Categories
প্রবন্ধ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সমাজসেবী মেজর সত্য গুপ্ত।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে  মেজর সত্য গুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।মেজর সত্য গুপ্ত  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।  মেজর সত্য গুপ্ত ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং সুভাষচন্দ্র বসুর বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্সের মেজর।

সংক্ষিপ্ত জীবনী—

সত্য গুপ্তর জন্ম ১৯০২ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ই জুলাই বৃটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার তেজগাঁও। পিতা প্যারীমোহন গুপ্ত। ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। কিন্তু অশ্বিনীকুমার দত্তের নির্দেশে ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি আই.এ পরীক্ষা দেন নি। আগে থেকেই তিনি বিশিষ্ট বিপ্লবী ও মুক্তি সংঘের প্রতিষ্ঠাতা হেমচন্দ্র ঘোষের গুপ্ত সমিতির সভ্য ছিলেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ পাশ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে গুপ্ত বিপ্লবী দলের নির্দেশে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। এখানে সুভাষচন্দ্র বসু ও শরৎচন্দ্র বসুর সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে স্বাধীনতাকামী তরুণদের নিয়ে গঠিত হল বেঙ্গল ভলেন্টিয়ার্স বা B.V.। সামগ্রিক নেতৃত্বে থাকলেন সত্য গুপ্ত ‘মেজর’ হিসাবে। সর্বাধিনায়ক (GOC – General Officer commanding ) সুভাষচন্দ্র বসু স্বয়ং। ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ আগস্টে লোম্যান হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হয়ে পরে মুক্তি পান। কিন্তু ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ই ডিসেম্বর বিনয় বসু বাদল গুপ্ত এবং দীনেশ গুপ্ত কর্তৃক রাইটার্স বিল্ডিং আক্রমণের ঘটনায় রাজবন্দি হন। ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্টেট প্রিজনাররূপে আলিপুর, বক্সার, মিনওয়ালি (পাঞ্জাব), যারবেদা (পুনা) জেলে অতিবাহিত করেন। পরে হিজলি জেল থেকে মুক্তির পর নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর একনিষ্ঠ সহকারীরূপে সমস্ত কাজের সঙ্গী হন। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৬ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের মহানিস্ক্রমন হয়। আর তখন হতেই ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি রাজবন্দিই থাকেন। মুক্তির পর বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাগু গ্রামে সমাজ সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বাগু সপ্তগ্রামের পল্লী নিকেতনের সভাপতি ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই পল্লী নিকেতনের সম্পাদকও ছিলেন আর এক বিপ্লবী – তিনি হলেন নিকুঞ্জ সেন।

মেজর সত্য গুপ্ত ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে র ১৯ শে জানুয়ারি প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

অজ কোকবোরোক দিবস (ত্রিপুরি ভাষা দিবস), জানুন এর ইতিহাস, তাৎপর্য।

কোকবোরোক দিবস হল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ১৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক পালন। এটি রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্বারা কথ্য কোকবোরোক ভাষা উদযাপন করে এবং ১৯৭৯ সালে ত্রিপুরার একটি সরকারী ভাষা হিসাবে এর স্বীকৃতিকে স্মরণ করে।
ভারত একটি বহুভাষিক দেশ যেখানে বিভিন্ন ভাষা পরিবারের ভাষা বলা হয়।  আনুমানিক ৭৮% ভারতীয়রা ইন্দো-আর্য ভাষায় কথা বলে এবং বাকি জনগোষ্ঠীর দ্বারা কথিত ভাষাগুলি দ্রাবিড়, অস্ট্রোএশিয়াটিক, চীন-তিব্বতি, ক্রা-দাই এবং অন্যান্য ভাষা পরিবারের অন্তর্গত।  কোকবোরোক চীন-তিব্বতীয় পরিবারের অন্তর্গত;  এর “নিকটতম আত্মীয়” হল আসাম, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং মেঘালয়ে বোডো, ডিমাসা এবং কাছারি ভাষা।
কোকবোরোক ভাষার নামের অর্থ “বোরোক জনগণের ভাষা”।  বোরোক জনগণ, ত্রিপুরী জনগণ নামেও পরিচিত, হল টুইপ্রা রাজ্যের আদি বাসিন্দা যা উত্তর-পূর্ব ভারত এবং বাংলাদেশের অংশে অবস্থিত ছিল।  ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার পর, টুইপ্রা ব্রিটিশ ভারতের একটি রাজকীয় রাজ্যে পরিণত হয়।  ১৯৪৯ সালে, এটি ত্রিপুরা রাজ্য হিসাবে ভারতের ইউনিয়নে যোগদান করে।

