Categories
প্রবন্ধ বিবিধ রিভিউ

🌿 গোয়ার কোটিগাও ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি – প্রকৃতির এক অমূল্য রত্ন।।

গোয়া শুধুই সমুদ্রসৈকত, পার্টি এবং ইতিহাসের জন্য বিখ্যাত নয়; প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য গোয়ার অরণ্য এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যও এক অপূর্ব আকর্ষণ। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোটিগাও ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি (Cotigao Wildlife Sanctuary)। এটি গোয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এবং প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণীর সঙ্গে এক অনন্য সংযোগ তৈরি করে।


📍 অবস্থান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য

কোটিগাও ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি সাওসিমে এবং কর্নারিমের কাছে অবস্থিত। এটি প্রায় ২৯০ হেক্টর বিস্তৃত এবং ঘন সবুজ বনভূমি, পাহাড়ি পথ ও ছোট নদীর ছায়া মিলিয়ে এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে। বনাঞ্চলের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির টিক, সাল, হরিতকি এবং অন্যান্য অরণ্য গাছ দেখা যায়।

জঙ্গলপথে হাঁটার সময় চারপাশে পাখির কিচিরমিচির, ঝর্ণার কলকল শব্দ এবং গাছের ছায়া প্রকৃতিপ্রেমীদের মনকে ভরে দেয়।


🐾 বন্যপ্রাণীর বৈচিত্র্য

কোটিগাও স্যাংচুয়ারি মূলত বনাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলের জন্য পরিচিত। এখানে রয়েছে –

  • স্তন্যপায়ী প্রাণী: চিতা, হরিণ, বুনো শূকর, বুনো মোষ, লাংউর বানর
  • পাখি: মালাবার হর্নবিল, কিংফিশার, প্যারাকিট, পাখির বিভিন্ন প্রজাতি
  • সরীসৃপ ও প্রজাপতি: পাইথন, মনিটর লিজার্ড এবং রঙিন প্রজাপতি

এছাড়া এখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বনজ সম্পদএথনিক সংস্কৃতি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ।


🚶‍♂️ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা

কোটিগাও স্যাংচুয়ারি পুরোপুরি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য।

  • ট্রেকিং ট্রেইল: বনাঞ্চলের ভেতরে বিভিন্ন হাঁটার পথ রয়েছে যা ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তোলে।
  • নেচার ওয়াক: গাইডের সঙ্গে হাঁটতে গেলে বনভূমির জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়।
  • ফটোগ্রাফি: বন্যপ্রাণী ও জঙ্গলের ছবির জন্য এটি স্বর্গরাজ্য।

এখানে গেলে পর্যটকরা শহরের কোলাহল থেকে দূরে এসে প্রকৃতির মাঝে এক শান্তিপূর্ণ সময় উপভোগ করতে পারেন।


🌿 বিশেষ আকর্ষণ

  • প্রকৃতির সৌন্দর্য: পাহাড়ি বন, ছোট নদী ও ঝর্ণার সংমিশ্রণে এক অপূর্ব পরিবেশ তৈরি হয়।
  • বন্যপ্রাণী দেখা: কিছু পর্যটক ভাগ্যবান হলে চিতা, লাংউর বা পাখি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান।
  • শান্তি ও প্রশান্তি: এটি একটি কম ভিড়ের স্থান, তাই প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে শান্তি ও নিরিবিলি উপভোগ করতে পারেন।

🏖️ ভ্রমণ টিপস

  • সেরা সময়: নভেম্বর থেকে মার্চ – আবহাওয়া শীতল ও মনোরম থাকে।
  • প্রবেশ সময়: সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা
  • টিপস: আরামদায়ক পোশাক, জুতো, ক্যামেরা এবং পর্যাপ্ত জল সঙ্গে রাখুন।

🏁 উপসংহার

কোটিগাও ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি গোয়ার একটি নীরব, সবুজ অভয়ারণ্য। যারা প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে, বন্যপ্রাণী দেখার এবং শহরের কোলাহল থেকে পালাতে চান, তাদের জন্য এটি এক অমূল্য স্থান। এখানে এসে ভ্রমণকারীরা প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর সংযোগ অনুভব করেন এবং মনভরে শান্তি ও আনন্দ পান।

