Categories
কবিতা

বাল্যসহচর ::: রাণু সরকার।।।

অতীতের ছোট ছোট বাল্যসহচর জমায়েত হয় মনের কুটিরে,
অনেক কিছু পাওয়ার ছিলো, কিন্তু হলো না তা পূরণ।
কাজের তালিকায় কেমন করে তাকে বন্দি করবো ভাগ্যের নদীটির এতো কল্লোল।

কিকরে যে বাতাসে ভেসে এলাম ভাবনাতে নেই, অবশেষে পেলাম নিরাপদ ক্ষীরসমুদ্র, হয়তো আমার জন্য শূন্য রেখেছিলেন জঠর দেশের মধ্যাংশ ক্ষীরসমুদ্র।

যখন পৃথিবীর উজ্জ্বল জ্যোতি চোখে পড়ে তখন আশ্চর্যান্বিত হই- প্রথম দৃষ্টি পড়লো জঠরধারীর দিকে।
বক্ষমাঝে রেখে তৃষিত এ প্রাণ করেছিলো শীতল-
দিনযামিনী অত্যন্ত আকুল আপেক্ষায় কবে মা বলে ডাকবো সে শুনবে।
এই মা ডাকের মনোহারীতা মায়ের কাছে কোন মূল্য হয় না।

ঋণগ্রস্ত মায়ের চোখেমুখে ক্লান্তি তবুও কোনদিন ব্যক্ত করেনি হিয়ার মাঝে ছিলো আবেশ।
কত যে কষ্টে কাটিয়ে ছিলো কত গুলো বছর,
কোনদিন হতে দেয়নি তার ভাগীদার-
হাজার করেছি ছল-অত্যাচার,
অনেক করেছে সংগ্রাম একবারের জন্যও ভাবিনি তার কষ্টের কথা কিন্তু সে জয়ী,
সংযমপরায়ণ ছিলো, ইন্দ্রয়বাসনা গুলোকে জয় করে পরলোকগমন করলেন।

Share This
Categories
কবিতা

শুদ্ধ মনোভাব :: রাণু সরকার।।

শুদ্ধ মনোভাব না থাকলে মান-হুঁশ নামের প্রাণের দিশাহারা হতে হয়,
নিজ সম্বোধনে জ্ঞান,
আত্মা বা পরমাত্মাসম্বন্ধীয় জ্ঞান,

কুটিলতাবর্জিত হলে পবিত্র হৃদয়ের অধিকারী
হওয়া যায়-
এক সময় ধনবান ও ভূসম্পত্তি তদুপরি সজনের
চিত্ত অস্থিরতা তার কাছে হয়ে ওঠে যন্ত্রণাপূর্ণ।
অতিশয় লোলুপতা অভিলাষ ধীরে ধীরে মানসিক যন্ত্রণা হানে-

এই রিপু গুলো বড্ড বিষাক্ত-
ত্যাগ করাটাও ভীষণ কঠিন-

কিন্তু অর্ধচেতন মনে কখন যেন চলে আসে-
তখন কাল্পনিক কামনায় নির্জিত হতে হয়-
ঔ যে- নির্বোধ মন-
তাই পবিত্র হৃদয় ছাড়া বিশ্বচরাচর হয়ে ওঠে অপাংতেয়-মুঠোপরিমাণ ভস্ম-
এই অজ্ঞাতা জ্ঞানের অভাব থেকে সৃষ্ট।

Share This
Categories
কবিতা

প্রতারক : রাণু সরকার।।

বিহগ হয়ে শূণ্যে বিচরণ করে ক্লান্ত হবো তখন মগডালে গিয়ে বসবো,
বিশ্বাসঘাতক এবং ধড়িবাজ ও অনিষ্টকারী- এদের দৃষ্টির বাহিরে থাকতে চাই,

শূন্যে বিচরণ করে কিছুটা হলেও ক্ষত
উপশম হতে পারে-
সংকীর্ণতামুক্ত মানুষের সন্ধানে-
ডানা মেলে দেবো পারি
দেশ থেকে ভিনদেশে।

আঘাতের ফলে দেহের সৃষ্ট কালো দাগ
কে করবে ঘসে পরিষ্কার-
সংকীর্ণ মনের মানুষ দেখে দেখে ক্রমান্বয়ে মানসিক অসুস্থতায় নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছি।

