Categories
রিভিউ

জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কিংবদন্তি বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায় হলেন ভারতের একজন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও গীতিকার। তিনি গানকে ভালোবেসেছিলেন, ভালোবাসতেও শিখিয়েছিলেন। বাংলা রবীন্দ্রপরবর্তী যুগে বাংলা গানের জগতে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। তাঁর হাত ধরেই বাংলা গানের স্বর্ণযুগের সেতুবন্ধন হয়েছিল। ‘বধূয়া আমার চোখে জল এনেছে’, ‘এ কোন সকাল রাতের চেয়ে অন্ধকার’ তাঁর বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে অন্যতম৷ ২০১৩ সালে তাঁকে রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি থেকে জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তাঁর এই সৃষ্টি বাঙালির তথা বাংলা গানের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে ও থাকবে।

জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি—

১৯৩৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর অবিভক্ত বাংলার চুঁচুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। আট ভাইয়ের মধ্যে জটিলেশ্বর সবচেয়ে ছোট। দাদারা অনেকেই ভালো গান গাইতেন । গান গাওয়ার পেছনে তাঁর অনুপ্রেরণা মা অন্নপূর্ণা ও দাদা কপিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ১৯৫৫ সালে প্রথম আকাশবাণীতে গান গাওয়ার সুযোগ পান জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। ১৯৭৪ সালে তাঁর রেকর্ড করা ‘এ কোন সকাল’ গানটি আজো বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানা দুরবস্থার কথা তুলে ধরতে ব্যবহার করা হয়।

সঙ্গীত চর্চা—

 

সতীনাথ মুখোপাধ্যায়, চিন্ময় লাহিড়ী ও সুধীন দাশগুপ্তের কাছ থেকে তিনি সঙ্গীতের শিক্ষা নেন।১৯৬৩ সালে মেগাফোন থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম গানের ‘রেকর্ড’। তাঁর প্রথম রেকর্ড সুর ও কথা ছিল সুধীন দাশগুপ্তের। এরপর ১৯৬৪ সালে সলিল চৌধুরীর কথা ও সুরে মেগাফোন থেকেই বের হয় তাঁর দ্বিতীয় রেকর্ড, সেই বিখ্যাত গান ‘পাগল হাওয়া’। এর পর মেগাফোন, এইচএমভি থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতে শুরু করে তাঁর গাওয়া গান।  বাংলা আধুনিক গানের স্বর্ণযুগে অন্য মাত্রা যোগ করে তাঁর কণ্ঠ ও সঙ্গীতারোপের কুশলতা। তাঁর জনপ্রিয় সৃষ্টির মধ্যে অন্যতম ”কেউ বলে ফাগুন/ কেউ বলে পলাশের মাস..”, ”আমার স্বপন কিনতে পারে”, ”আহা ভালোবেসে এই বুঝেছি”, ”এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার”, ”কাঁদে গো শচীমাতা নিমাই নিমাই”, ”যদি সত্যিই আমি গান ভালোবেসে থাকি”..প্রভৃতি।

পুরস্কার ও সম্মাননা—

 

২০১৩ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি কর্তৃক জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি সেরা সঙ্গীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ‘দামু’ ও ‘নটী বিনোদিনী’ চলচ্চিত্রে সুরারোপ করে।

মৃত্যু—

২১ ডিসেম্বর ২০১৭সালে তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মাল্টি-অরগ্যান ফেলিওর হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

।।তথ্য: সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে উনিশ শতকের প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুর ।

প্রসন্নকুমার ঠাকুর ছিলেন উনিশ শতকের একজন সমাজ সংস্কারক। ডিসেম্বর ২১, ১৮০১ সালে তাঁর জন্ম। তিনি হিন্দু কলেজের (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা গোপী মোহন ঠাকুরের পুত্র ছিলেন।  তিনি ঠাকুর পরিবারের পাথুরিয়াঘাটা শাখার সদস্য এবং সেই সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের রক্ষণশীল নেতা ছিলেন।

 

প্রসন্নকুমার বাড়িতে এবং শেরবার্ন স্কুলে শিক্ষা লাভ করেন।  ১৮১৭ সালে হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেখানেও ভর্তি হন।  তিনি স্মৃতিবিদ্যা এবং পাশ্চাত্য আইনশাস্ত্রে বিশেষ জ্ঞান অর্জনের পর দেওয়ানী আদালতে আইনের অনুশীলন শুরু করেন।  কিছুদিন পর তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর নিযুক্ত হন।  তিনি ১৮৫০ সালে পারিবারিক সম্পত্তি দেখাশোনা করার জন্য সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন।  ১৮৫৪ সালে ভাইসরয়ের কাউন্সিল গঠিত হলে তিনি এতে কেরানি-সহকারী হিসেবে যোগ দেন।  তিনি ছিলেন সমসাময়িক সময়ের একজন বিশিষ্ট ধনী বাঙালি।