Share This
Categories
প্রবন্ধ বিবিধ রিভিউ

গোয়া’র আরামবোল বিচ – শান্তি, সুর আর সমুদ্রের জাদু।।

গোয়ার সমুদ্রতটের ভিড়ে এক বিশেষ নাম আরামবোল বিচ। যাকে অনেক ভ্রমণপিপাসু “গোয়ার লুকানো স্বর্গ” বলে থাকেন। উত্তর গোয়ার অশ্বেম ও কেরিম বিচের মাঝখানে অবস্থিত এই সমুদ্রতট, যেখানে সমুদ্র, পাহাড়, বালি আর প্রকৃতির অপূর্ব মেলবন্ধন তৈরি করে এক অন্যরকম আবহ।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টান

আরামবোল বিচ মূলত শান্তিপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ স্থান। এখানে ভিড় কম, ফলে সমুদ্রের নির্জন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় নিরবচ্ছিন্নভাবে। বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, নীলাভ সাগরের জল আর পেছনের সবুজ পাহাড় যেন ছবির মতো এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করে। সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রতটের রূপ আরও অপূর্ব হয়ে ওঠে, যেন আকাশ আর জল মিলে একাকার হয়ে যায়।

বিশেষ আকর্ষণ

আরামবোল বিচের আশেপাশে একটি প্রাকৃতিক ফ্রেশওয়াটার লেক রয়েছে, যেটি “আরামবোল সুইট ওয়াটার লেক” নামে পরিচিত। সমুদ্রের এত কাছে মিষ্টি জলের লেক সত্যিই বিস্ময়কর। এছাড়াও কাছেই রয়েছে একটি সালফার স্প্রিং, যার জলে স্বাস্থ্যকর গুণাগুণ আছে বলে স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন।

আরেকটি আকর্ষণ হলো এখানকার ছোট ছোট গুহা এবং প্রাকৃতিক হাঁটার পথ। ভ্রমণকারীরা প্রায়ই পাহাড়ি পথে ট্রেক করে সমুদ্র ও লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

সংস্কৃতি ও আবহ

আরামবোল বিচ শুধু প্রকৃতির নয়, সংস্কৃতিরও মিলনস্থল। এখানে প্রায়ই ছোটখাটো লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স, ড্রাম সার্কেল, যোগা ও মেডিটেশন সেশন হয়। বিদেশি পর্যটকেরা এখানে এসে দীর্ঘদিন থাকেন শান্ত পরিবেশে আত্ম-অন্বেষণের খোঁজে। প্রতি সন্ধ্যায় সমুদ্রতটে ড্রাম বাজিয়ে গান, নাচ আর হাসিখুশির পরিবেশ তৈরি হয়, যা একেবারেই ভোলার নয়।

করণীয় কাজ

  • সাগরের ধারে সূর্যস্নান ও সাঁতার কাটা।
  • প্রাকৃতিক লেকে গিয়ে স্নান করা।
  • ড্রাম সার্কেলে যোগ দিয়ে সঙ্গীতের মুগ্ধতায় ভেসে যাওয়া।
  • স্থানীয় দোকান থেকে হ্যান্ডমেড গয়না, বাদ্যযন্ত্র বা পোশাক কেনা।
  • যোগা, মেডিটেশন ও প্যারাগ্লাইডিং-এর মতো অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে অংশ নেওয়া।

উপসংহার

যদি ভিড়ভাট্টার বাইরে গিয়ে শান্ত, নির্জন অথচ প্রাণবন্ত কোনো জায়গায় সময় কাটাতে চান, তাহলে গোয়ার আরামবোল বিচ আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য। প্রকৃতির কোলে বসে সূর্যাস্ত দেখা, স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে যাওয়া আর সাগরের ঢেউয়ের সুরে হারিয়ে যাওয়া—আরামবোল বিচ সেই অভিজ্ঞতা দেয় যা সারাজীবন মনে গেঁথে থাকে।

