Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস, জানুন পালনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য।

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর অনুমোদিত ছুটির দিন যা ২০০২ সালে প্রথম চালু হয়েছিল যার লক্ষ্য শিশুশ্রম প্রতিরোধে সচেতনতা ও সক্রিয়তা বৃদ্ধি করা।  এটি কর্মসংস্থানের জন্য ন্যূনতম বয়সের উপর আইএলও কনভেনশন নং ১৩৮ এবং শিশু শ্রমের সবচেয়ে খারাপ ফর্মগুলির উপর আইএলও কনভেনশন নং ১৮২ এর অনুমোদনের দ্বারা উত্সাহিত হয়েছিল৷

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস, যা প্রতি বছর ১২ জুন অনুষ্ঠিত হয়, এর উদ্দেশ্য হল শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনকে উৎসাহিত করা। দিনটির লক্ষ্য শিশু শ্রমিকদের (child labourers) শোষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ বছর দিবসটির বৈশ্বিক প্রতিপাদ্য ‘সবার জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার: শিশু শ্রমের অবসান ঘটান’। দিনটি সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী শিশু ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

পটভূমি–

 

বছরের পর বছর ধরে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গোটা বিশ্বজুড়ে এটি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক শিশু রয়েছে যারা নিজের এবং পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য রেস্তোঁরা, ধাবা, বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। অনেকে আবার কারুর বাড়িতেও কাজ করে। ফলে, কাজের লোভ দেখিয়ে কেউ কেউ তাদের মাদক চোরাচালান, পতিতাবৃত্তি ও পাচারের মতো কিছু অবৈধ কার্যকলাপে বাধ্য করে।

শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসটি প্রথম ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO) দ্বারা শিশুশ্রমের ইস্যুতে ক্রমাগত মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য এবং শিশুশ্রম নির্মূল করার জন্য আমাদের কৌশলগুলিকে সংশোধন ও পুনর্বিবেচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।  ২০০২ সাল থেকে এটি ১৯ বছর হয়ে গেছে, এবং প্রতি বছর ১২ জুন শিশু শ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবস পালন করা হয়।  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ শিশুশ্রমের মাত্রা স্বীকার করে সর্বসম্মতিক্রমে ২০২১ সালকে শিশু শ্রম নির্মূলের আন্তর্জাতিক বছর হিসেবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব গৃহীত করেছে এবং আইএলওকে এর বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিতে বলেছে।  এই দিনটি সরকার, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, সুশীল সমাজ এবং আন্তর্জাতিক, শ্রমিক এবং নিয়োগকর্তা সংস্থাগুলিকে একত্রিত করে শিশু শ্রম সমস্যাটি নির্দেশ করে এবং শিশু শ্রমিকদের সহায়তা করার জন্য নির্দেশিকা সংজ্ঞায়িত করে।
আইএলও-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মেয়ে এবং ছেলেরা এমন কাজের সাথে জড়িত যা তাদের পর্যাপ্ত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাশ এবং মৌলিক স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করে, এইভাবে তাদের অধিকার লঙ্ঘন করে।  এই শিশুদের মধ্যে, অর্ধেকেরও বেশি শিশু শ্রমের সবচেয়ে খারাপ রূপের সংস্পর্শে এসেছে।  শিশুশ্রমের এই নিকৃষ্টতম রূপগুলির মধ্যে রয়েছে বিপজ্জনক পরিবেশে কাজ করা, দাসত্ব, বা অন্যান্য ধরনের জোরপূর্বক শ্রম, মাদক পাচার ও পতিতাবৃত্তির মতো অবৈধ কার্যকলাপ, সেইসাথে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িত থাকা।

তাৎপর্য—

 

কোনও শিশুকে শিশুশ্রমিকের পর্যায়ে তখনই ফেলা হয় যখন তাদের কাজ করার বয়স না হওয়া সত্ত্বেও কাজ করানো হয় বা কোনও অস্বাস্থ্যকর কাজে তাঁদের নিয়োগ করা হয় যা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে এমনকী পড়াশোনা ও শিক্ষারও ক্ষতি করে। শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে বিশ্ব দিবসের তাৎপর্য হল শিশুশ্রমের সমস্যার প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং এটি নির্মূলের উপায় খুঁজে বের করা। বিশ্বজুড়ে নানা মনুষ্যসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় শিশুদের কায়িক শ্রমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পাশাপাশি শিশুশ্রমের কুফল সম্পর্কে অসচেতনতায় দিনদিন শিশুশ্রম বাড়ছে। তাই সারা বিশ্বে শিশুশ্রমে বাধ্য করা শিশুদের ক্ষতিকারক মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য দিবসটি ব্যবহার করা হয়। তাই শিশুশ্রমের খারাপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১২ জুন ‘বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস’ পালন করা হয়।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

