Categories
রিভিউ

আজ ১০জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১০ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০১ – প্রখ্যাত বাঙালি সরোদশিল্পী তিমিরবরণ ভট্টাচার্য।

 

১৯০৮ – বিনয় মুখোপাধ্যায় যাযাবর ছদ্মনামে সুপরিচিত বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক।

 

১৯১০ – মোহাম্মদ নাসির আলী, বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যিক।

 

১৯৩০ – বাসু চ্যাটার্জী, ভারতের বলিউডের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক।

 

১৯৩৬ – রবার্ট উড্রো উইলসন, পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

১৯৩৯ – সাল মিনেও, মার্কিন চলচ্চিত্র ও মঞ্চ অভিনেতা ও পরিচালক।

১৯৪৫ – নূর হুসাইন কাসেমী, দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব।

 

১৯৪৮ – ডোনাল্ড ফাগেন,মার্কিন রক কিবোর্ডবাদক।

১৯৪৮ – তেরেসা গ্রাভেস, মার্কিন অভিনেত্রী এবং কৌতুকাভিনেত্রী।

১৯৪৮ – মিস্চা মায়স্ক্য়, লাতভীয় বাদ্যযন্ত্রকারী।

১৯৪৮ – উইলিয়াম স্যানডারসন, মার্কিন অভিনেতা এবং কৌতুকাভিনেতা।

 

১৯৫০ – সুচিত্রা ভট্টাচার্য ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৭০ – আলিসা মারিখ, সার্বীয় গ্রান্ডমাস্টার, দাবা।

১৯৭২ – ব্রায়ান ললার, মার্কিন মুষ্টিযোদ্ধা।

১৯৭৩ – গ্লেন রবিনসন, মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড়।

 

১৯৭৪ – ঋত্বিক রোশন, ভারতীয় অভিনেতা।

১৯৭৫ – জ্যাক ডেলোমি, মার্কিন ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৭৬ – এডাম কেনেডী, মার্কিন বেসবল খেলোয়াড়।

 

১৯৭৮ – ব্রেন্ট স্মিথ, মার্কিন গায়ক, শাইনডাউন গানের দল।

 

১৯৮৪ – কাল্কি কেকল্যাঁ, ভারতে জন্মগ্রহণকারী ফরাসি অভিনেত্রী ও লেখিকা।

১৯৮৮ – মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম, ভারতে জন্মগ্রহণকারী বাঙালি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকর্মী।

 

১৮৮০ – গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত গায়ক এবং সংগীতজ্ঞ।

১৮৮৩ – আলেক্সেই‌ নিকলাইয়েভিচ তল্‌স্তোয়, সোভিয়েত রুশ লেখক।

১৫৫৪ – সাইমন মারিয়াস, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০২ – ১০ জানুয়ারী ডাভি আন্তর্জাতিক টেবিল-টিনিস ভ্রাম্যমাণ প্রতিযোগিতা চীনের থিয়েচিং শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

২০২০ – দশকের প্রথম ‘উল্ফ মুন এক্লিপ্স’।

১৯০১ – টেক্সাসে তেল শ্রমিকরা মহা ধর্মঘটে শামিল হয়।

১৯০১ – যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি এলাকায় খনন চালানোর সময় প্রচন্ড বেগে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বের হয়ে আসতে থাকে।

১৯২০ – লিগ অব নেশন্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

১৯২০ -ভার্সাই চুক্তি কার্যকর হয়।

১৯২৩ – ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের সৈন্যবাহিনী জার্মানীর লুয় অঞ্চল দখল করে।

১৯৪০ – বিশ্ব ট্রেড ইউনিয়নের যুক্ত সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৪৬ – জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বৈঠক লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৪৮ – জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বমানবাধিকার দিবস ঘোষণা গৃহীত হয়।

১৯৫৭ – মেকমিলেন এডেনের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন।

১৯৬৪ – পানামা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

১৯৬৪ – চীন আর তিউনিসিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৮ – চাঁদে মহাশূন্য যানের পদাপর্ণ এবং পৃথিবীতে ছবি প্রেরণ শুরু হয়।

১৯৭২ – পাকিস্তানে বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন।

১৯৭৫ – ৫শ বছরের পর্তুগিজ শাসন থেকে এঙ্গোলার স্বাধীনতা লাভ।

১৯৭৭ – অগ্ন্যুৎপাতে জায়ারে ২ সহস্রাধিক লোকের মৃত্যু হয়।

১৮১১ – যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলেন্স অঙ্গরাজ্যে কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের এক বিদ্রোহ দমন করা হয়।

১৮১৫ – ব্রিটেনে সিলোনে (বর্তমান শ্রীলঙ্কা) ক্যান্ডির রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৮২৪ – ব্রিটিশ নাগরিক জোসেপ অ্যাসপডিন এক জাতের সিমেন্ট তৈরি করেন।

১৮৩৯ – ভারত থেকে প্রথম যুক্তরাজ্যে চা আসে।

১৮৬১ – ফ্লোরিডা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়।

১৮৬৩ – লন্ডনে প্রথম পাতাল রেল চালু হয়।

১৮৮৯ – আইভরি কোস্টের ওপর ফ্রান্সের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা।

১৬১৬ – রাজদূত স্যার টমাস রো সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে হাজির হন।

১৬৪২ – রাজা প্রথম চার্লস সপরিবারে লন্ডন থেকে অক্সফোর্ডে পালিয়ে যান।

১৬৬৩ – ব্রিটেনের রাজা দ্বিতীয় চার্লস রাজকীয় আফ্রিকান উপনিবেশের সনদ মঞ্জুর করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০১৬ – ডেভিড বোয়ি, ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও অভিনেতা।

২০২০ – মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশি চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

