে মাসের শেষে বরফ গলতে শুরু করে এবং সেই সময় থেকে বরফ সরিয়ে যাতায়াতের রাস্তা তৈরী করা শুরু  হয় । টুরিষ্টদের তখন মূলত লে-লাদাখের বিভিন্ন স্থানে ভ্রণের সুযোগ ঘটে । নভেম্বরের প্রথম  সপ্তাহ পর্যন্ত লে-লাদাখ্‌ ভ্রমণ চালু থাকে  !
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ছ-মাসের মতো জ্বালানী, খাবার এবং অন্যান্য নিত্য আবশ্যকীয় সামগ্রী মজুত রাখে । কেননা বরফ পড়ার সময় কোনো যানবাহন জোটে না । চুপচাপ নিজেদের এলাকার মধ্যে কাটাতে হয় । যারজন্য লে-লাদাখ্‌বাসীদের আগেভাগেই প্রয়োজনীয় খাবার, জ্বালানী, কাপড়-চোপড় ইত্যাদির ব্যবস্থা করাটা প্রত্যেকের কাছে একরকম বাধ্যতামূলক । জ্বালানী বলতে কাঠের টুকরো, ঘুটে (গোবর থেকে তৈরী), ইত্যাদি ।
সবচেয়ে দুঃখজনক, পুরো লে-লাদাখ্‌ এলাকা বাদ দিলে কোথাও বিশ্ববিদ্যালয় চোখে পড়েনি । বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রীনগর বা দেশের অন্যত্র শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে  যেতে হয় ।
দিল্লী থেকে খুব সকালের ফ্লাইটে লে । লে এয়ারপোর্ট খুব ছোট । পাশেই সামরিক ছাউনী । ফ্লাইট থেকে নামার সাথে সাথে ভীষণ দমকা হাওয়া ও কন্‌কনে ঠাণ্ডা । ফলে ঠাণ্ডা দমকা হাওয়া থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আশ্রয় নিতে হয়েছিল এয়ারপোর্টে পাশের অফিস ঘরে । একটা কথা প্রথমেই বলে রাখি, লে-লাদাখের চারিদিকে পাহাড় । তবে পাহাড়ের একটিই বৈশিষ্ট্য, পাহাড় গুলিতে কোনো সবুজ ঘাস নেই । ন্যাড়া । আর দিনের বেশীর ভাগ সময় পাহাড়ের মাথায় সাদা বরফের আনাগোনা । যদিও ভোরবেলায় সাদা বরফের পরিমাণ বেশী ।
তারপর লে এয়ারপোর্ট থেকে হোটেল । হোটেলের নাম “গাওয়া লিঙ ইন্টারন্যাশনাল” । হোটেলে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা হাওয়া । ফলে চারিদিকে কন্‌কনে শীতল ঠাণ্ডা । হোটেলে ঢুকেও ঠাণ্ডার হাত থেকে রেহাই নেই । সময়টা মে মাসের শেষদিক । নিজের রাজ্যের জেলায় প্রচণ্ড গরম । আর “লে”তে  সম্পূর্ণটাই উল্টো । হাড় হিম করা ঠাণ্ডা । বাইরে তাপমাত্রা মাইনাস ছয় । মাথার উপরে সূর্য আসার পর অল্প খানিকক্ষণের জন্য রৌদ্র । আকাশে রৌদ্র ওঠার পর লে’র অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য, মনকে খুশীর জোয়ারে ভরিয়ে দেয় ! তারপর দুপুরে মধ্যাহ্ন ভোজের পর “লে” মার্কেটে ঘরাঘুরি । উল্লেখ থাকে যে, ভ্রমণের উদ্দেশে পাহাড়ে ঘোরাঘুরির আগে একদিন বিশ্রাম নেওয়ার তাগিদে “লে”তে ঘুরে বেড়ানো । হোটেল থেকে হাঁটা পথে মার্কেট । তাই দুপুরে খাওয়ার পর “লে” মার্কেটে এবং আশপাশ অঞ্চলে ঘোরাঘুরি । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে মানুষের আনাগোনা  কমে যায় । রাস্তাঘাট জনশূন্য হতে থাকে । হোটেলের পাশে কয়েকটি  ঝাউগাছ । ঝাউগাছ ভেদ করে দেখা যাচ্ছে ন্যাড়া পাহাড় ! পাহাড়ের মাথায় বরফ । রাত্রিতে দুটো লেপেও ঠাণ্ডা দমন করা কঠিন । এত ঠাণ্ডা,যাকে বলে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা  !
পরেরদিন কারুতে  (Karu) এলাম । কাছেই মিলিটারি স্টেশন । সেখানকার জওয়ানরা ভীষণ উপকাস্রী । কারুর কাছে পাহাড় ঘেঁষে জলাশয় । সেখান দিয়ে জল ছুটে চলেছে নীচের দিকে । তারপর এলাম ভগবান বুদ্ধের মন্দির “”হেমিস গোম্পা (HEMIS  GOMPA) । এখানে অনেক বৌদ্ধরা থাকেন । ভগবান বুদ্ধের সেবায় তাঁরা ব্রত । এখানে উল্লেখযোগ্য, লে-লাদাখে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেশী । “হেমিস গোম্পা”  লে-লাদাখে অন্যতম বৌদ্ধ-মন্দির । অল্প বয়সের বৌদ্ধরা মন্দিরে শাস্ত্র পাঠে তৎপর । বৌদ্ধ-ভিক্ষুরা পর্যটকদের সাথে মেলামেশায় যথেষ্ট আন্তরিক ! টুরিষ্টদের সমস্তরকম সহযোগিতায় তাঁরা যত্নবান ।
এবার আসছি তাংসি  (Tangtse) গাঁওয়ের কথায় । চতুর্দিকে পাহাড় । মধ্যেখানে জলাশয় । চারিদিকে অনেক গাঁও । তার পাশেই ক্ষেতি জমি । জলাশয়ের ধার ঘেঁষা রাস্তা । ঐ রাস্তা দিয়েই পৌঁছালাম তাংসি’তে । তাংসিতে একটা মজার ব্যাপার, কোনো টুরিষ্ট  রাত্রিযাপন করতে চাইলে জলাশইয়ের পাশে “তাঁবু”  খাটানোতে থাকতে পারে । তাঁবুতে থাকাটা একটা আলাদা অনুভূতির অভিজ্ঞতা । প্রচুর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা তাংসি অঞ্চল । অন্যদিকে ঠাণ্ডা ততোধিক ! ।
বরফ কেটে রাস্তা । আমাদের সঙ্গে স্করপিয়ো গাড়ি । স্থানীয় ড্রাইভার । খুব গম্ভীর । ড্রাইভারের মুখে হাসি অধরা । আসলে তার ধাতে “হাসি” নেই । কিন্তু গাড়ি চালানোতে প্রচণ্ড শৃঙ্খলাপরায়ন । কোনো কথায় তার মনোযোগ নেই কোনোকথার উত্তর নেই । তার একটাই স্থির লক্ষ্য, বরফের পাশ দিয়ে খুব ধীরগতিতে অথচ সন্তর্পণে গাড়ি চালিয়ে খরদুংলা (khardung La) পৌঁছানো ।  যতদুর চোখ যায় শুধু সাদা বরফ । কোথায় নদী-নালা, কোথায় গাছ-পালা কিছুই বোঝার উপায় নেই । বরফাচ্ছন্ন খরদুংলা । পৃথিবীর সর্বোচ্চ মোটরগাড়ির রোড  (Highest Motorable Road) । ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতা । খরদুংলা পৌঁছানোর সাথে সাথে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট । অত উঁচুতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা । খরদুংলায় কোনো বসতি নেই । শুধুমাত্র ভারতীয় জওয়ানেরা কর্মরত । সেখানকার মিলিটারি ব্যারাকে কয়েকজন জওয়ান কর্তব্যরত । তাঁদের কাছে রয়েছে শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার ক্ষেত্রে জরুরি গ্যাসের ব্যবস্থা । আমাদের সাথে একই লাইনে আরও কয়েকটা পর্যটকদের গাড়ি  খরদুংলা পৌঁছেছে । তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পর্যটককে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য গ্যাসের প্রয়োজন । মিলিটারিরা দেখলাম হন্তদন্ত হয়ে গ্যাসের সিলিণ্ডার নিয়ে সেইসব পর্যটকদের সেবা শুশ্রূষা করছেন । অন্যদিকে  আমি গাড়ি থেকে নেমে হাঁটাহাঁটি করার দরুন অনেকটা আরামবোধ করলাম । সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার, একজন পরম হিতাকাক্ষ্মী মিলিটারি জওয়ান আমার অবস্থাটা অনুধাবন করে এক কাপ লিকার চা এগিয়ে ধরে  বিনীত স্বরে বললেন, “স্যার, এক কাপ লিকার চা খান । স্বাভাবিক সুস্থ বোধ করবেন ।“ খোঁজ নিয়ে জানলাম, জওয়ানের ঘর নদীয়া জেলার তেহট্টে ।  মিলিটারি ভদ্রলোকের দেওয়া চা খেয়ে সত্যিই অনেকটা হাল্কা বোধ করলাম । তারপর সমস্ত মিলিটারিদের উদ্দেশে স্যালুট জানালাম । এরপর খরদুংলা নিয়ে লেখা ( যেমন কত  মিটার উঁচু, জেলার নাম,  ইত্যাদি) পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ফটো তুললাম । সেখানেই লেখা রয়েছে খরদুংলা হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে উঁচু মোটর যানের রোড, ১৮৩৮০ ফুট উচ্চতা ।
