Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

সপ্তাহের কয়েকটা দিন একদম নির্জনে কাটাতে চাইলে ঘুরে আসুন অহলদারা।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে।

 

আপনি কি কখনো পাহাড়ের চূড়ায় থেকেছেন?  একদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য সহ একটি পাহাড়ের চূড়া এবং অন্যদিকে তিস্তা নদী দ্বারা বিভক্ত চা বাগান!  আপনি যদি এখনও পরিদর্শন না করে থাকেন তবে একবার চেষ্টা করে দেখুন।  এটা আপনার ইন্দ্রিয় আপ অনুভব করা যাচ্ছে। মানুষের তৈরি কোনো বস্তু দ্বারা আপনার দৃষ্টি বাধাগ্রস্ত হবে না।  তোমার কান শুনবে বাঁশির হাওয়া, মিস হয়ে গেছে এত বছর ধরে।  আপনি শ্বাস নেবেন যা আপনার পুরো শরীরকে শক্তি দেবে।  শেলপু পাহাড়ের একটি মনোরম পাহাড়ের চূড়া অহলদারা NJP থেকে মাত্র  ২ ঘন্টার দূরত্বে।  এটি কেবল কাঞ্চনজঙ্ঘা র উপর সূর্যোদয়ের চমৎকার দৃশ্য, তাজা অক্সিজেন এবং জৈব খাবারের জন্য উপযুক্ত নয় বরং এটি একটি দুর্দান্ত এবং অবিস্মরণীয় সপ্তাহান্তও তৈরি করে।

এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো অহলদারা।

 

অহালদারার মূল আকর্ষণ হল এখানকার পাহারেরে ৩৬০ ডিগ্রী  ভিউ ও এখান থেকে দেখতে পাওয়া বরফ আশ্রিত কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরুপ দৃশ্য এবং সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত সাথে ঠাণ্ডা হিমেল হাওয়া । আকাশ পরিস্কার থাকলে এই অহলদারা থেকে  কার্শিয়ং, দার্জিলিং, কালিম্পং , চিমনি , প্রভিতি অঞ্চলের পাহাড় ও সমতলে বয়ে চলা তিস্তা নদি ও তরাই দুয়ারস ও অঞ্চল ও দেখতে পারবেন।

 

শিলিগুড়ি থেকে অনতিদুরে সেল্পু হীলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি চুড়া হল Ahalara View Point ।এই পাহাড়ি চুড়াটির একদিকে পাইনের গাছ ও অপর দিকে দিগন্ত বিস্ত্রিত ঢেউ খেলান পাহাড় ও সমতলে বয়ে চলা তীস্তা নদীর  অপরুপ দৃশ্য।

 

এই অহলদারার মূল আকর্ষণ হল এখানকার ৩৬০ডিগ্রি পাহারের ভিউ তার সাথে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত এবং আকাশ পরিস্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার দৃশ্য যা আপনার মনকে প্রফুল্লিত করে তুলবে। পাহাড়ের চুড়াতে অবস্থিত হওয়াতে ও  আশেপাশে কোন কোলাহল না হওয়ার কারনে এখানে বসে প্রকৃতির রুপ উপভোগ করতে করতে ও কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে দেখতে  অনায়াসে দিন কাটিয়ে ফেলতে পারবেন গোটা দিন।

 

অহালদারাতে আপনারা বিভিন্ন প্রজাতির প্রজাপতি ও পাখি ও দেখতে পারবেন, এছাড়া এখানে সিঙ্কনা গাছের চাষ ও হই।
এছাড়াও অহালদারার আশেপাশে দেখতে পারেন…

লাতপাঞ্চার(Latpanchar)–  অহালদারা থেকে মাত্র ৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই লাতপাঞ্চার , এই লাতপাঞ্চার হল পাখি প্রেমি দের জন্য সর্গরাজ্য, এটি Mahananda Wildlife Sanctuary এর একটি পার্ট । এখানে আপনারা দেখতে পাবেন ২৪০ ধরনের বিরল প্রজাতির পাখি যেমন Sultan Tit, Red-Headed Trogan, Orient Hornbill, Rufous Hornbill, প্রভিতি। এছাড়াও এখানে দেখতে পাবেন Cinchona Plantation   এর কারখানা যেখানে Quinine তইরি করা হয়।

ণাম্থিং পোখরি(Namthing Pokhri) – সেল্পু হীল এ অবস্থিত একটি প্রাচিন জলাশয় , এটি বছরের ৬ মাস শুকন থাকে বর্ষা কাল বাদে। এই নাম্থিং পোখরিতে এক ধরনের বিরল প্রজাতির Himalayan Salamander দেখতে পাওয়া যাই । এছাড়াও এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতি দেখতে পাবেন। অহালদারা থেকে এই স্থানটি খুব একটা দুরে নই হাটা পথে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন।

সিটং(Sittong) – অহালদারা থেকে প্রায় ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রাম টি কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত , সিটং কে কমলালেবুর গ্রামও বলা হয় , আপানারা এই সিটং থেকেউ ঘুরে আসতে পারেন।

টেগোর হীল – অহালদারা থেকে অনতি দূরে অবস্থিত এই পাহাড়টিকে স্থানিওরা টেগোর হীল নামেউ ডেকে থাকে । এই পাহাড়ের আকর্ষণ হল এই পাহাড়টির আকৃতি  কবিগুরু  রবিন্দ্রনাথ এর মুখের মত , দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন কবিগুরু শায়িত অবস্থাই আছেন।

 

 

আহলদারায় বহিরঙ্গন কার্যক্রম–

 

সূর্যোদয় পয়েন্ট–

আহলদরা কাঞ্চনজঙ্ঘা চূড়ার উপর সূর্যোদয়ের আশ্চর্যজনক দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।  একটি উজ্জ্বল এবং রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে, গ্যাংটক, কালিম্পং, আলগারা, বাগোরা, তিনচুলি পাহাড়গুলি এই বিন্দু থেকে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়৷

 

শিটং কমলার বাগানগুলি

 

আহলদরা থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে শিটং গ্রাম৷  গ্রামে প্রচুর কমলার বাগান রয়েছে।  অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কমলালেবুর গাছে ফল দিয়ে ভরা হয়।

 

পাখি পালন

 

লাটপানচার একজন আগ্রহী পাখি পর্যবেক্ষক এবং একজন ফটোগ্রাফার জায়গাটিকে তাদের স্বর্গ বলে মনে করবেন।  সাধারণ পাখিরা দেখেছে সুলতান টিট, রেড হেডেড ট্রোগান, ওরিয়েন্ট হর্নবিল, রুফাস হর্নবিল, লং-লেজ হর্নবিল, কমন গ্রিন ম্যাগপাই, দার্জিলিং উডপেকার, ওরিয়েন্টাল কোকিল, চেস্টনাট-হেডেড টেসিয়া, কালো গলা সানবার্ড।

 

বেঙ্গল সাফারি—

 

বেঙ্গল সাফারি পার্কের মধ্যে অবস্থিত।  মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের বনাঞ্চল হল উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের প্রথম প্রাণী সাফারি পার্ক।  আপনি এখানে চিতাবাঘ, বাঘ এবং বিড়ালের মতো প্রাণী দেখতে পাবেন।

 

Ahaldara কাছাকাছি আকর্ষণ—

 

শেলপু পাহাড়—

শেলপু পাহাড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক মোহনীয় আয়না।  অন্ধকার, গভীর জঙ্গল এবং চিনচোনা উদ্ভিদ স্থানটির প্রকৃত উষ্ণতাকে চিত্রিত করে।  সমস্ত ঋতুতে ফুলের অপ্রতিরোধ্য সুগন্ধে বাতাস ভারী থাকে৷

 

করোনেশন ব্রিজ —

 

একটি একক খিলান দ্বারা সমর্থিত, সেতুটি তিস্তা নদী পেরিয়ে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলাগুলির সাথে সংযোগ স্থাপন করে একটি বিস্ময়কর এবং অবশ্যই দর্শনীয় পর্যটন স্পট৷

 

মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য—

 

অন্যতম এই অভয়ারণ্যের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ যা  ১৫৮ বর্গকিলোমিটারের বেশি বন এলাকা জুড়ে রয়েছে।  ১৯৫৮ সালে, এটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং ভারতীয় বাইসনকে রক্ষা করার জন্য অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।  এই প্রাণীগুলি ব্যতীত, অন্যান্য উপলব্ধ প্রাণী হরিণ, বার্কিং ডিয়ার, ভাল্লুক, প্যাঙ্গোলিন, হিমালয় কালো ভাল্লুক এবং চিতাবাঘ।

নমথিং পোখরি —-

 

শিল্প পাহাড়ের কাছে অবস্থিত হ্রদটি বছরের ছয় মাস শুকিয়ে যায় এবং হিমালয়ান সালামান্ডারের জন্মভূমি হিসাবে বিখ্যাত।  , একটি অস্বাভাবিক এবং বিপন্ন প্রজাতি।

 

পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিক্যাল পার্ক —-

 

চিড়িয়াখানাটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং প্রধানত স্নো চিতাবাঘ, বেঙ্গল টাইগার এবং অনেক বিদেশী প্রাণীর জন্য বিখ্যাত।  পার্কটি ৬৭.৫৬ একর জমি জুড়ে রয়েছে।

