Categories
রিভিউ

আজ ১৩ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১৩ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৩৩ – যোশেফ প্রিস্টলি, ইংরেজ রসায়নবিদ।

 

১৮৪৪ – মনমোহন ঘোষ,কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম বাঙালি ব্যরিস্টার।

 

১৮৬১ – জলধর সেন, সাহিত্যিক ও সম্পাদক।

 

১৮৯২ – গোবর গোহ (যতীন্দ্রচরণ গুহ), ভারতীয় কুস্তিগীর ও পালোয়ান।

১৯০০ – গেওর্গে সেফেরিস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী গ্রিক কবি।

 

১৯১৪ – বাঙালি কবি, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ সরোজ দত্ত।

 

১৯১৫ – ভারতীয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটোগল্পকার ও প্রাবন্ধিক প্রতিভা বসু।

১৯১৬ – প্রবাসজীবন চৌধুরী, ভারতীয় সৌন্দর্যতত্ত্ব বিশারদ।

১৯৩০ –  বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দিনের জন্ম।

 

১৯৩১ – চণ্ডী লাহিড়ী, ভারতীয় বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রী ও লেখক।

১৯৩৬ – আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, কবি ও লেখক।

 

১৯৬৬ – ইসরাফিল আলম, বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

৪৫ – এই দিন থেকে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সূচনা।

৬২৪- বদর যুদ্ধ সংঘটিত হয়।

১৭৫৮ – হেলির ধূমকেতু গ্রহকক্ষস্থ সূর্যের নিকটতম বিন্দুতে অবস্থান নেয়।

১৭৮১ – স্যার উইলিয়াম হার্শেল ইউরেনাস গ্রহ অবিষ্কার করেন।

১৭৯৯ – মেদিনীপুরে চুয়াড় বিদ্রোহ শুরু গোবর্ধন দিকপতির নেতৃত্বে।

১৮৭৮ – বিভিন্ন ভাষার সংবাদপত্রের জন্য ব্রিটিশ রাজ কর্তৃক সংবাদপত্র আইন প্রণীত হয়।

১৮৮১ – রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার আততায়ীর হাতে নিহত হন।

১৮৯৬ – নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয়।

১৯০৬ – মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনির মৃত্যু।

১৯২২ – কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়।

১৯৩০ – সৌরমন্ডলের নবম গ্রহ প্লুটো আবিষ্কৃত হয়।

১৯৫৪ – ইন্দোচীনে দিয়েন বিয়েন ফু’র যুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৭১ – শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষুব্ধ শিল্পী সমাজের প্রথম মিছিল।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সুইজারল্যান্ড।

১৯৮৭ – ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠা।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৩৯ – সুবাদার সুজাউদ্দিন খান।

১৭৪৮ – সুইজারল্যান্ডের খ্যাতনামা গণিতবিদ ইয়োহান বার্নুয়ি।

 

১৮৮১ – রাশিয়ার জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডার।

১৮৯৪ – জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী হার্টজ।

১৯০১ – বেঞ্জামিন হ্যারিসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩তম রাষ্ট্রপতি।

১৯০৬ – মার্কিন নারী ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম পুরোধা নেত্রী সুসান ব্রাউলেন অ্যান্টনি।

 

১৯৩৬ – স্যার কেদারনাথ দাস কলকাতার খ্যাতনামা স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষক ।

১৯৬৭ – ফ্রাঙ্ক ওরেল, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার ও জামাইকান সিনেটর।

১৯৬৮ – ইবরাহিম ইসমাইল চুন্দ্রিগড়, পাকিস্তানের ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

 

১৯৭৬ – জসীম উদ্‌দীন,  একজন বাঙালি কবি, গীতিকার, ঔপন্যাসিক ও লেখক।

 

১৯৮৫ – বাঙালি কবি দীনেশ দাশ।

১৯৯৬ – ক্রিস্তফ কিয়েশ্‌লফ্‌স্কি, পোল্যান্ডের খ্যাতিমান চলচ্চিত্র নির্মাতা।

 

২০০৪ – বিলায়েত খাঁ ভারতের বিখ্যাত বাঙালি সেতার বাদক।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে, কিংবদন্তি ভারতীয় বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রী ও লেখক – চণ্ডী লাহিড়ী।

একজন ভারতীয় বাঙালি ব্যঙ্গচিত্রী ও লেখক ছিলেন চণ্ডী লাহিড়ী। তিনি বৃটিশ ভারতের নদীয়ার নবদ্বীপের বুড়ো শিবতলায় তাঁর মামার বাড়িতে ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহিনীমোহন লাহিড়ী ছিলেন বর্ধমান জেলার চণ্ডীপুরের বাসিন্দা। প্রথমে নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলে তাঁর পড়াশোনা শুরু হয়। নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে স্নাতক হন। পরে চলে আসেন কলকাতায়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ.করেন।

 

ব্যঙ্গচিত্র জীবন———

 

১৯৫২ সালে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় দৈনিক লোকসেবক পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজে। দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে বাংলা কার্টুনচর্চার সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। ব্যঙ্গচিত্রী হিসেবে ডেভিড লোয়ির অনুরাগী ভক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর সমকালীন শিল্পী হিসেবে বিখ্যাত সাহিত্যিক আর. কে. নারায়ণের ভাই ব্যঙ্গচিত্রী রাসীপুরম কৃষ্ণস্বামী লক্ষ্মণ, মারিও মিরান্দা, কুট্টি প্রমুখের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। চণ্ডী লাহিড়ীর সৃষ্ট পকেট কার্টুন ‘তির্যক’ ও ছোটোদের জন্য সৃষ্ট কমিকস জনপ্রিয় হয়।

 

সর্বভারতীয় নানা পত্রিকায় কার্টুন এঁকেছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক দুই ধরনের কার্টুন আঁকতেন চণ্ডী লাহিড়ী। তাঁর অসংখ্য ব্যঙ্গচিত্র ভারতের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের জন্য কার্টুন এঁকেছেন তিনি।১৯৬১ সালে ব্যঙ্গচিত্রী হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকায় কার্টুনচর্চা শুরু করেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় ১৯৬২ সালে যোগ দিয়েছিলেন।

 

তিনি কার্টুন নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন —- কার্টুনের ইতিবৃত্ত, বাঙালির রঙ্গব্যঙ্গচর্চা, গগনেন্দ্রনাথ: কার্টুন ও স্কেচ। তাঁর কার্টুন সংগ্রহের নাম চণ্ডী লুকস অ্যারাউন্ড এবং ভিজিট ইন্ডিয়া উইথ চণ্ডী।

 

 

অ্যানিমেশন——-

 

কেবল ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন নয়, নিজের দক্ষতায় অনেকগুলি অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেছেন তিনি, যার মধ্যে ‘হংসরাজ’, ‘ধন্যিমেয়ে’, ‘মৌচাক’, ‘চারমূর্তি’ প্রভৃতি খুবই বিখ্যাত।

 

সম্মাননা—

 

চণ্ডী লাহিড়ী তাঁর মেয়ে তৃণার সঙ্গে যৌথভাবে ‘মানুষ কি করে মানুষ হল’ নামে তাঁর একটি নৃবিজ্ঞান বিষয়ক কাজের জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নরসিংহ দাস পুরস্কারে সম্মানিত হন ।

 

মৃত্যু——

 

২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি চণ্ডী লাহিড়ীর মৃত্যু হয়।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
গল্প প্রবন্ধ রিভিউ

ভ্রমণ শব্দটির উৎস ও ইতিহাস – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

