Categories
প্রবন্ধ

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস : আশঙ্কার বদলে সচেতনতা প্রসার বেশি জরুরি।

প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে অনেক মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। যেমন অনেকেই শেষ পর্যন্ত ক্যানসারকে জয় করে ফেলতে পারেন, তেমনই অনেকেই দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হার মানতে বাধ্য হন। ২০২০ সালে প্রায় ১ কোটি মানুষ মারা গিয়েছেন ক্যানসার। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা পৃথিবী যত মানুষ মারা যান, তার প্রতি ছয় জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যুর কারণ ক্যানসার। তবে ক্যানসারের চিকিৎসা গত কয়েক বছরে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। এবং সেই ভাবনা থেকেই উঠে এসেছে বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালনের কথা।

 

উন্নত-আধুনিক দেশ থেকে পিছিয়ে পড়া কোনও দেশ, ক্যান্সার এবং তার জেরে মৃত্যুর খবর শোনা যায় সবজায়গাতেই। তথ্য বলছে বিশ্বে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যান্সার। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, সচেতনতা  এবং সুষ্ঠু জীবনযাত্রা এই দুই অস্ত্রেই একটি বড় অংশের ক্ষেত্রে ঠেকিয়ে রাখা যায় এ মারণরোগ।সারা বিশ্বে ক্যান্সার মারণরোগ হিসেবে পরিচিত। কোনও কোনও সময়ে অনেকটা পরে ধরা পড়ে এই রোগ। যখন চিকিৎসার আর তেমন কোনও সুযোগ থাকে না। ফলে ক্যান্সার রুখতে গেলে Early Detection-এর কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এখানেই আসে সচেতনতার বিষয়টি। অর্থাৎ কী কী দেখে আগেভাগে সতর্ক হতে হবে, দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে তা নিয়ে সচেতনতার প্রসারের জন্য়ই এমন দিনের প্রয়োজন
ক্যান্সার নিয়ে আশঙ্কার বদলে সচেতনতা প্রসার বেশি জরুরি। ঠিক সেই কারণেই, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ।

২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে বিশ্ব ক্যানসার সামিট আয়োজিত হয়। সেখানেই ঠিক হয়, এই দিনটি বিশ্ব ক্যানসার দিবস বা বিশ্ব ক্যানসার সচেতনতা দিবস বা বিশ্ব ক্যানসার প্রতিরোধ দিবস হিসাবে পালন করা হবে।এই দিনটিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ক্যান্সার রোগীদের জীবন ধারার মান উন্নয়নে ইন্টারন্যাশানাল ইউনিয়ন এগেনষ্ট ক্যান্সার (International Union Against Cancer)-কে সহায়তা করে থাকে।
ওই দিনে ইউনেস্কোর তৎকালীন জেনারেল ডিরেক্টর কৈচিরো মাতসুরা ফরাসি প্রেসিডেন্ট জাক শিরাকের সঙ্গে তৎকালীন নিয়ে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেন। এই ভাবনার মূল লক্ষ্যই হল যাতে বিশ্বব্যাপী গবেষণা, তৎকালীন প্রতিরোধ, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে উন্নতি।

২০২২, ২০২৩ এবং ২০২৪- এই তিন বছরের জন্য একই থিম রাখা হয়েছে। ‘Close The Care Gap’। ক্যান্সার রোগীদের মানসিক ও শারীরিক ভাবে দেখভালের সমস্যা দূর করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্যান্সারের নানা উপসর্গের বিষয়ে সচেতন করেন। কী কী সমস্যা হলে দেরি না করে দ্রত ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত তা নিয়েও নিয়ম করে সচেতন করা হয়ে থাকে। তবে একটি বিশেষ দিন থাকলে তাকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে একসঙ্গে সামগ্রিক ভাবে সচেতনতা ও সতর্কতার প্রসার করা যায়। ক্যান্সার এবং তার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সবস্তরের লোকজন, রোগী-রোগীর পরিবার, চিকিৎসক, সাপোর্ট গ্রুপ, প্রশাসন- সবাইকে নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই দিনটি পালিত হয়।

যেসব কারণে ক্যান্সার হয় তার ঝুঁকিগুলোর মধ্যে- ধূমপান, পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া, সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু অন্যতম।

যদিও ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে, কিন্তু সেই সাথে ক্যান্সার থেকে আরোগ্য পাওয়া লোকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে ক্যান্সার সনাক্তকরণে পারদর্শীতা বৃদ্ধি এবং নতুন নতুন চিকিৎসার আবির্ভাব যা পূর্বে ছিল না। বর্তমান সময়ে শুরুতেই যদি ক্যান্সার সনাক্ত করা যায় তাহলে সেটি খুব সহজেই সফলভাবে চিকিৎসা করা যায়।

বর্তমানে মানুষের মধ্যে পাওয়া ক্যান্সারের ৪০% এরও বেশি নিরাময়যোগ্য এবং আক্রান্ত রোগীর বেঁচে যাওয়ার সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বিগত দশক ধরে ক্যান্সার নিয়ে পড়াশোনা এবং একে বোঝার ফলস্বরূপ সম্ভবত এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন সম্ভাবনারও জন্ম দিয়েছে। ক্যান্সার নির্ণয়, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি দেখা যায় তা রোগীদের ক্যান্সারের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বোচ্চ আস্থা দেয়।

ঠিক কোন কারণে ক্যান্সারের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সকলে তা বোঝা কঠিন। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যান্ত ঘুমের অভাব এই সবের সঙ্গে অধিক পরিমাণ রেস্তোরাঁর খাবার- এই সবে অভ্যস্ত বর্তমান প্রজন্ম। এখন প্রায় কেউই শরীর চর্চার জন্য সময় বের করতে পারেন না। তেমনই বাড়ির রান্নার বদলে দোকানে খাবারে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর সঙ্গে ধূমপান ও মদ্যপান তো আছেই। আর এই সব খারাপ অভ্যেসের প্রভাব পড়ছে আমাদের শরীরে। সে কারণেই বয়স ৩০-র কোটায় পা দিলেই শরীরে বাঁধছে একের পর এক রোগ। ডায়বেটিস, প্রেসার, কোলেস্টেরল, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তেমনই দেখা দিচ্ছে ক্যান্সার। এই রোগ থেকে বাঁচতে চাইলে সবার আগে সুস্থ জীবনযাপন করুন। সঙ্গে সর্বদা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বিশেষ পরীক্ষা দ্বারাই রোগ নির্নয় করা সম্ভব। তাই সঠিক সময় রোগ ধরা পড়লে তার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