শিশু শ্রমিক স্বাধীন ভারতে এক কলঙ্ক : প্রশান্ত কুমার দাস।

আমরা সবাই জানি শিশুই হচ্ছে যেকোনো জাতির ভবিষ্যৎ। আজকের শিশু আগামী দিনের নাগরিক, যার হাতে থাকবে দেশগড়ার কাজ। তাই শিশু গাছকে যেমন উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হয়, তেমনি মানবশিশুকেও উপযুক্ত ভাবে গড়ে তোলাই আমাদের অন্যতম কর্তব্য। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার উল্টো। অত্যন্ত দুঃখ ও অনুতাপের বিষয় যে –“কাঁদে কোটি মার কোলে অন্নহীন ভগবান।“ ১৩৫ কোটি মানুষের বাস ভারতে। প্রতি মুহূর্তে ভারতে শিশু জন্মাচ্ছে। কিন্তু সব শিশু কী বাঁচবার মতো খাদ্য,বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা পাচ্ছে?
স্বাধীনতা প্রাপ্তির ৭৪ বছর পরেও অনেক নবজাতকের চোখের সামনে কোনো আলো নেই, আছে শুধু জমাট অন্ধকার-তাদের জীবন দুঃস্বপ্নে ঘেরা ,দুঃখবেদনায় ভরা। নবজাতকেরা অসহায় দৃষ্টি নিয়ে দেশের মানুষের কাছে একটু স্নেহ ভালোবাসা,মমতা অকাঙ্খা করে। সেই সঙ্গে তাদের একটু খানি চাওয়া –শুধু দুবেলা দু-মুঠো অন্ন, থাকবার মতো একটু বাসস্থান,আর পরিধান করার মতো বস্ত্র।
কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ,শিশু একটু বড় হতে না হতেই তাকে মায়ের কোল ছেড়ে যেতে হচ্ছে কাজের সন্ধানে। যে বয়সে শিশুদের হাতে খেলনা,বইপত্র,কাগজকলম থাকবার কথা,সেই বয়সে শিশুর হাতে থাকছে হাতুড়ি কাস্তে আর কাজের বোঝা।কারণ তারা যে শিশুশ্রমিক।শ্রম দান করেই তাদের অন্ন বস্ত্রের ব্যবস্থা করতে হবে-এর চেয়ে কলঙ্কের জিনিস কি হতে পারে! ঐ অতি অল্প বয়সে কঠোর কাজের চাপে ভগ্নপ্রায় শরীর নিয়ে অল্প দিনের মধ্যেই অনেক শিশুর জীবন দীপ নিভে যাচ্ছে। যার খবর আমরা কেউ জানতে পারি না ।
আমরা প্রতি বছর আড়ম্বর করে “শিশু শ্রমিক বিরোধী দিবস ” পালন করি 12ই জুন তারিখে। আন্তর্জাতিক হিসাবে প্রতি বছর আমরা ঐ 12ই জুন দিনটিকে পালন করে শিশুদের কল্যানের জন্য নানাপ্রকারের গালভরা বক্তৃতা দিয়ে থাকি ।সেই দিন হয়তো বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংস্থা কিছু শিশুকে ভালো ভালো পোষাক ও খাবার দিয়ে সন্তুষ্ট করে। মনে হয় আমরা যেন শিশুদের কতই না ভালোবাসি!
শোনা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা (WHO) দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের কল্যাণের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু সেই টাকাগুলোই বা কোথায় যায়? সেই বরাদ্দ টাকা কতটুকু শিশুদের ভাগ্যে জোটে ? উত্তর হল না । দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিরুদ্ধে আইন তৈরী হয়েছে। আছে শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগ, শ্রম দফতর । কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ শিশু স্কুলে না গিয়ে চলে যাচ্ছে চায়ের দোকানে ,রেস্তোরায়,পাথর খাদানে,বাজির দোকানে ,মুদির দোকানে হোটেলে, ইটের ভাটিতে ,সিমেন্ট কারখানা, দেশলাই কারখানায় সেখানে তারা অল্প বেতনে সারাদিন কাজ করে চলেছে। নিষ্ঠুর হৃদয় মালিকেরা তাদের অল্প বেতন দিয়ে সারাদিন পরিশ্রম করাচ্ছে । এই শিশু শ্রমিক ঠিক মতো কাজ না করলে তাদের কাজ থেকে ছাটাই করছে। এদের কর্মে নিয়োগের সময় মালিকের কোনো দায়-দায়িত্ব থাকে না। কোনো শর্ত নাই, তাই কোনো কারনে এদের মৃত্যু হলে বা হাত-পা ভাঙ্গলে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কোনো দায়বদ্ধতা নেই । এমনকি তাদের কোনো কৈফিয়েৎ দিতেও হয় না । তাই যতক্ষণ হাত-পা চলবে, ততক্ষণ কাজ না চললেই বাদ , তাড়িয়ে দাও । শহর এমনকি গ্রামাঞ্চলে খুব স্বাভাবিক দৃশ্য অনেক ছোট ছোট ছেলে মেয়ে গৃহস্ত বাড়িতে চাকর বা চাকরানীর কাজ করে অল্প বেতনে। অভাবের সংসারে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মাঠে কাজ করতে যেতে হয়, গরু চড়াতে হয়। আরও বেদনা দায়ক ঘটনা হচ্ছে যে,এই সব ছেলে মেয়েরা দুটো পয়সা রোজগারের আশায় আস্তাকুঁড় বা আবর্জনা ঘেঁটে বেড়ায়-দুটো প্লাস্টিক জিনিস বা বোতল,ছেঁড়া জুতো,লোহার টুকরো,ভাঙ্গা বালতি সংগ্রহ করে এবং দিন শেষে অল্প কিছু টাকা পয়সা রোজগার করে। কী সৌভাগ্য এই সমস্ত অল্পবয়স্ক ছেলে মেয়ের ! বর্তমান ভারতবর্ষে বিভিন্ন সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে ৮/১০ কোটি শিশুশ্রমিক কর্মরত। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই সরকারি হিসাবে ৮/৯ লক্ষ শিশুশ্রমিক কাজ করছে। এই সমস্ত শিশুশ্রমিক বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কর্ম করে যাচ্ছে। বোমাবাজির কারখানায় কত শিশুর প্রাণ যাচ্ছে তার হিসাব নাই। কয়েক বছর আগে বাগনানে একটা বাজির কারখানায় বিস্ফোরন হয়েছিল এবং তাতে একাধিক শিশুশ্রমিকের প্রাণ যায়। এদের প্রাণের যেন কোনো মূল্য নাই।
ইতিপূর্বে ভারত সরকার ২০০০ সালের মধ্যে শিশুশ্রমিক প্রথা সম্পূর্ণ তুলে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু আজ ২০২১ সালেও শিশুশ্রমিক প্রথা যথারীতি একই চলছে । দেশের সরকার শিশুশ্রমিক নিয়োগ করা বেআইনি বলে ঘোষণা করেছিল। সুপ্রিমকোর্টে ১৯৮৬ সালে আদেশ দিয়েছিল যে, শিশুশ্রমিক সম্পর্কিত আইন লঙ্ঘিত হলে প্রতি শিশুশ্রমিকের জন্য মালিককে ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।সেই টাকা “শিশুশ্রমিক পুনর্বাসন ও কল্যান তহবিলে “ জমা দিতে হবে। তাছাড়া এই সব অসহায় শিশুশ্রমিকের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারগুলিকেই । সরকার শিশুশ্রমিকদের জন্য একটা Action Plan গ্রহণ করছে । এতে শিশুশ্রমিকদের ২ ঘণ্টা লেখা পড়া শিখানোর জন্য সরকারকে অর্থ ব্যয় করতে হবে। কিন্তু এই সব আইন থাকা সত্ত্বেও মালিকপক্ষ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিশুদের নানাপ্রকার বিপজ্জনক ও ঝুঁকিপূর্ণ কার্যে নিযুক্ত করছে। পুলিশ-প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোনো কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শোনা যায় না।
ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রমমন্ত্রির সভাপতিত্বে ‘The Nation Authority to the alimination of Child-labour’ নামে একটা সংস্থা গড়ে তুলেছে। এই সংস্থাটি হয়তো মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই গঠিত হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে –কোনো ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শিশুশ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করার নীতি প্রণয়ন করা, শিশুশ্রমিকদের বৃত্তিমূলক ও অর্থকরী শিক্ষাদানের সঙ্গে উপযুক্ত আহারের সংস্থান করা ,শিশুদের দরিদ্র পিতা মাতাদের আর্থিক উপার্জনে সহায়তা দেওয়া ও নতুন করে শিশুশ্রমিক সৃষ্টির সম্ভাবনা দূর করা ইত্যাদি এই সংস্থার কাজ। এমনকি দেশের শিক্ষার অধিকার আইনে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের বিনামূল্যে এবং আবশ্যিক ভাবে স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থাপনার কথা বলা আছে।
আবার এর সাথে নতুন আইন তৈরি হয়েছে যদি সেই সরকারি আদেশ না মানে বা অগ্রাহ্য করে তবে সেই মালিককে ১০ থেকে ২০হাজার টাকা জরিমানা এবং সেই সাথে তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাবাসের আইন করা হয়েছে।
এই সমস্ত সরকারি নির্দেশ ও কঠোর আইন কানুন থাকলেও মালিকশ্রেনী বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে চলেছে, কারন তারা জানে এই সব শ্রমিককে অল্প বেতন দিয়ে বেশি কাজ করিয়ে অনেক বেশি লাভ ।সকলেই জানে যে এটা একটা অমানবিক কাজ কিন্তু এখনও শিশুশ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করা অলীক স্বপ্ন মাত্র।
আমার মনে হয় ,শিশুশ্রমিক প্রথা বন্ধ করতে হলে কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর দিতে হবে। যে সব শিশু অর্থের জন্য চায়ের দোকানে বা কারখানায় যায় তাদের পিতামাতাকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে, যাতে তারা তাদের সংসার চালাবার জন্য নিজের ছেলেমেয়েদের পরের বাড়িতে বা কারখানায় না পাঠায় ।দ্বিতীয়ত,দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে বিদ্যালয়ে পড়তে যেতে আগ্রহী হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সরকারকের সাথে সাথে সমস্ত শিক্ষিত সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তৃতীয়তঃ শিশুশ্রমিক নিয়োগের বিরুদ্ধে যে সব আইন তৈরী হয়েছে সেগুলোকে কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সর্বোপরি মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করতে হবে, মালিক শ্রেণীকে বোঝাতে হবে যে, এভাবে শিশুশ্রমিক নিয়োগ করে শিশুদের জীবন নষ্ট করবেন না। এটা একটা অমানবিক কাজ । আর ছেলে মেয়েদের পিতামাতাকে বুঝতে হবে যে, এভাবে অল্প কিছু টাকা আয় করার জন্য নিজেদের ছেলেমেয়েদের অন্য কোথাও কাজ করতে পাঠাবেন না। এই সমস্ত বিষয়ে নজর রাখলে আশা করা যায় ধীরে ধীরে শিশুশ্রম প্রথা দূর হবে এবং সমাজের একটা কলঙ্ক মোচন করা সম্ভব হবে।
একদা জাতির জনক মহাত্মাগান্ধী খুব দুঃখের সঙ্গে বলেছিলেন- “শিশুকে অর্থের বিনিময়ে শ্রম করানোর চেয়ে বড় আভিশাপ আর কিছুই হতে পারে না।“ চরম পরিতাপের বিষয় এটাই যে গান্ধীজীর জন্মের দেড়শত বছরে তাঁর জন্মজয়ন্তী আমরা সাড়ম্বরে গোটা দেশ জুড়ে পালন করছি, অথচ তার কথা মত কাজ করছি না।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১১ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১১ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০১ – প্রমথনাথ বিশী, বাঙালি লেখক, শিক্ষাব্রতী ও সাংসদ।