১৯০৮ – মহারাজা বাহাদুর স্যার যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর, ভারতীয় উপমহাদেশের অবিভক্ত বাংলার একজন বিদ্বোৎসাহী, নাট্যামোদী, শিল্পকলাপ্রেমী এবং মানবদরদী ব্যক্তিত্ব।

 

১৯১১ – শিশির কুমার ঘোষ, প্রখ্যাত জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও নাট্য রচয়িতা।

১৯৫১ – সিনক্লেয়ার লুইস, নোবেলজয়ী মার্কিন ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক ও নাট্যকার।

১৯৫৭ – গ্যাব্রিয়েল মিস্ত্রাল, চিলির নোবেলজয়ী মহিলা সাহিত্যিক।

 

১৯৬৮ – রাধাবিনোদ পাল প্রখ্যাত বাঙালি আইনজ্ঞ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও “জাপান-বন্ধু ভারতীয়” নামে সুপরিচিত।

 

১৯৮২ – সুধীন দাশগুপ্ত, ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার ও গায়ক।

১৯৮৬ – ইয়ারোস্লাভ সেইফের্ত, নোবেলজয়ী চেক কবি-সাংবাদিক।

১৮৬২ – শ্যামুয়েল কোল্ট, পিস্তল আবিষ্কারক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

রামকৃষ্ণ রায় : ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে  রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী।  রামকৃষ্ণ রায়  ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে।

রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী। তাঁর আবাদান ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজ সেই বীর বিপ্লবীর জন্ম দিবস। জানব তাঁর সেই আত্মত্যাগের কিছু কথা। রামকৃষ্ণ রায়  ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

রামকৃষ্ণ রায় ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব। গোপন বিপ্লবী দলের সদস্য ছিলেন।

রামকৃষ্ণ রায় ৯ জানুয়ারি, ১৯১২ সালে মেদিনীপুরের চিরিমাতসাইতে জন্মগ্রহণ করেন।  তার পিতার নাম কেনরাম রায়।  মায়ের নাম ভবতারিণী দেবী।  রামকৃষ্ণ ১৯২২ সালে মেদিনীপুর টাউন স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন।  ছোটবেলা থেকেই ব্যায়াম করতেন।  ১৯২৪ সালে মহাত্মা গান্ধী মেদিনীপুরে এলে বালক রামকৃষ্ণ স্বেচ্ছাসেবকদের সাথে যোগ দেন।  তিনি ১৯২৬ সালের পৌর নির্বাচনে বীরেন্দ্রনাথ শাসমলের সাথে এবং ১৯২৮ সালে সুভাষ চন্দ্রের সাথে কাজ করেন।

১৯৩০ সালে তিনি জেলাশাসক পেডিকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ তারিখে মেদিনীপুরের জেলাশাসক বার্জকে হত্যা করার ব্যাপারে অংশগ্রহণ করেন। ধরা পড়ে হত্যার অভিযোগে প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত হন। ২৫ অক্টোবর, ১৯৩৪ মেদিনীপুর জেলে তার ফাঁসি হয়।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সুবিনয় রায়, প্রখ্যাত বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

সুবিনয় রায় ছিলেন একজন প্রখ্যাত বাঙালি রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী, যিনি কলকাতার ব্রাহ্ম পরিবারের আজন্ম ব্রহ্ম সঙ্গীত বর্ণে বেড়ে ওঠেন।

সুবিনয় রায় ৮ নভেম্বর, ১৯২১ সালে কলকাতা, ব্রিটিশ ভারতের জন্মগ্রহণ করেন।  পিতা বিমলাংশুপ্রকাশ রায় পেশায় রসায়নবিদ ও সাহিত্যিক ছিলেন।  বার্ড কোম্পানিতে চাকরি করেন।  মা সুখময়ী ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের মেয়েদের হোস্টেলের সুপারিনটেনডেন্ট, পরে শান্তিনিকেতনের মেয়েদের হোস্টেল ‘শ্রীভান’-এর সুপার হন।  তিনি সুকুমার রায়ের “ননসেন্স ক্লাব” এর সদস্য ছিলেন।  মা সুখময়ী দেবী নিয়মিত সঙ্গীত চর্চা করতেন।  সুবিনয় রায় কলকাতার মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশন থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে সিটি কলেজে ভর্তি হন।  বিএসসি পাস করার পর, সঙ্গীতের প্রতি অদম্য আকর্ষণের কারণে তিনি ১৯৩৭-৩৮ সালের দিকে শান্তিনিকেতনে চলে আসেন।

কর্মজীবন—-

বিএসসি পাস করার পর তিনি কিছুকাল শান্তিনিকেতনের সঙ্গীত ভবনে শিক্ষকতা করেন।  তিনি কলকাতার “দক্ষিণী” সঙ্গীত একাডেমীতে শুরু থেকেই শিক্ষক ছিলেন।  এর মধ্যে তিনি শান্তিনিকেতন ছেড়ে লন্ডনে গিয়েছিলেন চার্টার্ড লাইব্রেরিয়ানশিপে ডিপ্লোমা নিতে।  দেশে ফিরে পিতৃবন্ধু প্রশান্ত চন্দ্র মহলনবীশ প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে দীর্ঘদিন কাজ করেন।  এর মধ্যে তিনি অনাদিকুমার দস্তিদারের কাছে নিয়মিত রবীন্দ্রসংগীত শিখেছিলেন এবং নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘গীতাভিথি’।  কিছুদিন তিনি ‘গান্ধবী’ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।  তাঁর ছাত্রদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক।  মাসিক পঞ্চাশ টাকা বেতনে দীর্ঘকাল তাঁর কাছে রবীন্দ্রসংগীত শিখে তাঁকে ‘গুরুদেব’ বলে সম্বোধন করতেন।  সুবিনয় রায় চল্লিশের দশকে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান গাইতে শুরু করলেও দশ বছর সেখানে যাননি।  পরে, শুভ, গুঠাকুর্তার প্রচেষ্টায় রেডিওতে অডিশন না নিয়েই উচ্চ গ্রেডের শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন।  ১৯৪৫ সালে, কলম্বিয়া রেকর্ডস তার প্রথম গানের রেকর্ড প্রকাশ করে – “এই করেছ ভালো নিথুর হে” এবং “তুম ডাক দিয়েছ কোন সভা”।  সুবিনয় রায় খুব হাসিখুশি মানুষ ছিলেন এবং আড্ডা দিতে পছন্দ করতেন।  ‘বুধবার’-এও তিনি ছিলেন সভ্য।
এছাড়া তিনি দীর্ঘদিন কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রবীন্দ্র সংগীতের উপর সুবিনয় রায়ের লেখা গ্রন্থ “রবীন্দ্রসংগীত সাধনা” ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থে তিনি প্রাঞ্জলভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের গায়কি, স্বরলিপি, স্বরসাধনা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