 

ঘূম মনাস্ট্রি —-

পর্যটকদের মধ্যে এই জনপ্রিয় গন্তব্যটি ইগা চোয়েলিং মনাস্ট্রি নামেও পরিচিত।  বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রাচীন গৌরবে আঁকা মৈত্রেয় বুদ্ধের ১৫ ফুট উঁচু মূর্তিটি এই অঞ্চলের প্রাচীনতম মঠগুলির মধ্যে একটি।

 

 

কিভাবে আহলদারা পৌঁছাবেন

বায়ু–

বাগডোগরা বিমানবন্দরটি আহলদারার নিকটতম।  বিমানবন্দর থেকে, রিসোর্টে পৌঁছাতে সড়কপথে ১.৫ ঘন্টা (প্রায়) সময় লাগবে।

রেলওয়ে—

আপনি যদি ট্রেন পেতে চান, হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে যে কোনও মুর্সিদাবাদগামী ট্রেনে চড়েন, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে যান, বিশ্রাম তাদের দ্বারা নেওয়া হবে।

রাস্তা—-

জাতীয় এবং রাজ্য সড়ক দিয়ে ১৪ ঘন্টা (প্রায়) গাড়ি চালানো আপনাকে আপনার গন্তব্যে নিয়ে যাবে।  NJP থেকে জায়গাটি মাত্র ২ ঘন্টার পথ।

আহলদারা দেখার সেরা সময়—

গ্রীষ্মে মনোরম আবহাওয়া অতিথিদের আহলদারায় আমন্ত্রণ জানায়।  ভূমিধসের কারণে বর্ষা এড়ানো যায় তবে আহলদরা এড়ানোর মতো উচ্চতা নয়।  যেখানে বর্ষা জীবনে আসা ছোট জলপ্রপাতের একটি চমৎকার দৃশ্য দেয়।  পরাক্রমশালী তিস্তাও এই সময়ে তার পূর্ণ গৌরব পায়।  নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে পাহাড়গুলি দেখার জন্য সবচেয়ে পরিষ্কার এবং মেঘহীন আকাশ দেয়।  কমলার বাগান দেখার জন্যও এই মাসগুলো সেরা সময়।  পাহাড়ে বসন্ত রঙিন হয়ে ওঠে অসংখ্য রঙিন ফুলে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৫১ – আতিউর রহমান, (খ্যাতনামা বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ)।

১৯৮৪ – সুনীল ছেত্রী , (ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক)।

১৯০৫ – দোলোরেস দেল রিও, (মেক্সিকান অভিনেত্রী)।

১৯১৬ – শাকিল বাদায়ুনি, (ভারতীয় উর্দু কবি,লেখক ও গীতিকার)।

১৯৩০ – নির্মল সেন, (বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ)।

১৯৩৯ – উৎপলকুমার বসু, (বাংলা সাহিত্যে হাংরি আন্দোলন-এর একজন খ্যাতনামা কবি)।

১৯৪৮ – জঁ-পিয়ের রাফারাঁ, (ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী)।

১৮৫৬ – (অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী) আলফ্রেড ডেকিন।

১৮৮৬ – মৈথিলীশরণ গুপ্ত (প্রখ্যাত আধুনিক হিন্দি কবি)।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৪ – তুরস্ক জার্মানির সঙ্গে সামরিক চুক্তি।

১৯১৪ – পানামা খালের মধ্য দিয়ে প্রথম জাহাজ চলতে শুরু করে এবং এই খালের উদ্বোধন হয়।

১৯১৪ – ব্রিটেন জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জার্মানি যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪০ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইতালিয়ান বাহিনী ব্রিটিশ সোমালিল্যান্ড আক্রমণ করে।

১৯৪১ – জার্মানি রাশিয়ার একটি এলাকা দখল করে নেয়।

১৯৫৪ – ভারতে পরমাণু শক্তি বিভাগ গঠিত হয়।

১৯৫৬ – তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) এ নির্মিত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ মুক্তি পায়।

১৯৬০ – আফ্রিকা মহাদেশের অন্যতম দেশ নাইজার পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে এবং জাতিসঙ্ঘের সদস্যভুক্ত হয়।

১৯৯৪ – ভারতের দিল্লিতে অখিল ভারতীয় আয়ুর্বিজ্ঞান সংস্থানে প্রথম হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের চিকিৎসা করা হয়।

১৯৯৯ – পূর্ব তিমুরে নির্বাচনে স্বাধীনতার পক্ষে রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন পূর্ব তিমুরের অভ্যুদয় ঘটে।

১৮৫৮ – জন স্মীক কর্তৃক নীল নদের উৎস আবিষ্কার।

১৮৮২ – ব্রিটিশ নৌ সেনাদের সুয়েজ খাল দখল।

১৭৯৫ – গ্রিনভিল চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৪৯২ – ইতালির বিশিষ্ট নাবিক ক্রিস্টোফার কলোম্বাস তার সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন।

১৪৯২ – স্পেন থেকে ইহুদিদের বের করে দেওয়া হয়।

১১০৮ – ফ্রান্সের রাজা ষষ্ঠ লুই সিংহাসনে আরোহণ করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৯ – সুভাষ চক্রবর্তী , পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট সরকার এর ক্রীড়া ও পরিবহন মন্ত্রী , এবং ভারতের ছাত্র ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন

১৯২৮ – সৈয়দ আমীর আলী, ভারতীয় মুসলিম আইনজ্ঞ এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম বিচারপতি।

১৯৫৪ – বিশিষ্ট ফরাসী লেখিকা সিডেন গ্যাবরিয়াল কোল্ট এই ধরাপৃষ্ঠ।

১৯৫৭ – দেবদাস গান্ধী , মহাত্মা গান্ধীর কনিষ্ঠ পুত্র এবং খ্যাতনামা সাংবাদিক।

১৯৭৫ – অমর বসু, ব্রিটিশ বিরোধী বাঙালি বিপ্লবী।

১৯৭৮ – সাংবাদিক ও লেখক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ।

১৮৪৬ – প্রখ্যাত আলেম সাহেবে জাওয়াহের বা রত্নের স্বত্তাধিকারী হিসাবে খ্যাত শেখ মো: হাসান নাজাফী।

১৭২১ – ইংরেজ ভাস্কর ও কাঠ খোদাই শিল্পী গিনলিং গিবনস।

১৪৬০ – স্কটল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় জেমস।

১২৭২ – সপ্তম হিজরীর বিশিষ্ট মনীষি ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব গীয়াস উদ্দীন আব্দুল করিম ইবনে আহমদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ২ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – মার্কিন অভিনেত্রী হেলেন মর্গান

১৯২৩ – শিমন পেরেজ, পোলীয় বংশোদ্ভূত ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।

১৮৪১ – বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, ব্রাহ্মসমাজের আচার্য ও সমাজ সংস্কারক।

১৮৬১ – আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, বাঙালি রসায়নবিদ, বিজ্ঞানশিক্ষক, দার্শনিক ও কবি।

১৮৬৮ – বাংলা চলচ্চিত্রের প্রাণপুরুষ হীরালাল সেন।

১৮৭৬ – পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়া,স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের জাতীয় পতাকার নকশাকার।

১৮৮৭ – টমি ওয়ার্ড, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৮৯৯ – মহেন্দ্রনাথ দত্ত, মুদ্রণ শিল্পের ও প্রকাশনা জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।

১৬৯৬ – উসমানীয় খলিফা প্রথম মাহমুদ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০১০ – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন-ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর প্রসাশনের পুলিশ বাহিনী অতর্কিতে হামলা চালায়।

২০১৮ – সাঁওতালি উইকিপিডিয়ার যাত্রা শুরু।

১৯১৪ – সোভিয়েত সেনাবাহিনী পূর্ব প্রুশিয়া দখল করে ।

১৯২২ – চীনে টাইফুনের আঘাতে ৬০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে ।

১৯৩৪ – জার্মানির স্বৈরশাসক রূপে এডলফ হিটলারের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

১৯৩৫ – গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট জারি।

১৯৫৩ – ভারতে গভর্ণমেন্ট অব ইন্ডিয়া জারি করা হয় ।

১৯৫৫ – সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় ।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বলিভিয়া।

১৯৯০ – ইরাকি ট্যাঙ্ক ও পদাতিক বাহিনী কুয়েত দখল করে।

১৮৫৮ – ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছ থেকে ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে এবং ভারতের সর্বোচ্চ শাসককে ‘ভাইসরয়’ পদবি দেওয়া হয়।

১৭১৮ – স্পেনের বিরুদ্ধে লন্ডনে ব্রিটেন, ফ্রান্স, অস্ট্রিয়া ও হল্যান্ড- এই চতুঃশক্তির মৈত্রী জোট হয়।

১৭৬৩ – মুর্শিদাবাদ দখলের পর ব্রিটিশ সৈন্য বাহিনী মিরকাশিমের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। যুদ্ধে মিরকাশিম পরাস্ত হন।

১৭৯০ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম আদমশুমারি শুরু হয় ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – ক্রিস্টেন নিগার্ড, নরওয়েজীয় গণিতবিদ, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষা মুঘল ও রাজনীতিবিদ।

