Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

আশির দশক থেকেই সাড়া জাগানো জনপ্রিয় লেখিকা – বাণী বসু’র জন্মদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি ।

বাণী বসু একজন সমসাময়িক ভারতীয় বাঙালি লেখিকা – উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা লেখেন, অনুবাদও করেন। বাণী বসু আশির দশক থেকে একাধিক সাহিত্য পুরস্কার ও সম্মানে সম্মানিত।  তিনি ১১ মার্চ, ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি বিজয় কৃষ্ণ গার্লস কলেজের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন।  ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক  করার পর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম.এ.  করেন।  শিক্ষার প্রথম স্থান ছিল লেডি ব্রেবোর্ন কলেজ, কলকাতা এবং তারপরে স্কটিশ চার্চ কলেজ।

ছাত্রী জীবন থেকেই বাণী বসু নানা প্রবন্ধ, অনুবাদ গল্প ও কবিতা রচনায় পারদর্শিতার নজির রাখেন। ১৯৮১তে তার প্রথম গল্প আনন্দমেলা ও দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । শারদীয়া আনন্দলোকে ১৯৮৭তে তাঁর  প্রথম উপন্যাস জন্মভূমি মাতৃভূমি প্রকাশিত হয় । কিন্তু তার আগেই তার অনেক অনুবাদ প্রকাশিত ও আদৃত হয়েছে। তাঁর উল্লেখ্য অনুবাদগুলি হলঃ শ্রী অরবিন্দের সনেটগুচ্ছ, সমারসেট মমের সেরা প্রেমের গল্প  ও এইচ ডি লরেন্সের সেরা গল্প।

রচিত উপন্যাস——–

তাঁর রচিত উপন্যাস গুলি হলো – উত্তরসাধক, পঞ্চম পুরুষ, বাইরে, অন্তর্ঘাত, কিনার থেকে কিনারে, মেয়েলি আড্ডার হালচাল, রাধানগর, দিদিমাসির জিন, জন্মভূমি মাতৃভূমি, মৈত্রেয় জাতক, অমৃতা, নূহর নৌকা, সুরূপা কুরূপা, অষ্টম গর্ভ, অষ্টম গর্ভ (দ্বিতীয়), খনামিহিরের ঢিপি, ক্ষত্তা, কালিন্দী, কৃষ্ণ, পাঞ্চাল কন্যা কৃষ্ণা, সুযোদন দূর্যোধন, কৃষ্ণ বাসুদেব, কাক জ্যোৎস্না, অল লেডিস ভ্রমণ, একুশে পা, ট্রেকার্স, অশ্বযোনি, ফেরো মন।

পুরস্কার ও সম্মাননা——–

তারাশঙ্কর পুরস্কার (১৯৯১);  আনন্দ পুরস্কার – (মৈত্রেয় জাতক): ১৯৯৭ ; বঙ্কিম পুরস্কার ( ১৯৯৯);  ভুবনমোহিনী দাসী স্বর্ণপদক (২০০৮), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার – (খনামিহিরের ঢিপি): ২০১০।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও আজকের সমাজ : স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)।

আমরা ভারতীয়, আমাদের কর্মময় জীবন, এবং ধর্মময় মনপ্রাণ। কিন্তু, আমাদের সমাজে আজ পাল্টে গেছে মানুষের চিন্তাধারা। কিছু বছর আগেও মানুষে মানুষে প্রেম ও গভীর ভালোবাসা ছিল। বিশুদ্ধ বিশ্বাস ছিল, নির্ভরতা ছিল। একে অপরের প্রতি প্রচন্ড বিশ্বাস ছিল। প্রকাশ ছিল কম অনুভব ছিল বেশী। এখন প্রকাশ বেশী অনুভব কম। মনের ব্যাকুলতা, অফূরন্ত বিশ্বাস, ধৈর্য্য, ভালোবাসা  আর কিছু অবশিষ্ট নাই। আজ আমরা মোবাইল আর টাকার গোলাম হয়ে পড়েছি। আজ মোবাইলের কারণে পরিবারের মধ্যে একে অপরের সাথে ভালো সুসম্পর্ক নেই। সর্বদা মোবাইলে ব্যস্ত থাকায় পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কুশল বিনিময় হয় না, কারো সাথে ভালোভাবে কথা বলার সময় নেই। ফলে সবার উপর থেকে সম্মান, স্নেহ,আদর্শ, ভালবাসা, গুরুত্ব সবই কমে যাচ্ছে। সবাই আজ মেশিন। আর তারপর আসে আমাদের সমাজে টাকার কথা। শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আজ ব্যবসায় পরিণত। সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগনও টাকার গোলাম আজ, যেন তেন প্রকারেন টাকা চাই। সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগন ও টাকা টাকা করে ন্যায় অন্যায় এর পার্থক্য ভুল ভাবে করছে। এখন টাকা সবার  স্ট্যাটাস সিম্বলে পরিণত। সমাজে আমরা আজ আরও টাকা চাই, আরও টাকা চাই, মানুষ আজ টাকার দাস। সবাই আজ মোবাইল আর টাকার পাগল।

একটি গল্পের মাধ্যমে চরম বাস্তবটা অনুভব করার চেষ্টা করি। আমার এক সুপরিচিত বিশাল শিল্পপতি। ১২ টার উপর ফ্যাক্টরি, শত কোটি টাকার উপর ব্যাংক  ব্যালেন্স। এক মুহূর্তের জন্য শান্তি নেই। সারাদিন ব্যাস্ত টাকার দুনিয়ার পেছনে। একদিন তাঁর অফিসে বসে গল্প করছিলাম, এমন সময় তাঁর এক কর্মচারী  আসল। তার কোন কারণে কিছু টাকার দরকার। সে বলল, সে অত্যন্ত অভাবী ব্যক্তি, তাঁকে কিছু সাহায্য করার জন্য। শিল্পপতি হেসে বলল যদি অভাবের কথাই বলতে হয়, এই পুরো অফিসে আমার চেয়ে অভাবি আর কেউ নেই। আমরা একটু থতমত হয়ে গেলাম। বললাম আমাদের সবার মিলিয়ে যত সম্পদ আছে আপনার একারই তার অনেক বেশি সম্পদ আছে।

