Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব সিকেল সেল দিবস কি, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।।।।

সিকল সেল ডিজিজ হল থ্যালাসেমিয়া ও হিমোফিলিয়ার মতোই জিন বাহিত। এই রোগটি উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং ওডিশায় বেশ সুপরিচিত। জনসংখ্যার প্রায় ০.৪% এসসিএতে ভোগেন এবং আমাদের দেশে ১০% বাহকই নতুন রোগীর জন্ম দেয়।

সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে সিকেল সেল অ্যানিমিয়া দূর করার জন্য মিশন মোডে কাজ করবে।

কিন্তু কী এই সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, কেন হয়, কী করেই বা চিনবেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া কী?
সিকেল সেল অ্যানিমিয়া ( Sickle Cell Anaemia), এটি অ্যানিমিয়া গোষ্ঠীরই একটি রোগ। যা আমাদের শরীরে হিমগ্লোবিনকে আক্রান্ত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অসুখটি বংশগত অর্থাৎ উত্তরাধিকারসূত্রে রক্তের ব্যাধি বলা যেতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে লোহিত রক্তকণিকা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে না। এর ফলে শরীরে অক্সিজেন বহন করতে অক্ষম হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের শরীরে লাল রক্ত কোষগুলি নমনীয় এবং ডিস্ক-আকারযুক্ত। সাধারণত, তারা সহজেই রক্তনালীগুলির মধ্যে দিয়ে যেতে পারে। তবে সিকেল সেল অ্যানিমিয়ায় লাল রক্ত কোষগুলি কাস্তের আকার ধারণ করে। কোনও ক্ষেত্রে ক্রিসেন্ট চাঁদের (Sickle Or A Crescent Moon) আকারে দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগে আক্রান্ত হলে কোষগুলি আঠালো এবং অনমনীয় হয়ে যায়। সেগুলি ছোট রক্তনালীগুলির মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। তাই দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত এবং অক্সিজেন প্রবাহকে ধীর এবং ব্লক করে দেয় ।
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার প্রকারভেদ—
হিমোগ্লোবিন এসএস: এটি সবচেয়ে সাধারণ। এটি হলে রোগী মায়ের পাশাপাশি বাবার কাছ থেকে হিমোগ্লোবিন এস জিনের অনুলিপি অর্জন করে। এটি অত্যন্ত গুরুতর ধরণের এসসিডি।
হিমোগ্লোবিন এসসি: এটি এসসিডির দ্বিতীয় রূপ। পিতা-মাতার একজনের থেকে এর উত্তরাধিকারী হয় রোগী।
হিমোগ্লোবিন এসবি + (বিটা) থ্যালাসেমিয়া: এটি বিটা-গ্লোবিন জিনের উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। বিটা প্রোটিনের কম উৎপাদন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোহিত রক্ত কণিকার আকার হ্রাস পায়।
হিমোগ্লোবিন এসবি 0 (বিটা-শূন্য) থ্যালাসেমিয়া: এটি বিটা-গ্লোবিন জিনের সঙ্গে জড়িত।
Finger Pain: আঙুলে চরম ব্যথা হয়, কিছুতেই কমছে না? এই ঘরোয়া কৌশল ব্যবহার করে দেখুন তো
সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার লক্ষণ—
লোহিত রক্ত কণিকা কমে যাবে-জন্মের ৫ মাস বয়সেই সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার প্রথম লক্ষণগুলি টের পাওয়া যায়। যখন সিকেলের কোষগুলি সহজেই ভেঙে যাবে তখন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা কমে যাবে।
ক্লান্তি-এটি রক্তাল্পতা বা লোহিত রক্ত কণিকার সংকট তৈরি করে দেয়। এ কারণে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পায় না যার ফলে ক্লান্তি তৈরি হয়।
ব্যাথা-যখন সিকেল আকৃতির কোষগুলি রক্তনালীগুলির মাধ্যমে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেবে তখন episodic ব্যথা অনুভব করা যায়। এই ব্যথা কখনও কখনও কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থায়ী হতে পারে।
ফোলা-সিকেল-আকৃতির কোষগুলি আপনার দেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয় তাই ফোলাভাব দেখা দেবে শরীরে।
দৃষ্টির ঘাটতি- সিকেল সেলের কোষগুলি চোখে সরবরাহকারী রক্তনালীগুলিতে আটকে যেতে পারে। তাই ভিজ্যুয়াল চিত্রগুলি ঠিক মতো তৈরি হয় না।, যার ফলে কম দেখতে শুরু করবেন।
রোগ নির্ণয়—-
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যে এই রোগ নির্ণয় করা হয়। ডাক্তারবাবুরা অবশ্য এই রোগটি নির্ণয় নিশ্চিত করার জন্য এইচবি ইলেক্ট্রোফোরসিসটি (Hb electrophoresis) করতেও বলতে পারেন।
কেমন করে এই রোগ ঠেকিয়ে রাখতে হয়?
বাচ্চাদের ৫ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত পেনিসিলিন দিতে হবে।
এটি এসসিডির (SCD) কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত। কোনও দাতা প্রতিস্থাপনের জন্য স্বাস্থ্যকর অস্থি মজ্জা দান করবেন।
শাকসবজি, ফলমূল সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর ডায়েট এই রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
উচ্চ তাপমাত্রা এড়িয়ে চলতে বলেন চিকিৎসকরা, যা এপিসোডিক ব্যথার ঝুঁকি বাড়ায়।
সব শেষে বলা যায় উপসর্গ দেখা মাত্র চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

।।তথ্য :: সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৮ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৮ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৭৫ – সুনয়নী দেবী, স্বশিক্ষিত খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী।
১৯০১ – অ্যানেস্তেশিয়া নিকোলায়েভনা, রুশ সম্রাট নিকোলাস দ্বিতীয় এর সবচেয়ে ছোট মেয়ে।
১৯০৩ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।

১৯০৬ – অনিলকুমার দাস, স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৯০৭ – ফ্রিটজফ শুয়ন, সুইজারল্যান্ডের আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক।

১৯১৮ – অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক ।
১৯৩২ – ডাডলি হের্শবাখ, মার্কিন রসায়নবিদ।
১৯৪১ – আতাউর রহমান, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা ও মঞ্চনাটক নির্দেশক।
১৯৪২ – রজার এবার্ট, আমেরিকান সাংবাদিক, সমালোচক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৪২ – পল ম্যাককার্টনি, ইংরেজ পপ সঙ্গীত তারকা।
১৯৫০ – মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশী সাংবাদিক।
১৯৫২ – ক্যারল কেইন, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৬২ – লিসা র‌্যান্ডল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক।
১৯৮৬ – রিশার গাস্কে, ফরাসি টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৮৭ – (ক) মঈন আলী, পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত একজন ইংরেজ ক্রিকেটার।
(খ) কাইল এ্যাবট, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—