১৯০৮ – জর্জ পেইন, ইংরেজ সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯১৯ – রিচার্ড টড, ইংরেজ অভিনেতা।

১৯৩৭ – ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন।

১৯৩৯ – র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, ইংরেজ সাবেক প্রমীলা ক্রিকেটার।

১৯৪২ – সোমাচন্দ্র ডি সিলভা, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৪৭ – বিহারের রাজনীতিবিদ লালু প্রসাদ যাদব।

১৯৫১ – কলিস কিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৬০ – মেহমেত ওজ, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, কার্ডিওথোরাসিক সার্জন, অধ্যাপক, ছদ্মবিজ্ঞান প্রবর্তক এবং লেখক।

১৯৬২ – মানো মেনেজেস, ব্রাজিলীয় সাবেক ফুটবলার ও কোচ।

১৯৬৯ – পিটার ডিংকলেজ, মার্কিন অভিনেতা ও প্রযোজক।

১৯৭৮ – ড্যারিল টাফি, সাবেক ও প্রথিতযশা নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৮৬ – মিচেল ম্যাকক্লেনাগান, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – রিচমন্ড মুতুম্বামি, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার।

১৯৯১ – স্তাফানি টেলর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার।

১৮৮৫ – উকিল মুন্সী, বাংলাদেশী বাঙালি গীতিকবি।

১৮৯৭ – রামপ্রসাদ বিসমিল, মণিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী।

১৮৯৯ – নোবেলজয়ী (১৯৬৮) জাপানি সাহিত্যিক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতা।

১৫৭২ – বেন জনসন, ইংরেজ নাট্যকার, কবি এবং সাহিত্য সমালোচক।

খ্রিস্টপূর্ব ৩২৩ – মহান আলেকজান্ডার, গ্রীক বীর ও সম্রাট।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৭ – বাংলাদেশে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ভয়াবহ প্লাবন ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনায় কমপক্ষে ৮৪ জন নিহত হয়েছিল।

২০১৭ – চট্টগ্রামসহ রাঙামাটি ও বান্দরবানে দুই দিনের টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় কমপক্ষে ১২৫ জন নিহত হয়েছিল।

১৯৪২ – সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৬৩ – রাজা পলের ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রতিবাদে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কনস্টান্টিন কারমানসিসের পদত্যাগ।

১৯৮১ – ইরানে ভূমিকম্পে দেড় হাজার লোক নিহত ।

১৯৯১ – নোবেল শান্তি পুরস্কার ভূষিত মাদার তেরেসা বাগদাদ সফরে যান।

১৮৪৬ – মৌলবি ফরিদ উদ্দিন খাঁর সম্পাদনায় বহুভাষিক সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘জগদুদ্দীপক ভাস্কর’ প্রকাশিত হয়।

১৮৫৫ – বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের মাধ্যমে সূর্য রশ্মির বিভাজন আবিষ্কার হয়।

১৭২৭ – দ্বিতীয় জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত।

১৭৬০ – মহীশুরের নবাব হায়দার আলির সঙ্গে ব্রিটিশদের যুদ্ধ শুরু হয়।

১৭৮৮ – রাশিয়ার অভিযাত্রী গেরাসিম ইসমাইলভ আলাস্কায় পৌঁছেন।

খ্রিস্টপূর্ব ১১৮৪ – ইরাথোস থেনিস হিসাব অনুসারে ট্রোজান যুদ্ধে ট্রয় নগরীকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

১৪২৯ – ইয়ারগু যুদ্ধের মাধ্যমে শত বছরের যুদ্ধ (হানড্রেড ইয়ার্স ওয়ার) শুরু হয়।

১৪৮৮ – চতুর্থ জেমস স্কটল্যান্ডের রাজা নিযুক্ত।

১৫০৯ – ক্যাথরিনকে ইংল্যান্ডের রাজা ৮ম হেনরির বিয়ে করেন।

১৫০৯ – ক্যাথরিনকে ইংল্যান্ডের রাজা ৮ম হেনরির বিয়ে করেন।

১৪২৯ – ইয়ারগু যুদ্ধের মাধ্যমে শত বছরের যুদ্ধ (হানড্রেড ইয়ার্স ওয়ার) শুরু হয়।

১৪৮৮ – চতুর্থ জেমস স্কটল্যান্ডের রাজা নিযুক্ত।

খ্রিস্টপূর্ব ১১৮৪ – ইরাথোস থেনিস হিসাব অনুসারে ট্রোজান যুদ্ধে ট্রয় নগরীকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ – টিমোথি ম্যাকভেই, আমেরিকান সন্ত্রাসী।

২০০৫ – ভাস্কো গনসালভস পর্তুগালের ১০৩তম প্রধানমন্ত্রী।

২০১৫ – রন মুডি, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, সুরকার এবং লেখক।

২০১৬ – ডোনাল্ড কার, জার্মান বংশোদ্ভূত ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯০৩ – সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার ও রানী দ্রাগা বেলগ্রেডে আততায়ীর হাতে নিহত।

১৯২৭ – উইলিয়াম অ্যাটওয়েল, ইংরেজ সাবেক ঘরোয়া ক্রিকেটার।

১৯২৮ – শৈলেশ্বর বসু, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।

১৯৩৬ – আমেরিকার লেখক রবার্ট ই. হাওয়ার্ড।

১৯৬২ – ছবি বিশ্বাস, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

১৯৭০ – লীলা নাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী।

১৯৭৯ – জন ওয়েন, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা।

১৯৯৭ – মিহির সেন, বাঙালি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দূরগামী সাঁতারু।

১৮৫৯ – ক্লেমেন্স ভন মেটরনিখ, অস্ট্রীয় সাম্রাজ্য-এর বিদেশমন্ত্রী।

১৮৬০ – রামকমল ভট্টাচার্য, সংস্কৃত পণ্ডিত, গ্রন্থকার এবং লেখক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১০ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১০ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৮১ – আলবি মরকেল, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – ডেভিড মিলার, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – আলেক্সান্দ্রা স্তান, রোমানীয় সঙ্গীত শিল্পী এবং সঙ্গীত লেখক।

১৯১৫ – সল বেলো, কানাডীয়-আমেরিকান লেখক।

১৯১৮ – ফররুখ আহমদ, বাঙালি কবি।

১৯২২ – জুডি গারল্যান্ড, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী ছিলেন।

১৯৪২ – আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান: বাংলাদেশ) একজন শহীদ ছাত্রনেতা।

১৯৫৫ – প্রকাশ পাডুকোন, ভারতের অন্যতম ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়।

১৯৬০ – নন্দমুরি বলকৃষ্ণ, ভারতের তেলুগু চলচ্চিত্র শিল্পের একজন অভিনেতা।

১৯৬৫ – এলিজাবেথ হার্লি, ইংরেজ অভিনেত্রী ও মডেল।

১৯৭২ – এরিক উপশান্ত, শ্রীলঙ্কান সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৮৩২ – নিকোলাস অটো, জার্মান প্রকৌশলী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০১- মিডিয়া সম্রাট সিলভিও বালুসকনি দ্বিতীয়বারের মতো ইতালির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

১৯০৫- অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে বঙ্গীয় শিল্পকলা তথা বেঙ্গল স্কুল অব আর্ট গঠিত হয়।