সে বলল আপনাদের একটা গল্প বলি। তাহলেই আমার অভাবের রহস্য বুঝবেন। এক বিশাল ব্যবসায়ি, তাঁর সবই আছে খালি শান্তি নেই। খালি হাহাকার আর টেনশান। চিন্তায় মাথার চুল নেই। সে একদিন দেখল তাঁর অফিসের এক অফিস কর্মী টেবিল মুছছে আর গুনগুন করে গান গাচ্ছে। সে কর্মীকে ডেকে বলল এই যে তুমি মনে মনে গান গাও, তোমার কি অনেক সুখ, তোমার মনে কি কোন দুঃখ নেই, কোন হতাশা নেই?  কর্মী বলে না, হতাশা কেন থাকবে স্যার, আপনি যা বেতন দেন তা দিয়ে  আমার ভালই চলে যায়। ভগবানের ইছায় আমার কোন অভাব নেই।

ব্যবসায়ী তো আরো টেনশানে পড়ে গেলেন। ওনার ম্যানেজারকে ডেকে বললেন, আমার সব আছে কিন্তু শান্তি নেই, আর ওই লোককে আমি সামান্য কয়টা টাকা বেতন দিই, সে আছে মহা সুখে, এর রহ্স্যটা কি? ম্যানেজার বলল, রহস্য বললে বুঝবেন না। সত্যই যদি বুঝতে চান তাহলে, ওই কর্মীকে প্রমোশান দিয়ে একটা বড় পোস্টে দিন। আর তাঁকে ১০/১২ লক্ষ টাকা দিয়ে দিন। এরপর দেখুন। ব্যবসায়ি তাই করল। এতোগুলো টাকা, আর এতবড় চাকরি পেয়ে কর্মী আনন্দে আত্মহারা। বাড়িতে ও সবাই খুশি। যেহেতু এখন অফিসার হয়ে গেছে, এখন তো আর টিনের ঘরে থাকা যায় না। সহকর্মীরা কি মনে করবে।

প্রথমেই  বাসস্থান পরিবর্তন করে আরেকটু অভিজাত এলাকায় এপার্টমেন্টে উঠলো। দেখল, বিল্ডিং এর সবাই সন্তানকে বড় স্কুলে পাঠায়, তাই বাচ্চার স্কুলও পরিবর্তন করতে হল। কিছুদিন পড় বউ ঘ্যনঘ্যন শুরু করলো সবার বাড়িতে কত দামি আসবাব, ফ্রিজ, টিভি, আর আমাদের বাড়িতে  কিচ্ছু নেই। ও গুলোও কিনতে হোল। এরপর শুরু হোল বাচ্চার প্রাইভেট টিউশান, নানা রকম দাবি দাবা। আগে পূজায় একজোড়া জুতা পেয়েই সবাই কত খুশি হত, আর এখন প্রতি মাসে একজোড়া দিলেও তৃপ্তি নেই। যেহেতু সে এখন বড় চাকরি করে , পরিবারের সবার তাঁর কাছে প্রত্যশাও অনেক। সাধ্যমত চেষ্টা করে, তাও সবার চাহিদা মেটাতে পারেনা। আত্মীয় স্বজন বন্ধুগন তাকে অহংকারি ভেবে দুরে সরে গেলো।

এদিকে অফিসের সবাই ফ্ল্যাট বুকিং দিচ্ছে। বৌ সারাদিন বাড়িতে খোটা দেয় , তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না। ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সে চাকরির ফাকে  অন্য আয় কিছু শুরু করলো। তাতেও কিছু হয় না। নানাবিধ টেনশান আর দুশ্চিন্তায় তারো মাথার চুল  কমতে লাগলো। ব্যবসায়ি লক্ষ করলেন ব্যপারটা। উনি বললেন কি ব্যপার , তোমাকে এতো বড় প্রমোশান দিলাম, এতো টাকা দিলাম, আর এখন দেখি তুমি আগের মত আর প্রাণবন্ত নেই। ঘটনা কি?

সে বলল স্যার , কিছু  সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু তাঁর সাথে যে এতো চাহিদা আর অভাব আসবে তাতো আর বুঝিনি। আগে আমার কিছুই ছিলনা, অভাবও ছিলনা। আর এখন যেদিকেই তাকাই , খালি নাই আর নাই। আগে আমার অভাব পড়লেও সেটা ছিল এক দুই হাজারের ব্যপার। কোন ভাবে মেটান যেত। আর এখন আমার অভাব লক্ষ কোটি টাকার। এটা কিভাবে মেটাবো সে চিন্তায় আমার এখন আর রাতে ঘুম আসেনা স্যার। ব্যবসায়ি বলল, এতদিনে বুঝলাম, আমার মুল অসুখ।  টাকার আর সম্পদের সাথে অভাব আসে। যতই টাকার দুনিয়ার পিছনে ছুটি, এই অভাব আর অন্য কিছু দিয়েই পূর্ণ হবেনা।

সন্ন্যাসী মানুষগনও শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা মাথায় তুলতে পারলে ভুলে যায়, তার আশেপাশের মানুষেরাই তাকে শ্রেষ্ঠ করে তুলেছিল। অহংকারের চূরায় অধিষ্ঠিত হয়ে নিজেকে চরম উচ্চস্থানে তুলে এই আমিত্ব। এখানেই মানুষের নৈতিক পরাজয় ঘটে। জাগতিক প্রাপ্তির অহংকারে গা না ভাসাতে শিখতে হয়। বোধটুকু কাজে লাগাতেই হয়। তবেই না মান+হুশ = মানুষ হওয়া যায়। তবে মানুষকে ভালোবাসতে শিখতে হয়, ভাল-তে বাস করতে শিখতে হয়। প্রেম বুঝতে হয়, প্রেম শিখতে হয়। সব সময় আরও টাকা চাই, আরও টাকা চাই নয়।