১৯২২ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল, স্কটিশ বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক।

১৯২৩ – ওয়ারেন জি. হার্ডিং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯তম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৪ – জার্মানীর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর সেনা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ফিল্ড মার্শাল হিডেন বার্গ।

১৯৭৬ – ফ্রেডিরিক এ্যান্টন ক্রিস্টিয়ান ল্যাং, অস্ট্রীয়-মার্কিন চলচ্চিত্র নির্দেশক, চলচ্চিত্রকার।

১৯৮০ -রামকিঙ্কর বেইজ প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ভাস্কর।

১৯৯৩ – কমল মিত্র, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৮৪৪ – রামকমল সেন,এশিয়াটিক সোসাইটির প্রথম ভারতীয় সচিব,অভিধান প্রণেতা ও ব্যাঙ্ক অফ বেঙ্গলের আজীবন দেওয়ান।

১৮৪৯ – মিসরে মোহাম্মদ আলী পাশা।

১৭১২ – খ্যাতনামা ফরাসী বিজ্ঞানী ড্যানিস পাপিন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন হুগলির চন্দননগর শহরের ২ টি দর্শনীয় স্থান –সেক্রেড হার্ট চার্চ ও নন্দদুলাল মন্দির।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত চন্দননগর। এর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আপনাকে মন্ত্রমুগ্ধ রাখতে বাধ্য।চন্দননগর , এটির পূর্ব নাম চন্দেরনাগর এবং ফরাসি নাম চন্দ্রনাগর দ্বারাও পরিচিতভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর। এটি চন্দননগর মহকুমার সদর দফতর এবং এটি কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) দ্বারা আচ্ছাদিত এলাকার একটি অংশ।  হুগলি নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত এই শহরটি ফরাসি ভারতের পাঁচটি জনবসতির মধ্যে একটি ছিল । ঔপনিবেশিক বাংলোগুলিতে ইন্দো-ফরাসি স্থাপত্য দেখা যায়, যার বেশিরভাগই জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।।

এই নিবন্ধে আপনি চন্দননগরের নিম্নলিখিত ২টি জনপ্রিয় ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানতে পারবেন—

 

(ক) সেক্রেড হার্ট চার্চ

(খ) চন্দননগর মিউজিয়াম।নন্দদুলাল মন্দির

 

 

(ক) সেক্রেড হার্ট চার্চ—-

 

সেক্রেড হার্ট চার্চ, চন্দননগর  হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার চন্দননগরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী চার্চ।  এই গীর্জার একটি অসাধারণ চমৎকার সাদা পাথরের সম্মুখভাগ এবং চিত্তাকর্ষক অভ্যন্তর রয়েছে। বিখ্যাত ফরাসি স্থপতি Jacques Duchatz এই গীর্জাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
সূর্যাস্তের সময় চার্চটিকে আরও সুন্দর দেখায়। বর্তমানে গির্জাটি পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।  এটির গঠনটি ভারতে ফরাসি স্থাপত্যশৈলীর একটি খাঁটি অভিব্যক্তি।  সেক্রেড হার্ট চার্চটি ২৭ জানুয়ারী ১৮৮৪-এ কলকাতার আর্চবিশপ পল গোথালস দ্বারা উদ্বোধন করা হয়েছিল।  চন্দননগরে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে ১৮৭৫ সালে নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৮৮৪ সালে রেভারেন্ড এম. বার্থেটের অনুরোধে তার ভাই জোয়াকিমের সহায়তায় এটি সম্পন্ন হয়।  এটি ফরাসি স্থপতি জ্যাক ডুচাটজ দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে।

২০০ বছরের পুরানো ফ্রেঞ্চ-স্টাইলের সেক্রেড হার্ট ক্যাথলিক চার্চটি একটি শ্বাসরুদ্ধকর উপাসনার স্থান।।

 

 

(খ) নন্দদুলাল মন্দির—

চন্দননগর একটি ঐতিহ্যবাহী শহর যার আনাচে কানাচে এমন অনেক মন্দির আছে যা বহু প্রাচীন। এই চন্দননগরেই অবস্থিত শ্রীশ্রী নন্দদুলাল জিউর মন্দির। ঐতিহ্য এবং প্রাচীনত্বের সংমিশ্রণ এই মন্দির। প্রতিবছর বহু দর্শনার্থীরা পূর্ণ লাভের আশায় এখানে আসে। চন্দননগরের  লালবাগান  অঞ্চলে  শ্রীদুর্গা  ছবিঘরের  কাছে  নন্দদুলাল  মন্দির  বিখ্যাত।  মন্দিরটি  ১১৪৬  বঙ্গাব্দে ( ১৭৩৯  খ্রীষ্টাব্দে )  চন্দননগরের  তদানীন্তন  ফরাসি  সরকারের  দেওয়ান  ইন্দ্রনারায়ণ  চৌধুরী  প্রতিষ্ঠা  করেন।নন্দদুলাল মন্দির চন্দননগরের মনোমুগ্ধকর শহরে অবস্থিত।শ্রীশ্রী নন্দদুলাল জিউর মন্দিরের আকার এবং কারুকার্য খুবই অনন্য। এটি সম্পূর্ণ পোড়া মাটির তৈরি। মাঝারি উচ্চতার ভিত্তি বেদির উপর স্থাপিত সমতল যা ছাদবিশিষ্ট ও দক্ষিণমুখী দালান। এর দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫১ ফুট ৯ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ১১ ফুট। একবাংলার বা দোচালা সংলগ্ন দালান থাকায় মন্দিরের স্থায়িত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একবাংলাটির উচ্চতা মূল মন্দিরের চেয়ে বেশী। মন্দিরটির সামনে ও পশ্চিমদিকের দেওয়ালে পোড়ামাটির কয়েকটি ছোট ছোট ফুলের কাজ আছে। মন্দিরে শ্রীশ্রী নন্দদুলাল জিউর বিগ্রহ নিত্য পূজিত হয়। পরবর্তীকালে এই মন্দিরটি সংস্করণও করা হয়। মন্দির সংস্কারের পরেও বহুদিন মন্দিরে কোনো বিগ্রহ ছিল না। মন্দিরে পুরানো বিগ্রহের ছবিকেই পুজো করা হত। তবে ২০০৫ সালে বিগ্রহ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। পুরানো বিগ্রহের ছবিটি বর্তমান বিগ্রহের পাশে রাখা আছে। মন্দিরটি প্রাচীন ভারতীয় নিদর্শনগুলির একটি চমৎকার উদাহরণ। এখানে যেতে হলে হাওড়া থেকে ব্যান্ডেলগামী ট্রেনে উঠতে হবে। নামতে হবে চন্দননগর রেলওয়ে স্টেশনে।  এরপর টোটো বা রিক্সায় করে পৌঁছে যেতে পারবেন এই মন্দিরে ।
এর আশেপাশে বেশ কয়েকটি অনন্য মন্দির রয়েছে যা দেবী কালী, মহাদেব এবং অন্যান্য দেবতাদের প্রতি পূজনীয় যা চমৎকার কারুকাজ এবং শৈল্পিক অনুভূতি প্রদর্শন করে।এই অঞ্চলের কয়েকটি মন্দিরের সাথে মন্দিরের ডিভাইডারগুলি খোদাই করা আছে এবং ধর্মীয় আইকন দিয়ে সুসজ্জিতও করা আছে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১ আগস্ট, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ১ আগস্ট। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) স্কাউট স্কার্ফ ডে

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৫ – মোমতাজ আলী খান, বাংলাদেশি লোকসঙ্গীতশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার।

১৯১৯ – মির্জা নূরুল হুদা, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর।

১৯১৯ – স্ট্যানলি মিডলটন, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক।

১৯২২ – এ কে নাজমুল করিম, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী।

১৯২৪ – ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড় ও জামাইকান সিনেটর।

১৯২৮ – এম আর খান, বাংলাদেশি অধ্যাপক, চিকিৎসক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ।

১৯৩০ – ফজলুল হালিম চৌধুরী – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো।

১৯৩৩ – মীনা কুমারী , ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কবি।

১৯৩৫ – জিওফ পুলার, ইংরেজ ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯৩৮ – নাজমুল হক, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও সেক্টর কমান্ডার।

১৯৪০ – মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশি চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

১৯৪২ – আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশি ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মন্ত্রী।

১৯৪৬ – খুরশিদ আলম, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৪৮ – মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ।

১৯৫৫ – ভারতের ক্রিকেটার অরুণলাল।

১৯৬২ – আবু সাইয়ীদ, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৬৩ – দেমিয়ান বিচির, মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেতা।

১৯৬৫ – স্যাম মেন্ডেজ, ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯৯৭ – নিগার সুলতানা, বাংলাদেশি প্রমিলা ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৮৬১ – স্যামি জোন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৮৬৮ – মহেন্দ্রনাথ দত্ত, বাঙালি লেখক ও স্বামী বিবেকানন্দর অনুজ।

১৮৮১ – অর্ধেন্দুকুমার গঙ্গোপাধ্যায়, বাঙালি শিল্প সমালোচক ও অধ্যাপক।

১৮৮৫ – নোবেলজয়ী হাঙ্গেরীয় রসায়নবিদ জর্জ দ্য হেবেসি।

১৮৯৫ – বাঙালি পতঙ্গবিশারদ ও উদ্ভিদবিদ গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য।