যদিও ককবোরোক রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার মাতৃভাষা, তবে তিন দশক ধরে বাংলাই ত্রিপুরার একমাত্র সরকারী ভাষা ছিল।  ১৯৪৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়, যখন শেষ পর্যন্ত বাংলার পাশাপাশি কোকবোরোককে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।  এই অনুষ্ঠানের বার্ষিকী এখন ত্রিপুরায় কোকবোরোক দিবস হিসেবে পালিত হয়।  এটি রাজ্য সরকার কর্তৃক আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য কার্যক্রমের সাথে উদযাপিত হয়।
মূলত, কোকবোরোক একটি একক ভাষা নয় বরং বেশ কয়েকটি ভাষা এবং উপভাষার জন্য একটি ছাতা পরিভাষা, যার মধ্যে কিছু এমনকি পারস্পরিকভাবে বোধগম্য নয় (একইভাবে, চীনা ভাষা বৈচিত্র্যের একটি গ্রুপ)।  দেববর্মা হল কোকবোরোকের একটি মর্যাদাপূর্ণ উপভাষা যা সকলের দ্বারা বোঝা যায় এবং সকল স্তরে সাহিত্য ও শিক্ষার মান হিসাবে বিবেচিত হয়।
ইউনেস্কোর অ্যাটলাস অফ দ্য ওয়ার্ল্ডস ল্যাঙ্গুয়েজ ইন ডেঞ্জার অনুসারে, কোকবোরোক একটি অরক্ষিত ভাষা, যার অর্থ হল বেশিরভাগ শিশু এটি কথা বলে, তবে এর ব্যবহার নির্দিষ্ট ডোমেনে সীমাবদ্ধ।  ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বক্তার সংখ্যা ৬৯৫০০০ অনুমান করা হয়েছে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৯ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৯ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) ককবরক দিবস (ত্রিপুরা, ভারত)।

(খ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস (বাংলাদেশ)।

(গ) জাতীয় শিক্ষক দিবস (বাংলাদেশ)।

 

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯২০ – পেরেজ দ্য কুয়েলার, জাতিসংঘের পঞ্চম মহাসচিব।

 

১৯২২ – আর্থার মরিস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়।

১৯৩১ – ওস্তাদ বাহাদুর হোসেন খান, বাংলাদেশি উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও সরোদ বাদক।

 

১৯৩৫ – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা ও আবৃত্তিকার।

 

১৯৩৬ – জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি, সেনা প্রধান ও বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

 

১৯৫৯ – ডেনিস কুপার, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং প্রোগ্রামার।

 

১৮০৯ – এডগার অ্যালান পো, মার্কিন লেখক।

 

১৮১৩ – হেনরি বেসিমা, বিজ্ঞানী, লোহা গলানো চুল্লির উদ্ভাবক।

১৮২২ – যদুনাথ পাল,খ্যাতনামা মৃৎশিল্পী।

১৮৯২ – সুরেন্দ্র লাল দাশ, সঙ্গীতশিল্পী।

 

১৭৩৬ – জেমস ওয়াট, স্কটিশ রসায়নবিদ এবং প্রকৌশলী।

১৭৯৮ – অগুস্ত কোঁত, ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৬ – নাসার নামবিহীন একটি স্পেসক্রাফট প্লুটো যাবার পথে ব্লাস্ট হয়।

২০১২ – হংকংভিত্তিক ফাইল শেয়ারিং ওয়েবসাইট মেগাআপলোড এফবিআই বন্ধ করে দেয়।

১৯১৫ – ব্রিটেনের উপর প্রথম বিমান হামলা চালানো হয়।

১৯২৬ – মুসলিম সাহিত্য সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪২ – জার্মান সার্মা দখল করে।

১৯৬৬ – ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

১৯৭৫ – ভারতের হিমাচল প্রদেশে ভূমিকম্প হয়।

১৯৭৯ – ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা হজরত ইমাম খোমেনী (রহ) স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা প্রদান করেন।

১৯৮১ – ইরানে জিম্মিসঙ্কট: ১৪ মাস বন্দীদশায় কাটানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ৫২ মার্কিন নাগরিকের মুক্তিলাভ।

১৯৮৩ – Apple Inc. প্রথমবারের মত পার্সোনাল কম্পিউটার এ গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস এবং মাউস ব্যবহারের ঘোষণা দেয়।

১৯৮৬ – প্রথমবার আইবিএম কম্পিউটার পিসি ভাইরাস পাওয়া যায়,যা তৈরি করেছিল দুইজন পাকিস্তানি নাগরিক।

১৯৮৮ – চীনে বিমান দুর্ঘটনায় ১০৮ জনের মৃত্যু হয়।

১৯৯১ – উপসাগরীয় যুদ্ধ, ইরাক ইসরায়েলে দ্বিতীয় স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে ১৫ জন আহত হয়।

১৯৯৩ – চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়াজাতিসংঘে যোগ দেয়।

১৯৯৭ – দীর্ঘ ৩১ বছর পর প্যালেস্টাইনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত প্রথম প্যালেস্টাইনে পা রাখলে তাকে বীরোচিত সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।

১৮২৫ – রায়ত বিদ্রোহের এক পর্যায়ে শেরপুরে জমিদারদের বরকন্দাজদের বিরুদ্ধে রায়তদের সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়।

১৮৩৯ – ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ইয়েমেনের বন্দর নগরী এডেন দখল করে।

১৮৪০ – নাবিক ক্যাপ্টেন চার্লস আমেরিকা উপকূল আবিষ্কার করেন।

১৮৫৯ – ফ্রান্স সারদিনিয়া জোটের চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

১৮৮৩ – টমাস এডিসন, প্রথমবারের মত তার ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক বাতি তৈরি করেন।

১৮৯৩ – ইবসেনের নাটক দ্য মাস্টার বিল্ডার প্রথম মঞ্চস্থ হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – ভাভা, ব্রাজিলীয় ফুটবলার।

২০০৪ – ডেভিড হুকস, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।

 

২০১৯ – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি সাহিত্যিক।

২০২১ – বিশিষ্ট অভিনেতা, নাট্য পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান দিলু।

 