আমি বিহগ হয়ে শূন্যে বিচরণ করতে চাই।

Share This
Categories
কবিতা

কূল : রাণু সরকার।

অত্যন্ত ভাবপ্রবণ প্রবাহিণীর কূল
সেখানে প্রবাহিণী শান্তির সুপ্তি ,
ভিজে মাটির সৌগন্ধের মত্ততায় শব্দহীন।
অন্তরাত্মা চায় ওই পটভূমিতে বর্ধিত হতে।

একটা আশ্রয়স্থল চাওয়ার নিষ্পাপ
উজ্জ্বল রশ্মিরেখা,
থাকবেনা কোন পশ্চাদপসরণ-
থাকবে শুধু কুন্ঠাহীন প্রতিশ্রুতি।
আঘাতে কাঁসরের ক্রন্দনে উষসী
অসংবৃত!

Share This
Categories
কবিতা

সাঁঝবেলা : রাণু সরকার।

রূচিহীনতার ভারে বিষন্ন পিরিতের পাত্র নিয়ে
এসো নিভৃত কানন মাঝারে।
বিলম্ব কেনো,জ্বালাও পিদিম চোখের পাতা
যে- মুদিত।
অর্ক ডুবুডুবু আশ্বিনের সাঁঝবেলায়-

কৃষ্ণবর্ণের বিম্ব আসন্ন কাননে।
আত্মহারা নির্জনের করি প্রত্যাশা।
হাসনুহানার কোমল ঘ্রাণে চপলমতি,
গৈরিক অঙ্গাবরণ আঁচল ছায়ায় করেছো লুকছাপা।

যেন এক তৃপ্তির রাত,
নিখোঁজ কন্ঠস্বর কোন সুরে ডাকি-
যতদূর দৃষ্টি যায় তোমাকেই দেখি।
শুনতে কি পাও বাণীবন্দানা?
শিহরিত বুকের স্পর্শ কী পাও সজল নয়নে।

Share This
Categories
কবিতা

নীল নির্জনে :: লাজু চৌধুরী।।

আমি এখন একা থাকতে চাই।
আমি সত্যি বলছি আমি ভালো নেই…
মাঝা মাঝে মন ও মনের সাথে প্রতারণা করে —-
কংক্রিটের এই শহর আমার সাথে আমার প্রতারণা করছে।

যতটুকু রেখেছি জীবনে —–
যতটুকু তোমাকে দিয়েছি।
বেলা শেষে অন্ধকারে তোমার ছায়ও আমার সাথে প্রতারণা করে।
ভীষন একা থাকতে চাই —–
ভীষণ ডুবে গিয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে।

একটা হ্নদপিন্ড আমার চাই –
ভালোবাসার পোস্ট মোর্ডম করবো।
সিগারেটের নেশায় পুড়ে যাওয়া ঠোঁট…
রাস্তায় পড়ে থাকা শরীরে শার্টের দূর গন্ধ —-”
এমন একজনকে চাই।
না তোমাকে নয়।
তোমার তো হ্নদপিন্ভ নেই।

আমার বুকের বাম পাশটা খালি পড়ে আছে-
সেখানে একটি অসমাপ্ত জীবনের ডাইরি শুধু শুন্যতা —
বুকের ভিতরে পুড়ে শ্বশ্নান ঘাটা হবে —-
একটি অসমাপ্ত জীবন।

একদিন ভালোবাসা হঠাৎ গভীর রাতে আমাকে আচমকা
জড়িয়ে ধরে বলেছিল ভীষণ ভালোবাসি তোমাকে ।
সেই দিন রাতে আমাদের ভালোবাসার পোষ্ট মোর্ডম হয়েছিল ।

আবার তেমনি একদিন সূর্যের শুষে নেওয়া শিশির বিহীন ঘাস আমার ভালোবাসাকে প্রত্যাখ্যান করে ছিলো।

দুঃখ বোধ আর বিষন্নতা ——–
ভুলে থাকা আর ভুলে যাওয়া এক নয় ।
আমি এখন রাত নিয়ে বেঁচে আছি।
দিনের আলো রাতের চেয়েও ভংকর।
আমার সদ্য একটা হ্নদপিন্ড চাই —–
আমি পোষ্ট মোর্ডম করবো
রাতের শহর গুলো এখন রাত জাগা কাব্য —–
পাহাড় সমান যন্ত্রণা গুলো জীবনের গা ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে ——