আমাদের সমাজে আজ আদর্শ শিক্ষক, আদর্শ ডাক্তার কোথায়? শিক্ষা,স্বাস্থ্য, আজ ব্যবসায় পরিণত। আজ নেট দুনিয়া আমাদের সমাজকে পরিচালনা করছে।আজ আমাদের সমাজে সাধু মহারাজ, সর্ব ত্যাগী সন্ন্যাসীগনও টাকা টাকা করে পাগল, কথাগুলি অপ্রিয় হলেও সত্যি। আজ সরকারি কাঠামো ভেঙে পড়ছে, কোথায় আজ বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, সুভাষ এর আদর্শ?  স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল আজ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত। তাই আসুন আমরা সবাই সচেতন হই, মোবাইল আর টাকার  পিছনে ছোটাছুটি কম করি। আমাদের সমাজে সুসম্পর্ক চিন্তা, ভাবনা, কল্পনা, আনন্দ, অনুভূতি, মনের ব্যাকুলতা, অফূরন্ত বিশ্বাস, আর ভালোবাসা  প্রয়োজন।
তাই  বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন:-“মানুষ কি চায় — উন্নতি, না আনন্দ? উন্নতি করিয়া কি হইবে যদি তাহাতে আনন্দ না থাকে? আমি এমন কত লোকের কথা জানি, যাহারা জীবনে উন্নতি করিয়াছে বটে, কিন্তু আনন্দকে হারাইয়াছে।” আসুন পরিবর্তন করার চেষ্টা করি। বাস্তববাদী হওয়ার চেষ্টা করি।***
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!

 


স্বামী আত্মভোলানন্দ l

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় বাঙালি লেখক এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এর প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতীয় বাঙালি লেখক এবং বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ এর  জন্ম ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯০৯ বিহারের হাজারীবাগে।  আদি নিবাস বর্তমান বাংলাদেশের ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বহর গ্রামে।  তিনি হাজারীবাগের সেন্ট কলম্বাস কলেজের ছাত্র ছিলেন।  প্রখ্যাত দার্শনিক ও গবেষক মহেশ ঘোষের গ্রন্থাগারে অধ্যয়ন করতেন।  প্রত্নতত্ত্ব, পুরাতত্ত্ব এমনকি সামরিক বিদ্যায় তার যথেষ্ট দক্ষতা ছিল।

তিনি বিহারের আদিবাসী এলাকায় বাস কন্ডাক্টর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।  এরপর তিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় সার্কাস ক্লাউন, বোম্বে পৌরসভায় চতুর্থ শ্রেণীর চাকরি, চা ব্যবসা, বেকারি ব্যবসা, মালগুদামে স্টোর কিপার ইত্যাদিতে কাটিয়েছেন। তিরিশের দশকের শেষের দিকে তিনি আনন্দবাজার পত্রিকার সাপ্তাহিক বিভাগে সহকারী হন।  সংবাদপত্র  16 আগস্ট, 1946 সালে, তিনি গান্ধীজির সাথে উত্তর দাঙ্গা-বিধ্বস্ত নোয়াখালীতে যান এবং দাঙ্গা এবং দাঙ্গা-পরবর্তী সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিজ্ঞতা সংগ্রহ করেন।  অনামি সংঘ (বা চক্র) নামক তরুণ লেখকদের একটি সভায় বন্ধুদের অনুরোধে সুবোধ ঘোষ পরপর দুটি গল্প লিখেছিলেন,  অযান্ত্রিক এবং ফসিল, যা বাংলা সাহিত্যে এক অসাধারণ আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল।

তার লেখালেখির কালপর্ব ১৯৪০ থেকে ১৯৮০। বাংলা সাহিত্যের অঙ্গনে একটু বেশি বয়সে যোগদান করেও নিজস্ব মেধা মনন চিন্তা চেতনা আর লব্ধ অভিজ্ঞতার আলোকে সুবোধ ঘোষ তার অসাধারণ রচনা সম্ভাবের মাধ্যমে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হন।  বিশেষ করে তার ‘অযান্ত্রিক’ এবং ‘ফসিল’-এর মত বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী গল্প।

সাহিত্য কর্ম——

প্রথম গল্প ‘অযান্ত্রিক’, এরপর ‘ফসিল’। তার আর একটি বিখ্যাত গল্প ‘থির বিজুরি’। এছাড়াও, জতুগৃহ, ভারত প্রেমকথা (মহাভারতের গল্প অবলম্বনে রচিত),। সুবোধ ঘোষের প্রথম উপন্যাস হল তিলাঞ্জলি। গঙ্গোত্রী, ত্রিযামা, ভালোবাসার গল্প, শতকিয়া প্রমূখ।

চলচ্চিত্রায়ণ——–

অযান্ত্রিক (ঋত্বিক ঘটক পরিচালিত, ১৯৫৮) জতুগৃহ (১৯৬৪)।

সম্মাননা—–

আনন্দ পুরস্কার , শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার হিসেবে সুজাতা চলচ্চিত্রের জন‍্য – ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (১৯৫৯), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী পদক।

১০ মার্চ ১৯৮০ সালে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক সমরেশ মজুমদার এর জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

সমরেশ মজুমদার একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক ও ঔপন্যাসিক। শহরকেন্দ্রিক জীবনের আলেখ্য বারবার উঠে এসেছে তার লেখায়। যে কারণে তাকে আপাদমস্তক ‘আরবান’ লেখক বলে অনেক সময় বর্ণনা করা হয়।

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা—–

সমরেশ মজুমদার ১৯৪২ সালের ১০ই মার্চ  পশ্চিমবঙ্গের গয়েরকাটায় জন্মগ্রহণ করেন।পিতা কৃষ্ণদাস মজুমদার ও মাতা শ্যামলী দেবী। তার শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সের গয়েরকাটা চা বাগানে। ভবানী মাস্টারের পাঠশালায় তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়।  এরপর বিদ্যালয়ের পাঠ জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে । তিনি কলকাতায় আসেন ১৯৬০ সালে। বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

 