২০২২ – (ক) বাংলাদেশের স্পাই থ্রিলার জগতে জনপ্রিয়তম চরিত্র ‘মাসুদ রানা’র স্রষ্টা কাজী আনোয়ার হোসেন।

(খ) ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী গোরা সর্বাধিকারী।

(গ) প্রভাত চৌধুরী, ভারতীয় বাঙালি পোস্ট-মডার্ন কবি।

১৯০৫ – মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রাহ্মধর্ম প্রচারক ও দার্শনিক।

১৯২৪ – সরোজ নলিনী দত্ত, ভারতীয় নারীবাদী এবং সমাজ সংস্কারক।

 

১৯২৬ – দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর,বাংলা শর্টহ্যান্ড লিপির উদ্ভাবক।

১৯২৭ – স্যার কৈলাসচন্দ্র বসু,ভারতের চিকিৎসাশাস্ত্রে সবচেয়ে সম্মানিত ও প্রথম স্যার উপাধিপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

১৯৫৪ – থিওডর কালুজা, জার্মান গণিতবিদ এবং পদার্থবিদ।

 

১৯৬৬ – মেজর সত্য গুপ্ত, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও সমাজসেবী।

১৯৭৮ – বিজন ভট্টাচার্য, বাঙালি নাট্যব্যক্তিত্ব।

 

১৯৯২ – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, বাঙালি গায়ক ও সুরকার।

 

১৮৮৬ – রামনারায়ণ তর্করত্ন, বাংলার প্রথম মৌলিক নাট্যকার ও হরিনাভি বঙ্গনাট্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা মীরা দত্তগুপ্ত ।

ভূমিকা—-

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে মীরা দত্তগুপ্ত প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল। মীরা দত্তগুপ্ত  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন  মীরা দত্তগুপ্ত ।

 

 জন্ম ও পরিবার——

 

মীরা দত্তগুপ্ত ১৯০৬ সালে ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পৈতৃক জমি ছিল বিক্রমপুরের জৈনসার গ্রামে।  তাঁর পিতার নাম শরৎকুমার দত্তগুপ্ত।  পিতার আদর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।  তার পিতামাতার মনোভাব ছিল দেশপ্রেম।

 

শিক্ষাজীবন—

 

মীরা দত্তগুপ্ত বেথুন কলেজের মেধাবী ছাত্রী।  ১৯৩১ সালে পাটিগণিতের এমএ পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় হন।  এরপর বিদ্যাসাগর কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন।

 

 রাজনৈতিক জীবন—–

 

পড়াশোনার সময় তিনি বিপ্লবী পার্টিতে যোগ দেন।  বেনু পত্রিকার মহিলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন।  কিছুদিন ‘সাউথ ক্যালকাটা গার্লস অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।  নারী আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করেছেন।  ১৯৩৩ সালে তার গতিবিধি পুলিশের নজরে আসে।  ১৯৩৭ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তিনি দুইবার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হন।  ১৯৪২ সালে আন্দোলনের সময় তিনি অর্থ সংগ্রহ করে বিপ্লবীদের দিয়েছিলেন।  ১৯৪৬ সালে তিনি জেল থেকে বেরিয়ে ‘ফরওয়ার্ড ব্লক’ গঠন করেন।

 

মৃত্যু—-

 

মীরা দত্তগুপ্ত ১৭ জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে মারা যান।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

যতীন্দ্রমোহন রায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে যতীন্দ্রমোহন রায় ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। যতীন্দ্রমোহন রায় ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

জন্ম——

 

যতীন্দ্রমোহন রায়ের জন্ম রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় ১৮৮৩ সালে। তার পিতার নাম হরিমোহন রায়।

 

শিক্ষা ও রাজনীতি——–

 

রাজনৈতিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করার জন্য রাজশাহী কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হন। পরে ঐ কলেজ থেকে ১৯০৭ সালে বি.এ. পাস করেন। বগুড়ায় শিক্ষকতা করার সময় ‘গণমঙ্গল সমিতি’ নামে সংগঠনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শিক্ষার সম্প্রসারণে আত্মনিয়োগ করেন। বগুড়ায় দুটি হাই স্কুলও স্থাপন করেছিলেন।

 

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড————-

 

যতীন্দ্রমোহন রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।  তিনি বাঘা যতীনের সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে যোগ দেন।  বালেশ্বর যুদ্ধের পর তিনি বন্দী হন।  তিনি অসহযোগ আন্দোলন ও লবণ সত্যাগ্রহের জন্য দেড় বছর এবং ভারত ছাড়ো আন্দোলনের জন্য দুই বছর কারাভোগ করেন।  পরে তিনি দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য দান করার ব্রত নেন।  তিনি বেঙ্গল ইয়ুথ কনফারেন্স এবং বিষ্ণুপুর বেঙ্গল প্রাদেশিক সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন।  ফরিদপুর প্রাদেশিক কংগ্রেসেও তার গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ছিল।  তিনি আদি অভয়ম সমিতির সদস্য ছিলেন, পরে তাঁর দল উত্তরবঙ্গে যতীনদার দল নামে পরিচিতি লাভ করে।  যতীন্দ্রমোহন রায় ১০ বছর ব্রিটিশ কারাগারে ছিলেন।

 

গণমঙ্গল সমিতির সদস্যবৃন্দ———-

 