প্রসন্নকুমার ঠাকুর ১৮২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত রক্ষণশীল সংগঠন “গৌড়ীয় সমাজ”-এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন। তা সত্ত্বেও, তিনি রাম মোহন রায়ের সতীদাহ আন্দোলনের অবসানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।  1830 সালের ব্রাহ্মসভার আশি সনদ অনুসারে, প্রসন্নকুমার ছিলেন ব্রাহ্মসভার প্রথম দিকের আশি।  পৌত্তলিক রামমোহনের অনুসারী হওয়া সত্ত্বেও, বাড়িতে দুর্গোৎসব উদযাপনের জন্য ডিরোজিওর কঠোর সমালোচনা করেছিলেন।
সেই সময়ে প্রসন্নকুমার বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  দ্বারকানাথ ঠাকুরের সাথে তিনি জমিদারদের সোসাইটি এবং ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা নেন।  1867 সালে তিনি ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও হন।
শিক্ষার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।  তাঁর অনুদানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত “ঠাকুর আইন অধ্যাপক” পদ সৃষ্টি হয়।  জমিদারদের মুখপাত্র হিসেবে তিনি নীতিগতভাবে সিপাহী বিদ্রোহের বিরোধিতা করেন।  ১৮৬৬ সালে ব্রিটিশ সরকার এটিকে “সিএসআই” উপাধি প্রদান করে।  তার লেখা দু’টি বই হল অ্যান অ্যাপিল টু কান্ট্রিমেন ও টেবিল অফ সাকসেশন অ্যাকর্ডিং টু হিন্দু ল অফ বেঙ্গল।

১৭৯৬ সালে, রাশিয়ান পণ্ডিত অভিযাত্রী গেরাসিম স্টেপানোভিচ লেবেদেভ প্রথম বাংলা নাটক মঞ্চস্থ করেন।  কিন্তু এরপর এ লাইনে বিশেষ কোনো অগ্রগতি হয়নি।  ১৮৩২ সালে, প্রসন্নকুমার তার নারকেলডাঙ্গা বাড়িতে একটি অস্থায়ী মঞ্চ স্থাপন করেন। সেখানে মাত্র কয়েকটি ইংরেজি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল। তবে এই উদ্যোগ অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
প্রসন্নকুমার সারাজীবন খ্রিস্টান মিশনারিদের কার্যকলাপের বিরোধিতা করেন।  তা সত্ত্বেও, তাঁর পুত্র জ্ঞানেন্দ্রমোহন ঠাকুর ১৮৫১ সালে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন ব্যানার্জির কন্যা কমলমণিকে বিয়ে করেন।  জ্ঞানেন্দ্রমোহনও ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন হিন্দু আইন ও বাংলা পড়াতে।  তিনি ছিলেন প্রথম ভারতীয় ব্যারিস্টার।  ভারতে ফিরে তিনিও বাবার মতো আইন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।

 

৩০ অগস্ট, ১৮৬৮ সালে তিনি প্রয়াত হন।।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২১ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২১  ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯১৭ – নোবেলজয়ী [১৯৭২] জার্মান ঔপন্যাসিক হাইনরিখ ব্যোল।

 

১৯১৮ – অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘের মহাসচিব কুর্ট ওয়ার্ল্ডহেইন।

 

১৯২৮ – বাংলাদেশী পদার্থবিজ্ঞানী,বিজ্ঞানলেখক ও মানবাধিকার কর্মী অজয় রায়।

 

১৯৩২ – আমীন সায়ানি,খ্যাতনামা ভারতীয় বেতার উপস্থাপক তথা রেডিও ঘোষক।

 

১৯৩৪ – প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি নেপথ্য সঙ্গীত শিল্পী ও বাংলা আধুনিক গানের জনপ্রিয় গায়িকা।

 

১৯৭৯ – সোভিয়েত নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান জোসেফ স্তালিন।

 

১৯৭৫ – শ্রীজাত বাঙালি কবি, ঔপ্যন্যাসিক, গীতিকার ও সুরকার।

 

১৮০১ – প্রসন্নকুমার ঠাকুর, সমাজ সংস্কারক।

 

১৮০৫ – ব্রিটিশ রসায়নবিদ টমাস গ্রাহাম।

 

১৮২৭ – রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতের বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার।

 

১৮৫৪ – বাংলাদেশের মরমী কবি এবং বাউল শিল্পী অহিদুর রেজা বা দেওয়ান হাসন রাজা চৌধুরী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৩ – সংবাদপত্র নিউইয়র্ক ওয়ার্ল্ড সর্ব প্রথম শব্দ ধাঁধা প্রকাশ করে।

১৯৫২ – উপমহাদেশে সাইফুদ্দিন কিসলু প্রথম লেনিন শান্তি পুরস্কার পান।

১৯৫৮ – দ্যা গল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৯৬৪ – চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এনলাই চীনের দ্বিতীয় জাতীয় গণ কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীর কমিটির পক্ষ থেকে ” চারটি ক্ষেত্রে চীনের আধুনিকায়ন বাস্তবায়নের প্রস্তাব” দাখিল করেন ।

১৯৬৪ – ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা বা পি.এল.ও. গঠিত হয়।

১৯৬৮ – অ্যাপোলো-৮ উৎক্ষেপণের ফলে মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো মানুষের পক্ষে চন্দ্র প্রদক্ষিণ সম্ভব হয়।

১৯৮৮ – পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন শুরু।

১৯৮৮ – স্কটল্যান্ডের লকারবির আকাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিস্ফোরিত হবার ঘটনায় ২৭০ জন প্রাণ হারায়।

১৯৯১ – সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ১১টি প্রজাতন্ত্রের ( ৩টি বল্টিক উপকূলীয় প্রজাতন্ত্র এবং জর্জিয়া প্রজাতন্ত্র ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের বাকী ১১টি প্রজাতন্ত্রের ) নেতারা কাজাখস্তানের রাজধানী আলমা’ আটা শহরে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে “আলমা’ আটা ঘোষণা” স্বাক্ষর করেন এবং তাতেই সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তি ঘটে ।

১৯৯১ – কলম্বোয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

১৯৯৩ – রাশিয়ায় নতুন সংবিধান প্রবর্তন।

১৮২৬ – রাজা রনজিত সিংয়ের বিরুদ্ধে সৈয়দ আহমদ বেলভীর যুদ্ধ ঘোষণা।

১৮৪৯ – প্রথম মার্কিন স্কেটিং ক্লাব গঠিত হয়।

১৮৬২ – ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় দফা যুদ্ধ শুরু হয়।