পারিবারিক জীবন—-

সুবিনয় রায় শিশুসাহিত্যিক অমরেন্দ্রনাথ দত্তের কন্যা ইন্দিরাকে বিবাহ করেন। তাদের দুই পুত্র- সুরজিৎ ও সুরঞ্জন। সুরঞ্জন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী।

সম্মাননা—

সুবিনয় রায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশিকোত্তম ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি র আলাউদ্দিন পুরস্কারসহ বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে “রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য” উপাধিতে ভূষিত করে।

জীবনাবসান—

সুবিনয় রায় ৯ জানুয়ারী, ২০০৪ তারিখে কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৯ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ৯ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) প্রবাসী ভারতীয় দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৮ – সিমোন দ্য বোভোয়ার, ফরাসি দার্শনিক ও লেখিকা।

 

১৯১২ – রামকৃষ্ণ রায়, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী।

 

১৯১৩ – রিচার্ড নিক্সন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৭তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯২২ – হর গোবিন্দ খোরানা, নোবেল বিজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রাণরসায়নী ও অধ্যাপক।

১৯২৬ – সিডনি লততেরব্য, ব্রিটিশ টেলিভিশনের প্রযোজক ও পরিচালক।

 

১৯২৭ – ভারতীয় বিশিষ্ট গড়ওয়ালি পরিবেশবিদ এবং চিপকো আন্দোলনের নেতা সুন্দরলাল বহুগুণা।

১৯৩৩ – উইলবার এডিসন স্মিথ, জাম্বিয়ারবংশোদ্ভূত ইংরেজ সাংবাদিক ও লেখক।

১৯৪৪ – জিমি পেজ, ইংরেজ গিটার, গীতিকার ও প্রযোজক।

১৯৫৫ – জে. কে. সিমন্স, মার্কিন চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা।

১৯৫৯ – রিগবারটা মেঞ্চু, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গুয়াতেমালার সমাজ কর্মী।

১৯৬৫ – ফারাহ খান, ভারতীয় অভিনেত্রী, পরিচালক ও নৃত্য পরিচালক।

১৯৭৪ – ফারহান আখতার, ভারতীয় অভিনেতা, গায়ক, পরিচালক ও প্রযোজক।

১৯৭৮ – গেন্নারো গাতুসো, সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৮৫ – জুয়ান ফ্রান্সিসকো টরেস, স্প্যানিশ ফুটবলার।

১৯৮৭ – লুকাস লেইভা, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার।

১৯৮৯ – নিনা ডব্রেভ, বুলগেরিয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান অভিনেত্রী ও গায়িকা

 

১৮৮৪ – সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়, সাহিত্যিক ও আইনজীবী।

 

১৮৯০ – ক্যারেল কাপেক, খ্যাতনামা চেক লেখক এবং নাট্যকার।

১৮৯৮ – ওয়ালয় বেকার, আমেরিকান মহা শতবর্ষবয়স্ক মানব।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

২০০৫ – প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) প্রধান পদে নির্বাচনে রুহি ফতোয়া জয়ী হন।

১৯১৫ – (ক)  আজকের দিনে মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন। সেই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর এই তারিখে প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালিত হয়।

(খ) ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনী গালিবুলি যুদ্ধে যোগ দেয়।

১৯১৭ – প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ফিলিস্তিনের পাশে মিসর সীমান্তের কাছে রাফায় যুদ্ধ হয়।

১৯১৭ – যুদ্ধে রাশিয়ার যোগ দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে রাশিয়ার বিভিন্ন শহরে ধর্মঘট পালন করা হয়।

১৯৪২ – জাপানের সৈন্যবাহিনী মালয়েসিয়ার রাজধানী কুয়ালালাপুর দখল করে।

১৯৪৫ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: মার্কিন বাহিনী ফিলিপাইনের লুজন আক্রমণ করে।

১৯৫১ – নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ।

১৯৫৪ – সুদানে নিজস্ব সরকারব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।

১৯৬০ – মিসরের নীল নদের উপর বিশ্ব বিখ্যাত আসোয়ান বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়।

১৯৬৪ – পানামায় মার্কিন পতাকা উড্ডয়নের জের হিসেবে পানামা খাল এলাকায় মার্কিন সৈন্য আর স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে ২১জন পানাম্যানিয়ন নিহত , ৪জন মার্কিন সৈন্য প্রাণ হারায়।

১৯৬৫ – পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

১৯৬৮ – মার্কিন মহাশূণ্যযান সার্ভেয়ার চাঁদে অবতরণ করে।

১৯৬৮ – সৌদি আরব, কুয়েত আর লিবিয়ার যৌথ উদ্যোগে আরব তেল দাতা দেশের সংস্থা ওপেক প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংস্থার সদর দফতর কুয়েতে অবস্থিত।