তাই ক্যান্সার প্রতিরোধে সর্বপ্রথম সচেতন থাকাটা খুব জরুরি। নিয়মিত সুস্থ জীবনযাপন  ক্যান্সার প্রতিরিধে অন্যতম হাতিয়ার।

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৪ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৪ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব ক্যান্সার দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৩৮ – কত্থক ঘরানার ভারতীয় নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ নামে সুপরিচিত ব্রিজমোহন মিশ্র।

১৮৭১ – ফ্রেডরিক এবের্ট‌, জার্মান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, জার্মানির প্রথম রাষ্ট্রপতি।

 

১৮৯১ – এম. এ. আয়েঙ্গার, ভারতীয় আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, লোকসভার ২য় স্পিকার।

১৯০২ – চার্লস লিন্ডবার্গ, আমেরিকান পাইলট ও অভিযাত্রী।

 

১৯১৭ – ইয়াহিয়া খান, পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ও সামরিক শাসক ছিলেন।

 

১৯১৮ – বাঙালি ঔপন্যাসিক কবি প্রাবন্ধিক ও ছোটগল্প কার নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।

১৯২১ – লতফি জাদেহ, ইরানী ও আজারবাইজানী বংশোদ্ভূত মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী।

 

১৯২২ – ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী ভারত-রত্ন পণ্ডিত ভীমসেন জোশী।

১৯২৫ – জনপ্রিয় বাঙালি সাহিত্যিক চিত্তরঞ্জন মাইতি।

 

১৯৩৬ – ফজল শাহাবুদ্দীন, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি।

 

১৯৪০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ওয়েলশ পদার্থবিজ্ঞানী ও অধ্যাপক ব্রায়ান ডেভিড জোসেফসন।

১৯৪০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনা বংশোদ্ভূত ফরাসি লেখক ও নাট্যকার গাও শিংশিয়ান।

 

১৯৪৩ – কেন থম্পসন, আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও প্রোগ্রামার, বি প্রোগ্রামিং ভাষার সহ-স্থপতি।

১৯৪৫ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও অধ্যাপক রিচার্ড রয়েস শ্রক।

 

১৯৭৪ – ঊর্মিলা মাতন্ডকর, ভারতীয় অভিনেত্রী।

১৯৭৭ – মেক্সিকান অভিনেত্রী ও গায়ক ইরান কাস্টিলো।

১৯৮২ – ইংরেজ ফুটবল খেলোয়াড় রিচার্ড লোগান।

১৯৮৬ – মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, বাংলাদেশি ক্রিকেটার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

৬৩৪ – দাসিনের যুদ্ধ: মুসলিমরা গাজার নিকটে বাইজেন্টাইনদের পরাজিত করে।

১৬২৮ – সম্রাট শাহজাহান আনুষ্ঠানিকভাবে আগ্রার সিংহাসনে বসেন।

১৭৮৩ – ইতালিতে ভূমিকম্পে ৩০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।

১৭৮৩ – যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মধ্যে বৈরিতার অবসান ঘটে।

১৭৮৯ – জর্জ ওয়াশিংটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।

১৭৯২ – যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর টিপু সুলতান অর্ধেক মহীশুর ইংরেজদের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

১৭৯৪ – ফরাসি আইনসভা দাসপ্রথা বিলুপ্ত করে। ১৮০২ সালে ফরাসি ওয়েস্ট ইন্ডিজে তা পুনরায় চালু হয়।

১৭৯৭ – ইকুয়েডরে ভূমিকম্পে ৪০ হাজার লোক মৃত্যুবরণ করে।

১৮০১ – জন মার্শাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন।

১৮৯৯ – যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের বিদ্রোহের সূচনা ঘটে।

১৯০৪ – রুশ-জাপান যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯১৫ – জার্মানির বিরুদ্ধে ব্রিটেনে নৌ অবরোধ ঘোষণা করে।

১৯১৬ – তুরস্কের যুবরাজ ইউসুফ ইজেদিন আততায়ীর হাতে নিহত হন।

১৯২২ – বাংলার গভর্নর-জেনারেল রোনাল্ডসে কলকাতার “স্কুল অফ ট্রপিক্যাল ডিজিজেস”-এর দ্বারোদ্‌ঘাটন করেন।

১৯৪৫ – যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট, বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী উইস্টন চার্চিল এবং সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিন রাশিয়ার ইয়েল্টা নগরীতে বৈঠক করেছিলেন।

১৯৪৮ – সিংহল (পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কা নামকরণ হয়) স্বাধীন হয়।

১৯৪৯ – নির্মাণের ১৭৬ বছর পর কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গের দরজা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

১৯৫২ – রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ধর্মঘট।

১৯৬৯ – ইয়াসির আরাফাত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান হন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটেন, পশ্চিম জার্মানি, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও ইসরায়েলসহ দশটি দেশ।

১৯৭২ – বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফ্লাইট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করে।

১৯৭৫ – যশোরের নির্বাচিত সাংসদ মাইনুদ্দিন মিঞাজী আততায়ীর গুলিতে নিহত হন।

১৯৯৫ – গ্রোজনিতে চেচেন বিদ্রোহীরা প্রথম রাশিয়ার জঙ্গি বিমান ভূপাতিত করে।

১৯৯৭ – ইসরাইলে ভয়াবহ সামরিক বিমান দুর্ঘটনায় ৭৩ সৈন্য নিহত হয়।

১৯৯৮ – আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে সাড়ে ৪ সহস্রাধিক নিহত হয়।

২০০৪ – সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক চালু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