১৯১৬ – হুসাইন বিন আলি উসমানীয় সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে আরব বিদ্রোহের ঘোষণা দেন।

১৯২৬- তুরস্কে সর্বশেষ জানেসারী বিপ্লবের সূচনা।

১৯৪০- ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইতালির যুদ্ধ ঘোষণা।

১৯৪০- উইনস্টন চার্চিল তার নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

১৯৭২- ভারতের প্রথম তাপানুকূল যাত্রীবাহী জাহাজ হর্ষবর্ধনের সমুদ্রযাত্রা।

১৮৮১- রাশিয়ার বিখ্যাত লেখক কাউন্ট লিও তলস্তয় চাষির ছদ্মবেশে একটি মঠের দিকে তীর্থযাত্রা শুরু করেন।

১৮৯০ – আজকের দিন রবিবার ছিল। এদিন থেকেই ভারতে সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার নির্ধারিত হয় এবং এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।

১৭৫২- বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বজ্র থেকে বিদ্যুৎ আহরণ করতে সক্ষম হন।

১৭৯০- ইংরেজ সেনাবাহিনী মালয় নামে পরিচিত বর্তমানকালের মালয়েশিয়ার ওপর হামলা চালায়।

১৬১০- গ্যালিলিও শনি গ্রহের দ্বিতীয় চক্র আবিষ্কার করেন।

১১৯০ -তৃতীয় ক্রুসেড: প্রথম ফ্রেডেরিক বারবারোসা জেরুজালেমের দিকে একটি বাহিনীর নেতৃত্ব দেয়ার সময় গোকসু নদীতে ডুবে যান।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০০ – (ক) হাফেজ আল-আসাদ, সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

(খ) – ব্রায়ান স্ট্যাদাম, ইংলিশ ক্রিকেটার।

২০০১ – লেইলা পাহলভি, ইরানের রাজকন্যা।

২০১৪ – গ্যারি গিলমোর, প্রখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

২০১৯ – গিরিশ কারনাড, ভারতীয় ভাষাবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

২০২১ – বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি কবি ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯০২ – জ্যাসিন্ট ভার্ডাগুয়ের, কাতালান কবিদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি।

১৯২৬ – অ্যান্টনি গাউদি, স্প্যানিশ কাতালান স্থপতি ছিলেন।

১৯৪৮- বাঙালি লেখক অতুলচন্দ্র সেন।

১৯৪৯ – সিগ্রিড উন্ড্‌সেট, নরওয়ান ঔপন্যাসিক।

১৯৫১ – এস ওয়াজেদ আলি, বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৬৫ – অতীন্দ্রনাথ বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী।

১৯৬৭ – স্পেন্সার ট্রেসি, মার্কিন অভিনেতা।

১৯৮২ – রাইনার ভের্নার ফাসবিন্ডার, পশ্চিম জার্মান চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা এবং নাট্যকার।

১৯৮৭ – এলিজাবেথ হার্টম্যান, মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৯৩ – বিশিষ্ট বাঙালি বিজ্ঞানী ও চিকিৎসক সুধীরনাথ সান্যাল।

১৯৯৬ – জো ভ্যান ফ্লিট, আমেরিকান অভিনেত্রী।

১৮৩৬ – অঁদ্রে-মারি অম্পেয়্যার, ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৬৮- সার্বিয়ার রাজা তৃতীয় মাইকেল।

১৮৭৭ – বাংলার অগ্রগণ্য সমাজপতি মহারাজা রমানাথ ঠাকুর।

১১৯০- রোম সম্রাট ফ্রেডরিক বারবারোসা।

৭৫৪ – আস-সাফাহ, প্রথম আব্বাসীয় খলিফা।

৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দ – মহান আলেকজান্ডার, প্রাচীন গ্রিক রাজ্য শাসনকারী আর্গিয়াদ রাজবংশের একজন রাজা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৯ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৯ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) আর্ন্তজাতিক আর্কাইভস দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৫ – লেস পল, মার্কিন জ্যাজ, কান্ট্রি এবং ব্লুজ গিটারবাদক, গীতিকার এবং আবিষ্কারক।

১৯১৬ – রবার্ট ম্যাকনামারা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।

১৯৩১ – নন্দিনী শতপতি, একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং লেখক ছিলেন।

১৯৪৯ – কিরণ বেদি, অবসরপ্রাপ্ত ভারতীয় পুলিশ পরিষেবা কর্মকর্তা এবং সামাজিক কর্মী।

১৯৬৩ – জনি ডেপ, মার্কিন অভিনতা, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং সুরকার।

১৯৭৫ – অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস, ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৭৭ – উসমান আফজাল, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৭৮ – মিরোস্লাভ ক্লোসা, জার্মান ফুটবলার।

১৯৮১ – ন্যাটালি পোর্টম্যান, ইসরায়েলী-মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৮৪ – মাসুদ শোজেই, ইরানি ফুটবলার।

১৯৮৪ – ওয়েসলি স্নাইডার, ডাচ ফুটবলার।

১৯৮৫ – সোনম কাপুর, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯৮৭ – মুশফিকুর রহিম, বাংলাদেশী ক্রিকেটার।

১৮৩৬ – ইংল্যান্ডের প্রথম নারী মেয়র এলিজাবেথ গ্যারেট অ্যান্ডারসন।

১৮৪৩ – বের্টা ফন জুটনার, অস্ট্রীয় ঔপন্যাসিক এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রথম নারী কবি।

১৮৭৫ – হেনরি ডেল, ইংরেজ ওষুধবিজ্ঞানী ও শারীরতত্ত্ববিদ।

১৭৮১ – জর্জ স্টিফেনসন, বৃটিশ প্রকৌশলী ও লোকোমোটিভ আবিষ্কারক।

১৬৪০ – রোমান শাসক লিওপড।

১৬৭২ – রাশিয়ার প্রথম পিটার, ১৬৮২ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাশিয়া শাসন করেন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৫ – আমেরিকান গিটারিস্ট ‘লিস পল’ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ইলেক্ট্রিক গিটারের বর্তমান রূপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

১৯২৪ – বুলগেরিয়ায় সামরিক অভ্যুত্থানে জনপ্রিয় সংস্কারবাদী আলেঙ্গান্দার নিহত এবং তার সরকার উৎখাত।

১৯৩১ – প্রথম ডোনাল্ড ডাক কার্টুন প্রদর্শিত হয়।

১৯৪০ – নরওয়ে জার্মানির কাছে আত্মসমর্পণ করে।

১৯৫৬ – আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ৪০০ জনের মৃত্যু হয়।

১৯৫৭ – ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি ইডেন পদত্যাগ করেন।

১৯৬০ – চীনে টাইফুন মেরি আঘাত হানে। এক হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়।

১৯৬৭ – ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের পর মিসরের প্রেসিডেন্ট কামাল আবদেল নাসেরের পদত্যাগ।

১৯৭৩ – স্পেনে এডমিরাল রানেকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন।

১৭৫২ – ভারতের ত্রিচিনোপলিতে ইংরেজদের কাছ ফরাসি সৈন্যরা আত্মসমর্পণ করে।

১৫৩৫ – স্পেনীয় সৈন্যবাহিনী ল্যাতিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে দখল করে। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে ২৭৬ বছরের স্পেনীয় ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা হয়।

৬৮ – রোমান সম্রাট নিরো আত্মহত্যা করেন।

৫৩ – রোমান সম্রাট নিরো ক্লডিয়া অক্টাভিয়াকে বিয়ে করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১১ – মকবুল ফিদা হুসেন, ভারতের জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী।

২০১২ – ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম প্রথম সম্পাদক আনন্দ বাগচী।

২০১৫ – হেমন্ত কানিদকর, ভারতীয় ক্রিকেটার।

২০২২ – ম্যাট জিমারম্যান, কানাডিয়ান অভিনেতা।

১৯০০ – বিরসা মুন্ডা, ভারতের রাঁচি অঞ্চলের মুন্ডা আদিবাসী ও সমাজ সংস্কারক।

১৯৫৮ – রবার্ট ডোনাট, ইংরেজ চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা।

