Categories
কবিতা

শিশুমন : রাণু সরকার।।

মন যদি শিশুসুলভ হয় বার্ধক্য ভয় পায়
স্পর্শ করতে-
শিশুমন নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে কারণ অতীত ভীষণ মনে পড়ে আর চোখের জল বৃষ্টির তালে-ছন্দে নৃত্য করতে করতে কখন বিলীন হয় কেউ বুঝতেই পারে না তার আগমন ও গমন।

শিশুমন নিয়ে যতবার চেয়েছি হাত স্পর্শ করতে পারিনি- সে ভুল বুঝে হাল ছেড়ে চলে যায়-
জানতে পারলো না সে সফলতার কাছেই ছিলো।

বুঝতে না পারলে কিছুই করার নেই, রূপ দিয়ে চিরকাল মুগ্ধ করা যায় না পুরুষ মন- তাই একটি শিশুতুল্য মন পারে পুলকিত করতে- কিন্তু সেটাও একসময় দুর্বল হয়ে পড়ে।

রাতের নিস্তব্ধতা ভীষণ ভালো লাগে তখন তো রাত বিশ্রামরত, কেনোনা রাতের নিজস্ব সৌন্দর্য আছে যা লেখক মনে ধরা দেয় অবিরত,
এই প্রশান্ত গভীর রাতে বসে ফুল হয়ে ভাবি কখন মৌমাছি উগরে দেবে মধু পুংকেশরে।

Share This
Categories
কবিতা

বেলা শেষের শেষ বিকেল : লাজু চৌধুরী।

সবার একটা “তুমি” থাকে।
আমার তুমি কোন শহরে কোন অলি গলিতে গড়ে নিয়েছে নিবাস।

আমাদের মাঝে বিশেষ কোন কথার আদান প্রদান ছিলো না
কিন্তু “তুমি” শব্দটা আমাদের কাছে খুব গরুত্বপূর্ণ ছিলো।

এক দিন বেলা শেষে জানতে পেলাম
আমার তুমি অন্য কারো তুমি হয়ে গেছে।
আমার নিজস্ব পৃথিবীতে তুমি টা অন্য ভুবনের বাসিন্দা হয়ে গেছে।
ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যেদিন বুঝলাম
আমার নিজস্ব তুমির জন্ম হলো
তখন আমি সূর্যের খুব কাছাকাছি চলে গেছি।

সময়ের সর্তক প্রহর দরজায় কড়া নাড়ে মধ্যে রাতে।
কবিতার শৈশব পেড়িয়ে কবে “তুমি” আমি তুমি হয়ে গেলাম।

তোমার আমার মাঝে তৈরি হলো শিল্পিত বয়স্ক কবিতা।
ভুমিষ্ঠ হলো নব জাতকের মত তুমি আর আমি ।
আমার তুমি।

ভালোবাসার হচ্ছে কবিতার শরীর বুক ভরে নিঃশ্বাস নিবো বলে তোমার বুকে মাথা রেখে ছিলাম ।

বলেছিলাম আমায় প্রেম দাও আমি তার পরিচর্যা করবো।
মেঘাচ্ছন্য আকাশে মনের ক্যানভাসে
“তুমি” আমি ডুবে গেলাম।
এখন আমার একলা মনের রোদের ছায়ায় অসুখ ধরেছে।
আমার উপস্থিতিতে আমার অস্থিত্ব তোমাকে ছুঁয়ে যেতো।

ভেবে ছিলাম “তুমি” আর আমি সমুদ্র স্নান করবো।

হঠাৎ তুমি ঘুমন্ত শহর ছেড়ে চলে গেলে।
একাকীত্বের কাছে আমি পরাজয় হলাম।
পরাজয় আমার একদম সহ্য হয় না
আমার জীবনের সব কোলাহল থেমে গেছে।
হঠাৎ করেই বেলা শেষের শেষ বিকেলে
আমার তুমি অন্য কারো হয়ে গেছে।
আমি তোমার শেষের তুমি অথবা ঘড়ির কাটার মত বিরামহীন অপেক্ষায় থাকবো আমার “তুমির” জন্য।
তাই প্রতি রাতেই আমার ব্যালকণিতে মধ্যে রাতের আকাশে দিকে তাকিয়ে ভাবি একাকিত্বের কতটা সুন্দর আছে।
জীবনটা মনে হচ্ছে সেই পুরনো স্কুল ব্যাগটার মত ভারি ভারি লাগছে।
তোমার ভিন্ন তুমি টাকে আমি ভীষন ভয় পাই এখন আমি।