এরপর স্করপিয়ো গাড়ি ছুটলো নুব্রা (Nubra)  ভ্যালির দিকে । নুব্রা ভ্যালিতে যখন আমরা পৌঁছালাম, তখন সূর্য ডুবে গেছে । এখানে উল্লেখ করা প্রনিধানযোগ্য যে, নুব্রা একটা তহসিল  (Tehsil) । সেখানেই দিকসিত (Diksit)  গ্রাম । গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শায়ক (Shayok) নদী ।  দিকসিত গ্রামে সর্বসাকুল্যে এক হাজার মানুষের বসবাস এবং গোটা নুব্রা ভ্যালিতে বাইশ হাজার মানুষের বসবাস । নুব্রা ভ্যালিতে আরও একট জায়গা জনপ্রিয় গাঁও, তুরতুক । তুরতুকের কাছে টেগোর গ্রামে জামসখ্যাং নামে একট প্রাসাদ রয়েছে । তা ছাড়া নুব্রা ভ্যালি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর । তবে  এখানকার মানুষ খুব গরীব । নুব্রা ভ্যালিতে কৃষি ফসল বলতে গম আর বার্লি । নুব্রা ভ্যালির মানুষ মোমো খেতে ভালবাসেন । শিক্ষিত হওয়ার ক্ষেত্রে  কলেজ পর্যন্ত । নুব্রা ভ্যালিতে একমাত্র বালির দর্শন মেলে । চারিদিকে পাহাড় । মধ্যখানে মরুভূমি । মরুভূমি শুরু হওয়ার  মুখে জলের স্রোতে পা ভেজানোর মজাই আলাদা । মরুভূমির পাশেই শায়ক নদী । শায়ক নদী দিসকিত গ্রাম থেকে ১২ কিমি দূরে । ঐখানে “শায়ক” ও  “সিয়াচেন”  নদীর সংযোগস্থল । জায়গাটা আবার সিয়াচেন ও পাকিস্থানের কাছাকাছি । আগেই বলেছি নুব্রা ভ্যালির প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোমুগ্ধকর । আবার অন্যদিকে রাত্রির দিকসিত ভারী সুন্দর । বিজলী বাতি রয়েছে । বিজলী বাতি থাকলে কীহবে, একটু বাদে বাদেই লোডশেডিং । বিদ্যুতের টালবাহানায় স্থানীয় মানুষ নাজেহাল । অধিকাংশ  মানুষ বৌদ্ধ ধর্মালম্বী । এলাকার সর্বত্র মিলিটারিদের আনাগোনা । নুব্রা ভ্যালীর মানুষজন খুব পরিশ্রমী । আবার ততোধিক তাঁদের সরল জীবনযাপন । পরিবারের স্বামী-স্ত্রী উভয়েই উপার্জনের প্রতি ভীষণভাবে যত্নশীল ।
তারপর………?
তারপর  প্যাংগং লেক (Pangong Tso) । প্যাংগং লেক হিমালয়ের একটি এন্ডোরহেইক লেক বা হ্রদ (endorheic lake) ।  পৃথিবী বিখ্যাত এই  প্যাংগং লেক ।  লাদাখ্‌ ও চীনের রুতোগ প্রদেশের সীমান্তে ৪৩৫০ মি (১৪২৭০ ফুট) উচ্চতায় প্যাংগং লেক অবস্থিত । এই হ্রদ ১৩৪ কিমি লম্বা যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ তিব্বতে অবস্থিত । এই লেকের পূর্ব দিকটা তিব্বতের অন্তর্গত ও পশ্চিম দিকটি ভারতের । লেকে যাওয়ার উদ্দেশে কিছু শুকনো খাবার এবং যথেষ্ট পরিমাণে খাবারের জল সঙ্গে নিলাম । নুব্রার হোটেল থেকে বলেই দিয়েছিল, রাস্তাঘাটে খাবারের দোকান নেই বললেই চলে । তবে ইদানীং কোথাও কোথাও দোকান চালু হয়েছে । যাই হোক এবার আসছি লেকের জল সম্বন্ধে । লেকের দিকে আমরা ধাবিত হওয়ার সময় গম্ভীর ড্রাইভার বলল, “চুপচাপ বসে থাকুন ।  রাস্তা ভীষণ ঝুঁকিবহুল । যেকোনো সময় ধস নামতে পারে ।  গাড়ির জানালা বন্ধ রাখা বাঞ্ছনীয় । কেননা ধস নামলে পাহাড়ের পাথরগুলি জানালা ভেদ করে শরীরে আঘাত করতে পারে । সুতরাং লেকে যাওয়ার  সফর খুব ঝুঁকিবহুল । গাড়ি চলাকালীন কেউ বেশী নড়াচড়া করবেন না ।“
অবশেষে আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ঠিক সময়ে পৌঁছালাম প্যাংগং লেক । অনেক দূর প্যাংগং লেক । নুব্রা থেকে খালসার হয়ে প্যাংগং লেকের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিমি । পৌঁছানোর পর আমাদের মধ্যে সীমাহীন আনন্দ । আনন্দোচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা । প্রকৃতির অপূর্ব ভাণ্ডার ।  চারিদিকে পাহাড় । পাহাড়ে সবুজের লেশমাত্র নেই । উপরে রৌদ্রোজ্জ্বল  নীল আকাশ । ঝকঝকে নীল আকাশে খণ্ড খণ্ড,  টুকরো টুকরো সাদা মেঘ ।  নীচে লেক । লেকের জলও তেমনি । সমুদ্র-নীল জল ।  জলের রঙ একেক সময় বা একেক জায়গায় একেক রকম ! সারা লেকে আছে শুধু রঙের বৈচিত্র !  রঙিন জল দেখতে ভীষণ সুন্দর । লেকের জল দেখে প্রাণ জুড়ে যায় । শোনা যায়, অনেক সিনেমার স্যুটিং নাকি লেকের ধারে হয়েছে । তার মধ্যে থ্রি-ইডিয়েট অন্যতম । তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা অভিনব । রাত্রিতে আমাদের থাকার কোনো পরিকল্পনা না থাকায় আমরা ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করলাম ।  সন্ধ্যার আগে ফেরার তাগাদা । যদিও সন্ধ্যার সময় লেকের ভিউ অন্যরকম । তাঁবুতে যারা রাত্রিযাপন করবেন, তাঁদের পক্ষে লেকের রাত্রির শোভা দর্শন যথেষ্ট আনন্দের । কিন্তু আমাদের সন্ধ্যা নামার আগে লেক থেকে বিদায় নিতে হবে । সূর্য অস্ত যাওয়ার মনোরম দৃশ্য দেখে আমরা অভিভূত । তারপর মন না চাইলেও বিপদের সম্ভাবনাকে দূরে রাখার জন্য আমরা সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরার উদ্দেশে রওনা দিলাম ।
ফেরবার পথে পৌঁছালাম চ্যাংলা Chang La)  । চ্যাংলার উচ্চতা ১৭৬৮৮ ফুট । পৃথিবীতে দ্বিতীয় মোটর যানের রোড হিসাবে চ্যাংলা’কে দাবি করা হয় । সেখানে একমাত্র কয়েকটি মিলিটারি ক্যাম্প ছাড়া মানুষজন, দোকানপাট  চোখে পড়ল না  ।  আছে শুধু পাগল করা মন-মাতানো সাদা বরফ । আর সর্বক্ষণ মনে হচ্ছে মাথার উপরের আকাশটা অনেক কাছে ।  সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার, সেটা হচ্ছে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে ভ্রমণে মিলিটারিদের তৎপরতা !
এই প্রসঙ্গে আরও উল্লেখযোগ্য,  কারু (Karu) মিলিটারি জওয়ানদের ব্যবহার !  এক কথায়, অতি উত্তম । নিঃসন্দেহে অতুলনীয় । কারু শহরে পুরোটাই গরীব মানুষের এলাকা । কারু শহরে এছাড়া শান্তি স্তুপো বৌদ্ধ মন্দিরে ও থিক্সে  (Thiksay) মোনাস্টারিতে ভ্রমণ অবর্ণনীয় ।
ফিরে এলাম “লে” মার্কেটে । স্থানীয় মোমো খাবার ভীষণ জনপ্রিয় । যব, বাজরা, গম, ইত্যাদি দিয়ে স্থানীয় খাবার তৈরীর প্রক্রিয়াটা অন্যরকম । তাঁরা বাঙালীদের মতো ভেতো বাঙালী নয় । তাঁদের খুব সাদাসিধে জীবন । শিক্ষার হার খুব কম । স্বাস্থ্য ব্যবস্থা  তথৈবচ । পুরো “লে”-“লাদাখে” সরকারি স্তরের দৃষ্টিভঙ্গি আশু প্রয়োজন ।