১৫৭৬ – রানা প্রতাপ ও সম্রাট আকবরের মধ্যে হলদিঘাটের যুদ্ধ শুরু হয়।
১৭৭৮ – আমেরিকার বিপ্লব যুদ্ধে ব্রিটিশরা ফিলাডেলফিয়া ত্যাগ করে।
১৮১২ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮১৫ – ইংরেজ ও জার্মানদের মিলিত শক্তির বিরুদ্ধে ওয়াটারলুর যুদ্ধে নেপোলিয়ন চূড়ান্ত পরাজয় বরণ করেন।
১৮৩০ – ফ্রান্স আলজেরিয়া দখল করে।
১৮৮৭ – জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যে রি-ইনস্যুরেন্স চুক্তি সম্পাদিত হয়।
১৯০৮ – ইউনিভার্সিটি অব ফিলিপিনস প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯১৩ – মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘ভারতবর্ষ’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪৪ – সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তির সংগ্রাম শুরু করে।
১৯৫৩ – জেনারেল এম নাগিরকে প্রেসিডেন্ট করে মিসরকে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা।
১৯৬৫ – এয়ার ভাইস মার্শাল এনগুয়েন কাওকির দ. ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী পদে ক্ষমতারোহণ।
১৯৭২ – বঙ্গবন্ধু সুপ্রিমকোর্ট উদ্বোধন করেন।
১৯৭৫ – সৌদি বাদশা ফয়সালকে হত্যার দায়ে তার ভাতিজা প্রিন্স মুসায়েদের প্রকাশ্যের শিরশ্ছেদ।
১৯৭৯ – যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে ভিয়েনায় দ্বিতীয় সল্ট চুক্তি সম্পাদিত হয়।
১৯৯৭ – ক্রিকেটে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে স্ট্যাটাস মর্যাদা লাভ।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯০২ – ইংরেজ ব্যঙ্গকবি স্যামুয়েল বাটলার।
১৯২২ – ইয়াকোবুস কাপ্টাইন, ওলন্দাজ জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৯২৮ – রুয়াল আমুনসেন, নরওয়েজিয়ান পাইলট এবং এক্সপ্লোরার।
১৯৩৬ – মাক্সিম গোর্কি, বিখ্যাত রুশ সাহিত্যিক।
১৯৪৬ – খান বাহাদুর আবদুল মোমেন, বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের সদস্য, সার্ভে এন্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনের অফিসার।

১৯৫৩ – স্যার আবদুল হালিম গজনভি, বাঙালি রাজনীতিবিদ, শিল্পপতি।
১৯৫৯ – ইথেল ব্যারিমোর, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯৭৮ – রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী জাহেদুর রহিম।
১৯৮০ – গোপালদাস মজুমদার খ্যাতনামা প্রকাশক।
১৯৮৬ – ফ্রান্সেস স্কট ফিট্‌জেরাল্ড, মার্কিন লেখিকা, সাংবাদিক ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য।
১৯৮৭ – বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক, গীতিকার,সঙ্গীতকার,গল্পকার,ঔপন্যাসিক অভিনেতা হীরেন বসু।
২০০২ – নীলিমা ইব্রাহিম, বাঙালি শিক্ষাবিদ।
২০০৫ – মুশতাক আলী, ভারতীয় ক্রিকেটার।
২০০৯ – আলী আকবর খাঁ, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী।
২০১০ – হোসে সারামাগো, পর্তুগীজ কথাসাহিত্যিক।
২০২১ – ভারতের প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ক্রীড়াবিদ মিলখা সিং।
২০২৩ – স্টকটন রাশ; ওশানগেটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা; টাইটান নিমজ্জনে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস কি, কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব সম্পর্কে জানুন।।।।।।

আজ বিশ্ব মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস। দিবসটির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ববাসীর চোখের সামনে মরুকরণ সম্পর্কে তুলে ধরা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা। মরুকরণ এবং খরা মোকাবেলা করার বিশ্ব দিবস হল একটি জাতিসংঘের পালন যা প্রতি বছর ১৭ জুন পালিত হয়। এর উদ্দেশ্য হল মরুকরণ এবং খরার উপস্থিতি সম্বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, মরুকরণ প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলি হাইলাইট করা এবং খরা থেকে পুনরুদ্ধার করা।

প্রতি বছরের বৈশ্বিক উদযাপনের একটি অনন্য, অভিনব জোর রয়েছে যা আগে গড়ে ওঠেনি। ১৯৭৫ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের পক্ষ থেকে খরা ও মরুকরণের প্রতি সোচ্চার হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৯৫ সাল থেকে ১৭ জুন বিশ্ব মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হচ্ছে। এই দিনটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের রেজোলিউশন A/RES/৪৯/১১৫ দ্বারা ৩০ জানুয়ারী, ১৯৯৫ তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল, যেদিন মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জাতিসংঘ কনভেনশনের খসড়া তৈরি করা হয়েছিল।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা ঘোষণা করে যে “আমরা গ্রহটিকে অবক্ষয় থেকে রক্ষা করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই ব্যবহার ও উৎপাদন, টেকসইভাবে এর প্রাকৃতিক সম্পদ পরিচালনা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া, যাতে এটি বর্তমানের চাহিদাগুলিকে সমর্থন করতে পারে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের”. বিশেষভাবে, SDG লক্ষ্য ১৫ : ল্যান্ড অন লাইফ ভূমির অবক্ষয় বন্ধ করতে এবং বিপরীত করার জন্য জাতিসংঘ এবং SDG স্বাক্ষরকারী দেশগুলির সংকল্পকে বলে।

মরুকরণ মোকাবেলায় জাতিসংঘের কনভেনশন (UNCCD)
মরুকরণ এবং খরার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, ১৯৯৪ সালে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন টু কমব্যাট মরুকরণ (UNCCD) স্থাপিত হয়েছিল। এটি একমাত্র আইনিভাবে বাধ্যতামূলক আন্তর্জাতিক চুক্তি যা পরিবেশ এবং উন্নয়নকে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করে। ইউএনসিসিডির লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী কর্মকাণ্ডকে একত্রিত করা এবং মরুকরণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং খরার প্রভাব কমানোর জন্য জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা তৈরিতে দেশগুলিকে সহায়তা করে। তবে, জাতিসংঘ এ দিবসকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালনের আহ্বান জানালেও দুঃখজনকভাবে দেশে দিবসটি ততটা গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয় না। ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রেও নেই তেমন উদ্যোগ।

আজকের পৃথিবীতে পরিবেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মরুকরণ। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যমতে, পৃথিবীর প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ বেঁচে থাকার জন্য ক্ষয়িষ্ণু ভূমির ওপর নির্ভরশীল। আর পৃথিবীর অতিদরিদ্রদের ৪২ ভাগই বাস করে ক্ষয়ে যাওয়া এলাকায়, যারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। পৃথিবী প্রতিনিয়ত তার রূপ পাল্টাচ্ছে। আর পৃথিবীবাসীর জন্য অশনি সংকেতস্বরূপ সিডর, সুনামি, ভূমিকম্প, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যাসহ বিভিন্ন রকমের রোগবালাই দেখা দিচ্ছে দুর্যোগ আকারে। এর ফলে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ, ক্ষতির মুখে পড়ছে মাঠ-ফসল; বাড়ছে জনসংখ্যা, বাড়ছে খাদ্যসংকট। তবে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে জলবায়ুর কুপ্রভাবে বিশ্বে মরুকরণ একটি বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা যদি এভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন আমাদের ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য; একই সঙ্গে উজাড় হচ্ছে গাছপালা ও বন-জঙ্গল। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো, আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন যেমন আমাদের ফসলি জমি কমছে, তেমনি খরায় উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এ অবস্থায় পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হওয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে।মরুকরণ সমস্যাটি বিশাল এক ক্ষতিকর ভৌগোলিক পরিবর্তনের নাম। এজন্য এখনই প্রয়োজন মরুকরণ বিস্তার রোধকল্পে সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