ত্বীর্থের কাকের মত কাঠ ফাটা রোদ আর—-
তৃঞ্চাত্ব ভোর দুপুরে পুকুরে ঠোট ডুবিয়ে রাখবো না
আমার জীবনের সমস্ত সময়কে মৃত্যু দন্ড দিলাম ।

নীল পাহাড়ের চূড়ায় আমার দুঃখের বসবাস।

আমি পুড়নো স্মৃতিকে পড়িয়ে নিত্য দিনের আহার যূটে।
তাই নীল নির্জনে আছি এখান কোন মন নেই শহর নেই।

Share This
Categories
কবিতা

একা : লাজু চৌধুরী।

জীবন চলার পথে যদি কেউ স্বাধীনতা কেড়ে নিত চায়।নিঃশব্দে নিঃশ্বাস ফেলো। পাশের হাতটা যদি ছেড়ে দেয়, তবে ছেড়ে দাও।
জেনে রাখো……………..
সুখের চেয়ে স্বথী ভালো।আজও আপনার অপেক্ষায়
পাশের সিট ফাঁকা নিয়েই বসে আছি প্রিয়
কবে আসবেন আপনি?
এই কথার গুরুত্বপূর্ণ কমিয়ে দাও।
কারন দিনের শেষে তুমি সম্পূর্ণ একা।

Share This
Categories
কবিতা

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) মীনা দিবস (ভারতীয় উপমহাদেশ)৷

১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর ‘মীনা দিবস’ হিসেবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইস্ট-এশিয়ার দেশগুলোতে উদযাপন করা হয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – রুহুল্লাহ খোমেনী, পশ্চিমা বিশ্বে আয়াতুল্লাহ খোমেনী হিসেবে পরিচিত, ইরানি রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী ও ধর্মীয় নেতা। 

সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাবী খোমেইনী ( ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯০২ – ৩ জুন ১৯৮৯), যিনি পশ্চিমা বিশ্বে আয়াতুল্লাহ খোমেইনী হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন ইরানি রাজনীতিবিদ, বিপ্লবী ও শিয়া মুসলিম ধর্মগুরু। তিনি ছিলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্রী ইরানের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের নেতা যার ফলশ্রুতিতে ইরানের সর্বশেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভী ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ২৫০০ বছরের পুরনো পারসিক রাজতন্ত্রের সমাপ্তি ঘটে। বিপ্লবের পর খোমেইনী ইসলামি প্রজাতন্ত্রের সংবিধান মোতাবেক জাতির সর্বোচ্চ ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ব বহনকারী সর্বোচ্চ নেতার পদে অধিষ্ঠিত হন এবং আমৃত্যু এই দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালের ৪ জুন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।

 

১৯০৭ – সুধীররঞ্জন খাস্তগীর, বঙ্গীয় শিল্পকলার ভারতীয় চিত্রকর।

সুধীর রঞ্জন খাস্তগীর (24 সেপ্টেম্বর 1907 – 6 জুন 1974) ছিলেন বেঙ্গল স্কুল অফ আর্ট এর একজন ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং একজন শিল্প শিক্ষাবিদ।  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নন্দলাল বসুর একজন ছাত্র, সুধীর “ভারতীয় শৈলী” চিত্রকলার জন্য পরিচিত ছিলেন।  তিনি 1929 সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। তিনি ঠাকুর পরিবারের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন এবং তার ক্লাসিক কাজের মধ্যে রয়েছে ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী, নারী এবং গ্রামের জীবনের দৃশ্যের চিত্রকর্ম।  ১৯৩৫ সালে দেরাদুনের দ্য দুন স্কুলে তিনি প্রথম শিল্প শিক্ষক ছিলেন।  তার সৃষ্টির ফসল।

 