সংক্ষেপে লে-লাদাখ্‌ এই  পর্যন্ত ।

 

কলমে : দিলীপ রায়
—————-০—————–

Share This
Categories
রিভিউ

১ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

১ সেপ্টেম্বর। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  জ্ঞান দিবস (রাশিয়া)

(খ) বিদ্রোহ দিবস (লিবিয়া)

(গ) শিক্ষক দিবস (সিংগাপুর)

(ঘ) স্বাধীনতা দিবস (উজবেকিস্তান)

(ঙ) সংবিধান দিবস (স্লোভাকিয়া)

(চ) ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চে এই দিনে বছর শুরু হয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – আমির ইলাহি, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

১৯১১ – দেবেশ দাশ বাঙালি কথাসাহিত্যিক ।

১৯১৪ – মৈত্রেয়ী দেবী সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক।

১৯১৮ – মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক।

১৯২০ – রিচার্ড ফার্নসওয়ার্থ, মার্কিন অভিনেতা ও স্টান্ট।

১৯২৪ – শৈলেন মান্না ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন খ্যাতিমান ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৩৫ – (ক) ড.সরোজ ঘোষ বাঙালী সংগ্রহালয় সংস্থাপক ও বিজ্ঞানকে জনসাধারণ্যে লোকায়িত করণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

(খ) মুস্তফা মনোয়ার, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।

১৯৩৯ – লিলি টমলিন, মার্কিন অভিনেত্রী, কৌতুকাভিনেত্রী, লেখিকা, গায়িকা ও প্রযোজক।

১৯৪৭ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক মিহির সেনগুপ্ত।

১৯৬২ – কফিল আহমেদ, বাংলাদেশী কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী।

১৯৬৫ – নচিকেতা চক্রবর্তী, ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯৭১ – হাকান শুকুর, তুর্কি ফুটবলার যিনি স্ট্রাইকার অবস্থানে খেলেন।

১৯৯০ – টম ব্লান্ডেল, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৮৫৬ – সার্গেই উইনোগার্ডস্কি রুশ অণুজীব বিজ্ঞানী।

১৮৭৭ – ফ্রানসিস উইলিয়াম অ্যাস্টন, নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।

১৮৮৪ – হেনরি ফোরেল, সুইজারল্যান্ডীয় এন্টোমলজিস্ট।

১৮৯৬ অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্মগুরু এবং ইসকন তথা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ, হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য।

১৮৯৭ – পরিমল গোস্বামী বাঙালি সাহিত্যিকে।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৪ – রাশিয়ায় বেলসান স্কুলে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের অপহরণ করে।

১৯০৫ – ব্রিটিশরাজ বঙ্গভঙ্গের নির্দেশ জারি করে।

১৯১৪ – রাশিয়ার সেন্ট. পিটার্সবুর্গের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় পেট্রোগার্ড়।

১৯২৩ – জাপানের টোকিও ও ইয়াকোহামায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে দুই লক্ষ লোক নিহত হয়।

১৯২৮ – আলবেনিয়া রাজ্যে পরিণত হয়।

১৯৩৯ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে, যুদ্ধের সূচনা করে।

১৯৬১ – সাবেক ইউগোশ্লাভিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে ২৫টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর প্রথম শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৯ – বাদশাহ ইদ্রিসকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুয়াম্মর গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসেন।

১৯৭৮ – বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল” বা বিএনপি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন।

১৯৮৫ – ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।

১৯৯১ – উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৯২ – জাকার্তায় দশম জোটনিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৮১৮ – কলকাতায় নতুন স্কুল স্থাপনের উদ্দেশ্যে দেশীয় ও ইউরোপীয় শিক্ষানুরাগীদের যৌথ উদ্যোগে গঠিত হয় ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি।

১৮৫৩ – উত্তমাশা অন্তরীন থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।

১৬৪৪ – ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস ৭২ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেণ।

১১৭৪ – ইতালীর পিসা শহরে বিখ্যাত পিসার হেলান টাওয়ার নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – মুফতি আহমেদ কুফতার, সিরিয়ার গ্রান্ড।

১৯০৪ – আলফ্রেড রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৩০ – জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯৭০ – নোবেলজয়ী [১৯৫২] ফরাসি সাহিত্যিক ফ্রাঁসোয়া মরিয়াক।

১৯৭৫ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠ শিল্পী সঙ্গীতাচার্য তারাপদ চক্রবর্তী।

১৯৮১ – অ্যান হার্ডিং, মার্কিন মঞ্চ, চলচ্চিত্র, বেতার ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।

১৯৮২ – হার্সেল কুরি মার্কিন গণিতবিদ।

১৭১৫ – চতুর্দশ লুই, ফ্রান্সের রাজা।

১৬৪৪ – ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুইস (৭২ বছর বয়স)।

১৬৪৮ – মারাঁ মের্সেন, ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সঙ্গীতজ্ঞ।

১৬৮৭ – হেনরি মুর, ইংরেজ দার্শনিক।

১৫৫৭ – জ্যাকস কার্টিয়ার, ফরাসি অভিযাত্রী। তাকে কানাডার অন্যতম আবিস্কারক মনে করা হয়।

১৫৭৪ – গুরু অমর দাস তৃতীয়

১৫৮১ – গুরু অমর দাস চতুর্থ

১১৫৯ – পোপ চতুর্থ অ্যাড্রেইন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও আমাদের সুন্দর সমাজ : স্বামী আত্মভোলানন্দ।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায় ….।

***আমাদের ভারতীয় সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মের মধ্যে যখন কোন মানুষকে ঐশ্বর্য, বীর্য, যশ, শ্রী, জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি গুনের অধীশ্বর রূপে  আরাধনা করা হয়  তখন তাকে ভগবান বলা হয়। যেমন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দ। আমাদের ভারতীয় সত্য সনাতন  হিন্দু ধর্ম হল সেই বিজ্ঞান যেটা বহু বছর ধরে সাধু, সন্ন্যাসী, জ্ঞানী, মহাত্মাদের সঠিক মার্গ দর্শনে আমাদের দেশে ক্রমশ বেড়ে উঠেছে। তাই হিন্দুধর্ম হল একটা বিজ্ঞান সম্মত ধর্ম যার নাম সনাতন ধর্ম , শাশ্বত চিরন্তন ধর্ম। তাই, আমাদের হিন্দু ধর্মের কোন প্রবর্তক নেই।  আমাদের সত্য সনাতন  হিন্দু ধর্মে সামাজিক জীবনে ধর্মীয় প্রভাব অপরিসীম।আমাদের সমাজে আমরা মহিলা,পুরুষ,শিশু,বৃদ্ধ, উচ্চ,নিচ, ধনী,দরিদ্র সকল, পেশার মানুষ  জাতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে আবহমান কাল ধরে  সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ
হয়ে বসবাস করে আসছি। আমাদের এই সত্য সনাতন হিন্দু ধর্ম হল যার ভিত্তি।এই সত্য সনাতন হিন্দু ধর্ম হল অনন্ত,অসীম,সীমাহীন,অন্যগুলো অনেকপরে এবং এক একজন বিশেষ ব্যক্তির / প্রবর্তক এর সৃষ্টি।

আমাদের সমাজে বর্ণাশ্রম প্রথা হল বৈদিকযুগের শ্রমবিভাগ।(Division of labour)
স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শ্রীমদ্ভগবতগীতায় বলেছেন
চার্তুবর্নাং ময়া সৃষ্টং গুনকর্মবিভাগশঃ……..
অর্থাৎ:- গুন ও কর্মের ভিত্তিতে আমি চার বর্নের সৃষ্টি করেছি।স্বভাবজাত গুন অনুসারে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ‍্য, শূদ্র  এর কাজকর্ম পৃথক করা হয়েছে । অর্থাৎ সমাজে সবলোকের স্বভাবজাত প্রবনতা,দক্ষতা এক নয় তাদের স্বভাবজাত প্রবনতা এবং  দক্ষতা ভিন্নধর্মী, এর ফলেই শ্রমবিভাজন বা বর্ণাশ্রম। যিনি জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চায় প্রবল ও সাত্বিকী শ্রদ্ধা বিদ‍্যমান তিনিই ব্রাহ্মণ।পরাক্রম, তেজ, ধৈর্য্য, কলাকুশলতা, যুদ্ধে পরান্মুখতা ইত্যাদি গুন যার মধ‍্যে আছে এবং যিনি দানে আগ্রহী এবং নেতৃত্বদানের ক্ষমতা সম্পন্ন তিনিই ক্ষত্রিয়। কৃষি গোপালন, ব‍্যাবসা বানিজ‍্যে যার মন তিনিই বৈশ‍্য এবং যার নিজশ্ব প্রচেষ্টা উদ্দ‍্যম নেই পরের সেবা বা কাজ  দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তিনিই শূদ্র।

আমাদের সমাজে এবং পৃথিবীর সবদেশেই অজ্ঞাতসারে বা অলিখিত ভাবে বর্নাশ্রম প্রথা বিদ‍্যমান। ব্রাহ্মণ গুনসম্পন্ন ব‍্যাক্তিরা গবেষণা শিক্ষকতা/অধ‍্যাপনায় নিযুক্ত। ক্ষত্রিয় গুনসম্পন্ন ব‍্যাক্তিরা সামরিক বা পুলিশ ও আধিকারিক পেশায় নিযুক্ত হচ্ছেন। বৈশ‍্য গুনসম্পন্ন ব‍্যাক্তিরা ব‍্যাবসা বানিজ‍্যে নিযুক্ত হচ্ছেন। এবং  শূদ্র গুনসম্পন্ন ব‍্যাক্তিরা সেবামূলক বা শ্রমশীল কাজে নিযুক্ত হচ্ছেন। বর্নাশ্রম প্রথা শুধুমাত্র হিন্দু শাস্ত্রাদি দ্বারাই নির্দিষ্ট, কিন্তু জাতি বা অশ্পৃশতা হিন্দু শাস্ত্রে অনুপস্থিত। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ  শ্রীমদ্ভগবতগীতায় বলেছেন কর্মের ভিত্তিতে আমি চার বর্নের সৃষ্টি করেছি । বর্তমানে ও আমাদের সমাজে  যোগ্যতা, দক্ষতা, কর্ম কুশলতা, কর্ম নৈপুণ্যতার ভিত্তিতে সামাজিক ভারসাম্য  আছে, জাতির ভিত্তিতে নয়l

মানুষ আমরা সামাজিক জীব। আমাদের সত্য সনাতন হিন্দু ধর্মে সামাজিক জীবনে পরিবারের সাথে ধৈর্য্য ধরা হল ভালবাসা, অন্যের সাথে ধৈর্য্য ধরা হল সম্মান।নিজের সাথে ধৈর্য্য ধরা হলো আত্মবিশ্বাস আর ভগবান সাথে ধৈর্য ধরা হলো বিশ্বাস। আমাদের সমাজে কখনো কোন মানুষ কিন্তু একা থাকে না, তার সাথে জড়িয়ে থাকে তার প্রতি একান্ত নির্ভরশীল মানুষ গুলো ও। তাই যদি আপনি কারো ক্ষতি করার চিন্তা করেন, তার সাথে যারা জড়িত এবং তার প্রতি যারা একান্ত নির্ভরশীল আপনি তাদেরও ক্ষতি  করছেন। তাই, কখনো কারো জীবনের ব্যাথার কারন হবেন না।যদি পারেন তাকে উৎসাহিত করেন। নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে  কখনো অন্যকে ব্যবহার করবেন না।কারো স্বপ্নকে ভাঙ্গবেন না,যদি পারেন কারো জীবনের অনুপ্রেরনা হবেন কখনো নিরাশার আঁধার হয়ে আসবেন না। তাই কাউকে দেবার মতন যদি আপনার কিছু না থাকে তবে অবশ্যই নিজের ভালো ব্যবহার উপহার দিন।

কারন,আমাদের হিন্দু ধর্মে সামাজিক জীবনে পাপ এর বোঝা আপনার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত বয়ে বেড়াতে হবে। মানুষের মুখের কথার মাঝে এমন শক্তি আছে, যে মুখের কথায়  কোন মানুষ জীবন ফিরে পায়। আবার সেই মুখের এই কথার কারনেই  কোন মানুষ মৃত্যুর দ্বার অব্দি পৌঁছায়। তাই কথা বলার সময় অবশ্যই বুঝে বলবেন। জীবনে কিছু ভালো কাজ না করতে পারলেও কোনও দরিদ্র মানুষকে একবারের জন্যও কিছু সহায়তা করুন, কোনও তৃষ্ণার্তকে এক গ্লাস জল প্রদান করুন,  কোনও ক্ষুধার্তকে একটু ফল প্রদান করুন, হয়তো কখনও  হঠাৎ অসুস্থ হওয়া কারো একটু সেবা করতে পারেন, হয়তো বর্ষায় ভিজে যাওয়া  কারো মাথায় একটু ছাতা ধরতে পারেন,এমনভাবে কিছু কিছু সহায়তা করুন
আমাদের চারপাশের মানুষকে। সর্বদা মনে রাখবেন, আমাদের চারপাশে যা যায় তাই ফিরে আসে আমাদের জীবনে।

তাই, সামাজিক জীবনে দয়ালু হন, ন্যায্য হন, সৎ হন, এবং তবেই এই সমস্ত জিনিস আপনার জীবনে আপনার কাছে ফিরে আসবে। আমাদের সমাজে জীবনে খারাপ সময় আসলেই পুরো পৃৃথিবীকে চেনা যায়। বন্ধু- বান্ধুব, আপন মানুষ, প্রিয় মানুষ সবার আসল রুপটা বেড়িয়ে আসে। দেখা যায় কে আমাদের জন্য কতটুকু  করতে পারে, আর কে আমাদের জন্য কি করে। যাদের বিপদে আপদে আপনি সবসময় পাশে ছিলেন দেখবেন আপনার খারাপ সময়ে বেশিরভাগ সময়ই আপনি তাদেরকে পাশে পাবেন না। কেউ ব্যস্ততা দেখাবে, কেউ বিভিন্ন সমস্যা দেখাবে, কেউ যোগাযোগ রাখাই বন্ধ করে দিবে। তখন নিজের উপর খুব রাগ হবে, নিজেকে খুব অসহায় মনে হবে।আবার খারাপ সময়ে এমন কিছু মানুষকে খুঁজে পাই যারা আমাদের আপন না হয়েও আমাদের আপন মানুষ গুলোর চেয়ে ও অনেক বেশি কিছু করে।জীবনে খারাপ সময় আর খারাপ মুহূর্তগুলো আমাদেরকে দিয়ে যায় মানুষ চেনার সবচাইতে বড় শিক্ষা। যে শিক্ষা জীবনে খারাপ সময় না আসলে আমরা হয়ত কোনদিনও অর্জন করতে পারতাম না। সত্যিকারের বন্ধু বা সত্যিকারের আপন মানুষ খুঁজে পাওয়ার জন্য  আমাদের জীবনে খারাপ সময় আসাটা খুব দরকার।

সামাজিক জীবনে আমাদের অনেক সময় অহঙ্কারে গর্বে আমাদের অনেকের মানসিকতা একেবারে হীন হয়ে পড়ে ! ধরা কে সরা জ্ঞান করি আমরা ! আমাদের নিজেদের স্থায়িত্ব ই বা কতটুকু আমরা কি কিছু জানি ! অন্যকে সন্মান দিন সন্মান পাবেন ! সংসার ভরে উঠবে সুখে শান্তিতে আনন্দে  ! এই বিশ্ব সংসারে আমি কি ? আমি কে ? আমার উদ্ভব কোথা থেকে? আর আমার বিনাশই বা কোথায় কি ভাবে? আমরা কি কেউ জানি ?
তাই, আমাদের সামাজিক জীবনে আমরা যদি অত্যধিক চাওয়া পাওয়ার বাসনা থেকে নিজেকে  দুরে রাখতে
পারি, মনে রাখবেন তাহলে তিনি সমাজে আসল সুখের জগতে প্রবেশর পথ খুঁজে পেলেন। তাই, সদ গুরুদেব এর কাছে, ভগবান এর কাছে সকলের মঙ্গল কামনা করি আমাদের সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এই প্রার্থনা করি ! জগৎগুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের শুভ ও মঙ্গলময় আশির্বাদ সকলের শিরে বর্ষিত হোক! এই প্রার্থনা করি…***
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!
স্বামী আত্মভোলানন্দ

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

(ক)  মালয়শিয়ার স্বাধীনতা দিবস

(খ) কিরগিজিস্তান-এর স্বাধীনতা দিবস

(গ) ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর স্বাধীনতা দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৩ – বার্নার্ড লভেল্, ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯৩৬ – ভ্লাদিমির অরলভ, রাশিয়ান লেখক।

১৯০৭ – রামোন ডেল ফিরো ম্যাগসেসে, ফিলিপিনো অধিনায়ক, প্রকৌশলী, রাজনীতিবিদ ও ৭ম সভাপতি।