গণমঙ্গল সমিতির কর্মীদের মধ্যে  উমানাথ চক্রবর্তী, ক্ষিতীশ সরকার, যতীন হুই, পাবনার প্রভাস লাহিড়ী, মানসগোবিন্দ সেন, গোবিন্দ ব্যানার্জি, সুরেন রায়, ধীরেন্দ্রমোহন ঘটক, সত্যপ্রিয় ব্যানার্জি, অবিনাশ রায়, শশধর কর, অক্ষয় গুহ, মহেন্দ্র সেন, মোহিনী সিংহ, যোগেন দে সরকার, খগেন দাসগুপ্ত,  শরদিন্দু চক্রবর্তী, আশুতোষ লাহিড়ী, গপেন্দ্রলাল রায়, কালিপদ বাগচী প্রধান ছিলেন। তাদের সকলেই বহু বছর জেলে বন্দী ছিলেন।  তাদের মধ্যে খগেন দাশগুপ্ত ১৪ বছর জেলে ছিলেন।

 

মৃত্যু——-

 

যতীন্দ্রমোহন রায় ১৮ জানুয়ারি ১৯৫১ সালে প্রয়াত হন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৮ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৮ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৪২ – মহাদেব গোবিন্দ রাণাডে,প্রখ্যাত ভারতীয় বিচারপতি, লেখক ও সমাজ সংস্কারক ।

 

১৮৫৪ – টমাস আউগুস্তুস ওয়াটসন, একজন আমেরিকান যিনি আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের সহকারী ছিলেন এবং টেলিফোন আবিষ্কারের অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃত।

১৮৬৭ – নিকারাগুয়ার কবি রুবেন দারিওর।

১৮৭৮ – সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন।

১৮৮২ – এ. এ. মিলনে, ইংরেজ লেখক, কবি ও নাট্যকার।

১৯০৩ – প্রখ্যাত রসায়নবিদ,গবেষক ও লেখক দুঃখহরণ চক্রবর্তী।

 

১৯১৭ – আজিজুর রহমান, বাংলাদেশী কবি এবং গীতিকার।

১৯২১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি আমেরিকান পদার্থবিদ ইয়োইচিরো নাম্বু।

 

১৯৩৫ – মমতাজউদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশি নাট্যকার ও অভিনেতা।

১৯৩৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ জন হিউম।

১৯৪৫ – মোনাজাত উদ্দিন, একুশে পদক বিজয়ী বাংলাদেশী সাংবাদিক।

১৯৪৯ – স্থবির দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ।

 

১৯৫৪ – পার্থ প্রতিম মজুমদার, প্রখ্যাত মূকাভিনয় শিল্পী।

১৯৬০ – মার্ক রাইল্যান্স, ইংরেজ অভিনেতা, মঞ্চ পরিচালক এবং নাট্যকার।

১৯৮৪ – জাপানি ফুটবলার মাকটো হাসেবে।

১৯৮৮ – জার্মান টেনিস খেলোয়াড় আঙ্গেলিকুয়ে কেরবের।

১৯৯০ – বাংলাদেশি তরুণ প্রজন্মের সঙ্গীত শিল্পী হৃদয় খান।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

৪৭৪ – দ্বিতীয় লিও এক বছরের থেকেও কম সময়ের জন্য বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।

১৪৮৬ – এলিজাবেথ অব ইয়র্কের সঙ্গে ইংল্যান্ডের রাজা সপ্তম হেনরী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

১৫৩৫ – স্পেনীয় দখলদার (Spanish conquistador) ফ্রান্সিস্‌কো পিজারো পেরুর রাজধানী, লিমা আবিষ্কার করেন।

১৬৪২ – প্রথম ইউরোপীয় হিসাবে আবেল তাসমান নিউজিল্যান্ডে পা রাখেন।

১৬৭০ – ওয়েল্‌শ্‌ অ্যাডমিরাল স্যার হেনরী মোরগেন পানামা দখল করেন।

১৭০১ – প্রথম ফ্রেডরিক প্রুশিয়ার রাজা হন।

১৭৭৮ – ইংরেজ অভিযাত্রী ক্যাপ্টেন জেমস কুক হাওয়াই দ্বীপ আবিষ্কার করেছিলেন।

১৮৬২ – বঙ্গীয় আইন পরিষদ গঠিত হয়।

১৮৭১ – ফ্রান্সের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম ভিলহেল্ম জার্মানীর প্রথম সম্রাট ঘোষিত হন।

১৯১২ – বৃটিশ অভিযাত্রী রবার্ট ফ্যালকন স্কট দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করেন। তিনি প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পর্দাপন করেছিলেন বলে প্রথমে ভাবলেও পরে বুঝতে পারেন তার ভুল হয়েছে।

১৯১৯ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ – ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে প্যারিস শান্তি সম্মেলন শুরু হয়।

১৯৩৮ – সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি হন।

১৯৪৪ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ – সোভিয়েত ইউনিয়নের বাহিনী রাশিয়ার লেনিনগ্রাড শহরটিকে নাৎসি জার্মান বাহিনীর কবল থেকে মুক্তি করে।

১৯৪৮ – হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা বন্ধ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গান্ধী তার ১২১ ঘণ্টার অনশনের অবসান ঘটিয়েছিলেন।

১৯৫০ – ভারত ধর্মনিরপক্ষে গণরাষ্ট্র হিসাবে ঘোষিত হয় ।

১৯৫৬ – জাপান জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৭৮ – নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাজ্য সরকার ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়।