১৯৫৯ – এডলফ অটো রিনহোল্ড উইনদস, নোবেলজয়ী জার্মান রসায়ন বিজ্ঞানী।

১৯৬৮ – বঙ্কিমচন্দ্র সেন, বাঙালি সাংবাদিক ও দেশ (পত্রিকা)র সম্পাদক।

১৯৮৯ – জর্জ ওয়েলস বিডেল, মার্কিন জিনবিজ্ঞানী।

১৮৩৪ – উইলিয়াম কেরী, বৃটিশ খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক ও বাংলা গদ্যরীতির প্রবর্তক।

১৮৭০ – চার্লস ডিকেন্স, ঊনবিংশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৮ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৮ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব মহাসাগর দিবস ৷

(খ) আজ আন্তর্জাতিক আল-কুদস দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৩১৮ – রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডের কন্যা ইলিওনা প্ল্যান্টাগ্যানেট।

১৮৯৭ – বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক মণীন্দ্রলাল বসু।

১৯০৪ – বীরেশচন্দ্র গুহ ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি প্রাণরসায়ণ বিজ্ঞানী।

১৯১৬ – ফ্রান্সিস ক্রিক, ইংরেজ পদার্থবিদ, আণবিক জীববিজ্ঞানী এবং স্নায়ুবিজ্ঞানী।

১৯৫৫ – টিম বার্নার্স-লি, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক।

১৯৭৫ – শিল্পা শেঠী, ভারতীয় অভিনেত্রী৷

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

 

২০০২ – বাংলাদেশ পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দেয়।

১৯২৩ – বুলগেরিয়ায় ফ্যাসিস্ট বাহিনী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতায় আসে।

১৯৩০ – রুমানিয়ার রাজা দ্বিতীয় ক্যারালের সিংহাসন পুনর্দখল।

১৯৩৬ – ইন্ডিয়ান স্টেট ব্রডকাস্টিং সার্ভিসের নাম বদলে অল ইন্ডিয়া রেডিও রাখা হয়।

১৯৩৮ – জাপান চীনে বোমা বর্ষণ শুরু করে। চীনে জাপানের এই বোমা বর্ষণ দশ দিন ধরে অব্যাহত ছিল।

১৯৩৯ – ইংল্যান্ডের রাজা ষষ্ঠ জর্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান।

১৯৪৮ – ভারত-ব্রিটেন আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল শুরু।

১৯৪৯ – শ্যাম দেশের নাম বদলে থাইল্যান্ড রাখা হয়।

১৯৫৩ – টর্নেডোতে মিশিগান ও ওহাইয়োতে ১১০ জনের মৃত্যু।

১৯৫৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে পারমাণবিক শক্তিচালিত প্রথম সাবমেরিন তৈরি করে।

১৯৬৩ – আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ধূমপানবিরোধী প্রচার শুরু করে।

১৯৬৮ – বারমুডার সংবিধান গৃহীত হয়।

১৯৬৮ – মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডি আর্লিংটনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।

১৯৭০ – আর্জেন্টিনায় সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখল করে।

১৯৮৮ – নাইজেরিয়ায় একনায়ক সানি আবাচারের আকস্মিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশটিতে গণতন্ত্রের পথ উন্মুক্ত।

১৯৯০ – ৪৪ বছরের মধ্যে চেকোশ্লোভাকিয়ায় প্রথম অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ডাকলাভ হাভেল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

১৯৯১ – পাকিস্তানের ঘোটকিতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১০০ লোক নিহত হয়।

১৯৯২ – ইহুদিবাদী ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ প্যারিসে অবস্থানরত একজন ফিলিস্তিনী নেতাকে হত্যা করে।

১৯৯৫ – সাইপ্রাসে ৯৯% ভোটার পৃথক তুর্কী সাইপ্রিয়ট রাষ্ট্রের পক্ষে রায় দেয়।

১৮৩০ – জার্মান আবিস্কারক কামবোর্জ দিয়াশলাই আবিষ্কার করেন।

১৮৫৫ – পর্তূগালের রাজধানী লিসবনে এক ভয়াবহ ভূমিকম্প হলে সেখানে অগ্নিকাণ্ড ছড়িয়ে পড়ে এবং এর ফলে শহরটির অধিকাংশ স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যায়।

১৭০০ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুতানুটির বদলে ক্যালকাটা লেখা শুরু করে।

১৬২৪ – পেরুতে ভূমিকম্প আঘাত হানে।

১৬৫৮ – পুত্র আওরঙ্গজেব পিতা মোগল সম্রাট শাহজাহানকে ৫ দিন অন্তরীণ রেখে আগ্রা দুর্গ দখল করেন!

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১২ – সুভাষ চৌধুরী বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিক্ষক গবেষক  ও সমালোচক।

১৯৬৯ – হলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা রবার্ট টেলরের মৃত্যু।

১৯৭০ – আব্রাহাম মাসলো, একজন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী।

১৯৯১ – বিমলকৃষ্ণ মতিলাল, বাঙালি দার্শনিক অধ্যাপক ।

১৯৯৮ – সানি আবাচা, নাইজেরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি।

১৮০৯ – টমাস পেইন, বৃটেনের বিখ্যাত লেখক ও দার্শনিক।

১৮৪৫ – এন্ড্রু জ্যাক্‌সন,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম রাষ্ট্রপতি।

৬৩২ – মুহাম্মাদ,ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ ৮ জুন, বিশ্ব মহাসাগর দিবস, জানুন দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব।

বিশ্ব মহাসাগর দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিন যা প্রতি বছর ৮ জুন অনুষ্ঠিত হয়।  ধারণাটি মূলত ১৯৯২ সালে কানাডার ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ওশান ডেভেলপমেন্ট (ICOD) এবং ওশান ইনস্টিটিউট অফ কানাডা (OIC) আর্থ সামিটে – ইউএন কনফারেন্স অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (UNCED) ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে প্রস্তাব করেছিল।  মহাসাগর প্রকল্পটি ২০০২ সালে বিশ্ব মহাসাগর দিবসের বিশ্বব্যাপী সমন্বয় শুরু করে৷ “বিশ্ব মহাসাগর দিবস” আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত হয়েছিল৷ আন্তর্জাতিক দিবসটি বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) বাস্তবায়নকে সমর্থন করে এবং সুরক্ষায় জনস্বার্থকে উৎসাহিত করে৷  সমুদ্র এবং এর সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা।

 

বিশ্ব মহাসাগর দিবস মানুষকে সমুদ্রের গুরুত্ব এবং দৈনন্দিন জীবনে তারা যে প্রধান ভূমিকা পালন করে তা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য স্মরণ করা হয়। জাতিসংঘের মতে, দিবসটি সমুদ্রের উপর মানুষের ক্রিয়াকলাপের প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সমুদ্রের প্রজাতির জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী সমুদ্র এবং সম্পদের টেকসইতাকে উন্নীত করার জন্য সমুদ্র এবং এর সম্পদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি সমুদ্র থেকে মানবজাতির উৎসারিত বিভিন্ন সম্পদ, সেইসাথে সমুদ্র যে বিভিন্ন হুমকির সম্মুখীন হয় তা তুলে ধরার উদ্দেশ্য।

 

গোটা বিশ্বে সমুদ্র ও উপকূলবর্তী এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণিজগত আজ বিপন্ন প্রায়। অথচ পৃথিবীতে মানব জাতির টিকে থাকার অন্যতম চাবিকাঠি হল সাগর। খাদ্য, ওষুধসহ বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে আমাদের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের একটি বড় অংশ আসে মহাসাগর থেকে। তাছাড়া মহাসাগরগুলো বায়ুমণ্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। কিন্তু মানুষের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জলবায়ুর বৈরী থাবায় মহাসাগরগুলোর প্রতিবেশ ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে এর জীববৈচিত্র্য।

 