একটি অসমাপ্ত জীবনে যেখানে মন নেই।
যেখানে “তুমি” নেই।

Share This
Categories
কবিতা

দেবপ্রতিমা ::::: রাণু সরকার।।।।

অন্তরের আনন্দ বাইরে প্রত্যক্ষগোচর করার মনোবৃত্তি প্রকাশ করার শক্তি দিয়েছো হে দেবপ্রতিমা।

বেনাবনে মুক্তো ছড়ালে-
তেল বিহীন জ্বালালে প্রদীপ
চতুর্দিকে ছড়িয়ে হীরা,
সরষে ফুল ক্ষেত্র পায়না-
তোমার কি হৃদয় পাষাণ-
দেখেও করো, না দেখার ভান-
পৌঢ়া রমণী পায় আতুরাশ্রম।

এ-কেমন পীড়নকর নিশা এলো পোতায়-
হয়তো হবে আর জন্মের ত্রুটিপূর্ণর ফল।

Share This
Categories
কবিতা

ঐ যে দূরে :: রাণু সরকার।।।।।।

ঐ যে দূরে দেখা যায় বাঁশঝাড়-
পাশ দিয়ে প্রবাহিত ছোট এক নদী
জলস্রোতের মৃদু কলকলধ্বনি

প্রত্যুষে শূন্যে ডানা ছুঁয়ে জল ভরে,
বেদনা মাখা মুখচন্দ্রিকা
কাজল রাতে ডেকে ছিলো
ঐ নদীটির পাড়ে-
শাপলা লতায় শরীর ঢেকে-
অব্যক্ত কিছু যেন চায় বলতে।

উচ্ছল চপল তব নবীন শালতি
হৃদয়টা অগ্নিদগ্ধ কী করে হয় নিষ্পন্ন
প্রদীপের মৃদু শিখায় মেটেকি বেঁচে থাকার দোহদ।

ভেবে না পাই-
জীবন দাঁড়িয়ে সন্ধ্যার ঘরে নিশ্চল।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

আমার হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ : অরূপ কুমার ভট্টাচার্য্য।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির শৈল্পিক অহঙ্কারের সৌধে অনিবার্যভাবে বিরাজমান। বাংলার সামাজিক উত্থান-পতনের এক যুগ সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম। ঐতিহ্যবাহী কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সন্তান হিসেবে রবীন্দ্রনাথের শৈশব-কৈশোর অতিক্রান্ত হয়েছে জ্ঞানচর্চার এক নির্মল পরিবেশের মধ্যে। মহর্ষি পিতার উপনিষদ চর্চা বালক বয়সেই রবীন্দ্রমানস-গঠনে প্রতিফলন ঘটে এবং সেই শিক্ষাকে তাঁর সমস্ত সত্তায় আত্মস্থ করে নেন। বাল্যকালের সেই উপনিষদিক শিক্ষার আলো সারাজীবন তাঁকে পথ দেখিয়েছে। উপনিষদে যে সত্যের সন্ধান তিনি পেয়েছিলেন সেই সত্যেরই উজ্জ্বল প্রভা তাঁর মধ্যে সঞ্চারিত হয়েছিল। তিনি নিরবচ্ছিন্ন সাহিত্য সাধনা, মেধা ও শ্রমে নিজেই ক্রমাগত নিজেকে অতিক্রম করেছেন যা তাঁকে বহুমাত্রিক শিল্পস্রষ্টার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। নিজের বিরাট সৃষ্টিশীল ক্ষমতা তাঁকে এক যুগোত্তীর্ণ মহাপুরুষের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে। বাংলা সাহিত্যে হাতে গোনা যে ক’জন বড় মাপের খ্যাতিসম্পন্ন লেখক আছেন তার মধ্যে একজন অন্যতম পুরোধা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অবিভক্ত বাংলায় নবজাগরণের মধ্যাহ্নে রবি কিরণের উন্মেষ ঘটেছিল। সেই থেকে রবীন্দ্রনাথ আমাদের জীবনে সত্য ও সুন্দরের ফলগুধারার মতো বহমান এবং সমগ্র বাঙালির হৃদয়ে এবং বাংলা সাহিত্যজগতে হিমাদ্রির মতো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন এক অলৌকিক ঐশ্বর্য নিয়ে। বাঙালির সমৃদ্ধ ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি-সংস্কৃতির বহুলাংশ জুড়েই আছেন ধীমান পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