সাহিত্য চর্চা—–

 

কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে যুক্ত ছিলেন।  গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি তার ছিল প্রবল অনুরাগ।  তাঁর প্রথম গল্প “অন্যমাত্র” একটি মঞ্চ নাটক হিসাবে রচিত হয়েছিল এবং সেখান থেকেই লেখক হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল।  তাঁর লেখার আরেকটি সংস্করণ 1967 সালে দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস “দৌড়” 1975 সালে দেশে প্রকাশিত হয়েছিল। তিনি তাঁর লেখা গল্প বা উপন্যাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি;  ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী থেকে শুরু করে গোয়েন্দা গল্প পর্যন্ত, তিনি কিশোর উপন্যাস লেখায় প্রবল।  তার প্রতিটি উপন্যাসের বিষয়বস্তু ভিন্ন, লেখার গতি ও গল্প বলার ধরন পাঠকদের নাড়া দেয়।  চা বাগানের মাদেশিয়া সমাজ থেকে কলকাতার নিম্নবিত্ত মানুষ রক্তমাংসে তার কলমে এসেছে।

 

গ্রন্থ তালিকা——

সমরেশ মজুমদারের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলির মধ্যে  ভিক্টোরিয়ার বাগান, আট কুঠুরি নয় দরজা, অনুরাগ, সাতকাহন, তেরো পার্বণ, স্বপ্নের বাজার, উজান, গঙ্গা,ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার ট্রিলজি ‘উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ’ বাংলা সাহিত্য জগতে তাকে বিশেষ খ্যাতির অধিকারী করেছে।

জলছবির সিংহ, মেয়েরা যেমন হয়, একশো পঞ্চাশ (গল্প সংকলন), ভালবাসা থেকে যায়, নিকট কথা, ডানায় রোদের গন্ধ, উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষ, সত্যমেব জয়তে,  আকাশ না পাতাল, তেরো পার্বণ, সওয়ার, টাকাপয়সা, তীর্থযাত্রী, কলিকাল, স্বপ্নের বাজার, কলকাতা, অনুরাগ, তিনসঙ্গী, ভিক্টোরিয়ার বাগান, সহজপুর কতদূর, অনি, সিনেমাওয়ালা, গর্ভধারিণী, হৃদয় আছে যার, সর্বনাশের নেশায়, ছায়া পূর্বগামিনী, এখনও সময় আছে, স্বনামধন্য, আমাকে চাই, উজান গঙ্গা, কষ্ট কষ্ট সুখ, কুলকুণ্ডলিনী, কেউ কেউ একা, জনযাজক, সূর্য ঢলে গেলে, আশ্চর্যকথা হয়ে গেছে, অগ্নিরথ, অনেকই একা, আট কুঠুরি নয় দরজা, আত্মীয়স্বজন, আবাস, জলের নিচে প্রথম প্রেম, জ্যোৎস্নায় বর্ষার মেঘ, দায়বন্ধন, দিন যায় রাত যায়, দৌড়, বড় পাপ হে (গল্প), বিনিসুতোয়, মনের মতো মন, মেঘ ছিল বৃষ্টিও, শরণাগত, শ্রদ্ধাঞ্জলি, সাতকাহন, সুধারানী ও নবীন সন্ন্যাসী, হরিণবাড়ি, কইতে কথা বাধে, মধ্যরাতের রাখাল, আকাশে হেলান দিয়ে, কালোচিতার ফটোগ্রাফ, আকাশকুসুম, অহংকার, শয়তানের চোখ, হৃদয়বতী, স্বরভঙ্গ, ঐশ্বর্য, আকাশের আড়ালে আকাশ, কালাপাহাড়, সন্ধেবেলার মানুষ, বুনোহাঁসের পালক, জালবন্দী, মোহিনী, সিংহবাহিনী, বন্দীনিবাস, মৌষলকাল, মানুষের মা, গঙ্গা, বাসভূমি, লক্ষ্মীর পাঁচালি, শেষের খুব কাছে, জীবন যৌবন, আহরণ, বাসভূমি, এত রক্ত কেন, এই আমি রেণু, উনিশ বিশ।

পুরস্কার ও সম্মাননা——

আনন্দ পুরস্কার -১৯৮২; বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার, দিশারী ও চলচিত্র প্রসার সমিতি – শ্রেষ্ঠ স্ক্রিপ্ট রাইটার – ১৯৮২; সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, ১৯৮৪; বঙ্কিম পুরস্কার – ২০০৯; বঙ্গবিভূষণ – ২০১৮, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত। চিত্রনাট্য লেখক হিসাবে জয় করেছেন বিএফজেএ, দিশারী এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির এওয়ার্ড। সমরেশ কলকাতা ও বাংলাদেশএর সর্বকালের অন্যতম সেরা লেখক হিসাবে পাঠকমন জয় করেছেন।

মৃত্যু—–

২০২৩ সালের ২৫ই এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত সমস্যার কারণে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই ৮ই মে তিনি প্রয়াত হন।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

জীবন বদলে দেওয়া মনীষীদের সেরা কিছু বাণী।

১) “মানুষের অন্তর্নিহিত পরিপূর্ণ বিকাশই হল শিক্ষা।”  – স্বামী বিবেকানন্দ।

 

২)  “জীবন ও সময় হলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক। জীবন শেখায় সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে আর সময় শেখায় জীবনের মুল্য দিতে।” – এ.পি.জে আব্দুল কালাম

৩) “আমরা যে মানবজীবন পেয়েছি তা হল আদর্শ মানবজীবন গড়ে তোলার উপকরণ।” – সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন

৪)  “মানুষের কথা-বার্তায় ক্রোধ বা রাগের পরিমান খাবারের লবনের মত। যা পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।” – প্লেটো

৫)  “অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।” – শেক্সপিয়র

৬)  “মূর্খের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর নিদ্রা শ্রেয়।” – আল হাদিস

৭)  “মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্তই তার অধীন।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৮) ”সুখে থাকাই জীবনের চরম সার্থকতা নয় বরং কাউকে সুখে রাখতে পারাটাই হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সার্থকতা।” – রেদোয়ান মাসুদ।