১৯৮২ – মিশর ও ইজরাইল সিনাই থেকে ইজরালি সৈন্য প্রত্যাহারে সম্মত হয়।

১৯৮৩ – পানামার কংডাডোলা দ্বীপে কলিম্বিয়া, ভেলারিয়া, মেকসিকো আর পানামার পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়। তাদের মধ্যে মধ্য আমেরিকার বিরোধের সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা হয়।

১৯৮৯ – ব্রিটেনের মিল্যাণ বিমান কোম্পানির বোইং ৭৩৭ যাত্রীবাহী বিমান আকাশে উড্ডয়নের ১৭ মিনিটের পর মাটিতে ভূপাতিত হয়।

১৯৯১ – উপসাগরীয় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জেনেভা বৈঠক ব্যর্থ হয়।

১৯৯২ – বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিভক্তি ভোটে সরকারি দলের পরাজয় ঘটে।

১৯৯৫ – ইরাক ও রাশিয়ার মধ্যে ‘পারমাণবিক চুল্লি’ কেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়।

১৯৯৭ – শ্রীলঙ্কায় সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করে তামিল গেরিলারা ১৪২ সৈন্যকে হত্যা করে।

১৮১১ – প্রথম মহিলা গলফ টুর্নামেন্ট শুরু হয়।

১৮১৬ – স্যার হামফ্রে ডেভির নিরাপত্তা বাতি সর্বপ্রথম কয়লার খনিতে ব্যবহৃত হয়।

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভ হুগলি দখল করেন।

১৭৬০ – বারারি ঘাটের যুদ্ধে আফগানরা মারাঠিদের পরাজিত করে।

১৭৭৬ – বিপ্লবী লেখক টমাস পেইনের ‘কমনসেন্স’ প্রকাশিত হয়।

১৭৯২ – তুরস্কের ওসমানিয়া সাম্রাজ্য এবং রাশিয়ার মধ্যে এক শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৭৯৯ – নেপোলিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তহবিল গঠনের লক্ষ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট আয়কর ব্যবস্থা চালু করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০৪ – সুবিনয় রায়, প্রখ্যাত বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

২০১৩ – জেমস ম্যাকগিল বিউকানান, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

২০১৪ – ডেল টমাস মর্টেনসেন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ ও অধ্যাপক।

 

২০২২ – সাইফুদ্দাহার শহীদ, কম্পিউটারে বাংলা প্রচলনের পথিকৃত।

 

১৯১১ – এডুইন আর্থার জোনস, আমেরিকান সুরকার।

 

১৯২৩ – সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রথম ভারতীয় সিভিলিয়ান ও সাহিত্যিক।

 

১৯৪৪ – গোপেশ্বর পাল,ভারতীয় বাঙালি মৃৎশিল্পী।

১৯৪৫ – রবিন জর্জ কলিংউড, ইংরেজ দার্শনিক ও ঐতিহাসিক।

১৯৬০ – এলসি জে. অক্সএনহাম, ইংরেজ লেখক।

১৯৬১ – এমিলি গ্রিন বল্চ, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।

 

১৯৬৯ – প্রতিমা ঠাকুর,ঠাকুর পরিবারের লেখক, কবি, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যবিশারদ।

১৯৭২ – দবির খাঁ, বীণকার ওস্তাদ।

 

১৯৭৩ – তৃতীয় নেপোলিয়ন, ফরাসি রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।

১৯৮৪ – জন ব্রাফে, ভারতবিদ্যা বিশেষজ্ঞ।

 

১৯৯২ – মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার।

 

১৯৯৪ – দেবেন শিকদার, কমিউনিস্ট নেতা।

১৯৯৮ – কেনিচি ফুকুই, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি রসায়নবিদ।

১৮৪৩ – উইলিয়াম হেদলেয়, তিনি ছিলেন ইংরেজ প্রকৌশলী।

১৭৫৭ – বার্নার্ড লে বভিয়ের ডি ফন্টেনেলে, ছিলেন ফরাসি লেখক, কবি ও নাট্যকার।

১৭৯৯ – মারিয়া গায়েটানা আগ্নেসি, ছিলেন ইতালীয় গণিতবিদ ও দার্শনিক।

১৬৯৩ – জব চার্নক, কলকাতা নগরীর পত্তনকারী।

১৩২৪ – মার্কো পোলো, ছিলেন ইতালিয়ান বণিক ও এক্সপ্লোরার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪।

প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ বা NRI এনআরআই দিবস ২০২৪ (অনাবাসী ভারতীয়)  এটি জানুয়ারি মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।  NRI দিবস ২০২৪ (অনাবাসী ভারতীয়) বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪, ৯ ই জানুয়ারী পালন করা হয়।  NRI দিবস ২০২৪ হল সেই দিন যখন মহাত্মা গান্ধী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসেছিলেন।  ভারতের অগ্রগতিতে অনাবাসী ভারতীয় সম্প্রদায়ের অবদানও এই দিনে স্মরণ করা হয়।  ভারতীয় প্রজাতন্ত্র 2003 সালে প্রথমবারের মতো এনআরআই দিবস উদযাপন করেছে।

প্রবাসী ভারতীয় দিবসের ইতিহাস—-

এটি ২০০০ সালে যখন ভারত সরকার প্রবাসী ভারতীয় দিবস পালন করে ৯ জানুয়ারী এনআরআই সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।  মহাত্মা গান্ধী ৯ জানুয়ারী, ১৯১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে আসেন, যা এনআরআই দিবস হিসাবে নবম জানুয়ারীকে তাৎপর্য দেয়। ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও, এই দিনটি আসলে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পালন করা হয়নি। প্রবাসী ভারতীয় দিবসের পটভূমি সম্পর্কে আরও তথ্য এখানে দেওয়া হয়েছে:

 

এনআরআই দিবসের ধারণাটি ভারতীয় আইনজীবী, কূটনীতিক এবং লেখক এলএম সিংভির কাছ থেকে এসেছে।