জলবায়ু পরিবর্তনের মাত্রা যদি এভাবে বেড়ে যায়, তাহলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের। এতে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা, সুপেয় জল ও প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি তাদের অধিকার, গৃহায়ন ও অন্যান্য অবকাঠামোগত সুবিধা হুমকির মুখে পড়বে। ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি উপসাহারীয় আফ্রিকায় খরার কারণে প্রায় ৩০ লক্ষ লোকের মৃত্যু ঘটে। সুতরাং মরুকরণ সমস্যাটি বিশাল এক ক্ষতিকর ভৌগোলিক পরিবর্তনের নাম। মরুময়তা ঠেকাতে অধিক পরিমাণে গাছ লাগানোর কথা বলা হয়। যদিও আদতে গাছ আপনারই উপকার করবে। গাছের ফল যেমন আপনি প্রজন্মান্তরে খেতে পারেন। আন্তর্জাতিকভাবে যত পরিকল্পনাই নেওয়া হোক ব্যক্তিগতভাবে তার বাস্তবায়ন না করলে তা পরিকল্পনায়ই থেকে যাবে। বিশেষ করে প্রত্যেকে পরিবেশের প্রতি সচেতন হয়ে প্রত্যেকটি কাজ পরিবেশসম্মতভাবে করলে তা যেমন ব্যক্তির লাভ, তেমনি পরিবেশেরই লাভ। মানুষ যখনই পরিবেশের সঙ্গে নির্দয় আচরণ করে তখনই পরিবেশ তার প্রতিশোধ নেয়। সিডর, আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী আমরা। নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার চিত্রও দেখা যায়। এমনকি নেপালের মতো ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প হওয়াও হয়তো অসম্ভব নয়।

কিন্তু যত দিন যাচ্ছে আমাদের যেনো কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।বিশ্ব মরুকরণ ও খরা প্রতিরোধের অঙ্গীকার না করে নির্বিচারে গাছপালা নিধন করে চলেছি। যার ফলসরুপ দেখা দিচ্ছে ভূমিক্ষয়, বৃষ্টি হীনতা, ও নানান প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আর এর ফল ভুক্তে হচ্ছে অমদেরকেই।
বাড়ির পরিবেশ ঠিক রাখতে আমরা এসি লাগিয়ে আরাম করছি। কাজের গতি বাড়াচ্ছি। শান্তির ঘুমে স্বপ্ন সুন্দর হয়ে উঠছে। আমরা পৃথিবীর কথা ভাবছি না। শহর বৃদ্ধি পাচ্ছে। গড়ে উঠছে সভ্যতার বিশ্বায়ন আর ঠিক তখনই ধ্বংস হচ্ছে সবুজ। গাছের থেকে বড় বন্ধু এই পৃথিবীতে আর তেমন নেই।

জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন আমাদের ফসলি জমি কমে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য; একই সঙ্গে উজাড় হচ্ছে গাছপালা ও বন-জঙ্গল। তার চেয়েও বড় বিষয় হলো, আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন যেমন আমাদের ফসলি জমি কমছে, তেমনি খরায় উর্বরতা হারাচ্ছে জমি। এ অবস্থায় পরিবেশের প্রতি মনোযোগী হওয়া আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এখন ই যদি সচেতন না হই আমরা তা হলে আগামী দিনে নেমে আসবে আরো প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আগামী প্রজন্ম সম্মুখীন হবে অস্তিত্তের সংকটে। তাই আসুন এই বিশেষ দিনে আমরা সকলে শপথ নেই প্রকৃতিকে রক্ষার।

বার্ষিক থিম—-

২০২৩ – তার জমি। তার অধিকার.
২০২২ – একসাথে খরা থেকে উঠে আসা
২০২১ – পুনরুদ্ধার, জমি এবং পুনরুদ্ধার। আমরা সুস্থ জমি দিয়ে আরও ভালভাবে গড়ে তুলি
২০২০ – খাদ্য। খাওয়ান। ফাইবার – খরচ এবং জমির মধ্যে সংযোগ
২০১৯ – আসুন ভবিষ্যত টি ফার্টস বাড়াই)
২০১৮ – জমির প্রকৃত মূল্য আছে। এতে বিনিয়োগ করুন
২০১৭ – ভূমি ক্ষয় এবং অভিবাসনের মধ্যে লিঙ্ক (সিরিয়ার কৃষি ব্যবস্থার পরিবেশগত কারণে ব্যর্থতার পর সিরিয়ার ব্যাপক দেশত্যাগের আলোকে) #2017WDCD
২০১৬ – পৃথিবী রক্ষা করুন। জমি পুনরুদ্ধার করুন। মানুষ জড়িত.
২০১৫ – টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন। – “ফ্রি লাঞ্চ বলে কিছু নেই। সুস্থ মাটিতে বিনিয়োগ করুন”
২০০৯ – জমি এবং শক্তি সংরক্ষণ = আমাদের সাধারণ ভবিষ্যত সুরক্ষিত
২০০৮ – টেকসই কৃষির জন্য ভূমি ক্ষয় মোকাবিলা
২০০৭ – মরুকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন – একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ
২০০৬ – মরুভূমির সৌন্দর্য – মরুকরণের চ্যালেঞ্জ
২০০৫ – নারী ও মরুকরণ
২০০৪ – মরুকরণের সামাজিক মাত্রা: মাইগ্রেশন এবং দারিদ্র
২০০৩ – মরুভূমি এবং মরুকরণের আন্তর্জাতিক বছর (IYDD)
২০০২ – জমির অবক্ষয়

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৭ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৭ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ
গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
দিবস—–

(ক)  আইসল্যান্ড এর জাতীয় দিবস।
(খ) বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – অ্যালেক হারউড, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯০৪ – রাফ বেলামি, মার্কিন অভিনেতা।
১৯২০ – সেতসুকো হারা, জাপানি অভিনেত্রী।
১৯২৪ – অধ্যাপক অম্লান দত্ত, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ চিন্তাবিদ।
১৯২৯ – তিগ্রেন পেত্রোসিয়ান, আর্মেনিয়ান দাবা খেলোয়াড়।

১৯৩০ – (ক)  অনুপ কুমার, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।
(খ) ব্রায়ান স্ট্যাথাম, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯৪০ – জর্জ অ্যাকারলফ, মার্কিন অর্থনীতিবিদ।
১৯৪২ – মোহাম্মেদ এল বারাদেই, মিশরের একজন উপরাষ্ট্রপতি এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর ডিরেক্টর জেনারেল।
১৯৪৫ – টমি ফ্র্যাংক্‌স, মার্কিন সেনাপতি।
১৯৬৪ – স্টিভ রোডস, সাবেক ইংলিশ ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৭৩ – লিয়েন্ডার পেজ, ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৮০ – ভেনাস উইলিয়ামস, আমেরিকান পেশাদার মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৮১ – শেন ওয়াটসন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৮১ – অমৃতা রাও, একজন মডেল এবং হিন্দী চলচ্চিত্রের নায়িকা।
১৯৮৫ – মার্কোস বাগদাতিস, সাইপ্রিয় পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৮৭ – কেন্ড্রিক লামার, মার্কিন র‍্যাপার এবং গীতিকার।
১৯৮৮ – স্টেফানি রাইস, অস্ট্রেলিয়ান সাঁতারু।
১৯৯০ – জর্ডান হেন্ডারসন, ইংলিশ ফুটবলার।
১৯৯৫ – ক্লেমোঁ লংলে, ফরাসি ফুটবলার।
১৯৯৭ – কেজে অপা, নিউজিল্যান্ডের একজন অভিনেতা।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৬৭ – স্কটিশ বিদ্রোহীদের হাতে স্কটরানী ম্যারি বন্দী।
১৫৭৬ – হল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী আন্দোলনের নেতা উইলিয়াম সিলেন্ডি স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
১৫৭৯ – স্যার ফ্রান্সিস ড্রেক নিউ আলবিত্তনে কর্তৃক ইংল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব ঘোষণা।
১৬৩১ – মুমতাজ মহল, মোগল সম্রাট শাহজাহান এর স্ত্রী এর মৃত্যু। মুমতাজ মহলের স্মরণে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করান ।
১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজ দখল থেকে কলকাতা পুনরুদ্ধারে অভিযান চালান।
১৭৭৫ – বাংকার হিলে আমেরিকার প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু।
১৮৮৫ – নিউইয়র্ক বন্দরে স্ট্যাচু অব লিবার্টি দাঁড় করানো হয়।
১৯০৫ – লন্ডনে টেমস নদীর ওপর বাষ্পীয় নৌপরিবহন চলাচল শুরু হয়।
১৯২৫ – জেনেভায় জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৪০ – সোভিয়েত ইউনিয়ন লাতভিয়া দখল করে নিয়েছিল।
১৯৪৩ – আমেরিকার রাজনীতিবিদ নিউট গিংগ্রিট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের একজন মনোনয়ন পদপ্রার্থী।
১৯৪৪ – আইসল্যান্ডের জনগণ ডেনমার্ক থেকে পুরোপুরি স্বাধীনতা লাভ করে এবং প্রতি বছর এই দিনটিকে তারা জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করে।
১৯৫৫ – পল্টন ময়দানের জনসভায় মওলানা ভাসানী কর্তৃক পাকিস্তানকে আসসালামু আলাইকুম জ্ঞাপন।
১৯৬৭ – চীন প্রথম হাইড্রোজেন বোমা তৈরী করে।
১৯৯১ – দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টে গৃহীত আইনের বলে বর্ণবৈষম্যের অবসান ঘটে।
১৯৯৬ – দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৯৯ – কিংবদন্তি নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থাবো এমবেকির কাছে দ. আফ্রিকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৩১ – মুমতাজ মহল, মোগল সম্রাট শাহজাহান এর স্ত্রী। মুমতাজ মহলের স্মরণে শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন।