ভ্রমণ শব্দটির উৎস ইতিহাসের কালে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে । ভ্রমণ বা ট্রাভেল শব্দটার উৎপত্তি হয়েছে আদি ফরাসি শব্দ travail থেকে । ফরাসি শব্দ travail  অর্থ শ্রম, পরিশ্রম, (labor, toil, ) ইত্যাদি । আবার travailler অর্থ হচ্ছে কাজ, পরিশ্রম, শ্রম, যন্ত্রণা, কষ্ট,  (Work, labor, toil, suffering from painful efforts, troubles, ) ইত্যাদি । অনেকের মতে প্রাচীনকালে ভ্রমণ ছিল ভীষণ কষ্টকর । তাই travailler  শব্দটা কষ্টকর জ্ঞাতার্থে ব্যবহৃত হতে পারে ।  তবে বর্তমান ডিজিটাল যুগের কষ্টকর  ভ্রমণ নির্ভর করছে  গন্তব্যস্থলের উপর । যেমন মাউন্ট এভারেস্টে ভ্রমণ ঝুঁকির ও কষ্টের ।
এবার আসছি, ভ্রমণ বলতে আমরা কী বুঝি ?  ভ্রমণের ব্যবহারিক অর্থ নানানরকম । যেমন প্রাতকালীন ভ্রমণ, বৈকালিন ভ্রমণ, নদীর পারে ভ্রমণ, জ্যেৎস্নার আলোয় ভ্রমণ, ট্রেনে-বাসে-উড়োজাহাজে-জলযানে ভ্রমণ, ইত্যাদি । যদি ভ্রমণের মাধ্যম ধরি তাহলে ভ্রমণ হতে পারে হাঁটা, কিংবা সাইক্লিং’এর মাধ্যমে  অথবা গাড়িতে যেমন পাবলিক পরিবহন, প্রাইভেট গাড়ি, রেল এবং বিমান ।   আক্ষরিক অর্থে আমরা যেটা বুঝি ভ্রমণ অর্থ বেড়ানো, ঘোরাঘুরি, এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাওয়া, অর্থাৎ পর্যটন করা । অন্য অর্থে দেশ ভ্রমণ । এছাড়া ভ্রমণ অর্থ যেটা বুঝি, সেটা হচ্ছে চিত্তবিনোদন, পর্যটন ও অবকাশ যাপন ।  ভ্রমণ মানুষের জীবনে আনে বৃহত্তের আহ্বান । আনে অজানা সৌন্দর্যের সংবাদ । অচেনার সান্নিধ্য মানুষ পায় বিষ্ময়ের শিহরণ । তাই ভ্রমণ শুধুমাত্র দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিদেশ ভ্রমণও সমানভাবে উল্লেখযোগ্য । তবে এটাও ঘটনা, মানুষের মধ্যে ভ্রমণের আবশ্যিক দিক নিজের দেশকে জানবার, বোঝবার, দেখার । কিছু মানুষ তথ্য জোগাড়ের জন্য গবেষণা ভ্রমণও করেন । নিজের জন্মস্থানের গাঁ-গঞ্জ-শহর-নগর থেকে বেরিয়ে দেশের ও বিদেশের দ্রষ্টব্য স্থানের ভৌগলিক অবস্থান, তার ইতিহাস, রাজনীতি বা তার নৃতত্ত্ব  জানাটা ভ্রমণের মুখ্য উদ্দেশ্য ।  তা ছাড়া দিনের পর দিন একই পরিবেশের জীবন যাপন থেকে ক্ষণিকের মুক্তি । একটু বৈচিত্র্যের আস্বাদনের উপলব্ধি, যে বৈচিত্র্য আমাদের দেয় অপরিসীম আনন্দ ।
যদি নিজের দেশ ভারতবর্ষকেই ধরা যায় তাহলে দেখা যাবে, একই দেশে বাস করা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রদেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন প্রকারভেদ । নানান ধর্ম, নানান জাতির মানুষের বসবাস । বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন বর্ণের মানুষ । প্রত্যেকের জাতিসত্বা, ভাষার প্রয়োগ, ধর্মের আচরণ, এমনকি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা আলাদা । যার জন্য ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের ভ্রমণের মাধ্যমে দেশকে চেনার, দেশের মানুষদের জানবার আকাঙ্খা প্রবল । দেশের বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে নানাবিধ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ও নতুন-নতুন জ্ঞান আহরণ সম্ভব । বিচিত্র আমাদের দেশ এবং বিচিত্র তার অধিবাসী । আরও বিচিত্র তাদের সাংস্কৃতিক জীবন যাপন এবং সামাজিক রীতিনীতি । আমদের দেশে কতো অরণ্য, সমুদ্র, পাহাড়, পর্বত । নিসর্গ প্রকৃতির কতো অফুরান বৈভব, কতো  পশু-পাখী, জীবজন্তু । ভ্রমণের মাধ্যমে সেগুলির পূর্ণভাবে উপলব্ধি ঘটে । এখানে বলা যেতে পারে, ভ্রমণ অন্য কথায় শিক্ষার একটি অঙ্গ ।
ভ্রমণের পরিধি নির্ধারণে অবশ্যই আর্থিক সঙ্গতির প্রসঙ্গ উল্লেখযোগ্য । ভারতবর্ষ আমাদের উন্নয়নশীল দেশ । এখানে মাথাপিছু আয় প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম । ফলে মানুষের যতোটুকু আয় প্রায় ততোটুকুই সংসার নির্বাহের জন্য নিঃশেষিত হয়ে যায় । যার জন্য সংসার বাঁচিয়ে উদবৃত্তের পরিমাণ ভীষণ স্বল্প । তবুও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সংসারের  খরচা বাঁচিয়ে  ঐ নগণ্য আয় থেকে ভ্রমণের জন্য জমিয়ে রাখে । অভিজ্ঞতার নিরিখে এটা পরিস্কার, চাকুরিজীবিদের মধ্যে ভ্রমণের নেশা তুলনামূলকভাবে বেশী । ভ্রমণের প্রতি তাঁরা বেশী সংবেদনশীল । দেখা গেছে চাকুরিজীবি মানুষ একনাগাড়ে ছয় মাস অফিস করলে হাঁফিয়ে ওঠেন । তখন তাঁদের শরীর-মন ক্ষণিকের জন্য একঘেয়েমি জীবনের অবসান ঘটানোর নিরিখে কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে  ভরা স্থানে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চান । সামর্থ অনুযায়ী তখন ব্যস্ততম কর্মজীবন থেকে ক্ষণিকের জন্য নিবৃত্তি । মুক্তির আস্বাদনের তাগিদে তাঁদের ভ্রমণ ।
ভ্রমণের  ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থতা ভীষণ জরুরি । আবার অনেকে ডাক্তারী পরামর্শ মতো হাওয়া বদলের জন্য ছোটেন । খুব স্বল্প সংখ্যক মানুষ বিশ্রাম নিতে বেড়ানোর দ্রষ্টব্যস্থানে বেড়াতে যান ।  কিছু ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ধারণা, ভ্রমণের মাধ্যমে তাঁদের শরীরে তাজা অক্সিজেন ঢোকে । এইজন্য ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, রাজনীতিবিদ, বরিষ্ঠ নাগরিক, ইত্যাদি পেশার মানুষ সাময়িক বিশ্রামের তাগিদে বিভিন্ন দ্রষ্টব্যস্থানে ভ্রমণ করেন । সুতরাং ভ্রমণের প্রেক্ষাপট চিন্তা করলে দেখা যায়, ভ্রমণ শুধুমাত্র চিত্ত বিনোদনের জন্য নয় । ভ্রমণ মানুষের মধ্যে সংঘটিত হয় বিভিন্ন প্রয়োজনে । এছাড়াও শিক্ষামূলক ভ্রমণ, ব্যবসা-বাণিজ্যিক ভ্রমণ, রোগ চিকিৎসার জন্য ভ্রমণ, ধর্মীয়-ভ্রমণ,  সর্বজনবিদিত ।