১৭৪৪ – জঁ-বাতিস্ত লামার্ক, ফরাসি সৈনিক, প্রকৃতিবিদ ও শিক্ষাবিদ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

 

১৯১৪ – জার্মানী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু।

১৯২০ – ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাব ভারতের পেশাদার ফুটবল ক্লাব কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫৩ – ভারতে বেসরকারি বিমান সংস্থার জাতীয়করণ হয় এবং ইণ্ডিয়ান এয়ারলাইন্স গঠিত হয়।

১৯৬০ – আফ্রিকার দেশ বেনিন ফরাসী উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৪ – বেলজিয়ান কঙ্গোর নাম পরিবর্তন হয়ে রিপাবলিক অব কঙ্গো হয়।

১৯৬৭ – পূর্ব জেরুজালেমকে গ্রহণ করে নেয়।

১৯৭১ – বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে নিউইয়র্কে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠিত।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় পেরু।

১৯৭৫ – ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং আলবেনিয়া ছাড়া অন্য ইউরোপীয় দেশের শীর্ষ নেতাদের সম্মেলন শুরু হয়।

১৮৩৪ – ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে দাসপ্রথা বাতিল।

১৮৬১ – দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের অর্থায়নে ও মনোমোহন ঘোষের সম্পদনায় পাক্ষিক ‘ইন্ডিয়া মিরর’ প্রকাশিত।

১৮৯৪ – প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ শুরু হয় কোরিয়া নিয়ে।

১৭৭৩ – ব্রিটিশ পার্লামেন্ট উপমহাদেশে শাসন সংস্কারের উদ্দেশ্যে ‘রেগুলেটিং এ্যাক্ট’ আইন বিধিবদ্ধ করে।

১৭৭৪ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অধিকৃত ভারতবর্ষের রাজধানী হয় কলকাতা।

১৭৭৪ – যোশেফ প্রিস্টলি অক্সিজেন আবিষ্কার করেন।

১৬৪৮ – সুইজারল্যান্ড স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পায়।

১৬৭২ – ব্রিটিশ বিচারব্যবস্থা চালু হয়।

১৬৯৮ – ইংরেজ কুঠিয়াল জব চার্নক কলকাতা নগর পত্তন করেন।

১৪৯৮ – ইতালির ক্রিস্টোফার কলম্বাস আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে পদার্পণ করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৫ – সৌদি আরবের বাদশাহ ফাহাদ।

২০০৯ – কোরাজন অ্যাকুইনো, ফিলিপিনো রাজনীতিবিদ।

২০১৪ – এল. কে. সিদ্দিকী, বাংলাদেশের ৭ম ডেপুটি স্পিকার।

১৯১১ – কনরাড ডুডেন, জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক।

১৯২০ – বাল গঙ্গাধর তিলক, ভারতীয় পণ্ডিত ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদী নেতা, সমাজ সংস্কারক, আইনজীবী এবং স্বাধীনতা কর্মী।

১৯৪৪ – ম্যানুয়েল এল. কুয়েজন, ফিলিপিনো রাজনীতিবিদ।

১৯৭৭ – কৌতুকাভিনেতা জহর রায়।

১৯৮২ – জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী,বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৮৫ – স্যান্ডি বেল, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – আবু সাঈদ চৌধুরী, বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি।

১৯৯৯ – নীরদচন্দ্র চৌধুরী, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার খ্যাতনামা বাঙালি লেখক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

১৮৪৬ – দ্বারকানাথ ঠাকুর, বাংলার নবজাগরণের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

গোয়ার ৪ টি দর্শনীয় সমুদ্র সৈকত।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। বিশেষ করে বাঙালিরা সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ে ভ্রমনের নেশায়। কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র আবার কেউ প্রাচীন ঐতিহাসিক স্থান ভালোবাসে ভ্রমণ করতে। প্রকৃতি কত কিছুই না আমাদের জন্য সাজিয়ে রেখেছে। কতটুকুই বা আমরা দেখেছি। এ বিশাল পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই দেখিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় আজ গোটা পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়় এলেও প্রকৃতিকে চাক্ষুষ প্রত্যক্ষ করা এ এক আলাদা রোমাঞ্চ, আলাদা অনুভূতি যার রেষ হৃদয়ের মনিকোঠায় থেকে যায় চিরকাল।। তাইতো আজও মানুষ বেরিয়ে পড়়ে প্রকৃতির কে গায়ে মেখে  রোমাঞ্চিত হওয়ার নেশায়। কেউ চায় বিদেশে ভ্রমণে, আবার কেউ চায় দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণে। এমনি এক ভ্রমণ এর জায়গা হলো  আমাদের আর এক রাজ্য গোয়া । এখন আমরা জানব গোয়ার চারটি সমুদ্র সৈকত সম্পর্কে।

 

সিঙ্কেরিম সৈকত

 

 সমুদ্র সৈকত আপনাকে তার মনোরম বালুকাময় সৈকত বরাবর হাঁটার আমন্ত্রণ জানায়। আপনি সাঁতার সহ বিভিন্ন ধরণের জল-ভিত্তিক খেলাধুলা এবং উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিয়াকলাপগুলিতে অংশ নিতে পারেন, তবে আপনি কেবল সাঁতার কাটতে পারেন। এই সৈকতের রাতের জীবন বেশিরভাগ সময় সঙ্গীত উত্সব দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখানে প্রচুর সংখ্যক হোটেল এবং অন্যান্য ধরণের রিসর্ট রয়েছে। এছাড়াও, আশেপাশের এলাকায় অনেক চমৎকার রেস্তোরাঁ রয়েছে যা তাদের সুস্বাদু খাবার এবং পানীয়ের জন্য পরিচিত। প্রচুর ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল এবং বাস পাওয়া যায় বলে সিঙ্কেরিমে যাওয়া সহজ।

অশ্বেম সৈকত

 

অশ্বেম সমুদ্র সৈকত হল একটি দীর্ঘ এবং পরিষ্কার দৈর্ঘ্যের বালি যা জনসাধারণের কাছ থেকে দূরে অবস্থিত, এটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অবস্থান তৈরি করে যারা শান্তিপূর্ণ ছুটি চান যেখানে তারা যেতে পারেন সূর্য, বালি এবং তরঙ্গে ভিজিয়ে রাখুন। অশ্বেম সৈকতের আশেপাশের জল সাঁতারের জন্য আদর্শ, এবং এই অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদীটি শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ প্রদান করে যারা এখনও সমুদ্রের ঢেউ পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট বয়সী নয়। আপনি স্থানীয় রিসর্টগুলির একটিতে স্পা দিনে নিজেকে চিকিত্সা করে বা আয়ুর্বেদিক ম্যাসেজ করতে গিয়ে আরও আরাম করতে পারেন, উভয়ই তাদের শান্ত প্রভাবের জন্য পরিচিত। এই অঞ্চলে অনুশীলন করা আয়ুর্বেদিক ম্যাসেজগুলি অত্যন্ত উচ্চ মানের এবং দক্ষতার স্তরের।

মিরামার সৈকত

 

গোয়ানদের জন্য, মিরামার বিচ মুম্বাইয়ের চৌপাট্টির সাথে তুলনীয়। এর প্রধান দর্শনার্থীরা গোয়ানরা, যারা সকালে বা সন্ধ্যায় অবসরে হাঁটার জন্য তাদের বন্ধুদের সাথে দেখা করতে আসে। ফলস্বরূপ, এটি সম্ভবত গোয়ার যেকোনো স্থানের তুলনায় সবচেয়ে কম পর্যটন পরিবেশ রয়েছে। একটি শক্তিশালী আন্ডারকারেন্টের উপস্থিতির কারণে, এই সৈকত সাঁতারের জন্য উপযুক্ত নয়। ভিউ নেওয়ার পাশাপাশি এখানে কিছু কেনাকাটা করাও সম্ভব। এটি প্রায়শই গোয়ার সৈকতগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয় যা পরিবারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস ভারতে এই অবস্থানে ভ্রমণের জন্য আদর্শ।

মর্জিম সৈকত

 

যারা নিজেদের মধ্যে রাখতে চান তারা মরজিম বিচকে পছন্দ করবেন। এই সৈকত, যা চাপোরা নদীর উত্তরে পাওয়া যায়, এটি একটি বালুকাময় সমুদ্র সৈকতের একটি অত্যাশ্চর্য উদাহরণ এবং এটি গোয়ার সমুদ্র সৈকতগুলির মধ্যে একটি যা প্রতিদিন খুব কম দর্শক দেখে। অলিভ রিডলি কচ্ছপ হল এই সৈকতে শোয়ের তারকা কারণ এটি তাদের জন্য বাসা বাঁধার আবাসস্থল। মর্জিম সৈকত এক ধরণের বাস্তুশাস্ত্র রয়েছে যা এই ধরণের কচ্ছপের বিকাশ এবং ডিম থেকে বাচ্চা বের করার প্রচার করে, এটি তাদের বসবাসের জন্য একটি আদর্শ জায়গা করে তোলে। এর ফলস্বরূপ মরজিম বিচকে একটি নতুন ডাকনাম দেওয়া হয়েছে: টার্টল বিচ। অত্যাশ্চর্য সূর্যাস্তের দৃশ্যের প্রশংসা করার সময় 3-কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত দীর্ঘ হাঁটার জন্য উপযুক্ত।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩১ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩১ জুলাই। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৪ – বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক।