আমাদের অক্সিজেনের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা হলো সাগর-মহাসাগর। পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয় এসব সাগর-মহাসাগরকে। সমুদ্রের এই অবদান, আবেদন, প্রয়োজনীয়তা আর উপকারিতাকে স্বতন্ত্রভাবে বিশ্বের সবার সামনে তুলে ধরতে প্রতি বছর ৮ জুন পালন করা হয় বিশ্ব সমুদ্র দিবস।দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, সাগর-মহাসাগর সম্পর্কে মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে তোলা। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জোয়ার পরিবর্তনে স্পন্দন হারাচ্ছে সমুদ্র’  -২০২৩।

 

ইতিহাস—

 ১৯৮৭-১৯৯২

Brundtland Commission (এছাড়াও বিশ্ব কমিশন অন এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামে পরিচিত) ১৯৮৭ Brundtland রিপোর্টে উল্লেখ করেছে যে অন্যান্য সেক্টরের তুলনায় সমুদ্র সেক্টরে একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বরের অভাব রয়েছে।
১৯৯২ সালে প্রথম বিশ্ব মহাসাগর দিবসে, উদ্দেশ্যগুলি ছিল সমুদ্রকে আন্তঃসরকারি এবং এনজিও আলোচনা এবং নীতির কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্র এবং উপকূলীয় নির্বাচনী এলাকার কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করা।

 

২০০২-২০০৮

 

বিশ্বব্যাপী সমন্বিত প্রচেষ্টাগুলি The Ocean Project এবং World Ocean Network সহযোগীতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল এবং ইভেন্টের সংখ্যা কয়েক ডজন।  এই সময়ের মধ্যে, www.WorldOceanDay.org চালু হয়েছে, সাগরের প্রোফাইল বাড়াতে এবং আমাদের নীল গ্রহের জন্য যুক্ত হওয়ার এবং একটি পার্থক্য করার সুযোগ দেওয়ার সুযোগের প্রচারে সহায়তা করতে।  ওয়েবসাইটটি ইভেন্ট সংগঠকদের তাদের সম্প্রদায়গুলিতে সাহায্য করার উপায়গুলি প্রদান করে এবং শিক্ষামূলক এবং কার্যকরী সংস্থান, ধারণা এবং সরঞ্জামগুলির প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সম্পৃক্ততা তৈরি করে, সর্বদা প্রত্যেকের জন্য তারা যে কোনও উপায়ে বিশ্ব মহাসাগর দিবস উদযাপন করতে ব্যবহার করার জন্য বিনামূল্যে।  ২০০৪ সালে, The Ocean Project এবং World Ocean Network চালু করেছে “আমাদের মহাসাগর গ্রহের জন্য একটি পার্থক্য করতে সাহায্য করুন!”  ৮ জুনকে বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের কাছে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করার জন্য অনলাইন এবং ব্যক্তিগত উভয় সুযোগের সাথে।  ডিসেম্বর ২০০৮ সালে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসটিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি ঘোষণা পাস করে।

 

বার্ষিক থিম—

 

জাতিসংঘ দিবসটির জন্য নিম্নলিখিত বার্ষিক থিমগুলি বেছে নিয়েছে:

২০০৯: “আমাদের মহাসাগর, আমাদের দায়িত্ব”

২০১০: “আমাদের মহাসাগর: সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ”

২০১১: “আমাদের মহাসাগর: সবুজ আমাদের ভবিষ্যত”

২০১২: “UNCLOS @ 30” — United Nations Convention on the Law of the Sea (UNCLOS)

২০১৩: “মহাসাগর এবং মানুষ”

২০১৪: “সমুদ্রের স্থায়িত্ব: আসুন একসাথে নিশ্চিত করি যে মহাসাগরগুলি ভবিষ্যতে আমাদের টিকিয়ে রাখতে পারে”

২০১৫: “স্বাস্থ্যকর মহাসাগর, স্বাস্থ্যকর গ্রহ”

২০১৬: “স্বাস্থ্যকর মহাসাগর, স্বাস্থ্যকর গ্রহ ⁠- একটি টেকসই গ্রহের জন্য ভ্রমণ: হোকুলে’র আগমন”

২০১৭: “আমাদের মহাসাগর, আমাদের ভবিষ্যত”

২০১৮: “আমাদের মহাসাগর পরিষ্কার করুন!”

২০১৯: “লিঙ্গ এবং মহাসাগর”

২০২০: “টেকসই মহাসাগরের জন্য উদ্ভাবন”

২০২১: “The Ocean: Life & Livelihoods”

২০২২: “পুনরুজ্জীবন: মহাসাগরের জন্য যৌথ কর্ম”

২০২৩: “প্ল্যানেট ওয়াসেন: জোয়ার পরিবর্তন হচ্ছে।

 

বিশ্বের খাদ্য ও ওষুধের অন্যতম ভাণ্ডার এই মহাসাগর। ফলে যেভাবেই হোক রক্ষা করতেই হবে সমুদ্রকে। পৃথিবীর মোট ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ জুড়ে রয়েছে মহাসাগর। পৃথিবীর প্রায় ৯৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি বাস করে সমুদ্রের নীচে!মহাসাগরগুলি পৃথিবীর প্রায় ৭০ শতাংশ অক্সিজেন উৎপাদন করে। কারণ সমুদ্রের নীচে থাকা সামুদ্রিক প্রজাতিই এই অক্সিজেন উৎপাদন করে।

 

তাই বিশ্বের পরিবেশ সুরক্ষার কাজে মহাসাগরের অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে মহাসাগরের তুলনা নেই। আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবসে যাতে আমরা মহাসাগরের গুরুত্ব আরো বেশি করে উপলব্ধি করতে পারি সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার একটি বিশেষ দিন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব, জানুন।

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে খাদ্য। সেই খাদ্যকে গুরুত্ব দিতেই ৭ জুনকে বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়  যাতে খাদ্যজনিত ঝুঁকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনা এবং মানব স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।এই বছরের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস ২০২৩-এর থিম হল “খাদ্য মান জীবন বাঁচায়।”  বেশির ভাগ মানুষই তাদের খাদ্য নিরাপদ কিনা তা জানার জন্য ভোগ্য সামগ্রীর প্যাকেজিংয়ের তথ্যের উপর নির্ভর করে। এই খাদ্য নিরাপত্তা মানগুলি কৃষক এবং যারা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করে তাদের গাইড করে।  সংযোজন, দূষক, কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ এবং পশুচিকিত্সা ওষুধের পরিমাণ যা আমাদের দ্বারা নিরাপদে সেবন করা যায়, পরিমাপ করা, প্যাকেজিং এবং পরিবহন করা যায়, সেগুলিও এই মানগুলির অধীনে নির্ধারিত হয়৷ পুষ্টি এবং অ্যালার্জেনের লেবেলগুলি গ্রাহকদের একটি জ্ঞাত সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে৷

WHO প্রতি বছরের বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের থিম ঘোষণা করে বিশ্বব্যাপী অংশগ্রহণকে অনুপ্রাণিত করার জন্য সংগঠিত প্রচারাভিযান চালু করেছে। নিরাপদ খাদ্য সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গ্যারান্টারগুলির মধ্যে একটি।  অনিরাপদ খাবার অনেক রোগের কারণ এবং অন্যান্য খারাপ স্বাস্থ্যের অবস্থার জন্য অবদান রাখে, যেমন প্রতিবন্ধী বৃদ্ধি এবং বিকাশ, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি, অসংক্রামক বা সংক্রামক রোগ এবং মানসিক অসুস্থতা।  বিশ্বব্যাপী, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন খাদ্যবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়।  ক্যাম্পেইনটি বেশিরভাগ খাদ্যবাহিত রোগ প্রতিরোধ করার জন্য একটি টেকসই পদ্ধতিতে উন্নত স্বাস্থ্য সরবরাহ করার জন্য খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়।  খাদ্য ব্যবস্থার নীতি-নির্ধারক, অনুশীলনকারী এবং বিনিয়োগকারীদের স্বাস্থ্যের ফলাফলের উন্নতির জন্য নিরাপদ খাদ্যের টেকসই উৎপাদন এবং ব্যবহার বাড়ানোর জন্য তাদের কার্যক্রম পুনর্বিন্যাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর ইতিহাস–