ভ্রমণের স্থান, কাল, ইত্যাদির ব্যাপারে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের নিজস্ব চিন্তাভাবনাটা অগ্রগণ্য । কিছু মানুষের হিল  স্টেশনে ভ্রমণের প্রতি দুর্বলতা । তাই তাঁরা বিভিন্ন হিল এলাকা ভ্রমণের জন্য বেছে নেন । যেমন দার্জিলিং, সিমলা, উটি, কাশ্মীরের পহেল গাঁও-সোনমার্গ-গুলমার্গ, লে-লাদাখ,  মাউন্ট আবু,  কোহিমা, ইত্যাদি । শোনা যায়, হিল স্টেশনে বেড়ানোর আর একটা মজা সেটা হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য । সমতলভূমি থেকে পাহাড়ে উঠবার সময় রাস্তার দুধারে প্রকৃতির অকৃত্রিম সবুজের ভাণ্ডার । বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালির অফুরন্ত সমারোহ । যা দেখলে চোখ সরানো দায় ! তার উপর এক পশলা বৃষ্টি হলে রাস্তার দুইধারে বৃষ্টি স্নাত গাছ-গাছালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মনোমুগ্ধকর । পাহাড়ী এলাকাতে প্রাকৃতিক সমারোহের প্রাচুর্য এত থাকলে কী হবে, সেখানকার মানুষের দৈণ্যদশা প্রকট । তাঁদের  অর্থনৈতিক অবস্থা তথৈ-ব-চ । শোচনীয় তাঁদের দৈনন্দিন জীবন যাপন । ক্ষেতি জমিতে ফসল উৎপাদনের হালহকিকৎ দুঃখজনক । যার জন্য তাঁরা পর্যটকের উপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল । প্রায় শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ পর্যটন ব্যবসার উপর নির্ভরশীল । কিছু কিছু পাহাড়ী এলাকায় পর্যটকের সংখ্যা খুবই কম ।   উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাহাড়ী এলাকা যেমন কোহিমা, ইম্ফল, আইজল, ইত্যাদি । অথচ এইসব হিল স্টেশনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কোনো অংশে কম নয় । ভ্রমণ পিপাসু মানুষের সংখ্যা ঐ সমস্ত এলাকায় বেশী মাত্রায় ভিড় করলে এলাকার জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য বাড়তো । সুতরাং ভ্রমণের  ক্ষেত্রে দ্রষ্টব্যস্থান বাছাটাও  গুরুত্বপূর্ণ ।
সমুদ্র তীরবর্তী শহরে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের চেয়ে বাঙালীদের ভিড় চোখে পড়ার মতো । অনেক বাঙালী সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল হিসাবে প্রথমেই পুরী’কে  বাছেন । পুরীর সমুদ্রের উদ্দেশে ভ্রমণের আরও একটি কারণ পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শন । আবার পুরীতে রয়েছে ঐতিহাসিক কোনারক যেখানে প্রচুর মানুষ ভিড় করেন । ইদানীংকালে দীঘার  সমুদ্র সৈকতে মানুষের ভিড়  নজরকাড়া । কেননা দীঘার সমুদ্রের পার আধুনিক সজ্জায় সুসজ্জিত । সরকারি দৃষ্টির সৌজন্যে  দীঘার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ এখন ভীষণ জনপ্রিয় । ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে আকর্ষণীয় হচ্ছে  সমুদ্রের বীচ । সমুদ্রের বীচের বালিতে পর্যটকদের হেঁটে অফুরন্ত  আনন্দ  । যার জন্য চেন্নাইয়ে ম্যারিনা বীচ, গোয়ার ক্যারাঙ্ঘুটে বীচ, মুম্বাইয়ের জুহু বীচ, কন্যাকুমারীর তিনটি সমুদ্রের সঙ্গমস্থলের বীচ, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে আজও আকর্ষণীয় । তা ছাড়া সমুদ্রের সন্নিহিত অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের বাড়-বাড়ন্ত চোখে পড়ার মতো ।
মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, দর্শন ভ্রমণের অন্যতম উদ্দেশ্য । অনেক ভ্রমণার্থী  মন্দির দর্শনের পাশাপাশি মন্দিরের দেবতার পুজো দিতে উৎসাহী । ধর্মের প্রতি অনুরাগ মানুষের মধ্যে কমবেশী বিরাজিত  । সেই আকাঙ্খা থেকেই ধর্মীয় স্থানে ভ্রমণের ঈপ্সা । তা ছাড়া জানারও আকাঙ্খা প্রবল । যেমন দক্ষিণ ভারতে তিরুমালায়  মন্দির (বেঙ্কটেশ্বর), অসমে কাম্রুপ কামাক্ষার মন্দির, আজমীরে মসজিদ, কোহিমায় ক্যাথিড্রাল চার্চ, পুরীতে জগন্নাথ মন্দির, মুম্বাইতে মাতা লক্ষ্মী মন্দির, জম্মুতে কাটরায় বৈষ্ণদেবী মন্দির, ইত্যাদিতে ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা প্রবল ।
ভ্যালী এলাকায় ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছুটছেন । শিমলা থেকে কিন্নর ভ্যালী, লাদাখে নুব্রা ভ্যালী,  মানুষের কাছে আজও আকর্ষণীয় । বড় দ্বীপ বলতে মাজুলি দ্বীপ । শোনা যায় মাজলি দ্বীপ এশিয়ায় বিখ্যাত । অসমের যোরহাট থেকে মাজুলি যাওয়া সহজ । বিশাল ব্রহ্মপুত্র নদের (ব্রহ্মপুত্র হচ্ছে পুরুষ নদী) মধ্যেখানে মাজুলি দ্বীপ । অনেকেই ছুটছেন মাজুলি দ্বীপ ভ্রমণে । এছাড়া আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অনেকগুলি দেখার মতো দ্বীপ রয়েছে । হ্যাভলক দ্বীপ তার মধ্যে অন্যতম ।  উত্তর-পূর্ব রাজ্যে চা-বাগান উল্লেখযোগ্য । যেমন ডিব্রুগড়  জেলা  জুড়ে চা-বাগান । তা ছাড়া দার্জিলিঙের চা-বাগান বিশ্বখ্যাত । এইসব চা বাগানে মনে হয় প্রকৃতি সবুজ গালিচা পেতে রেখেছে । দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে জঙ্গলের সমারোহ ।  পশ্চিম বঙ্গের জলদাপাড়ার জঙ্গল, অসমের কাজিরাঙ্গার জঙ্গল উল্লেখযোগ্য ।  কাজিরাঙ্গার জঙ্গলের খ্যাতি বিশ্বজুড়ে । পশু, পাখী, জীব-জন্তুতে ভরা । কাজিরাঙ্গা জঙ্গলে গন্ডারের বিচরণ অন্যতম ।
জানার ও দেখার স্পৃহার শেষ নেই । সেটা রাঁচীর পাগলা গারদ হোক বা কারগিলের যুদ্ধস্থান হোক বা অমৃতস্বরের স্বর্ণমন্দির হোক । ভ্রমণ পিপাসু মানুষ সতত ছুটছেন তাঁদের একটানা দম-বদ্ধ জীবন থেকে সাময়িক মুক্তির খোঁজে ।
মানুষের মধ্যে ভ্রমণের সময় নির্ধারণ করা বড্ড কঠিন । পরীক্ষা বা পড়াশুনার ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণের ইচ্ছা প্রসমিত থাকে  । তেমনি চাষীদের চাষের মরশুম, ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ধামাকার সময় যেমন দুর্গা  পুজা, ইত্যাদির সময়, চাকুরিজীবিদের চাকরিস্থলে ছুটি গ্রান্ট না হলে, ভ্রমণের ইচ্ছা নৈব-নৈব-চ । এত কিছুর মধ্যও ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ভ্রমণের তাগিদে দেশ বিদেশ ছুটছেন । কেননা ভ্রমণ মানুষকে সতেজ  ও  প্রফুল্ল রাখে  ।