১৬৭৪ – জীজা বাঈ, মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শিবাজির মাতা।

১৮৩৯ – লর্ড উইলিয়াম বেন্টিংক, ব্রিটিশ সামরিক কর্মকর্তা ও প্রশাসক।

১৮৫৮ – লক্ষ্মী বাঈ, ঝাঁসির রাণী ও ১৮৫৭ সালের ভারতীয় বিদ্রোহের পথিকৃৎ।

১৯২৮ – সমাজসেবক, সংস্কারক, সাংবাদিক, কবি ও প্রাবল্ধিক উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস।

১৯৩২ – স্বাধীনতা সংগ্রামী অনিলকুমার দাস।
১৯৪০ – আর্থার হার্ডেন, ইংরেজ প্রাণরসায়নবিদ। (জ. ১৮৬৫)
১৯৬০ – ফরাসি কবি পিয়ের রভের্দি।
১৯৭৬ – হাবীবুর রহমান, বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯৭৯ – হুবার্ট অ্যাশটন, ইংলিশ ক্রিকেটার এবং রাজনীতিবিদ।
১৯৮৫ – জর্জিয়া হেল, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
১৯৯৬ – টমাস স্যামুয়েল কুন, মার্কিন বুদ্ধিজীবী।

২০০১ – ডোনাল্ড জেমস ক্র্যাম, মার্কিন রসায়নবিদ।
২০০৬ – আনোয়ার পারভেজ, বাংলাদেশী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতজ্ঞ।
২০০৯ – গাজীউল হক, বাংলাদেশী লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভাষাসৈনিক।
২০১২ – রডনি কিঙ, আমেরিকান পুলিশ বর্বরতার শিকার।
২০১২ – ফৌজিয়া ওয়াহাব, পাকিস্তানি অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ।
২০১৩ – আতিকুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশী নাট্যকার ও প্রযোজক।
২০১৯ – মুহাম্মাদ মুরসি, মিশরীয় প্রকৌশলী, শিক্ষায়তনিক ও রাজনীতিক, এবং মিশরের ৫ম রাষ্ট্রপতি।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৬ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৬ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭২৩ – অ্যাডাম স্মিথ, স্কটিশ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ।

১৭৩৩ – বৃটেনের বিখ্যাত রসায়নবিদ ও পদার্থ বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিষ্টলি।
১৮৮২ – মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, তেহরানে জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইরানি রাজনীতিবিদ।
১৮৮৮ – আলেক্সান্দ্র্‌ আলেক্সান্দ্রোভিচ ফ্রিদমান, রুশ গণিতজ্ঞ, বিশ্বতত্ত্ববিদ এবং পদার্থবিজ্ঞানী।
১৮৯০ – স্ট্যান লরেল, ইংরেজ কৌতুকাভিনেতা, চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯০২ – বারবারা ম্যাকলিন্টক, নোবেল বিজয়ী মার্কিন জীববিজ্ঞানী।

১৯০৬ – অ্যালেন ফেয়ারফ্যাক্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।
১৯০৭ – জ্যাক অ্যালবার্টসন, আমেরিকান অভিনেতা।
১৯১৫ – জন টুকি, মার্কিন পরিসংখ্যানবিদ।

১৯২০ – হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বাংলার খ্যাতিমান কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী,সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও প্রযোজক।
১৯২৬ – এফ্রিয়ান রিস মন্ট, গুয়েতেমালা এন জেনারেল এবং রাজনীতিবিদ।
১৯২৭ – টম গ্রেভেনি, ইংলিশ ক্রিকেটার এবং স্পোর্টসকাস্টার।
১৯৩৭ – এরিখ সেগাল, আমেরিকান সাহিত্যিক, চিত্রনাট্যকার ও অধ্যাপক।
১৯৪৫ – বিকাশচন্দ্র সিংহ, ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯৫০ – মিঠুন চক্রবর্তী, ভারতের চলচ্চিত্র জগতে খ্যাতিমান বাঙালি অভিনেতা, সমাজ সংগঠক ও উদ্যোক্তা।
১৯৫১ – রবার্তো দুরান, সাবেক পানামিয় পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা।
১৯৬১ – রবি কার, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
১৯৬৭ – ইয়ুর্গেন ক্লপ, জার্মান ফুটবল কোচ এবং সাবেক ফুটবল খেলোয়াড়।
১৯৮০ – জোয় ইয়ুং, হংকংয়ের একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী।
১৯৮৬ – ফের্নান্দো মুসলেরা, আর্জেন্টিনায় জন্মগ্রহণকারী উরুগুয়ের একজন পেশাদার ফুটবলার।
১৯৯৫ – জোসেফ স্কুলিং, বিশিষ্ট সিঙ্গাপুরী সাঁতারু।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৫৬ – নবাব সিরাজউদ্দৌলার কাশিম বাজার কুঠি দখল।
১৭৭৯ – দুর্নীতির অভিযোগে ঘানার প্রাক্তন সামরিক শাসক জেনারেল অচিয়ামকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান।
১৭৭৯ – স্পেন ফ্রান্সের সঙ্গে মিলিত হয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
১৮১৯ – পশ্চিম ভারতের কচ্ছ জনপদে সপ্তাহব্যাপী ভূমিকম্প প্রবাহ শুরু হয়। প্রায় সাতবার ভূমিকম্পে সিন্দ্রিনগরসহ বহু স্থান সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে যায়।
১৮৯৪ – ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৩ – ফোর্ড মোটর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৩ – জার্মানীর সাধারণ নির্বাচনে সমাজতান্ত্রিক পার্টি জয় লাভ করে ।
১৯২০ – লন্ডনে লীগ অব নেশন কাউন্সিলের প্রথম জনসভা।
১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন বিমান বাহিনী জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুকুলা শহরে হামলা শুরু করে।
১৯৫৮ – হাঙ্গেরীর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরে নগিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর।
১৯৬৩ – রাশিয়া থেকে বিশ্বের প্রথম নারী নভোচারী ভেলেনটিনা তেরেসকোভামহাকাশ পাড়ি দেয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
১৯৭২ – নিউ ইয়র্কে জাজ সংগীতের জাদুঘর প্রথম দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
১৯৭৫ – বাংলাদেশে এক নায়ক বাকশাল সরকার কর্তৃক সংবাদপত্র ব্যবস্থাপনা আদেশ জারি করা হয় এবং চারটি দৈনিক পত্রিকা ও ১২৪ টি সাময়িকী ব্যতীত সকল পত্র পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।
১৯৭৬ – দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ দাঙ্গায় অনেক হতাহত হয়।
১৯৭৭ –  লিওনিদ ব্রেজনেভ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট হন।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—
১৮৬৯ – অস্ট্রেলীয় আবিষ্কারক চার্লস স্টুর্স্ট।
১৮৬১ – হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও সমাজসেবক ।
১৮৭৮ – ক্রফোর্ড উইলিয়ামসন লং, মার্কিন শল্যচিকিৎসক ও ওষুধবিজ্ঞানী।
১৯২৫ – দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, বাঙালি আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং রাজনীতিবিদ।
১৯৪৪ – আচার্য স্যার প্রফুল্ল চন্দ্র রায় একজন প্রখ্যাত বাঙালি রসায়ন বিজ্ঞানী।
১৯৫৩ – ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী মার্গারেট বন্ডফিল্ড।
১৯৫৮ – ইমরে নাগি, হাঙ্গেরির বিশিষ্ট সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিবিদ।
১৯৭৭ – ভের্নার ফন ব্রাউন, বিখ্যাত জার্মান-মার্কিন প্রকৌশলী ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।
১৯৭৯ – নিকোলাস রে, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৯৩ – লিন্ডসে হ্যাসেট, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।
২০১২ – সুজান টাইরেল, মার্কিন অভিনেত্রী।
২০১৩ – খোন্দকার আশরাফ হোসেন, বাংলাদেশের একজন কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।
২০১৫ – চার্লস কোরিয়া, ভারতীয় স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ।
২০১৭ – হেলমুট কোল, জার্মানির বিশিষ্ট রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ ও জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর।
২০২১ – স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি মঞ্চাভিনেত্রী।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৫ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।।