১৯৭৯ – ইরানের বিপ্লবী জনগণ স্বৈরচারী শাহ সরকারের শেষ প্রতিনিধি অর্থাৎ শাপুর বখতিয়ারের সরকারের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ করে।

১৯৯৭ – একাকী এবং কারো সাহায্য ছাড়াই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অ্যান্টার্কটিকা পাড়ি দেন নরওয়ের বোর্জ অসল্যান্ড।

১৯৯৮ – দ্রুজ রিপোর্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়।

২০০২ – সিয়েরালিয়নে গৃহযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

২০০৬ – সংযুক্ত আবর আমিরাতে প্রথম কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩৬৭ – প্রথম পিটার, পর্তুগালের রাজা।

 

১৬৭৭ – জান ভান রিয়েবেক, ডাচ রাজনীতিবিদ ও কেপ টাউনের প্রতিষ্ঠাতা ।

 

 

১৮৬২ – জন টাইলার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৬ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ লেখক ও কবি রুডইয়ার্ড কিপলিং।

 

১৯৪৭ – কুন্দনলাল সায়গল,ভারতীয় সঙ্গীত শিল্পী ও অভিনেতা।

 

১৯৫১ – যতীন্দ্রমোহন রায়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

১৯৫৫ – পাকিস্তানি লেখক ও চিত্রনাট্যকার সাদাত হাসান মান্টোর।

 

১৯৮৩ – মীরা দত্তগুপ্ত ,ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক বিপ্লবী ও জননেত্রী।

 

১৯৯২ – (ক)  সুবোধকুমার চক্রবর্তী, রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত ভ্রমণকাহিনী লেখক।

(খ) হামিদুল হক চৌধুরী, রাজনীতি ও আইনজীবী ।

১৯৯৫ – আডল্‌ফ ফ্রিড্‌রিশ ইয়োহান বুটেনান্ড্‌ট, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।

১৯৯৬ – এন. টি. রামা রাও, ভারতীয় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ, অন্ধ্রপ্রদেশ-এর ১০ তম মুখ্যমন্ত্রী।

 

২০০৩ – হরিবংশ রাই বচ্চন, প্রখ্যাত ভারতীয় হিন্দি কবি।

২০১৭ – র‌্যাচেল হেহো ফ্লিন্ট, ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক মহিলা ক্রিকেট তারকা।

 

২০১৮ – চন্ডী লাহিড়ী, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও কার্টুনিস্ট।

 

২০২২ – নারায়ণ দেবনাথ,প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট ও চিত্রশিল্পী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন স্মরণে।

জন্ম পরিচয়–

 

সুচিত্রা সেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ছিলেন। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ৬ই এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (অধুনা বাংলাদেশের  অন্তর্গত) পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা করুণাময় দাশগুপ্ত ছিলেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মায়ের নাম ইন্দিরা দেবী গৃহবধূ। সুচিত্রা ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। ডাক নাম রমা। তবে বাবা ডাকতেন কৃষ্ণা নামে। পাবনা শহরেই তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি ছিলেন কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।

 

তিনি মূলত বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। বাংলা চলচ্চিত্রে উত্তম কুমারের বিপরীতে নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।

 

 

শিক্ষা জীবন—

 

পাবনা শহরের মহাখালী পাঠশালার পাঠ শেষ করে, তিনি পাবনা গার্লস স্কুলে ভর্তি হন। এই স্কুলে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পাক-ভারত বিভাজনের সময় এঁদের পুরো পরিবার কলকাতায় চলে যান।

 

বৈবাহিক জীবন—

 

১৯৪৭ সালে বিশিষ্ট শিল্পপতি আদিনাথ সেনের পুত্র দিবানাথ সেনের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের বিয়ে হয়। তাদের একমাত্র কন্যা মুনমুন সেনও একজন খ্যাতনামা অভিনেত্রী।তার  নাতনী রিয়া সেন ও রাইমা সেন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

 

অভিনয় জীবন—

১৯৫২ সালে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৫২ সালে শেষ কোথায় ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় কিন্তু ছবিটি মুক্তি পায়নি। সুচিত্রা সেনই বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম অভিনেত্রী, যিনি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৬৩ সালে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান তিনি। ১৯৫৫ সালের দেবদাস ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন, যা ছিল তার প্রথম হিন্দি ছবি। উত্তম কুমারের সাথে বাংলা ছবিতে রোমান্টিকতা সৃষ্টি করার জন্য তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বিখ্যাত অভিনেত্রী। ১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকে তার অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং তার স্বামী চরিত্রে অভিনয় করা সঞ্জীব কুমার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার জিতেছিলেন। হিন্দি চলচ্চিত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রতিবছর দাদাসাহেব সম্মাননা প্রদান করে ভারত সরকার। চলচ্চিত্রের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ২০০৫ সালে দাদাসাহেব সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। সম্মাননা নিতে কলকাতা থেকে দিল্লি যেতে চাননি বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

 

উত্তম-সুচিত্রা জুটি—-

 

বাংলা চলচ্চিত্রের জগতে উত্তম-সুচিত্রা জুটিকে এখনো শ্রেষ্ঠ জুটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একসময় কলকাতার চলচ্চিত্র পাড়ায় উত্তম-সুচিত্রা জুটি ছাড়া সে সময় কোনো ছবি ‘হিট’ হবে, এটা ভাবা নির্মাতারা ভাবতে পারতেন না। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষ ভাবতে শুরু করে, চলচ্চিত্রের মতো বাস্তবেও হয়তো তারা একই সম্পর্ক ধারণ করেন।দীর্ঘ ২৬ বৎসর অভিনয় জীবনে তিনি মোট ৬১টি ছবিতে অভিনয় করেন। এর ভিতরে ৩১টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম কুমারের বিপরীতে।