১৯৪০ – আরতি সাহা, ভারতীয় সাঁতারু। 

আরতি সাহা (24 সেপ্টেম্বর 1940 – 23 আগস্ট 1994) ছিলেন একজন ভারতীয় দূর-দূরত্বের সাঁতারু।  তিনি 29 সেপ্টেম্বর 1959-এ ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে প্রথম এশীয় মহিলা হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন যখন তিনি উনিশ বছর বয়সে ছিলেন।  1960 সালে, তিনি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত প্রথম ভারতীয় ক্রীড়াবিদ হন।

 

১৯৫০ – মহিন্দর অমরনাথ, ভারতের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার এবং ক্রিকেট বিশ্লেষক।

১৯৫৮ – মহুয়া রায়চৌধুরী, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।

১৯৫৯ – মিশুক মুনীর, বাংলাদেশ, টেলিভিশন সাংবাদিকতার রূপকার,বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক।

১৮৬১ – ভিকাজী রুস্তম কামা, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও বিপ্লবী আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

 

১৮৬৯ – ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঠাকুর পরিবারের আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী ও লেখক।

ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর বৃটিশ ভারতের অধুনা কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। পিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেজোদাদা হেমেন্দ্রনাথ এবং মাতা নীপময়ী দেবী। পড়াশোনা সংস্কৃত কলেজে এবং প্রেসিডেন্সি কলেজে। সংস্কৃত ভাষায় বিশেষ ব্যুৎপত্তির জন্য তিনি তত্ত্বনিধি উপাধি লাভ করেন। তিনি আদি ব্রাহ্মসমাজের কর্মী এবং ব্রাহ্মসমাজের চিৎপুরস্থ মন্দিরের অন্যতম অছি ছিলেন। ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দ হতে টানা আট বৎসর তিনি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার সম্পাদনা করেন। ব্রাহ্মসমাজের কাজকর্ম, লেখালেখি ছাড়াও সঙ্গীতচর্চা করতেন তিনি। হবিঃ শীর্ষক গ্রন্থে তাঁর সঙ্গীতচর্চার নিদর্শন পাওয়া যায়।

 

১৮৮৪ – ইসমত ইনোনু, তুর্কি জেনারেল ও রাজনীতিবিদ।

মুস্তাফা ইসমেত ইনো (24 সেপ্টেম্বর 1884 – 25 ডিসেম্বর 1973) ছিলেন একজন তুর্কি সেনা কর্মকর্তা এবং রাষ্ট্রনায়ক যিনি 11 নভেম্বর 1938 থেকে 22 মে 1950 পর্যন্ত তুরস্কের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার: 1925, 1922 সাল পর্যন্ত  1937 থেকে, এবং 1961 থেকে 1965 পর্যন্ত।

 

১৮৯৬ – এফ. স্কট ফিট্‌জেরাল্ড, মার্কিন কথাসাহিত্যিক। 

ফ্রান্সিস স্কট কী ফিটজেরাল্ড (সেপ্টেম্বর 24, 1896 – 21 ডিসেম্বর, 1940) একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক এবং ছোট গল্প লেখক ছিলেন।  তিনি তার উপন্যাসগুলির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত যেগুলি জ্যাজ যুগের ফ্ল্যাম্বয়েন্স এবং আধিক্যকে চিত্রিত করে—একটি শব্দ যা তিনি তার ছোট গল্প সংকলন টেলস অফ দ্য জ্যাজ এজ-এ জনপ্রিয় করেছিলেন।  তার জীবদ্দশায়, তিনি চারটি উপন্যাস, চারটি গল্প সংকলন এবং 164টি ছোট গল্প প্রকাশ করেন।  যদিও তিনি 1920 এর দশকে অস্থায়ী জনপ্রিয় সাফল্য এবং ভাগ্য অর্জন করেছিলেন, ফিটজেরাল্ড তার মৃত্যুর পরেই সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছিলেন এবং এখন তাকে 20 শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ আমেরিকান লেখক হিসাবে গণ্য করা হয়।

 

১৮৯৮ – হাওয়ার্ড ফ্লোরি, নোবেল বিজয়ী অস্ট্রেলীয় জীববিজ্ঞানী। 

হাওয়ার্ড ওয়াল্টার ফ্লোরি, (24 সেপ্টেম্বর 1898 – 21 ফেব্রুয়ারি 1968) ছিলেন একজন অস্ট্রেলিয়ান ফার্মাকোলজিস্ট এবং প্যাথোলজিস্ট যিনি 1945 সালে আর্নস্ট চেইন এবং স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং-এর সাথে পেনের বিকাশে তার ভূমিকার জন্য শারীরবিদ্যা বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নিয়েছিলেন।