১৮৬২ – সাইয়েদ আহমদ ব্রেলভী জিহাদ ঘোষণা করেন এবং এক যুদ্ধে শিখরা পরাজিত হয়।

১৮৭৯ – সোভিয়েত ইউনিয়নের পার্টি ও রাষ্ট্রের নেতা , আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের মহা-নায়ক ইউসুফ ভিসালিওনোভিচ স্টালিন রাশিয়ার জর্জিয়ার গোলি শহরের একটি জুতোর মিস্ত্রী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৯৮ – বিজ্ঞানী পিয়ের ক্যুরি ও মারি ক্যুরি তেজস্ক্রিয় মৌল রেডিয়াম আবিষ্কার করেন।

১৭৬২ – জেমস কুক এলিজাবেথ বাটসকে বিয়ে করেন।

১৭৮৮ – হু তে সং ভিয়েতনামের রাজা হন।

১৩৭৫ – কবি ও কথাশিল্পী জিওভান্নি বোক্কাচিওর মৃত্যু।

১১৬৩ – হল্যান্ডের কয়েকটি গ্রামে হারিকেন আঘাত হানে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১১ – পি কে আয়েঙ্গার, ভারতে পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম ব্যক্তিত্ব,ভাবা পরমাণু কেন্দ্রের অধিকর্তা ও ভারতের খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী।

 

২০১৭ – জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, কিংবদন্তি বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।

 

২০২১ – ভারতীয় বাঙালি কবি শরৎকুমার মুখোপাধ্যায়।

২০২২ – চিকেন টিক্কা মাসালার উদ্ভাবক আলি আহমেদ আসলাম।

 

১৯১৪ – বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক নবীনচন্দ্র দাশ।

১৯৬০ – মার্কিন গণিতবিদ ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী লেখক এরিক টেম্পল বেল।

১৯৮২ – প্রাবন্ধিক, নন্দনতাত্ত্বিক আবু সয়ীদ আইয়ুব।

১৮০৭ – ইংরেজ মানবতাবাদী জন নিউটন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২০ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২০  ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব মানবীয় সংহতি দিবস৷

(খ) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস (বাংলাদেশ)৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৫ – বিল ও’রিলি, বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

১৯১৫ – আজিজ নেসিন, তুর্কি লেখক ও কবি।

 

১৯১৯ -খালেদ চৌধুরী,বাংলার প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব।

 

১৯৩১ – বদরুদ্দীন উমর, বাংলাদেশের মার্কসবাদী-লেনিনবাদী লেখক।

 

১৯৪০ – মুঙ্গারা যামিনী কৃষ্ণমূর্তি ভরতনাট্যম ও কুচিপুড়ি ধারার নৃত্যশিল্পী।

 

১৯৫৬ – মোহাম্মদ ওউলদ আবদেল আজিজ, মৌরিতানিয়ার সাবেক জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৬৫ – রবার্ট কাভানাহ, স্কটিশ অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৭০ – গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৮০ – অ্যাশলি কোল, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৮২ – মোহাম্মদ আসিফ, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

 

১৯৯০ – জোজো, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী।

১৮৪১ – ফার্দিনান্ড ফেরডিনান্ড বুইস্‌ন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি অধ্যাপক ও রাজনীতিবিদ।

১৮৬৬ – সাংবাদিক ও সম্পাদক পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়।

১৮৯০ – জারস্লাভ হেয়রভসকয়, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চেক রসায়নবিদ ও অধ্যাপক।

১৮৯৪ – অস্ট্রেলিয়ার রবার্ট মেনযিয়েস, অস্ট্রেলিয়ান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১২ তম প্রধানমন্ত্রী।

১৫৩৭ – সুইডেনের রাজা তৃতীয় জন।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯২৩ – লাহোরে হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগে।

১৯২৫ – বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদ স্থাপিত হয়।

১৯৩৯ – রেডিও অস্ট্রেলিয়া আন্তর্জাতিক শর্টওয়েভ সম্প্রচার শুরু করে।

১৯৪২ – মাঝরাতে কলকাতার আকাশে জাপানি বিমান হানা দেয়।

১৯৫৭ – সানফ্রান্সিসকো চলচ্চিত্র উৎসবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘পথের পাঁচালী’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।

১৯৬০ – দক্ষিণ ভিয়েতনামে জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠিত হয়।

১৯৭১ – ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৭৪ – পর্তুগাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান করে।

১৯৮৮ – প্রধানমন্ত্রী রণসিংহে প্রেমাদাসা শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৮৩০ – ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, প্রুশিয়া, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া বেলজিয়ামকে স্বীকৃতি দেয়।

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভ বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হন।

১৭৮০ – ইংল্যান্ড নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৭৯০ – আমেরিকায় প্রথম কটন মিল চালু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৫ – শাহ আবরারুল হক হারদুয়ী, ভারতীয় ইসলামি পণ্ডিত ও ধর্ম সংস্কারক।

 

২০০৯ – দীপালি নাগ রাগপ্রধান গানের প্রথম মহিলা বাঙালি শিল্পী।

 

২০১২ – স্ট্যান চার্লটন, ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় ও ম্যানেজার।

 

২০১৩ – সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন৷

২০১৪ – মাকসুদুল আলম বাংলাদেশী জিনতত্ত্ববিদ, পেঁপে, রাবার, পাট এবং ছত্রাক জিনোম উদ্ভাবক।

২০১৮ – সরকার ফিরোজ, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশের মিডিয়া ব্যক্তিত্ব।

২০১৯ – স্যার ফজলে হাসান আবেদ, কেসিএমজি, একজন বাংলাদেশি সমাজকর্মী এবং বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা।