 

চলচ্চিত্রের তালিকা (বাংলা)

 

দীপ জ্বেলে যাই (১৯৫৯), চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯), হসপিটাল (১৯৬০), স্মৃতিটুকু থাক (১৯৬০)], সপ্তপদী (১৯৬১), সাথীহারা (১৯৬১), বিপাশা (১৯৬২), সাত-পাকে বাঁধা (১৯৬৩), উত্তর ফাল্গুনী(১৯৬৩) ( ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে হিন্দিতে পুনঃনির্মিত হয়েছে মমতা নামে), সন্ধ্যাদীপের শিখা(১৯৬৪), গৃহদাহ (১৯৬৭), কমললতা (১৯৬৯), মেঘকালো (১৯৭০), ফরিয়াদ (১৯৭১), নবরাগ (১৯৭১), আলো আমার আলো (১৯৭২), হারমানা হার (১৯৭২), দেবী চৌধুরানী (১৯৭৪), শ্রাবণ সন্ধ্যায় (১৯৭৪), প্রিয় বান্ধবী (১৯৭৫), আঁধি (১৯৭৫), দত্তা (১৯৭৬), প্রণয় পাশা (১৯৭৮)।

 

হিন্দি—

 

বোম্বাই কা বাবু (১৯৬০),  সারহাত (১৯৬০)।

 

 

পুরস্কার ও সম্মাননা—

তৃতীয় মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী। চলচ্চিত্র সপ্তপদী ( ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দ)।
ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত, মমতা (১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দ)।
পদ্মশ্রী চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য (১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দ)।
ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী পুরস্কার মনোনীত, আঁধি। (১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দ)।
বঙ্গবিভূষণ চলচ্চিত্রে সারা জীবনের অবদানের জন্য। (২০১২ খ্রিষ্টাব্দ)।

 

১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসরগ্রহণ করেন। এর পর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন।সুচিত্রা শেষ জনসম্মুখে আসেন ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে, তাঁর গুরু ভরত মহারাজের মৃত্যুর পর। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার বেল ভিউ হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮২ বছর বয়সে সুচিত্রা সেনের মৃত্যু হয়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

গীতিকার গোবিন্দ হালদার এর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

গোবিন্দ হালদার পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁয় ১৯৩০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি একজন বাঙালি গীতিকার।  তাঁর লেখা প্রথম কবিতার নাম ‘আর কতদিন’।  তিনি লিখেছেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার কবিতা ও গান।  তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দূর দিগন্ত।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতারে প্রচারিত তাঁর লেখা গান মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছিল।  আয়কর বিভাগে কর্মরত থাকাকালীন বন্ধু কামাল আহমেদের অনুপ্রেরণা ও উৎসাহে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর গান রচনা করেন।  কামাল আহমেদ তাকে স্বাধীন বাংলা বেতারের প্রধান কামাল লোহানীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং তাকে ১৫টি গানের ক্যাটালগ দেন।  এই গানগুলোর মধ্যে সমর দাসের সুর্য দিগন্তে সূর্য উঠেছে গানটি প্রথম স্বাধীন বেতারে প্রচারিত হয়।  মুক্তিযুদ্ধের সময় তার কিছু গান স্বাধীন রেডিওতে প্রচারিত হয়।  “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে” গানটি ১৬ই ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রচারিত হয়, পাক বাহিনীর খবরের পরপরই, যেটির সুর করেছেন বিখ্যাত বাংলাদেশী সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী আপেল মাহমুদ এবং মূল কণ্ঠ দিয়েছেন স্বপ্না রায়।  অতিরিক্ত কণ্ঠ দিয়েছেন আপেল মাহমুদ ও সহশিল্পীরা।

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় তার রচিত উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, লেফট রাইট লেফট রাইট, হুঁশিয়ার হুঁশিয়ার, পদ্মা মেঘনা যমুনা, চলো বীর সৈনিক, হুঁশিয়ার, হুঁশিয়ার বাংলার মাটি অন্যতম।তিনি ভারতের আকাশবাণী বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ২০১২ সালে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হয়।

 

গোবিন্দ হালদার কলকাতায় ২০১৫ সালের ১৭ই জানুয়ারি  প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে বাংলা চলচ্চিত্র, থিয়েটার এবং বাংলা লোক নাটকের অভিনেত্রী গীতা দে।

গীতা দে ৫ আগস্ট ১৯৩১ সালে জন্ম গ্রহন করেন

তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র, থিয়েটার এবং বাংলা লোক নাটকের একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। ছয় বছর বয়সে তিনি মঞ্চ শিল্পী হিসেবে আবির্ভূত হন।   ১৯৩৮ সালে, তিনি কলকাতার টালিগঞ্জে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একজন অভিনেত্রী হিসেবে শুরু করেন।  ধীরেন গাঙ্গুলি-পরিচালিত আহুতিতে ছয় বছর বয়সে শিশু শিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।

 