২১১ – সেপ্টিমিয়াস সেভেরাস, রোমান সম্রাট।

৭০৮ – পোপ সিসিন্নিয়াস।

১৮৭১ – ইমাম শামিল (জন্ম.১৭৯৭) ককেশাস প্রতিরোধ আন্দোলনের মহান নেতা।

১৯১২ – মনোমোহন বসু, বাঙালি কবি, নাট্যকার ও হিন্দুমেলার সংগঠক।

১৯২৮ – নোবেল বিজয়ী ওলন্দাজ পদার্থবিজ্ঞানী হেন্ড্রিক আন্টোন লোরেন্ৎস।

১৯৩৯ – এডওয়ার্ড স্যাপির, মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯৪১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি দার্শনিক ও অধ্যাপক অঁরি-লুই বর্গসাঁ।

১৯৬০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আলজেরিয়ার বংশোদ্ভূত ফরাসি দার্শনিক, লেখক ও নাট্যকার আলবেয়ার কামু।

১৯৬১ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ ও অধ্যাপক এরভিন শ্রোডিঙার।

 

১৯৭৪ – সত্যেন্দ্রনাথ বসু (সত্যেন বোস), আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী।

 

১৯৭৪ – বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অনাদিকুমার ঘোষদস্তিদার।

১৯৮৩ – ক্যারেন কার্পে‌ন্টার, আমেরিকান গায়ক ও ড্রামার।

 

১৯৯০ – মৈত্রেয়ী দেবী, ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯৯৩ – একজন বাঙালি কবি, অনুবাদক, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক, শিক্ষাবিদ সানাউল হক।

১৯৯৭ – চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য আজিজুর রহমান মল্লিক।

 

১৯৯৮ – রবি ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র কৌতুকাভিনেতা।

২০০০ – কার্ল আলবার্ট, আমেরিকান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ৫৪তম স্পিকার।

 

২০০১ – প্রখ্যাত ভারতীয় ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়।

২০০৮ – স্টিফেন মেলের, পোলিশ রাজনীতিবিদ, পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০০৯ – অস্ট্রিয়ান কবি, নাট্যকার ও লেখক গেরট জনকে।

২০১২ – ইংরেজ অভিনেতা হ্যারি ফওলের।

২০১৩ – আমেরিকান অভিনেতা টনি লিপ।

 

২০২৩ – বাণী জয়রাম, প্রখ্যাত ভারতীয় গায়িকা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
গল্প প্রবন্ধ

হারিয়ে যাওয়া নব্বইয়ের শৈশব ও ডিসেম্বরের দিনগুলো : বব চৌধুরী।

শৈশবের ফেলে আসা দিনগুলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে মধুর সময়। শৈশবকালে মাথায় চেপে বসে থাকে না কোনো চিন্তাভাবনা; শুধু খুশি, আনন্দ আর হুল্লোড়ের মধ্য দিয়ে সমগ্র ছোটবেলা কখন অতিবাহিত হয়ে কৈশোর পেরিয়ে আমরা যৌবনে প্রবেশ করি, তা বুঝতে পারি না। বুঝতে যখন পারি, তখন সেই সারল্যমাখা দিনগুলো হারিয়ে গেছে মহাকালের গভীরে।
শৈশবের একেকটা দিন আমাদের জীবনে একেকটা জাদুঘর হয়ে থাকে যে জাদুঘরে জমে থাকে হাজারো স্মৃতি।
সন্ধ্যা হতেই ঘরে ফিরে পড়তে বসা, হারিকেনের আলোতে অথবা কুপি জ্বালিয়ে রাতে একসঙ্গে মেঝে বসে খাবার খাওয়া। শৈশবের সেই নানুবাড়ির দিনগুলো; সেই ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, এক টাকা ও দুই টাকার গল্প; সেই শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে খেজুরের রস খাওয়া সেই লুকোচুরি খেলা।🧡 দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দেব বলে। সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম পূর্ণিমার রাতে চাঁদের সঙ্গে হাঁটতাম আর বলতাম, চাঁদও আমাদের সঙ্গে হাঁটছে। স্কুলে যাওয়ার সময় সবাই একসঙ্গে দৌড়ে যেতাম। ক্লাসে কলম–কলম খেলা, খাতায় ক্রিকেট খেলা, চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ খেলা। এক টাকার রঙিন বা নারকেলি আইসক্রিম, চার পিস চকলেট, হাওয়াই মিঠাই খেতে না পারলে মন খারাপ হয়ে যেত। হঠাৎ আকাশপথে হেলিকপ্টার গেলে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। শুক্রবার সন্ধ্যার পর আলিফ লায়লা, সিন্দবাদ, রবিনহুড ও ম্যাকগাইভার দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করা। ফলের বিচি খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম, পেটের ভেতর গাছ হবে কি না; মাথায় মাথায় ধাক্কা লাগলে শিং গজানোর ভয়ে আবার নিজের ইচ্ছায় ধাক্কা দিতাম; আমাদের কারও দাঁত পড়লে ইঁদুরের গর্তে দাঁতটা দিয়ে আসতাম, নাহলে আমাদের দাঁত গজাবে না। কেউ বসে থাকলে তার মাথার ওপর দিয়ে ঝাঁপ দিতাম, যাতে সে আর লম্বা হতে না পারে। বিকেলে কুতকুত, কানামাছি ও গোল্লাছুট না খেললে বিকেলটা যেন মাটি হয়ে যেত।মারবেল, লুডু না খেললে কি হয়!রাতে ঘরের কোণে বাঁশবাগানে অথবা আমগাছের ডালে বসে থাকা হুতোম প্যাঁচার ডাক যেন এখনো কানে ভেসে ওঠে। আহা, ডাক শুনে ভয়ে কতই–না মাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যেতাম॥ কি করে ভুলে যাই সেই ডিসেম্বর মাসের কথা॥ এ ছাড়া সঙ্গে ছিল আমাদের কালার ফুল ডিসেম্বর যে ডিসেম্বর পাওয়ার আশায় আমাদের অপেক্ষা করতে হতো দীর্ঘ ১১ মাস। বার্ষিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হতো আমাদের ডিসেম্বর। বার্ষিক পরীক্ষার শেষ দিন আমরা ছিলাম পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ ছিল না কোনো জীবনের চাওয়া, না পাওয়ার হিসাব ছিল না কোনো পিছুটান। দুরন্তপনায় ছুটতাম ডিসেম্বরের শেষের দিনগুলো; হিসাব ছিল শুধু একটাই, বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট আর জানুয়ারির ১ তারিখে নতুন বইয়ের ছোঁয়া পাওয়ার।
পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরতেই দৌড় দিতাম খেলার মাঠে; কোদাল, পিঁড়ি, কাঠি নিয়ে উইকেট বানাতাম। সবার কাছ থেকে টাকা তুলে বল আর স্কচটেপ কিনতাম। সকাল গড়িয়ে দুপুর, দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা, খেলার মধ্যেই ডুবে থাকতাম। কখনো ভাত খেতে দুপুরে বাড়িতে যাওয়া হতো, কখনো যাওয়া হতো না।সন্ধ্যার পর আবার আমরা বেরিয়ে পড়তাম। তীব্র শীতে রাত জেগে আগুনের পাশে বসে মা-চাচিদের ধান সেদ্ধ করা দেখা এক অন্যরকম অনুভূতি। চারদিকে খড়ের স্তূপ আর তার মধ্যে লুকোচুরি খেলা ছিল অন্যতম। কখনো কখনো কম্বলের নিচে লুকিয়ে গল্পের বই পড়া হতো। আবার কখনো খড় জ্বালিয়ে আগুন পোহাতাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্যাডমিন্টন, গোল্লাছুট, বউচি খেলে ঘরে ফিরতে হতো। একটু দেরি হলে বকা শুনতাম।আমাদের সেই ডিসেম্বরের দিনগুলো এখন হারিয়ে গেছে। এখন ডিসেম্বরেও ক্লাস থাকে, পরীক্ষা থাকে, থাকে অ্যাসাইনমেন্ট ও প্রেজেন্টেশনের ডেডলাইন, থাকে অফিস। জীবনের প্রয়োজনে ব্যস্ত হয়েছে সবাই। এখন আমাদের ডিসেম্বরের সকালগুলো কাটে ঘুমে, ক্লাসে অথবা অফিসে। এখন আর ঘুম থেকে উঠে আমরা আম্মুর হাতের শীতকালীন পিঠা খেতে পারি না এমনকি এখন সকালে উঠে আম্মুকে দেখি না। বিকেলগুলোতে আমরা আগের মতো মাঠে যেতে পারি না, যেতে হয় প্রাইভেটে। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত আমরা চার দেয়ালে কাটিয়ে দিই। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা, ছুটছি তো ছুটছি।
সময়ের পরিক্রমায় পার হয়ে গেছে আমাদের শৈশব। ব্যস্ততা বেড়েছে গ্রাম এখন নগরায়ণ হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে হারিয়ে গেছে সেই আলোবিহীন শৈশব, হারিয়ে গেছে সেই ডিসেম্বরের দিনগুলো! এখনকার প্রজন্মের কাছে নব্বইয়ের শৈশব হয়তো রূপকথার গল্প মনে হবে। সেই দিনগুলি আমাদের পাড়ার বন্ধু গুলো এক সঙ্গে অনেক সবাই কাটিয়েছে কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই তাদের সাথে কোন যোগাযোগ নেই কোথায় কে হারিয়ে গেছে কেউ জানে না॥ হয়তো কেউ কোনো একদিন কাজের ব্যস্ততার ফাঁকে ডিসেম্বরের কোনো এক বিকেলে অফিসের বারান্দায় বসে কফির চুমুতে লেখাটি পড়তে পড়তে হারিয়ে যাবে তার সেই ছেলেবেলায়, সেই হারিয়ে যাওয়া।শৈশবে সে মুহূর্তে নস্টালজিক হয়ে হয়তো দীর্ঘশ্বাস ফেলে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের দুটি লাইন আক্ষেপে বলে উঠব দিন গুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি। আমরা প্রায় সকলেই একমত যে ছাত্রজীবন বা স্কুল লাইফ হল জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। সাংসারিক জটিলতাও জীবনের বাস্তবিক খুঁটিনাটি থেকে চিন্তামুক্ত চিত্ত এই ছাত্রজীবন । স্নিগ্ধ বাতাসের মতোই নির্মল এই ছাত্রর জীবন।স্কুল লাইফ বা ছাত্রজীবনে কাটানো সময়গুলো তাই প্রায় অধিকাংশ মানুষের কাছেই সবথেকে আনন্দঘন মুহূর্ত সময় সাথে সাথেচাস্ত ভাই মামাতো ফুপাতো ভাই সবাই যার যার জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে সবাইকে যার যার নিজ নিজ সাংসারিক জীবন নিয়ে অনেক ব্যস্ত হয়ে তবে এখনকার জীবনটা অনেক ভিন্ন রকম কিছু স্কুলের বন্ধু এখনো বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে তার মধ্যে দুজনের নাম স্মরণ করতে পারি একজন হল আবুল হোসেন এর জন্য শহিদুল ইসলাম এখনো আমার সাথে তাদের যোগাযোগ আছে প্রতিনিয়ত কথা হয় আবুলের সাথে বছর কয়েকের মধ্যে কয়েকবার দেখা হয়েছে কিন্তু ছোট শহিদুল ইসলামের সাথে দেখা হয়নি। লেখাটি শেষ করব হেমন্ত দার গানের দুটো লাইন দিয়ে ভাবছিলাম শুধু ভাবছিলাম ভাবনার হাতে ভর দিয়ে ভাবনা গুলো কাছে নিয়ে আমি ভাবছিলাম শুধু ভাবছিলাম॥

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী – অতীন্দ্রনাথ বসু।

ভূমিকা—-

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে এমন ই এক বাঙালি বিপ্লবী ছিলেন অতীন্দ্রনাথ বসু।

 

পরিবার—

 

অতীন্দ্রনাথ বসু ১৮৭৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার জোড়াবাগানের বসু পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম অপূর্বকৃষ্ণ বসু।অতীন্দ্রনাথের পুত্র উত্তর কলকাতার নেতৃস্থানীয় অমর বসু পিতার সকল কাজে যুক্ত ছিলেন।

 

কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন—-

 

অতীন্দ্রনাথ নিজে একজন কুস্তিগীর ছিলেন। ময়মনসিংহের রাজা জগৎকিশোর আচার্য চৌধুরী ছিলেন তার শিক্ষাগুরু। সিমলা ব্যায়াম সমিতির প্রাঙ্গনে ভারতীয় প্রথায় কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন তিনিই প্রথম করেছিলেন।

 

স্বদেশী মেলার আয়োজন—-

 

অতীন্দ্রনাথ বসু যুবকদের দেহে ও মনে শক্তিমান করে তোলার উদ্দেশ্যে সিমলা ব্যায়াম সমিতি।

 

বিপ্লবী কর্মকান্ড—-

 

যুগান্তর বিপ্লবী দলের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ছিলেন অতীন্দ্রনাথ বসু । তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে কয়েকবার কারাবরণ করেছিলেন, পাশাপাশি তাঁকে ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে পরবর্তী পাঁচবছর ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী কেন্দ্র পরিচালনার অপরাধে নির্বাসনদণ্ড ভোগ করতে হয়।১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজ সরকার সিমলা ব্যায়াম সমিতিকে শরীরচর্চার আড়ালে বিপ্লবী তৈরির আখড়া সন্দেহ করে এটিকে বেআইনি বলে ঘোষণা করে। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত, ডাঃ জে. এম. দাশগুপ্ত প্রভৃতি নেতৃবর্গ সিমলা ব্যায়াম সমিতির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

 

বিদ্যালয় স্থাপন—

 

তিনি রবীন্দ্রনাথের পরামর্শে ‘মহেশালয়’ নামের একটি বিদ্যালয় স্থাপনা করেছিলেন। ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘ভারত ভান্ডার’ নামের একটি সংস্থা তৈরি করেন।

অতীন্দ্রনাথ যুবকদের দেহে ও মনে শক্তিমান করে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা এপ্রিল সিমলা ব্যায়াম সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

দুর্গা পূজা ও স্বদেশী মেলার আয়োজন—

 

১৯২৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সার্বজনীন দুর্গা পূজার প্রচলন করেন যাতে দেশের মানুষ বিভেদ ভুলে একত্রে উৎসবে মেতে উঠতে পারে। এই পূজা প্রাঙ্গনে স্বদেশী মেলারও আয়োজন হত। অতীন্দ্রনাথ যুবকদের দেহে ও মনে শক্তিমান করে তোলার উদ্দেশ্যে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দের ২রা এপ্রিল সিমলা ব্যায়াম সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

মৃত্যু—

মহান এই বিপ্লবী ১৯৬৫ সালের ১০ জুন মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু আজও তিনি স্মরনীয় হয়ে রয়েছেন তাঁর কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায়, বাংলা সাহিত্যের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক।

প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক।

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ধাত্রীগ্রামের মাতুলালয়ে ১৮৭৩ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার গুরাপ গ্রামে।  ১৮৮৮ সালে, প্রভাতকুমার জামালপুর হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং পাটনা কলেজ থেকে F.A এবং B.A পাস করেন ১৮৯৫ সালে। তিনি ১৯০১ খ্রিস্টাব্দে আইন পড়ার জন্য বিদেশে যান এবং ব্যারিস্টারি পাস করে ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে আসেন।

উল্লেখযোগ্য রচনাকর্ম——

 

গল্প সংকলন :—

 

১) ‘নবকথা’ (১৮৯৯)

২) ‘ষোড়শী’ (১৯০৬)

৩) ‘দেশী ও বিলাতী'(১৯০৯)

৪) ‘গল্পাঞ্জলি’ (১৯১৩)

৫) ‘গল্পবীথি’ (১৯১৬)

৬) ‘পত্রপুষ্প'(১৯১৭)

৭) ‘গহনার বাক্স ও অন্যান্য গল্প'(১৯২১)

৮) ‘হতাশ প্রেমিক ও অন্যান্য গল্প’ (১৯২৪)

৯) ‘বিলাসিনী ও অন্যান্য গল্প'(১৯২৬)

১০) ‘যুবকের প্রেম ও অন্যান্য গল্প'(১৯২৮)

১১) ‘নতুন বউ ও অন্যান্য গল্প'(১৯২৯)

১২) ‘জামাতা বাবাজী ও অন্যান্য গল্প'(১৯৩১)

 

উপন্যাস সমূহ :—

 

১) ‘রমাসুন্দরী'(১৯০৮)

২) ‘নবীন সন্ন্যাসী'(১৯১২)

৩) ‘রত্নদীপ’ (১৯১৫)

৪)’ জীবনের মূল্য'(১৯১৭)

৫)’সিন্দুর কৌটা'(১৯১৯)

৬) ‘মনের মানুষ'(১৯২২)

৭) ‘আরতি’ (১৯২৪)

৮) ‘সত্যবালা ‘(১৯২৫)

৯) ‘সুখের মিলন'(১৯২৭)

১০)’সতীর পতি'(১৯২৮)

১১)’প্রতিমা'(১৯২৯)

১২) ‘বিদায় বাণী'(১৯৩৩)

১৩)’গরীব স্বামী'(১৯৩৮)

১৪) ‘নবদুর্গা'(১৯৩৮)

 

অন্যান্য গ্রন্থ :—

 

‘অভিশাপ'(ব্যঙ্গকাব্য)

 

মৃত্যু——-

 

কথাসাহিত্যিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ৫ই এপ্রিল ১৯৩২ সালে ৫৯ বছর বয়সে মারা যান।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ঊর্মিলা দেবী, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের অব্যর্থ পরিশ্রম যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত রাজনৈতিক দিক থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে ঊর্মিলা দেবী  প্রথমসারির একজন অন্যতম বিপ্লবী ছিলেন।ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু শহীদ ভগৎ সিং-এর মতই নয় বরং শক্তিশালী নারীদের দ্বারা প্রশস্ত হয়েছিল যারা তাদের মাটিতে দাঁড়িয়েছিল এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য ব্রিটিশদের সাথে লড়াই করেছিল।  ঊর্মিলা দেবী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা ছিলেন তিনি। ঊর্মিলা দেবী ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।