২০২১ – অজিত রায়, ধানবাদের বাঙালি সাহিত্যিক।

 

১৯১৫ – উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, বাঙালি শিশুসাহিত্যিক, বাংলা মুদ্রণের পথিকৃৎ।

১৯২৯ – এমিলি লউবেট, ফরাসি আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ৮ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৫৪ – জেমস হিল্টন, একজন ইংরেজ ঔপন্যাসিক।

১৯৬৮ – জন স্টাইন্‌বেক্‌, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান লেখক।

 

১৯৭৪ – (ক)  রজনীপাম দত্ত, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বৃটিশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

 

(খ) সীতা দেবী, প্রখ্যাত বাঙালি লেখিকা।

 

১৯৭৯ – (ক) সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত, প্রখ্যাত গান্ধীবাদী নেতা ও গঠনমূলক সেবাকার্য ও পল্লীউন্নয়নের বিভিন্ন পদ্ধতির আবিষ্কারক।

(খ) কমলা ঝরিয়া, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী।

 

১৯৮২ – কানু রায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা ও সঙ্গীত পরিচালক।

১৯৯০ – মাহমুদুন্নবী, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী

১৯৯১ – সিমন ব্যাক, ফরাসি শেফ ও লেখক।

১৯৯৬ – বিখ্যাত মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী কার্ল সেগান।

১৯৯৮ – অ্যালেন লয়েড হডজিকিন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ শারীরবিজ্ঞানী ও জৈবপদার্থবিদ।

১৭৩৭ – চীনের সম্রাট কাংজির মৃত্যুবরণ করেন।

১৫৯০ – আম্ব্রইসে পারে, ফরাসি চিকিৎসক ও সার্জন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব মানবীয় সংহতি দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় এবং দিনটির গুরুত্ব।

বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৩ : বিশ্ব মানবতাবাদী কর্মী বা বাস্তব জীবনের নায়কদের স্মরণে ১৯ আগস্ট বিশ্ব মানবিক দিবস পালিত হয় যারা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে চরম পরিস্থিতিতে অন্যদের সাহায্য করার জন্য তাদের জীবন দান করেছেন।  এই দিনে, আমরা সমস্ত সাহায্য এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের সম্মান জানাই যারা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও, যারা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা এবং সুরক্ষা প্রদান করে চলেছেন।

 

প্রতি বছর ১৯ আগস্ট, বিশ্ব মানবতাবাদীদের অসাধারণ প্রচেষ্টাকে সম্মান জানাতে একত্রিত হয় যারা অক্লান্তভাবে সঙ্কট-আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর জীবন উন্নত করার জন্য কাজ করে।  বিশ্ব মানবিক দিবসটি সেই ব্যক্তিদের অদম্য চেতনার প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে যারা চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, তাদের অটল সমর্থন প্রসারিত করে।  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ এই বৈশ্বিক উদ্যোগের নেতৃত্ব দেয়, বিশ্বজুড়ে অংশীদারদেরকে একত্রিত করে প্রতিকূলতার মুখে বেঁচে থাকা, মঙ্গল এবং মর্যাদা অর্জনের জন্য।

 

বিশ্ব মানবিক দিবস কেন পালিত হয়?

 

বিশ্ব মানবতাবাদী দিবস উদযাপন করে নিঃস্বার্থ বীরদের যারা মানবজাতির সেবার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন।  মানবতাবাদীরা এমন লোক যাদেরকে একটি উন্নত জীবন যাপনের জন্য সমাজকে রক্ষা করা এবং সহায়তা করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য নেই।

 

বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৩ : থিম–

 

বিশ্ব মানবিক দিবস ২৯২৩-এর অফিসিয়াল থিম হল ‘নো ম্যাটার হোয়াট।’  জাতিসংঘের ওয়েবসাইট অনুসারে, “এই বছর, আমাদের বিশ্ব মানবিক দিবসের প্রচারাভিযান বিশ্ব মানবিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করে ইরাকের বাগদাদে জাতিসংঘের সদর দফতরে হামলার বিংশতম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে এবং সেই সম্প্রদায়ের জন্য আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করতে যা আমরা করি।  পরিবেশন করুন, যেই হোক না কেন, যেখানেই হোক না কেন এবং #No Matter What।”

 

বিশ্ব মানবতাবাদী দিবস ২০২৩-এর থিম, “কোনও ব্যাপার নয়,” “No Matter What।” বিশ্বব্যাপী মানবতাবাদীদের অটল উত্সর্গকে ধারণ করে।  একটি সাধারণ লক্ষ্য দ্বারা একত্রিত হয়- জীবন উদ্ধার এবং রক্ষা করা- তারা মানবিক নীতির প্রতি অটল অঙ্গীকারের উদাহরণ দেয়।  এই থিমটি মানবতাবাদীদের মধ্যে অটুট বন্ধন এবং তারা যে লোকেদের সেবা করে তাদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেয় এমন সঠিক বিচার করার জন্য তাদের অবিচ্ছিন্ন সংকল্পের উপর জোর দেয়।  অন্তর্নিহিত চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও, তাদের দৃঢ় মনোভাব উজ্জ্বল হয়, কারণ তারা বাধাগুলি নেভিগেট করে এবং যারা কঠিন পরিস্থিতিতে তাদের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান করে।

 

বিশ্ব মানবিক দিবসের তাৎপর্য: নিঃস্বার্থ অবদানকে সম্মান করা—

 

