ভুমিকা—
ধুন্ডীরাজ গোবিন্দ ফালকে, যিনি দাদাসাহেব ফালকে নামে অধিক পরিচিত, (৩০শে এপ্রিল, ১৮৭০ – ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৪) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্রে পরিচালক ও প্রযোজক ছিলেন। তাকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ১৯১৩ সালে রাজা হরিশচন্দ্র চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন যা ছিল ভারতের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য নির্বাক চলচ্চিত্র। এরপর তিনি প্রায় চব্বিশ বছর ধরে ৯৫টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও ২৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
প্রথম জীবন—-
ধুন্ডীরাজ গোবিন্দ ফালকে ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের বম্বে প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ত্র্যম্বকেশ্বর নামক স্থানে একটি মারাঠি শিক্ষিত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
নির্বাচিত চলচ্চিত্রসমূহ—–
রাজা হরিশচন্দ্র (১৯১৩), মোহিণী ভস্মাসুর (১৯১৩), সত্যবান সাবিত্রী (১৯১৪), লঙ্কা দহন (১৯১৭), শ্রী কৃষ্ণ জন্ম (১৯১৮), কালীয় মর্দন (১৯১৯), সেতু বন্ধন (১৯২৩), গঙ্গাবতরণ (১৯৩৭)।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার—
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার সিনেমার ক্ষেত্রে ভারতের সর্বোচ্চ পুরস্কার। ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক দাদাসাহেব ফালকে-এর নাম অনুসারে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।ধুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে এর নাম অনুসারে এই পুরস্কারের নামকরণ হয়েছে।এই পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে একটি স্বর্ণ কমল পদক এবং একটি শাল সহ পুরস্কার প্রাপকে নগত দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
দাদাসাহেব ফালকে ভারতীয় সিনেমার সর্বোচ্চ পুরস্কার, সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিবছর ন্যাশনাল চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার-এ সম্মানিত প্রথম ব্যাক্তি ছিলেন অভিনেত্রী দেবিকা রানী 1969 সালে।2021 সালের লক্ষ্মী ও ছপাক ছবির সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসাবে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন বলি তারকা অক্ষয় কুমার ও দীপিকা পাড়ুকন।
তেমনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ২০২২-এ মিমি ছবির সেরা অভিনেত্রী কৃতি স্যানন এবং রনবীর সিং তার “83” ছবিতে অভিনয়ের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার 2022 এর খেতাব জিতে নিয়েছে।
।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া।।