বাঙালি তাই তার প্রতিটি সংকটে, প্রতিটি সংশয়ে আশ্রয় নেয় সেই রবীন্দ্রনাথের কাছে। রবীন্দ্রনাথ নিজের সমৃদ্ধ সাহিত্য চর্চার পরিধি দিয়ে বিস্তৃত করেছেন গোটা বাংলা সাহিত্যের পরিসর। আমরা তাঁকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় অভিষিক্ত করেছি। রবীন্দ্রনাথের সাফল্যের এই ক্রম-উত্তরণ কিন্তু একদিনে ঘটেনি। এক লহমায় তিনি ‘বিশ্বকবি’ বা ‘কবিগুরু’ অভিধায় ভূষিত হননি। সমগ্র রবীন্দ্র জীবন ও সৃষ্টির পিছনে রয়েছে তাঁর সৃষ্টির দীর্ঘ অবিশ্রান্ত পথ চলা। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতে রবীন্দ্রনাথ এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করেন। তাঁর রচনা চির নতুন ও চিরকালের, কারণ তিনি জগৎ ও জীবনকে দেখেছেন বর্তমানের দৃষ্টির সীমানায়। যে দৃষ্টি তৈরি হয়েছিল অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দর্শনের সমন্বিত অন্তর্দৃষ্টি থেকে। তাই তিনি সব সময়ই আজকের রবীন্দ্রনাথ। বাঙালির যাপিত জীবনাচরণের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে। জীবনের প্রভাত থেকে অন্তিমলগ্ন তিনি বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা; সব্যসাচী লেখক, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, সঙ্গীত রচয়িতা, সুর স্রষ্টা, গায়ক, সমালোচক, চিত্রশিল্পী, অভিনেতা, সমাজসেবী ও শিক্ষাবিদ হিসেবে অনন্য। তিনি সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে, বিপুল সৃষ্টিসম্ভারে বদলে দিয়েছেন বাঙালির মানসজগত এবং বাংলাকে দিয়েছেন বিশ্ব পরিচিতি। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান। একে অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। আমাদের শিল্প-সাহিত্য, ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, রাজনীতি, জীবন- চেতনায় রবীন্দ্রনাথ অবশ্যই অপরিহার্য। আমাদের জীবনের সঙ্গে, চেতনার সঙ্গে, মননের সঙ্গে, আন্দোলনে, ভাষার মাধুর্যে, দেশপ্রেমে সৃষ্টিশীল কর্মের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। আমাদের প্রাণের টানে, জীবনের টানে, চেতনার টানে, শিল্প ও সাহিত্যের টানে রবীন্দ্রনাথের কাছে আমাদের বারবার ফিরে যেতে হবে শিল্পের আরাধনায়। তাঁর কবিতার ছন্দ, বাণী ও সুর আমাদের হৃদয়ে বুলিয়ে দেয় শান্তির শুভ্র পরশ। অনন্ত অসীমের সেই অসামান্য রবীন্দ্রনাথের কাছে আমরা প্রার্থনায় নতজানু হই, সমর্পিত হই, পরম বিশ্বাসে।