পৃথিবীর প্রতিটি কোণে, পুরুষ এবং মহিলারা নিঃস্বার্থভাবে মানবিক কারণে সেবা করার জন্য তাদের জীবনকে লাইনে রেখেছেন।  তাদের ক্রিয়াকলাপ সম্পূর্ণরূপে পরোপকার দ্বারা চালিত হয়, লুকানো উদ্দেশ্য বা এজেন্ডা বর্জিত।  তারা সাহসিকতার সাথে প্রয়োজনে তাদের সহায়তা প্রসারিত করে, এমনকি সামাজিক সহিংসতায় জর্জরিত এলাকায়ও।  বিশ্ব মানবতাবাদী দিবস এই অমিমাংসিত নায়কদের এবং তাদের নিঃস্বার্থ অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।  বছর অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে, তাদের পরিষেবার স্কেল এবং জটিলতা বিকশিত হতে থাকে, আরও বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে।  ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের জন্য স্পষ্ট অবহেলা, ইচ্ছাকৃত আক্রমণ এবং ভুল তথ্য প্রচারের মধ্যে, এই মানবতাবাদীরা বিশ্বকে একটি ভাল জায়গা তৈরি করার জন্য তাদের সাধনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

 

বিশ্ব মানবিক দিবস: ইতিহাস—

 

ত্যাগ ও সেবার স্মৃতি—

 

বিশ্ব মানবিক দিবসের শিকড়গুলি ১৯ আগস্ট, ২০০৩-এ ফিরে আসে, যখন ইরাকের বাগদাদের ক্যানেল হোটেলে একটি বিধ্বংসী বোমা হামলায় ২২ জন মানবিক সহায়তা কর্মী নিহত হয়েছিল, যার মধ্যে ইরাকের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি সার্জিও ভিয়েরা ডি মেলো ছিল।  এই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পাঁচ বছর পর ১৯ আগস্টকে বিশ্ব মানবিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।  প্রতি বছর, উপলক্ষটি একটি নির্দিষ্ট থিমকে কেন্দ্র করে, মানবিক অংশীদারদের মধ্যে সহযোগিতাকে উত্সাহিত করে যাতে সঙ্কট-আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকা, মঙ্গল এবং মর্যাদা, সেইসাথে সাহায্য কর্মীদের নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তার পক্ষে সমর্থন করা যায়।

 

বিশ্ব মানবিক দিবস ২০২৩: প্রসারিত প্রভাব–

 

এই বছরের বিশ্ব মানবিক দিবস মানবিক কাজের গুরুত্ব, কার্যকারিতা এবং ইতিবাচক প্রভাবকে আলোকিত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে।  এটি মানবতাবাদীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টাকে হাইলাইট করে যারা দুঃখকষ্ট দূর করার জন্য চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে উঠে মানব আত্মার স্থিতিস্থাপকতার উদাহরণ দেয়।  অনিশ্চয়তা এবং দ্বন্দ্বে জর্জরিত বিশ্বে, তাদের উত্সর্গ এবং নিঃস্বার্থতা আশার আলোকবর্তিকা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে, আমাদের সকলকে আরও সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব সম্প্রদায়ে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করে।

 

সমবেদনার ভবিষ্যতকে আলিঙ্গন করা

বিশ্ব মানবিক দিবস প্রতিকূলতার মুখে ঐক্য, সহানুভূতি এবং স্থিতিস্থাপকতার শক্তিকে অন্ডারস্কোর করে।  এটি মানবতাবাদীদের অটল প্রতিশ্রুতি উদযাপন করে, যারা “কোন ব্যাপারই হোক না কেন,” অভাবীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে চলেছে।  এই দিনে যখন আমরা তাদের নিঃস্বার্থ অবদানকে স্মরণ করি, তখন আসুন আমরা এমন একটি বিশ্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের উত্তরাধিকারকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করি যেখানে সহানুভূতি, সংহতি এবং মানবিক নীতিগুলি আমাদের কর্মকে নির্দেশিত করে।  একসাথে, আমরা সমবেদনা এবং সহযোগিতার দ্বারা সংজ্ঞায়িত একটি ভবিষ্যত গড়ে তুলতে পারি, এটি নিশ্চিত করে যে অন্ধকারতম সময়েও আশার আলো জ্বলতে থাকে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৯ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৯  ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

 

(ক) বাংলা ব্লগ দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০২ – রাফ রিচার্ডসন, ইংরেজ মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯০৪ – ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ও ট্রেড ইউনিয়নের নেতা রণদিভের জন্ম।

 

১৯০৬ – সোভিয়েত কমিউনিস্ট নেতা ও প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ব্রেজনেভের জন্ম।

১৯০৮ – প্রখ্যাত বাঙালি সুরকার রত্নেশ্বর মুখোপাধ্যায় বা রতু মুখাপাধ্যায়।

 

১৯১০ – জ্যঁ জ্যেঁনে, ফরাসি সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক অধিকার আন্দোলনকর্মী।

 

১৯৩৪ – প্রতিভা পাতিল, ভারতের দ্বাদশ ও প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি।

 

১৮৫২ – এলবার্ট মিকেলসন, মার্কিন পদার্থবিদ।

 

১৮৭৩ – বৃটিশ ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী।

 

১৮৭৫ – মিলেভা মেরিক, পদার্থবিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের প্রথম স্ত্রী ও সহকর্মী।

 

১৬৮৩ – স্পেনের রাজা পঞ্চম ফিলিপ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯৪১ – জার্মান সাবমেরিন ইউ-৫৭৪ ডুবে যায়।

১৯৪২ – ফ্যাসিস্টবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের দু’দিন ব্যাপী প্রথম সম্মেলন শুরু।

১৯৫৭ – মস্কো ও লন্ডনের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু।

১৯৮৯ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পানামায় আগ্রাসী অভিযান শুরু করে।

