শাস্ত্রীয় রীতিনীতি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে ৭০০ বছরের হাটি বাড়ির দুর্গাপুজো আজও হয়ে আসছে পূর্বের মতোই। পরিবার সূত্রে জানা যায় পুজোর বাসনপত্র সাজ সরঞ্জাম সবকিছুই দিয়েছিলেন ডঃ বিধান চন্দ্র রায়, কারণ এই পরিবারের সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সম্পর্ক, আর ডক্টর বিধান চন্দ্র রায়ের দেওয়া সেই সমস্ত বাসনপত্র সাজ সরঞ্জাম আজও বিরাজ করছে হাটিবাড়ির দুর্গা পুজোর মন্ডপে।
হাটিবাড়ির দুর্গাপুজোর পূর্বের রীতি অনুযায়ী দশমীর দিন অদ্ভুতভাবে পুকুর থেকে খামারে উঠে আসে একটি চ্যাং মাছ আর সেটি লাগে পূজার কাজে । প্রচলন আছে যে দেবী দুর্গা কে শিব বলেছিলেন- তোমার বাপের বাড়িতে এসে শুধুমাত্র নিরামিষ খেলাম, অন্য কিছু তো পেলাম না।
তখন দেবী দুর্গা তাকে দিয়েছিলেন একটি জীবন্ত চ্যাং মাছ এবং বলেছিলেন তুমি ফিরে গিয়ে খেও আর সেই প্রচলিত প্রবাদ থেকেই দশমীর দিন সুতো কাটার পরে চ্যাং মাছ দেওয়া হয় শিবকে এবং খাওয়ানো হয় গাঁজাও। সচরাচর এই ধরনের আচার-আচরণ দেখা যায় না দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে শুধুমাত্র হাটি পরিবারের রীতি অনুযায়ী এই ধরনের আনুষ্ঠানিক পুজো হয়ে থাকে বলেই জানা যায় পরিবার সূত্রে।
।।কলমে : আবদুল হাই, বাঁকুড়া।।