রবীন্দ্রনাথ আমাদের প্রাণের কবি, প্রেমের কবি, জীবনের কবি, প্রকৃতির কবি, গানের কবি সর্বোপরি মানুষের ভালোবাসার কবি হয়ে চেতনার আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে অপার্থিব আনন্দলোকে আনন্দের বিস্তৃৃতি ঘটিয়েছেন। তিনি বাঙালি হয়েও চিন্তা-চেতনায় আধুনিক ও আন্তর্জাতিক বোধসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তাঁর শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা ছড়া, কবিতা কিংবা বড়দের জন্য লেখা কবিতা, গান, গল্প-উপন্যাসে আমরা বাঙালির সহজ সরল জীবনকে তুলে ধরতে দেখি। তাঁর নানা কাব্যগীতিতে আমরা প্রেম সৌন্দর্য, রোমান্টিক ভাবনা, আধ্যাত্মিক কল্পনার চিন্তাধারা পরিলক্ষিত হতে দেখি। রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ গল্প উপন্যাস এখনো আমাদের সৃজনশীল মনকে আন্দোলিত করে। আমরা রাবীন্দ্রিক চরিত্রগুলোকে চলচ্চিত্র ও মঞ্চে রাজা ও রানী, বিসর্জন, রক্তকরবী, চিত্রাঙ্গদা, চিরকুমার সভা, বাল্মিকী প্রতিভা, তাসের দেশ, ডাকঘর, রাজা, মুক্তধারা, অচলায়তন, শাপমোচন, শেষের কবিতা, সফল সঞ্চায়ন দেখি; তখন আমরা নিজেরা কিছুটা রাবীন্দ্রিক হয়ে ওঠার চেষ্টা করি। রবীন্দ্রনাথ আছেন বাঙালির হৃদয় জুড়ে তাঁর সৃষ্টির উৎসারণে কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, মঞ্চনাটক, টিভি নাটক, নৃত্যনাট্য, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত এবং বাংলার সমগ্র সংস্কৃতিতে। তিনি তাঁর মানবীয় উচ্চ ভাবনা-চেতনা আর মানুষের চিরায়ত অনুভূতি ভাষার সৌকর্য সাধন আর নিপুণ শৈল্পিক উপস্থাপনার মাধ্যমে কাব্য-সঙ্গীত-প্রবন্ধ-গল্পে আর চিত্রকলায় রূপায়িত করে মানুষের চেতনাকে শানিত করেছেন। রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির ব্যাপকতা বিশ্বজুড়ে শিখরস্পর্শী প্রতিভায় উদ্ভাসিত যা বাঙালির সাংস্কৃতিক স্বকীয়তায় ছড়িয়েছে রবির আলো।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনকে শিল্পবোধ থেকেই অনুভব করেছেন। আর সেজন্য তাঁর শিল্প-সৃষ্টি প্রায়শই জীবনসংলগ্ন। তিনি কাব্য, গল্প, উপন্যাস, সঙ্গীত, নাটককে জীবনের প্রতিভাষে সিঞ্চিত করেছেন। যা রূপালঙ্কার, প্রতীক ও বিমূর্ততার দ্যোতনায় হয়েছে উজ্জ্বল। সব মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। দেড়শ বছর পেরিয়েও কবি আমাদের মাঝে তাই চিরজাগরুক হয়ে আছেন।

সমগ্র বাঙালির মানস জগতে রবীন্দ্রনাথ চিরকালীন আবেগ, প্রেরণায় জাগ্রত থাকবেন এবং বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির আলোর দিশারি হয়ে আলো ছড়াবেন যুগ থেকে যুগান্তরে। তাঁর সৃষ্টি, তাঁর স্বপ্ন আর জীবন দর্শন আগামী প্রজন্মকে পথ দেখাবে সত্য ও সুন্দরের।

——————————————————————————-

Share This
Categories
প্রবন্ধ

সতীশ ধাওয়ান – ভারতের মহাকাশ গবেষণার স্বপ্নকে সার্থক করেছিলেন।

সতীশ ধাওয়ান ছিলেন একজন ভারতীয় গণিতবিদ এবং মহাকাশ প্রকৌশলী, যাকে ব্যাপকভাবে “ভারতে পরীক্ষামূলক তরল গতিবিদ্যা গবেষণার জনক” হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

সতীশ ধাওয়ান ছিলেন একজন ভারতীয় গণিতবিদ এবং মহাকাশ প্রকৌশলী, যাকে ভারতে পরীক্ষামূলক তরল গতিবিদ্যা গবেষণার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়।
সতীশ ধাওয়ান 25 সেপ্টেম্বর 1920 সালে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শ্রীনগরে হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাইটোজেনেটিস্ট নলিনী ধাওয়ানকে বিয়ে করেছিলেন এবং তার মেয়ে জ্যোৎস্না ধাওয়ান সেলুলার এবং মলিকুলার বায়োলজি সেন্টারে সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