আজ ১৫ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব বায়ু দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৭৮ – মারগারেট অ্যাবট মার্কিন গল্ফ খেলোয়াড়, আমেরিকার প্রথম অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ান।

১৮৮৪ – তারকনাথ দাস, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা এবং একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বুদ্ধিজীবী।
১৮৯৯ – দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ভারতীয় ভাস্কর,চিত্রশিল্পী এবং ললিত কলা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ।
১৯১৫ – নোবেলজয়ী (১৯৫৪) মার্কিন চিকিৎসক টমাস ওয়েলার।
১৯১৬ – নোবেলজয়ী (১৯৭৮) মার্কিন অর্থনীতিবিদ হার্বটি আলেকজান্ডার।
১৯৩৩ – কাজী মুতাসিম বিল্লাহ, বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।
১৯৩৭ – লেখক শামসুজ্জামান খান।
১৯৩৮ – বিদিত লাল দাস, বাংলাদেশী বাউল গায়ক ও সুরকার।
১৯৫২ – শাবানা, বাংলাদেশি অভিনেত্রী।
১৯৭০- বাংলাদেশের টেলিভিশন জগতের একসময়ের দারুণ জনপ্রিয় অভিনেতা লিটু আনাম।
১৯৮২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম খেলোয়াড়।

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১২১৫ – ইংল্যান্ডের রাজা জন ব্যারনদের চাপে ম্যাগনা কার্টা ( অধিকার সনদে) স্বাক্ষর করেন ।
১৭০৮ – বৃটিশ শাসন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আন্দোলনরত স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতাকামীদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হয়।
১৭৫২ – আমেরিকার বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ির সাহায্যে বিদ্যুতের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন।
১৭৫৯ – আওরঙ্গজেব আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৮০৮ – জোসেফ বোনাপার্ট স্পেনের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।
১৮৩৬ – যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাস ২৫তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৮৪৮ – জার্মানীর চ্যান্সেলর বিসমার্ক বিখ্যাত ও ঐতিহাসিক বার্লিন শহরকে রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন।
১৮৫৪ – কলকাতায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উদ্যোগে প্রেসিডেন্সি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৮৫৫ – ব্রিটেনে সংবাদপত্রের উপর থেকে কর তুলে দেওয়া হয়।
১৮৯৬ – জাপানে ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে ২৭ হাজার নিহত।
১৯০৪ – নিউইয়র্কে জাহাজ ডুবে ১২ হাজার পর্যটকের মৃত্যু।
১৯০৮ – কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ চালু হয়।
১৯৪১ – নাৎসি বাহিনীর হাতে প্যারির পতন ঘটে।
১৯৬০ – বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।
১৯৭৭ – দীর্ঘ ৪০ বছর পর স্পেনে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭৮ – জর্ডানের বাদশা হোসেন আমেরিকান লিসা হালাবিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তিনি নুর নাম গ্রহণ করেন। তখন থেকেই তিনি রানি নুর হিসেবে পরিচিত।
১৯৭৯ – পরমাণু অস্ত্র সীমিতকরণ সংক্রান্ত স্ট্রাটেজিক আর্মস্‌ লিমিটেশন টকস্‌ সংক্ষেপে “সল্ট-দুই” চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৮২ – রংপুর, যশোর ও কুমিল্লায় হাইকোর্ট স্থাপন।
১৯৯৩ – বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যায়।
১৯৯৪ – ইসরায়েল এবং ভ্যাটিকান সিটির মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩৮৯ – প্রথম মুরাদ, উসমানীয় সুলতান।
১৮৪৯ – জেমস কে. পোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি।

১৯৭০ – রবার্ট মরিসন ম্যাকাইভার, একজন স্কটীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী।
১৯৭১ – ওয়েন্ডেল মেরেডিথ স্ট্যানলি ১৯৪৬ সালে নোবেলজয়ী মার্কিন রসায়নবিদ এবং ভাইরাসবিদ।
১৯৮৬ – ভারতে বিপ্লবী সমাজতন্ত্রী দলের (R.S.P.) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য তারাপদ লাহিড়ী।

১৯৮৮ – রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক এবং সমাজ কর্মী।
১৯৯১ – আর্থার লিউইস, অর্থনীতিবিদ।
১৯৯৫ – জন ভিনসেন্ট আটানসফ, বুলগেরীয় বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন পদার্থবিদ।
২০০৯ – অমলেন্দু চক্রবর্তী, প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার এবং প্রাবন্ধিক।
২০১৩ – কেনেথ জি উইলসন, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী।
২০১৪ – রেজাউল বারী ডিনা, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
২০২০ – বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, রাজনীতিবিদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব বায়ু দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।।।।

বিশ্ব বায়ু দিবস প্রতি বছর ১৫ জুন পালিত হয় বায়ু শক্তির তাৎপর্য এবং শক্তির একটি বিশুদ্ধতম রূপ হিসাবে এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করার জন্য। বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের পিছনে অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হল বায়ু শক্তি সংগ্রহের সুবিধা সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত করা। ক্ষতিকারক গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিস্থিতির উন্নতি।

বায়ু শক্তির ব্যবহার টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের অনেক উপায়ে সাহায্য করে।
বিশ্ব বায়ু দিবসে বায়ু শক্তির ইতিবাচক পরিবেশগত প্রভাব তুলে ধরতে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম, কর্মশালা, সম্মেলন, সেমিনার এবং ইভেন্টের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ব বায়ু দিবসের স্বীকৃতি শুধুমাত্র টেকসই শক্তি অনুশীলনকে উৎসাহিত করে না বরং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
গ্লোবাল উইন্ড ডে বা বিশ্ব বায়ু দিবস হল একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্ট। এটি উইন্ডইউরোপ এবং GWEC (গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল) দ্বারা আয়োজিত হয়। এটি এমন একটি দিন যখন বায়ু শক্তি উদযাপন করা হয়, তথ্যের আদান-প্রদান করা হয় এবং প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং বিশ্বকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে পারে। EWEA এবং GWEC এর সহযোগিতায়, জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলি বিশ্বের অনেক দেশে ইভেন্টের আয়োজন করে। ২০১১ সালে, 4টি মহাদেশে 30টি দেশে ইভেন্ট সংগঠিত হয়েছিল। ইভেন্টগুলির মধ্যে রয়েছে উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, তথ্য প্রচার, শহরগুলিতে প্রদর্শনী টারবাইন স্থাপন, বায়ু কর্মশালা এবং একটি বায়ু কুচকাওয়াজ। গ্লোবাল উইন্ড ডে (১৫ জুন) নিজেই অনেক ঘটনা ঘটেছে, তবে তার আগের দিন এবং সপ্তাহগুলিতেও ঘটনা ঘটেছে। ২০১২ সালে বিশ্বজুড়ে ২৫০টি ইভেন্ট ছিল এবং একটি খুব জনপ্রিয় ফটো প্রতিযোগিতা ছিল।