 

জন্ম ও পরিবার—-

 

১৮৮৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের তেলিরবাগ গ্রামে উর্মিলা দেবী জন্মগ্রহণ করেন।  তাঁর পিতার নাম ভুবনমোহন দাস এবং মাতার নাম নিস্তারিণী দেবী।  স্বামীর নাম অনন্তনারায়ণ সেন। উর্মিলা দেবী ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের বোন।  পিতামহের আদর্শে প্রভাবিত হয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন।

 

রাজনৈতিক জীবন—–

 

দেশবন্ধুর অনুপ্রেরণায় তিনি নারীদের মধ্যে কাজের বিকাশ ঘটান।  ১৯২১ সালে, তিনি ‘নারী-কর্মমন্দির’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, যার লক্ষ্য ছিল চরকা ও খদ্দরকে জনপ্রিয় করা এবং দেশপ্রেম জাগানো।  ঊর্মিলা দেবী ১৯৩২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে আইন অমান্যকারী প্রথম তিনজন মহিলার একজন। তিনি কলকাতা ‘নারী সত্যাগ্রহ সমিতি’র সভাপতি ছিলেন।

 

সাহিত্যকর্ম——

 

সে সময় নারায়ণ পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তার প্রকাশিত সাহিত্যগ্রন্থ পুষ্পহার। মহাত্মা গান্ধী, সরোজিনী নাইডু প্রমুখের স্মৃতিকথাও রচনা করেছেন ।

 

মৃত্যু——

 

ঊর্মিলা দেবী মে ১৯৫৬ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৩ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৩ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) প্রবীণ দিবস (থাইল্যান্ড)
(খ) শহীদ দিবস (সাওটোম ও প্রিন্সিপে)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮০৯ – জার্মানীর বিখ্যাত সুরস্রষ্টা এবং সংগীতবিদ ফিলিক্স মেনডেলসন বার্থোলডি।

 

১৮৭৩ – অতীন্দ্রনাথ বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী বাঙালি বিপ্লবী।

 

১৮৭৩ – প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

 

১৮৮৩ – ঊর্মিলা দেবী, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী নেত্রী ও লেখিকা।

 

১৮৮৩ – চিত্রশিল্পী নন্দলাল বসু।

 

১৯০৯ – ভারতীয় মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুহাসিনী গঙ্গোপাধ্যায়।

 

১৯৩৬ – বব সিম্পসন, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার ও কোচ।

১৯৬০ – ইওয়াখিম ল্যোভ, জার্মান ফুটবলার ও ম্যানেজার।

১৯৬৩ – রঘুরাম রাজন, ভারতীয় অর্থনীতিবিদ ও আকাদেমিক ব্যক্তিত্ব।

 

১৯৬৬ – ড্যানি মরিসন, নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার ও ক্রীড়া ভাষ্যকার।

 

১৯৭৬ – ইসলা ফিশার, ওমানী-অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৩০ – লন্ডন সম্মেলনে ফ্রান্স, রাশিয়া ও ব্রিটেনের তত্ত্বাবধানে গ্রিস স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৮৫৫ – লর্ড ডালহৌসি হাওড়া-বর্ধমান রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

১৯১৩ – বুলগেরিয়া-তুরস্ক যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯১৭ – যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন।

১৯১৯ – লীগ অব নেশনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত।

১৯২৫ – অবিভক্ত ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালু হয়।

১৯২৭ – হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ ও পাঁচকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বসুমতী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯২৮ – সাইমন কমিশন ভারতে এলে গণবিৰোভ ও ধর্মঘট শুরু হয়।

১৯৩০ – ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হয়।

১৯৩১ – নিউজিল্যান্ডের হকস উপসাগরে ভূমিকম্পে ২৫৬ জন নিহত।

১৯৪৩ – কলকাতা ও হাওড়ার সংযোগকারী রবীন্দ্র সেতু সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

১৯৪৫ – মিত্রশক্তির এক হাজার বোমারু বিমান দিনের আলোয় বার্লিনে বোমাবর্ষণ করে।

১৯৬৬ – সোভিয়েত যান লুনা-এ চাঁদে পৌঁছে এবং টিভিতে ছবি প্রেরণ করে।

১৯৬৯ – মোজাম্বিক ন্যাশনাল লিবারশন ফ্রন্টের প্রেসিডেন্ট ড: এদুয়ার্দো মোন্ডলেন তাঞ্জানিয়ায় টাইম বোমায় নিহত হয়।

১৯৬৯ – ইয়াসির আরাফাতকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনিত করা হয়।

১৯৭৭ – রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইথিপিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান জেনারেল তারাফি বান্টি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত।

১৯৭৯ – শাহ শাসনের বিরুদ্ধে ইরানের জনগণের সংগ্রাম আরো তীব্রতর হয়ে উঠে।

১৯৮৯ – প্যারাগুয়েতে সামরিক অভ্যত্থান ঘটে।

১৯৯৬ – চীনের লিজিয়াংয়ে ভূমিকম্পে ২১০ জন নিহত হয়।

১৯৯৭ – বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কলকাতা পুস্তকমেলা ভষ্মীভূত হয়।

২০০৭ – বাগদাদে একটি মার্কেটে বোমা বিস্ফোরণে ১৩৫ জন নিহত ও ৩৩৯ জন আহত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৪৬৮ – মুদ্রণ শিল্পের জার্মান পুরোধা ইওহান গুটেনবার্গ।

 

১৯২৪ – উড্রো উইল্‌সন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৩৫ – ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বিপ্লবী (ফাঁসি হয়েছিল)।

 

১৯৬৫ – ফুটবল জাদুকর আবদুস সামাদ।

 

১৯৭৬ – বিপ্লবী ও কৃষক নেতা জিতেন ঘোষ।

 

২০০০ – ওস্তাদ আল্লারাখা, বিখ্যাত ভারতীয় তবলা বাদক।

 

২০১২ – ভারতীয় চলচিত্রকার, রাইটার রাজ কানওয়ারা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০২ ফেব্রুয়ারী, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০২ ফেব্রুয়ারী । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক)  বিশ্ব জলাভূমি দিবস।