শ্রীনগরে জন্মগ্রহণকারী ধাওয়ান ভারতে এবং পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা লাভ করেন।  ধাওয়ান ছিলেন বিশিষ্ট গবেষকদের একজন, যিনি ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির সফল ও আদিবাসী উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।  তিনি 1972 সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)-এর তৃতীয় চেয়ারম্যান হিসেবে এম.জি.কে. মেননের স্থলাভিষিক্ত হন।

ধাওয়ান ব্রিটিশ ভারতের লাহোরে (বর্তমানে পাকিস্তানে) পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ছিলেন, যেখানে তিনি পদার্থবিদ্যা এবং গণিতে বিজ্ঞানের স্নাতক, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি এবং ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।  1947 সালে, তিনি মিনেসোটা, মিনিয়াপোলিস ইউনিভার্সিটি থেকে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতকোত্তর বিজ্ঞান ডিগ্রী এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী সম্পন্ন করেন এবং তার পরে ডব্লিউএইচ এর তত্ত্বাবধানে গণিত এবং মহাকাশ প্রকৌশলে ডবল পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

 

 

1972 সালে, ডক্টর ধাওয়ান ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) এর চেয়ারম্যান এবং মহাকাশ বিভাগে ভারত সরকারের সচিব হন।
সতীশ ধাওয়ান এমন একজন  মানুষ যিনি এপিজে আব্দুল কালামকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন ! এপিজে আব্দুল কালাম একটি ঘটনার কথা তুলে ধরে বলেন,  1979 সালে যখন তিনি একটি স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেলের পরিচালক ছিলেন, মিশনটি কক্ষপথে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।  পরিবর্তে, এটি বঙ্গোপসাগরে ফেলা হয়েছিল।  আবদুল কালামের দল জানত যে সিস্টেমের জ্বালানীতে একটি ফুটো ছিল, কিন্তু তারা আশা করেছিল যে ফুটোটি নগণ্য ছিল ।  এই ভুল গণনা মিশনটিকে ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যায়।  সতীশ ধাওয়ান সেই সময় চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নিজে আবদুল কালামকে ডেকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন;  “আমরা ব্যর্থ! কিন্তু আমার দলের উপর আমার খুব দৃঢ় আস্থা আছে এবং আমি বিশ্বাস করি যে পরের বার আমরা অবশ্যই সফল হব”।  এটি আব্দুল কালামকে বিস্মিত করেছিল, কারণ ব্যর্থতার দায়ভার ISRO-এর চেয়ারম্যানের দ্বারা নেওয়া হয়েছিল। এর পরে পরবর্তী মিশন প্রস্তুত করা হয় এবং 1980 সালে সফলভাবে চালু করা হয়। এটি সফল হলে, সতীশ ধাওয়ান আবদুল কালামকে তার উপস্থিতি ছাড়াই প্রেস মিটে যোগ দিতে বলেন।  দেখা গেছে, দল ব্যর্থ হলে তার দায় নিজের কাঁধে তুলে নেন।  কিন্তু যখন দল সফল হয়, তখন তিনি তার দলের সাফল্যের কৃতিত্ব দেন সকলকে। এভাবে একজন আদর্শ নেতার ছবি তুলে ধরেন তিনি। সতীশ ধাওয়ান 1984 সাল পর্যন্ত ISRO-এর চেয়ারম্যান ছিলেন।

 

ধাওয়ান 1951 সালে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (IISc) ব্যাঙ্গালোরে ফ্যাকাল্টি হিসাবে যোগদান করেন এবং 1962 সালে এর পরিচালক হন। যদিও তিনি ভারতীয় মহাকাশ প্রোগ্রামের প্রধান ছিলেন। তিনি IISc-এ দেশের প্রথম সুপারসনিক উইন্ড টানেল স্থাপন করেছিলেন।  তিনি বিচ্ছিন্ন সীমানা স্তর প্রবাহ, ত্রিমাত্রিক সীমানা স্তর এবং ট্রাইসোনিক প্রবাহের পুনঃপ্রবাহের উপর গবেষণার পথপ্রদর্শক।

