Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

প্রথিতযশা রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী, পূরবী মুখোপাধ্যায় – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

পূরবী মুখোপাধ্যায় ওরফে পূরবী মুখোপাধ্যায় একজন ভারতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত গায়ক। পূরবী ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতের অন্যতম প্রবক্তা।  কিংবদন্তি দেবব্রত বিশ্বাসের একজন আধিকারিক, পূরবী পরে বিশ্বভারতীতে সঙ্গীত শিখিয়েছিলেন।

 

পূরবী মুখার্জি একজন ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন।  তিনি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর কৃতিত্বের জন্য তাঁর বেশ কয়েকটি অ্যালবাম ছিল এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওর কলকাতা স্টেশনে সবচেয়ে বেশি শোনা গায়কদের একজন ছিলেন।  রবীন্দ্রসঙ্গীত, যা ঠাকুরের গান নামেও পরিচিত, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ও সুর করা গান।  ঠাকুর প্রায় ২২৩০টি গানের সাথে তাঁর কৃতিত্বের জন্য একজন দুর্দান্ত সুরকার ছিলেন।  ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় বাংলার সঙ্গীতে গানগুলোর স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে।  এটি গান করার সময় এর স্বতন্ত্র পরিবেশন দ্বারা চিহ্নিত করা হয় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অলংকরণ যেমন মেন্দ, মুড়কি ইত্যাদি রয়েছে এবং এটি রোমান্টিকতার অভিব্যক্তিতে পূর্ণ।  সঙ্গীতটি বেশিরভাগই হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত এবং বাংলার লোক সঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে।

 

 

রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও তিনি অন্যান্য সঙ্গীতজ্ঞদের লেখা গানও গেয়েছেন। তাঁর সঙ্গীত গুরু ছিলেন শান্তিনিকেতনের কিংবদন্তি শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস।  কলকাতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গুরুর সঙ্গে দ্বৈত সঙ্গীত পরিবেশন করে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।  পরে তিনি বিশ্বভারতীর একজন পরীক্ষক হিসেবেও দক্ষতার সাথে কাজ করেন।  তিনি আকাশবাণী ও দূরদর্শনে নিয়মিত সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।  অসংখ্য গান গেয়েছেন তিনি।  তার অনেক রেকর্ড (অ্যালবাম) দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছে।

 

 

পূরবী মুখোপাধ্যায় -এর অন্যান্য কিছু নিবেদন–

 

আজি মেঘ কেটে,

আমার মন বলে,

আমি তোমারি মাটির,

একলা ব’সে একে,

ঝড়ে যায় উড়ে,

বড়ো বেদনার মতো,

সখী, প্রতিদিন হায়——।

 

 

৪ ডিসেম্বর, ২০১৭-এ ৮৩ বছর বয়সে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রথিতযশা এই রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।  তাঁর মৃত্যুতে রবীন্দ্রসঙ্গীত জগতে আরও এক যুগাবসান ঘটে। কিংবদন্তী এই সঙ্গীত শিলপীর প্রয়াণ দিবসে জানাই শ্রদ্ধঞ্জলি।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস কি, কেন এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবছর ৩ ডিসেম্বরকে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।১৯৯২ সাল থেকে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে।
আজ ৩ ডিসেম্বর। শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষদের জন্য এই দিনটি উৎসর্গ করা হয়। এই দিনটিতে সেই সকল মানুষকে সম্মাননা জানান হয়, যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কাছে হার না মেনে লড়াই করে চলেছেন। মনের জোরে জয় করেছেন একাধিক লড়াই। আজ সেই সকল সাহসী ব্যক্তিদের সম্মান জানানোর পালা। শারীরিকভাবে অসম্পূর্ন মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগীতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই এই দিবসটির সূচনা।

ইতিহাস—

 

বিশ্বজুড়ে প্রতিবন্ধী দিবসের অনুগামিতার পিছনে আছে এক ঘটনাবহুল জীবনস্মৃতি। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বেলজিয়ামে এক সাংঘাতিক খনি দুর্ঘটনায় বহু মানুষ মারা যান। আহত পাঁচ সহস্রাধিক ব্যক্তি চিরজীবনের মতো প্রতিবন্ধী হয়ে পড়েন। তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের প্রতি সহমর্মিতায় ও পরহিতপরায়ণতায় বেশ কিছু সামাজিক সংস্থা চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজে স্বতঃপ্রবৃত্ত ভাবে এগিয়ে আসে। এর ঠিক পরের বছর জুরিখে বিশ্বের বহু সংগঠন সম্মিলিত ভাবে আন্তর্দেশীয় স্তরে এক বিশাল সম্মেলন করেন। সেখান থেকেই প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্যের হদিশ মেলে। সেখানে সর্বসম্মতভাবে প্রতিবন্ধী কল্যাণে বেশকিছু প্রস্তাব ও কর্মসূচি গৃহীত হয়। খনি দুর্ঘটনায় আহত বিপন্ন প্রতিবন্ধীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস পালন করতে আহ্বান জানানো হয়। সেই থেকেই কালক্রমে সারা পৃথিবীর প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানোর দিন হয়ে উঠেছে।

অনেক সময় সব পেয়েও তুচ্ছ কিছু না পাওয়ার জন্য অনেকেই দুঃখ করতে থাকেন। পরিশ্রমের পর পরীক্ষায় ফল খারাপ হলে, উচ্চ শিক্ষায় সুযোগ না পেলে, চাকরি পেতে সমস্যা হলে কিংবা পরিবারের কোনও অশান্তি আমাদের কাছে সব না পাওয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সামান্য জিনিসের জন্য অনেকেই ভেঙে পড়ি। আবার, বহুজন তো না পাওয়ার জন্য আত্মহত্যাপ পথ বেছে নেন। প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় এমন বহু আত্মহত্যার খবর মেনে। কিন্তু, সত্যিই যারা কিছু পায়নি, জন্মেছেন অম্পূর্ণ হয়ে, তাদের কথা ভেবে দেখেছেন। প্রতি শহরে এমন শয় শয় মানুষ আছেন, যারা শারীরিক অসম্পূর্ণতা নিয়ে জন্ম নিয়েছেন। এমন কিছু প্রতিবন্ধকতা তাদের শরীরে আছে, যা কোনও দিনই ঠিক করা সম্ভব নয়। সব জেনেও সেই মানুষগুলো মনের জোরে লড়ে চলেছেন। আসুন তাদের সম্মান জানাই। তাদের লড়াইকে কুর্নিশ করি।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

দেবানন্দ : ভারতের চিরসবুজ যুব অভিনেতা – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।