Share This
Categories
বিবিধ

আনন্দ-বিষাদের মিশেলে মালদায় বিজয়া দশমীর বিদায় অনুষ্ঠান।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—আজ বিজয়া দশমী।
সিঁদুর রাঙিয়ে উমাকে বিদায় জানানোর পালা।আনন্দের মাঝেও বিষাদের সুর। এই মুহূর্তে চলছে দশমীর শেষ লগ্নের পুজো। সাথে সিঁদুর খেলা ও ঢাকের তালে নাচ। আজ উমা বাবার বাড়ি ছেড়ে কৈলাসে ফিরবেন। সকলের মন ভারাক্রান্ত। পুরাতন মালদহের কালুয়াদীঘি পল্লীশ্রী পুজো মন্ডপে চলছে এই মুহূর্তে মাকে বিদায় জানানোর পালা।প্রকৃতিও সেজে উঠেছিল শরৎরানীর রূপে।
ছেলেপুলে নিয়ে কটাদিনের জন্য বাপের বাড়ি আসা।
অবশেষে কটাদিনের মায়া কাটিয়ে কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পালা। বিজয়ার পুজো সমাপন হলে মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে বিদায়ের বিষাদ ভুলে ঘরের মেয়ে উমাকে ভালোবাসা জানান।

Share This
Categories
বিবিধ

মহিলা পরিচালিত নেতাজিনগরের দুর্গোৎসব, বুনিয়াদপুরে সাংস্কৃতিক সূচনা।।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর শররে মহিলা পরিচালিত নেতাজি নগর সার্বজনীন দুর্গোৎসব এই বছর নবম বর্ষে পদার্পণ করল। মহা সপ্তমীর সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার শুভ সূচনা করেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক কমল সরকার সহ বিশিষ্ট গুণীজনেরা।

শুরুটা হয়েছিল ২০১৭ সালে, বুনিয়াদপুর পৌর শহরের বুকে নবনির্মিত একটি পাড়ার বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে শুরু করেছিল এই মাতৃ আরাধনা। ধীরে ধীরে এই পাড়ার শ্রী বৃদ্ধি হয়েছে, ছোট্ট নেতাজিনগর এখন এক সু বিশাল পরিবার। বুনিয়াদপুর পৌর শহরের বুকে পাড়ার পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম এই পুজা।

এদিন সন্ধ্যায় এই পুজো মন্ডপে উপস্থিত হয়েছিলেন বুনিয়াদপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক আমল সরকার, উপ পৌর প্রশাসক জয়ন্ত কুন্ডু সহ বিশিষ্ট গুণীজনেরা।

Share This
Categories
বিবিধ

একশো পঞ্চাশ বছরের পথ পেরিয়ে রিস্তারা গ্রামে অটুট সরকার পরিবারের দুর্গোৎসব।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা :- দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের রিস্তারা এলাকা। সেখানে সরকার পরিবারের ঠাকুরবাড়ি এ বছর অতিক্রম করল এক ঐতিহাসিক মাইলফলক—দেড়শ বছরেরও বেশি সময়ের পূজা পরম্পরা। ১২৮২ বঙ্গাব্দে পরিবারের জোতদার রূপকান্ত সরকার এলাকার মঙ্গল ও পরিবারের কল্যাণ কামনায় শুরু করেছিলেন এই দুর্গোৎসব। সেই সূত্রেই আজও অবিচলিত থেকে গিয়েছে পূজা, বংশ পরম্পরায়।

পরিবারের সদস্য ব্রতময় সরকার জানালেন, এই পুজোর পুরোহিত ও ঢাকিদের ধারাও বংশানুক্রমে চলে আসছে। অন্য পুজোগুলির তুলনায় আলাদা স্বাদ রয়েছে এই আয়োজনের। বৈষ্ণব মতে নিরামিষ ভোগেই দেবীকে আহ্বান জানানো হয় এখানে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পরিবারের সকল সদস্যরাই নিরামিষ ভক্ষণ করেন। শুধু তাই নয়, পাঁচদিন ধরে মঙ্গলচণ্ডীর গান আর বিজয়া দশমীতে ঐতিহ্যবাহী চামুণ্ডা নাচ এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ।