১৯১১ – পান্নালাল ঘোষ, বংশীবাদক।

১৯১২ – মিল্টন ফ্রিড্‌ম্যান, নোবেল বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ, পরিসংখ্যানবিদ।

১৯১৮ – পল বয়ার, আমেরিকান বায়োকেমিস্ট এবং শিক্ষাবিদ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৯৩১ – বিশ্বের সেরা ১০ টেনিস সেরা তারকার কোচ নিক বলেতিয়েরি।

১৯৪৪ – জেরাল্ডিন চ্যাপলিন, ইংরেজি, ফরাসি এবং স্পেনীয় ভাষার বিশিষ্ট অভিনেত্রী।

১৯৪৬ – পি সি সরকার জুনিয়র, পুরো নাম প্রদীপচন্দ্র সরকার, ভারতীয় বাঙালি জাদুকর।

১৯৪৭ – মুমতাজ, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৫৫ – আহমদ আবদুল কাদের, ইসলামি চিন্তাবিদ ও রাজনীতিবিদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব

১৯৫৭ – মনতাজুর রহমান আকবর, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৬৫ – জে কে রাউলিং, ইংরেজ কল্পকাহিনী লেখিকা।

১৯৬৬ – ডিন কেইন, মার্কিন টিভি অভিনেতা। যিনি সুপারম্যান চরিত্রে অভিনয় করেছন।

১৯৮৯ – ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা, বেলারুশীয় টেনিস খেলোয়াড়।

১৯৯২ – কাইল লারসন, আমেরিকান রেস কার ড্রাইভার।

১৮০০ – ফ্রেডরিখ ভোলার, জার্মান রসায়নবিদ।

১৮৩৫ – ফ্রান্স এর ৫০ তম প্রধানমন্ত্রী হেনরি ব্রিসন।

১৮৭৫ – ফরাসি চিত্রকর জাক ভিয়ঁর।

১৮৮০ – মুন্সি প্রেমচাঁদ, আধুনিক হিন্দি এবং উর্দু ভাষার লেখক।

১৮৯১ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ক্ষিতীন্দ্রনাথ মজুমদার।

১৭০৪ – গাব্রিয়েল ক্রেমার, সুইজারল্যান্ডীয় গণিতবিদ।

১৭১৮ – ইংরেজ পদার্থবিদ জন ক্যান্টন।

১৭৩৬ – বিখ্যাত ফরাসী পদার্থবিদ চার্লস অগাষ্টিন কুলান।

১৫২৭ – দ্বিতীয় ম্যাক্সিমিলিয়ান, পবিত্র রোমান সম্রাট।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৬ – কিউবার নেতা ফিদেল কাস্ত্রো ছোটভাই রাউল কাস্ত্রোর কাছে সাময়িকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।

২০০৭ – বাংলাদেশে অর্ধশত বছরের পুরনো খুলনার পিপলস জুট মিল আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।

২০১২ – মাইকেল ফেলপস ১৯৬৪ সালে লারিসা লাথিনিয়ার গড়া অলিম্পিকের এক আসরে সর্বোচ্চ পুরস্কার বিজয়ের রেকর্ড ভাঙ্গেন।

১৯০৮ – স্যার ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউট আন্দোলনের সূচনা করেন।

১৯১৯ – এয়েইমারে জার্মানি প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে।

১৯২৭ – নাগপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধে।

১৯৫৪ – ইতালীয় পর্বতারোহী দল প্রথম হিমালয়ের কে-২ শৃঙ্গে আরোহণ করেন।

১৯৭১ – এপোলো-১৫ মহাকাশ যান চাঁদে যাবার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ইয়েমেন।

১৯৭৩ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দক্ষিণ ভিয়েতনাম।

১৯৭৮ – চট্টগ্রামে এলপি গ্যাস কারখানা উদ্বোধন।

১৯৭৮ – চীনে শেক্সপিয়ারের রচনাবলীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

১৯৯১ – সোভিয়েত-মার্কিন দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্রহ্রাস চুক্তি ‘স্টার্ট’ স্বাক্ষরিত হলে দুদেশের মধ্যে বিরাজমান পাঁচ দশক ব্যাপী বিরোধের অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ ঘটে।

১৯৯২ – জর্জিয়া জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

১৯৯৫ – আজকের দিনে ভারতের হয়ে প্রথম মোবাইল ফোনে কলকাতার মহাকরণে বসে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ইউনিয়ন কমিউনিকেশন মিনিস্টার সুখরামের সাথে।

১৮০৬ – বৃটিশ উপনিবেশবাদীরা দক্ষিণ আফ্রিকার ‘কাপ’ এলাকা দখল করে নেয়।

১৮০৭ – লর্ড মিন্টো গভর্নর জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত হন।

১৮৫৬ – নিউজিল্যান্ডের শহর ক্রাইস্টচার্চকে সিটি হিসেবে গ্রহণ করা হয়।

১৬৫৮ – আওরঙ্গজেব ভারতের মুঘল সম্রাট ঘোষিত হন।

১৪৯৮ – প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে ক্রিস্টোফার কলম্বাস পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ আবিষ্কার করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

 

২০০৯ – ইংলিশ ফুটবলার এবং ব্যবস্থাপক বব্বি রবসন।

২০১২ – আমেরিকান গায়ক ও গান লেখক বিল ডস।

২০১৪ – নবারুণ ভট্টাচার্য, ভারতীয় লেখক।

২০১৭ – জান মোরো, ফরাসি অভিনেত্রী, গায়িকা, চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক।

২০২২ – প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি সংগীত শিল্পী নির্মলা মিশ্র, (৩০ জুলাই রাত্রি ১২ টা ৫ মিনিটে)।

১৯৪০ – উধাম সিং , ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের শহীদ মার্ক্সবাদী বিপ্লবী।

১৯৪৩ – হেডলি ভেরিটি, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালে খ্যাতনামা ফরাসী লেখক এ্যান্টনি দোসান্ত এক বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যবরণ করেন।

১৯৭১ – সালাহউদ্দিন মমতাজ, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

১৯৮০ – মোহাম্মদ রফি, ভারতীয় উপমহাদেশের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।

১৯৮০ – শৈলেন্দ্রনাথ গুহরায়, ভারতে মুদ্রণ শিল্পের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও শ্রীসরস্বতী প্রেসের প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৮১ – ওমর তরিজোস, পানামার স্বৈরশাসক।

১৯৯২ – কমিউনিস্ট নেতা রতন সেন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।

১৮৭৫ – অ্যান্ড্রু জন‌সন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তদশ রাষ্ট্রপতি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩০ জুলাই, ইতিহাসের আজকের এই দিনে যা ঘটেছিল।

আজ ৩০ জুলাই। ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আসুন আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় একনজরে দেখে নিই।  ইতিহাসের আজকের এই দিনে কী কী ঘটেছিল, কে কে জন্ম নিয়েছিলেন ও মৃত্যুবরণ করেছিলেন——-

 

দিবস—–

 

(ক) স্বাধীনতা দিবস, ভানাতু প্রজাতন্ত্র।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৪৫ – পাত্রিক মোদিয়ানো, ফরাসি ঔপন্যাসিক।

১৯৪৭ – ফ্রাঁসোয়াজ বারে সিনৌসি‌, ফরাসি ভাইরোলজিস্ট।

১৯৪৭ – আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার, অস্ট্রিয়ান-আমেরিকান বডিবিল্ডার, অভিনেতা, মডেল, ব্যবসায়ী এবং রাজনীতিবিদ।

১৯৪৮ – জঁ রেনো, মরোক্কো ও ফরাসি অভিনেতা।

১৯৫৫ – ববিতা, বাংলাদেশী অভিনেত্রী।

১৯৬০ – রিচার্ড লিংকলেটার, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৬১ – লরেন্স ফিশবার্ন, মার্কিন অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯৬৪ – ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, জার্মান ফুটবলার ও ফুটবল কোচ।

১৯৬৫ – টিম মানটন, ইংলিশ ক্রিকেটার।

১৯৬৯ – এরল স্টুয়ার্ট, সাবেক দক্ষিণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও রাগবি ইউনিয়ন খেলোয়াড়।

১৯৭০ – ক্রিস্টোফার নোলান, ইংরেজ-মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার।

১৯৭৪ – হিলারি সোয়াঙ্ক, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯৭৫ – তাজিন আহমেদ, বাংলাদেশী অভিনেত্রী, সাংবাদিক ও উপস্থাপক।

১৯৮২ – জেমস অ্যান্ডারসন, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৯২ – ফাবিয়ানো কারুয়ানা, ইতালীয়-মার্কিন দাবাড়ু।