১৯১৯ – অমৃতা প্রীতম, ভারতীয় কবি ও লেখক।

১৯২৮ – জেমস হ্যারিসন কোবার্ন, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৪৪ – ক্লাইভ লয়েড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৪৫ – ভ্যান মরিসন, উত্তর আইরিশ গায়ক ও গীতিকার।

১৯৪৯ – এইচ ডেভিড পলিতজার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪৯ – রিচার্ড গিয়ার, আমেরিকান অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯৬০ – হাসান নাসরুল্লাহ, লেবাননের রাজনৈতিক ও আধাসামরিক প্রতিষ্ঠান, হিজবুল্লাহর তৃতীয় মহাসচিব।

১৯৬৩ – ঋতুপর্ণ ঘোষ, বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতা ।

১৯৬৯ – জাভাগাল শ্রীনাথ, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার।

১৯৭০ – নিকোলা গ্রুয়েভস্কি, ম্যাসাডোনিয়া অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭৭ – জেফ হার্ডি, আমেরিকান কুস্তিগির ও গায়ক।

১৯৮২ – পেপে রেইনা, স্প্যানিশ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৫ – রোলানদো জর্জ পিরেস দা ফনসেকা, পর্তুগিজ ফুটবলার।

১৮৪৩ – গেয়র্গ ভন হেরটলিং, জার্মান শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৭ম চ্যান্সেলর।

১৮৪৪ – শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবী চন্দ্রনাথ বসু।

১৮৭০ – মারিয়া মন্টেসরি,ইতালীয় চিকিৎসক এবং শিক্ষাবিদ, নিজের নামে প্রতিষ্ঠা করা শিক্ষা দর্শন – “মন্টেসরি শিক্ষাপদ্ধতি”র জন্য সুপরিচিত।

১৮৭৯ – আল্‌মা মাহ্‌লের, অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান সুরকার ও চিত্রশিল্পী।

১৮৮৮ – কানাইলাল দত্ত, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।

১৮৯৭ – ফ্রেডরিক মার্চ, আমেরিকান লেফটেন্যান্ট, অভিনেতা ও গায়ক।

১৮২১ – হারমান ভন হেল্মহোল্টয, জার্মান চিকিৎসক ও পদার্থবিজ্ঞানী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৫ – ইরাকের কাজেমাইন শহরে এক শোকানুষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ইরাকি মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়।

১৯০৫ – বঙ্গভঙ্গ বিল পাস হয়।

১৯০৭ – ইংল্যান্ড ও রাশিয়ার মধ্যে ইঙ্গ-রুশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৫৭ – মালয়েশিয়া স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৫৯ – কলকাতায় খাদ্যের দাবিতে কৃষক মিছিলে ভারতের কংগ্রেস সরকারের গুলি চালনায় ৮০ জন নিহত হয়।

১৯৬২ – লাতিন আমেরিকার দেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগো ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের কবল থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৩ – ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউসের মধ্যে হট লাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়।

১৯৬৫ – মালয়েশিয়ার জাতীয় পতাকা যুক্তরাজ্যে সর্বপ্রথম উত্তোলন করা হয়।

১৯৬৮ – ভারতে তৈরী উপগ্রহ ‘রোহিনী’ আকাশপথে যাত্রা করে।

১৯৬৮ – ইরানের খোরাশানে মারাত্মক ভূমিকম্পে ১৮ হাজার নিহত হয়।

১৯৭১ – সঙ্গীতশিল্পী আলতাফ মাহমুদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।

১৯৭৫ – গণচীন কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান।

১৯৯১ – সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রজাতন্ত্র কিরগিজিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে।

১৮৪৮ – সংবাদপত্রে প্রথমবারের মত আবহাওয়া বার্তা ছাপা শুরু করে।

১৮৫৮ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাত থেকে ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – জর্জ পোর্টার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।

২০০৫ – জোসেফ রটব্লাট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পোলিশ বংশোদ্ভূত ইংরেজ পদার্থবিদ।

২০০৮ – কেন ক্যাম্পবেল, ইংরেজ লেখক, অভিনেতা, পরিচালক ও কৌতুকাভিনেতা।

২০১৩ – ডেভিড প্যারাডাইন ফ্রস্ট, ইংরেজ রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

২০২০ – মহামান্য প্রণব মুখোপাধ্যায়,ভারতের প্রথম বাঙালি ও ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি।

১৯২০ – উইলহেম উন্ট, জার্মান চিকিৎসক, মনোবৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক।

১৯৪১ – মারিনা টসভেটাভা, রাশিয়ান কবি ও লেখক।

১৯৬৩ – জর্জ ব্রাকুয়ে, ফরাসি চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর।

১৯৭১ –

বশীশ্বর সেন,খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি কৃষি বিজ্ঞানী।

আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েল, ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা, বীর বিক্রম, ক্রিকেটার।

১৯৭৩ – জন ফোর্ড, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৮৫ – ফ্রাঙ্ক ম্যাকফারলেন বার্নেট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জীববিজ্ঞানী।

১৯৮৬ – উরহো কেকোনেন, ফিনিশ সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৮ম সভাপতি।

১৯৯৩ – স্টেলা ক্রামরিশ, অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ইতিহাসবিদ ও কিউরেটর যিনি মূলত ভারতীয় শিল্পের ইতিহাস নিয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেন।

১৯৯৭ – প্রিন্সেস ডায়ানা, যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন যুবরাজ্ঞী।

১৮১১ – লুই আন্তনিও ডি বোউগাইনভিলে, ফরাসি নৌসেনাপতি ও এক্সপ্লোরার।

১৮১৪ – আর্থার ফিলিপ, ইংরেজ এডমিরাল, রাজনীতিবিদ ও নিউ সাউথ ওয়েল্স-এর ১ম গভর্নর।

১৮৬৪ – ফের্দিনান্দ লাসালে, জার্মান বিচারক, দার্শনিক, এবং সমাজতান্ত্রিক রাজনৈতিক কর্মী।

১৮৬৭ – শার্ল বোদলেয়ার, ফরাসী কবি।

১৭৯৫ – ফ্রাসোয়া-আঁদ্রে ডানিকান ফিলিডোর, ফরাসি বংশোদ্ভূত ইংরেজ দাবা খেলোয়াড় ও সুরকার।

১৬৮৮ – জন বুনয়ান, ইংরেজ প্রচারক, ধর্মতত্ত্ববিদ ও লেখক।

১৪২২ – পঞ্চম হেনরি, ইংল্যান্ডের রাজা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ইতিহাস গর্ভে ফিরে দেখা! : তন্ময় সিংহ রায়।।।

”ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা!”

 

এই রাখি’র বন্ধনে কিভাবে মানুষ বাঁধা পড়ল? পুরাণ থেকে ইতিহাস গর্ভে এ নিয়ে
রয়ে গেছে বেশ কিছু রহস্যময় ও উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ!
এবারে উঁকি মারা যাক পৌরাণিক সেই কাহিনীগুলি’র দরজায়!
প্রথমত, হিন্দু ধর্মের মহাকাব্যদ্বয়ের মধ্যে মহাভারতে লুকিয়ে থাকা রাখি বন্ধনের যে ঘটনা আমরা দেখতে পাই তা হল,
কথিত আছে রাজসূয় যজ্ঞের সময় শিশুপালকে হত্যার পরে স্বয়ং শ্রী-কৃষ্ণের একটি আঙুল কেটে ঝরতে থাকে রক্ত!
এমতবস্থায়, পঞ্চপান্ডবের স্ত্রী দ্রৌপদী
তখন তাঁর শাড়ির আঁচল খানিকটা ছিঁড়ে কৃষ্ণের আঙুলে বেঁধে দেন ও অভিভূত কৃষ্ণ তাঁর অনাত্মীয়া, কিন্তু বোন হিসাবে মেনে নেওয়া দ্রৌপদীকে পরিবর্তে
প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভবিষ্যতে সর্বরকম বিপদে তিনি রক্ষা করবেন তাঁকে।
এই ঘটনার বহু বছর পর, পাশাখেলায় হারের মাধ্যমে কৌরবরা যখন দ্রৌপদীকে অপমান করে তাঁর বস্ত্রহরণ করতে উদ্যত হন, সে মুহুর্তে  কৃষ্ণ অসমাপ্ত বস্ত্র সরবরাহের দ্বারা দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে বজায় রাখেন সেই প্রতিদান।

দ্বিতীয়ত, যমুনা তাঁর ভাই স্বয়ং যমের হাতে  বেঁধে দিয়েছিলেন রাখি।

তৃতিয়ত, শুভ ও লাভ নামে গণেশের পুত্রদ্বয়
এক সময় বায়না ধরে যে, নিজেদের বোনের হাতে তারা পরাতে চায় রাখি!
এ পরিস্থিতিতে উপায়ান্তর না দেখে গণেশ তাঁর দুই স্ত্রী ঋদ্ধি ও সিদ্ধি’র অন্তর থেকে নির্গত অগ্নি থেকে সৃষ্টি করেন বোনরূপি সন্তোষী মা-কে, যিনি সন্তোষের অধিষ্ঠাত্রী দেবী নামে অভিহিত হিন্দুধর্মের একজন অ-শাস্ত্রীয় ও লৌকিক নবীন দেবী।

এবারে আলোকপাত করা যাক কিংবদন্তী’র ইতিহাস কি বলছে সে বিষয়ে,
প্রথমত, শত্রুর হাত থেকে নিজের রাজ্যের মান-মর্যাদা রক্ষা করার একান্ত উদ্দ্যেশ্যে,
মুঘল সম্রাট বাবর পুত্র সম্রাট হুমায়ুনের কাছে একবার সাহায্যপ্রার্থী হন চিতোরের বিধবা রানি কর্ণবতী এবং সেই সময়ে তিনি একটি রাখিও পাঠান হুমায়ুনকে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই পরবর্তীতে এই ঘটনা পরিনত হয় উৎসবে এবং এর জনপ্রিয়তা হতে থাকে ক্রমবর্ধমান!