 

কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশন (সিএসি), যা এফএও/ডব্লিউএইচও ফুড স্ট্যান্ডার্ড প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে, ২০১৬ সালে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উদযাপনের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করে। এক বছর পরে, জুলাই মাসে, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সম্মেলন।  এর ৪০ তম অধিবেশন ডব্লিউএইচও দ্বারা সমর্থিত একটি রেজোলিউশন গ্রহণ করে ধারণাটিকে সমর্থন করেছে।
অবশেষে, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮ তারিখে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ তার রেজোলিউশন ৭৩/২৫০ দ্বারা বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস প্রতিষ্ঠা করে।  আরও, বিশ্ব স্বাস্থ্য পরিষদ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্যজনিত অসুস্থতা প্রতিরোধ এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সর্বাত্মক সচেতনতা সৃষ্টির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ হিসেবে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতে এবং তুলে ধরার জন্য 3 আগস্ট, ২০২০ তারিখে WHA73.5 রেজুলেশন পাস করে।  খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা জোরদার করা।

 

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস এর তাৎপর্য—

 

আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি খাদ্যে কীটনাশক, রাসায়নিক এবং সংযোজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করেছে যা নিয়ন্ত্রিত না হলে ভোক্তাদের ক্ষতি করবে।  পানি দূষণও একটি বড় সমস্যা।  বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস নিশ্চিত করে যে সমস্ত ভোক্তাদের জন্য সর্বোত্তম স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে খাদ্যের মান মেনে চলা হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়। এ কারণে প্রতিবছর মারা যায় ৪ লাখ ৪২ হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশই খাবারজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রাণ হারায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।
পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। তাই প্রতি বছর খাদ্যজনিত সমস্যায় প্রায় ৬ কোটি মানুষ অসুস্থতায় ভোগেন। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতরকণ বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খাদ্যজনিত অসুস্থতা সাধারণত সংক্রামক ও বিষাক্ত পদার্থের কারণে হয়ে থাকে। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী ও নানা রাসায়নিক পদার্থের কারণে খাদ্য অনিরাপদ হয়ে পড়ে। আর, এই অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে রোগ জীবাণু ও দূষিত পদার্থ, যা অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।

পরিবেশ দূষণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জমির মাটি ও ফসল। একই সাথে দূষিত পদার্থ প্রবেশ করছে শস্যের মাঝে।   পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কমে গেছে জীববৈচিত্র্য। অর্থাৎ, ফসলের জন্য উপকারী কীটপতঙ্গ কমে গেছে, বেড়েছে কিছু ক্ষতিকর পতঙ্গ। যার ফলে ব্যবহৃত হচ্ছে পতঙ্গনাশক ও রাসায়নিক সার। যা পরোক্ষ ভাবে আমাদের ই শরীরে প্রবেশ করছে। এতে মানুষের শরীরে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হচ্ছে না।

 

তাই মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনিরাপদ খাদ্য সৃষ্টি করে নানা রকম রোগ-বালাই ও দুর্বল দেহ। যেমন, শিশুর দুর্বল বা অক্ষম হয়ে বেড়ে ওঠা, পুষ্টির অভাব, সংক্রামক কিংবা অসংক্রামক রোগের সৃষ্টি এবং মানসিক অসুস্থতা।

তাই প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) উদ্যোগে ৭ই জুন পৃথিবীব্যাপী দিবসটি পালন করা হচ্ছে। খাদ্যজনিত রোগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ, চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ ও তার ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এই দিনটি আয়োজিত হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

“বিশ্ব পরিবেশ দিবস” সম্পর্কে দুটি কথা : কলমেঃ দিলীপ রায় (+৯১ ৯৪৩৩৪৬২৮৫৪)।

“আজ বাঁচাও সবুজ, জাগাও সবুজ,
ঘোচাও হিংসার রেশ
মনের সবুজ বাঁচলে তবেই
বাঁচবে এ পরিবেশ ।“

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের তাৎপর্য হলো, দিবসটি বিশ্বের বা একটি নির্দিষ্ট দেশের সম্মুখীন পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা সৃষ্টি করতে পালন করা ।
প্রথমেই আমরা জেনে নিই, পরিবেশ কাকে বলে । উদ্ভিদ, মানুষ যে পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে জীবন যাপন করে এবং যে দৃশ্য ও অদৃশ্য উপাদান মানুষের জীবন জীবিকার উপর প্রভাব বিস্তার করে — সম্মিলিতভাবে তাকে পরিবেশ বলে ।
মানুষের চারিদিকে যে প্রাকৃতিক ও মানবিক স্পর্শ রয়েছে যাদের ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব সম্ভব নয়, সেসব বিষয়গুলিকে একত্রিতভাবে বলা হয় পরিবেশ ।
সোজা কথা – আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তাই আমাদের পরিবেশ । অর্থাৎ মাটি, জল, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু, ইত্যাদি আমাদের পরিবেশ । পরিবেশ সম্পর্কে মাসটন বেটস্‌ বলেছেন, “পরিবেশ হলো সেসব বাহ্যিক অবস্থার সমষ্টি যা জীবনের বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে ।“
এবার দিবসটির ইতিহাসের দিকে নজর দেওয়া যাক । ১৯৬৮ সালের ২০শে মে জাতিসংঘের অর্থনীতি ও সামাজিক পরিষদের কাছে একটি চিঠি পাঠায় সুইডেন সরকার । চিঠির বিষয়বস্তু ছিল প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ সম্পর্কে তাঁদের গভীর উদ্বেগের কথা । সে বছরই জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি সাধারণ অধিবেশনের আলচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা হয় । পরের বছর জাতিসংঘের পক্ষ থেকে পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সমাধানের উপায় খুঁজতে সদস্য রাষ্ট্রগুলীর সম্মতিতে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে ১৯৭২ সালে ৫ থেকে ১৫ জুন জাতিসংঘের মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনটি ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের স্বীকৃতি পায় । ১৯৭৪ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ই জুনকে জাতিসংঘ “পরবেশ দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে । বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস । প্রতি বছর ৫ জুন ‘পরিবেশ’ দূষণের হাত থেকে এ বিশ্বকে বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে । বিশ্ব পরিবেশ দিবস প্রতি বছর ৫ই জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস ।
প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিকমতো বজায় রেখে মানুষ যাতে এই পৃথিবীর বুকে অন্যান্য সমস্ত জীবের সাথে একাত্ম হয়ে এক সুন্দর পরিবেশে বেঁচে থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করাই বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল উদ্দেশ্য ।
এবার আসছি পরিবেশবিদরা কী বলছেন ? বিভিন্ন পরিবেশবিদরা বলছেন, পর্যাপ্ত গাছের অভাবে জলের বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে গেছে, এর ফলে এখানে মাইক্রোক্লাইমেট তথা আশেপাশের এলাকা থেকে ভিন্ন জলবায়ু পরিস্থিতি বিরাজ করছে । গাছ না লাগালে আগামী ২০বছর পর এখানে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে ।
অনেক পরিবেশবিদরা বলছেন, গাছ মূলত ‘বাষ্পমোচন ও ঘনীভবন’ — এই দুটি প্রক্রিয়ায় বৃষ্টি আনতে সাহায্য করে । গাছ তার শোষিত জলের ১০ শতাংশ সালোকসংশ্লেষণে ব্যবহার করে । আর বাকী ৯০ শতাংশই প্রকৃতিতে বাষ্পমোচন করে দেয় । এতে বাতাসে ভাসমান জলীয়কণার পরিমান বাড়ে, যা বৃষ্টির প্রধান উপাদান । বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এখন গাছও কম, তাই বৃষ্টি কম ।
“দূষণ মুক্ত সবুজ পৃথিবী গড়তে
গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান ।“
এখানে একটি ঘটনার উল্লেখ না করে পারলাম না । জানেন কি, এক টাকাও খরচ না করে দেশের স্বচ্ছতম নদীর তকমা পেয়েছে মেঘালয়ের এক পাহাড়ি নদী । শুধুমাত্র স্থানীয় মানুষের সচেতনতার ফল । মেঘালয়ের পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় জেলায় অবস্থিত ছোট্টো পরিচ্ছন্ন এবং তকতকে শহর ডাউকি । ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত ডাউকি কিন্তু দেশের আর পাঁচটা সীমান্তের মতো সবসময় উত্তপ্ত থাকে না । পরিবেশ যেন সর্বদাই মনোরম। যদিও সেনা টহল সবসময় । ডাউকির কাছেই অবস্থিত এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং । ডাউকির সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হল উমঙ্গট নদী ।
অথচ গঙ্গা দূষণ রোধে ও পরিবেশ রক্ষায় না জানি ভারত সরকার কত হাজার কোটি টাকা খরচ করে যাচ্ছে ! অথচ ফল কী হচ্ছে, আজও মানুষেরা অজানা !
এবছরের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম – প্লাস্টিক-দূষণ মোকাবিলার পথ সন্ধান করা । ২০২৩ সালের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে ।“ দিবসের স্লোগান নির্ধারন হয়েছে, “সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ ।“ দেশের সুশীল নাগরিক সমাজও পরিবেশ দিবসের স্লোগানের সাথে সামিল হন, আবেদন রইলো । (তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)
——-০———–