৯)  “দেশপ্রেমিকের রক্তই স্বাধীনতা বৃক্ষের বীজ স্বরূপ।” – টমাস ক্যাম্পবেল।

১০)  “নদীতে স্রোত আছে তাই নদী বেগবান, জীবনে দ্বন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্র্যময়।” – টমাস মুর।

১১) “স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।” – শেখ মুজিবুর রহমান

১২)  “প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১৩) “জ্ঞানীকে চেনা যায় নীরবতা থেকে, আর মূর্খকে তার বক্তব্য থেকে।” – পিথাগোরাস।

১৪)  “আমাদের সমস্ত স্বপ্ন সত্যি হতে পারে যদি আমরা তাদের অনুসরণ করার সাহস পাই।” – ওয়াল্ট ডিজনি

১৫) “বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকার। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক বেশি কাম্যস” – চাণক্য

১৬) “সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না।” – কনরাড হিলটন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ১০ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ১০ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭৭২ – ফ্রিড্‌রিশ ফন শ্লেগেল, জার্মান কবি।

 

১৭৮৪ – ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেববাহাদুর।

 

১৮১০ – স্যামুয়েল ফার্গুসন, আইরিশ কবি।

১৮৭৩ – ইয়াকপ ওয়াসায়মান, জার্মান ঔপন্যাসিক।

১৮৮৮ – ব্যারি ফিটজগেরাল্ড, তিনি ছিলেন আইরিশ অভিনেতা।

 

১৯১১ – ওয়ার্নার অ্যান্ডারসন, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।

১৯২৩ – ভ্যাল লজ্‌স্‌ডন ফিচ, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

 

১৯৩২ – আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী উড়ুপি রামচন্দ্র রাও জন্ম গ্রহণ করেন।

 

১৯৩৬ – সেপ ব্লাটার, ফিফার ৮ম প্রেসিডেন্ট (বর্তমান)।

 

১৯৪২ – সমরেশ মজুমদার ভারতের বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক।

১৯৫০ – মাহফুজ উল্লাহ, বাংলাদেশি লেখক, সাংবাদিক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও পরিবেশবিদ।

১৯৫৬ – রবার্ট লয়েওয়েল্ল্যন, তিনি ইংরেজ অভিনেতা ও লেখক।

১৯৬৮ – ফেলিচে এরিনা, তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেখক।

 

১৯৭০ – ওমর আব্দুল্লাহ, ভারতীয় রাজনীতিবিদ।

 

১৯৭৮ – নিল আলেকজান্ডার, তিনি স্কটিশ ফুটবল খেলোয়াড়।

১৯৮৪ – অলিভিয়া ওয়াইল্ড, তিনি আমেরিকান অভিনেত্রী ও প্রযোজক।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫৮৫ – সম্রাট আকবরের ফরমান জারি : আমির ফতেহউল্লাহ সিরাজী উদ্ভাবিত বাংলা ফসলী সন প্রবর্তিত হয়। এই সনই বর্তমানে প্রচলিত বাংলা সন।

১৬২৪ – ইংল্যান্ড ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

১৮০১ – প্রথম ব্রিটিশ লোকগণনা শুরু হয়।

১৮৭৬ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার নব আবিস্কৃত টেলিফোনের মাধ্যমে প্রথম বার্তা প্রেরণ করেন।

১৯০৭ – ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাপ্তাহিক ‘স্বরাজ’ সম্পাদনা শুরু করেন।

১৯১৯ – মিশর তেকৈ সাঈদ জগলুল পাশাকে বহিষ্কারের ফলে কায়রোতে জাতীয়তাবাদের দাঙ্গা শুরু।

১৯৩৪ – ব্রিটিশ রাজ বাংলার কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

১৯৪২ – জাপানিরা রেঙ্গুন দখল করে নেয়।

১৯৪৫ – যুক্তরাষ্ট্রের এয়ারফোর্স জাপানে ফায়ার বোমা নিক্ষেপ করে। এতে লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়, যার বেশির ভাগই বেসামরিক।

১৯৫৬ – বৈমানিক পিটার টুইস প্রথম মানব যিনি ঘণ্টায় ১০০০ মাইল বেগে বিমান চালনা করেন।

১৯৬৯ – মার্টিন লুথার কিং-এর হত্যাকারী জেমস আর্ল রে-কে যুক্তরাষ্ট্রের মেফিস আদালত ৯৯ বছরের সাজা প্রদান করেন।

১৯৭০ – ভিয়েতনামের মাইলাই গ্রামে বর্বরোচিত গণ-হত্যার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর ক্যাপটেন আরর্নেস্ট মেডিনা এবং অপর চার সৈন্যকে অভিযুক্ত করা হয়।

১৯৭১ – ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন ভারতের কংগ্রেস পার্টি সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক বিজয় লাভ করে।

১৯৭২ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে সোয়াজিল্যান্ড।

১৯৭৪ – বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।

১৯৯৩ – মিশরে মৌলবাদ দমন অভিযান। পুলিশের গুলিতে ২০ মুসলমানের প্রাণহানি।

২০০০ – দক্ষিণ আমেরিকার আন্দাজ পর্বতমালার পূর্বাঞ্চলীয় এলাকার এক মরুভূমিতে পৃথিবীর বৃহত্তম ডাইনোসোরের কঙ্কাল আবিষ্কার।

২০২০ – জয় বাংলাকে হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান ঘোষণা

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৮১১ – হেনরী ক্যাভেল ভিলন, বিজ্ঞানী।

১৮৭২ – মাৎসিনি, ইতালীয় জাতীয়তাবাদী নেতা।

১৮৯৭ – ভারতের মহারাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক শিক্ষাব্রতী ও কবি সাবিত্রীবাই ফুলে প্রয়াত হন।

১৯৪০ – মিখাইল বুলগাকভ, রুশ নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।