দ্বিতীয়ত, গ্রীক বীর আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিশেষত এই কারণে বলে আমার মনে হয় যে, এর ফলে গ্রিকদের সভ্যতা, সংস্কৃতি ও চিন্তাধারার সাথে পরিচিত হয়ে ওঠার একটি সুযোগ আমরা পাই।
যাইহোক, বর্তমান ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া ঝিলাম নদী (ঋগ্বেদে বিতস্তা নদী) সংলগ্ন উপকূলে গ্রিকদের বশ্যতা স্বীকার না করা ঝিলাম রাজ পুরুর সাথে ৩২৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডারের তুমুল যুদ্ধের ফলে সেই যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন পুরু।
কিন্তু ইতিহাস বলছে, তাঁর স্বামীর প্রাণ সংশয় হতে পারে, এই আশঙ্কা করে আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোক্সানা পুরুর কাছে যান এবং তাঁর হাতে বেঁধে দেন একটি পবিত্র সুতো ও পরিবর্তে পুরু
আলেকজান্ডারের কোনও ক্ষতি করবেন না বলে কথাও দেন।

এদিকে আধুনিক ইতিহাসে চোখ রাখলে আমরা দেখতে পাই,
১৯ শতকে বাংলায় জাতীয়তাবাদী আন্দোলন চরম পর্যায়ে থাকাটা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের কাছে হয়ে উঠেছিল অপরিমিত ভয়ের একটি বিশেষ কারণ, আর যে কোনো উপায়ে এই  আন্দোলনকে দমন করার বিভিন্ন পথ খুঁজতে গিয়েই ব্রিটিশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, তারা বাংলাকে দুই ভাগে ভাগ করে ঐক্য শক্তিকে হ্রাস করবে। এ হেন জটিল ও মর্মান্তিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্রনাথ সহ গোটা ভারতের বিভিন্ন বিশিষ্টজন ও নেতৃবৃন্দ এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করেছিলেন এবং শুরু করেছিলেন বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে এক সংঘবদ্ধ প্রতিবাদী আন্দোলন!
অতএব ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধের উদ্দ্যেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোলকাতা, সিলেট
ও ঢাকা ইত্যাদি থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই-বোনকে আহ্বান করেছিলেন ঐক্যতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করার জন্যে!
বলাবাহুল্য সে সময় দেশে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাও যেন পৌঁছেছিল একেবারে চরম পর্যায়ে!
বলার আর কোনো অপেক্ষা রাখে না যে,
ধর্মীয় অরাজকতা সে সময়েও ছিল, আজও বজায় আছে তা বহাল তবিয়তে!

ক্রমবিবর্তনের মধ্যে দিয়ে একবিংশের ঠিক যে জায়গায় এসে পৌঁছেছে এই উৎসব তা এরূপ,
শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু ভাই-বোনদের মধ্যে অত্যন্ত নিষ্ঠাভরে পালন করা হয় এই রাখী বন্ধন নামক উৎসবটি!
উৎসবের ধরণ হিসাবে উল্লেখ্য, সেই বিশেষ দিনে দিদি বা বোনেরা তাঁদের ভাই বা দাদা’র আ-জীবন মঙ্গল কামনা’র উদ্দ্যেশ্যে হাতের কব্জিতে বেঁধে দেয় রাখী নামক একটি পবিত্র সুতোর বন্ধন! পরিবর্তে ভাই বোনকে দেয় কিছু উপহার ও শপথগ্রহণ করে বা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় সারাজীবন বোনকে রক্ষা করায়!
এখানে একটি বিষয় জানানো ভালো, সেই ভাই-বোন যে একই মায়ের গর্ভের হতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
হিন্দু ছাড়াও জৈন ও শিখ প্রভৃতিরা পালন করে থাকেন এই উৎসব!
সর্বশেষ এই যুক্তি পরিলক্ষিত যে, রাখিকে ভাই-বোনের উত্‍সব হিসাবে মনে করা হলেও ইতিহাসে কিন্তু, পুরুষকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করার শুভ প্রতীক হিসাবে তাঁদের কব্জিতে মহিলাদের সুতো বেঁধে দেওয়ার একটি যোগসূত্র থেকেই যাচ্ছে।
আর হয়তো এগুলিই পরে রূপ নেয় রাখি বন্ধন উত্‍সবের!!

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩০ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩০ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক)  আন্তর্জাতিক ভিকটিমস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপেয়ারেন্স দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৫১ – (ক)  ভারতীয় বাঙালি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত।

(গ) ডানা রসেমারয় সচালন, ইংরেজ বংশোদ্ভূত আইরিশ গায়ক ও রাজনীতিবিদ।

১৯৬৩ – মাইকেল চিক্লিস, আমেরিকান অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৭২ – (ক) শ্রীলেখা মিত্র, ভারতীয় বাঙালী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

(খ) চেক প্রাজন্ত্রের ফুটবলার ও সাবেক অধিনায়ক পাভেল নেদভেদ।

(গ) – ক্যামেরন ডাইজ অভিনেত্রী ও ফ্যাশন মডেল।

১৯৮২ – এন্ডি রডিক আমেরিকান টেনিস তারকা।

১৯৮৩ – ইমানুয়েল কুলিও, আর্জেন্টিনার ফুটবলার।

১৯৮৫ – হোলি ওয়েস্টন, ইংরেজ অভিনেত্রী।

১৯১২ – এডওয়ার্ড মিল্স পারসেল, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ।

১৯১৩ – রিচার্ড স্টোন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ অর্থনীতিবিদ এবং পরিসংখ্যানবিদ।

১৯১৭ – ব্রিটিশ রাজনীতিক ডেনিস হিলি।

১৯৩০ – ওয়ারেন বাফেট, মার্কিন ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং জনহিতৈষী ব্যক্তি।

১৮৪৪ – শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসেবী চন্দ্রনাথ বসু।

১৮৫২ – ইয়াকোবুস হেনরিকুস ফান্ট হফ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ রসায়নবিদ।

১৮৫৬ – কার্ল ডেভিড টলমে রুঙ্গে, জার্মান গণিতবিদ ও পদার্থবিদ।

১৮৭১ – আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নিউজিল্যান্ড ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

১৮৮৪ – থিওডোর সভেডবার্গ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ রসায়নবিদ ও পদার্থবিদ।

১৭৯৭ – ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ গ্রন্থের লেখিকা ও কবি শেলির স্ত্রী মেরি ওলস্টোনক্র্যাফট শেলি।

১৫৬৯ – জাহাঙ্গীর, মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯০৭ – রাশিয়া ও বৃটিশ উপনিবেশবাদী সরকার এক চুক্তির মাধ্যমে ইরানকে তিন অংশে বিভক্ত করে।

১৯০৯ – বার্গেস শেল জীবাশ্ম চার্লস ডুলিটল ওয়ালকোট আবিষ্কার করেছিলেন।

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ: জার্মানরা ট্যানেনবার্গের যুদ্ধে রাশিয়ানদের পরাজিত করেছিল।

১৯১৬ – আর্নেস্ট শ্যাকলটন অ্যান্টার্কটিকার এলিফ্যান্ট দ্বীপে আটকা পড়ে থাকা তার সমস্ত লোকের উদ্ধার কাজটি শেষ করেছেন।

১৯১৭ – ভিয়েতনামের কারাগারের রক্ষীরা স্থানীয় ফরাসী কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে থিয়ে নগুইন অনুশাসনে ট্রানহান কান সেনের বিদ্রোহের নেতৃত্বে।

১৯১৮ – ফ্যানি কাপলান বলশেভিক নেতা ভ্লাদিমির লেনিনকে গুলি করে মারাত্মকভাবে আহত করেছিলেন, তিনি বলশেভিকের সিনিয়র অফিসার মাইসেই উরিটস্কি হত্যার পাশাপাশি কয়েকদিন আগে ডিক্রিমিকে অনুরোধ করেছিলেন