ধাওয়ান গ্রামীণ শিক্ষা, রিমোট সেন্সিং এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগে অগ্রণী পরীক্ষা চালিয়েছেন।  তার প্রচেষ্টার ফলে ইনস্যাট, একটি টেলিযোগাযোগ উপগ্রহের মতো অপারেশনাল সিস্টেম তৈরি হয়েছিল।  আইআরএস, ভারতীয় রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট;  এবং পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV), যা ভারতকে মহাকাশ ভ্রমণকারী দেশগুলির তালিকায় স্থান দিয়েছে।

 

 

ধাওয়ান 3 জানুয়ারি 2002-এ ব্যাঙ্গালোরে মারা যান। মৃত্যুর পর তার সম্মানে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই থেকে প্রায় 100 কিমি উত্তরে অবস্থিত অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার করা হয়।  লুধিয়ানার ছেলেদের জন্য সতীশ চন্দ্র ধাওয়ান সরকারি কলেজ তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।  ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি রোপার-এর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিল্ডিং ডিপার্টমেন্টের নামও তার নামে রাখা হয়েছে- সতীশ ধাওয়ান ব্লক, IIT রোপার।  উত্তরপ্রদেশ টেক্সটাইল টেকনোলজি ইনস্টিটিউট কানপুরের কম্পিউটার সেন্টারের নামও 2019 সালে অধ্যাপক সতীশ ধাবন কম্পিউটার সেন্টার হিসেবে রাখা হয়েছে।

 

সারাজীবন ধরে বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন সতীশ ধাওয়ান। 1969 সালে ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি “Distinguished Alumnus Award” পান। এছাড়া 1971 সালে পদ্মভূষণ (ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান); 1981 সালে পদ্মবিভূষণ (ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান), ; এবং জাতীয় সংহতির জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার, 1999।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

 

 

Share This
Categories
রিভিউ

এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

আজ ৩ জানুয়ারি । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  ধর্মীয় বিষয় দিবস, ইন্দোনেশিয়া

(খ) তামাসেসেরাই উৎসব, জাপান

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৯০৭ – রে মিলান্ড, মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯১২ – কলকাতা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চিত্রশিল্পী সুভো ঠাকুর।

১৯২৮ – সোনম শেরিং লেপচা ভারতের লেপচা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক।

১৯৪০ – থেলমা স্কুনমেকার, মার্কিন চলচ্চিত্র সম্পাদক।

 

১৯৪১ – ডা.তপনকুমার লাহিড়ী, পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত বাঙালি চিকিৎসক।

১৯৫২ – আহাদ আলী সরকার, বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ।

১৯৫৬ – মেল গিবসন, মার্কিন-অস্ট্রেলীয় অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, এবং চিত্রনাট্যকার।

১৮১৭ – মদনমোহন তর্কালঙ্কার, বাঙালি কবি ও পণ্ডিত।

১৮৩১ – সাবিত্রীবাই ফুলে, ভারতের মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক, শিক্ষাব্রতী ও কবি।

১৮৭০ – হেনরি হ্যান্ডেল রিচার্ডসন, অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক।

১৮৮৮ – জেমস ব্রিডি, নাট্যকার ও চিকিৎসক।

 

১৭৩২ – হাজী মুহম্মদ মুহসীন, ভারতীয় বাঙালি মুসলমান শিক্ষাব্রতী, সমাজসেবী ও দানবীর।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৯১৯ – প্যারিস শান্তি সম্মেলন: ইরাকের আমির ফয়সাল ইহুদি নেতা ক্লেম ওয়াইজম্যানের সাথে প্যালিস্টাইনে ইহুদি বসতি নির্মানের চুক্তি করে।

১৯২৪ – ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার এবং তার সহকর্মীরা লুক্সরের কাছে তুতাংখামেনের পাথরে নির্মিত শবাধার আবিষ্কার করেন।

১৯৪৭ – মার্কিন কংগ্রেস প্রথম টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।

১৯৪৯ – ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫২ – ঢাকায় এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৫৬ – আগুনে আইফেল টাওয়ারের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত।

১৯৫৭ – হ্যামিলটন ওয়াচ কোম্পানি প্রথম বৈদ্যুতিক ঘড়ি চালু করে।

১৯৫৮ – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফেডারেশন গঠিত হয়।

১৯৫৮ – স্যার এডমন্ড হিলারি দক্ষিণ মেরুতে পদার্পণ করেন।

১৯৫৯ – ৪৯তম রাজ্য হিসাবে আলাস্কা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুক্ত হয়।