বিশ্ব বায়ু দিবস পর্যবেক্ষণের ইতিহাস—

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (EWEA) দ্বারা 2007 সালে প্রথম বায়ু দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল কিন্তু এটি শুধুমাত্র 2009 সালে ছিল যে EWEA গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল (GWEC) এর সাথে মিলিত হয়েছিল এবং এটিকে একটি বিশ্বব্যাপী ইভেন্টে পরিণত করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বজুড়ে মানুষকে বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।

বিশ্ব বায়ু দিবস পালন—

ইউরোপিয়ান উইন্ড এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন এবং গ্লোবাল উইন্ড এনার্জি কাউন্সিল প্রতি বছর গ্লোবাল উইন্ড ডে উপলক্ষে বায়ু শক্তির প্রচারে বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজন করে। অনেক জাতীয় বায়ু শক্তি সমিতি এবং বায়ু শক্তি উৎপাদনের সাথে জড়িত কোম্পানিগুলিও তাদের সমস্ত দেশে ইভেন্ট করে। তথ্য প্রচার, উপকূলীয় এবং উপকূলীয় বায়ু খামার পরিদর্শন, শহরগুলিতে টারবাইন স্থাপনের প্রদর্শনী, বায়ু কর্মশালা এবং বায়ু প্যারেড এই দিনে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কিছু জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। অন্যান্য মজার ক্রিয়াকলাপ যেমন উইন্ড ফার্ম ওপেন ডে, ওয়ার্কশপ, রেগাটাস, ফটো প্রদর্শনী, অঙ্কন প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতা ইত্যাদিও বিশ্ব বায়ু দিবস উদযাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গঠন করে।

বিশ্ব বায়ু দিবসের তাৎপর্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস হল বায়ু শক্তি, এর শক্তি এবং এটি ধারণ করতে পারে এমন সমস্ত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উদযাপন করার একটি দিন। এটি মানুষকে, বিশেষ করে শিশুদের, বায়ু শক্তির গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষিত করার একটি দিন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকট গভীর হওয়ার সাথে সাথে এবং জলবায়ুর প্রতি রাজনৈতিক মনোযোগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে বৈশ্বিক বায়ু দিবস পালন করা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। বায়ু শক্তির সঠিক ব্যবহার অর্থনীতিকে ডিকার্বনাইজ করতে সাহায্য করতে পারে এবং চাকরি ও প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এবং তাই এই দিনে আরও বেশি সংখ্যক কোম্পানিকে তাদের ব্যবসায়কে শক্তি দিতে পরিষ্কার, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী বায়ু শক্তির দিকে যেতে উৎসাহিত করা হয়।

বায়ু শক্তি সম্পর্কে আকর্ষণীয় তথ্য—

বিশ্ব বায়ু দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে, আসুন বায়ু শক্তি সম্পর্কে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জেনে নিই:
বায়ু শক্তি সবচেয়ে কার্যকরী এবং পরিবেশ বান্ধব শক্তির উত্সগুলির মধ্যে একটি।
২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে উইন্ডমিল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এটি শুধুমাত্র ১৯৪০ এর দশকে প্রথম আধুনিক বায়ু টারবাইন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্মন্টে নির্মিত হয়েছিল।
বায়ু শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ টি রাজ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ২০% এরও বেশি সরবরাহ করে।
সবচেয়ে বড় উইন্ড টারবাইন যা ২০ তলা লম্বা এবং একটি ফুটবল মাঠের দৈর্ঘ্যের ব্লেড যুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইতে অবস্থিত।
বায়ু শক্তির সবচেয়ে ইনস্টল ক্ষমতা জার্মানিতে।
জার্মান পদার্থবিদ, আলবার্ট বেটজ, বায়ু টারবাইন প্রযুক্তির প্রবর্তক।
উইন্ড টারবাইনগুলি দেখতে সহজ হতে পারে তবে বাস্তবে প্রায় ৮০০০ বিভিন্ন অংশ রয়েছে। যদি বাতাস প্রতি ঘন্টায় ১৩০ কিমি বেগে প্রবাহিত হয়, তাহলে নিরাপত্তা সতর্কতা হিসাবে ব্লেডগুলি বাঁকানো বন্ধ করে দেয়।
বায়ু শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের দ্রুততম বর্ধনশীল মোড।
তাই, প্রতি বছরের মতো আজ ১৫ জুন সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব বায়ু দিবস। বায়ু শক্তিকে ব্যবহারে সবাইকে উৎসাহিত করতেই বিশ্বব্যাপী এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস, জানুন কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।।।।

স্বেচ্ছায় রক্তদান এক মহৎ কাজ। রক্তের অভাব একজন ব্যক্তির জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। রক্তের প্রয়োজনে সময়মতো রক্ত সরবরাহ করা না হলে একজনের জীবনও হারাতে পারে। রক্তের ঘাটতি পূরণ করে রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। এই কারণে মানুষকে রক্তদানের জন্য সচেতন করা হয়, যাতে একজন সুস্থ মানুষ প্রয়োজনে রক্ত দান করতে পারে এবং একটি জীবন বাঁচাতে পারে।

হাসপাতালগুলোতে জীবন-মৃত্যুর যুদ্ধে লিপ্ত মানুষ যাতে নতুন জীবন পায় সেজন্য বেশি বেশি মানুষ রক্তদান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তাই বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশেষ উপলক্ষ্য জীবন বাঁচাতে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। প্রতি বছর ১৪ জুন সারা বিশ্বে দিনটি উদযাপন করা হয়।এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে- ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ’।
আন্তর্জাতিকভাবে এবছর বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া। ২০০৪ সালে দিবসটি প্রথম পালিত হয়। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিতকরণ ও স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উৎসাহ দিতেই বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়ে আসছে দিবসটি।
১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন এবং ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয়েছিল বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ দিবস পালনের জন্য তাগিদ দিয়ে আসছে।
প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়, অথচ এর মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ। এ ছাড়া এখনো বিশ্বের অনেক দেশে মানুষের রক্তের চাহিদা হলে নির্ভর করতে হয় নিজের পরিবারের সদস্য বা নিজের বন্ধুদের রক্তদানের ওপর, আর অনেক দেশে পেশাদারি রক্তদাতা অর্থের বিনিময়ে রক্ত দান করে আসছে রোগীদের।
আমাদের দেশে রক্তের চাহিদার একটা বড় অংশ প্রয়োজন হয় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্যে।একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। থ্যালাসেমিয়া ছাড়াও রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা, ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। রক্তের এ চাহিদা পূরণে নতুন করে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার কোনও বিকল্প নেই। সাধারণত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনও শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ-সক্ষম ব্যক্তি প্রতি চার মাস পরপর রক্ত দিতে পারেন। তবে সব রক্ত ​​সবাইকে দেওয়া যায় না। যদি কারো A+ রক্তের গ্রুপ থাকে, তাহলে এই ধরনের রক্ত ​​A+ এবং AB+ কে দেওয়া যেতে পারে। A- ব্লাড গ্রুপের মানুষের রক্ত ​​AB-, A-, A+-তে স্থানান্তর করা যেতে পারে। B+ ব্যক্তি B+ এবং AB+ রক্ত ​​দিতে পারেন। যদি কারো রক্তের গ্রুপ O+ হয়, তাহলে সে তার রক্ত ​​A+, B+, AB+, O+ কে দিতে পারে। AB+ রক্তের গ্রুপের একজন ব্যক্তি AB+ কে রক্ত ​​দিতে পারেন।চিকিৎসকদের মতে, যে কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক, নারী-পুরুষ উভয়েই রক্ত ​​দিতে পারেন। পুরুষরা প্রতি তিন মাসে একবার নিরাপদে রক্ত ​​দান করতে পারে এবং মহিলারা প্রতি চার মাসে একবার রক্তদান করতে পারে। রক্তদাতার ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর, ৬৫ বছরের বেশি বয়সীরা রক্ত ​​দিতে পারবেন। ওজন ৪৫ কেজির কম হওয়া উচিত নয়।
অথচ বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।
স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস।
তবে ১৪ জুন এই দিনটি উদযাপনের একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার রক্তের গ্রুপ পদ্ধতি আবিষ্কার করেন।এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ ‘এ, বি, ও,এবি’। এই অবদানের জন্য, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান । রক্তদাতা দিবসটি বিজ্ঞানী কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারকে উৎসর্গ করা হয়েছে। তার জন্মদিন ১৪ জুন।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫ : তারিখ