বাবা অনাদিবন্ধু মিত্র মেয়ের গান ও অভিনয়ে প্রবল ঝোঁক দেখে তাকে প্রতিবেশী গায়িকা রাধারানী দেবীর কাছে তালিম নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। তাঁর কাছেই গীতা দের প্রথম জীবনের নাচ, গান, অভিনয় শিক্ষা।
১৯৩৭ সালে মাত্র ছ’বছর বয়সে তিনি ‘আহুতি’ নামে একটি বাংলা ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। ছবিটির পরিচালক ছিলেন ধীরেন গাঙ্গুলি। এরপরের ছবি ‘দম্পতি’ এবং ‘নন্দিতা’। পরিচালকরা যথাক্রমে ছিলেন নীরেন লাহিড়ী এবং সুকুমার দাশগুপ্ত।

 

 

তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন ১৯৪৪ সালে।   তিনি দুই শতাধিক বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র এবং দুই হাজারের বেশি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। গ্রুপ থিয়েটারে তিনি অভিনয় করেছেন বেশ কিছু বিখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে। যেমন তুলসী লাহিড়ী, শম্ভু মিত্র, তুলসী চক্রবর্তী, জ্ঞানেশ মুখার্জি, কালী সরকার, কানু ব্যানার্জি, দিলীপ রায় প্রমুখের সঙ্গে।

 

তিনি সত্যজিৎ রায় এবং ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা, সুবর্ণরেখা, কোমল গান্ধার, কত আজনারে, তিন কন্যার মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন।১৯৫৬ ছিল তাঁর কাছে একটি যুগান্তকারী বছর। সে বছর প্রখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের স‍‌ঙ্গে তাঁর আলাপ করিয়ে দেন অভিনেতা কালী ব্যানার্জি।  ঋত্বিক ঘটক সম্পর্কে তিনি বলেছেন— ‘ক্যামেরার ব্যবহার এবং শট গ্রহণের ব্যাপারে এত বড় মাপের পরিচালক তিনি আর দেখেননি। তিনি আমার জন্য বেশ কিছু ফিল্মের কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষপর্যন্ত ‍‌সেগুলি আর বাস্তবায়িত হয়নি।’৬০ বছরের অভিনয় জীবনে উল্লেখ করার মত তাঁর অভিনীত অজয় করের সাত পাকে বাঁধা, নৌকাডুবি, মাল্যদান, অরবিন্দ মুখার্জির নিশিপদ্ম, দুই ভাই, বর্ণচোরা, মৌচাক ইত্যাদি ছবির নাম। বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে তিনি অভিনয় করেছেন সাবলীলভাবে। চরিত্রগুলির মধ্যে সহজে ঢুকে যেতে পারতেন বলে দর্শকরা আনন্দ পেতেন।

 

 

তিনি ১৯৫৪ সাল থেকে অল ইন্ডিয়া রেডিওর সাথে যুক্ত ছিলেন এবং রেডিও নাটকে বেশ কয়েকটি সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।  তবে তার শেষ নাটক ছিল বাদশাহী চল।১৯৯৬ সালে উত্তর কলকাতার রঙ্গনা মঞ্চে এই নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন গণেশ মুখোপাধ্যায়।  তিনি বিভিন্ন চলচ্চিত্রে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন।  তিনি এই চলচ্চিত্রগুলিতে তার বহুমুখী পদ্ধতির জন্য সর্বাধিক পরিচিত।  তার অভিনয় এমনকি কিংবদন্তি লরেন্স অলিভিয়ারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।  তিনি নেতিবাচক এবং কৌতুক উভয় ভূমিকাতেই পারদর্শী ছিলেন।

 

 

তিনি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন; যার মধ্যে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বিদ্যা বালান এবং সঞ্জয় দত্ত অভিনীতপরিণীতা উল্লেখযোগ্য।

তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকা———–

ইন্দ্রাণী, মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, ডাইনী, কাঠিন মায়া, কাঞ্চন মূল্য, সাথী হারা, দুই ভাই, তিন কন্যা, কাঁচের স্বর্গ, শুভ দৃষ্টি, বন্ধন, বর্ণচোরা, সাত পাকে বাঁধা, দুই বাড়ী, ছায়া সূর্য, অভয়া ও শ্রীকান্ত, শেষ পর্যন্ত, পিতা পুত্র, নিশিপদ্মা, ময়দান, মৌচাক, বাঘ বন্দী খেলা, দম্পতি, দত্তা, সূর্য সখি, হিরের শিকল, মহাপৃথিবী, সন্তান, কথবশেশান, পরিণীতা, টলি লাইটস, চিরদিনি তুমি যে আমার, নৌকা ডুবি, আহবান (চলচ্চিত্র)।

 

 

পুরস্কার ও সম্মাননা—

 

তিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতে আজীবন অবদানের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন গভর্নর সৈয়দ নুরুল হাসানের কাছ থেকে একটি তারকা পদক পেয়েছিলেন (১৯৮৮)।  রাষ্ট্রপতি পুরস্কারও (বাংলা চলচ্চিত্র ও নাট্যশালায় আজীবন অবদানের জন্য)।

 

মৃত্যু——-

 

গীতা দে ১৭ জানুয়ারি ২০১১ তারিখে ৭৯ বছর বয়সে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১৭ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৭ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৫০৪ – পোপ চতুর্থ পায়াস।

১৭০৬ – মার্কিন বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাংকলিন।

 

১৮৬৩ – রুশ অভিনেতা, নাট্যকার ও পরিচালক কনস্তানতিন স্তানিস্লাভস্কি।

১৮৯৫ – স্বাধীনতা সংগ্রামী,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী বিজয়কুমার ভট্টাচার্য ।