 

।।কলমে : দিলীপ রয়।।

 

(তথ্যসূত্রঃ সংগৃহীত)

Share This
Categories
রিভিউ

জীবন বদলে দেওয়া বাস্তবতা নিয়ে কিছু বিখ্যাত উক্তি।

০১। বাস্তবতা নিছক একটি মায়া, যদিও এটি খুব স্থায়ী ।

-আলবার্ট আইনস্টাইন।

০২। এক জনের কাছে পাগলামি আর অন্য জনের কাছে বাস্তবতা।

-টিম বার্টন।

০৩। পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলো- মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায় আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়।

-রেদোয়ান মাসুদ

০৪। মনের অনেক দরজা আছে, সেখান দিয়ে অসংখ্যজন প্রবেশ করে এবং বের হয়ে যায় তাই সবাইকে মনে রাখা সম্ভব হয় না।

-টমাস কেস্পিস।

০৫। পৃথিবীতে কেউ কারো নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়।

-রেদোয়ান মাসুদ

০৬। জীবনকে যেমন মৃত্যুকেও তেমনি স্বাভবিক বলে মেনে নিতে হবে

-শহীদুল্লাহ্ কায়সার।

০৭। বেঁচে থাকি আশা করি কষ্ট পাই কাঁদি, লড়ি আর সবশেষে ভুলে যাওয়া.. যেন কোনদিন ছিলামই না

-মেরি বাশকিরভ সেভ।

০৮। বাস্তবতা কল্পনার অনেক কিছুই ফেলে দেয়।

-জন লেনন।

০৯।  বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের মধ্যে গড়ে ওঠা পয়েন্ট টু-পয়েন্ট ভালোবাসাও অসহায় হয়ে যায়।

-হুমায়ূন আহমেদ।

১০। তোমাকে ছাড়া থাকার কোনো সাধ্য আমার নেই, কারণ তোমাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তোমাকে ধরে রাখার কোনো উপায় আমার কাছে জানা নেই, কারণ বাস্তবতার কাছে আমি বড় অসহায়।

-রেদোয়ান মাসুদ।

১১। যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়।

-জন সার্কল।

১২। মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়

-হুমায়ূন আহমেদ।

১৩। সুন্দরী মেয়েরা পারিবারিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অসুখী হয়, কারণ তাদের ওপর বহু পুরুষের অভিশাপ লেগে থাকে।

– রেদোয়ান মাসুদ

১৪। কিছু লোক আছে যারা স্বপ্নের জগতে বাস করে, কিছু লোক আছে যারা বাস্তবতার মুখোমুখি হয়; তারপরে এমন ব্যক্তিরা আছেন যাঁরা একটিকে অপরটিতে পরিণত করে।

-ডগলাস এভারেট।

১৫। মানুষকে ঠকাতে যাদের বুক কাঁপে, বিবেকে বাঁধে তাদের জীবনে কখনো সুখ হয় না, দুঃখই সারা জীবন তাদের আড়াল করে রাখে।

-রেদোয়ান মাসুদ।

১৬। যেহেতু আমরা বাস্তবতা পরিবর্তন করতে পারি না, আসুন আমরা চোখ পরিবর্তন করি যা বাস্তবতা দেখায়।

-নিকোস কাজান্টজাকিস।

১৭। আমাদের উদ্দেশ্য আমাদের বাস্তবতা তৈরি করে।

-ওয়েইন ডায়ার।

১৮। অনেক কিছু ফিরে আসে, ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না

-আবুল ফজল।

১৯। বাস্তবতা এমন লোকদের জন্য যারা ড্রাগের মুখামুখি হতে পারে না।

-লরেন্স জে পিটার।

২০। বাস্তবতা অনেক কল্পনা ছুঁড়ে দেয়।

– জন লেনন।

২১। বাস্তবতা হ’ল আমরা সবাই যে কল্পনার সাথে একমত হই।

-অজানা।

২২। জীবন যতক্ষণ আছে বিপদ ততক্ষণ থাকবেই

-ইমারসন।

২৩। সুখে থাকতে সবাই চায় কিন্তু কিছু মানুষের জীবনে সুখে থাকতে চাওয়াটাই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

-রেদোয়ান মাসুদ

২৪। জীবন তৃপ্তি দেয় যতটুকু, অতৃপ্তি দেয় তার চেয়ে বেশি

-ক্রিস্টিনা রসের্ট।

২৫। মৃত্যুর চেয়ে কঠিন হচ্ছে জীবন। কেননা দুঃখ-কষ্ট বিপদ আপদ কেবল জীবনেই ভোগ করতে হয় মৃত্যু তা থেকে মুক্তি দেয়।

-সক্রেটিস।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

 

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১২ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১২ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) গ্লুকোমা দিবস।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৪৭৯ – সম্রাট গিওলিয়ানি, ফ্লোরেন্সের সম্রাট।

 

১৬৮৫ – জর্জ বার্কলি, আইরিশ বিজ্ঞানী।

 

১৮৮১ – আধুনিক তুরস্কের স্থপতি কামাল আতাতুর্কের জন্ম।

১৮৮৪ – অতুলচন্দ্র গুপ্ত, বাঙালি সাহিত্যিক এবং বিশিষ্ট আইনজীবী।

১৮৮৯ – মুহাম্মদ ইদ্রিস আল-সেনুসি, লিবিয়ার বাদশাহ।

১৯১১ – আবু জাফর শামসুদ্দীন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

 

১৯২৪ – উৎপলা সেন, প্রখ্যাত বাঙালি গায়িকা ।

 

১৯২৮ – ফজলে লোহানী, বাংলাদেশের টিভিব্যক্তিত্ব।

১৯৩৫ – রেহমান সোবহান, বাংলাদেশের খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক।

 

১৯৮৪ – শ্রেয়া ঘোষাল সঙ্গীত শিল্পী।

২০০৩ – নাঈম আহমেদ, বাংলাদেশের শিল্পপতি অর্থনীতিবিদ

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৬৫ – ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ।

১৬০৯ – বারমুডা ইংল্যান্ডের কলোনি হয়।

১৭৮৯ – আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়।

১৭৯৯ – অস্ট্রিয়া ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৮৬৭ – শেষ ফরাসি সৈন্যদল মেক্সিকো ত্যাগ করে ।

১৮৯৪ – যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়।

১৮৯৬ – নেদারল্যান্ডসে প্রথম চলচ্চিত প্রদর্শিত হয় ।

১৯০৪ – ইংল্যান্ডে প্রথম ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয় ।

১৯৩০ – ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে উপনিবেশিক শক্তি বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৫৪ – ভারতের রাষ্ট্রভাষাগুলিতে রচিত সাহিত্যের উন্নতি ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে ভারত সরকার কর্তৃক সাহিত্য অকাদেমি প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৬৮ – দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ মরিশাস ইংরেজদের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯৬৯ – সুপারসোনিক যাত্রীবাহী বিমান কনকর্ড প্রথম উড্ডয়ন করে।

১৯৭২ – ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ।

১৯৮৯ – আজকের দিনে স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা World Wide Web (www) বৈশ্বিক তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১২৮৯ – জর্জিয়ার রাজা দ্বিতীয় দিমিত্রি।

 

১৯২৫ – চীনের নেতা সান ইয়াৎ সেন।

 

১৯৩৭ – ইংরেজ সাহিত্যিক ক্রিস্টোফার কডওয়েল।

 

১৯৬০ – পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক ক্ষিতিমোহন সেন।

 

১৯৭৭ – কেয়া চক্রবর্তী প্রখ্যাত মঞ্চ অভিনেত্রী ।

 

১৯৮৬ – বিশিষ্ট শিল্পপতি মির্জা আহমেদ ইস্পাহানী।

 

১৯৮৮ – কথাশিল্পী সমরেশ বসু (কালকূট)।

 

২০০৩ – স্পার্টাকাসের লেখক, বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড ফাস্ট।

 

২০১৩ – ভারতীয় বাঙালি চিত্রশিল্পী ও নকশাকার গণেশ পাইন।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

ভারতীয় মঞ্চশিল্পী কেয়া চক্রবর্তী’র প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কেয়া চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রতিভাময়ী অপেশাদার ভারতীয় মঞ্চ অভিনেতা।  কেয়া চক্রবর্তী ১৯৪২ সালের ৫ আগস্ট উত্তর কলকাতার একটি বনেদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।  বাবার নাম অজিত চক্রবর্তী।  তবে ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে মানুষ হন।  তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজের একজন ভালো ছাত্রী ছিলেন।  ইংরেজিতে এমএ পাস করার পর ওই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। ‘আন্তিগোনে’ নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে পশ্চিমবঙ্গ সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী’ র পুরস্কার পান।

 

অভিনয় জীবন———

 

অভিনয় করতে ভালোবাসতেন কেয়া।  স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র থাকাকালীন, ইংরেজি ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০ সালে আন্তঃকলেজ নাটক প্রতিযোগিতায় সেরা অভিনয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছিল। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় যুব উৎসবের জন্য দিল্লি এবং মহীশূরে আমন্ত্রিত হয়েছিল।  যাইহোক, তিনি নান্দীকার গ্রুপের প্রযোজিত নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা মঞ্চে একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।  ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে ‘চার অধ্যায়’ নাটকে প্রথম অভিনয়।  এরপর ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে নিয়মিত অভিনয়।  ‘তিনের পয়সার পালা’ ছবিতে অভিনয়ের পর তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে।  ব্রেখটের ‘ভালো মানুষ’ নাটকের বাংলা সংস্করণে তাঁর দ্বৈত-চরিত্রের অভিনয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

 

 

নান্দীকার এ অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত ও কেয়া চক্রবর্তী একসাথে অভিনয় একটা স্বর্ণযুগ ছিল । এর পর ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে কলেজের অধ্যাপনা ছেড়ে বিনা বেতনে নান্দীকারের সর্বক্ষণের কর্মী হন।  তার শেষ অভিনীত নাটক ‘ফুটবল’।

 

কেয়া চক্রবর্তী একজন ভালো অনুবাদক ছিলেন।  অভিনয়ের জন্য বার্নার্ড শ’র নাটক ‘সেন্ট জোয়ান’ অনুবাদ করেছেন।  মাঝে মাঝে টাকার জন্য সিনেমায় অভিনয় করলেও তার আসল ক্ষেত্র ছিল নাটক।  তিনি নাট্যভাবনা নিয়ে কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন।

 

 

 

কেয়া চক্রবর্তীর মঞ্চাভিনয় (১৯৬১ – ১৯৭৭ )

নাটক /তাভিনয় সংখ্যা
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়:

নটি বিনােদিনী ,  আলাের বাইরে , মূদ্রারাক্ষস , বৃত্ত , বীতংস, অগ্নিবিষয়ক সতর্কতা ও গৌতম ,  হে সময়, উত্তাল সময়, শাহী বাদ ,   নাট্যকারের সন্ধানে দুটি চরিত্র , শের আফগান ,  মঞ্জরী আমের মঞ্জরী , তিন পয়সার পালা,  ভালােমানুষ , নীলিমা , চার অধ্যায় , রাত্রি প্রভৃতি।

রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্তর পরিচালনায়—

আন্তিগােনে , ফুটবল,  টক ।

অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায়—- পূর্বরাগ।

শম্ভূ মিত্রের পরিচালনায় ——রক্তকরবী ।

শ্যামানন্দ জালানের পরিচালনায় —–তুঘলক।

 

মৃত্যু——–

 

তাঁর মৃতু ছিল মর্মান্তিক ।  সাঁকরাইলে গঙ্গার ওপর ‘জীবন যে রকম’ চলচ্চিত্রের বহিদৃর্শ্য গ্রহণের সময় (শুটিংয়ের সময়) অভিনয় করতে গিয়ে জলে ডুবে তার মৃত্যু ঘটে ১২ মার্চ,  ১৯৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

কিংবদন্তি গায়িকা – উৎপলা সেন এর জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

উৎপলা সেন ১২ মার্চ, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দী বাংলা গানের একজন প্রধান জনপ্রিয় গায়িকা। বাংলা গানের স্বর্ণযুগে প্রেম ও বিরহের গানে তিনি আলাদা বিষণ্ণ সুর তুলে ধরেছেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, স্বামী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য গায়কদের সাথে অনেক জনপ্রিয় দ্বৈত গানও গেয়েছেন।

 

তিনি প্রথমে মা হিরণবালা দেবীর কাছে প্রশিক্ষণ নেন, তারপর ওস্তাদ গুল মোহাম্মদ খানের কাছে।  তিনি ১৯৩৫ সালে ১৯১৩ বছর বয়সে ঢাকা বেতারে প্রথম জনসম্মুখে উপস্থিত হন।  প্রথম রেকর্ড ১৯৩৯ সালে। ১৯৪১ সালে, সুরকার সুধীরলাল চক্রবর্তীর সুর করা এক হাতে মোর পূজা থালি গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।  মহিষাসুরবমর্দিনীর – শান্তি দিল ভরি গানে  আরও জনপ্রিয়তা পান, যা আজও শোনা যায়। এর পর তিনি
চল্লিশের দশকের গোড়ার দিকে কলকাতায় চলে আসেন এবং তখন থেকেই আকাশবাণীর সঙ্গে যুক্ত হন।  বাংলা চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন আনেক। বেনু সেনের সাথে প্রথম বিয়ে হয় তাঁ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি সঙ্গীত সহকর্মী সতীনাথ মুখোপাধ্যায় কে ১৯৬৮ সালে বিয়ে করেন।  একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।

 

তাঁর ৬০০০ এর বেশি সিনেমা এবং রেকর্ডের গানের অধিকাংশই আজ বিস্মৃতপ্রায়। ইদানীং কালে দুই বাঙলাতেই পুরানো দিনের গানের চর্চা বাড়ছে – কিছু গান ‘পুনঃনির্মাণ’ মাধ্যমে আবার শোনা যাচ্ছে – এবং উৎপলা সেনের নাম আবার জনসমক্ষে শোনা যাচ্ছে। তাঁর কিছু জনপ্রিয় গান হলো যেমন, এত মেঘ এত যে আলো, ময়ুরপঙ্ক্ষী ভেসে যায়, পাখি আজ কোন সুরে গায় বা ঝিকমিক জোনাকির দ্বীপ জ্বলে শিয়রে।

 

দীর্ঘ কয়েক বছর ক্যান্সারাক্রান্ত উৎপলা সেন ১৩ মে, ২০০৫ সালে মারা যান কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ রিভিউ

আজ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস – একটি বিশেষ পর্যালোচনা।

প্রতি বছর ১২ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস পালন করা হয়।  দিনটি গ্লুকোমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিবেদিত, চোখের রোগের একটি গ্রুপ যা অপটিক নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করে দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।  এটি বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ, যা আনুমানিক চার মিলিয়নের মধ্যে তিনজনকে প্রভাবিত করে।
গ্লুকোমা সপ্তাহ প্রতি বছর উদযাপিত হয়, গ্লুকোমা দিবসের মাধ্যমে সপ্তাহের শেষ হয়।  আসুন জেনে নেই বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৪ উদযাপনের ইতিহাস, তাৎপর্য, থিম এবং উপায় সম্পর্কে।

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৪: থিম—-

 

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে ‘গ্লুকোমামুক্ত বিশ্বের জন্য ঐক্যবদ্ধ’ ‘Uniting for a Glaucoma-Free World‘ প্রতিপাদ্যে।  এখন একটি অবস্থান নেওয়ার সময় এবং.  একটি বিশ্ব সম্প্রদায় হিসাবে ঐক্যবদ্ধ।

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৪: ইতিহাস—-

 

গ্লুকোমা হল এমন একটি অবস্থা যা চোখের সামনের স্বচ্ছ স্তর কর্নিয়া এবং কনজাংটিভাকে প্রভাবিত করে।  এটি ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, লাল চোখ এবং ফোলা চোখ সহ বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।  কিছু ক্ষেত্রে, গ্লুকোমা সম্পূর্ণ অন্ধত্বও হতে পারে।
গ্লুকোমার কোনো একক কারণ না থাকলেও সবচেয়ে সাধারণ হল তরল জমা হওয়া যা অপটিক স্নায়ুর ওপর চাপ বাড়াতে পারে।  এর ফলে অপটিক নার্ভের ফাইবারগুলি মারা যেতে শুরু করতে পারে, যা সম্পূর্ণ, অপরিবর্তনীয় অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করে।  গ্লুকোমার অন্যান্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে বয়স, লিঙ্গ এবং জাতিগততা।
গ্লুকোমার প্রাথমিক সনাক্তকরণ দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করার মূল চাবিকাঠি।  এটি একজন চোখের ডাক্তার দ্বারা নিয়মিত চোখের পরীক্ষার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে।  যত আগে গ্লুকোমা শনাক্ত হয়, তত সহজে চিকিৎসা করা যায় এবং স্থায়ী অন্ধত্ব হওয়ার সম্ভাবনা তত কম।
আপনার যদি গ্লুকোমার উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি থাকে, তাহলে আরও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস রোধ করতে চোখের ডাক্তারের সাথে দেখা করা গুরুত্বপূর্ণ।  প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা আপনার দৃষ্টি সংরক্ষণ করতে এবং অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করতে পারে।

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৪ : তাৎপর্য—-

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস এই অবস্থা এবং এর ঝুঁকির কারণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয়।  গ্লুকোমা শনাক্ত করার জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করাতে উৎসাহিত করাও এর লক্ষ্য।  প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা দৃষ্টি হ্রাস এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।
বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কয়েকটি কারণ এখানে রয়েছে:

গ্লুকোমা বিশ্বব্যাপী অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ।

এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা অপরিবর্তনীয় দৃষ্টিশক্তি হারাতে পারে।

প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং চিকিত্সা দৃষ্টি ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

প্রথম দিকে গ্লুকোমা সনাক্ত করার জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ।

গ্লুকোমার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের, যেমন 40 বছরের বেশি বয়সী, তাদের নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা উচিত।

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস ২০২৪ : উদযাপনের উপায়—-

 

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উদযাপন এবং অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার অনেক উপায় রয়েছে।  এখানে কয়েকটি ধারনা:

বিশ্ব গ্লুকোমা দিবসের জন্য আপনার সমর্থন দেখাতে নীল পরিধান করুন।

আপনার সম্প্রদায়ের একটি গ্লুকোমা সচেতনতা ইভেন্টে যোগ দিন।

একটি গ্লুকোমা গবেষণা সংস্থাকে দান করুন।

গ্লুকোমা এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায় সে সম্পর্কে আরও জানুন।

আপনার গ্লুকোমার ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করুন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১১ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১১ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৮৭ – রুশ জেনারেল আইজাক নবোকভ।

 

১৮০৭ – ফরাসী চিত্রশিল্পী লুই বুলাঝেঁ।

 

১৮১২ – হরিচাঁদ ঠাকুর,বাংলার মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতা।

 

১৮৪০ – দার্শনিক, গণিতজ্ঞ ও বাংলা শর্টহ্যান্ড লিপির উদ্ভাবক দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

১৯১৫ – বিজয় হাজারে, ভারতীয় ক্রিকেটার।

 

১৯১৮ – শিশুসাহিত্যিক ও আকাশবাণীর ঘোষিকা ইন্দিরা দেবী।

 

১৯৩৭ – ভারতীয় বাঙালি মহিলা কবি বিজয়া মুখোপাধ্যায়।

 

১৯৩৯ – সাহিত‍্যিক বাণী বসু।

১৯৯৫ – চামপোকার জন্ম। অমিত চক্রবর্তী।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৩৯৯ – তৈমুর লঙ সিন্ধুনদ অতিক্রম করে ভারতে আসেন।

১৫০২ – পার্সিয়ার শাহ প্রথম ইসমাইলের অভিষেক হয় ।

১৭০২ – প্রথম ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা দ্য কোরান্ট প্রকাশিত হয় ।

১৭৮৪ – মহিশুরে টিপু সুলতানের সাথে ইংরেজদের শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত।

১৭৯৫ – কুর্দলার যুদ্ধে মারাঠাদের কাছে মোগল বাহিনী পরাজিত হয়।

১৮১২ – মার্শাম্যানের কলকাতার ছাপাখানা অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়।

১৮২৩ – আমেরিকায় প্রথম সাধারণ স্কুল চালু হয়।

১৯১১ – রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন তার পরলোকগত স্বামীর নামে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯১৭ – ব্রিটিশ বাহিনীর বাগদাদ দখল।

১৯১৮ – মস্কো বিপ্লবী রাশিয়ার রাজধানী হয় ।

১৯১৯ – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক।

১৯২০ – আমির ফয়সলের নিজেকে সিরিয়ার রাজা ঘোষণা।

১৯৩৫ – ব্যাংক অব কানাডা চালু হয় ।

১৯৩৮ – জার্মান বাহিনী অস্ট্রিয়ায় অনুপ্রবেশ করে।

১৯৪০ – যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্রিটেনে মাংসের রেশন চালু হয়।

১৯৪৮ – পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষার মর্যাদা না দেয়ায় পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। পুলিশ ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

১৯৪৯ – বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ব বাংলায় রাষ্ট্রভাষা দিবস পালিত হয়।

১৯৪৯ – দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার (পরে বাংলাদেশ অবজারভার) প্রকাশিত হয়।

১৯৬৬ – ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুকর্নো সেনাবাহিনীর জেনারেল সুহার্তোর কাছে ব্যাপক ক্ষমতা অর্পণে বাধ্য হন। পরে সুকর্নোকে সরিয়ে সুহার্তো নিজেই প্রেসিডেন্ট হন।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গ্রিস।

১৯৭৪ – সিসিলির এটনা গিরিশৃঙ্গে অগ্নুৎপাত ঘটে।

১৯৭৭ – মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করায় ব্রাজিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার ২৫ বছরের সামরিক চুক্তি বাতিল করে।

১৯৭৯ – সেন্ট্রাল ট্রিটি অরগানাইজেশন বা সেন্টো থেকে ইরান নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।

১৯৯০ – লিথুনিয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

১৯৯২ – পাঞ্জাবে শিখ জঙ্গীদের হাতে ১৭ হিন্দু শ্রমিক নিহত।

১৯৯৪ – এদুয়ার্দো ফ্রেই চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

১৯৯৯ – “ইনফোসিস” প্রথম ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি হিসাবে নাসডাক স্টক মার্কেট অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০০০ – ইউক্রেনে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে ৮১ শ্রমিক নিহত।

২০০৪ – স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে তিনটি স্টেশনে ১০টি বোমা বিস্ফোরণে ১৯১ জন নিহত এবং দুই হাজারের বেশি আহত হয়।

২০০৬ – হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের কারাগারে বলকানের কসাই হিসেবে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী স্লোবোদান মিলোসেভিচ পরলোকগমন করেন।

২০১৫ – মার্কিন-কিউবা সরাসরি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত ৷

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭৫৯ – ইংরেজ জেনারেল জন ফোর্বস।

১৮০৯ – ইংরেজ নাট্যকার ও কবি হান্না কাউলি।

 

১৮৭৩- শের আলী, তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভারতের ইংরেজ গভর্নর জেনারেল তথা বড়লাটকে হত্যা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

 

১৮৯৪ – রাজকৃষ্ণ রায় বিশিষ্ট নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।

 

১৯১৯ – ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়, বিখ্যাত বাঙালি কৌতুক লেখক।

১৯৩১ – জার্মান চিত্রপরিচালক ফ্রিডখি সুর্নাউ।

 

১৯৫৫ – নোবেল বিজয়ী স্কটিশ অণুজীব বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।

 

১৯৯১ – ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।

 

২০০৬ – হেগ অবস্থিত জাতিসংঘের কারাগারে বলকানের কসাই হিসেবে খ্যাত ৬৩ বছর বয়সী স্লোবোদান মিলোসেভিচের মৃত্যু হয়।

 

২০২০ – সন্তু মুখোপাধ্যায়, ভারতীয় বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মানুষের ব্যবহার –একটি বিশেষ পর্যালোচনা : দিলীপ  রায়।

 