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩ জুন, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩ জুন। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব সাইকেল দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৬০ – কার্ল রেকেম্যান, সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৬৬ – ওয়াসিম আকরাম, সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯৬৮ – সাফ্রন, ইংরেজ গায়িকা।

১৯৮২ – ইয়েলেনা ইসিনবায়েভা, ভলগোগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী রাশিয়ার বিখ্যাত প্রমিলা পোল ভল্টার।

১৯৮৫ – উকাশ পিশ্চেক, পোল্যান্ডের একজন পেশাদার ফুটবলার।

১৯৮৬ – রাফায়েল নাদাল, স্পেনের একজন পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৯১ – উকাশ তেওদোর্চেক, পেশাদার ফুটবলার।

১৯৯২ – মারিও গোটজে, জার্মান ফুটবলার।

১৮৯১ – ভারতীয় বাঙালি বিপ্লবী ও কমিউনিস্ট নেতা অবনীনাথ মুখোপাধ্যায়।

১৯০৬ – জোসেফিন বেকার, আমেরিকান বংশদ্ভুত ফ্রেন্স নৃত্যশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেত্রী।

১৯০৬ – ওয়াল্টার রবিন্স, ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ফুটবলার।

১৯১০ – পলেট গডার্ড, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং মডেল।

১৯১১ – এলেন কর্বি, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯১৯ – ছায়া দেবী(চট্টোপাধ্যায়), প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী।

১৯২০ – অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার, বিশিষ্ট অধ্যাপক, গবেষক ও পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি’র ভূতপূর্ব সভাপতি।

১৯২৪ – করুণানিধি মুথুবেল, ভারতীয় রাজনীতিক এবং তামিলনাড়ুর সাবেক মুখ্যমন্ত্রী।

১৯২৫ – টনি কার্টিস, মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯২৬ – অ্যালেন গিন্সবার্গ, মার্কিন কবি এবং লেখক।

১৯২৮ – জন রিচার্ড রিড, সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।

১৯৩১ – রাউল কাস্ত্রো, কিউবার রাষ্ট্রপতি এবং ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই।

১৭২৩ – জিওভান্নি আন্তোনিও স্কোপোলি, তাইরলীয় চিকিৎসক ও প্রকৃতিবিদ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

 

২০০০ – মন্টেনিগ্রো কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা।

২০১০ – রাজধানী ঢাকার নিমতলি মহল্লায় অগ্নিকাণ্ডে ১১৭ জনের মৃত্যু হয়।

১৯১৫ – ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করে।

১৯৩৬ – অবিভক্ত ভারতের সিভিলিয়ান রেডিওর নাম পরিবর্তন করে অল ইন্ডিয়া রেডিও নামকরণ।

১৯৪০ –  (ক) ব্যাটল্‌ অব ডানকার্ক।

(খ)  – জার্মান বিমানবাহিনী ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে।

(গ) – সিঙ্গাপুর বৃটিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৪৬ – ভারতের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক নেতারা ব্রিটিশ সরকার প্রস্তাবিত ভারত বিভাজন প্রস্তাব মেনে নেন।

১৯৪৭ – বৃটিশ সরকার ভারত বিভাগের পরিকল্পনা প্রকাশ করেন।

১৯৪৯ – আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৯ – ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক মুহম্মদ আবদুল হাই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত হন।

১৯৭১ – জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে হানাদার বাহিনীর অত্যাচার মানব ইতিহাসের সর্বাধিক বিষাদময় ঘটনা।

১৯৭৮ – বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিয়াউর রহমান বিজয় লাভ করে।

১৯৮৪ – ভারত সরকার শিখদের পবিত্র হরমন্দির সাহিব দখলের জন্য অপারেশন ব্লু স্টার শুরু করে; এটি ৮ জুন পর্যন্ত পরিচালিত হয়।

১৯৮৯ – চীন সরকার তিয়েনআনমেন স্কয়ার থেকে অবরোধকারীদের বিতারণের জন্য সেনা প্রেরণ করে।

১৯৯৯ – যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোভেদান মিলোশোভিচ কোসভো থেকে সৈন্য সরিয়ে নিতে সম্মত হয়।

১৭৮৯ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় লবণ উৎপাদন নিষিদ্ধ করে।

১৬৬৫ – ডিউক অব ইয়র্ক জেমস স্টুয়ার্ট ওলন্দাজ নৌ-রণতরীকে পরাজিত করেন।

১৬৬৫ – লোয়েস্টফটের যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে ওলন্দাজদের পরাজয়।

১৫০২ – পর্তুগীজ নৌ অভিযাত্রী ভাস্কো-দা-গামা ভারতের কালিকট বন্দরে এক নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলো।

১০৯৮ – খ্রিস্টানদের এন্টিয়ক দখল। ১৩ হাজার মুসলমানকে হত্যা।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০১ – অ্যান্থনি কুইন, মার্কিন অভিনেতা।

২০১৪ – প্রবীণ সাংবাদিক বেনজীর আহমেদ।

২০১৫ – সত্যজিৎ রায়ের স্ত্রী বিজয়া রায়।

২০১৬ – মোহাম্মদ আলী, মার্কিন বক্সার।

২০২০ – বলিউডের বিশিষ্ট গীতিকার আনোয়ার সাগর।

১৯০৮ – গোপাল সেনগুপ্ত, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

১৯২৪ – ফ্রান্‌ৎস কাফকা, জার্মান ও চেক উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।

১৯৬১ – কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষিবিজ্ঞানী,শিক্ষাবিদ ও লেখক।

১৯৬৩ – (ক)  নাজিম হিকমত, তুর্কি কবি এবং লেখক।

(খ) – ধর্মগুরু ত্রয়োদশ পোপ জনের মৃত্যু।

১৯৬৯ – মুহম্মদ আবদুল হাই, বাংলা ভাষার ধ্বনিবিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক।

১৯৭৭ – আর্চিবাল্ড ভি. হিল, ইংরেজ শারীরতত্ত্ববিদ।

১৯৭৫ – এইসাকু সাতো, জাপানী রাজনীতিবিদ।

১৯৮৪ – ঐতিহাসিক আবু মহামেদ।

১৯৮৭ – রুহুল্লাহ্‌ খামেনেই, ইরানি ধর্মীয় নেতা ও রাজনীতিবিদ।

১৯৯০ – রবার্ট নয়েস, আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানী এবং ইন্টেল কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

১৬৫৭ – উইলিয়াম হার্ভে, ইংরেজ চিকিৎসক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This