১৯৯৫ – ইরভিং লোজানো, মেক্সিকান ফুটবলার।

১৯৯৬ – সাবরিনা পড়শী, বাংলাদেশী সঙ্গীতশিল্পী।

১৮১৮ – এমিলি ব্রন্টি, ইংরেজ ঔপন্যাসিক ও কবি।

১৮৫৫ – জার্মান শিল্পপতি সিমেন্স কম্পানির প্রতিষ্ঠাতা জর্জ ভিলহেম ফন সিমেন্স।

১৮৬২ – নিকোলাই ইউদেনিচ, রাশিয়ান জেনারেল।

১৮৬৩ – হেনরি ফোর্ড, মার্কিন ব্যবসায়ী এবং বহু উৎপাদন পদ্ধতিতে ব্যবহৃত বিন্যাসকরণ সজ্জার জনক।।

১৮৭৪ – বিলি মেরেডিথ, ব্রিটিশ ফুটবলার।

১৮৮২ – বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক বিপ্লবী-শহীদ।

১৮৮৬ – ভারতীয় চিকিৎসক ও সমাজ সংস্কারক মুথুলক্ষ্মী রেড্ডী।

১৮৮৭ – কাজী মোতাহার হোসেন, বাংলাদেশী পরিসংখ্যানবিদ, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।

১৮৯৩ – ফাতেমা জিন্নাহ, পাকিস্তানি দন্তচিকিৎসক, জীবনীলেখক, রাজনীতিবিদ ও পাকিস্তানের নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন।

১৮৯৮ – হেনরি মুর, ইংরেজ শিল্পী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৪ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু।

১৯৩৫ – বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইনের বই প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৪৮ – লিভারপুলে বিশ্বের প্রথম বন্দর রাডার কেন্দ্র স্থাপিত হয়।

১৯৫৭ – ভারতে রপ্তানিতে সহায়তা প্রদানের জন্য ইসিজিসি লিমিটেড (পূর্বতন এক্সপোর্ট ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন লি) গঠিত হয়।

১৯৬৯ – মার্কিন নভোখেয়া মেরিনার ৬-এর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে ছবি পাঠানো হয়।

১৯৮০ – পূর্ব অষ্ট্রেলিয়ার দ্বীপ দেশ ভানুয়াটো স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৯৮ – জাপানে কাইজো ওবুচি নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১৬০২ – মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় হল্যান্ডের রাজনৈতিক প্রভাব ও উপনিবেশিক তৎপরতা শুরু হয়।

১৬২৯ – ইতালির নেপলস শহরে ভূমিকম্পে ১০ হাজার লোকের প্রাণহানি।

১৬৫৬ – পোলিশদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ওয়ারশ যুদ্ধের অবসান হয়।

১৫০২ – ক্রিস্টোফার কলম্বাস তার ৪র্থ সমুদ্র যাত্রায় হন্ডুরাসের উপকূলবর্তী গুয়ানায়া দ্বীপে অবতরণ করেন।

৭৬২ – আব্বাসীয় খলিফা আল-মনসুর কর্তৃক বাগদাদ শহরের প্রতিষ্ঠা।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – হীরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ ও শিক্ষাবিদ।

২০০৭ – (ক) ইংমার বারিমান, সুইডিশ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র নির্দেশক।

(খ) – মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনি, ইতালীয় আধুনিকতাবাদী চলচ্চিত্র পরিচালক।

২০২০ – সোনম শেরিং লেপচা ভারতের লেপচা সংস্কৃতির ধারক,বাহক ও সংরক্ষক।

১৯৪৭ – জর্জ চ্যালেনর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৫৬ – যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি, বাঙালি পণ্ডিত ও বাঙলা শব্দকোষ প্রণেতা।

১৯৮০ – গোপাল ঘোষ, বাঙালি চারুশিল্পী।

১৯৮৪ – মরিস ট্রেমলেট, ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালী ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার।

১৮৯৮ – অটো ফন বিসমার্ক, জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি ও প্রথম জার্মান চ্যান্সেলর।

১৭৭১ – টমাস গ্রে, ইংরেজ কবি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, ঊনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার, প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি : দিলীপ  রায়।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার । তাঁর পসম্পর্কে বলা যেতে পারে, তিনি লেখক, দার্শনিক, পণ্ডিত, অনুবাদক, প্রকাশক ও মানবহিতৈষী । সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন । সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ ও অপরবোধ্য করে তোলেন । বাংলা গদ্যের সার্থক রূপকার তিনিই ।
বিদ্যাসাগরের যখন জন্ম (১৮২০), তখন শিক্ষা সংস্কারে ও বাংলা ভাষার আধুনিকরণের একটা ডামাডোল পরিস্থিতি । বিশৃঙ্খলার বাতাবরণ । শিক্ষার লক্ষ্য, পদ্ধতি ও পাঠক্রম নিয়ে চলছিল নানান বিতর্ক । অথচ বাঙালী সমাজ জানে, আধুনিক শিক্ষা ও সমাজ  সংস্কারে বিদ্যাসাগরের গৌরবময় অবদানের কথা ।