১৯৯১ – মোটরগাড়ি নির্মাণশিল্পের পুরোধা জেনারেল মোটরস কোম্পানির একশটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেলে আমেরিকায় ৭৪ হাজার শ্রমিক চাকরি হারান।

১৯৯৬ – চট্টগ্রাম টিভি উপকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়।

১৮৮৯ – হাওয়াইয়ে বিশপ মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৯১ – কানাডিয়ান রাগবি ইউনিয়ন গঠিত হয়।

১৬৭৫ – দিল্লিতে নবম শিখগুরু তেগ বাহাদুরের শিরশ্ছেদ ঘটানো হয়।

১৬৮৮ – রাজা দ্বিতীয় জেমস স্ত্রী-সন্তানসহ ফ্রান্সে পালিয়ে যান।

১১৫৪ – ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় হেনরির অভিষেক।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০২০ – পবিত্র কাবা ঘরে স্থাপিত দরজার নকশাকার প্রকৌশলি মুনির আল জুনদি।

 

১৯১১ – মীর মশাররফ হোসেন ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক।

 

১৯১৮ – (ক) রাধাগোবিন্দ কর,বৃটিশ ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক।

 

(খ) অজিতকুমার চক্রবর্তী,রবীন্দ্রনাথের শিক্ষার আদর্শ রূপায়ণকারী, রবীন্দ্র অনুরাগী ব্যক্তিত্ব।

 

১৯২৭ – (খ)  রামপ্রসাদ বিসমিল,মণিপুর ষড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী ।

 

(খ) আসফাকউল্লা খান, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

 

১৯৮৪ – আবদুল কাদির, ছান্দসিক হিসেবে খ্যাত বাঙালি কবি ও সাহিত্য-সমালোচক।

১৯৮৭ – ড. খায়রুল বশর, গবেষক ও প্রাবন্ধিক।

 

১৮৬০ – লর্ড ডালহৌসি, ভারতের গভর্নর জেনারেল।

১৭৩৭ – জেমস সোবিয়েস্কি, পোল্যান্ডের যুবরাজ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

১৮ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৮  ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস (জাতিসংঘ)।

(খ) সুপ্রিম কোর্ট দিবস (বাংলাদেশ)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯৩০ – সাহিত্যিক-সাংবাদিক শহীদ সাবের।

 

১৯৩৯ – হ্যারল্ড ইলিয়ট ভারমাস, মার্কিন জীববিজ্ঞানী এবং অধিবিদ্যাবিৎ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

১৯৪২ – রঘু রাই, কিংবদন্তি ভারতীয় আলোকচিত্রী এবং চিত্র সাংবাদিক।

 

১৯৪৬ – স্টিভেন স্পিলবার্গ, মার্কিন পরিচালক, প্রযোজক এবং চিত্রনাট্যকার, ড্রিমওয়ার্কসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।

১৯৫০ – শরৎ ফনসেকা, শ্রীলংকার জেনারেল ও রাজনীতিবিদ।

 

১৯৫২ – সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক।

 

১৯৬১ – লালচাঁদ রাজপুত, সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার।

১৯৬৩ – ব্র্যাড পিট, মার্কিন অভিনেতা এবং প্রযোজক।

১৯৭৫ – সিয়া, অস্ট্রেলিয়ান গায়িকা-গীতিকার।

১৯৮৬ – উসমান খাজা, পাকিস্তানি-অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৮৮ – ইমাদ ওয়াসিম, পাকিস্তানি ক্রিকেটার।

১৯৮৯ – আল্লামা ইকবাল অনিক, বাংলাদেশী সাংবাদিক ও লেখক।

 

১৮২৪ – লালবিহারী দে,বৃটিশ ভারতীয় সাংবাদিক ও খ্রিস্টান মিশনারি।

১৮৫৬ – জে জে টমসন, ইংরেজ পদার্থবিদ্ এবং অধিবিদ্যাবিৎ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

১৮৭০ – সাকি, ব্রিটিশ ছোট গল্পকার।

 

১৮৭৮ – জোসেফ স্ট্যালিন, জর্জিয়ান-রাশিয়ান মার্শাল এবং রাজনীতিবিদ, ৪র্থ সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রধান।

 

১৮৯০ – এডউইন হাওয়ার্ড আর্মস্ট্রং, মার্কিন প্রকৌশলী, এফএম রেডিওর জনক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১২ – মার্কিন কংগ্রেস সেদেশে অশিক্ষিত অভিবাসীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করে।

১৯৬৯ – ব্রিটেনে খুনের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা হয়।

১৯৭১ – সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অস্থায়ী সরকারের মন্ত্রীসভার প্রথম বৈঠক ঢাকায় অনুষ্ঠিত।

১৯৭২ – সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রথম কার্যক্রম শুরু করে।

১৯৯৯ – স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম সমাবর্তন।

১৮৬৫ – মার্কিন সংবিধানের ১৩শ সংশোধনী ঘোষণা করার ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়।

১৩৯৮ – তৈমুর লঙ দিল্লির সুলতান মুহম্মদ তুঘলকের কাছ থেকে দিল্লি দখল করে নেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – বিজয় হাজারে, ভারতীয় ক্রিকেটার।

 

২০০৬ – বিকাশ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী।

 

১৯৭৩ – কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদ, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা।

 

১৯৮৩ – প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ,ভারতীয় রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রাম,পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।

১৯৮৪ – শক্তিরঞ্জন বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের কর্মী ও সমাজসেবী।

 

১৯৯৬ – বামপন্থী সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও অনুবাদক ননী ভৌমিক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বৃটিশ ভারতের খ্যাতনামা চিকিৎসক, বাংলার গর্ব ডঃ রাধাগোবিন্দ কর – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