দেব আনন্দ, বলিউডের চিরসবুজ অভিনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।  তাঁর পুরো নাম ধরম দেবদত্ত পিশোরিমল আনন্দ। জন্মঃ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯২৩। তিনি ছিলেন একজন তুখোড় নায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।  ১৯৫ এবং ১৯৬০ এর দশকে, দেব আনন্দ হিন্দিভাষী তরুণীদের কাছে খুব জনপ্রিয় ছিলেন।  তাঁকে ভারতের গ্রেগরি পেক বলা হতো।  দেব আনন্দ ১৯৪৬ সালে ‘হাম এক হ্যায়’ সিনেমা দিয়ে বলিউড জগতে প্রবেশ করেন।  ১৯৪৯ সালে, তিনি নবকেতন ফিল্মস নামে একটি ফিল্ম স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন।  তার বন্ধু গুরু দত্ত পরিচালিত জিদ্দি ছিল তাঁর প্রথম বড় সাফল্য।

 

দেব আনন্দের সময়ে কোনও ভিএফএক্স প্রযুক্তি ছিল না বা দেব আনন্দ কখনও জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘামতেন না এবং তখনকার ক্যামেরার মান আজকের মতো উন্নত ছিল না, তবুও সময়ের পরিবর্তন তার ভাঁজ চিরসবুজ রাখতে পারেনি। দেব আনন্দ।।

‘জানি মেরা নাম’ ছবির সময় দেব সাহেবের বয়স ছিল ৪৭ বছর এবং সেই সময় হেমা মালিনীর বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর।’ফির ভি পাল ভর কে লিয়ে’ গানটি দেখার সময় এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয় না যে। নায়ক আর নায়িকার মধ্যে ২৫ বছরের ব্যবধান আছে।

হীরা পান্না ছবির সময় দেব সাহেবের বয়স ছিল ৫০ বছর, সেই ছবির সময় জিনাত আমানের বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর, তবুও দেব সাহেব আমাদের অনুভব করতে দেননি যে নায়ক-নায়িকার মধ্যে ২৮ বছরের ব্যবধান রয়েছে। …এই চিরসবুজ যুবক।এর কারণে দেবানন্দকে ভারতে চিরসবুজ যুব অভিনেতা বলা হয়।

দেব সাহেবের আরেকটি বিশেষ কথা আছে, তিনি যখন হাঁটতেন তখন এত দ্রুত হাঁটতেন যে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য দৌড়াতে হতো… প্রতিদিন সকালে হাঁটতেন… খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতেন, যোগাসন ও প্রাণায়াম করা, সর্বদা ক্ষুধার চেয়ে কম খাওয়া, অ্যালকোহল ও সিগারেট থেকে দূরে থাকা… এইসব অভ্যাসের কারণে তিনি দীর্ঘকাল তরুণ ছিলেন।

তাঁর কিছু স্মরণীয় চলচ্চিত্র—
কালাপানি, লাভ ম্যারেজ, কালা বাজার, হাম দোনো, তেরে ঘর কে সামনে, গাইড, জুয়েল থিফ, প্রেম পূজারী, জনি মেরা নাম, গ্যাম্বলার, হরে রাম হরে কৃষ্ণ, হীরা পান্না, দেশ পরদেশ , আওয়াল নাম্বার, জিদ্দি, বাজি, সানাম, ট্যাক্সি ড্রাইভার, মুনিমজী, সিআইডি, পেয়িং গেস্ট, সোলভা সাল, পণ ইত্যাদি।

 

দেব আনন্দ ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। তিনি ৩ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে লন্ডনের একটি হোটেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। যখন তিনি মারা যান, তখনও তার চুলের স্টাইল ২০ বছর বয়সী ছেলের মতো ছিল… আজ যদি তিনি বেঁচে থাকতেন, এখনও তরুণ থাকার চেষ্টা করতেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৩ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ৩ ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – রিচার্ড কুহ্ন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত জার্মান প্রাণরসায়নী ও একাডেমিক।

 

১৯২২ – শ্যামল গুপ্ত, বিংশ শতকের শেষার্ধের আধুনিক বাংলা রোমান্টিক গানের কিংবদন্তি গীতিকার সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।

 

১৯২৫ – কিম দায়ে জং, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ অ দক্ষিণ কোরিয়ার ৪র্থ প্রেসিডেন্ট।

১৯৩০ – ফরাসি চিত্রপরিচালক জাঁ লুক।

 

১৯৩৩ – পল জে. নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ক্রুটযেন, ডাচ রসায়নবিদ ও প্রযুক্তিবিদ।

১৯৩৫ – নিতুন কুণ্ডু, বাংলাদেশী চিত্রশিল্পী ও উদ্যোক্তা।

 

১৯৩৬ – আবু হেনা মোস্তফা কামাল, শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখক।

১৯৪৮ – রক ব্যান্ড ব্ল্যাক সাবাথের ভোকাল ওজি অসবর্ন।

১৯৭০ – ক্রিস্তিয়ান কারেম্ব্যু, ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৭৬ – মার্ক বাউচার, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

১৯৮১ – ব্রায়ান বনসাল্, আমেরিকান অভিনেতা।

১৯৮২ – মাইকেল এসিয়েন, ঘানার ফুটবলার।

 

১৯৮৬ – ব্রিটানি ক্যামেরুন, মার্কিন ফুটবলার।

১৮৫৭ – পোলিশ বংশোদ্ভুত ইংরেজ লেখক জোসেফ কনরাড, ‘লর্ড জিম’ তার বিখ্যাত উপন্যাস।

 

১৮৮২ – খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু।

১৮৮৪ – ভারতের বিখ্যাত দার্শনিক, রাজনীতিবিদ ও প্রথম রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ।

১৮৮৬ – কার্ল মানে গেয়র্গ জিগবান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও একাডেমিক।

 

১৮৮৯ – ক্ষুদিরাম বসু, ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরুর দিকের সর্বকনিষ্ঠ ও প্রভাবশালী এক বিপ্লবী।

১৩৬৮ – ষষ্ঠ চার্লস, ফ্রান্সের রাজা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০০ – ইউক্রেনের কিয়েভে চেরনোবিল পারমাণবিক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই হাজারেরও বেশি পঙ্গু শিশুর জন্য পেনশন দাবী করা হয়।

২০২০ – সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মদিন স্মরণে কলকাতার মাঝেরহাটে জয় হিন্দ সেতু নামে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন হয়।

১৯৪১ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসার লগ্নে জাপান পার্ল হারবার আক্রমণ করে।

১৯৫৫ – বাংলা একাডেমী, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৭ – দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ডা. ক্রিশ্চিয়ান বার্নার্ড প্রথমবারের মত মানবদেহে হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করেন।

১৯৭১ – মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে বসে। ভারতে দ্বিতীয় বার জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ।