১৯৬৬ – ফ্রাঙ্ক ও’কনার, আইরিশ ছোট গল্পকার।

১৯৬৬ – ফ্রিৎস জের্নিকে, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ডাচ পদার্থবিদ ও একাডেমিক।

 

১৯৭২ – বিদগ্ধ সাহিত্যিক ও ইতিহাসবেত্তা হরিহর শেঠ।

 

১৯৮০ – সুবোধ ঘোষ, বাঙালি কথাসাহিত্যিক।

১৯৮৩ – আতিকুজ্জামান খান, বাংলাদেশী কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং ক্রীড়া ভাষ্যকার।

 

১৯৮৮ – অ্যান্ডি গিব্ব, তিনি ছিলেন ইংরেজি থেকে অস্ট্রেলিয়ান গায়ক।

১৯৯৮ – লয়েড ব্রিজেস, তিনি ছিলেন আমেরিকান অভিনেতা।

 

২০০৩ – নীলুফার ইয়াসমীন, বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী।

 

২০১২ – ফ্রাঙ্ক শেরউড রোল্যান্ড, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
গল্প প্রবন্ধ

মহাদেবের স্বপ্নাদেশেই ১০৮ টি শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র, রইল শিবনিবাসের অজানা তথ্য।

শিবনিবাস বাংলার ইতিহাস খ্যাত ও পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ এক প্রাচীন স্থান। পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার শিবনিবাসকে বাংলার কাশী বলা হয়। দেবাদিদেব শিব মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের স্বপ্নে হাজির হয়েছিলেন। হিন্দু ধর্মে মহা শিবরাত্রির মাহাত্ম্য অনেক। পুণ্যার্থীরা শিবের জন্যে ব্রত পালন করেন। দিনভর চলে নানা ধর্মীয় রীতি পালন। এমনকি অনেক জায়গায় শিবরাত্রি উপলক্ষে নানা মেলাও হয়। মন্দিরে তো বটেই, বাড়িতে বাড়িতেও পুজো হয় মহাদেবের। ‘হড় হড় মহাদেব’ উচ্চারণ করে তারকেশ্বর দেশের ভিন্ন প্রান্তে বাবার মাথায় জল ঢালতে ভক্তদের সমাগম হয়। প্রায় এক মাস আগে থেকে চলে প্রস্তুতি। শিবরাত্রির আগে, রইল পশ্চিমবঙ্গে নদীয়া জেলায় অবস্থিত ‘শিবনিবাস’ এর অজানা নানা কথা।শিবনিবাস বাংলার ইতিহাস খ্যাত ও পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ এক প্রাচীন স্থান। পশ্চিম বাংলার নদীয়া জেলার শিবনিবাসকে বাংলার কাশী বলা হয়। যদি এক্ষেত্রে কাশীর মতো গঙ্গা নদী বয়ে যায়নি। তবে এখানে এই মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে চুর্ণী নদী। জনশ্রুতি আছে যে, দেবাদিদেব শিব মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের স্বপ্নে হাজির হয়েছিলেন। তাঁকে বলেছিলেন যে, তিনি কাশি থেকে তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত করছেন। তাই মহাদেবকে সন্তুষ্ট করতে মহারাজা শিবনিবাসে তাঁর নতুন রাজধানী স্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর সম্মানে ১০৮ টি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।

তবে ইতিহাসবিদরা আরও কিছু যুক্তি দিয়েছেন। কেউ কেউ বলেন, আঠারো শতকের মাঝামাঝি মহারাজা আক্রমণকারী মারাঠাদের হাত থেকে তাঁর রাজধানী কৃষ্ণনগরকে বাঁচানোর জন্য এটিকে শিবনিবাসে স্থানান্তরিত করেন, যা চূর্ণী নদীর তীরে ঘিরে ছিল। ফলে আক্রমণকারীদের কাছ থেকে তিনি কিছুটা সুরক্ষিত থাকতেন। তাঁর রাজধানী স্থানান্তরিত হওয়ার পরে মহারাজা সম্ভবত এই জায়গাটির নাম ‘শিবনিবাস’-এ নামকরণ করেন। লোকেদের বিশ্বাস, এটি মহাদেব নিজেই করেছেন। আবার অনেকে বলেন, এই নামটি তাঁর পুত্র শিবচন্দ্রের নামে রাখা হয়েছিল।মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজত্বকালে (১৭২৮-১৭৮২) বাংলায় সাংস্কৃতিক বিপ্লব হয়েছিল। তাঁর জ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি তাঁকে বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসে একটি অনন্য স্থান দিয়েছে। তাঁর নবরত্ন (নয়টি রত্ন) সভা এখনও বাংলার সাংস্কৃতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মন্দিরের ছাদ ধালু এবং গম্বুজ রয়েছে।তিহ্যবাহী বাঙালি কাঠামো অনুসরণ করে না।

এই মন্দিরে যেমন আছে পোড়ামাটি কাজ, তেমন ইসলামিক ও গথিক কাজও দৃশ্যমান। এখানের সবচেয়ে বড় শিব মন্দিরটি বুড়ো শিব নামে পরিচিত। চূড়া সমেত মন্দিরের উচ্চতা ১২০ ফুট। মন্দিরের ভেতরের শিবলিঙ্গের পূর্ব ভারতের সবচেয়ে উচ্চতম শিবলিঙ্গটি রয়েছে। শিবনিবাসের এখন যেই মন্দিরগুলো রয়েছে তার রয়েছে বিভিন্ন নাম। যেমন – রাজ রাজেশ্বর মন্দির, রগনিশ্বর মন্দির, রাম-সীতা মন্দির, বুড়ো শিব মন্দির।

যদিও দুর্ভাগ্যক্রমে বর্তমানে এখানে ১০৮ টির মধ্যে মাত্র তিনটি মন্দির রয়েছে। যার মধ্যে একটিতে পূর্ব ভারতের বৃহত্তম শিব লিঙ্গ রয়েছে। তাছাড়া এখানের রাম সীতা মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে আরও দুটি শিব মন্দির এবং কৃষ্ণচন্দ্রের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ শিবনিবাসের গৌরবময় অতীতের অবশিষ্টাংশ।

