Categories
গল্প

ভাগ্যহীনা : রাণু সরকার।

মেয়েটির সবে বড় বেলা হয়েছে সুরু, ঘুরে ঘুরে বেড়ায় যে যা দেয় তাই খায়,মাঝে মাঝে হোটেল বাসন মাজে ওখানেই থাকে। একদিন এক বৃদ্ধ এসেছে ঐ হোটেলে খেতে মেয়েটি টেবিল মুছছিলো দেখে ভীষণ কষ্ট হলো বৃদ্ধের।
বৃদ্ধের আবার দেখার কেউ থেকেও নেই। মেয়েটিকে দেখে বৃদ্ধের মায়া হওয়াতে মেয়েটিকে বললো আমার সাথে যাবি আমার বাড়ি? ভালো থাকবি খাওয়া পড়া পাবি আমার ঘরের সব কাজ করবি, মেয়েটি বললো যাবো তখন মেয়েটির নাম জিজ্ঞেস করলো তোর নাম কি?একটু হেসে বললো আমার নাম অভাগী বৃদ্ধ বললো এটা আবার কেমন নাম? হ্যাঁগো বাবু এটাই আমার নাম ।
আমার বাবটা মাটাকে ছেড়ে চলে গেলো সেই দুঃখে হয়তো মাটা মরে গেলো,
তখন থেকেই সবাই আমায় অভাগী বলে ডাকে,

থাক তোর কথা আর বলতে হবে না সব বুঝেছি তুই চল আমার সাথে।
অভাগী চলে এলো বৃদ্ধার বাড়ি বৃদ্ধা ভীষণ ভালোবাসতো মেয়েটিকে যা চাই তো সে তাই দিতো ধীরে ধীরে মেয়েটি বড় হলো। বৃদ্ধার একটু লোভ হলো মেয়েটির প্রতি। বৃদ্ধা ভীষণ অসুস্থ একরকম বিছানা নিয়েছে বলা চলে।মেয়েটির দোকান বাজার সব করতে হয় নিজের হাতে। এই দোকান বাজার যেতে আসতে একজনের সাথে তার ভালোবাসা হলো বৃদ্ধ সেটা জানতো না। একদিন বৃদ্ধা কাঁপা কাঁপা গলায় বলছে-এই অভাগী, তোর আগুন জোড়া হাত-
আমার বুকে একটু স্পর্শ করবি একটিবার কর না আমি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে
তোর উষ্ণতা নিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই।
এই অভাগী,কোথায় গেলি আমার কাছে আয় না একবার।

উফ্! কুঁজোর সাধ জেগেছে চিৎ হয়ে শোবার,
আমার নারীত্বের এক টুকরোও ছিঁড়তে দেবোনা- আমি চলে যাবো এখান থেকে।
কোন চুলোয় যাবিরে মাগি? তুমি আমায় গাল দিচ্ছো? হ্যাঁ দিচ্ছি তো তোর জন্য এতো করলাম বড়ও করলাম আমার মুখে মুখে কথা?
তোর মুখে নুড়ো জ্বেলে দেবো,ছিলি তো রাস্তায়-এখানে তো হলি ডাগর ডুগোর কোন মরদ আছে তোর বল তো-আমায়?

মেয়েটি রাগ করে চলে যাচ্ছে, বলছে খাব না আর তোমার ভাত,এই আমি চললাম
তোমার মনে মনে এই ছিলো?
যাস নে অভাগী আমি এই আছি এই নেই-
আমার চাওটা কি খুব বেশি হলো?
উত্তর দে- কিনা দিয়েছি তোকে,যখন যা চাইছিস তাই পেয়েছিস।
অভাগী শুনোলো না চলে গেলো বুড়োকে একা রেখে-
তার নারীত্বের একটুরোও দেবে না,
মরদ ঠিক করা আছে যে তার।

কিছুদিন চললো মরদের সাথে ভরা যৌবন খেলা।মরদের সংসার আছে যে-মেয়টির নারীত্ব গেলো সে মা হতে চলেছে আর ভালো লাগছে না মরদের মারধর করে দিলো তাড়িয়ে।
এলো গর্ভবতী হয়ে বুড়োর দ্বারে,এসে দেখে বুড়ো মরে আছে, পাড়ার মানুষ তাকে থাকতে দেবে কেনো?
সেই আগের জায়গায় তাকে ফিরে যেত হলো।

Share This

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *