Categories
রিভিউ

আজ ২৫ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৫ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) গণহত্যা দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১২৫৯ – বাইজান্টাইন সম্রাট আন্ড্রনিকস দ্বিতীয় পালাইওলগস।

১২৯৭ – বাইজান্টাইন আন্ড্রনিকস তৃতীয় পালাইওলগস সম্রাট।

১৮৫৭ – মহাকবি কায়কোবাদ।

১৮৮১ – হাঙ্গেরীয় পিয়ানোবাদক ও সুরকার বেলা বারটোক।

১৯০৬ – ইংরেজ ইতিহাসবিদ ও সাংবাদিক অ্যালান জন পার্সিভাল টেইলর।

১৯০৮ – ডেভিড লিন, ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার।

১৯১৪ – নরম্যান বোরলাউগ, আমেরিকান কৃষি বিজ্ঞানী, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী।

১৯১৯ – সুবোধকুমার চক্রবর্তী,রবীন্দ্র পুরস্কার প্রাপ্ত ভ্রমণকাহিনী লেখক।

১৯২০ – ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক পল স্কট।

১৯২১ – সিমন সিনিয়রে, ফরাসি অভিনেত্রী।

১৯২৪ – জাপানি অভিনেত্রী মাচিকো কিও।

১৯২৫ – গুণময় মান্না বাঙালি ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক।

১৯৪৭ – স্যার এলটন জন, ইংরেজ গায়ক, গীতিকার ও পিয়ানো বাদক।

১৯৪৮ – ভারতের অন্যতম চলচ্চিত্র অভিনেতা ও টেলিভিশন উপস্থাপক ফারুক শেখ।

১৯৬২ – আমেরিকান অভিনেত্রী মার্শা ক্রস।

১৯৬৫ – আমেরিকান অভিনেত্রী, গায়ক ও প্রযোজক সারাহ জেসিকা পার্কার।

১৯৭৬ – ইউক্রেনীয় মুষ্টিযোদ্ধা ওলাডিমির ক্লিটসচক।

১৯৮৭ – নাইজেরিয়ান ফুটবলার ভিক্টর অবিনা।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫০৫ – দেশে ফ্রানসিসকো দি আলমেইদা বাইশটি নৌযানের বহর নিয়ে ভারতে শক্তি সংহত করার জন্য পর্তুগাল থেকে যাত্রা করেন।

১৫৭০ – পোপ পঞ্চম পায়াম কর্তৃক ব্রিটেনের রানী প্রথম এলিজাবেথ ধর্মচ্যুত হন।

১৫৮৬ – সম্রাট আকবরের সভাকবি বীরবল নিহত হন।

১৬৩৪ – মেরিল্যান্ডে প্রথম বসতি স্থাপনকারীদের আগমন ঘটে।

১৮০৭ – ব্রিটিশ পার্লামেন্ট দাসপ্রথা বিলোপ করে।

১৮৪৩ – টেমস নদীর বিখ্যাত সুড়ঙ্গ খোলা হয়।

১৮৬২ – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কাগজের মুদ্রা চালু হয়।

১৮৯৫ – ইতালীয় বাহিনী আবিসিনিয়া (ইথিওপিয়া) দখল করে নেয়।

১৮৯৬ – আধুনিক অলিম্পিক ক্রীড়ার প্রথম স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

১৮৯৮ – ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করায় স্বামী বিবেকানন্দ মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেলকে দীক্ষান্তে নিবেদিতা নামকরণ করেন।

১৯৫৭ – যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বিভাগ অশোভন বক্তব্যের অভিযোগ এনে অ্যালেন গিন্সবার্গের কবিতার কপি বাজেয়াপ্ত করে।

১৯৬১ – ব্রিটিশদের কাছ থেকে কুয়েত স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৯ – পাকিস্তানের একনায়ক আইয়ুব খান ক্ষমতাচ্যুত হন এবং ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে নতুন সামরিক শাসন জারি হয়।

১৯৭১ – পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশে বাঙালির উপর আক্রমণ শুরু করে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।

১৯৭১ – শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক গোবিন্দচন্দ্র দেব পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জ্যামাইকা।

১৯৭৫ – সৌদি আরবের বাদশাহ ফয়সাল বিন আবদুল আজিজ তার ভ্রাতুস্পুত্র ফয়সাল বিন মুসাইদের গুলিতে রিয়াদের রাজপ্রাসাদে নিহত হন।

১৯৮৬ – গণঅভ্যুত্থানে বিশ বছরের অধিক ক্ষমতাসীন শাসক ফিলিপিনের মার্কোসের পতন ঘটে।

১৯৯৪ – হেবরনের ইস্রাহিম মসজিদে উগ্রপন্থী ইসরাইলিরা সেজদারত মুসল্লিদের ওপর গুলি চালালে ৬৩ জন নিহত এবং প্রায় ৫শ’ জন আহত হয়।

২০০১ – মিশরের রাজধানী কায়রোতে ডি-৮-এর তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬২৫ – ইতালীয় কবি ও লেখক গিয়াম্বাটিস্টা মেরিনো।

১৭৫৪ – একজন ইংরেজ কবি উইলিয়াম হ্যামিলটন।

১৮০১ – জার্মান কবি ও লেখক নোভালিশ।

১৯১৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি কবি ও সাহিত্যিক ফ্রেডেরিক মিস্ত্রাল।

১৯৫৫ – ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা মোহিনী দেবী।

১৯৭৩ – লুক্সেমবার্গ বংশোদ্ভূত আমেরিকান ফটোগ্রাফার, চিত্রকর ও কিউরেটর এডওয়ার্ড স্টেইচেন।

১৯৭৫ – কিং ফয়সাল বিল আব্দুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশা।

১৯৭৬ – জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিত্রশিল্পী ও শিক্ষাবিদ জোসেফ আলবেরস।

২০১২ – ইতালীয় লেখক ও শিক্ষাবিদ আন্তোনিও এন্টোনিও টাবুচি।

২০২০ – নিমাই ঘোষ, ভারতীয় বাঙালি আলোকচিত্রী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

প্রতি বছর ২৪ মার্চ যক্ষ্মা  দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ডা. রবার্ট কক, যক্ষ্মা রোগের জীবাণু মাইক্রোব্যাটেরিয়াম টিউবারকিউলসিস আবিষ্কার করেন। যক্ষ্মা রোগের জীবাণু আবিষ্কারের ১০০ বছর পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, জীবাণু আবিষ্কারের দিনটিকে স্মরণীয় করা ও যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর ২৪ মার্চ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস পালিত হচ্ছে।

 

যক্ষ্মা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির জন্য একটি দিন উৎসর্গ করা গুরুত্বপূর্ণ । কারণ এটি একটি পুরানো রোগ বলে মনে হলেও, বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ এখনও এটিতে ভুগছে।

২০১৬ সালে, প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ টিবিতে সংক্রমিত হয়েছিল, সারা বিশ্বে ২ বিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১.৭ মিলিয়নের টিবি-জনিত রোগে মৃত্যু হয়েছিল। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বের যক্ষ্মা সংক্রান্ত রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে ভারত।বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মার প্রকোপ দূর করতে যক্ষ্মা দিবস  সচেতনতা সৃষ্টির সুযোগ আনে। এ দিবস  যক্ষ্মা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করে। সাম্প্রতিক সময়ে যক্ষ্মার সংক্রমণ ও যক্ষ্মারোগে মৃত্যুর ঘটনা প্রশংসনীয় হারে কমে এসেছে। ১৯৯০ সালের পর যক্ষ্মা রোগে নিহতের সংখ্যা ৪০ ভাগ কমে এসেছে। এখনও কমছে। দ্রুত যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও উপযুক্ত চিকিৎসার কারণে যক্ষ্মার প্রকোপ কমে আসছে। তবে এখনও যক্ষ্মা সারা বিশ্বের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

 

যক্ষ্মা বা যক্ষা (টিউবার্‌কিউলোসিস্‌ বা টিবি) একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস  নামের জীবাণু। “যক্ষ্মা” শব্দটা এসেছে “রাজক্ষয়” থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন । যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশী দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশি হত।

একটি আশঙ্কাজনক তথ্য হচ্ছে, বিশ্বের ৪ ভাগের ১ ভাগ মানুষের শরীরে যক্ষ্মা রোগের জীবানু সুপ্ত থাকে। তার মানে হল ওই মানুষগুলো জীবানুতে আক্রান্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা অসুস্থ হননি। এই আক্রান্তদের ৫-১৫ % শতাংশ  সারা জীবন ধরেই রোগের শিকার হবার আশঙ্কা থেকে যায়।

 

 

কারণ—

ডায়াবেটিসের রোগীদের মধ্যে যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে; ক্যান্সারও যক্ষ্মার অন্যতম কারণ; শরীরের কোনও অংশ ট্রান্সপ্লান্টের পর যে সমস্ত ওষুধ খাওয়া হয়, তার কারণেও যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়; পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এই রোগের অন্যতম কারণ; যক্ষ্মা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই রোগ হতে পারে; অধিক ধূমপান ও মাদকাসক্তিও যক্ষ্মার আর একটি কারণ।

 

লক্ষণ—

ফুসফুসে যক্ষ্মা হলে হাল্কা জ্বর ও কাশি হতে পারে। কাশির সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে। মুখ না ঢেকে কাশলে যক্ষ্মা সংক্রমণিত থুতুর ফোঁটা বাতাসে ছড়ায়। আলো-বাতাসহীন অস্বাস্থ্যকর বদ্ধ পরিবেশে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম অনেকক্ষণ বেঁচে থাকে।
সাধারনত তিন সপ্তাহের বেশি কাশি, জ্বর, কাশির সাথে কফ এবং মাঝে মাঝে রক্ত বের হওয়া, ওজন কমে যাওয়া, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ। যারা এইচ আইভি আক্রান্ত, অপুষ্টিতে ভোগে, ডায়বেটিস রয়েছে, অথবা যক্ষ্মা রোগীর সংস্পর্শে আসলে,তাদের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে বেশি। থুতু নমুনা অণুবীক্ষণ যন্ত্র  দ্বারা যক্ষ্মার জীবানু রয়েছে কিনা, পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া এক্সরে দ্বারা, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়েও পরীক্ষা করা হয়।

নিরাময়ের কিছু ঘরোয়া উপচার—

কয়েকটি বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় সঠিক পদক্ষেপ করা। চিকিৎসা না-করিয়ে ফেলে রাখলে এই রোগ উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি পায়। সে ক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যা যক্ষ্মা ধরা পড়ার প্রথম দিকে মেনে চললে, লাভ পাওয়া যেতে পারে।

রোজ সকালে দু-তিন কোয়া রসুন চিবিয়ে খান। এমন করলে যক্ষ্মার লক্ষণ কমে, মধু ও মাখন শরীরের ক্ষয় আটকায়; ১০০ গ্রাম মাখনে ২৫ গ্রাম মধু মিশিয়ে রোজ খান; খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গের গুড়োয় মধু মিশিয়ে খেলে সুফল পেতে পারেন; ২৫০ গ্রাম দুধে অশ্বত্থ পাতা দিয়ে ফোটান; সকাল-সন্ধে সেই দুধ পান করুন;কলা যক্ষ্মা রোগীদের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে; রসুনের রসের সঙ্গে আধ চামচ মধু মিশিয়ে খান,  রসুনের রস ফুসফুসকে মজবুত করে; যক্ষ্মা রুগীরা প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ গ্রাম আঙুর খান।

 

 

যক্ষ্মা সম্পর্কে কিছু তথ্য—

 

অনেকেই জানেন না যে, যক্ষ্মা একটি নিরাময়যোগ্য রোগ। যা বছরের পর বছর ধরে সনাক্ত করা যায় না অনেক সময়। যা রোগীর জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ২০১১ সালে সারা পৃথিবীতে প্রায় ৮৭ লাখ মানুষ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৪ লাখ। ৯৫ ভাগ মৃত্যু ঘটেছে গরিব ‍ও মধ্যআয়ের দেশসমূহে। গরিব শ্রেণির লোকেরা যক্ষ্মায় বেশি আক্রান্ত হয়েছে। তবে বায়ুবাহিত এ রোগ সব শ্রেণির মানুষের জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ।

১৫-৪৪ বছর বয়সি নারীদের মৃত্যুর প্রধান তিনটি কারণের একটি যক্ষ্মা। ২০১১ সালে প্রায় পাঁচ লাখ শিশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার।

চাই যক্ষ্মামুক্ত জীবন ২০১২-১৩ সাল ছিল যক্ষ্মাবিরোধী দ্বিবার্ষিক ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল গোটা পৃথিবীতে। ওই দু’ বছর দিবসটি পালনের জন্য ‘যক্ষ্মা মুক্ত জীবন চাই’কে স্লোগান হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

তাই প্রতি বছর যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ওয়েবপেজ।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৪ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৪ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৪১ – নবাব ওয়াকার-উল-মুলক মৌলভী, নিখিল ভারত মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।

 

১৮৬৩ – খ্যাতনামা আইনবিদ, রাজনীতিবিদ লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহ ।

১৮৭৪ – বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনি।

১৮৮৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ ও রসায়নবিদ পিটার জোসেফ উইলিয়াম ডিবাই।

১৯০৩ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ আডল্ফ ফ্রিড্রিশ ইয়োহান বুটেনান্ডট।

 

১৯০৯ – বাঙালি কবি নিশিকান্ত রায় চৌধুরী।

১৯১৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ প্রাণরসায়নী জন কেন্ড্রেও।

 

১৯২৫ – কাজী নূরুজ্জামান, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার।

১৯২৬ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক, সুরকার ও নাট্যকার ডারিও ফো।

 

১৯৩০ – আমেরিকান অভিনেতা স্টিভ ম্যাকুইন।

১৯৩৩ – অরুণকুমার বসু, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও কালজয়ী বাংলা গানের স্রষ্টা।

১৯৪৪ – সার্বীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রধানমন্ত্রী ভজিস্লাভ কস্টুনিকা।

১৯৪৯ – শ্রীলংকান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী রনীল শ্রীয়ান বিক্রমাসিংহে।

 

১৯৬০ – জার্মান গায়ক, গীতিকার এবং অভিনেত্রী নেনা।

১৯৬১ – ডিন জোন্স, সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

১৯৬৫ – দ্য আন্ডারটেকার, মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির।

১৯৭৩ – আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক জিম পারসন্স।

১৯৭৭ – জেসিকা চ্যাস্টেইন, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।

 

১৯৭৯ – গ্রেম সোয়ান, ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার।

১৯৮৭ – সাকিব আল-হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অল-রাউন্ডার।

 

১৯৮৭ – ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রামিরেস।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩০৭ – আলাউদ্দিন খিলজির সেনাপতি মালিক কাফুর দেবগিরি দুর্গ দখল করেন।

১৩৫১: ফিরোজ শাহ তুঘলক দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।

১৭৯৩: চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা ঘোষিত হয়।

১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়।

১৯০২ – বাংলায় অনুশীলন সমিতি গঠিত হয়।

১৯১৮ – জার্মান বাহিনী সোমে নদী অতিক্রম করে।

১৯৩৩ – এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন।

১৯৪০ – শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক উত্থাপিত লাহোর প্রস্তাব মুসলিম লীগের সভায় গৃহীত হয়।

১৯৪৬ – লর্ড লরেঞ্জের নেতৃত্বে ব্রিটিশ কেবিনেট মিশন ভারতে আসে।

১৯৪৮ – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষা উর্দুর পক্ষে ভাষণ দিয়ে ছাত্রদের প্রতিবাদের সম্মুখীন হন।

১৯৫৬ – পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়।

১৯৭৭ – যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা সরাসরি আলোচনা শুরু করে।

১৯৮২ – বাংলাদেশে জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন।

১৯৯৯ – ন্যাটো যুগোশ্লাভিয়ার সার্বিয় সেনা অবস্থানের উপর বোমা বর্ষণ শুরু করে।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬০৩ – প্রথম এলিজাবেথ, ইংল্যান্ডের রানী।

১৭৭০ – আশরাফ আলি খান (নবাব)

 

১৭৭৬ – ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসন।

১৮৮২ – একজন মার্কিন হেনরি ওয়েডসওরর্থ লংফেলো।

 

১৮৯৯ – বিলি বার্নস, পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯০৪ – একজন ইংরেজ কবি এডউইন আর্নল্ড।

 

১৯০৫ – জুল ভার্ন, ফরাসি লেখক।

১৯৪৬ – রাশিয়ান দাবাড়ু আলেকসান্দর আলেখিন।

১৯৫০ – ব্রিটিশ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড ল্যাস্কির।

১৯৭১ – রেডিসন ব্লু রয়েল হোটেল ও আর্ফস সিটি হলের পরিকল্পক আর্নি জাকবসেন।

২০০২ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আর্জেন্টিনার প্রাণরসায়নী সিজার মিলস্টেইন।

 

২০০৫ – ভি বালসারা ভারতীয় সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী।

২০১০ – রন হামেন্স, অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

২০১৩ – নিউজিল্যান্ড লেখক বারবারা অ্যান্ডারসন।

২০২০ – বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যবসা সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র অন্যতম প্রযোজক, প্রখ্যাত নির্মাতা মতিউর রহমান পানু।

 

২০২২ – বাঙালি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে বিশিষ্ট বাঙালি কবি – নিশিকান্ত রায় চৌধুরী।

নিশিকান্ত রায়চৌধুরী ছিলেন একজন বাঙালি কবি।  কবি ১৯০৯ সালের ২৪ মার্চ বর্তমান বাংলাদেশের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির বরিশাল জেলার উজিরপুর গ্রামে তাঁর মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।  বাবা বিজয়শঙ্কর রায়চৌধুরী ছিলেন একজন আইনজীবী এবং মা সৌদামিনী দেবী।  তাদের পৈতৃক নিবাস ছিল বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার শিবটি গ্রামে।  নিশিকান্তের জীবনের প্রথম পর্ব কেটেছে শান্তিনিকেতনে, দ্বিতীয় পর্যায় পন্ডিচেরিতে শ্রী অরবিন্দের আশ্রমে।  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্যে সিউড়ির বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন এবং শান্তিনিকেতনের কলাভবনে কবি প্রথম শিক্ষা লাভ করেন।  রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ‘চাঁদকবি’ বলে ডাকেন।  তাঁর পিতামহ কবি সুধাকান্ত রায় চৌধুরী ছিলেন রবীন্দ্রনাথের সচিব।  অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নন্দলাল বসুর কাছ থেকে শিল্প শিক্ষা লাভ করেন।  অবনীন্দ্রনাথ তাঁকে ডাকতেন ‘ মাই আর্টিস্ট’।  অকৃতদার নিশিকান্ত ১৯৩৪ সালে পন্ডিচেরির শ্রী অরবিন্দ আশ্রমে চলে আসেন এবং সেখানে বসবাস করতেন।

তিনি শ্রী অরবিন্দের আশ্রমে আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি কাব্যচর্চা করতেন।  ঋষি অরবিন্দ নিশিকান্ত ও তাঁর কবিতার প্রতি খুব পছন্দ করতেন।  অরবিন্দের দৃষ্টিতে, নিশিকান্ত ছিলেন তাঁর “প্রেরণার ব্রাহ্মণ পুত্র”।  ১৯৩৯ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অলকানন্দা’ প্রকাশিত হয়।  সংস্কৃত শব্দের ব্যবহার, বর্ণাঢ্যতা ও চিত্রকল্প তাঁর কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য।

 

 

তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল –

ভোরের পাখি, দিনের সূর্য, বৈজয়ন্তী, বন্দে মাতরম, নবদীপন, দিগন্ত, পঁচিশ প্রদীপ। তার কবিতা ইংরাজীতে অনূদিত হয়ে “ড্রিম ক্যাডেন্স” নামে প্রকাশিত হয়। তাঁর কয়েকটি কবিতা ইংরাজীতে অনুবাদ করেন শ্রীঅরবিন্দ নিজেও।

 

কবি ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২০ শে মে মৃত্যুবরণ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর উত্তর সিকিমের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি অদ্ভুত গ্রাম – লাচুং।

লাচুং, ভারতের উত্তর সিকিমের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একটি অদ্ভুত গ্রাম, ৯৬০০ ফুট উচ্চতায় গর্বিতভাবে দাঁড়িয়ে আছে, যা পর্যটকদের প্রকৃতির কোলে নির্মল পালানোর প্রস্তাব দেয়। শ্বাসরুদ্ধকর নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বৈশিষ্ট্যযুক্ত এই গ্রামটি সিকিমের রুক্ষ ভূখণ্ডের মধ্যে একটি বিস্ময়। গ্যাংটক থেকে লাচুং পর্যন্ত যাত্রাটি নিজেই একটি দুঃসাহসিক কাজ, যেখানে প্রতিটি মোড়ে প্রকৃতির মহিমা ফুটে ওঠে, যা এর দর্শকদের কাছে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়।

একটি দর্শনীয় যাত্রা শুরু—

লাচুং যাওয়ার রাস্তাটি প্রকৃতির প্রাণবন্ত রঙে আঁকা একটি ক্যানভাস। ভ্রমণকারীরা যখন ঘূর্ণায়মান পথ দিয়ে হেঁটে বেড়ায়, তারা আকাশে চুম্বন করার জন্য ছুঁয়ে আসা সুউচ্চ পাইন, ফার এবং বিভিন্ন ধরণের রডোডেনড্রনের বিস্ময়কর দৃশ্য দ্বারা স্বাগত জানায়। তিস্তা নদী, তার উপনদী লাচুং এবং লাচেন সহ, যাত্রায় একটি সুরেলা ছন্দ যোগ করে, এই পাহাড়ি গ্রামের শান্ত পরিবেশকে বাড়িয়ে তোলে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আচ্ছন্ন একটি গ্রাম—

লাচুং, এর কম জনসংখ্যা এবং ঘন বন, প্রকৃতির গ্যালারিতে একটি মাস্টারপিস সেট বলে মনে হয়। এই মনোরম গ্রামটি কেবল শান্তির সন্ধানকারীদের জন্য নয় বরং এর লুকানো ধন অন্বেষণ করতে আগ্রহী অভিযাত্রীদের জন্যও একটি আশ্রয়স্থল। স্থানীয় গালিচা বুনন কেন্দ্র এবং রহস্যময় গুহাগুলি আবিষ্কৃত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা সাংস্কৃতিক রত্নগুলির মধ্যে মাত্র কয়েকটি, যা গ্রামের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের আভাস দেয়।

ইউমথাং উপত্যকার প্রবেশদ্বার—

লাচুং-এ একটি বিশ্রামের রাতের পর, যাত্রা শুধুমাত্র ২৩ কিমি দূরে মনোমুগ্ধকর ইয়ুমথাং উপত্যকার দিকে চলতে থাকে। ১১৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত, ইয়ুমথাং উপত্যকা ঋতুর সাথে রূপান্তরিত হয়, শীতকালে একটি মুগ্ধকারী সাদা তুষারস্কেপ থেকে উষ্ণ মাসগুলিতে প্রবাহিত নীল নদীর দ্বারা বিছিয়ে সবুজের একটি সবুজ কার্পেটে। উপত্যকার প্রবেশদ্বারে একটি উষ্ণ প্রস্রবণের উপস্থিতি দর্শনার্থীদের জন্য একটি প্রাকৃতিক ট্রিট।

ইয়ুমথাং এর বাইরে অন্বেষণ—-

দু: সাহসিক কাজ Yumthang উপত্যকায় শেষ হয় না; ভ্রমণকারীরা ইউমেসামডং বা জিরো পয়েন্টে যেতে পারেন, ২৩ কিমি দূরে একটি শ্বাসরুদ্ধকর লোকেল। চীনা সীমান্তের নিকটবর্তীতা প্রবেশাধিকারকে সীমিত করে, তবে এই ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় ভ্রমণটি অতুলনীয় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পুরস্কৃত হয়। লাচুং থেকে আরেকটি পথ ২৪ কিমি দূরে একটি বরফের রাজ্য কাতাওতে নিয়ে যায়, স্থানীয় ড্রাইভার এবং ট্যুর এজেন্টদের দ্বারা সাজানো বিশেষ পারমিটের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য।

মৌসুমি জাঁকজমক এবং অ্যাক্সেসযোগ্যতা—-

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লাচুং এর তুষারময় ল্যান্ডস্কেপ এবং আবার এপ্রিল-মে মাসে যখন ‘ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারস’ ইয়ুমথাং উপত্যকায় রডোডেনড্রন, প্রাইমুলা এবং অন্যান্য ফুলে ফুল ফোটে। সবুজ উপত্যকা এবং নীল নদী, তুষার-ঢাকা পাহাড়ের বিপরীতে স্থাপন করা, সারা বছর দর্শকদের কাছে টানতে থাকে। গ্যাংটক থেকে লাচুং পর্যন্ত ভ্রমণ বিভিন্ন প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে উপভোগ করা যেতে পারে, যা একটি নির্বিঘ্ন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

গ্যাংটক থেকে যাত্রা—

ভ্রমণকারীরা ২ রাত এবং ৩ দিন বা ৩ রাত এবং ৪ দিন স্থায়ী প্যাকেজ ট্যুরের মাধ্যমে গ্যাংটক থেকে লাচুং তাদের যাত্রা শুরু করতে পারে। এই প্যাকেজগুলি, ইউমথাং উপত্যকায় পরিদর্শনকে সামঞ্জস্যপূর্ণ, একটি সর্ব-সমেত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে, মূল্য যথেষ্ট। যাত্রাটি সাধারণত লাচুং জিপ স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়, এমজি মার্গ থেকে নামমাত্র ভাড়া দিয়ে, সমস্ত অভিযাত্রীদের জন্য অ্যাক্সেসযোগ্যতা নিশ্চিত করে।

লাচুং-এ থাকার ব্যবস্থা—-

লাচুং-এ থাকার ব্যবস্থা ট্যুর প্যাকেজের মধ্যেই দেওয়া হয়, আরামদায়ক থাকার জন্য হোটেলের বিকল্পগুলির একটি পরিসর দেওয়া হয়। লাচুং-এর নির্মল রাত শুধুমাত্র বিশ্রামেরই প্রতিশ্রুতি দেয় না বরং তারার আলোর নিচে গ্রামের শান্ত পরিবেশে এক নিমগ্ন অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয়।

উত্তর সিকিম অভিযাত্রীদের জন্য ভ্রমণ টিপস—-

লাচুং সহ উত্তর সিকিমে ভ্রমণকারী যাত্রীদের গ্যাংটক থেকে পারমিট সুরক্ষিত করতে হবে, যা যথাযথ ডকুমেন্টেশন সহ সহজেই পাওয়া যেতে পারে। উপযুক্ত ওষুধ দিয়ে উচ্চতার জন্য প্রস্তুত হওয়া এবং ঝামেলা-মুক্ত পারমিট প্রক্রিয়ার জন্য স্থানীয় ট্রাভেল এজেন্টদের সাথে জড়িত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই সতর্কতা সিকিমের উত্তরের ভান্ডারের একটি মসৃণ এবং উপভোগ্য অন্বেষণ নিশ্চিত করে।

উপসংহারে, লাচুং এর প্রাকৃতিক দৃশ্য, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি এবং ইয়ুমথাং উপত্যকা এবং তার বাইরের দুঃসাহসিক পথ সহ প্রকৃতির আলিঙ্গনে একটি পালানোর প্রস্তাব দেয়। এই গ্রামটি, তার আশেপাশের বিস্ময় সহ, সিকিমের রুক্ষ ভূখণ্ডে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যের প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে, যা বিশ্বজুড়ে ভ্রমণকারীদের ইঙ্গিত করে। প্রশান্তি বা দুঃসাহসিকতার সন্ধান করা হোক না কেন, লাচুং এবং এর পরিবেশগুলি এমন অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দেয় যা শ্বাসরুদ্ধকর হিসাবে স্মরণীয়।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

প্রেম এবং স্থাপত্যের মহিমার সূক্ষ্মতার প্রতীক তাজমহল – অজও পৃথিবীর মানুষের কাছে বিস্ময়কর 

তাজমহল, আগ্রায় অবস্থিত, ১৭ শতকের স্মারক প্রেম এবং স্থাপত্যের মহিমার সূক্ষ্মতার প্রতীক। মুঘল সার্বভৌমত্বের যুগে কল্পনা করা এই প্রতীকী কাঠামোটি মুঘল স্থাপত্যের ঐশ্বর্য এবং নান্দনিক আবেদনের একটি প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে। শাহজাহানের তত্ত্বাবধানে নির্মিত, স্মৃতিস্তম্ভটি তার লালিত সহধর্মিণী মমতাজ মহলের জন্য একটি সমাধি হিসেবে কাজ করে, যা তার স্থাপত্য অনুগ্রহের মাধ্যমে তার সৌন্দর্য এবং শাহজাহানের স্নেহের গভীরতাকে মূর্ত করে। বিশ্বের সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে একটি হিসাবে স্বীকৃত, তাজমহল তার সাদা মার্বেল নির্মাণ, চারপাশের সবুজ পরিবেশ এবং ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসাবে এর মর্যাদার জন্য পালিত হয়।

ভালোবাসার জন্য একটি স্থাপত্য

তাজমহল নামটি, ফার্সি থেকে উদ্ভূত, “প্রাসাদের মুকুট”-এ অনুবাদ করা হয়েছে, যা এই স্থাপত্য বিস্ময়ের জন্য উপযুক্ত উপাখ্যান। আনুমানিক 22,000 কারিগরদের দ্বারা নির্মিত, সমাধিটি পূর্ব, পশ্চিম এবং দক্ষিণে তিনটি মহিমান্বিত দরজা দিয়ে প্রবেশযোগ্য। বিল্ডিং প্রক্রিয়াটি প্রায় 17 বছর ধরে বিস্তৃত ছিল, বার্ষিক প্রচুর দর্শকদের আমন্ত্রণ জানায়। ফেব্রুয়ারি মাসটি তাজ মহোৎসবের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, একটি শিল্প ও সংস্কৃতি উৎসব, যা 18 থেকে 27 তারিখ পর্যন্ত ভারতীয় ঐতিহ্যের উদযাপনের সাথে স্মৃতিস্তম্ভের আবেদনকে বাড়িয়ে তোলে। যমুনা নদীর ধারে অবস্থিত, স্মৃতিস্তম্ভের অবস্থানটি এর নির্মলতা এবং লোভকে আরও প্রশস্ত করে, এটি যেকোন ব্যক্তির জন্য অবশ্যই একটি দর্শনীয় গন্তব্য করে তোলে।

মিশ্রন স্থাপত্য ঐতিহ্য

তাজমহলের নকশাটি পারস্য, ইসলামিক এবং ভারতীয় স্থাপত্য উপাদানগুলির একটি সুরেলা সংমিশ্রণ, যার চারপাশে তিন দিকে সুরক্ষিত প্রাচীর রয়েছে এবং চতুর্থ দিকে যমুনা নদী রয়েছে। রাজস্থান থেকে প্রাপ্ত সেরা সাদা মার্বেল থেকে তৈরি, কাঠামোটি এক হাজারেরও বেশি রত্নপাথর দিয়ে জটিলভাবে সজ্জিত। এর বর্গাকার আকৃতির উঁচু প্লিন্থ, স্বতন্ত্র মিনার, খিলানযুক্ত প্রবেশপথ এবং বিশাল গম্বুজ স্থাপত্যের দক্ষতা এবং নান্দনিক সূক্ষ্মতার মিশ্রণকে প্রতিফলিত করে। মমতাজ মহল এবং শাহজাহানের সমাধিগুলি প্রাথমিক সমাধির নীচে একটি নির্জন কক্ষে বিশ্রাম করে, যা স্মৃতিস্তম্ভে অন্তরঙ্গ গাম্ভীর্যের একটি স্তর যুক্ত করে।

আইকনিক মনুমেন্ট পরিদর্শন

তাজমহল পরিদর্শনের জন্য সর্বোত্তম সময়কাল নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিস্তৃত, যা আশেপাশের সবুজ বাগানগুলি অন্বেষণ করার জন্য অনুকূল আবহাওয়া সরবরাহ করে। এই মাসগুলির বাইরে পরিদর্শন তাপ এবং আর্দ্রতার কারণে চ্যালেঞ্জগুলি উপস্থাপন করতে পারে। নয়া দিল্লি থেকে প্রায় 200 কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, স্মৃতিস্তম্ভটি যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে এবং রেলপথে আগ্রা রেলওয়ে স্টেশনের নিকটতম স্টপ হিসাবে কাজ করে সহজেই পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে, ক্যাব এবং ট্যাক্সিগুলি তাজমহলে সুবিধাজনক স্থানান্তর অফার করে, এটিকে সকলের জন্য একটি অ্যাক্সেসযোগ্য যাত্রা করে তোলে।

আপনার পরিদর্শন সর্বাধিক করা

তাজমহলে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়াতে, নিম্নলিখিত টিপসগুলি বিবেচনা করুন: ছোট সারিগুলির জন্য পূর্ব গেট দিয়ে প্রবেশ করুন, সেরা জলবায়ুর জন্য নভেম্বর এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে যান এবং আপনার টিকিটে অন্তর্ভুক্ত বিনামূল্যের জলের বোতল এবং জুতার কভারগুলি ব্যবহার করুন৷ উপরন্তু, 30 মিনিটের বিনামূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন, সহজে নেভিগেশনের জন্য গল্ফ কার্ট এবং ব্যাটারি বাস, চার্জ ছাড়াই লাগেজ রাখার জন্য ক্লোকরুম এবং নামমাত্র ফি দিয়ে একটি অডিও গাইডবুক কেনার বিকল্প। এই সুযোগ-সুবিধাগুলি বিশ্বের সবচেয়ে প্রশংসিত স্মৃতিস্তম্ভগুলির একটিতে আরামদায়ক এবং সমৃদ্ধ দর্শন নিশ্চিত করে৷

সান্নিধ্য আবিষ্কার

যদিও তাজমহল নিজেই বিশাল ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্যের একটি স্থান, আশেপাশে অন্বেষণ করার মতো আরও কয়েকটি আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আগ্রা দুর্গ, জামা মসজিদ, জাহাঙ্গীরের প্রাসাদ, মানকামেশ্বর মন্দির, চিনি-কা-রৌজা, ইতমাদ-উদ-দৌলার সমাধি এবং মেহতাব বাগ। এই সাইটগুলির প্রত্যেকটিই আগ্রার ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ ট্যাপেস্ট্রিতে অবদান রাখে, যা এই শহরটিকে ইতিহাস উত্সাহীদের এবং সংস্কৃতি সন্ধানকারীদের জন্য একইভাবে একটি ভান্ডার করে তোলে৷

উপসংহারে, তাজমহল শুধুমাত্র ভালবাসা এবং ক্ষতির একটি স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে নয় বরং স্থাপত্যের উজ্জ্বলতা এবং ঐতিহাসিক গভীরতার আলোকবর্তিকা হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। এর লোভনীয়তা সারা বিশ্ব থেকে দর্শকদের আকর্ষণ করে, এটিকে ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি প্রধান প্রতীক করে তোলে। এটি স্থাপত্যের সূক্ষ্মতা, ঐতিহাসিক তাত্পর্য, বা স্মৃতিস্তম্ভ এবং এর আশেপাশের নিছক সৌন্দর্যই হোক না কেন, তাজমহল অনুপ্রেরণা এবং শ্রদ্ধার উত্স হয়ে চলেছে। আগ্রার অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলির অন্বেষণের সাথে মিলিত এই মহিমান্বিত সমাধির একটি পরিদর্শন, ভারতের বহুতল অতীতের হৃদয়ে একটি অবিস্মরণীয় যাত্রার প্রতিশ্রুতি দেয়।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২৩ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২৩ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব আবহাওয়া দিবস ৷

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৮০ – বাসন্তী দেবী বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের এক ব্যক্তিত্ব দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সহধর্মিণী।

১৮৮১ – হাকিম হাবিবুর রহমান, ব্রিটিশ বাংলার বিশিষ্ট চিকিৎসক, লেখক, রাজনীতিবিদ।

১৯০০ – জার্মান মনোবিজ্ঞানী এরিখ ফ্রোমের।

 

১৯০২ – চারুচন্দ্র চক্রবর্তী জরাসন্ধ ছদ্মনামে খ্যাতনামা বাঙালি সাহিত্যিক ।

১৯০৪ – জোন ক্রফোর্ড, মার্কিন অভিনেত্রী।

১৯০৬ – মরিস অলম, বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার।

১৯০৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস বংশোদ্ভূত ইতালীয় ফার্মাকোলজিস্ট ড্যানিয়েল বভেট।

১৯১০ – আকিরা কুরোসাওয়া, জাপানী চলচ্চিত্র পরিচালক।

১৯১৬ – হরিনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বাঙালি সাহিত্যিক।

১৯২২ – ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার উগো টোগনাযি।

১৯৩১ – রাশিয়ান দাবাড়ু ও লেখক ভিক্টর কোরচনোই।

১৯৪২ – অস্ট্রিয়ান পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মাইকেল হানেকে।

১৯৪৭ – ওয়াসিম, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।

১৯৫২ – রেক্স টিলারসন, মার্কিন ব্যবসায়ী, প্রকৌশলী ও কূটনীতিক।

১৯৫৬ – পর্তুগিজ শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও ১১৫ তম প্রধানমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল বারোসো।

১৯৬৮ – ইংরেজ সাবেক ক্রিকেটার ও সাংবাদিক ফার্নান্দো রুইজ হিয়েরো।

১৯৭৩ – পোলিশ ফুটবলার জেরযয় ডুডেক।

 

১৯৭৬ – ভারতীয় অভিনেত্রী, প্রযোজক, রাজনীতিবিদ ও মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

১৯৭৮ – আর্জেন্টিনার ফুটবল ওয়াল্টার স্যামুয়েল।

১৯৮৫ – আশেক ইলাহী চৌধুরী আইমন (আর্টিস) বাংলাদেশী আর্ট শিল্পী

 

১৯৮৬ – কঙ্গনা রানাওয়াত, ভারতীয় অভিনেত্রী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৫১ – ফিরোজ শাহ তুঘলকের দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ।

১৬৫২ – হল্যান্ডের নৌ বাহিনীর উপর প্রচন্ড হামলা শুরু করে।

১৭৫৭ – রবার্ট ক্লাইভের চন্দননগর দখল।

১৭৯৩ – চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ব্যবস্থা ঘোষিত হয়।

১৮০১ – রাশিয়ার জার প্রথম পল নিহত।

১৯১৭ – ভাইসরয় লর্ড চেমস ফোর্ড কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা।

১৯১৮ – জামার্ন বাহিনী তাদের নব নির্মিত কামানের সাহায্যে প্যারিসের উপর গোলাবর্ষণ করে।

১৯১৮ – লিথুনিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯২০ – গভর্নর জেনারেল কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুমোদন।

১৯৩৩ – এ্যাডলফ হিটলার জার্মানীর একনায়ক হন।

১৯৪০ – আবুল কাশেম ফজলুল হক নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

১৯৫৬ – পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান গ্রহণ করা হয়।

১৯৬৬ – শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে ছয় দফা প্রস্তাব আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্থাপন করেন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় বতসোয়ানা।

১৯৭৬ – নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত (মানবাধিকার) আন্তর্জাতিক চুক্তি কার্যকর।

১৯৯৮ – রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন কর্তৃক আকস্মিকভাবে তার মন্ত্রিসভা বরখাস্ত।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮৮৭ – অ্যাংলো-আইরিশ মিশনারি সোসাইটির ধর্মযাজকেরা এবং নীল দর্পণ নাটকের ইংরাজী অনুবাদক জেমস লঙ।

১৯১০ – নাডার, ফরাসি ফটোগ্রাফার, সাংবাদিক ও লেখক।

 

১৯১১- ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ও সাহিত্যিক।

 

১৯৩১ – (ক)  ভগৎ সিং, প্রসিদ্ধ বিপ্লবী শহীদ।

 

(খ ) সুখদেব থাপর, স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী শহীদ।

 

(গ) শিবরাম রাজগুরু,ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী শহীদ।

১৯৩৫ – ফ্লোরেন্স মুর, আমেরিকান অভিনেত্রী।

 

১৯৪৮ – বৌদ্ধধর্ম ও দর্শন শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ বেনী মাধক বড়ুয়া।

১৯৫৩ – ফরাসি চিত্রশিল্পী ও অঙ্কনশিল্পী রাউল ডুফয়।

 

১৯৬৫ – ভারতীয় মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুহাসিনী গঙ্গোপাধ্যায়।

১৯৯২ – ফ্রিড্‌রিখ হায়েক, অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ।

 

১৯৯৫ – শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বাঙালি কবি ও লেখক।

 

২০০১ – প্রখ্যাত বাঙালি কবি, অনুবাদক ও ঔপন্যাসিক লোকনাথ ভট্টাচার্য।

২০০৭ – আমেরিকান গণিতবিদ ও তাত্ত্বিক পল জোসেফ কোহেন ।

 

২০০৭ – সূর্যেন্দুবিকাশ করমহাপাত্র, বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী।

২০০৮ – শহীদুল জহির, বাংলাদেশি গল্পকার ও ঔপন্যাসিক।

 

২০১১ – এলিজাবেথ টেলর, ব্রিটিশ-মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

২০১২ – সোমালিয়ার রাজনীতিবিদ ও প্রেসিডেন্ট আব্দুলাহি ইউসুফ আহমেদ।

২০১৪ – স্প্যানিশ আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১ম প্রধানমন্ত্রী অ্যাডলফ সুয়ারেজ।

২০১৫ – লি কুয়ান ইউ, আধুনিক সিঙ্গাপুরের জনক৷

 

২০১৯ – শাহনাজ রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত – বাংলা ভাষায় প্রথম বিয়োগান্তক বা ট্র্যাডেজি নাটক রচয়িতা।

যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত একজন লেখক ও গবেষক।  তিনি বাংলা ভাষায় প্রথম ট্র্যাজেডি  নাটক কীর্তিবিলাস রচনা করেন।  শিশুভারতী নামে বিখ্যাত সংকলনের সম্পাদনা তাঁর উল্লেখযোগ্য কীর্তি।  তিনি কৈইশোরক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।  তাঁর রচিত বাংলার ডাকাত বইখানি উল্লেখযোগ্য।  ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর গবেষণামূলক অবদান চিরস্মরণীয়।

 

জন্ম ও শৈশব——–

 

যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত ২২ মার্চ ১৮৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকার মূলচরের নিবাসী ছিলেন তিনি। মাতা মোক্ষদাসুন্দরী।

 

রচিত গ্রন্থ——

 

অল্পবয়সেই যোগেন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ইতিহাস ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগে তার গবেষণামূলক অবদান বিশেষভাবে স্মরণীয়। তিনি বিশ্বের ইতিহাস ২১ খণ্ডে রচনা করেছিলেন।  ১০০টিরও বেশি বই লেখেন।  তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল –

 

ধ্রুব, প্রহ্লাদ, ভীমসেন, বঙ্গের মহিলা কবি, বাংলার ডাকাত, বিক্রমপুরের ইতিহাস, কেদার রায়, কল্পকথা (ছোটগল্প), তসবীর (নাটক), হিমালয় অভিযান, কবিতা মঞ্জরী, সাহিত্যিক।

 

মৃত্যু—

 

মে, ১৯৬৫ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ২২ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ২২ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) বিশ্ব জল দিবস

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭১২ – ইংলিশ লেখক এডওয়ার্ড মূর।

 

১৮৫৭ – ফরাসি গণিতবিদ, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১৪ তম প্রেসিডেন্ট পল ডুমের।

 

১৮৬৮ – রবার্ট মিলিকান, মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

 

১৮৮৩ – যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং গবেষক।

 

১৮৯৪ – ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মাস্টারদা সূর্য সেন।

 

১৯১৮ – (ক)  অমিয়ভূষণ মজুমদার,বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

গিয়ানা রাজনীতিবিদ ও ৪র্থ প্রেসিডেন্ট চেডি জাগান।

১৯২১ – ইতালিয়ান অভিনেতা, পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার নিনো মানফ্রেডি।

 

১৯৩১ – উইলিয়াম শ্যাটনার, কানাডীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা।

১৯৩১ – বার্টন রিখটার, নোবেল বিজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪৮ – ইংরেজ পরিচালক ও সুরকার অ্যান্ড্রু লয়েড ওয়েবের।

১৯৫৫ – লাটভিয়ার চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ ও ৭ম সভাপতি ভাল্ডিস যাটলেরস।

 

১৯৭৬ – রিজ উইদারস্পুন, মার্কিন অভিনেত্রী ও চলচ্চিত্র পরিচালক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৭৩৯ – নাদির শাহ্ ভারতের দিল্লি দখল করেন এবং শহরের মূল্যবান বস্তু লুটপাট করেন।

১৭৯৩ – বাংলা ও বিহারে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।

১৮২৪ – লন্ডনে ন্যাশনাল গ্যালারি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৮৮২ – বহুগামিতা নিষিদ্ধ করে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস।

১৮৮৮ – ইংলিশ ফুটবল লীগ গঠিত হয়।

১৮৯৮ – অবিভক্ত ভারতে ফৌজদারি কার্যবিধি প্রবর্তন।

১৯০৪ – নিউইয়র্ক ইলাসট্রেটেড মিরর পত্রিকার মাধ্যমে পত্রিকায় বিশ্বের প্রথম রঙিন ছবি মুদ্রণের ঘটনা ঘটে।

১৯১২ – বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি ভেঙ্গে বিহার রাজ্য গঠিত হয়।

১৯৪২ – স্টাফোর্ড ক্রিপসের নেতৃত্বে ক্রিপস মিশন ভারতে আসে।

১৯৪৫ – কায়রো সনদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আরব লীগ গঠিত।

১৯৪৬ – জর্দানের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৪৭ – লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ভাইসরয় পদে নিযুক্ত হয়ে ভারতে আসেন।

১৯৫৭ – ভারতের রাষ্ট্রীয় পঞ্জিকা (১ লা চৈত্র,১৮৭৯) চালু হয়।

১৯৮২ – নাসার স্পেস-শাটল ‘কলম্বিয়া’ উৎক্ষেপণ করা হয় তৃতীয়বারের মতো।

১৯৮৫ – বিশ্বের ওজোন স্তর সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদন করা হয়।

২০০৪ – ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ আহমদ ইয়াসিন ইহুদিবাদী ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলায় শহীদ হন।

২০১২ – এশিয়া কাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হারে বাংলাদেশ ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৬৮৭ – ইতালীয় ফরাসি সুরকার ও কন্ডাকটর জাঁ-ব্যাপ্টিস্টে লুলয়।

১৮৩২ – ইয়োহান ভল্‌ফগাং ফন গোটে, জার্মান লেখক ও কবি।

 

১৯৫৫ – ভারতের শিল্প ও স্থাপত্যের ইতিহাসকার পার্সি ব্রাউন।

 

১৯৭৭ – কমিউনিস্ট নেতা এ কে গোপালন।

 

১৯৯৭ – পণ্ডিত প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়,প্রখ্যাত বাঙালি উচ্চাঙ্গ কণ্ঠসঙ্গীত শিল্পী।

 

২০০১ – আমেরিকান অ্যানিমেটর, পরিচালক, প্রযোজক, ভয়েস অভিনেতা ও হানা-বারবেরার সহ-প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম হানা।

২০০৪ – ফিলিস্তিনি আধ্যাত্মিক নেতা ও হামাসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদ ইসমাইল হাসান ইয়াসিন।

২০০৫ – জাপানি আর্কিটেক্ট কেনযো টাঙ্গে।

 

২০১০ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী স্কটিশ জীববিজ্ঞানী ও ফার্মাকোলজিস্ট জেমস হোয়াইট ব্ল্যাক।

২০১৩ – কিউবান বংশোদ্ভূত সুইডিশ পিয়ানোবাদক ও সুরকার বেবো ভাল্ডেস।

 

২০২২ – বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি শিক্ষাবিদ সুনন্দ সান্যাল।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
কবিতা

ভালোই আছি একলা : সোনাই পরামানিক।

আড়াবনী বাঁকুড়া
সমীরের সেই মায়া,
আজ আঁকে না কল্পনায় আল্পনা।
নিছক বস্তুর স্বাদ পেতে,
হলে অন্যের ঘরনি, বিবাহিত ললনা।
আমার হৃদয় প্রান্তর,
ছিল পূর্ণ বিকশিত প্রস্ফুটিত কানন।
মেঘখানি নিয়ে যেয়ে,
করিলে অন্যের আঙনে ঝিরিঝিরি বর্ষণ।
মরিচিকা মনকে ধরিতে,
ধাবিত হতে চায় না আমার ক্ষন জীবন।
দিঘি ভেবে করে ভুল,
সাঁতার না জানা প্রান তীরে একা এখন।
ভালোই আছি একলা,
শান্ত পবনে আলোড়িত দোলায়মান বন।
ক্ষুদ্র কুঠির যেমন ভবন,
সেথা বসে নিজ হাতের অন্নে দিয়েছি মগন।

Share This