১৯৭৬ – বিখ্যাত পপশিল্পী বব মারলিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরপর দুটি গুলি করা হয়। তিনি বেঁচে যান।

১৯৮৩ – বাংলা ভাষায় প্রথম ‘ছোটদের অভিধান’ প্রকাশ করে বাংলা একাডেমী।

১৯৮৪ – ভারতের ভূপালে একটি মার্কিন কারখানা থেকে বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় অন্ততঃ আড়াই হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

১৯৯০ – তেহরানে ফিলিস্তিন বিষয়ক প্রথম ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৯৯ – বাংলাদেশে প্রথম নারী গ্রন্থমেলা ধানমন্ডি মহিলা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত।

১৮১০ – ব্রিটিশরা ফরাসিদের কাছ থেকে মৌরিতাস দখল করে নয়।

১৮১৮ – ২১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হয় ইলিনয়।

১৮২৮ – এন্ড্রু জ্যাকসন আমেরিকার সপ্তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

১৮৫১ – একনায়ক লুই নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে প্যারিসের জনগণের বিদ্রোহ শুরু হয়।

১৭৯০ – লর্ড কর্নওয়ালিস ফৌজদারি বিচারের দায়িত্ব নবাবের কাছ থেকে নিজের হাতে নিয়ে নেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৩ – ডেভিড হেম্মিংস, ইংরেজ অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক।

 

২০১১ – দেব আনন্দ, ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা,চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক।

 

২০১৩ – রোনাল্ড হান্টার, আমেরিকান অভিনেতা।

 

২০২২ – মায়া ঘোষ, খ্যাতনামা নাট্য ব্যক্তিত্ব।

 

১৯১৯ – বিখ্যাত ফরাসী চিত্র-শিল্পী অগাস্টো রেনোয়ার।

১৯১৯ – পিয়ের-অগাস্টে রেনইর, ফরাসি চিত্রশিল্পী।

 

১৯৩৮ – ব্রজেন্দ্রনাথ শীল,বাঙালি দার্শনিক ও বহুবিদ্যাবিশারদ পণ্ডিত।

 

১৯৫৬ – মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

 

১৯৫৬ – সৈয়দ এমদাদ আলী, পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি লেখক।

 

১৯৭৯ – মেজর ধ্যানচাঁদ,প্রখ্যাত ভারতীয় হকি খেলোয়াড়।

 

১৯৮২ – কবি ও প্রাবন্ধিক বিষ্ণু দে।

১৯৮৮ – পানস গাভালাস, গ্রিক গায়ক।

 

১৯৯০ – ইরানের বিশিষ্ট লেখক এবং ইউনেস্কোর গবেষণা কমিটির সদস্য ডক্টর মোহাম্মাদ হোসাইন মাশায়েখ ফারিদানি।

১৯৯৮ – সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত, ইংরাজী সাহিত্যের দিকপাল শিক্ষক, শেক্সপিয়ার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট সাহিত্য সমালোচক।

 

১৯৯৯ – রোকনুজ্জামান খান বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিকে ও সাংবাদিক ।

১৮৬৮ – হরচন্দ্র ঘোষ, ঊনিশ শতকের বাঙালি বিচারক ও সমাজ সংস্কারক।

 

১৮৯০ – বিলি মিডউইন্টার, ইংরেজ ক্রিকেটার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ক্ষুদিরাম বসু , ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অগ্নি পুরুষ।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে ক্ষুদিরাম বসু  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন। ক্ষুদিরাম বসু ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

 

 

ক্ষুদিরাম বসু, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক অমর নাম। দেশের স্বাধীনতার জন্য ফাঁসির মঞ্চে যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রথম বিপ্লবী ছিলেন তিনি। ভারতবর্ষকে স্বাধীন করতে ক্ষুদিরাম বসুর এই আত্মত্যাগ আজও অনুপ্রেরণা যোগায় এবং উৎসাহিত করে দেশপ্রেমের অগ্নিমন্ত্রে শপথ নিতে। এখন জেনে নেব ক্ষুদিরাম বসু সম্পর্কে কিছু কথা।

ক্ষুদিরাম বসু ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ৩ ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের কাছাকাছি (বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা) কেশপুর থানার অন্তর্গত মৌবনী (হাবিবপুর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ত্রৈলোক্যনাথ বসু ছিলেন নাড়াজোলের তহসিলদার। তার মার নাম লক্ষ্মীপ্রিয় দেবী। তিন কন্যার পর তিনি তার মায়ের চতুর্থ সন্তান। তার দুই পুত্র অকালে মৃত্যুবরণ করেন। অপর পুত্রের মৃত্যুর আশঙ্কায় তিনি তখনকার সমাজের নিয়ম অনুযায়ী তার পুত্রকে তার বড়ো দিদির কাছে তিন মুঠো খুদের (চালের খুদ) বিনিময়ে বিক্রি করে দেন। খুদের বিনিময়ে কেনা হয়েছিল বলে শিশুটির নাম পরবর্তীকালে ক্ষুদিরাম রাখা হয়।ক্ষুদিরামের বয়স যখন মাত্র পাঁচ বছর তখন তিনি তার মাকে হারান।45