ব্রতময় সরকারের কথায়, একসময় এই পূজোকে ঘিরে গোটা এলাকায় বসত জমজমাট মেলা। আশপাশের গ্রাম থেকে ভিড় জমত হাজারে হাজারে। সময়ের স্রোতে সেই মেলার উজ্জ্বল দিন আজ ইতিহাসে মিলিয়ে গেলেও, পরিবারের মানুষ ও গ্রামবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণে পূজো আজও আগের মতোই অটুট।

একশো পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পথ পেরিয়ে এই পূজা আজ আর শুধু একটি পরিবারের নয়, গোটা এলাকার ঐতিহ্য। ইতিহাসের সেই সোনালি অধ্যায়কে বুকে নিয়ে এখনও রঙিন হয়ে ওঠে রিস্তারা গ্রাম, দুর্গোৎসবের আবহে।

Share This
Categories
বিবিধ

গান, নাচ আর মিলনমেলায় জমে উঠল বালুরঘাটের জোয়ারদার পরিবারের দুর্গাপুজো।।

বালুরঘাট, নিজস্ব সংবাদদাতা : – ঐতিহ্য, ভক্তি আর আড়ম্বরের মেলবন্ধনে এবার ৩৫ বছরে পা দিল জোয়ারদার পরিবারের দুর্গাপুজো। ১৯৯৫ সালে শুরু হলেও, কথিত আছে দেশভাগের আগে ওপার বাংলায় এই পুজোর সূচনা হয়েছিল। দেশভাগের পর থেকে এপারে চলে আসে সেই পুজো, আর নিয়মনীতি মেনেই আজও চলে আসছে পূজার আয়োজন। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত মতে, বেলুড় মঠের আদর্শে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর বিশেষ আচার মেনে ‘শক্তি দণ্ডে’ ভর দিয়ে শুরু হয় আয়োজন। দুর্গাপুজোর মূল দিনে একত্রিত হন প্রায় ৩০ জন পরিবার সদস্য, আর তাঁদের সঙ্গে মিশে যায় গোটা এলাকার মানুষও। শুধু পূজার্চনা নয়, সাংস্কৃতিক আবহও জমে ওঠে এই বাড়ির দুর্গোৎসবে। গান, নাচ, আবৃত্তি—সব মিলিয়ে উৎসবের আবহে ভরে ওঠে এলাকা। প্রতিবছরই যেমন, এবারের পুজোও এলাকার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছে মিলনমেলার আসর। প্রসঙ্গত, ভক্তি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি আয়োজনের জাঁকজমকতা এলাকাবাসীকে মুগ্ধ করেছে। তাঁদের এক কথায় প্রতিক্রিয়া— “জোয়ারদার বাড়ির দুর্গাপুজো মানেই ভক্তি, ঐতিহ্য আর আনন্দের এক অনন্য উৎসব।”

Share This
Categories
বিবিধ

মানবিক উদ্যোগে আনন্দিত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, বালুরঘাটে বস্ত্র বিতরণ।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট এর ত্রিধারা ক্লাবের শুভলগ্নে ক্লাবের পক্ষথেকে বস্ত্রবিতরন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান,, বালুরঘাট এই তি ধারা ক্ল্যাব,বরাবরই মানুষের পাশে দাঁড়ায়।একসময় বাবার হাত হাত ধরে এই ক্লাবের প্রতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আসতেন।আজ শুভ লগ্নে এই ক্লাবের হয়ে গরিব মানুষের হাতে বস্ত্র তুলে দিতে পেরে নিজেকে আপ্লুত মনে হচ্ছে।