তাঁর নির্মিত বাংলা ভাষার ভিত্তির ওপরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম অধ্যায় । বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যকে বোধগম্য এবং সবরকমের ভাব ও চিন্তা প্রকাশের যোগ্য করে তুলেছিলেন । তাই আজও বিদ্যাসাগরকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয় ।
আটপৌরে বাঙালি পোশাকে বিদ্যাসাগর ছিলেন সর্বত্রগামী । প্রবল জেদ ও আত্নসম্মানবোধ নিয়ে সরকারি চাকরি করেছেন, দ্বিরুক্তি না করে ইস্তফা দিয়েছেন । পাঠ্যবই লিখে ছেপে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করেছেন, দানের জন্য ধারও করেছেন ।  উনিশ শতকে সমাজ বদলের সব আন্দোলনেই তিনি ছিলেন পুরোভাগে । এমন ব্যক্তিত্ব সবসময়ে  ব্যতিক্রম ।
বিদ্যাসাগরের একটা আপ্ত বাক্য আজও সমাজজীবনে উজ্জীবিত, “কোনো বিষয়ে প্রস্তাব করা সহজ, কিন্তু নির্বাহ করে ওঠা কঠিন” । অথচ তিনি এককভাবে ধুতিচাদর পরে একটার পর একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা বাস্তবায়িত করে গেছেন, যেমন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্যঃ শিক্ষার সংস্কার ও বিধবা বিবাহ প্রচলন । এটা সর্বজনবিদিত, বিদ্যাসাগরের লড়াইটা ছিল একার লড়াই । বিদ্যাসাগর প্রসঙ্গে বিশ্বকবি  রবীন্দ্রনাথের  মন্তব্য পরিষ্কার, তিনি গতানুগতিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন  স্বতন্ত্র, সচেতন ও পারমার্থিক ।
এটা অনস্বীকার্য যে,  বাঙালী সমাজে আজও বিদ্যাসাগরের প্রদীপ্ত উপস্থিতি ‘বর্ণপরিচয়’ দিয়ে । প্রাথমিক শিক্ষায় ‘বর্ণপরিচয়’ এর  মাহাত্ম্য সকলের জানা । মুর্শিদাবাদ  জেলার শক্তিপুর হাই স্কুলের বাংলা ক্লাসের  দিদিমণি আমার রচনা লেখার গঠন অবলোকন করে হঠাৎ তাঁর সম্মুখে তিনি আদর করে ডেকে আমাকে বললেন, “তুই বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’ গ্রন্থের নাম শুনেছিস” ? মাথা নেড়ে আমি  বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় গ্রন্থটির নাম শুনেছি জানালাম ।  তারপর চুপি চুপি বাংলা বিষয়ের শ্রদ্ধেয়া দিদিমণি বললেন, রোজ রাতে শোওয়ার আগে বিদ্যাসাগরের ‘বর্ণপরিচয়’  বইখানা পড়বি । রচনা লেখার সময়ে তোর বানানের জড়তা কেটে যাবে ।“  সুতরাং শৈশব থেকে বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রেক্ষাপটে বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় আজও অমলিন । সেই বিদ্যাসাগরের জন্মের দ্বিশতবর্ষ অতিক্রান্ত  । তাই দুশো বছর ধরে শিক্ষা জীবনের বাস্তবতায় ও শিক্ষা বিকাশের প্রেক্ষাপটে বিদ্যাসাগর আজও প্রাসঙ্গিক ।
বিদ্যাসাগর যখন জন্মগ্রহন করেছিলেন সেই  সময়টা ছিল রামমোহনের যুগ, যিনি একজন শিক্ষিত ও অগ্রণী পুরুষ ছিলেন এবং সমাজ সংস্কারের অন্যতম কারিগর ।  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর  মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণ ছিলেন সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ। তিনিই ঈশ্বরচন্দ্রের নামকরণ করেছিলেন। বিদ্যাসাগরের বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধায় কলকাতায় স্বল্প বেতনের চাকরিতে খুব কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করতেন । পরিবার নিয়ে শহরে বাস করা তাঁর সাধ্যের অতীত ছিল। সেই কারণে বালক ঈশ্বরচন্দ্র গ্রামেই মা ভগবতী দেবী’র  সঙ্গে বাস করতেন।
পাঁচ বছর বয়সে ঈশ্বরচন্দ্রকে গ্রামের পাঠশালায় পাঠানো হয়। ১৮২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁকে কলকাতার একটি পাঠশালায় এবং ১৮২৯ সালের জুন মাসে সংস্কৃত কলেজে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির ছ’মাসের মধ্যেই পাঁচ টাকা বৃত্তি পান ।  তাঁর প্রতিভার অসাধারণ ক্ষমতা দেখে শিক্ষকেরা সকলে স্তম্ভিত । তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রতিভাবান ছাত্র এবং ১৮৩৯ সালের মধ্যেই বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। পরে তিনি দু-বছর ওই কলেজে ব্যাকরণ, সাহিত্য, অলঙ্কার, বেদান্ত, ন্যায়, তর্ক, জ্যোতির্বিজ্ঞান, হিন্দু আইন এবং ইংরেজি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কর্মজীবন শুরু করেন ফোর্ট উইলিয়াম (১৮৪১) কলেজের প্রধান পন্ডিত হিসাবে । ঐসময়েই  তাঁর ইংরেজি শিক্ষার যথাযথ শিক্ষালাভ । কেননা বিদ্যাসাগরকে সকলে জানতেন সংস্কৃতের পণ্ডিত হিসাবে । ইংরেজি হাতের লেখাও ছিল নজরকাড়া । ১৮৫০ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি সংস্কৃত কলেজের সাহিত্যের অধ্যাপক পদ লাভ করেন এবং পরের মাসে অর্থাৎ ১৮৫১ সালের ২২শে জানুয়ারী ঐ  কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন। অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কলেজের অনেক সংস্কার করেন।  ঐ সময়েই ১৮৫১ সালে বিদ্যালয় দেখলেন, সংস্কৃত কলেজে গোড়া থেকেই  শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ ও বৈদ্য সন্তানদের পড়বার অধিকার ছিল । কিন্তু বৈদ্যদের আবার ধর্মশিক্ষায় ছিল আপত্তি । স্বভাবতই প্রশ্ন উঠল কায়স্থ ও অন্যান্য হিন্দু বর্ণদের কথা । তখনকার পণ্ডিত সমাজের তোয়াক্কা না করে, বিদ্যাসাগর তদানীন্তন কাউন্সিল অফ এডুকেশনের সেক্রেটারিকে জানিয়ে দিলেন ব্রাম্মণ ও বৈদ্য ছাড়া অন্যান্য বর্ণের বিশেষ করে শূদ্রদের সংস্কৃত কলেজে প্রবেশে তাঁর আপত্তি নেই । যদিও সেই সময় সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকরা বিদ্যাসাগরের মতে গররাজী ছিলেন, তথাপি বিদ্যাসাগরের মতটাকেই মান্যতা দিয়েছিলেন তদানীন্তনকালের কাউন্সিল অফ এডুকেশনের সেক্রেটারি । এবং পর পরই ১৮৫৪ সালের শেষে বিদ্যাসাগর হিন্দুদের সব শ্রেনীর জন্য সংস্কৃত কলেজের দরজা খুলে দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন এবং সেই প্রস্তাব যথাসময়ে অনুমোদিত হয়েছিল ।
সংস্কৃত কলেজের সংস্কার ও আধুনিকীকরণ এবং বাংলা ও বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন ছাড়া,  শিক্ষা প্রসারে তাঁর আরও অবদান সর্বজনবিদিত ।  ১৮৫৪ সালে চার্লস উডের শিক্ষা সনদ গৃহীত হওয়ার পর সরকার গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। এ উদ্দেশে ১৮৫৫ সালের মে মাসে বিদ্যাসাগরকে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ পদের অতিরিক্ত সহকারী স্কুল পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি নদিয়া, বর্ধমান, হুগলি এবং মেদিনীপুর জেলায় স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে বাংলা ভাষাকে সহজবোধ্য করে তুলতে চেয়েছিলেন । ১৮৫৫ সালে বাংলা নববর্ষের দিনে  বর্ণপরিচয়ের প্রথমভাগ  প্রকাশ করে তিনি বাঙালীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর  এশিয়াটিক সোসাইটি (কলকাতা) ও বেথুন সোসাইটিসহ আরও কিছু সংগঠনের সম্মানিত সভ্য ছিলেন। ১৮৫৮ সালে যাঁরা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফেলো নির্বাচিত হন,  তিনি ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।  ১৮৫৯ সালে তিনি “ক্যালকাটা ট্রেনিং স্কুল” স্থাপনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন। ১৮৬৪ সালে এই প্রতিষ্ঠানের নাম রাখা হয় “হিন্দু মেট্রেপলিটন ইসস্টিটিউট”। ইংরাজ অধ্যাপকের সাহায্য ছাড়া এবং কোনোরকম সরকারি সাহায্য ছাড়া, বিদ্যাসাগর স্কুলটিকে ১৮৭২ সালে প্রথম শ্রেণীর কলেজে পরিণত করেছিলেন । বর্তমানে এর নাম “বিদ্যাসাগর কলেজ”। এটি দেশের প্রথম কলেজ যার প্রতিষ্ঠাতা – পরিচালক – শিক্ষক স্কলেই ভারতীয় ।  এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান থেকে শ্রদ্ধা ও অভিনন্দন লাভ করেন।
ব্রাম্মণ হয়েও বিদ্যাসাগর ত্রিসন্ধ্যা জপ করেননি । কোনো  মন্দিরে যাননি এবং ঈশ্বর  বিষয়ক কোনো লেখা তিনি লেখেননি । বিদ্যাসাগর ছিলেন নাস্তিক । ধর্ম সম্বন্ধে  তিনি শুধু মনে করতেন জগতের কল্যাণসাধন ও বিদ্যাচর্চা । এপ্রসঙ্গে কবি শঙ্খ ঘোষের উক্তিটি প্রনিধাযোগ্য, ধর্মের কোন বহিরঙ্গ মানতেন না । তিনি, আচরণও করতেন না । এখন যেমন অনেকে বলেন, ধর্মটা ব্যক্তিগত ব্যাপার, অনেকটা সেইরকম ।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ, বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন । সেদিনের সমাজে প্রচলিত প্রথার নির্মম পরিণতির জন্য নারীদের ভাগ্য বিপর্যয়ের সম্মুখীন আপামর জনতা অবলোকন করেছিলেন । শোনা যায়, একসময় রাজা  রাজবল্লভ নিজের বালবিধবা কন্যাকে পুনর্বিবাহ দেওয়ার অনুমতি সমাজের পণ্ডিতদের কাছ থেকে পেয়েও সেই বিবাহ কারও কারও বাধায় দিতে পারেননি ।  বিদ্যাসাগরের “বিধবা বিবাহ প্রচলিত হওয়া উচিত কিনা” বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর দেশ ও সমাজ চমকে উঠেছিল । শেষ পর্য্যন্ত ১৮৫৫ সালের ১৬ই  জুলাই বিধবা বিবাহ আইন পাশ হয়  । তারপর ১৮৫৬ সালের ২৬শে জুলাই বিধবা বিবাহ আইন স্রকারিভাবে আইন হিসাবে মঞ্জর হয় ।   বিদ্যাসাগরের দরদী হৃদয় কেঁদেছিল সেকালের সমগ্র হিন্দু নারী সমাজের দুর্গতি দুর্দশায় । বিধবা বিবাহ আইন নামে পরিচিত ১৮৫৬ সালের আইনটি কেবলমাত্র বিধবা নারীর দ্বিতীয় বিবাহের স্বীকৃতি দেয়নি, আইনটি যেমন বিবাহকে আইনসিদ্ধ করে তেমনই মৃত স্বামীর এবং দ্বিতীয় বিবাহের এবং পৈত্রিক বিষয় সম্পত্তিতে অধিকার সুনিদ্দিষ্ট করে ।  বিভিন্নভাবে জানা যায়, ১৮৫৬ থেকে ১৮৬৭ পর্যন্ত মোট ৬০টি বিধবা বিবাহ সংঘটিত   হয়  ।  আরও      জানা   যায়,   বিদ্যাসাগর     ও  তাঁর বন্ধুরা মিলে ১৮৫৬ সালের ডিসেম্বর মাসে রক্ষণশীল সমাজের বিক্ষোভ এবং প্রচণ্ড বাধার মুখে ঘটা করে এক বিধবার বিবাহ দেন। পাত্র ছিল সংস্কৃত কলেজে বিদ্যাসাগরের একজন সহকর্মী। তা ছাড়া নিজের একমাত্র পুত্রের সঙ্গে বিধবার বিবাহ দিতে তিনি কুণ্ঠিত হননি। এতে একটা জিনিস পরিস্কার,  বিধবাবিবাহ আইন প্রণয়নে বিদ্যাসাগরের দৃঢ় সংকল্প শতভাগ সফল ।
তিনি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় তৈরি করেন, যাকে পরবর্তীতে বেথুন কলেজ নামকরণ করা হয়। নারীদের শিক্ষার দিকে আনার জন্য তিনি একটি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেন, যা নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠা ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত ছিল। এখান থেকে মেয়েদের শিক্ষার জন্য যাবতীয় অর্থের ব্যবস্থা করা হতো। ১৮৫৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৮৫৮ সালের মে মাস অবধি সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে বিদ্যাসাগর ৩৫টি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন।
বিদ্যাসাগরের দয়া এবং মানবিকতার জন্যে তিনি করুণাসাগর নামে পরিচিত । দরিদ্রদের দানে তিনি সর্বদাই মুক্তহস্ত ছিলেন ।  তিনি তাঁর দান এবং দয়ার জন্যে বিখ্যাত হয়েছিলেন । এখানে বিদ্যাসাগর সম্বন্ধে মাইকেল মধুসূদন দত্ত’র উক্তি প্রনিধানযোগ্য,
“বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে,
করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে,
দীন যে, দীনের বন্ধু ! উজ্জ্বল জগতে
হেমাদ্রির হেম কান্তি অম্লান কিরণে” ।
তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন একটি ঐতিহ্যিক এবং রক্ষণশীল পরিবারে এবং সমাজ সংস্কারের জন্যে তিনি যুক্তিও দিতেন হিন্দু শাস্ত্র থেকে কিন্তু তিনি ছিলেন ধর্ম ও ঈশ্বর সম্পর্কে সন্দিহান মনের। তাঁর বোধোদয় গ্রন্থ যেমন তিনি শুরু করেছেন পদার্থের সংজ্ঞা দিয়ে । পরে সংজ্ঞা দিয়েছেন ঈশ্বরের,  যাঁকে তিনি বলেছেন সর্বশক্তিমান, সর্বত্র বিরাজমান চৈতন্যস্বরূপ।
তিনি তাঁর একক ও সহযোগীর উদ্যোগে রেখে গেলেন আধুনিক ব্যবহারযোগ্য একটি (উচ্চারণ অনুযায়ী ও মুদ্রণযোগ্য) বাংলা ভাষা, প্রাথমিক ও নীতিশিক্ষার বহু জনপ্রিয় গ্রন্থ, বাংলা মাধ্যম স্কুলব্যবস্থা ও নারীশিক্ষার পাকা বুনিয়াদ । মাতৃ/বাংলা ভাষার শিক্ষার আর একটি প্রাক শর্ত হল ভাল পাঠ্যপুস্তকের সুলভতা । বিদ্যাসাগরের সময় তার যথেষ্ট অভাব ছিল । বিদ্যাসাগরকেও অবতীর্ণ হতে দেখা যায় এক দিকে, বাংলায় ব্যকরণসিদ্ধ মুদ্রণযোগ্য অক্ষর ও বানান সংস্কার করে, নানা পাঠ্যপুস্তক রচনা, ছাপা ও বিপণনের আয়োজন । পাঠ্যপুস্তক রচনার পাশাপাশি ছাপা  বইয়ের সম্পাদনা ও সম্মার্জনার প্রতি তাঁর অখণ্ড মনোযোগ চিরদিন বজায় ছিল । একবার  তিনি হতদরিদ্র সাঁওতালদের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন তিনি, সেই সময় (১৮৭৮) চর্যাপদের আবিস্কর্তা, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ও তাঁর এক সঙ্গী লখনউ যাওয়ার পথে এক রাত বিদ্যাসাগরের আতিথ্যগ্রহণ করেন । রাত্রে বিশ্রামের পর সকালে উঠে শাস্ত্রী মশাই দেখলেন, “বিদ্যাসাগর মহাশয় বারান্দায় পাইচারি করিতেছেন এবং মাঝে মাঝে টেবিলে বসিয়া কথামালা কি বোধোদয়ের প্রূফ দেখিতেছেন । প্রূফে  বিস্তর কাটকুটি  করিতেছেন । যেভাবে প্রূফগুলি পড়িয়া আছে, বোধ হইল, তিনি রাত্রেও প্রূফ দেখিয়াছেন । আমি বলিলাম, কথামালার প্রূফ আপনি দেখেন কেন ? তিনি বলিলেন, ভাষাটা এমন জিনিস, কিছুতেই মন  স্পষ্ট হয় না ; যেন আর একটা শব্দ পাইলে ভাল হইত ; — তাই সর্বদা কাটকুটি করি । ভাবিলাম — বাপ রে, এই বুড়ো বয়সেও ইহার বাংলার ইডিয়ামের ওপর এত নজর ।“ (সূত্রঃ অ-বা-প,পৃঃ৪/ ২৭-৯-১৯) ।
এই অনন্য ও  বিরাট ব্যক্তিত্বের মানুষটি ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ধর্মের কোনও বহিরঙ্গ মানতেন না এমনকি, আচরণও করতেন না ।   অথচ চালচলনে তিনি ছিলেন নিতান্তই সাদাসিধে ।  খুব বিনয়ী  এবং জীবনে  দৃঢ় সংকল্প এবং উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে ছিলেন  তিনি দৃঢ় মনোভাবাপন্ন । তিনি ছিলেন  একাধারে মহান সমাজ সংস্কারক  অন্যদিকে এক জন শিক্ষাবিদ  এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য নিরলস কাজ করে গেছেন অবিরাম । ভারতে শিক্ষার প্রতি তার অবদান এবং নারীর অবস্থার পরিবর্তন জন্য তিনি চিরস্বরণীয়। তাঁর অবর্ণনীয় মাতৃ ভক্তি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত । তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে আজও চর্চিত ।
হিন্দু ধর্মের কুসংস্কারের বিরোধী, বিধবা বিবাহের প্রচলনকারী, নারী শিক্ষার প্রবর্তক, উনবিংশ শতাব্দীর নবজাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সমাজ সংস্কারক, বর্ণপরিচয় ও বহু গ্রন্থের রচয়িতা, মহান শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনের প্রাক্কালে তাঁর মহান স্মৃতির প্রতি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য ।
————————-০——————————