।। নদীয়া।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

৫০০ বছরের প্রাচীন পঁচেটেগড় রাজবাড়ীর পঞ্চেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস ও অলৌকিক ঘটনা।

“মাটির ঢিপির ওপর গরুর বাঁট থেকে ঝরে পড়তো দুধ সেই ঢিপি খনন করতেই উঠে আসে শিবলিঙ্গ, ৫০০ বছরের প্রাচীন পঁচেটেগড় রাজবাড়ীর পঞ্চেশ্বর শিব মন্দির নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস ও অলৌকিক ঘটনা”


পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ২ নং ব্লকের পঁচেটগড় রাজবাড়ি প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ওড়িষ্যার আটঘর এলাকার বাসিন্দা আদি পুরুষ কালামুরারি দাস মহাপাত্র। তিনি ওড়িশার জগন্নাথ দেবের সামনে নিত্য দিন সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। সেই সঙ্গীতেই মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে মন্দির পরিচালনা র দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে পেয়েছিলেন জমি সেই জমিতে জগন্নাথ দেবের নিত্য সেবার জন্য তুলশি চাষ করতেন। পরবর্তী সময় জাহাঙ্গীর এর নজরে পড়ে যান। তাকে বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মোঘল সম্রাট। কাজটি তিনি সূচারু ভাবে করতে প্রথমে পটাশপুর এলাকার খাঁড় কল‍্যানপুরে বসবাস করতেন তিনি। সেই সময় রাজা কালু মুরারির মোহন তার রাজ কর্ম চারিদের থেকে জানতে পারেন ওই এলাকার কোনো এক গভীর জঙ্গলের নির্যন এক যায়গায় উচু এক মাটির ঢিপির ওপর প্রতিদিন কিছু গরু গিয়ে দাড়ায় তারপর গরু গুলির বাট থেকে দুধ ঝরে পড়ে মাটির ঢিপির ওপর অলৌকিক এই ঘটনা শুনে রাজা কালুমুরারি নির্দেশ দেন ওই জঙ্গল কেটে পরিস্কার করতে।

তারপর রাজা নিজে দাড়িয়ে থেকে ওই মাটির ঢিপি খনন করেন খনন করার সময় মাটির নিচে পরবর্তী সময়ে উদ্ধার হয় শিবলিঙ্গ। খনন কার্যের সময় আঘাত লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিবলিঙ্গটি আঘাত লেগে ভেঙ্গে যায় এই ঘটনায় চিন্তায় পড়েন রাজা মহাশয়। ডাক পড়ে রাজ পুরোহিতের। রাজ পুরোহিতের নির্দেশে শিবলিঙ্গের চার পাশে বেনারস থেকে এনে আরো চারটি শিবলিঙ্গ বসানো হয়। ঐ শিবলিঙ্গ দিয়েই কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির। ধিরে ধিরে পঞ্চেশ্বর নামটি প্রচার হতে থাকে পঞ্চেশ্বর থেকেই আজ পঁচেট গ্রামের নাম করন হয় পঁচেট। এখানেই তিনি তৈরি করেন পঁচেটগড় রাজ বাড়ি। রাজ‌ বাড়ীর রাজারা শৈবে পরিনত হন শক্তি আরাধনায় শিবের পুজো করতেন। পরবর্তি কালে শ্রী চৈতন্যদেব যখন পটাশপুর হয়ে পুরী গিয়ে ছিলেন তখন জমিদার বাড়ির সদস্যরা শৈব থেকে বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষা নেন।

পরে জমিদার বাড়ির কুলদেবতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন কিশোররাই জিউ। যাকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর কার্ত্তিক পূর্নিমা থেকে শুরু হয় রাস উৎসব।‌ এছাড়াও রাজ বাড়ীতে রয়েছে নারায়ন জিউ মন্দির ও শিতলা মন্দির। পঁচেট গড় রাজবাড়ীর এই শিব মন্দিরে শিব চর্তুরদশিতে জল ঢালতে আশে এলাকার অসংখ্য মানুষ। কথিত আছে এই এলাকায় অনাবৃষ্টি দেখা দিলে বৃষ্টি না হলে এই শিব মন্দিরে ১০৮ টি বেলপাতা সহকারে পুজো দিয়ে ১০৮ কশলি জল ঢালা হয় যার ফলে তৎকালীন বৃষ্টি নেমে আসে। এই মন্দির ঘিরে বসছে এবছর ১০ দিনের মেলা মেলা দেখতে ভিড় জমাবেন এলাকার মানুষ।

।। পটাশপুর-পূর্ব মেদিনীপুর।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

জয় মুখার্জি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং পরিচালক – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জয় মুখার্জি ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং পরিচালক।  তিনি ১৯৩৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। জয় মুখোপাধ্যায় ছিলেন শশধর মুখোপাধ্যায় এবং সতী দেবীর পুত্র।  তার বাবা একজন সফল প্রযোজক এবং ফিল্মালয় স্টুডিওর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।  তার কাকারা ছিলেন পরিচালক সুবোধ মুখোপাধ্যায়, অশোক কুমার, অনুপ কুমার এবং কিশোর কুমার।  জয় মুখার্জি দেরাদুনের কর্নেল ব্রাউন কেমব্রিজ স্কুল এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়াশোনা করেছেন।  তার স্ত্রী নীলম এবং তাদের দুই ছেলে মনজয় ও সুজয় এবং একটি মেয়ে সিমরন রয়েছে।

 