 

১৫০১ – জিরোলামো কার্দানো, ইতালীয় চিকিৎসক, গণিতবিদ, জ্যোতিষী ও জুয়াড়ি। 

Gerolamo Cardano (24 সেপ্টেম্বর 1501- 21 সেপ্টেম্বর 1576) ছিলেন একজন ইতালীয় পলিম্যাথ যার আগ্রহ এবং দক্ষতা গণিতবিদ, চিকিৎসক, জীববিজ্ঞানী, পদার্থবিজ্ঞানী, রসায়নবিদ, জ্যোতিষী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, দার্শনিক, গ্যামেল এবং।  তিনি রেনেসাঁর অন্যতম প্রভাবশালী গণিতবিদ হয়ে ওঠেন এবং সম্ভাব্যতার ভিত্তির অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন;  তিনি পশ্চিমা বিশ্বে দ্বিপদ সহগ এবং দ্বিপদ উপপাদ্য প্রবর্তন করেন।  তিনি বিজ্ঞানের উপর 200 টিরও বেশি রচনা লিখেছেন।

 

 

১৫৩৪ – গুরু রামদাস, শিখধর্মের দশ শিখ গুরুর চতুর্থ গুরু।

গুরু রাম দাস (২৪ সেপ্টেম্বর ১৫৩৪ – ১ সেপ্টেম্বর ১৫৮১) ছিলেন দশজন শিখ গুরুর মধ্যে চতুর্থ।  তিনি লাহোরে অবস্থিত একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর জন্মের নাম ছিল জেঠা, এবং তিনি সাত বছর বয়সে অনাথ হয়েছিলেন;  এরপর তিনি একটি গ্রামে তার মাতামহের কাছে বড় হন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৭ – ভারতীয় ক্রিকেট দল টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে পরাজিত করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়।

১৯১৯ – বঙ্গোপসগর থেকে উত্থিত প্রবল সামুদ্রিক ঝড়ে ফরিদপুর, ঢাকা, পূর্ব ময়মনসিংহ জেলা সম্পূণর্রূপে বিধ্বস্ত হয়।

 

১৯৩২ – বাংলার প্রথম বিপ্লবী মহিলা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার চট্টগ্রামের ইউরোপিয় ক্লাব আক্রমণ শেষে দেশের জন্য আত্মদানের আহবান রেখে আত্মহত্যা করেন।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন ভারতীয় বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী যিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ছিলেন।  চট্টগ্রাম ও ঢাকায় শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন।  তিনি স্বাতন্ত্র্যের সাথে দর্শনে স্নাতক হন এবং একজন স্কুল শিক্ষক হন।

 

১৯৩২ – মহাত্মা গান্ধী এবং বি আর আম্বেদকর পুনা চুক্তিতে সম্মত হন।

মোহনদাস গান্ধী এবং ডক্টর বিআর আম্বেদকরের মধ্যে এই দিনে পুনা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল যাতে দলিত বা নিম্নবর্ণের হিন্দুদের অধিকার দেওয়া হয়।  পুনা চুক্তিটি ব্রিটিশ ভারত সরকারের একটি প্রস্তাব থেকে অনুসরণ করে…

 

১৯৩৯ – জার্মানীর বিমান বাহিনী পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ার্শতে ব্যাপক বোমা বর্ষণ শুরু করে।

১৯৪৮ – হোন্ডা মোটরস্‌ কোম্পানির প্রতিষ্ঠা।

১৯৬০ – আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি (আইডিএ) গঠিত হয়।

১৯৬৮ – সোয়াজিল্যান্ড জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নাইজার।

১৯৭৪ – আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ পর্তুগাল থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৮৮ – বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলেম, সমাজ সংস্কারক ও জমিদারদের শোষণবিরোধী বিপ্লবী নেতা শামসুল হুদা পাঁচবাগী পরলোক গমন করেন।