কথিত আছে “মানুষের ব্যবহারই মানুষের পরিচয়” ।
রাস্তাঘাটে, ট্রেনে-বাসে, অলিতে-গলিতে, বাজার-হাটে, কান পাতলে শোনা যায় মানুষের ব্যবহারের দৈনন্দিন কড়চা । মুখরোচক বাহার । মানুষের হিতার্থে কিছু মানুষের নিঃস্বার্থ প্রয়াসের কাহিনীও দৈনন্দিন কড়চার প্রাসঙ্গিক অঙ্গ, যদিও সেটা সীমিত । সুতরাং মানুষের ব্যবহারের ব্যাখার ব্যাপ্তি, ব্যাপক । দৈনন্দিন জীবনে মানুষের ব্যবহারের ক্ষেত্রে বয়সের একটা প্রেক্ষাপট কাজ করে । বাচ্চা-হাল্কা-মধ্য  বয়স্ক মানুষদের ব্যবহারের বিন্যাসের পরিবর্তন  অহরহ । জনশ্রুতি, “হাল্কা বয়সের মানুষের কথা বলার মধ্যে প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে রাগান্বিত সুরের প্রাদুর্ভাব ঘটার সম্ভাবনা উজ্জ্বল । আবার বয়স্ক মানুষদের মধ্যে কথোপকথনে বা কথা বলার আদান-প্রদানে অনেক মার্জিত স্বভাবের পরিচয়, পরিলক্ষিত ।“ তাই  মানুষের ব্যবহারের প্রকাশ স্থান-কাল-পাত্র একটা অপরিহার্য প্রেক্ষিত । তাই বলা চলে, মানুষের ব্যবহারের প্রেক্ষাপট আলোচনার ক্ষেত্রে “নানা মুনির নানা মত” কথাটি ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক ।
ব্যবহারিক জীবনের সেকাল ও একালের দিকে তাকালে আগের দিনের মানুষের ব্যবহারের অনেক পরিবর্তন সহজেই অনুমেয় । যোগাযোগের প্রেক্ষাপটে আগের   মানুষের নিকট পোষ্ট অফিসের গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম । পোষ্ট কার্ডে চিঠি লেখার ভিতর দিয়ে মানুষের ব্যবহারের অবয়ব ফুটে উঠতো । তদানীন্তনকালের চিঠি লেখাটা ছিলো শিল্পকলার অপরিহার্য অঙ্গ । বর্তমান দৈনন্দিন জীবনে চিঠি লেখার সুঅভ্যাস প্রকৃত অর্থে নিস্প্রভ । কালের  নিয়মে এসে গেছে ডিজিটাল যুগ । টেক-সেভির সুবিধার বিভিন্ন স্তর । ইন্টারনেটের  ব্যবহারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা । যার ফলে হোয়াটস্‌ অ্যাপের মাধ্যমে মানুষ দূরের মানুষের সঙ্গে এমনকি সুদূর আমেরিকা, লন্ডন, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ইত্যাদি দেশের মানুষের সঙ্গে নিমেষের মধ্যে যোগাযোগ   । সুতরাং আজকের কম্পিউটারাইজেশনের যুগে মানুষের ব্যবহারিক জীবনও খানিকটা নয় অনেকটাই বদলে গেছে । একটা ঘটনার উল্লেখ এখানে প্রনিধানযোগ্য । রাস্তায় হাঁটা চলমান মানুষটিকে অন্য আর একজন বিশিষ্ট চলমান মানুষ তাঁর প্রয়োজনে জিজ্ঞাসা করলেন, “দাদা রেলওয়ে স্টেশনটি কোন্‌দিকে ?” কিন্তু রাস্তায় হাঁটা ঐ বিশিষ্টজন যাকে জিজ্ঞাসা করলেন সেই পথিকবর  শুনতেই পেলেন না ! কারণ তাঁর দুটি কানে হেড্‌ ফোনের তার গোঁজা । ঐ পথযাত্রী কানে হেড্‌ ফোন লাগিয়ে তাঁর প্রিয় গান শুনতেই তখন ব্যস্ত । এতেই স্পষ্ট, মানুষের ব্যবহারিক জীবনে টেক-সেভির প্রভাব অবর্ণনীয়  ।  অন্যদিকে  কম্পিউটারের ব্যবহারের দিকে তাকালে দেখা যায় আগে কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটা বড় টেবিলের প্রয়োজনীয়তা ছিলো অনস্বীকার্য । কিন্তু বর্তমানে টেবিল কম্পিউটারের জায়গায় ব্যবহার হচ্ছে ল্যাপটপ । যেটা সহজেই অল্প জায়গায় ব্যবহারযোগ্য । এতেই স্পষ্ট, ব্যবহারিক জীবনে মানুষ ডিজিটাল যুগের দিকে ধাবিত ।
( ২ )
মানুষ সমাজবদ্ধ জীব । সমাজবদ্ধভাবে একত্রে বসবাস করাটা মানুষের পরম্পরা । সুতরাং সমাজের প্রতি মানুষের দায়বদ্ধতা অনস্বীকার্য । দায়বদ্ধতার নিরিখে মানুষের ভূমিকা অগ্রগণ্য । এজন্য মানুষের মধ্যে প্রচলিত “বাবহারই মানুষের নিজস্ব অবয়ব” । সমাজের গণ্যমান্য মানুষজন যেমন শ্রদ্ধার পাত্র, তেমনি সাধারণ মানুষের আচরণও শ্রদ্ধার ক্ষেত্রে সমভাবে উল্লেখযোগ্য । আবার অন্যদিকে ব্যবহারিক আচরণও ক্রমপরিবর্তনশীল । যেমন আগে গুরুজন বা মাস্টারমহাশয় দেখলেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে গড় হয়ে প্রণাম করার রেওয়াজ সর্বজনবিদিত । নিদেনপক্ষে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করাটা ছিলো অবধারিত । আজকের যুগে গুরুজনদের শ্রদ্ধা জানানোর আগের ব্যবহারিক রীতির দৃশ্য স্পষ্টতই দুর্ল্ভ । সুতরাং সমাজের গণ্যমান্য  মানুষের প্রতি ব্যবহারের ধরণ আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক পরিবর্তন । সমাজের প্রতি কর্তব্যপরায়ণ, ব্যবহারের একটা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । তাই সঠিক ব্যবহার সমাজ উন্নয়নে আবশ্যক  ।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বেশভূষা ব্যবহারিক শ্রেণিবিন্যাসে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার দাবি রাখে । আমরা জানি পোষাক পরিচ্ছদ শরীর আবরণের বিশেষ মাধ্যম । কিন্তু দৈনন্দিন জীবনের প্রেক্ষাপটে বেশভুষারও পরিবর্তন লক্ষণীয় । সর্বকালেই ভাল পোষাকের গুণ সমাদৃত । পোষাক পরিধানেও মানুষের ব্যবহারিক রুচির বার্তা বহনের ধারক । আগে মানুষের মধ্যে ধুতি ও শাড়ি পরবার রেওয়াজ ছিলো সামাজিক রীতিনীতির অঙ্গ । এমনকি সামাজিকতার দিক থেকেও সর্বজনগ্রাহ্য ।  যার জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানে এমনকি স্কুল-কলেজে, কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের ধুতির ব্যবহার ছিলো সাবলীল । অন্যদিকে মহিলাদের শাড়ি ছিলো অঙ্গের ভূষণ, সৌন্দর্য্যে উৎকৃষ্টের পরম্পরা । সুতরাং বলা চলে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে রুচিশীল পোষাকের ব্যবহার শালীনতাবোধের ধারক ও বাহক। ইদানীং পোষাকের পরিবর্তন ভীষণভাবে চোখে লাগে  । স্বল্প পোষাক পরিচ্ছদে মানুষ অভ্যস্ত । কলেজের-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এমনকি যুব সমাজের মধ্যে স্বল্প পোষাকের ব্যবহার অহরহ । বয়স্ক মানুষও হাফ্‌-প্যান্ট-গেঞ্জি গায়ে ইদানীং বাজারে বাজার করতে স্বচ্ছন্দ । সপিং মলগুলিতে ঢুকলে বোঝা যায়, যুব সমাজ কতোটা স্বল্প পোষাকমুখি । সন্তানের মায়েরা পর্যন্ত ফ্রকে অভ্যস্ত । সুতরাং ব্যবহারিক জীবনে আজকের দিনের মানুষ হাল্কা ও স্বল্প পোষাকের দিকে বেশীমাত্রায় ঝুঁকছে  ।
( ৩ )
চলমান জীবনে নেশার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ । অথচ নেশার প্রকারভেদ দিন-দিন  পাল্টাচ্ছে । আগে নেশা বলতে ঐ বই পড়া । বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস মানুষের মধ্যে দেখা যেতো । ছেলেরা বিশেষ করে  ছাত্ররা ফুটবলের নেশায় মাঠে ছুটতো । চলমান জীবনে তখন ফুটবল খেলাটা ছিলো ভীষণ জনপ্রিয় । মেয়েদের মধ্যে অ্যাথলেটিক্স ছিলো অগ্রগ্ণ্য । তা ছাড়া খেলাধূলার সু্যোগ মেয়েদের ক্ষেত্রে খুব কম ছিলো । তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঐ রান-কিৎ কিৎ-ইত্যাদি খেলার নেশা উল্লেখের দাবী রাখে । আগে  রেডিও’র  গান শোনার কদর ছিলো চোখে পড়ার মতো । রেডিও ছিলো তদানীন্তনকালের আ্মোদপ্রমোদের উল্লেখযোগ্য  মাধ্যম । বিড়ি ও সিগারেট খাওয়ার নেশা মানুষের ব্যবহারিক জীবনে আগাগোড়াই কম । একালে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি পড়ার ধৈর্য  হতাশাজনক । বরং কম্পিউটারের মাউস ঘুরিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বজয়ের আকাঙ্খা প্রবল । রেডিও’র পরিবর্তে টি ভি’র ব্যবহার ঘরে ঘরে । সিনেমা দেখার জন্য সিনেমা হলে গিয়ে  সিনেমা দেখার প্রবণতা এখন কম । সুতরাং বলা চলে,  মানুষের ব্যবহারিক জীবনে নেশার পরিবর্তন ব্যপকভাবে পরিলক্ষিত ।
আজকের দিনে মোবাইলের ব্যবহার ষোলোআনা । অথচ আগে কোনো একটা পরিবারের বিশেষ করে মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য পোষ্ট অফিসে ছুটতে হতো টেলিগ্রাম করার জন্য । আজকের দিনে প্রায় মানুষের হাতে মোবাইল । মোবাইলে নেটের ব্যবহার সর্বত্র ।  আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সব ধরনের মানুষের মধ্যে রাস্তাঘাটে মোবাইলে নেট ব্যবহার করার দৃশ্য অনবরত । সুতরাং ব্যবহারিক জীবনে মোবাইলের কদর ছাত্র-ছাত্রী, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন, বাবা-মা, সকলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান । এটা বাস্তব যে, মোবাইলের সঠিক ব্যবহার সমাজ জীবন উন্নয়নে অগ্রগণ্য  ।
( ৪ )
চুরি করার ধরণও পরিবর্তনশীল । ব্যবহারিক জীবনে মানুষ চোরের উপদ্রব বলতে আগে যেটা বুঝতেন, চোর-ডাকাত রাত্রিবেলায় গৃহস্তের বাড়ি ঢুকে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেওয়ার রেওয়াজ । আজকের দিনে চোর বা ডাকাত বিভিন্ন আধুনিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করে ঘরে ঢুকে মূল্যমান সোনা-গয়নার অলংকার নিয়ে পালাতে অভ্যস্ত । চোর-ডাকাতদের  আর খাট্‌, রেফ্রিজারেটার, টি ভি, ইত্যাদিতে নজর নেই ।  সুতরাং চুরি-ডাকাতির ব্যবহারিক ধরণও ক্রমপরিবর্তনশীল । চুরি করার প্রক্রিয়াও আধুনিক ও  উন্নতমানের  ।
ব্যবহারিক ধরণ বা ব্যবহারের প্রয়োগের কাহিনী অনেক লম্বা । উপরের আলোচনার প্রেক্ষাপটে এটা সুস্পষ্ট যে,  কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে ব্যবহারের পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান । তবে গঠনমূলক ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহার সমাজজীবনে উন্নয়নের হাতিয়ার । বাস্তবসম্মত ও রুচিসম্মত ব্যবহার অবশ্যই কাম্য । প্রকৃত ব্যবহার শিক্ষার যেমন অঙ্গ তেমনি মানুষের মধ্যে চেতনা বিকাশের নিশানা । সুতরাং সমাজ উন্নয়নে  সঠিক ব্যবহারের ভূমিকা অনস্বীকার্য ।
—–০——-

Share This