এক বছর পর তার পিতার মৃত্যু হয়। তখন তার বড়ো দিদি অপরূপা তাকে দাসপুর থানার এক গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। অপরূপার স্বামী অমৃতলাল রায় ক্ষুদিরামকে তমলুকের হ্যামিল্টন হাই স্কুলএ ভর্তি করে দেন।
১৯০২ এবং ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রী অরবিন্দ এবং সিস্টার-নিবেদিতা মেদিনীপুর ভ্রমণ করেন। তারা স্বাধীনতার জন্যে জনসমক্ষে ধারাবাহিক বক্তব্য রাখেন এবং বিপ্লবী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে গোপন অধিবেশন করেন, তখন কিশোর ছাত্র ক্ষুদিরাম এই সমস্ত বিপ্লবী আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। স্পষ্টভাবেই তিনি অনুশীলন সমিতিতে যোগদান করেন এবং কলকাতায় বারীন্দ্র কুমার ঘোষের কর্মতৎপরতার সংস্পর্শে আসেন। তিনি ১৫ বছর বয়সেই অনুশীলন সমিতির একজন স্বেচ্ছাসেবী হয়ে ওঠেন এবং ভারতে ব্রিটিশ শাসন বিরোধী পুস্তিকা বিতরণের অপরাধে গ্রেপ্তার হন। ১৬ বছর বয়সে ক্ষুদিরাম থানার কাছে বোমা মজুত করতে থাকেন এবং সরকারি আধিকারিকদেরকে আক্রমণের লক্ষ্য স্থির করেন।
১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ক্ষুদিরাম তার বোন অপরূপার স্বামী অমৃতলাল রায়ের সঙ্গে তমলুক শহর থেকে মেদিনীপুরে চলে আসেন।ক্ষুদিরাম বসু তমলুকের হ্যামিল্টন স্কুল এবং মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষালাভ করেন।
মেদিনীপুরে তার বিপ্লবী জীবনের অভিষেক। তিনি বিপ্লবীদের একটি নবগঠিত আখড়ায় যোগ দেন। ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু এবং রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে মেদিনীপুরে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠেছিল। সেই সংগঠনের নেতা ছিলেন হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন হেমচন্দ্র দাসের সহকারী। এটি রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় ব্রিটিশবিরোধীদের দ্বারা পরিচালিত হতো। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই ক্ষুদিরাম তার গুণাবলীর জন্য সবার চোখে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেন। ক্ষুদিরাম সত্যেন্দ্রনাথের সাহায্যে বিপ্লবী দলভুক্ত হয়ে এখানে আশ্রয় পান। ক্ষুদিরাম তারই নির্দেশে ‘সোনার বাংলা’ শীর্ষক বিপ্লবাত্মক ইশতেহার বিলি করে গ্রেপ্তার হন। ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে কাঁসাই নদীর বন্যার সময়ে রণপার সাহায্যে ত্রাণকাজ চালান। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে বারীন্দ্র কুমার ঘোষ তার সহযোগী হেমচন্দ্র কানুনগোকে প্যারিসে নির্বাসনে থাকা একজন রাশিয়ান নিকোলাস সাফ্রানস্কি-এর কাছ থেকে বোমা তৈরির কায়দা শেখার জন্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
কিংসফোর্ডকে গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা
অনুশীলন সমিতি কিংসফোর্ডকে হত্যা করার প্রচেষ্টা জারি রেখেছিল। এপ্রিলে দুই সদস্যের একটা পরিদর্শক দল মুজাফফরপুর সফর করে, যাতে যুক্ত ছিলেন প্রফুল্ল চাকী। তাদের ফিরে আসায় বোমা দিয়েছিলেন হেমচন্দ্র, যেগুলো বানানো হয়ছিল ৬ আউন্স ডিনামাইট, একটা বিস্ফোরক এবং কালো পাউডার ফিউজ। প্রফুল্ল চাকি মুজাফফরপুরে ফিরেছিলেন একটা নতুন ছেলেকে নিয়ে, যার নাম ক্ষুদিরাম বসু।
অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্র ঘোষ এবং তাদের সহযোগীদের কাজকর্মে পুলিশের সন্দেহ হতে থাকে।কলকাতা পুলিশ কিংসফোর্ডের জীবন বাঁচানোর জন্যে সচেতন হয়ে ওঠে। কমিশনার এফ এল হলিডে মুজাফফরপুর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্টের উপেক্ষার বদলে সতর্ক হয়েছিলেন। যাইহোক, চারজন লোককে ম্যাজিস্ট্রেটের বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্যে ব্যবস্থা করা হয়।ইতিমধ্যে ক্ষুদিরাম বসু ও প্রফুল্ল চাকি নতুন নাম ধারণ করে যথাক্রমে হরেণ সরকার ও দীনেশ চন্দ্র রায় হয়েছেন, এবং কিশোরীমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত এক দাতব্য সরাইখানায় (ধর্মশালা) তারা বাসা নেন। তাদের অজ্ঞাতবাসের দিনগুলোতে ওই বিপ্লবীদ্বয় তাদের লক্ষ্যের কার্যকলাপ এবং দৈনন্দিন রুটিনের ওপর নজরদারি করতেন। দুই বিপ্লবী সফলভাবে তিন সপ্তাহের ওপর তাদের পরিচয় গোপন রাখতে পেরেছিল। মুজাফফরপুরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট আর্মস্ট্রঙের কাছ থেকে একটা চিঠি নিয়ে সিআইডি অফিসার কলকাতায় ফিরে এসেছিল, যাতে বলা হয়েছিল যে, বিপ্লবীদ্বয় ওখানে পৌঁছায়নি।[১৫] ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় ক্ষুদিরাম এবং প্রফুল্ল তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করার জন্যে জায়গামতো হাজির হয়েছিল। স্কুল ছাত্রের ভান করে মুজাফফরপুর পার্কে তারা সমীক্ষা করেছিলেন যে, এটা ব্রিটিশ ক্লাবের উলটো দিকে, যেখানে কিংসফোর্ড ঘনঘন আসেন। একজন কনস্টেবল তাদের দেখেছিল।
মুজাফফরপুরে কিংসফোর্ডকে গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা
ভাগ্য ভালোর দিনে, প্রিঙ্গল কেনেডি নামে একজন ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের মেয়ে এবং স্ত্রীর সঙ্গে কিংসফোর্ড এবং তার স্ত্রী ব্রিজ খেলছিলেন। তারা রাত ৮.৩০ নাগাদ বাড়ি ফিরতে মনস্থ করেন। কিংসফোর্ড এবং তার স্ত্রী একটা গাড়িতে ছিলেন যেটা কেনেডি এবং তার পরিবারের গাড়ির মতোই দেখতে ছিল। কেনেডি মহিলাগণ কিংসফোর্ডের বাড়ির চত্বর থেকেই যাচ্ছিলেন। যখন তাদের গাড়ি ওই চত্বরের পূর্ব ফটকে পৌঁছায়, ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল গাড়িটার দিকে দৌড়ে যান এবং গাড়িতে বোমাগুলো ছোড়েন। একট প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে এবং গাড়িটা সঙ্গে সঙ্গে কিংসফোর্ডের বাড়িতে আনা হয়। গাড়িটা ভেঙে গিয়েছিল এবং কেনেডি মহিলাগণ ভীষণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। মিস কেনেডি এক ঘণ্টার মধ্যেই মারা যান এবং মিসেস কেনেডি গুরুতর আঘাতের ফলে ২ মে তারিখে প্রয়াত হন।
ক্ষুদিরাম এবং প্রফুল্ল নিজেদের রাস্তায় পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলেন। মধ্যরাতের মধ্যে সারা শহর ঘটনাটা জেনে গিয়েছিল, এবং খুব সকাল থেকেই সমস্ত রেলস্টেশনে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল যাতে প্রত্যেক যাত্রীর ওপর নজর রাখা যায়। শিমুরিঘাট রেল স্টেশনে প্রফুল্ল যখন জল খাওয়ার জন্যে ট্রেন থেকে নামেন, তখন মিস্টার ব্যানার্জি মুজফফরপুর থানায় একটা টেলিগ্রাম পাঠান। মোকামাঘাট রেল স্টেশনে প্রফুল্লকে পাকড়াও করার চেষ্টা করেন মিস্টার ব্যানার্জি। প্রফুল্ল তার কাছে থাকা রিভলভার দিয়ে নিজের মতো লড়াই করার চেষ্টা করেন, কিন্তু শেষে যখন দেখেন যে, রিভলভারে একটামাত্র গুলি আছে, তখন তিনি নিজের মুখের মধ্যে গুলি করেন।
হাতে হাতকড়ি লাগানো ক্ষুদিরামকে পয়লা মে মুজফফরপুর থেকে আনা হয়। পুরো শহর থানায় ভিড় করেছিল একদল সশস্ত্র পুলিশকর্মীর ঘিরে থাকা একটা কিশোর ছেলেকে শুধু একপলক দেখার জন্যে।
দুজন মহিলাকে হত্যা করার জন্যে তার বিচার হয় এবং চূড়ান্তভাবে তার ফাঁসির আদেশ হয়।
ফাঁসি হওয়ার সময় ক্ষুদিরামের বয়স ছিল ১৮ বছর, ৭ মাস এবং ১১ দিন, যেটা তাকে ভারতের কনিষ্ঠতম ভারতের বিপ্লবী অভিধায় অভিষিক্ত করেছিল।

তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ইন্দ্রলাল রায়, প্রথম ভারতীয় বাঙালি বিমান চালক যিনি ১৭০ ঘণ্টা বিমান চালানোর রেকর্ড করেছিলেন।।

ইন্দ্রলাল রায় – প্রথম ভারতীয় বাঙালি বৈমানিক এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একমাত্র ভারতীয় বৈমানিক।  তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন এবং মারা গিয়েছিলেন। তিনি ফ্রান্সের পাশে জার্মানির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন এবং যুদ্ধবিমান ওড়ানোর দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।

 

 

ইন্দ্রলাল রায় ১৮৯৮ সালের ২ ডিসেম্বর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতা পিয়ারিলাল রায় ছিলেন বরিশাল জেলার লাকুটিয়া এলাকার জমিদার ও আইনজীবী এবং মা ললিতা রায় ছিলেন একজন নারী ভোটাধিকার কর্মী।  ভাই পরেশলাল রায় একজন বক্সার ছিলেন।  শিক্ষাজীবনে তিনি বেশ কিছু বৃত্তি লাভ করেন।  বিমানচালক হিসেবে যোগদানের আগে তিনি সর্বশেষ ব্যালিওল স্কলারশিপ পেয়েছিলেন।  এই বৃত্তি নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান।  তিনি ১৯১১ সাল পর্যন্ত কেনিংস্টনের সেন্ট পলস স্কুলে পড়াশোনা করেন। তাঁর প্রায় সমস্ত প্রাথমিক শিক্ষা ইংল্যান্ডে ছিল।
এপ্রিল ১৯১৭ সালে তিনি রয়্যাল ফ্লাইং কর্পসে যোগ দেন।  তিনি এই ফ্লাইং কর্পস থেকে ১৯১৭ সালের ৫ জুলাই সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে কমিশন লাভ করেন।  এক সপ্তাহের মধ্যে, ভেন্ড্রোম প্রশিক্ষণ শুরু করে।  তারপর তিনি টার্নবারিতে গানারি অধ্যয়ন করেন।  অক্টোবরের শেষে বিমান বাহিনীর ৫৬ স্কোয়াড্রনে যোগ দেন।

 

কমিশনের পরপরই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।  ১৯১৭ সালের ডিসেম্বরে, ইন্দ্রলাল ফ্রান্সের পক্ষে জার্মানির বিরুদ্ধে সামরিক বিমান অভিযানে অংশ নেন।  এই অপারেশন চলাকালীন জার্মান বিমান দ্বারা নো ম্যানস ল্যান্ডে তার বিমানটি গুলি করে নামিয়ে দেওয়া হয়।  তিন দিন পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর একটি দল তাঁকে উদ্ধার করে ফ্রান্সের একটি ব্রিটিশ সামরিক হাসপাতালে পাঠায়।  সামরিক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠান।  পরে তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে।  সুস্থ হওয়ার পর তিনি আবার বিশ্বযুদ্ধে যোগ দেন এবং নিয়মিত উড়তে শুরু করেন।

 

রেকর্ড–

 

তিনিই প্রথম ভারতীয় বিমান চালক, যিনি ১৭০ ঘণ্টা বিমান চালানোর রেকর্ড করেছিলেন।

 

সম্মাননা—

 

কলকাতার ভবানীপুরে ‘ইন্দ্র রায় রোড’ রাস্তাটির নাম তাঁর নামানুসারে করা হয়।

ইংল্যান্ড সরকার তাকে মরণোত্তর বিশিষ্ট উড্ডীয় ক্রস (Distinguished Flying Cross – ডিএফসি) সম্মানে ভূষিত করে।

 

মৃত্যু–

 

৬ জুলাই ১৯১৮ থেকে তিনি বিমান হামলা শুরু করেন এবং ৯ টি জার্মান বিমান ধ্বংস করে নিজেকে আলাদা করেন।  ১৮ জুলাই ১৯১৮, তারিখে তাঁর বিমান আবার গুলি করে নামানো হয় এবং তিনি মারা যান।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২ ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক দাসত্ব বিলোপ দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৫৯ – জর্জ সেউরাট, ফরাসি চিত্রশিল্পী।

 

১৮৮৫ – জর্জ রিচার্ডস মিনট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান চিকিৎসক ও অধ্যাপক।

 

১৮৮৮ – ক্ষিতিমোহন সেন,ভারতীয় বাঙালি গবেষক, সংগ্রাহক এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

 

১৮৯২ – বিপ্লবী গোলাম আম্বিয়া খান লোহানি।

১৮৯৬ – সোভিয়েত ইউনিয়োনের সামরিক নেতা জুকোভ।

 

১৮৯৭ – ইভান বাগ্রাময়ান, রাশিয়ান জেনারেল।

 

১৮৯৮ – ইন্দ্রলাল রায়, প্রথম ভারতীয় বাঙালি বিমান চালক প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধ করেন এবং মৃত্যুবরণ করেন।

১৯২১ – পটুয়া চিত্রশিল্প কামরুল হাসান।

 

১৯২৫ – (ক)  সন্তোষ দত্ত,প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা।

(খ) জুলি হ্যারিস, আমেরিকান অভিনেত্রী ও গায়িকা।

 

১৯৩০ – গ্যারি স্ট্যানলি বেকার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

 

১৯৪৪ – ইব্রাহিম রুগোভা, কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রপতি, প্রথম সারির কসোভো-আলবেনীয় রাজনীতিবীদ, বুদ্ধিজীবী ও লেখক।

 

১৯৫৯ – বমান ইরানী,ভারতীয় অভিনেতা ও গায়ক।

১৯৬০ – অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা

১৯৬৭ – মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উপ-পরিচালক ও দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত।