১৯৯০ – সোভিয়েত পার্লামেন্ট বাজার অর্থনীতির পক্ষে রায় প্রদান করে।

 

১৮০৫ – ফরাসী সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বৃহৎ সামরিক অভিযান বন্ধ করেন।

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট (15 আগস্ট 1769 – 5 মে 1821), পরবর্তীতে তার রাজতান্ত্রিক নাম নেপোলিয়ন I দ্বারা পরিচিত, ছিলেন একজন ফরাসি সামরিক কমান্ডার এবং রাজনৈতিক নেতা যিনি ফরাসি বিপ্লবের সময় বিশিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন এবং বিপ্লবী যুদ্ধের সময় সফল প্রচারাভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।  তিনি 1799 থেকে 1804 সাল পর্যন্ত প্রথম কনসাল হিসেবে ফরাসি প্রজাতন্ত্রের নেতা ছিলেন, তারপর 1804 থেকে 1814 সাল পর্যন্ত ফরাসি সম্রাট হিসেবে ফরাসি সাম্রাজ্যের এবং সংক্ষিপ্তভাবে আবার 1815 সালে। নেপোলিয়নের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার এবং ট্রো নেতা হিসেবে শেষ পর্যন্ত উদযাপন করেছেন।  তিনি অনেক উদার সংস্কারের সূচনা করেছিলেন যা বছরের পর বছর ধরে অব্যাহত রয়েছে এবং ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে একজন হিসেবে বিবেচিত হয়।  তার প্রচারাভিযানগুলি এখনও বিশ্বব্যাপী সামরিক একাডেমিগুলিতে অধ্যয়ন করা হয়৷  নেপোলিয়ন যুদ্ধে তিন থেকে ছয় মিলিয়ন সৈন্য ও বেসামরিক লোক মারা গিয়েছিল।

 

১৮৪১ – ব্রুনেইর সুলতান সারাওয়াকা দ্বীপ ব্রিটেনের কাছে ছেড়ে দেন।

১৭২৬ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতা, মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন মেয়র কোর্ট স্থাপনের অনুমতি পায়।

১৭৮৯ – যুক্তরাজ্যে ডাক ব্যবস্থার সূচনা।

১৭৮৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্ট সৃষ্টি হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

 

২০০৪ – রাজা রামান্না,ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

ডাঃ রাজা রামান্না, একজন পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানী, বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগের সময় একজন অধ্যাপকের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।  তিনি নিউট্রন থার্মালাইজেশন এবং রিঅ্যাক্টর ডিজাইনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন।  ডক্টর রামান্না ডিআরডিওতে নেতৃত্বের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আসেন।  ভারতের প্রথম পারমাণবিক চুল্লি, অপ্সরা, তার নির্দেশনায় ডিজাইন করা হয়েছিল।  তার আমলে, ডিআরডিও আরও চ্যালেঞ্জিং কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত হয়েছিল।  পরিষেবাগুলির স্বল্পমেয়াদী প্রয়োজনীয়তা পূরণের প্রধান কার্যকলাপ প্রযুক্তিগত ক্রিয়াকলাপ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, যা সমসাময়িক সিস্টেমের বিকাশের দিকে পরিচালিত করেছিল।  জোরের ক্ষেত্রগুলি স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং সেই অনুযায়ী সম্পদগুলির অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।  অন্যান্য S&T বিভাগ দ্বারা গৃহীত ‘নমনীয় পরিপূরক’ নীতির সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য কর্মীদের নীতিও পরিবর্তন করা হয়েছিল।  সম্পদের আরও ভাল ব্যবহারের জন্য আন্তঃ-ল্যাবরেটরি মিথস্ক্রিয়া এবং সহযোগিতা প্রচারের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।

 

 

২০১০ – ক্ষেত্র গুপ্ত, বাঙালি অধ্যাপক, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক।