রাধাগোবিন্দ কর ব্রিটিশ ভারতের একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক।২৩ আগস্ট ১৮৫২সালে তাঁর জন্ম।  তাঁর পিতার নাম ডাক্তার দুর্গাদাস কর । তার ভাই রাধামাধব কর ছিলেন একজন বিখ্যাত চিকিৎসক এবং সফল নাট্যব্যক্তিত্ব। প্লেগের মতো মারণরোগের মোকাবিলায় নিজের জীবন বিপন্ন করে ঝাঁপিয়ে পড়া, মাতৃভাষায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের বই লেখা ও সম্পাদনা, শত বাধা পেরিয়ে এশিয়ার প্রথম বেসরকারি মেডিক্যাল স্কুল স্থাপন— এ সমস্তই ছিল রাধাগোবিন্দ করের দেশ ও দেশবাসীর প্রতি ভালবাসা ও দায়িত্ববোধের পরিচায়ক।

 

রাধাগোবিন্দ কর হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ার জন্য কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন, কিন্তু বিভিন্ন কারণে এক বছর পর কলেজ ছেড়ে যান।  ১৮৮০ খ্রিস্টাব্দে তিনি আবার কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে যান।  ১৮৮৭ সালে, তিনি এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনে ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন।

 

ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর ভারতে ফিরে এলে তিনি কলকাতায় একটি জাতীয় চিকিৎসা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সভা আহ্বান করেন।  সেই বছরের ১৮ অক্টোবর, ড. মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ড. অক্ষয় কুমার দত্ত, ড. বিপিন বিহারী মৈত্র, ড. এম. এল. দে, ড. বি. যেমন জি. ব্যানার্জী এবং ড. কুন্দন ভট্টাচার্যের মতো কলকাতার বিখ্যাত চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে।  , ব্রিটিশ শাসকদের অধীনে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা একটি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  এই সিদ্ধান্ত থেকে ক্যালকাটা স্কুল অফ মেডিসিন ১৬১, সাতীখানা বাজার রোডে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শীঘ্রই ১১৭, বউবাজার স্ট্রিটে স্থানান্তরিত হয়।  ডক্টর রাধাগোবিন্দ কর প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন।  ১৮৮৭ সালের আগস্ট মাসে, স্কুলের নাম পরিবর্তন করে কলকাতা মেডিকেল স্কুল করা হয় এবং ১৮৮৯ সালে ডাঃ রাধাগোবিন্দ কর কলকাতা মেডিকেল স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন।  ১৯০৪ সালে, ক্যালকাটা মেডিকেল স্কুল এবং অন্য একটি বেসরকারী চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল, দ্য ক্যালকাটা মেডিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস অফ বেঙ্গল গঠনের জন্য একীভূত হয়, যা ৫ জুলাই, ১৯১৬ সালে বেলগাছিয়া হিসাবে উদ্বোধন করা হয়েছিল।  মেডিকেল কলেজ।  ডঃ রাধাগোবিন্দ কর এর প্রথম সম্পাদক নির্বাচিত হন।  আজ এই কলেজটি তার নাম অনুসারে রাধা গোবিন্দ কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল (R.G.Kar) নামে পরিচিত।

 

রাধাগোবিন্দ কর বেশ কিছু ডাক্তারি বই রচনা করেছিলেন । এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ধাত্রীসহায়, ভিষক সুহৃদ, ভিষক বন্ধু, সংক্ষিপ্ত শারীরতত্ত্ব, কর সংহিতা, সংক্ষিপ্ত ভৈষজ্যতত্ত্ব, প্লেগ, স্ত্রীরোগচিকিৎসা, স্ত্রীরোগের চিত্রাবলী ও সংক্ষিপ্ত তত্ত্ব, গাইনিকল্যাজি, সংক্ষিপ্ত শিশু ও বাল চিকিৎসা, রোগীর পরিচর্যা প্রভৃতি ।

 

মৃত্যু—–

 

১৯১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রাধাগোবিন্দ কর।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আসফাকউল্লা খান, বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভারতীয় মুসলিম যাকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয়।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল বহু মানুষের কঠোর পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। হিন্দু মুসলিম সকল শ্রেণীর মানুষ এই মুক্তির আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছিলেন। আর তাঁদের সেই বলিদনের ইতিহাসে অনেকের কথাই অজানা। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়। এই অন্দোলনে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে আসফাকুল্লাহ খান প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।  আসফাকুল্লাহ খান ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

 

আসফাকুল্লাহ খান ছিলেন একজন সাহসী ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী যিনি রামপ্রসাদ বিসমিলের সাথে শহীদ হয়েছিলেন।  তাঁদের দুজনকে একই দিনে পৃথক কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়।আসফাকউল্লা খান ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভারতীয় মুসলিম যাকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয়।

 

আশফাক ছিলেন একজন নিষ্ঠাবান মুসলিম এবং মাতৃভূমির প্রতি তাঁর স্নেহ ছিলো অতুলনীয়। আশফাকুল্লা খান ব্রিটিশ ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশের শাহজাহানপুরে খাইবার উপজাতির এক মুসলিম পাঠান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ২২ অক্টোবর ১৯০০।তার পিতা শফিক উল্লাহ খান পাঠান পরিবারের সদস্য ছিলেন এবং তাঁর পরিবার সামরিক বাহিনীর জন্য বিখ্যাত ছিল।  তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে পরিবারটি উচ্চ শিক্ষিত ছিল এবং অনেক আত্মীয় ব্রিটিশ ভারতে পুলিশ ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।  তাঁর মা মাজহুর-উন-নিসা একজন ধার্মিক মহিলা ছিলেন।  চার ভাইয়ের মধ্যে আসফাকুল্লাহ ছিলেন সবার ছোট।