১৯৬৮ – লুসি লিউ, আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

 

১৯৭৬ – ফিদেল আলেসান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ, কিউবান রাজনৈতিক নেতা ও সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী।

১৯৭৮ – নেলি ফুরটাডো, কানাডীয় কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার, যন্ত্রশিল্পী।

 

১৯৮১ – ব্রিটনি স্পিয়ার্স, আমেরিকান গায়ক, গীতিকার, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮০৪ – নেপোলিয়ান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

১৮১৫ – নেপালের রাজা ও ব্রিটিশদের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৮২৩ – স্বাধীনচেতা মার্কিন রাষ্ট্রপতি জেমস মনরো তার বিখ্যাত ও মনরো নীতি ঘোষণা করেন।

১৮৫২ – তৃতীয় নেপোলিয়নকে সম্রাট করে দ্বিতীয় ফরাসি সাম্রাজ্য ঘোষিত হয়।

১৮৫৬ – ফ্রান্স ও স্পেনের সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৮৫৯ – আমেরিকার দাস বিদ্রোহী ও সমাজ সংস্কারক জন ব্রাউনকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

১৯৪২ – স্ট্যালিন গ্রাডে জার্মানির পরাজয়।

১৯৪২ – শিকাগোতো বিশ্বের প্রথম আণবিক চুল্লি পরীক্ষামূলক ভাবে শুরু হয়,

১৯৪৬ – ব্রিটিশ সরকার ভারতের চার নেতাকে সংসদীয় সভায় যোগ দিতে নিমন্ত্রণ করেছিল। তারা হলেন- নেহরু, বলদেব সিং, জিন্নাহ ও লিয়াকত আলী।

 

১৯৪৭ – ফিদেল ক্যাস্ট্রো ঘোষণা দেন তিনি মার্কসিস্ট-লেনিনিস্ট এবং কিউবার লক্ষ্য সমাজতন্ত্র।

১৯৪৮ – ফ্রাঙ্ক যোসেফ অস্ট্রিয়ার রাজা হন।

১৯৫৪ – এশিয়ার দেশ লাওস পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৫৬ – কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ফিদেল কাস্ট্রো স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু করেন।

১৯৭১ – পাক বাহিনীর হামলায় রামপুরা ও মালিবাগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন। নোয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের পথে পথে শুরু হয় সম্মুখযুদ্ধ।

১৯৭১ – সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।

১৯৭৫ – বিকালে চেয়ারম্যান মাও সেতুং সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেরালড রুডোলফ ফোর্ড, তার স্ত্রী বেটি ফোর্ড এবং তার সফরসংগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

১৯৭৮ – রোমে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল সদর দফতর স্থাপিত হয়।

১৯৮২ – ইউনিভার্সিটি অব উতাহ মেডিকেল সেন্টারে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করা হয়। এই কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড নিয়ে দন্ত চিকিৎসক বার্নে ক্লার্ক ১১২ দিন বেঁচে ছিলেন।

১৯৮৪ – ভূপালে বিষগ্যাসে ৩ হাজার লোক নিহত এবং ৫০ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

১৯৮৯ – ভিপি সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

১৯৯০ – একীভূত জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে হেলমুট কোলের নেতৃত্বে ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট দল জয়লাভ করে।

১৯৯৫ – লাওস প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯৬ – মার্কিন ইন্টার কোম্পানি শক্তিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত সুপার কম্পিউটার অবিষ্কার করেন।

১৯৯৭ – পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৮১ – কার্ল মার্ক্সের স্ত্রী ও আমৃত্যু সহযোদ্ধা জেনি মার্কস ।

১৮৮৮ – তুর্কি কবি নেমিক কামাল ।

 

১৯১৮ -গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাই কোর্টের ভারতীয় বাঙালি বিচারপতি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য।

১৯৫৭ – হ্যারিসন ফোর্ড, আমেরিকান অভিনেতা।

 

১৯৬৫ – সাহিত্যিক সৈয়দ এমদাদ আলী,

১৯৬৬ – লাউৎসেন এখবার্টস ইয়ান ব্রাউয়ার, ওলন্দাজ গণিতবিদ,

 

১৯৮২ – মার্টি ফেল্ডম্যান, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯৮৫ – ফিলিপ্ লার্কিন, ইংরেজ লেখক ও কবি।

 

১৯৮৭ – লুইস ফেদেরিকো লেলইর, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি বংশোদ্ভূত আর্জেন্টিনার চিকিৎসক ও বায়োকেমিস্ট।

 

১৯৯১ – ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক ও কথাসাহিত্যিক বিমল মিত্র।

২০১৪ – জেয়ান বেলিভেয়াউ, কানাডিয়ান আইস হকি খেলোয়াড়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

ডেড কল : লাজু চৌধুরী।

আসলে ভাবছি শুরুটা কোথা থেকে শুরু করবো।
এই মানুষটা হঠাৎ করেই আমার মনের ভিতরে যে পরিচ্ছন্ন
গেষ্ট হাউস আছে —-
সেখানে তাকে হঠাৎ করেই জায়গা করে দিলাম।
ইচ্ছে করলে আমি তাকে মনের গহীনে রেখে দিতাম।

অতঃপর আমি লক্ষ করলাম তা চোখের ধরন

কারন আমি মানুষের চোখ চিনি।
সময়ের সাথে চোখের রং বদলায়, এর একমাত্র কারন এরা
খুব বেশি স্বার্থপর হয়।

সময়ের প্রোয়জনে নিজেকে রদ বদল করে।
হুম কবির ভাষায় নারীরা রহস্যময় ।
অতীত অনেক কিছু বুঝে অনেক কিছু বলে।

আমাদের ঘটে যাওয়া অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
একটা ডাইরি রুপ ধারন করে।
বিশ্বাস ছাড়া কোন অন্তরঙ্গতা হয় না।
আবার অন্তরঙ্গতা ছাড়া কোন সম্পর্ক হয় না।

হঠাৎ মনে হলো আমার মনের শহরের ল্যাম পোষ্টের আলো
গুলোর আয়ু কমে আসছে।

মানুষের অতীত বাস করে ঠিক তার বন্ধ দরজায়।
আমি ভুল করে জয়িতা কে বন্ধ দরজা খুলে দিয়েছিলিম।

শুন্যতা যদি তুমি হও —
তাহলে আমাকে হত্যা করেছে।
মাঝে মাঝে ঘৃণা হয় তোমাকে কারন এই তুমি
কিছু মৃত প্রানহীন ঘাস আমার জন্য ফেলে গেছো।