অধ্যাপক ক্ষেত্র গুপ্তর জন্ম বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বরিশালের পিরোজপুরে। পিতা মৃন্ময় গুপ্ত ও মাতা সরযূবালা দেবী। বাল্যকাল থেকেই ক্ষেত্র গুপ্ত পড়াশোনায় মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পিরোজপুর সরকারি বিদ্যালয় থেকে ডিভিশন্যাল বৃত্তি পেয়ে ম্যাট্রিক পাশ করেন। দেশভাগের পর তার পিতার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গে এসে বারাসতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। প্রায় সব ক-টি পত্রেই সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ৬ টি স্বর্ণ পদক ও ১ টি রৌপ্যপদক লাভ করেন। ‘মধুসূদনের কবি-আত্মা ঔ কাব্যশিল্প’ শীর্ষক প্রবন্ধ রচনা করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি পান। ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাস: শিল্পরীতি’ গ্রন্থে র জন্য রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি পান।

 

২০২০ – শেখর বসু, প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি পরমাণু বিজ্ঞানী।

শেখর বসু (20 সেপ্টেম্বর 1952 – 24 সেপ্টেম্বর 2020) ছিলেন একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী যিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং ভারত সরকারের পরমাণু শক্তি বিভাগের সচিব (DAE) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।  তিনি ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার (BARC), নিউক্লিয়ার সাবমেরিন প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ডিরেক্টর এবং পরে ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে নিউক্লিয়ার রিসাইকেল বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হিসেবেও কাজ করেছেন।  তিনি 2014 সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রাপক ছিলেন।

 

১৯২৪ – উইলিয়াম পিয়ার্সন, ব্রিটিশ ধর্মযাজক, শিক্ষাবিদ এবং রবীন্দ্রসাহিত্যের ইংরাজি অনুবাদক।।

 

১৯২৫ – গোকুলচন্দ্র নাগ,প্রখ্যাত ‘কল্লোল’ পত্রিকার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহকারী সম্পাদক।

গোকুলচন্দ্র নাগ (28 জুন 1894 – 24 সেপ্টেম্বর 1925), ছিলেন একজন বাঙালি লেখক ও শিল্পী, যিনি বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে বাংলার কল্লোল সাহিত্যিক গোষ্ঠী এবং বৃত্তের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে পরিচিত’ তাঁর বড় ভাই কালিদাস নাগ একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং  শিক্ষাবিদ

 

১৯৩২ – প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের আত্নাহুতিদানকারী বাঙালি নারী।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (5 মে 1911 – 24 সেপ্টেম্বর 1932) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের একজন ভারতীয় বিপ্লবী জাতীয়তাবাদী যিনি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাবশালী ছিলেন।  চট্টগ্রাম ও ঢাকায় তার শিক্ষা শেষ করার পর, তিনি কলকাতার বেথুন কলেজে ভর্তি হন।  তিনি স্বাতন্ত্র্যের সাথে দর্শনে স্নাতক হন এবং একজন স্কুল শিক্ষক হন।  তিনি “বাংলার প্রথম নারী শহীদ” হিসেবে প্রশংসিত হন।

 

১৮৫৯ – সিপাহি বিদ্রোহের বীর যোদ্ধা নানা সাহেব।

নানা সাহেব পেশওয়া দ্বিতীয় (১৯ মে ১৮২৪ – ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৫৯), ধোন্ডু পান্ত নামে জন্মগ্রহণ করেন, ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের একজন ভারতীয় পেশওয়া, অভিজাত এবং যোদ্ধা, যিনি ১৮৫৭ সালে ভারতে কোম্পানির বিদ্রোহের সময় কাউনপুর (কানপুর) বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন  .  নির্বাসিত মারাঠা পেশওয়া বাজি রাও II-এর দত্তক পুত্র হিসেবে, নানা সাহেব বিশ্বাস করতেন যে তিনি কোম্পানি থেকে পেনশন পাওয়ার অধিকারী ছিলেন, কিন্তু লর্ড ডালহৌসির ভ্রান্তির মতবাদের অধীনে তাকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করায়, পেশওয়া বিদ্রোহ শুরু করে।  তিনি কানপুরে ব্রিটিশ গ্যারিসনকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেন, তারপর বেঁচে থাকাদের হত্যা করেন, কয়েক দিনের জন্য শহরের নিয়ন্ত্রণ লাভ করেন।  একটি ব্রিটিশ বাহিনী কানপুর পুনরুদ্ধার করার পর, তিনি নেপালে পালিয়ে যান, যেখানে তিনি 1859 সালের সেপ্টেম্বরে বাঘ শিকারের সময় মারা যান।