১৯৬১ – যুক্তরাষ্ট্র কিউবার সাথে কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন করে।

১৯৬২ – ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্ণ পশ্চিম নিউগিনিকে স্বাধীন প্রদেশ ঘোষণা দেন।

১৯৬৬ – কোসিগিনের প্রচেষ্টায় তাসখন্দে পাক-ভারত শীর্ষ বৈঠক শুরু।

১৯৬৮ – শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে।

১৯৭৬ – গ্রিসে স্বৈরাচারী শাসক জর্জ পাপান্ডু পোলাস ও তার কয়েকজন সহচর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

১৯৮২ – খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে দলে যোগ দেন।

১৯৯০ – মার্কিন সৈন্যদের কাছে পানামার প্রেসিডেন্ট জেনারেল নরিয়েগা আত্মসমর্পণ করে।

১৯৯৩ – মার্কিন বুশ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়েলৎসিনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ পারমাণবিক অস্ত্র হ্রাস চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

১৯৯৪ – সাইবেরিয়ায় রাশিয়ার যাত্রীবাহি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

১৯৯৮ – কেনিয়ায় ড্যানিয়েল আরোপ পঞ্চমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।

১৯৯৯ – পাকিস্তানে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের অল্পের জন্যে প্রাণরক্ষা হয়।

১৯৯৯ – মার্কিন মহাকাশযান ‘মার্স পোলারল্যান্ডার’ মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ।

১৮৬১ – আমেরিকার গৃহযুদ্ধ: ডেলওয়্যার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিভক্ত হতে অনিচ্ছা জানায়।

১৮৭০ – ব্রুকলিন সেতুর কাজ শুরু হয়।

১৮৮০ – বোম্বাইয়ে ‘ইলেস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া’ প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৭৫৭ – ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে তাদের আগের বিশেষ অধিকার ফেরত দেন নবাব সিরাজ উদ দৌলা।

১৭৭৭ – আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ: জর্জ ওয়াশিংটন প্রিন্সটনের যুদ্ধে ব্রিটিশ জেনারেল চার্লস কর্নওয়ালিসকে পরাজিত করেন।

১৭৮০ – ডেনমার্কের জাতীয় সংগীত ‘কং ক্রিশ্চিয়ান’ প্রথম গাওয়া হয়।

১৭৮২ – সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৭৯৫ – পোলান্ডের তৃতীয় বিভাজনে রাশিয়া-অষ্ট্রিয়ার মধ্যে গোপন চুক্তি স্বাক্ষর।

১৫২১ – পোপ দশম লিও এক ডিক্রিবলে বিখ্যাত খৃষ্ট ধর্মবিদ মার্টিন লুথারকে ক্যাথলিক চার্চ থেকে বহিস্কার করেন।

১৪৩১ – জোয়ান অব আর্ককে বিশপের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

১৪৯২ – রানি ইসাবেলা ও ফার্ডিনান্ডের বাহিনীর নিকট যুবরাজ আবু আবদিলের বিশ্বাসঘাতকতায় মুসলিম স্পেনের রাজধানী গ্রানাডার পতন। স্পেনের শেষ উমাইয়া রাজা আবুল হাসানের রাজ্য ত্যাগ করে।

১৪৯৬ ‌- লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি উড়োজাহাজ চালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২০০২ – সতীশ ধাওয়ান, ভারতীয় গণিতজ্ঞ ও মহাকাশ প্রকৌশলী।

২০০৮ – বিশিষ্ট বাঙালি শিল্প ব্যক্তিত্ব সাধন দত্ত।

 

২০১০ – মতি নন্দী, ভারতীয় বাঙালি লেখক।

 

২০১১ – সুচিত্রা মিত্র, ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী।

 

২০১৯ – (ক) দিব্যেন্দু পালিত, ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

(খ) সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও সাবেক মন্ত্রী।

২০২১ – রাবেয়া খাতুন, একুশে পদকবিজয়ী বাংলাদেশী লেখিকা।

 

২০২৩ – সুমিত্রা সেন,ভারতীয় রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

 