ছিঃ ভীষণ ঘৃণা হচ্ছে আমার ভালোবাসার আকাশ ছুঁয়েছ তুমি।
কেমন নারী তুমি মধ্যো রাতে অন্যের কফির পেয়ালায়
ঠোঁট ডোবিয়ে রাখো।
সিগারেটের ধোয়ার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখো।

সম্পর্কের জটিলতা সৃষ্টি করেছ তুমি।।
প্রথম দিনেই বুঝেছিলম সর্বনাশের ডাক এসেছে।
আমার কাছের মানুষ এখন তোমার হাতের মুঠোয়
একে বারে আমার চোখের পর্দা থেকে সরিয়ে ফেলেছ।

ও আমার পৃথিবী এক বার দেখতে চাই জলন্ত দৃষ্টিতে
ওর কোন ক্রোধের কারনে আমাকে ছাড়তে হলো কিনা।
কিন্তু না ও অনেকটা বদলে গেছে।

জয়িতা এখনো অধিক রাত জেগে তোমাদের কথা কপন হয়।
কখনো তোমার এগারো হাত শাড়িতে ও জড়িয়ে থাকে।
যখন ও তোমার সম্পূর্ণ হলো —-
তুমি একটু একটু করে দূরে সরে পড়লে।

তাই আমি ও এই নোংরা জয়িতা কে তুলে ধরবো সবার সামনে।
আমার জীবনের দীর্ঘ সময় এখন তোমার হাতে।
আপাতত সময় গুলো তোমার হাতে থাক।

এক খন্ড জীবনের কিছুটা তোমাকে দোয়া করে ছেড়ে দিলাম।
এ দেশে হাজারও জয়তি আছে অন্যের ভালোবাসা
পরোকিয়া এগারো হাত শাড়ির রহস্যময় নারী শুধু কোকো
লাভ লোক সানের হিসেব কষে।
লাস্যময়ী নারী অন্য নারীর চোখের জলে স্নাণ করে।

আমি বিশ্বাস করি আমার পৃথিবীর কখনও মলীন হয়ে
যাবে না।
আমার চিন্তার বিরাট অংশ হলো সম্পর্কে।

স্যাক্রিফাইস করে একটা সম্পর্ক ভালো করা যায়
এই সনাতন ধারনা আমার মনে হয় না সাইকোলজিতে এখন আর সেই রকম বিশ্বাস নেই।
হয়তো তারা মানতে পিরছ না।
আমিও মানি না।

কিন্তু দুঃখজনক জয়িতারা সব সময় বেঁচে থাখবে।

রাতের আধারে অন্যের কফির পেয়ালায় মগ্ন থাকার বিভর হবে। বিষাদ গ্রস্ত চোখ একদিন আমার দরজায় এসে
দাঁড়াবে।

আমার অনুভুতির পাশে আমি জয়িতা কে থাই দিয়েছি ।
এক দিনঘুম থেকে ওঠে দেখি —-
আমার শরতের সকাল খোলো জানালা নগ্ন পায়ে শিশির
ভেজা ঘাসের সমস্ত গ্রাণ চুষে নিচ্ছে জয়িতা।
বড় জিল তোমার চোখ ——-
এখানেই তোমার ভুমিকা শেষ নয়।

তাই পরিশেষে তোমার নাম দিয়েছি —

——————————————————-ডেড কল

লাজু চৌধুরী ——😂😂😂

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১ ডিসেম্বর, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১ ডিসেম্বর। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব এইডস দিবস (আন্তর্জাতিক)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০০ – মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা, একজন রসায়নবিদ, গ্রন্থকার এবং শিক্ষাবিদ।

১৯০৩ – চট্টগ্রামে যুব বিদ্রোহের অন্যতম নায়ক অনন্ত সিং।

 

১৯১৭ -বিমলচন্দ্র সিংহ সংস্কৃত সাহিত্য দর্শনশাস্ত্রে ও ফরাসি ভাষার সুপণ্ডিত ও চিন্তাশীল লেখক ।

 

১৯৩২ – অদ্রীশ বর্ধন, বাঙালি ঔপন্যাসিক, কল্পবিজ্ঞান লেখক ও সম্পাদক।

১৯৩৫ – উডি অ্যালেন, মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা, কৌতুকাভিনেতা, নাট্যকার এবং জ্যাজ সঙ্গীতজ্ঞ।

 

১৯৪২ – রেজাউল করিম হীরা, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ।

 

১৯৫৪ – মেধা পাটকর, ভারতের প্রথম সারির খ্যাতনামা সমাজকর্মী।

 

১৯৫৫ – উদিত নারায়ণ, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী।

১৮৪৭ – আমেরিকান কবি জুলিয়ান মুর।

 

১৮৫৮ – প্রসিদ্ধ হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ব্যবসায়ী, সমাজসেবী ও দানবীর মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য।

১৭৬১ – ম্যারি তুসো, মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা।

১০৮১ – ফ্রান্সের ষষ্ঠ লুই।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – বাংলাদেশের গাইবান্ধায় জাকাতের কাপড়ের জন্যে হুড়োহুড়ি; পদদলিত হয়ে ৫০ জন মৃত্যুবরণ করেন।

১৯১৮ – সালে আইসল্যান্ড ডেনমার্কের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯১৯ – প্রথম মহিলা সংসদ সদস্য হিসাবে লেডি অ্যাস্টর যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমান্সে তার আসন গ্রহণ করেন।

১৯২০ – পি. জে. হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৪৮ – ইউনিয়ন অব বার্মা গঠিত হয়।

১৯৫৫ – যুক্তরাষ্ট্রের আলবামা অঙ্গরাজ্যের মন্টেগোমারি শহরে মার্কিন নিগ্রো নেতা মার্টিন লুথার কিং (জুনিয়র) সহ কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকরা বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে এক অভাবিত আন্দোলনের সূচনা করেছিলো।

১৯৫৮ – মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৫৮ – আমেরিকার শিকাগোর লেডি অব দ্য লস এঞ্জেলস স্কুলে আগুন লেগে ৯২ শিশু নিহত হয়।

১৯৫৯ – অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ শুধু বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হবে – এ মর্মে ১২টি দেশের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৫৯ – একটি মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে বসানো ক্যামেরা দিয়ে মহাশুন্য থেকে প্রথম পৃথিবীর রঙ্গিন ছবি তোলা হয়েছিলো।

১৯৬৩ – নাগাল্যান্ডকে ভারতের ১৬তম রাজ্য হিসাবে ঘোষণা দেয়া হয়।

১৯৬৪ – মালাউই, মাল্টা ও জাম্বিয়া দেশ সমুহ জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়।

১৯৬৭ – রাজকীয় গ্রিনউইচ মানমন্দিরে পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ ‘আইজাক নিউটন’ চালু করা হয়।

১৯৭১ – ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্থানের কাছ থেকে কাশ্মীর পুনরুদ্ধার করে।