তারপরে দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ৯ জানুয়ারী, ২০০২ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি ঘোষণা করেছিলেন।

৯ই জানুয়ারী ২০০৬-এ, প্রবাসী ভারতীয় দিবসে OCI (ভারতের বিদেশী নাগরিক) ধারণাটি চালু করা হয়েছিল।

 

এনআরআই দিবস ২০২৪ বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ থিম—-

 

এনআরআই দিবস ২০২৪ বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ থিম এই বছর বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারা সেট করা হয়েছে তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

 

এনআরআই দিবস ২০২৪ বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ তাৎপর্য——-

 

আসুন এনআরআই দিবস বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ এর তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে দেখি।

এনআরআই দিবস একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ যা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশে বসবাসরত ভারতীয় সম্প্রদায়ের প্রচেষ্টাকে স্মরণ করে।  ভারত সরকার দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে মহাত্মা গান্ধীর ভারতে প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এই দিনটি তৈরি করেছিল।  প্রবাসী দিবস অবশেষে ভারতের অগ্রগতিতে ভারতীয় প্রবাসীদের অবদানকে সম্মান জানাতে তৈরি করা হয়।

প্রবাসী ভারতীয় দিবস উল্লেখযোগ্য যে এটি তাদের ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় জনগণের প্রচেষ্টাকে প্রদর্শন করে।  ভারতের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করার জন্য মহাত্মা গান্ধী নিজেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভারতে ফিরে এসে কঠিন যাত্রা করেছিলেন।

 

এনআরআই দিবস বা প্রবাসী ভারতীয় দিবস ২০২৪ এর উদ্ধৃতি—

 

“যা করা কঠিন তা হল মানুষ, স্থান এবং আমার সংস্করণের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যা দীর্ঘস্থায়ী হবে।”  – রঞ্জনী রাও

“এমনকি অন্ধকারেও আলো আছে এবং সেটাই আধ্যাত্মিকভাবে আলোকিত ভারত।”  – শুভাঙ্গী গোপাল কাম্বলে

“প্রতিটি জীবনই একটি যাত্রা, তা নির্বিশেষে আপনি এক জায়গায় থাকুন না কেন, বিশ্ব যাযাবরের মতো জীবনযাপন করুন বা এর মধ্যে কিছু হয়ে উঠুন।”  – রঞ্জনী রাও

“সর্বশ্রেষ্ঠ জাতিগুলিকে সংজ্ঞায়িত করা হয় কিভাবে তারা তাদের দুর্বলতম বাসিন্দাদের সাথে আচরণ করে।”-জর্জ রামোস

“বাড়ি হাঙরের মুখ না হলে কেউ বাড়ি ছেড়ে যায় না।”- ওয়ারসান শায়ার।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সত্যরঞ্জন বকসি – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে সত্যরঞ্জন বকসি ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। সত্যরঞ্জন বকসি ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। সত্যরঞ্জন বকসি ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অক্লান্ত কর্মী। তাঁর আবাদান ভারতের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজ সেই বীর বিপ্লবীর প্রয়াণ দিবস। জানব তাঁর সেই আত্মত্যাগের কিছু কথা। সত্যরঞ্জন বকসি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও সাংবাদিক।

সত্যরঞ্জন বক্সী বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের গৌরনদী থানার বারথি গ্রামে ১৮৯৭ সালের ১৪ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।  বাবা বসন্ত কুমার বক্সী ও মা মোক্ষদাসুন্দরী।  পড়াশোনা করেছেন ঢাকা ও কলকাতায়।  মাতুল হেমচন্দ্র ঘোষ ১৯১১ সালে ছাত্র অবস্থায় মাতুল হেমচন্দ্র ঘোষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী দল মুক্তি সংঘের (পরে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স নামে পরিচিত) সংস্পর্শে আসেন। ১৯১৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম. পাস করেন এবং ১৯২০ সালে আইনে স্নাতক হন।  এবার তিনি ‘এশিয়াটিক ফেডারেশন’ শিরোনামে একটি বিখ্যাত প্রবন্ধ লিখে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের নজরে আসেন এবং তাঁর স্নেহভাজন হন।

১৯২৩ সালে, তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ‘ফরওয়ার্ড’ পত্রিকার সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয়।  দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি ওই পত্রিকার সম্পাদক হন।  ১৯২৭ সালে, তিনি জরিমানা সহ রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য কারাগারে বন্দী হন।  তিনি ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে কারারুদ্ধ হন।  ১৯৩০ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ‘লিবার্টি’ পত্রিকায় যোগ দেন।  লিবার্টি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি ‘অ্যাডভান্স’ এবং পরে শরৎচন্দ্র বসুর ‘নেশন’ পত্রিকায় সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।

সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সহায়তা করে গেছেন সুকৌশলে। চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে, ঢাকায় লেম্যান, হাডসন, মেদিনীপুরে বার্জ, পেডি, ডগলাস, কুমিল্লায় জেলা ম্যাজিসেট্রটের উপর শান্তি-সুনীতির গুলি, অ্যান্ডারসনের উপর আক্রমণ বা রাইটার্স বিল্ডিং-এ অলিন্দ যুদ্ধের বিনয়-বাদল-দীনেশ এর আত্মাহুতি – এ সবের পিছনে কোন না কোন ভাবে তার যোগদান ছিল। কোথাও পরামর্শদাতা, কোথাও আশ্রয় দাতা আবার কোথাও বা সহযোগী হিসাবে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী তিনি ছিলেনই। তিনি ও মেজর সত্য গুপ্ত নিরলস ভাবে অত্যন্ত সাবধানে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৬/১৭ ই জানুয়ারির সুভাষের মহানিস্ক্রম্মণের পরিকল্পনার ছক তৈরি করেছিলেন।