Share This
Categories
বিবিধ

পরিবারিক বিবাদের পর নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী, মালদায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ —- এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রী নিখোঁজ হওয়াকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। জানা গিয়েছে নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর নাম পল্লবী সাহা,বয়স প্রায় ১৭ বছর। গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা পাঁচ ফিট ২ ইঞ্চি ।বাড়ি গাজোল ব্লকের আলাল অঞ্চলের ময়না এলাকায় । ময়না হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রী। নিখোঁজ নাবালিকার পরিবার জানিয়েছেন 29 শে সেপ্টেম্বর পারিবারিক কিছু সমস্যা নিয়ে বিবাদ হয়।তার পর ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে পরিবারের লোকজন খাওয়া-দাওয়া করে রাত্রিতে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন ৩০ শে সেপ্টেম্বর তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে দেখে ঘরের বিছানাই ওই স্কুল ছাত্রী নেই। এরপর পরিবারের লোকজন গ্রামে খোঁজাখুঁজি করে।এরপর আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান মেলেনি। এরপর নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বিষয়ে গাজোল থানায় দ্বারস্থ হয়। গাজোল থানার পুলিশ আশ্বাস দেয়। এদিন বুধবার বেলা দুটো নাগাদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি নিখোঁজ নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছেন আমার মেয়ে নিখোঁজ হয় আমরা সকলে বাড়িতে গভির চিন্তিত রয়েছি। আমরা অপেক্ষায় রয়েছি আমার নাবালিকা মেয়ে কখন আমি ফিরে পাবো।এই ঘটনার পর থেকে চিন্তায় ভেঙে পড়েছে পরিবারবর্গ।

Share This
Categories
বিবিধ

নবাব আমলের পরম্পরা অক্ষুন্ন, রায়চৌধুরী বাড়িতে উৎসবমুখর নবমী।

মালদাঃ- —:নবাব আমলের ৩০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পুজো। এখনো নিয়ম এবং ঐতিহ্য মেনে ঘটা করে প্রতিপদ থেকে হয়ে আসছে মালদার চাঁচল ১ নং ব্লকের কলিগ্রামের রায়চৌধুরী বাড়ির পুজো। নবমীর সকালে নিয়ম মেনেই হল কুমারী পূজা। পরিবারের সকলে একত্রিত হয়েছে পূজা উপলক্ষে। রায়চৌধুরীর বাড়িতে এখন উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে দর্শনার্থীরাও। জানা গেছে একসময় এই পরিবারের সদস্য বদররাম রায়চৌধুরী বাংলার নবাব আলিবর্দি খানের খাজাঞ্চি ছিলেন। সেই সময় এলাকায় ভয়াবহ খড়া দেখা দেয়। কৃষকদের কাছ থেকে তিনি খাজনা আদায় করতে পারেননি। এর জন্য নবাব শাস্তি হিসেবে তাকে বাক্সবন্দী করে নদীতে ফেলে দেয়। কিছু সাধু আধমরা অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ধীরে সুস্থ হলে সাধুরা বলেন মা দুর্গার আশীর্বাদে তিনি সুস্থ হয়েছেন। তারপর থেকেই চালু হয় পূজো। সেই নিয়ম মেনে এখনো পূজো হয়ে আসছে রায়চৌধুরী বাড়িতে। নবমীর দিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পুজো। কুমারী পূজার পরে রয়েছে আরতি এবং যজ্ঞ। পরিবারের লোকের সঙ্গে এলাকার মানুষেরাও আসছেন পুজো দিতে।

Share This
Categories
বিবিধ

বালুরঘাটে অষ্টমীর আনন্দে মাতলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী, দর্শনার্থীদের সঙ্গে সময় কাটালেন অভিযাত্রী ক্লাবে।

বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :-অষ্টমীতে অভিযাত্রী তে, সুকান্তর সাথে…
এদিন মহাষ্টমীতে বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের অভিযাত্রী ক্লাবে অষ্টমীর আড্ডায় সামিল হন। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার। আড্ডার পাশাপাশি, ক্লাবের প্রতিমা দর্শন করে নিজে প্রসাদ গ্রহণ এবং সাধারণের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করেন। এদিন সুকান্ত মজুমদার পুজোর মেজাজে বর্তমান প্রজন্মের সাথে খোলামেলা গল্প, আলোচনা করেন।

Share This