১৯৭৬ – এ্যাঙ্গোলা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৮০ – বাংলাদেশে প্রথম রঙিন টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু হয়।

১৯৮১ – এইচআইভি ভাইরাসের অস্তিত্বের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়।

১৯৮৮ – বেনজির ভুট্টো পাকিস্তানের প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

১৯৯০ – ইংলিশ চ্যানেলের ১৩২ ফুট নিচে কর্মীরা পাথর কেটে একটি গাড়ি চলাচলের মতো সুড়ঙ্গ করতে সক্ষম হয়।

১৯৯০ – কর্মীরা বৃটেন ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রাথমিকভাবে সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হলেও টানেলের চুড়ান্তকাজ শেষ হতে আরও চার বছর সময়ের প্রয়োজন ছিলো।

১৯৯৮ – তুরষ্কে ভূমিকম্পে ১০৮ জন নিহত।

১৮২১ – স্পেনের কবলমুক্ত হয়ে সান ডেমিঙ্গো প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৩৪ – কেপ উপনিবেশ থেকে দাসত্ব রদ অ্যাক্ট ১৮৩৩ অনুযায়ী দাসত্ব বিলুপ্ত করা হয়।

১৮৩৫ – হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের প্রথম বই প্রকাশিত হয়।

১৮৫২ – নেদারল্যান্ডসে টেলিগ্রাফ কম্পানি চালু হয়।

১৭৬৮ – দাস বহনকারী একটি জাহাজ ডুবে যায়।

১৬৪০ – স্পেনের দখল থেকে পর্তুগাল স্বাধীনতা পায়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৩ – সঙ্গীতশিল্পী পূরবী দত্ত,ভারতীয় বাঙালি নজরুলগীতি বিশেষজ্ঞা।

২০১৮ – (ক) আনোয়ার হোসেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাফার।

 

(খ) তারামন বিবি, বীর প্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা।

১৯২৮ – কলম্বীয় কবি ও ঔপন্যাসিক হোসো রিভেরা।

১৯৪৭ – ব্রিটিশ গণিতবিদ গডফ্রি হ্যারল্ড হার্ডি মৃত্যুবরণ করেন।

 

১৯৫২ – মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী।

১৯৬৪ – জে বি এস হ্যালডেন, বৃটিশ-ভারতীয় বিজ্ঞানী।

 

১৯৭৪ – সুচেতা কৃপালনী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।

 

১৯৯০ – বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত, ভারতীয় কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ।

১৯৯১ – অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী [১৯৮২] অধ্যাপক জর্জ জোসেফ স্টিগলার।

১৯৯৭ – খান আতাউর রহমান, বাংলাদেশী চলচ্চিত্রাভিনেতা, সুরকার, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা।

 

১৯৯৯ – শান্তিদেব ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি লেখক, কণ্ঠশিল্পী, অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী ও রবীন্দ্রসংগীত-বিশারদ।

১৪৩৩ – সম্রাট গো-কোমাত্সু জাপানের সম্রাট।

১২৪১ – ইংল্যান্ডের ইসাবেলা, জার্মানির রাণী।

১১৩৫ – ইংল্যান্ডের প্রথম হেনরি, ইংল্যান্ডের রাজা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও বৈরাগ্য, ত্যাগ : স্বামী আত্মভোলানন্দ।

ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায়—

***বৈরাগ্য হল সংস্কৃত (সংস্কৃত: वैराग्य) শব্দ, বিশেষ্য পদ, যা হিন্দু  দর্শনে ব্যবহৃত হয় যা মোটামুটিভাবে বৈরাগ্য, বিচ্ছিন্নতা বা ত্যাগ, বিশেষ করে অস্থায়ী বস্তু জগতের বেদনা এবং আনন্দ থেকে ত্যাগ। বৈরাগ্য  হল সংসারে বা বিষয়ভোগে অনাসক্তি, ঔদাসীন্য, বাসনা রহিত। ত্যাগ কি ? ত্যাগ হল সংস্কৃত শব্দ (সংস্কৃত: त्याग) যার অর্থ উদারতায় ত্যাগ করা, পরিত্যাগ করা, ভারতীয় দর্শন অনুযায়ী ত্যাগ হল বর্জন, পরিহার, বিসর্জন,  নিক্ষেপ, বৈরাগ্য ও নিরাসক্তি। এটি মোক্ষ অর্জনের একটি উপায়।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জুনকে বৈরাগ্যের জ্ঞানও দেন । সেখানে তিনি অর্জুনকে বলেন,  যদি এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাও, তাহলে  অভ্যাস ও বৈরাগ্য— এই দুই তলোয়ার দিয়ে মনকে প্রহার করতে হবে। জ্ঞানই মানুষের হৃদয়ে বৈরাগ্যের জন্ম দেয়। সেই সত্যিকারের জ্ঞানই আমি তোমাকে প্রদান করছি অর্জুন।
সমস্ত জগৎ বাস্তবে মিথ্যা, নশ্বর।  মায়ার প্রভাবে তা সত্য মনে হয়। এই পরম  সত্য-জ্ঞান বিশ্বাস হয়ে গেলেই বৈরাগ্য সম্ভব। যে মানুষের মধ্যে ত্যাগের প্রাবল্য যত বেশী, তিনি ততই ব্যক্তিত্ববান। যে মানুষ যত বেশি ত্যাগী, তিনি ততই ব্যক্তিত্ববান। ত্যাগীর সাথে পেরে ওঠা খুব মুশকিল। ত্যাগীকে বশে আনা খুব মুশকিল। ত্যাগীর ত্যাগ ষড়যন্ত্রকারীর সব ষড়যন্ত্রকে মুহূর্তে নস্যাৎ করে দিতে পারে। মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের  চাবিকাঠি ত্যাগ।তাই, নিজের মনকে সন্যাসী বানাও, মোহের বন্ধন ত্যাগ কর। নিজের কর্তব্যের ওপর মনোনিবেশ কর। তোমার ধর্ম অনুযায়ী কর্ম কর।
জগৎ গুরু ভগবান স্বামী প্রণবানন্দ জী মহারাজ ও বলছেন *বৈরাগ্যই সর্বপ্রকার বাসনাকে নাশ করিয়া মানুষকে প্রকৃত মুক্তির পথে লইয়া যায়।*
তিনি আরও বলছেন:- ধর্ম কি ?
ধর্ম হল:- ত্যাগ, সংযম, সত্য ও ব্রহ্মচর্য। অর্থাৎ ধর্মের চারটি ধাপের মধ্যে প্রথম ধাপই হচ্ছে ত্যাগ। তিনি ধর্মের প্রথম ধাপই বলছেন ত্যাগ।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ …..।

Share This