(খ) জাতীয় জনসংখ্যা দিবস (বাংলাদেশ)।

(গ) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস (বাংলাদেশ)।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১২০৮ – আরাগনের প্রথম জেমস, বার্সেলোনার কাউন্ট, আরাগণের রাজা, ভ্যালেন্সিয়ার রাজা ও ম্যাজোর্কার রাজা, মন্টপিলার-এর লর্ড।

১৬৫০ – পোপ ত্রয়োদশ বেনেডিক্ট।

 

১৮৮২ – জেমস জয়েস, আইরিশ ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক ও কবি।

 

১৮৮৬ – উইলিয়াম রোজ বেনেট, মার্কিন কবি ও লেখক।

১৮৮৯ – রাজকুমারী বিবিজী অমৃত কাউর, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী ও রাজনীতিক।

১৯১৫ – আবা ইবান, দক্ষিণ আফ্রিকান-ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও কূটনৈতিক, জাতিসংঘে ইসরায়েলের প্রথম রাষ্ট্রদূত।

১৯১৫ – খুশবন্ত সিং, ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক।

১৯১৮ – কিরণশঙ্কর সেনগুপ্ত, বিশিষ্ট বাঙালি কবি।

১৯৩১ – পূর্ণেন্দু পত্রী বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, শিশুসাহিত্যিক, সাহিত্য গবেষক, কলকাতা গবেষক, চিত্র-পরিচালক ও প্রচ্ছদশিল্পী।

১৯৩৩ – থান শি, বার্মিজ জেনারেল ও রাজনীতিবিদ, মায়ানমারের ৮ম প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯৩৬ – সুমিতা দেবী, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

১৯৩৯ – (ক) ডেল টমাস মর্টেনসেন, মার্কিন অর্থনীতিবিদ ও অধিবিদ্যাবিৎ, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

 

(খ) হাসান আজিজুল হক, বাংলাদেশী গল্পকার ও কথাসাহিত্যিক।

১৯৪৪ – বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী মো. আলী সিদ্দীকী জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৫২ – পার্ক গিউন-হাই, দক্ষিণ কোরীয় রাজনীতিবিদ, দক্ষিণ কোরিয়ার ১১ম প্রধানমন্ত্রী।

১৯৫২ – রালফ মার্কেল, মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও অধিবিদ্যাবিৎ।

 

১৯৫৩ – হামিদুর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত।

 

১৯৫৪ – ক্রিস্টি ব্রিংকলি, মার্কিন অভিনেত্রী, মডেল ও ব্যবসায়ী।

১৯৫৬ – আদনান ওকতার, তুর্কি তাত্ত্বিক ও লেখক।

১৯৫৬ – আ ফ ম খালিদ হোসেন, বাংলাদেশি ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক, লেখক ও তাত্ত্বিক আলোচক।

১৯৬৮ – আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বাংলাদেশী ক্রিকেট খেলোয়াড়।

 

১৯৭৭ – শাকিরা, কলম্বিয়ান গায়িকা-গীতিকার, প্রযোজক ও অভিনেত্রী।

১৯৮৬ – জেমা আর্টাট্রন, ইংরেজ অভিনেত্রী ও গায়িকা।

১৯৮৭ – হেরার্দ পিকে, স্পেনীয় ফুটবলার।

১৯৮৭ – ইমরুল কায়েস, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার।

১৯৯২- নেইমার জুনিআর ব্রাজিল।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮১৪ – কলকাতায় ভারতীয় সংগ্রহালয় (ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম) প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮১৭ – শিক্ষা ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে চার্চ মিশনারি সোসাইটির প্রথম শাখাটি কলকাতায় স্থাপিত হয়।

১৮৫৩ – শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে সরকারি উকিল নিযুক্ত হন।

১৮৬২ – শম্ভুনাথ পণ্ডিত প্রথম বাঙালি হিসেবে কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন।

১৮৮৮ – খান বাহাদুর হাশেম আলি খান, বাঙালি রাজনীতিবিদ।

১৯০১ – রাণী ভিক্টোরিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া।

১৯১৩ – নিউ ইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনাল চালু হয়।

১৯২০ – নিউইর্য়ক শহরে গ্রান্ড সেন্ট্রাল টারমিনাল উদ্বোধন হয়।

১৯২২ – জেমস জয়েসের উপন্যাস ইউলিসিস প্রকাশিত হয়।

১৯৩৫ – যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে প্রথম স্বাক্ষী ও প্রমাণ হিসেবে ফটোগ্রাফকে অনুমোদন করা হয়।

১৯৪৩ – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: স্টালিনগ্রাদের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। সোভিয়েতের কাছে জার্মান সেনারা আত্মসমর্পণ করে।

১৯৫৭ – ইসকান্দার মির্জা গুড্ডু ব্যারেজের ভিত্তি স্থাপন করেন।

১৯৫৯ – শিশিরকুমার ভাদুড়ী কর্তৃক ভারত সরকার প্রদত্ত “পদ্মভূষণ” সম্মান প্রত্যাখ্যান।

১৯৮৯ – সত্যজিৎ রায়কে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ সম্মান “লিজিয়ন ডি অনার” প্রদান।

২০০৪ – দুইশত ৩৭ সপ্তাহ ধরে টেনিসে এক নম্বর র‌্যাংকিং ধরে রাখার রেকর্ড অর্জন করেন সুইস টেনিস তারকা রজার ফেদারার।

২০১২ – পাপুয়া নিউগিনির সমুদ্রতীরে ফেরি এমভি রাবাউল কুইন ডুবে দেড়শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৪৪৮ – ইবনে হাজার আল-আসকালানি, মিশরীয় আইনবিদ ও পণ্ডিত।

১৭১৪ – জন শার্প, ইংরেজ আর্চবিশপ।

১৭৬৯ – পোপ ত্রয়োদশ ক্লেমেন্ট।

১৮০৪ – জর্জ ওয়ালটন, আমেরিকান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ, জর্জিয়ার গভর্নর।

১৯০৭ – দিমিত্রি মেন্ডেলেভ, রুশ রসায়নবিদ ও একাডেমিক।

 