তিনি মহানিষ্ক্রমণ পর্ব সম্পর্কে অনেক কিছু জানতেন।  ১৯৪২ সালে, সত্যরঞ্জন শান্তিময় গঙ্গোপাধ্যায়, বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের যতীশ গুহ প্রমুখ বিপ্লবীদের সাথে গ্রেফতার হন।  দিল্লির লাল কেল্লায় সামরিক বাহিনীর হেফাজতে ব্রিটিশ শাসকদের অকথ্য অত্যাচার।  বন্দী অবস্থায় নির্মম নির্যাতনের ফলে মৃত্যু হয় যতীশ গুহের।  কিন্তু সত্যরঞ্জন অবশেষে অনাহার, অর্ধাহার এবং ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে থেকে মুক্তি পান।  নেতাজিকে নিয়ে তাঁর অসামান্য কাজ হল- “জীবনে দুঃসাহসিক কাজ”।  লোকচক্ষু থেকে সত্যরঞ্জন দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন।

সত্যরঞ্জন বকসি ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দের ৮ই জানুয়ারি কলকাতায় প্রয়াত হন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, কেলুচরণ মহাপাত্র।

কেলুচরণ মহাপাত্র ছিলেন একজন কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু এবং ওড়িশি নৃত্যের প্রবর্তক যার কৃতিত্ব বিংশ শতাব্দীতে এই শাস্ত্রীয় নৃত্যের পুনরুজ্জীবন এবং জনপ্রিয়তার দিকে পরিচালিত করেছিল।  তিনি ওডিশা থেকে প্রথম ব্যক্তি যিনি পদ্মবিভূষণ পুরস্কার পান।  তিনি ১৯২৬ সালের ৮ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

ভারতের একজন প্রসিদ্ধ সংস্কৃত কবি এই গুরু সম্বন্ধে লিখেছেন – ‘তাঁর নৃত্যে দেহের প্রতিটি অঙ্গ সঞ্চালন অলৌকিক ভঙ্গি ও অঙ্গবিন্যাসের পরম মাধুর্য সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র নৃত্যশৈলীর সাগর পার করেছিলেন।

কেলুচরণ মহাপাত্র তাঁর যৌবনে গাতিপোয়া পরিবেশন করতেন, যা উড়িষ্যার একটি ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, যেখানে অল্পবয়সী ছেলেরা ভগবান জগন্নাথ দেবের প্রশংসা করার জন্য মহিলাদের পোশাক পরে।  পরবর্তী জীবনে তিনি গতিপোয়া এবং মাহারি নৃত্য নিয়ে গভীর গবেষণা করেন, যা তাঁকে ওড়িশি নৃত্যের পুনর্গঠনে সাহায্য করেছিল।  গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র মৃদঙ্গ, পাখওয়াজ এবং তবলায় পারকাশন যন্ত্রের একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যা তাঁর নৃত্য রচনায় সরাসরি অবদান রেখেছিল।  ঐতিহ্যবাহী পটচিত্র অঙ্কনেও তিনি পারদর্শী ছিলেন। গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মীপ্রিয়া মহাপাত্র। লক্ষ্মীপ্রিয়া নিজেও একজন নৃত্যশিল্পী।

তিনি বলেছিলেন, “নৃত্য আমার জীবনে শুধু অভীষ্টসাধনই করেনি, এটাই ছিল আমার সম্পূর্ণ জীবন। আজকে আমি যা-ই হই-না-কেন সেটা পুরোপুরি আমার গুরুর আশীর্বাদেই।” তিনি আরো বলেন, “প্রকৃত নৃত্য নিশ্চিতভাবে অবিভক্ত অস্তিত্বের অনুভূতি প্রকাশ করে, যাতে একটি দর্শকের অনুভূতি হয় যে, সে উপলব্ধি করা বিষয় থেকে ভিন্ন নয়”।

“জনগণকে প্রমোদ প্রদানের জন্যে ওডিশি শুধুমাত্র একটা নৃত্যশৈলীই নয় আসলে অনুপ্রেরণা এবং উন্নয়নের উৎস। আমি আদতে নৃত্য প্রদর্শন করিনা বরং সমবেদনার সঙ্গে প্রার্থনা করি এবং দর্শকদের ভাষায় যেন এই ‘শৈলী’ নৃত্যরত ।”

পুরস্কারসমূহ—–

তিনি সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৬),  পদ্মশ্রী (১৯৭৪), পদ্মভূষণ (১৯৮৮), সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপ (১৯৯১), পদ্ম বিভূষণ(২০০০), মধ্য প্রদেশ রাজ্য সরকার থেকে কালিদাস সম্মান লাভ করেন।

মৃত্যু—

কেলুচরণ মহাপাত্র ৭ এপ্রিল ২০০৪ সালে প্রয়াত হন।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্মরণে স্বর্ণযুগের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী।

সুপ্রিয়া দেবী (৮ জানুয়ারী, ১৯৩৩), একজন বাঙালী অভিনেত্রী, যিনি বাংলা চলচ্চিত্রে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করেন। তার আসল নাম কৃষ্ণা এবং ডাকনাম বেনু। উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘বসু পরিবার’ ছবিতেই বড় পর্দায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিতে তাঁর অনবদ্য অভিনয় এখনও সবার হৃদয়ে গেঁথে রয়েছে ৷ মোট ৪৫টি ছবিতে তিনি অভিনয় করেন

 

সুপ্রিয়া দেবী মায়ানমারের মিয়িত্‌কিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা বিখ্যাত আইনজীবী গোপাল চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, বার্মায় বসবাসরত অনেক ভারতীয় ভারতে চলে আসেন। সুপ্রিয়া দেবীর পরিবার শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ কলকাতায় বসবাস শুরু করেন।

 

 