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং পালনের গুরুত্ব।

সমগ্র বিশ্বে বাঘের সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৯ জুলাই তারিখে আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস বা বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়।২০১০ সালে সেণ্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ব্যাঘ্র অভিবর্তনে এই দিবসের সূচনা হয়। এই দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করে এর সম্পর্কে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করা। প্রতি বছর বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়। বাঘ ভারতের জাতীয় পশু হওয়ার কারণে এই দিবসের মহত্ব এখানে বেশি ধরা হয়।
২০১০ সালে নভেম্বরে প্রথম বাঘ দিবস উদযাপিত হয়। বিংশ শতকের গোড়া থেকেই বন্য বাঘের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমে যায়। এই বিষয়টি উপলব্ধি করার পরেই বাঘ দিবস পালনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। রাশিয়ায় সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইগাই সামিটে প্রথম বাঘ দিবস পালিত হয়। বাঘেদের স্বাভাবিক বাসস্থান রক্ষা করাই ছিল এই সামিটের মূল উদ্দেশ্য।
সামিটে যে ১৩টি দেশ অংশগ্রহণ করে, সেগুলি হল – ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া এবং রাশিয়া। এই সামিটে ২০২২-এর মধ্যে বন্য বাঘের সংখ্যা ৬০০০-এর বেশি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়।
সপ্তম বিশ্ব বাঘ দিবস গোটা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ভাবে পালন করা হয়। ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল প্রভৃতি বাঘের বেশি ঘনত্ব থাকা দেশের সাথে ইংল্যান্ড ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রেও বিভিন্ন স্থানীয় কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়। কিছু জনপ্রিয় তারকা তাদের সোসাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে এতে অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংস্থা (WWF) এর রেঞ্জারসমূহে বিনিয়োগ করে “দ্বিগুণ বাঘ” অভিযান চালায়। কয়েকটি কোম্পানী বিশ্ব বন্যপ্রাণী সংস্থার সঙ্গে মিলিতভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন।

তথ্য অনুযায়ী বিংশ শতকের গোড়া থেকেই বন্য বাঘের সংখ্যা ৯৫ শতাংশ কমে যায়। বিষয়টি উপলব্ধি করার পরেই বাঘ দিবস পালনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়।প্রতি বছর বিভিন্ন কার্যসূচীর মাধ্যমে এই দিবস পালন করা হয়। বাঘ ভারতের জাতীয় পশু হওয়ার কারণে এই দিবস আমাদের দেশের একটু বেশিমাত্রায় উপযোগী। গোটা বিশ্বে নগরায়নের কারণে বাঘেরা তাদের স্বাভাবিক বাসস্থানের ৯০ শতাংশই হারিয়ে ফেলেছে। বর্তামানে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ৪০০০-এরও কম।
আন্তর্জাতিক ব্যাঘ্র দিবস বা বিশ্ব বাঘ দিবস সমগ্র বিশ্বে বাঘের সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতি বছর ২৯ জুলাই তারিখে পালন করা হয়। ২০১০ সালে সেণ্ট পিটার্সবার্গে অনুষ্ঠিত ব্যাঘ্র অভিবর্তনে এই দিবসের সূচনা হয়। বিশ্ব বাঘ দিবস পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য হল বাঘের প্রাকৃতিক আবাস রক্ষা করা এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এছাড়াও বাঘের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে থাকা ভুল ধারণা ও ভয় দূর করাও আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালনের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্যে।
ভারতের জাতীয় পশু বাঘ হওয়ায় ভারতে এই দিনটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। বাঘেদের স্বাভাবিক বাসস্থান বৃদ্ধি ও বাঘের সংখ্যা বাড়ানো এই বাঘ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This