 

১৯২৪ সালে, আশফাকুল্লা খান সমমনা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি সংগঠন গঠন করেন যার নাম ছিল হিন্দুস্তান রিপাবলিকান অ্যাসোসিয়েশন।  এই সমিতির উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীন ভারত অর্জনের জন্য সশস্ত্র বিপ্লব সংগঠিত করা।
তাঁদের আন্দোলনকে উৎসাহিত করতে এবং তাঁদের কার্যক্রম চালানোর জন্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ কিনতে, রাম প্রসাদ বিসমিল সহ HSRA-এর বিপ্লবীরা ৯ আগস্ট, ১৯২৫ সালে লখনউয়ের কাছে কাকোরিতে ব্রিটিশ সরকারের অর্থ বহনকারী ট্রেনটি লুট করে। বিসমিলকে ধরা পড়ে।  পুলিশ এবং আশফাকুল্লা খানের একমাত্র সন্ধান পাওয়া যায়নি।  তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং বিহার থেকে বেনারসে চলে আসেন, যেখানে তিনি ১০ মাস একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে কাজ করেন।
পরে তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন দেশের বাইরে যাওয়ার উপায় খুঁজতে।  তিনি তার এক পাঠান বন্ধুর সাহায্য নেন যিনি অতীতে তাঁর সহপাঠীও ছিলেন।  এই বন্ধুটি, ১৯২৬ সালের ১৭ জুলাই সকালে বালির বিষয়ে পুলিশকে জানিয়ে তাঁর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে, পুলিশ তাঁর বাড়িতে এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কাকোরি ডাকাতের মামলাটি বিসমিল, আশফাকুল্লা খান এবং আরও কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে শেষ করা হয়েছিল।  আশফাকুল্লা খানকে ১৯২৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফৈজাবাদ কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। যখন তাঁকে শিকল থেকে মুক্ত করা হয়, তিনি ফাঁসির দড়ির কাছে যান এবং সেটিকে চুমু খেয়ে বলেন : “আমার হাত কোনো মানুষকে হত্যা করেনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আল্লাহ্‌ আমাকে ন্যায়বিচার দেবেন।” মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা, স্বচ্ছ চিন্তাভাবনা, অদম্য সাহস, দৃঢ়তা ও আনুগত্যের কারণে এই বিপ্লবী মানুষটি শহীদ ও জনগণের মধ্যে কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে, কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেত দিলীপ রায়।

দিলীপ রায় বাংলা সিনেমার একজন কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালী চলচ্চিত্র অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি ছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক। উত্তম কুমার সমসাময়িক স্বর্ণ যুগের একজন শিল্পী তিনি। বহু  বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করেআছেন তিনি। তিনি ১৯৩১ সালের ১৭ ডিসেম্বর অবিভক্ত ভারতের চট্টগ্রাম জেলায় (বর্তমানে বাংলাদেশে) জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের নেয়ামতপুরে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করেন।  ১৯৫৪ সালে, তিনি ছবি বিশ্বাস অভিনীত সতী বেহুলা দিয়ে অভিনয় শুরু করেন।  তিনি অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ক্ষুধিতা পাশান (১৯৬০), আসমান মহল (১৯৬৫), আপানজান (১৯৬৮), এবং তুফান (১৯৮৯) এর মতো অন্যান্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।  সৌমিত্র চ্যাটার্জি ও উত্তম কুমার অভিনীত দেবদাস (১৯৭৯) দিয়ে পরিচালক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ।  তিনি অমৃতা কুম্ভের সন্ধ্যায় (১৯৮২) এবং নীলকন্ঠ (১৯৮৫) এর মতো সিনেমাও পরিচালনা করেছিলেন।

তাঁর অভিনিত ছবি সমূহ—

 

তাঁর অভিনিত উল্লেখযোগ্য ছবি গুলি হলো মনের মানুষ, হিমঘর, সংঘর্ষ, অটোগ্রাফ , মন মানে না ,  এক মুঠো ছবি , শুভদৃষ্টি, ফিরিয়ে দাও, নটী বিনোদিনী, আব্বাজান, রক্তের স্বাদ, তোমার রক্তে আমার সোহাগ, মায়া মমতা, শ্বেত পাথরের থালা, ইন্দ্রজিৎ, অভাগিনী, কাগজের নৌকা, নবাব, দেবতা, গরমিল, হীরক জয়ন্তী, তুফান, ওরা চারজন, দেবিকা, তিন পুরুষ, মোহনার দিকে, সূর্য তৃষ্ণা, অভিনয় নয়, অশ্লীলতার দায়ে, দুই পুরুষ, রঙের সাহেব, ধনরাজ তামাং, সেই চোখ , অগ্নীশ্বর, রোদনভরা বসন্ত, আমি সিরাজের বেগম, আপনজন , আসমান মহল, আরোহী , অভয়া ও শ্রীকান্ত, সরি ম্যাডাম, ভগিনী নিবেদিতা, কঠিন মায়া, ঝিন্দের বন্দী, ক্ষুধিত পাষাণ, পরিবার, ক্ষণিকের অতিথি,  গড় নসিমপুর, প্রস্তর স্বাক্ষর, অজানা শপথ, জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার, রাজদ্রোহী প্রভৃতি।

 

তাঁর পরিচালক হিসেবে—-

 

গরমিল (১৯৯০), নীলকন্ঠ (১৯৮৫), অমৃত কুম্ভের সন্ধানে (১৯৮২), দেবদাস (১৯৭৯)।

মৃত্যু–

 

কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ রায় ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত হয়ে ৭৮ বছর বয়সে কলকাতায় প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This