সুপ্রিয়া দেবী তার বাবার নির্দেশিত দুটি নাটকে অভিনয় করে সাত বছর বয়সে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।  তিনি ছোটবেলা থেকেই নাচের প্রতি খুব আগ্রহী ছিলেন, এমনকি তিনি থাকিন নু থেকে একটি পুরস্কার জিতেছিলেন।  শৈশবকাল থেকেই তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন নীহার দত্ত, যিনি গুহ ঠাকুরতা পরিবারের একজন সদস্যকে বিয়ে করেছিলেন এবং মিসেস নীহার গুহ ঠাকুরতা নামে পরিচিত ছিলেন, যিনি সেই সময়ে বার্মার একজন বিশিষ্ট সমাজসেবী ছিলেন।
১৯৪৮ সালে, ব্যানার্জি পরিবার ভালোর জন্য কলকাতায় পুনর্বাসিত হয়।  তারা ১৯৪২ সালে শরণার্থী শিবিরে বসবাস করত, যখন জাপান জোরপূর্বক বার্মা দখল করে।  যুবতী সুপ্রিয়া ও তার পরিবার জোর করে পায়ে হেঁটে কলকাতায় ফিরতে বাধ্য হয়।
কলকাতায়, তিনি তার নাচের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখেন এবং গুরু মুরুথাপ্পান এবং পরে গুরু প্রহ্লাদ দাসের কাছ থেকে নৃত্যের প্রশিক্ষণ নেন।  সুপ্রিয়া দেবী এবং তার পরিবারের সাথে বিখ্যাত অভিনেত্রী চন্দ্রাবতী দেবীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।

 

 

১৯৫৪ সালে, সুপ্রিয়া দেবী বিশ্বনাথ চৌধুরীকে বিয়ে করেন এবং পরে তাদের একমাত্র কন্যা সোমা জন্মগ্রহণ করেন।  ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র দিয়ে ফিরে আসার আগে তিনি কিছু সময়ের জন্য চলচ্চিত্র থেকে অবসর নিয়েছিলেন।

 

নানা চরিত্র, সে সব চরিত্রের বৈচিত্রময়তা সুপ্রিয়া দেবীকে বসিয়েছে এক ভিন্ন আসনে। এর মধ্যে বহু ছবিতেই তাঁর বিপরীতে ছিলেন বাংলা ছায়াছবির আর এক কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম কুমার। তাঁর সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করাটা বড় সহজ কথা নয়। কিন্তু সুনিপুণ দক্ষতায় দু’জনের এক আশ্চর্য রসায়ন তৈরি হয়েছিল পর্দায়। এএর পর তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  তারপর থেকে তারা বহু বছর ধরে একসাথে থাকতেন।

 

 

তাঁর চলচ্চিত্র সমূহ —–

 

দেবদাস, দুই পুরুষ, সন্ধ্যা রাগ, সন্ন্যাসী রাজা, যদি জানতেম, বাঘবন্দী খেলা, বনপলাশীর পদাবলী, চিরদিনের, দ্য নেমসেক, একটী নদীর নাম, শেষ ঠিকানা, মন নিয়ে, চৌরঙ্গি, তিন অধ্যায়, কাল তুমি আলেয়া, শুধু একটি বছর, হানিমুন, ইমান কল্যাণ, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, আপ কি পরিছাঁইয়া, দূর গগন কি ছাঁও মে, লাল পাত্থর, বেগানা, নতুন ফসল, শুন বর নারী, বসু পরিবার, সূর্য শিখা, কোমল গান্ধার, মধ্য রাতের তারা, মেঘে ঢাকা তারা। এত অজস্র চরিত্রের মধ্যেও সুপ্রিয়া চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন ঋত্বিক ঘটকের ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ও ‘কোমলগান্ধার’-এ তাঁর কাজের জন্য। বাঙালির বড় আপন এই অভিনেত্রী বেঁচে থাকবেন তাঁর অভিনীত চরিত্রগুলির মধ্যেই।

 

 

তিনি ২০১১ সালে বঙ্গভূষণ পুরস্কার অর্জন করেন, যা পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধি। ২০১৪ সালে বাংলা চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ভারত সরকার সুপ্রিয়া দেবীকে, ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার “পদ্মশ্রী” তে ভূষিত করেন।

 

 

২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি এই মহান অভিনেত্রী কলকাতায় ৮৫ বছর বয়সে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। টলিউড ইন্ডাষ্ট্রির কাছে তিনি সকলের প্রিয় ‘বেনু দি’। কিংবদন্তি অভিনেত্রীর অভিনয় ক্যারিশ্মা নিয়ে আলোচনা নেহাতই বাতুলতা। তিনি চলে গিয়েছেন ছয় বছর হল৷ তবে সিনেপ্রেমী বাঙালির মননে তিনি থেকে যাবেন আজীবন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ৮ জানুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ৮ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৮৫ – রাধাগোবিন্দ বসাক, বিশিষ্ট প্রাচ্যতত্ত্ববিদ, ভারতীয় লেখতত্ত্ব ও লিপিশাস্ত্রে সুপণ্ডিত।

 

১৯০৯ – আশাপূর্ণা দেবী, ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও শিশুসাহিত্যিক।

 

১৯২৪ – রন মুডি, ইংরেজ অভিনেতা, গায়ক, সুরকার এবং লেখক।

 

১৯২৬ – কেলুচরণ মহাপাত্র কিংবদন্তি ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী, গুরু এবং ওডিশি নৃত্যের উদ্গাতা।

 

১৯৩৫ – সুপ্রিয়া দেবী, প্রবাদপ্রতিম ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী।

 

১৯৩৫ – এলভিস প্রেসলি, কিংবদন্তিতুল্য মার্কিন রক সঙ্গীতশিল্পী।

 

১৯৪২ – স্টিভেন হকিং, ইংরেজ পদার্থবিদ।

 

১৯৪২ – জুনিচিরো কোইযুমি, জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯৪৫ – টেলি সামাদ, বাংলাদেশি কৌতুক অভিনেতা।