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস প্রতি বছর ১৪ জুন পালিত হয়। এই বছর, ২০২৫, একটি বিশেষ মাইলফলক চিহ্নিত করে – স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের তাদের জীবন রক্ষাকারী অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়ার ২১ তম বার্ষিকী।

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫: থিম

বিশ্ব রক্তদাতা দিবস ২০২৫-এর থিম হল “রক্ত দিন, আশা দিন: একসাথে আমরা জীবন বাঁচাই”। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এই থিমটি প্রকাশ করেছে, যা রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানোর গুরুত্ব এবং একতাবদ্ধভাবে কাজ করার মাধ্যমে সমাজের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলানোর উপর জোর দেয়। PACE Hospitals এই থিমের মাধ্যমে নিয়মিত রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। Netmeds এই থিমটি রক্তদানের মাধ্যমে জীবন পরিবর্তনকারী প্রভাবকে তুলে ধরে। Artemis Hospitals এই থিমটি রক্তদানের গুরুত্ব এবং সমাজের উপর এর প্রভাবকে আরও বেশি করে তুলে ধরেছে।

যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।রক্তদানকে উৎসাহিত করা এবং রক্তদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর রক্তদাতা দিবস উদযাপিত হয়। এই উপলক্ষে সারা বিশ্বে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা হয়, যেন রক্তের অভাবে কোনো রোগীর মৃত্যু না হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

দাক্ষিনাত্য কৃষক হাঙ্গামার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।।।।

সূচনা:- মাড়োয়াড়ী সান্থকর মহাজনদের অত্যাচারে ও নিপীড়নে দাক্ষিনাত্যের কৃষকেরা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে । ১৮৭৫ খ্রীষ্টাব্দে মহারাষ্ট্রের পুনা ও আহমদ নগরের কৃষক দের, নেতৃত্বে যে প্রবল বিদ্রোহ সংগঠিত হয়েছিল তা ডেকানরাষ্ট্র বা দাক্ষিনাত্যর কৃষক বিদ্রোহ নামে পরিচিত । দাক্ষিনাত্যের কৃষকেরা বিদ্রোহ সংগঠনের মূলে কতগুলি কারন বিদ্যমান ।

রাজস্ব বৃদ্ধি —
বাংলায় জমিদারদের সঙ্গে ইংরেজদের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তোর ফলে রাজস্বের পরিমান নির্দিষ্ট হয়ে গিয়েছিল এবং এ রাজস্ব আর বাড়ানো সম্ভব হল না । ফলে ইংরেজ সরকার দাক্ষিনাত্যে অন্য ভাবে রাজস্ব ব্যবস্থা প্রচলন করেন । এই রাজস্ব আদায়ের ভার মোড়লদের উপর ন্যস্ত ছিল । মোড়লরা এই সমস্ত টাকা বেশি পরিমানে আত্মসাৎ করার জন্য কৃষক দের উপর নিষ্ঠুর ভাবে নিপীড়ন চালাত । রাজস্ব মেটাবার জন্য কৃষকরা মহাজনদের কাছে চড়াসুদে জমি বন্দক রাখত । এই চড়াসুদ চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে বাড়তে এমন জায়গায় পৌঁছুত যে কৃষকদের পক্ষে তা শোধ করা সম্ভব হত না । ফলে বন্দকী জমি মহাজনদের দখলে চলে যেত । ফলে কৃষকরা ক্রমশই নিজেদের জমি থেকে নিজেরা উৎখাত হয়ে যেতে থাকে । এর ফলে কৃষকরা মহাজন বা সালুকার দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ।
তুলার উৎপাদন ও বিক্রির অসামজস্য
১৮৬০ খ্রীষ্টাব্দে তুলার দাম বাড়লে তুলা চাষ করে রাজস্বের ঘাটতি কিছুটা মেটানো সম্ভব হয় । এই সুযোগে গ্রামাঞ্চলের সম্পন্ন চাষীরা অধিক লাভের আশায় জমিতে তুলোর চাষ বাড়ান । ১৮৬৭ খ্রীঃ রাজস্বের পরিমান আরো বাড়ে । এদিকে ১৮৭০ খ্রীষ্টাব্দ থেকে বাজারে তুলোর দাম পড়ে যায় । ফলে চাষীদের দুরাবস্থা আরো বেড়ে যায় । এর ফলে সাধারন চাষী থেকে ততাকথিত সম্পন্ন চাষীরাও মহাজনদের কাছ থেকে ঋন নিতে বাধ্য হয় । কৃষকদের এমন দুরবস্থায় সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করে । এই সুযোগে মহাজনরা কৃষক দের জমি দখল করতে থাকে ফলে শোষিত নীপিড়ীত কৃষকরা ক্রমশ বিদ্রোহী হয়ে ওঠে ।
বিদ্রোহের বিবরন ঃ-
কৃষকরা মহাজনদের বিরুদ্ধে কৃষকরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বয়কট আরম্ভ করে , কিন্তু তাতে কোনো লাভ না হওয়ায় তারা কয়েকটি পথ অবলম্বন করে । তাদের সেই বিদ্রোহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়। প্রথমতঃ , এই বিদ্রোহের বিদ্রোহীদের লক্ষ্য ছিল মাহাজনদের ঋণপত্র , দলিল ও হিসেবের যাতাপত্র ধংস করে ফেলা , কারন তারা বুঝেছিল এই সব জিনিসই তাদের জীবনের চরম দূর্দশা দেকে এনে ছিল। দিতীয়তঃ , বিদ্রোহের ব্যাপকতা থাকলেও মহাজন বা সাহুকারদের প্রানহানি খুব কম ছিল। তৃতীয়তঃ , অনেক স্থানে মহাজনদের ঘর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করে দেয় বিদ্রোহীরা । পুনা ও আহামদনগরের প্রায় ৩৩ টি অঞ্চলে এরূপ হিংসাত্মক ঘটে । ক্যাংলিয়া নামে এক কৃষক নেতা এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিল । কৃষকরা তাঁকে ‘গরীবের বন্ধু’ মনে করতেন । চতুর্থতঃ , এই বিদ্রোহে দুর্ধর্ষ নিন্মশ্রেনীর কৃষকরা অংশ গ্রহন করলেও , কিছু সম্পন্ন চাষী এই বিদ্রোহে অংশগ্রহন করায় , এই বিদ্রোহ রক্তক্ষরা সংগ্রামে পরিনত হয়নি । পঞ্চমতঃ, এই বিদ্রোহ কোন ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের রাজনৈতিক আদর্শ দ্বারা প্রত্যক্ষভাবে পরিচালিত হয়নি । মহাজন গোষ্ঠীর শোষনের হাতিয়ার গুলিকে ধবংস করাই ছিল এই বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য ।
ফলাফল ঃ
প্রত্যক্ষভাবে ব্রিটিশ বিরোধী না হলেও দাক্ষিনাত্যের কৃষক বিদ্রোহ ইংরেজদের মনে ভয়ের উদ্রেক করে । তারা বুঝেছিল এইভাবে মহাজন শ্রেনী ধবংস হয়ে গেলে তাদের অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে, যা ভবিষ্যতে তাদের পক্ষে মারাত্মক হতে পারে । ইংরেজরা ক্যাংলিয়াকে গ্রেপ্তার করলে কৃষক দের এই বিদ্রোহ নেতৃত্ব হয়ে পড়ে । ১৮৭৬ খ্রীষ্টাব্দে নিযুক্ত ‘দাক্ষিনাত্য বিদ্রোহ কমিশন’ এর সুপারিশে ১৮৭৯ খ্রীষ্টাব্দে ‘দাক্ষিনাত্যে কৃষক আইন’ পাশ হয় । এই আইনের ফলে কৃষকদের জমি হস্তান্তর ব্যাপারে কিছুটা আইন বিধিবদ্ধ হয় । এছাড়া মহাজনদের সুদের হার ও নিদিষ্ট করা হয় । কৃষকরাও মহাজনদের বিরুদ্ধে ও আদালতের সাহায্য লাভের সুযোগ পায় । ফলে ক্রমশ আন্দোলনে ভাটা পড়ে কিন্তু কৃষক দের অবস্থার বিশেষ কোন উন্নতি সাধন হয় নি ।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ১৪ জুন, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।।।।