১৯৩৩ – এয়ার ফ্রান্স গঠিত হয়।

১৯৪১ – জার্মান বাহিনী লেনিনগ্রাদ অবরোধ করে।

১৯৪৫ – হংকং বৃটিশ বাহিনীর সহায়তায় জাপানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৫৬ – সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক পরীক্ষা করে।

১৯৫৭ – যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক পরীক্ষা করে।

১৯৭১ – দিল্লীতে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন।

১৯৯১ – আযারবাইজান প্রজাতন্ত্র সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৯৭ – বসনিয়ায় মুসলিম ক্রোয়েট চুক্তি স্বাক্ষর।

১৯৯৯ – পূর্ব তিমুর ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়।

১৮০০ – গ্যাব্রিয়েল প্রসেসার ভার্জিনিয়ার রিচমন্ডে একটি পরিকল্পিত দাস বিদ্রোহ স্থগিত করে, তবে তা ঘটানোর আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

১৮১৩ – কুলমের প্রথম যুদ্ধ: ফরাসি বাহিনী অস্ট্রিয়ান-প্রুশিয়ান-রাশিয়ান জোটের কাছে পরাজিত।

১৮৩০ – বুলগেরিয়ার রাজপুত্র ওথো গ্রিসের রাজা নির্বাচিত হন।

১৮৩৫ – অস্ট্রেলিয়া: মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়া প্রতিষ্ঠিত।

১৮৫০ – হনুলুলু শহরের মর্যাদা পায়।

১৮৬০ – ব্রিটেনে প্রথম ট্রাম চালু হয়।

১৮৬২ – আমেরিকান গৃহযুদ্ধ: রিচমন্ডের যুদ্ধ: জেনারেল উইলিয়াম “বুল” নেলসনের অধীনে এডমন্ড কার্বি স্মিথের অধীনে ইউনিয়ন বাহিনী সেনা সদস্যরা।

১৮৭৩ – অস্ট্রিয়ান অভিযাত্রী জুলিয়াস ফন পেয়ার এবং কার্ল ওয়েপ্রেক্ট আর্কটিক সাগরে ফ্রেঞ্চ জোসেফ ল্যান্ডের দ্বীপপুঞ্জটি আবিষ্কার করেন।

১৮৯৬ – ফিলিপাইনের বিপ্লব: সান জুয়ান দেল মন্টির যুদ্ধে স্প্যানিশ জয়ের পরে ফিলিপাইনের আটটি প্রদেশকে স্পেনীয় গভর্নর-জেনারেল জেনারেল রামন ব্লাঙ্কো ই এরেনাস সামরিক আইনে ঘোষণা করেছিলেন।

১৭২১ – লিস্টাভ-এর শান্তি চুক্তি সম্পাদিত।

১৭২৭ – গ্রেট ব্রিটেনের দ্বিতীয় রাজা জর্জের জ্যেষ্ঠ কন্যা অ্যানিকে প্রিন্সেস রয়্যাল উপাধি দেওয়া হয়।

১৭৯১ – এইচএমএস পান্ডোরা আগের দিন বাইরের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের উপর দৌড়ে যাওয়ার পরে ডুবে গেছে।

১৭৯৯ – দ্বিতীয় কোয়ালিশনের যুদ্ধের সময় স্যার রাল্ফ অ্যাবারক্রম্বি এবং অ্যাডমিরাল স্যার চার্লস মিচেলের কমান্ডে পুরো ডাচ বহরটি ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা হয়েছিল।

১৫৭৪ – গুরু রাম দাস চতুর্থ শিখ গুরু / মাস্টার হন।

১৫৯৪ – স্কটল্যান্ডের কিং জেমস প্রিন্স হেনরির ব্যাপটিজমে একটি মাস্ক ধারণ করেছিলেন।

১৪৬৪ – পোপ পল দ্বিতীয় পোপ পিয়াস দ্বিতীয়র উত্তরাধিকার হিসেবে এবং ২১১ তম পোপ হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন।

১৩৬৩ – পয়য়াং হ্রদের পাঁচ সপ্তাহের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যেখানে দুই চীনা বিদ্রোহী নেতার (চেন ইউলিয়ানং এবং জু ইউয়ানজ্যাং) সেনাবাহিনী ইউয়ান রাজবংশকে সমর্থন করবে কে তা সিদ্ধান্ত নিতে মিলিত হয়।

১২৮২ – তৃতীয় আরাগোন পিটার ত্রাপানিতে সিসিলিয়ান ভেস্পারদের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করতে নামেন।

৭০ খ্রিস্টপূর্ব- হেরোদের মন্দির ধ্বংস করার পরে টাইটাস জেরুজালেম অবরোধের অবসান ঘটিয়েছিলেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

 

২০০১ – আফম আহসানউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশের ১১ তম রাষ্ট্রপতি।

২০০৬ – নাগিব মাহফুজ, নোবেল বিজয়ী মিশরীয় সাহিত্যিক।

২০১৩ – শেমাস্‌ হীনি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ কবি ও নাট্যকার।

২০১৭ – আব্দুল জব্বার, বাংলাদেশী সঙ্গীত শিল্পী।

১৯১১ – হরিনাথ দে বহুভাষাবিদ ভারতীয় বাঙ্গালী পণ্ডিত।

১৯২৮ – ভিলহেল্ম ভিন, ১৯১১ সালের নোবেলজয়ী জার্মান পদার্থবিদ।

১৯৭৬ – যাদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী, অনুশীলন সমিতির অবিসংবাদী নেতা ও প্রখ্যাত চিকিৎসক।

১৯৮১ – নীহাররঞ্জন রায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা-গবেষক পণ্ডিত।

১৯৮১ – ইরানের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আল রাজাই ও প্রধানমন্ত্রী মোহম্মদ জাভেদ বাহোনার পিপলস মোজাহিদিন অব ইরানের বোমা হামলায় নিহত হন।

১৯৮৭ – ফিলিস্তিনের খ্যাতনামা কার্টুনিষ্ট নাজিউল আলী লন্ডনে ইহুদীবাদী ইসরাইলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হাতে নিহত হন।

১৮৬৮ – প্রসন্নকুমার ঠাকুর, ঊনবিংশ শতকের বাংলার সমাজ সংস্কারক ও হিন্দু কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

১৮৭৭ – তরু দত্ত, ইংরাজী ও ফরাসি ভাষার ভারতীয় বাঙালি কবি।

১৬৫৯ – দারা শিকোহ, আওরঙ্গজেবের ঘাতকের হাতে।

১৪৮৩ – ফ্রান্সের রাজা একাদশ লুই।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ জাতীয় ক্রীড়া দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

হকি খেলোয়াড় ধ্যান চাঁদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতিবছর ২৯ আগস্ট ভারতে জাতীয় ক্রীড়া দিবস উৎযাপিত হয়।খেলার জগতের প্রতিটি খেলোয়াড় দের জীবনে এই দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে বিবেচিত হয়। এই বিশেষ দিন টিতেই অর্জুন, দ্রোনাচার্জ, রাজীব খেলরত্ন, ধ্যান চাঁদ পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে খেলাধুলা এবং খেলাধুলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি উদযাপিত হয়। আসলে দিনটি কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় মেজর ধ্যান চাঁদের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

 

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে (এলাহাবাদ) ১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট জন্ম হয়  ধ্যানচাঁদের। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির হয়ে হকি খেলেছিলেন ধ্যানচাঁদের পরিবারের সদস্যরা। বাবা সোমেশ্বর সিংহ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন।  মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯২২ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মিতে যোগ দিয়েছিলেন ধ্যানচাঁদ। সময়ের অভাবে রাতের দিকে অনুশীলনে মগ্ন থাকতেন কিংবদন্তি এই হকি তারকা। রাতের দিকে অনুশীলন করতেন বলে তাঁর সতীর্থরা ‘চাঁদ’ নামে সম্বোধন করতেন ধ্যানচাঁদকে। তিনি পঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর পদে উন্নিত হয়েছিলেন।  ১৯৩২ সালে গোয়ালিয়রের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন ধ্যানচাঁদ। একদম ছোটবেলায় কুস্তিতে মূলত আগ্রহ ছিল ধ্যানচাঁদের। যদিও পরে হকিতে মনোনিবেশ করেন।

 