 

১৯৮৭ – সিনথিয়া আরিভো, ব্রিটিশ অভিনেত্রী, গায়িকা ও গীতিকার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৬৫৪ – ইউক্রেন রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয়।

১৬৭৯ – ফরাসি নাবিক ও পর্যটক সিয়্যর দ্য লা সাল নায়গ্রা জলপ্রপাতে পৌঁছান।

১৭৮০ – ইরানের তেবরিজ শহরে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প। প্রায় ৮০,০০০ মানুষ নিহত হয়।

১৮০৬ – ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়।

১৮৬৭ – আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে।

১৯১৬ – প্রধানত ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত মিত্র বাহিনী তুরস্কের বিরুদ্ধে তাদের গ্যালিওপোলি অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

১৯১৮ – মার্কিন রাষ্ট্রপতি উড্রো উইলসন মার্কিন কংগ্রেসে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণে উল্লিখিত চৌদ্দ দফার (fourteen points)-এর উপর ভিত্তি করে জার্মানি অস্ত্রসংবরণে সম্মত হয়।

১৯২৬ – বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।

১৯৪০ – ব্রিটেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চিনি মাখন ইত্যাদির রেশন শুরু।

১৯৫৯ – জেনারেল চার্লস দ্য গল ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হন।

১৯৬৩ – প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং মোনালিসা আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন।

 

১৯৭২ – পাকিস্তানের কারগার থেকে বাঙ্গালী নেতা শেখ মুজিবকে মুক্তি দান, লন্ডনের উ্দ্দশ্যে যাত্রা করেন।

১৯৭৩ – সোভিয়াতের মহাশূন্য অভিযানের জন্য মহাশূন্যযান লুনি-২১ উৎক্ষেপিত।

১৯৭৭ – আর্মেনিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে জড়িত গোষ্ঠি রাশিয়াতে এক সাথে ৩৭ মিনিটের মাধ্যে তিন স্থানে বোমা হামলা চালায় এতে ৭ জন মারা যায়।

১৯৭৮ – ইরানের পবিত্র নগরী কোমে ইরানের তৎকালীন শাসক রেজা শাহের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।

১৯৯৩ – সার্বীয় বন্দুকধারীদের গুলিতে বসনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী নিহত।

১৯৯৬ – জায়ারে পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১ হাজার নিহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩২৪ – মার্কো পোলো, ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক।

১৮৫৮ – রসিককৃষ্ণ মল্লিক, ভারতীয় সামবাদিক, সম্পাদক ও সংস্কারক।

 

১৮৮৪ – কেশবচন্দ্র সেন ভারতের বাঙ্গালি ব্রাহ্মনেতা, বক্তা ও বাঙালি হিন্দু সমাজের অন্যতম ধর্মসংস্কারক।

 

১৯৩৪ – আন্দ্রে বেলি, রুশ দেশের একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিক।

 

১৯৪১ – ভারত সেবশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দ মহারাজ।

 

১৯৫০ – জোসেফ শুম্পটার, প্রভাবশালী অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

 

১৯৬৬ – বিমল রায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক ।

 

১৯৭২ – কৃষ্ণদয়াল বসু, বাংলার প্রখ্যাত শিশু-সাহিত্যিক।

 

১৯৮৩ – সত্যরঞ্জন বকসি , স্বাধীনতা সংগ্রামী ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর সহযোগী।

 

১৯৯২ – জাফর ইকবাল, বাংলাদেশী অভিনেতা।

 

২০১৩ – নির্মল সেন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

কথাসাহিত্য লেখিকা নিরুপমা দেবী’র প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।

কথাসাহিত্য লেখিকা নিরুপমা দেবী ৭ মে, ১৮৮৩ সালে পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে জন্মগ্রহণ করেন  । তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল শ্রীমতী দেবী। নিরুপমা দেবীর পিতা নফর চন্দ্র ভট্ট, বিচার বিভাগীয় কর্মচারী ছিলেন। তিনি বাড়িতে শিক্ষিত হয়েছিলেন।

 

সাহিত্যকর্ম——–

 

নিরুপমার অকাল বৈধব্যের পর, তিনি বড় ভাই বিভূতিভূষণ ভট্ট এবং কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় সাহিত্য সাধনা শুরু করেন।  বিভূতিভূষণ ও শরৎচন্দ্র সম্পাদিত হাতেলেখা পত্রিকায় তাঁর সাহিত্যকর্মের পাণ্ডুলিপি প্রকাশিত হয়।  শরৎচন্দ্র তাঁকে গদ্য রচনায় অনুপ্রাণিত করেন এবং অনুরূপা দেবী গল্প রচনায় অনুপ্রাণিত করেন।  তাঁর প্রথম উপন্যাস ”উচ্ছৃঙ্খল”।  স্বদেশী যুগে তাঁর রচিত অনেক গান ও কবিতা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। দাম্পত্য জীবনের অন্তর্দ্বন্দ্ব  তাঁর উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু।  ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দে ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘দিদি’ তার শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলে স্বীকৃত।নিরুপমা দেবীর একাধিক উপন্যাস চলচ্চিত্রায়িত ও মঞ্চে অভিনীত হয়েছে। অন্যান্য রচনার মধ্য রয়েছে:—যুগান্তরের কথা, অনুকর্ষ, দেবত্র, পরের ছেলে, অন্নপূর্ণার মন্দির , দিদি , আলেয়া, বিধিলিপি, শ্যামলী, বন্ধু, আমার ডায়েরি, ।

 

 

 

পুরস্কার———-

 

সাহিত্যে তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩৮ সালে ‘ ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক’ এবং ১৯৪৩ সালে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ লাভ করেন নিরুপমা দেবী।

 

মৃত্যু—

 

৭ জানুয়ারী, ১৯৫১ সালে তিনি প্রয়াত হন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This