 

১৮৬০ – ফরায়েজি আন্দোলনের নেতা দুদু মিয়ার (মোহসীন উদ্দীন)।

মুহাম্মদ মুহসীনউদ্দীন দুদু মিয়া (১৮১৯ – ২৪ সেপ্টেম্বর ১৮৬২) ছিলেন ফরায়েজি আন্দোলনের অন্যতম নেতা এবং ভারতবর্ষে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনকারী। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথ নির্দেশনা দানকারী ঐতিহাসিক ফরায়েজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাজী শরীয়তুল্লাহ তার পিতা। বৃহত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের নিপীড়িত জনগণের আত্মশক্তির বিকাশ এবং ঔপনিবেশিক শক্তি ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামের ইতিহাসে দুদু মিয়া ছিলেন অন্যতম।[১]

 

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

এলে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে ::: রাণু সরকার।।।

চলে তো গিয়েছিলে,
আবার কেনো এলে-
কুড়ি বছর পর?
কষ্ট গুলোকে সংগ্রহ করতে গিয়ে আরো কষ্ট জন্ম নিলো।

দেখছোনা ওরা জ্বলছে–
দিলেতো সব ভণ্ডুল করে,

নমিত শরীর বারবার ওঠাবসা করতে পারি না যে–
কিছু কষ্ট কোথায় যে লুকিয়ে পড়লো কী জানি–
কিছুক্ষণ আগেও ওরা ছিলো।
ওদেরও ভয় আছে জ্বলার, যে কী জ্বালা একমাত্র আমিই জানি।
ভাবছিলাম বসে,
ওরা কোথায় থাকতে পারে।

তুমি এলে অগ্নিমূর্তি ধারণ করে-
হয়তো তোমার ভয়ে তারা লুকিয়ে পড়েছে।
একটুও পালটাওনি তুমি, আগের মতই আছো।
এই বয়সে এসেও গর্হিত বস্ত্র পরিধান করেছো
যাগ্গে-আমার বলাটাই অপ্রয়োজনীয়,

কষ্ট গুলো ভালোই জ্বলছিলো-
প্রথমে তো আসতেই চাইছিলো না,
জোরপূর্বক জ্বালাতে হলো,
কেনো না এদের সান্নিধ্যে আর থাকতে
পারছি না।

কেনো এলে তুমি?

আমি তো অট্টালিকা ও মূল্যবান যাকিছু ছিলো সব তো দিয়ে এসেছি।
সাথে করে কিছুতো আনিনি,
তবে কেনো এলে আমার জীর্ণ কুটিরে?
এসেই আমার কষ্টের আগুনে দিলে জল ঢেলে।
এই ধোঁয়ায় কষ্ট গুলো ছটফট করছে-
একবারে পুড়ে গেলে এতো কষ্ট হতো না।

এ- তুমি কী করলে অর্ধমৃত করে রেখেদিলে !

Share This
Categories
কবিতা

জানা নেই গন্তব্যস্থল :: রাণু সরকার।।।

শরতের আকাশ দেখতে ভীষণ ভালো লাগে,
প্রতি শরতেই আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি
দল বেঁধে কারা যেন চলছে খড়ের আঁটি মাথায় নিয়ে।
অস্পষ্ট দৃষ্টিতে দেখি, অতোদূরে।
কষ্ট করে দৃষ্টিনিক্ষেপ করি,

ওদের গন্তব্যস্থল জানা নেই, চলছে তো চলছেই
দলের মধ্যে বৃদ্ধ বেশি,
কিশোর কম।
আবার কখন দেখি,
তুলোর পুঞ্জ মথায় নিয়ে ধীরগতিতে চলছে বৃদ্ধদের দল-
কিশোররা চলছে ক্ষিপ্রবেগে।

বৃদ্ধদের মুখ গম্ভীর দেখে মনে হচ্ছে অব্যক্ত
কত ভাষা অন্তরালে,
আমি ডেকেছিলাম-
একটু থমকে দাঁড়াল
কীজানি কী মনে হলো, আবার মন্থর গতিতে
চলতে লাগলো।

ওরা যাচ্ছে কোথায়?
আমায় ভাবনারা কুঁড়ে কুঁড়ে খায়!

Share This