ইংরেজদের অধীনস্ত ভারতীয় হকি দলের হয়ে ১৯২৮, ১৯৩২ ও ১৯৩৬ অলিম্পিক খেলেন।  প্রতিবারই দেশকে সোনা এনে দিয়েছিলেন তিনি। ১৯২৬—১৯৪৯ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ার জীবনে তিনি মোট ৫৭০টি গোল করেন।
আন্তর্জাতিক হকি অঙ্গনে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি তিনি একাধিকবার তার দেশকে সাফল্যের শীর্ষে নিতে অবদান রেখেছেন। তিনি ভারতীয় এবং বিশ্ব হকির এক কিংবদন্তিতুল্য ব্যক্তিত্ব। তার স্মরণে ভারতের ক্রীড়াঙ্গনে আজীবন কৃতিত্বের জন্য সর্বোচ্চ পুরস্কার— মেজর ধ্যানচাঁদ পুরষ্কারের প্রবর্তন করা হয়েছে এবং তার জন্মদিনেই দেশটিতে জাতীয় ক্রীড়া দিবস উৎযাপন করা হয়।  শোনা যায়, হিটলার ধ্যানচাঁদের খেলা দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তাঁকে জার্মান নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তা নিতে অস্বীকার করেন ধ্যানচাঁদ। তাকে মেডেল পরিয়ে পুরষ্কৃত করেন রাষ্ট্র নায়ক হিটলার । তার পর স্টেডিয়ামে থেকে জিজ্ঞাসা করেন হিটলার, ভারতে কি করেন তিনি ? ধ্যান চাঁদ বলেন ভারতের সেনাবাহিনী তে যুক্ত তিনি । তারপর হিটলার তাকে জার্মানির সেনাবাহিনী তে উচ্চ পদের জন্য আমন্ত্রণ জানান । তবে ধ্যান চাঁদ তার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন । তার আত্মজীবনী ” গোল ” বই টিতে এই ঘটনার কথা লিপিবদ্ধ আছে ।

 

কিংবদন্তি এই হকি তারকার নামে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় মূর্তি গড়া হয়েছে।

১৯৫৬ সালে তিনি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

১৯২৮ সালের আমস্টারডাম অলিম্পিক্সে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন ধ্যানচাঁদ। সেবারই হকির জাদুকর হিসেবে নামকরণ হয় ধ্যানচাঁদের।

নয়া দিল্লিতে তার নামে একটি জাতীয় হকি স্টেডিয়াম প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঝাঁসি তে তার নামেই রয়েছে জাতীয় হকি একাডেমি।

 

আজকের দিনেই রাষ্ট্রপতি অর্জুন ও রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার, দ্রোণাচার্য পুরস্কার তুলে দেন ক্রীড়াজগতে দেশের কৃতিদের হাতে। ক্রীড়া সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতি ও জাতীয় ক্রীড়া দলগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে , স্কুলে এই দিন টি পালন করা হয়। তবে ভারতের মতন জাতীয় ক্রীড়া দিবস বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন সময়ে উৎযাপিত হয়ে থাকে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ রিভিউ

নারী সমতা দিবস, জানুন তার ইতিহাস এবং কেন পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি।

আজকের যুগে নারীরা অনেক এগিয়ে। সমগ্র বিশ্ব দেখেছে নারীরা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম। কোনও কাজেই আজ নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে নেই। এখন বিশ্বব্যাপী এখন অনেক সংস্থা গড়ে উঠেছে, যারা নারীদের প্রতি নিপীড়ন ও সহিংসতার বিরুদ্ধে, সমাজে বিদ্যমান বৈষম্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নারীদের সমান সুযোগ প্রদান করে চলেছে। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে পা মিলিয়ে এগিয়ে ছলছে নারীরা। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি অনস্বীকার্য। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা তাদের যোগ্যতার ছাপ ফেলে যাচ্ছে। খেলা ধুলা, শিক্ষা দীক্ষা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা সর্বক্ষেত্রে তারা নিজেদের যোগ্যতার সাক্ষর রেখে যাচ্ছে। পুরুষের থেকে তারাও যে কোনো অংশে কম নয় তা বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের সাফল্য দিয়ে। ফলস্ববরূপ তাদের এই জয়। সেদিনের আধিকার লড়াই এর সাফল্য।

 

আমেরিকান কংগ্রেস এবং আমেরিকার ৩৭তম রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৩ সালের  ২৬ অগস্ট দিনটিকে ‘নারী সমতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আমেরিকায় এই দিবস উদযাপন শুরু হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নারী সমতা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ১৯২০ সালের ঊনবিংশ সংশোধনী (সংশোধন XIX) গৃহীত হওয়ার স্মরণে ২৬শে আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীর সমতা দিবস উদযাপন করা হয়, যা যুক্তরাষ্ট্র এবং ফেডারেল সরকারকে নাগরিকদের ভোটের অধিকার অস্বীকার করা থেকে নিষিদ্ধ করে।  লিঙ্গ ভিত্তিতে রাষ্ট্র.  এটি প্রথম ১৯৭১ সালে পালিত হয়েছিল, ১৯৭৩ সালে কংগ্রেস দ্বারা মনোনীত হয়েছিল, এবং প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি দ্বারা ঘোষণা করা হয়।মহিলাদের অধিকার নিয়ে ৭২ বছরের কঠোর পরিশ্রম ও প্রচারের পর ১৯২০ সালে সফলতা পায় মহিলারা ৷

 

ইতিহাস—

 

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের আগেই শুরু হয়েছিল নারীদের ভোটাধিকারের জন্য আন্দোলন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ রাজ্যে কেবল ধনী শ্বেতাঙ্গ পুরুষদেরই ভোটের অধিকার ছিল ১৮৩০-এর দশকের দিকে । প্রথমবার নারী সমতা বা নারী সমানাধিকার নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছিল ১৮৪৮ সালে নিউইয়র্কে Women’s Rights Convention-এ ।  পরবর্তী সময়ে এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যানটন এর নেতৃত্বে ১৮৯০-এর দশকে, ন্যাশনাল আমেরিকান ওমেন স্যাফারেজ অ্যাসোসিয়েশন শুরু হয়। এই দশক শেষ হওয়ার আগে, আইডাহো এবং ইউটা মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার মিলেছিল। ১৯১০ সালে অন্যান্য পশ্চিমী রাজ্যগুলি মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার দিতে শুরু করে। তবে তখনো বেশ কয়েকটি পূর্ব এবং দক্ষিণী রাজ্যে মহিলাদের ভোটারাধিকারে স্বীকৃতি মেলেনি। এর পর, ১৯২০ সালের ২৬ অগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ১৯তম সংশোধনী গৃহীত হয়, যেখানে মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার পান।

তারিখটি ১৯২০ সালে সেই দিনটিকে স্মরণ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল যখন সেক্রেটারি অফ স্টেট বেইনব্রিজ কোলবি আমেরিকান মহিলাদের ভোট দেওয়ার সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছিলেন।  ১৯৭১ সালে, ১৯৭০ সালের দেশব্যাপী নারীদের সমতার জন্য ধর্মঘট এবং আবার ১৯৭৩ সালে, সমান অধিকার সংশোধনী নিয়ে লড়াই চলতে থাকলে, নিউইয়র্কের কংগ্রেসওম্যান বেলা আবজুগ ২৬শে আগস্টকে নারীর সমতা দিবস হিসেবে মনোনীত করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

 

১৯৭২ সালে, রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন ২৬ আগস্ট, ১৯৭২কে “নারী অধিকার দিবস” হিসাবে মনোনীত করেছিল এবং এটি ছিল নারীর সমতা দিবসের প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।  ১৯৭৩ সালে আমেরিকান কংগ্রেস এবং আমেরিকার ৩৭তম রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬ অগস্ট দিনটিকে ‘নারী সমতা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।  আমেরিকার মহিলাদের প্রথম ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল।  একই দিনে, রাষ্ট্রপতি নিক্সন নারী সমতা দিবসের জন্য ঘোষণা ৪২৩৬ জারি করেছিলেন, যা শুরু হয়েছিল, অংশে: “মহিলাদের ভোটাধিকারের সংগ্রাম, যাইহোক, আমাদের জাতির জীবনে মহিলাদের পূর্ণ এবং সমান অংশগ্রহণের দিকে প্রথম পদক্ষেপ মাত্র। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে,  আমরা আমাদের আইনের মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্যকে আক্রমণ করে এবং মহিলাদের জন্য সমান অর্থনৈতিক সুযোগের জন্য নতুন পথ প্রশস্ত করার মাধ্যমে অন্যান্য বিশাল অগ্রগতি করেছি৷ আজ, আমাদের সমাজের কার্যত প্রতিটি ক্ষেত্রে, মহিলারা আমেরিকান জীবনের গুণমানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে৷ এবং এখনও,  এখনও অনেক কিছু করা বাকি আছে।”
২০২১ সাল পর্যন্ত, রিচার্ড নিক্সনের পর থেকে প্রতিটি রাষ্ট্রপতি প্রতি বছর ২৬ আগস্টকে নারী সমতা দিবস হিসাবে মনোনীত করে একটি ঘোষণা জারি করেছেন। তাই এই দিনটি মহিলাদের সমান অধিকার দিবস হিসেবে পালন করা হয়।আমেরিকায় এই দিবস উদযাপন শুরু হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নারী সমতা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This