 

১৯০৯ – আশুতোষ ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট বাংলা সাহিত্য ও লোকসংস্কৃতি গবেষক ও অধ্যাপক।

১৯১৩ – রাডার যন্ত্রের পুরোধা স্যার এ্যাডওয়ার্ড ফেনিশি।

১৯৩০ – ক্ষেত্র গুপ্ত, বাঙালি অধ্যাপক, সমালোচক ও প্রাবন্ধিক।

 

১৯৩৩ – প্রিন্স সদরউদ্দিন আগা খান।

১৯৪২ – মোহাম্মদ আলী, বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।

 

১৯৪৫ – জাভেদ আখতার, ভারতীয় কবি, গীতিকার এবং স্ক্রিপ্ট রাইটার।

 

১৯৫১ – সন্তু মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

১৯৫৩ – অঞ্জন দত্ত, ভারতীয় গায়ক , গীতিকার এবং চিত্রপরিচালক।

১৯৬২ – জিম ক্যারি, কানাডীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন অভিনেতা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৮ – ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ফ্লাইট ৩৮ লন্ডন হিথ্রো বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়ে যাতে প্রথম কোন বোয়িং ৭৭৭ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় কোন প্রাণহানি ছাড়াই।

১৯২৩ – পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃর্পক্ষ অবৈধভাবে একজন বিপ্লবী বিক্ষককে গ্রেফতার প্রতিবাদে ছেই ইয়েন পেই পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ করেন।

১৯৪৫ – সোভিয়েত রাশিয়ার সৈন্য বাহিনী পোলান্ডের রাজধানী ওয়ারশকে জার্মান দখল থেকে মুক্ত করে। ইউরোপে যুদ্ধ শুরুর দিন থেকেই ওয়ারশতে যুদ্ধ আরম্ভ হয়।

১৯৪৫ – সোভিয়েত সেনারা অগ্রসর হলে জার্মান নাজি বাহিনী কুখ্যাত আউচভিচ কনসেনট্রেশন ক্যাম্প ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।

১৯৪৬ – জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম অধিবেশন

১৯৫৩ – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মুনীর চৌধুরীর কবর নাটক রচনা শেষ হয়।

১৯৫৯ – সেনেগাল ও ফরাসি সুদান একীভূত হয়ে মালি ফেডারেল স্টেট গঠন করে।

১৯৬১ – কঙ্গোর জননায়ক প্যাট্রিস লুমুম্বা নিহত হন।

১৯৬৬ – স্পেনের কাছে ভূমধ্যসাগরের আকাশে মার্কিন বি-ফিফটি টু বম্বারের সাথে কেসি-ওয়ান থ্রি ফাইভ জেট ট্যাংকারের সংঘর্ষ হয়।

১৯৭০ – পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

১৯৮৭ – দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা তথা ‘সার্ক’ সচিবালয় নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৯১ – পঞ্চম হ্যারল্ড নরওয়ের রাজা হিসাবে অভিষিক্ত হন।

১৯৯১ – উপসাগরীয় যুদ্ধে অপারেশন ডেসার্ট হার্ট শুরু হয়। ইরাক এদিন ৮টি স্কাড ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে নিক্ষেপ করে।

১৯৯৫ – জাপানের ওসাকা কোবে অঞ্চলে ভূমিকম্পে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে ও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়।

১৮৪১ – বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়ার নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখা হয়েছিলো।

১৮৬৩ – ভার্জিনিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

১৮৯৩ – হাওয়াই প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়।

১৬০৫ – ডন কুইক্সোট প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৫৮৪ – বোহেমিয়া গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার গ্রহণ করে।

১৫৯৫ – ফ্রান্সের চতুর্দশ হেনরিক প্লেন যুদ্ধ ঘোষণা করেন।

১২৫৮ – মঙ্গোলরা বাগদাদ নগরী অধিকার করে ও ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৫৯৮ – রাশিয়ার জার প্রথম ফিয়োডর।

 

১৮৯১ – (ক) রামচন্দ্র দত্ত ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের অন্যতম গৃহীভক্ত।

(খ) মার্কিন ইতিহাসের জনক জর্জ ব্যানক্রাফ্ট।

১৮৯৩ – রাদারফোর্ড বি. হেইজ্‌, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৩০ – গওহর জান,ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী।

 

১৯৪০ – ভারতে ফুটবল খেলার জনক নগেন্দ্রপ্রসাদ সর্বাধিকারী।

১৯৬১ – কঙ্গোর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্যাট্রিস লুমুম্বা।

১৯৭৬ – ইতালীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও লেখক লুকিনো ভিসকেন্তি।

১৯৭৮ – শিক্ষাবিদ ও জাতীয়তাবাদী তাত্ত্বিক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী।

২০০৩ – ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী সমরেশ রায়।

 

২০১০ – জ্যোতি বসু, ভারতীয় বাঙালি কমিউনিস্ট নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের নবম মুখ্যমন্ত্রী।

 

২০১১ – গীতা দে, বাংলা চলচ্চিত্র, থিয়েটার এবং বাঙালি লোকনাট্যের ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।

 

২০১৪ – সুচিত্রা সেন, ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।

 

২০১৫ – গোবিন্দ হালদার, বাঙালি গীতিকার।

 

২০২২ – ভারতীয় বাঙালি লেখক মিহির সেনগুপ্ত।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This