আজ ১৪ জুন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

দিবস—–

(ক) বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৬৮ – কার্ল লান্ডষ্টাইনার, ১৯৩০ সালে নোবেলজয়ী অষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক।  .
১৮৭৫ – জার্মান বিজ্ঞানী ও নেপচুনের আবিষ্কর্তা হাইনরিখ লুই দ্য আরেস্ট।

১৮৮০ – সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত, প্রখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা ও গঠনমূলক সেবাকার্য ও পল্লীউন্নয়নের বিভিন্ন পদ্ধতির আবিষ্কারক।
১৯০৩ – আলোন্‌জো চার্চ, মার্কিন গণিতবিদ এবং যুক্তিবিদ।
১৯০৯ – বার্ল আইভস, আমেরিকান অভিনেতা এবং গায়ক।

১৯১৭ – বিনয় ঘোষ, বাঙালি সমাজবিজ্ঞানী, সাহিত্য সমালোচক, সাহিত্যিক, লোকসংস্কৃতি সাধক, চিন্তাবিদ ও গবেষক।
১৯১৬ – ডরোথি ম্যাকগুইয়ার, আমেরিকান অভিনেত্রী।
১৯২৪ – জেমস হোয়াইট ব্ল্যাক, স্কটিশ ডাক্তার এবং ওষুধবিদ।
১৯২৮ – চে গেভারা, আর্জেন্টিনীয় বিপ্লবী।

১৯২৯ – অ্যালান ডেভিডসন, বিখ্যাত ও সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।
১৯৩২ – কবি হাসান হাফিজুর রহমান।

১৯৪৬ – (ক)  ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং ৪৫ তম রাষ্ট্রপতি।

(খ) বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিক কলকাতা পুরসভার সাবেক মেয়র সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
১৯৪৭ – সেলিনা হোসেন, বাংলাদেশী লেখিকা।

১৯৫৫ – কিরণ খের, ভারতীয় মঞ্চ, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেত্রী।
১৯৬৩ – মিজানুর রহমান সাঈদ, বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মুফতি
১৯৬৯ – স্টেফি গ্রাফ, জার্মান মহিলা টেনিস খেলোয়াড়।
১৯৭৭ – বোয়েতা ডিপেনার, দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-
১৮২০ – মোহাম্মদ আলী পাশার নেতৃত্বে মিশরীয় বাহিনী, সুদানে হামলা চালিয়ে দেশটির একটি বড় অংশ দখল করে নেয়।
১৮৩০ – ফরাসি বাহিনী আলজেরিয়ায় অভিযান শুরু করে। তবে ফ্রান্সের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আলজেরিয়ার জনগণ প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল।
১৮৩৯ – কলকাতায় বাংলা পাঠশালার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়।
১৮৩৯ – সংবাদ প্রভাকর বাংলা ভাষার প্রথম দৈনিক সংবাদপত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
১৮৫৫ – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়।
১৯০৭ – নরওয়েতে নারীর ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯২৭ – ব্রিটিশ নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়।
১৯৪৯ – সাবেক সম্রাট বাও দাই’র নেতৃত্বে সায়গলে ভিয়েতনামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৩ – বিশ্বের প্রথম মহিলা নভোচারী ভ্যালেনটিনা তেরেশকোভার মহাশূন্য যাত্রা।
১৯৭৫ – বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন।
১৯৮২ – ফক্‌ল্যান্ডস যুদ্ধ শেষ হয়।
১৯৯১ – ঐতিহাসিক নগরী লেনিনগ্রাদের নতুন নামকরণ পিটার্সবার্গ।
১৯৯৩ – তানসু সিলার তুরস্কের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।
১৯৯৫ – (ক)  আন্তর্জাতিক রক্তদাতা ফেডারেশনের উদ্যোগে প্রথম বিশ্ব রক্তদাতা দিবস পালিত হয়।
(খ) ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা সম্পর্কিত “ব্যাঙ্কিং ন্যায়পাল প্রকল্প” প্রথম চালু করে।
১৯৯৭ – সিলেটের মাগুরছড়া গ্যাস ফিল্ডে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
১৯৯৯ – কসোভোতে প্রথম গণকবরের সন্ধান লাভ। ৮১টি কঙ্কাল উদ্ধার।
২০১৮ – রাশিয়ায় ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়।

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৫৮ – সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবন।
১৮৮৬ – আলেকজান্ডার নিকোলাইভিচ অস্ট্রোফস্কি, রাশিয়ান লেখক।

১৮৮৭ – মেরি কার্পেন্টার, ইংরেজ ভারতপ্রেমিক মহিলা শিক্ষাব্রতী ও সমাজসংস্কারক।
১৯২০ – মাক্স ভেবার, জার্মান সমাজবিজ্ঞানী, দার্শনিক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

১৯২৭ – জেরোম কে জেরোম, ইংরেজ লেখক।
১৯৪৬ – জন বেয়ার্ড, টেলিভিশনের আবিস্কারক।
১৯৮৬ – (ক) খুর্খা লুইস বুরখাস, লাতিন আমেরিকান লেখক।
(খ) হোর্হে লুইস বোর্হেস, আর্জেন্টিনার সাহিত্যিক।

১৯৯১ – পেগি অ্যাশক্রফ্‌ট, ইংরেজ অভিনেত্রী।
১৯৯৫ – ররি গ্যালাগার, আইরিশ ব্লুস অ্যান্ড রক বহু-যন্ত্রবাদক, সঙ্গীত রচয়িতা ও প্রযোজক।
২০০৭ – কার্ট ওয়াল্ডহেইম, অস্ট্রিয়ান কূটনীতিবীদ এবং রক্ষনশীল রাজনীতিবিদ।
২০২০ – (ক)  সাইফুল আজম – বাংলাদেশ, পাকিস্তান, জর্ডান ও ইরাক-এই চারটি দেশের বিমানবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি বৈমানিক ও রাজনীতিবিদ।
(খ) সুশান্ত সিং রাজপুত, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This