১৯৩৬ – বিপিনবিহারী গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক ও সমালোচক।

১৯৬৪ – সৈয়দ আবদুস সামাদ, বাঙালি ফুটবলার।

 

১৯৭০ – বারট্রান্ড রাসেল, ইংরেজ গণিতজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, দার্শনিক, লেখক এবং নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক।

 

১৯৮০ – উইলিয়াম এইচ. স্টেইন, ১৯৭২ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন প্রাণরসায়নবিদ।

 

১৯৮৮ – বাঙালি চিত্রশিল্পী বাংলাদেশের পটুয়া কামরুল হাসান।

 

২০০৬ – মিজানুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজকুমারী বিবিজী অমৃত কাউর – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

রাজকুমারী বিবিজি অমৃত কৌর আহলুওয়ালিয়া ছিলেন ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন কর্মী যিনি স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
তিনি নারী অধিকারের জন্য তার ওকালতি সহ তার মেয়াদে আনা সংস্কারের জন্য ব্যাপকভাবে স্মরণীয়।
এই নিবন্ধটি IAS পরীক্ষার প্রসঙ্গে রাজকুমারী অমৃত কৌর সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেবে।

অমৃত কৌর ১৮৮৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লখনউতে জন্মগ্রহণ করেন।  তার বাবা ছিলেন কাপুরথালার মহারাজার ছোট ছেলে।  অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার সময় তার প্রাথমিক শিক্ষা ইংল্যান্ডের ডরসেটের শেরবোর্ন স্কুল ফর গার্লস-এ হয়েছিল।  তার শিক্ষা সমাপ্তির পর, তিনি ১৯১৮ সালে ভারতে ফিরে আসেন।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে রাজকুমারী আমরি কৌরের প্রচেষ্টা শুরু হয় যখন তিনি ইংল্যান্ড থেকে ফিরে আসেন।  তার বাবা গোপাল কৃষ্ণ গোখলের মতো স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।  তিনি ১৯১৯ সালে মুম্বাইতে মহাত্মা গান্ধীর সাথে দেখা করেছিলেন। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এবং শিক্ষার মধ্যে অনেক সাধারণ ভিত্তি খুঁজে পেয়ে তিনি ১৬ বছর ধরে তাঁর সচিব হিসাবে কাজ করবেন।

 

রাজকুমারী অমৃত কৌর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশ শাসনের একজন সোচ্চার সমালোচক হয়ে ওঠেন।  তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন, সামাজিক সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করার সাথে সাথে স্বাধীনতা সংগ্রামের সক্রিয় সদস্য হন।  তিনি সক্রিয়ভাবে দেবদাসী প্রথা এবং বাল্যবিবাহ প্রথার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান।
অমৃত কৌর ছিলেন অল ইন্ডিয়া উইমেনস কনফারেন্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা যা ১৯২৭ সালে মহিলাদের প্রতি আরও ভাল আচরণের পক্ষে কথা বলেছিল। ১৯৩০ সালে এখানে ডান্ডি মার্চ এ অংশগ্রহণের পর তিনি ব্রিটিশদের দ্বারা গ্রেফতার হন। তার মুক্তির পর, তিনি একটি কঠোর জীবনযাপন করতে শুরু করেন  ১৯৩৪ সালে মহাত্মা গান্ধীর আশ্রমে, তার মহৎ পটভূমি থাকা সত্ত্বেও।
রাজকুমারী অমৃত কৌরকে ঔপনিবেশিক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসাবে মনোনীত করেছিলেন।  যাইহোক, তিনি ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে বোর্ড ছেড়ে দেন। আন্দোলনে তার অংশগ্রহণের ফলে তাকে কারাবরণ করা হয়।
অমৃত কৌর সর্বজনীন ভোটাধিকারের জন্য চাপ দেন।  এই লক্ষ্যে, তিনি ভারতীয় ভোটাধিকার এবং সাংবিধানিক সংস্কার সংক্রান্ত লোথিয়ান কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অমৃত কৌর যথাক্রমে ১৯৪৫ এবং ১৯৪৬ সালে লন্ডন এবং প্যারিসে ইউনেস্কো কনফারেন্সে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের একজন অংশ ছিলেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

জীবন বদলে দেওয়া সারদা মায়ের কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি।

সারদা মায়ের এমনই কয়েকটি বিখ্যাত উক্তি আজ জেনে নেব আমরা।

 

* ‘মনটাকে বসিয়ে আলগা না দিয়ে কাজ করা ঢের ভাল। মন আলগা হলেই যত গোল বাধায়।’

 

* ‘দয়া যার শরীরে নাই, সে কি মানুষ? সে তো পশু। আমি কখনও কখনও দয়ায় আত্মহারা হয়ে যাই, ভুলে যাই যে আমি কে।’

 

* ‘একশো জনকে খাওয়াতে হবে না, কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।’

 

* ‘যেমন ফুল নাড়তে নাড়তে ঘ্রাণ বের হয়, চন্দন ঘষতে ঘষতে সুগদ্ধ বের হয়, তেমনই ভগবত্‍ তত্ত্বের আলোচনা করতে করতে তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়।’

 

* ‘ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে পারে ক’জনে? নিন্দা ঠাট্টা করতে পারে সব্বাই, কিন্তু কী করে যে তাকে ভালো করতে হবে, তা বলতে পারে ক’জনে?’

 

* ‘কাজ করা চাই বইকি, কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়, তবে নিষ্কাম ভাব আসে। একদণ্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়।’

 

* ‘কর্মফল ভুগতে হবেই। তবে ঈশ্বরের নাম করলে যেখানে ফাল সেঁধুত, সেখানে সুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডণ হয়। যেমন সুরথ রাজা লক্ষ বলি দিয়ে দেবীর আরাধনা করেছিল বলে লক্ষ পাঁঠায় মিলে তাঁকে এক কোপে কাটলে। তার আর পৃথক লক্ষ বার জন্ম নিতে হল না। দেবীর আরাধনা করেছিল কিনা। ভগবানের নামে কমে যায়।’

 

* ‘কত সৌভাগ্য, মা এই জন্ম, খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না-খাটলে কি কিছু হয়? সংসারে কাজকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This