১৯৮০ – খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি জ্যোতির্বিদ ও গণিতাচার্য নির্মলচন্দ্র লাহিড়ী।

 

১৯৮৩ – কাজী কাদের নেওয়াজ, কবি।

 

১৯৯২ – বাঙালি অঙ্কন শিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক ধীরেন বল।

 

১৮৭৫ – পিয়েরে অ্যাথানেস লারৌসে, ফরাসি ব্যাকরণবিদ, অভিধানবিদ এবং বিশ্বকোষবিদ।

 

১৩২২ – পঞ্চম ফিলিপ, ফ্রান্সের রাজা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন।

সুমিত্রা সেন ছিলেন বিখ্যাতএকজন ভারতীয় বাঙালি গায়িকা। তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুলগীতি, পল্লীগীতি এবং বাংলা আধুনিক গানের অ্যালবাম করেছেন। তবে তিনি মূলত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে বেশি পরিচিতি লাভ করেন।

 

বাংলা সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র, বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সুমিত্রা সেন এর জন্ম ৭ মার্চ, ১৯৩৩ সালে।সঙ্গীত পরিবারের সদস্যা সুমিত্রা সেন। তাঁর গাওয়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গান ‘সখী ভাবনা কাহারে বলে’, ‘মধুর মধুর ধ্বনি বাজে’ আজও শ্রোতার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। ২০১১ সালে রবীন্দ্রসদনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি ।

 

 

সুমিত্রা সেন একমাত্র ব্যতিক্রমী রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, যিনি সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া দেবী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন– সমস্ত তাবড় অভিনেত্রীর লিপে প্লে ব্যাক করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু গীতিনাট্য, গীতিআলেখ্য, নৃত্যনাট্যের গানে সুমিত্রা সেনের গলা শোনা গিয়েছে।

 

 

সুচিত্রা সেনের লিপে তাঁর রবীন্দ্রসংগীত অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, ‘বিপদে মরে রক্ষা করো’, ‘ঘরেতে ভ্রমর এল’, ‘সখি ভাবনা কাহারে বলে’, ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও’-এর মতো রবীন্দ্রসংগীতগুলি তাঁর কণ্ঠে চিরস্মরণীয়। পাশাপাশি ‘শাপমোচন’, ‘মায়ার খেলা’ নৃত্যনাট্যের গানও শোনা গিয়েছে এই প্রখ্যাত শিল্পীর গলায়।
সুমিত্রা সেন এক বিখ্যাত শিল্পী হয়েও খুব সহজ মানুষ ছিলেন। মধ্যবিত্ত সারল্য ওঁর থেকে হারিয়ে যায়নি কখনও।

 

দীর্ঘদিন ধরেই সঙ্গীত জগতের বিভিন্ন কৃতিদের গুরু তিনি। সুমিত্রা সেনের দুই মেয়ে ইন্দ্রাণী সেন(Indrani Sen) ও শ্রাবণী সেন, দুজনেই নামী সঙ্গীত শিল্পী। দুই মেয়ে- ইন্দ্রাণী সেন ও শ্রাবণী সেনও বাংলার সঙ্গীত জগতে ছাপ ফেলেছেন। মায়ের পথে হেঁটে রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চাই করে গিয়েছেন ছোট মেয়ে শ্রাবণী সেন, ইন্দ্রাণী সেন অবশ্য সব ধরনের গানেই নিয়েই ছাপ রেখেছেন।

 

 

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই শিল্পী  সুমিত্রা সেন। তাঁর ছোট মেয়ে শ্রাবনী সেনের সঙ্গেই বালিগঞ্জে থাকতেন তিনি। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মধ্যে ডিসেম্বরে (২০২৩) ভীষণ ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেন তিনি। এর ফলে জ্বরের সঙ্গে বুকে সর্দি বসে অবস্থার অবনতি হতে থাকে ক্রমশ। এরপর তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। ২ জানুয়ারি ২০২৩, তাঁকে ছুটি করিয়ে বাড়ি আনা হয়। কিন্তু ভোর রাতেই প্রয়াত হন গায়িকা।  ৩ জানুয়ারি, ২০২৩ সালে ৯০ বছর বয়সে  প্রয়াত হন কিংবদন্তী এই শিল্পী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

 

 

Share This