আর কে নায়ার পরিচালিত লাভ ইন সিমলা ছবিতে সাধনের বিপরীতে জয় মুখার্জি আত্মপ্রকাশ করেছিলেন।  এরপর তিনি আশা পারেখের সাথে  ফির ওহি দিল লায়া হুঁ লাভ ইন টোকিও জিদ্দি  মতো চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।  তার কিছু চলচ্চিত্র যেমন দুর কি আওয়াজ, আও পেয়ার করে এবং শাগির্দ, হাসিনা সাধনার বিপরীতে –  এক মুসাফির এক হাসিনা , বৈজয়ন্তীমালার বিপরীতে ইশারা এবং রাজশ্রীর বিপরীতে জি চাহতা হ্যায় অসাধারণ সাফল্য ছিল।  তার অভিনীত বেশিরভাগ সিনেমায় গানগুলো জনপ্রিয়তা পায়।  1960 এর দশকের শেষের দিকে, পছন্দসই ভূমিকাগুলি হ্রাস পেতে শুরু করে, তাই তিনি পরিচালনা এবং প্রযোজনা শুরু করেন।

শেষের দিকে ভাই দেব মুখোপাধ্যায় এবং ভাবী শ্যালিকা তনুজাকে নিয়ে নিজেদের প্রযোজনায় এক বার মুসকুরা দো (১৯৭২) সাফল্য লাভ করা সত্ত্বেও জয় রূপালী পর্দা থেকে ধীরে ধীরে সরে যান। পরে, ১৯৭৭ সালে, তিনি ছৈলা বাবু ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজেশ খান্না কে মুখ্য চরিত্রে নিয়ে, এটি বক্স অফিসে বড় সাফল্য লাভ করেছিল। লাভ ইন বোম্বাই প্রযোজনার সময় তার যে ঋণ হয়েছিল, এই সিনেমার সাফল্য তার সেই সমস্যা সমাধান করে দেয়। পরে ১৯৮৫ সালে, রাজেশ খান্না তাকে ইনসাফ ম্যায় করুঙ্গা ছবিতে খলনায়ক হিসাবে সুযোগ দিয়েছিলেন, যা অভিনেতা জয় মুখার্জীর শেষ সফল ছবি।

 

দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর জয় মুখোপাধ্যায় ২০১২ সালের ৯ই মার্চ মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে মারা যান।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৯ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৯ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৪৫২ – আমেরিগেডেস পুচি, নৌ-অভিযাত্রী,তার নামানুসারে আমেরিকার নামকরণ করা হয়।

১৪৫৪ – আমেরিগও ভেসপুসি, ইতালীয় মানচিত্রকর এবং এক্সপ্লোরার।

১৭৬৭ – উইলিয়াম কচেট, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক।

 

১৮০৯ – পাগলা কানাই,মরমী কবি।

 

১৮১৪ – টারাস শেভচেঙ্কো, ইউক্রেনীয় কবি ও নাট্যকার।

১৮৯০ – ভ্যাচেস্লাভ মলোটভ, রাশিয়ান রাজনীতিবিদ ও মন্ত্রী।

 

১৯০৭ – মির্চা এলিয়াদ, রুমানিয়ার লেখক।

 

১৯২৩ – ওয়াল্টার কোন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ।

 

১৯২৯- জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৩৪ – কাইয়ুম চৌধুরী, বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী।

১৯৩৪ – ইউরি গ্যাগারিন, রাশিয়ান কর্নেল, পাইলট ও মহাকাশচারী।

১৯৪২ – জন কালে, ওয়েলশ গায়ক, গীতিকার, ভিওলা বাদক ও প্রযোজক।

১৯৪৩ – রবার্ট জেমস ববি ফিশার, আমেরিকান দাবা খেলোয়াড় ও লেখক।

 

১৯৫১ – জাকির হুসেইন (তবলা বাদক), ভারতীয় তবলা বাদক, সুরকার ও অভিনেতা।

১৯৫৫ – অরনেলা মুতী, ইতালীয় অভিনেত্রী।

১৯৫৯ – তাকাকি কাজিটা, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ।

১৯৬৪ – জুলিয়েটেবিনচে, তিনি ফরাসি অভিনেত্রী।

১৯৬৮ – ইয়ুরি জর্কেফ, ফরাসি ফুটবলার।

১৯৭৫ – হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরন, আর্জেন্টিনার ফুটবলার।

১৯৮৩ – মাইটে পেরনি, মেক্সিক্যান গায়ক, গীতিকার ও অভিনেত্রী।

১৯৯০ – দালি ব্লিন্ড, ডাচ ফুটবলার।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০৭৪ – পোপ সপ্তম গ্রেগরী বিবাহিত পাদ্রীদের ধর্মচ্যুত করেন।

১৪৫১ – আমেরিগো ভেসপুচির জন্ম, তার নামেই আমেরিকার নামকরণ করা হয়।

১৭৭৬ – আধুনিক অর্থশাস্ত্রের জনক অ্যাডাম স্মিথ রচিত “দ্য ওয়েল্থ অব নেশন্স” প্রকাশিত হয়।

১৮৫৮ – সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর (২) রেঙ্গুনে নির্বাসিত হন।

১৮৭২ – ব্রাহ্মধর্ম বোধিনী সভা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯০২ – ব্রিটিশ সেনারা দায়িত্ব পালনকালে বা অন্য সময়ে চশমা ব্যবহারের অধিকার পায়।

১৯১৮ – রাশিয়ার রাজধানী পেত্রোগ্রাদ থেকে মস্কোতে স্থানান্তরিত হয়।

১৯৩০ – লন্ডনে প্রথম হিমায়িত খাদ্য বিপণন শুরু হয়।

১৯৪৪ – মার্কিন বাহিনী দিবালোকে বার্লিনে বোমাবর্ষণ শুরু করে।

১৯৫৬

মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে।

আবুল কাসেম ফায়জুল হক পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর নিযুক্ত হন।

১৯৬১ – সোভিয়েত ইউনিয়ন স্পুটনিক-৯ নভোযানের মাধ্যমে মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো লাইকা নামের একটি কুকুর প্রেরণ করে।

২০১৫ – বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে উন্নীত ৷

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৩৫৪ – আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ হাসান সাদর, বিখ্যাত আলেম।

১৬৬১ – কার্ডিনাল মাযারিন, ইতালীয় ফরাসি শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও প্রধানমন্ত্রী।

 

১৮৫১ – হান্স ক্রিশ্চিয়ান অরস্টেড, ডেনিশ পদার্থবিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ।

১৮৫৮ – মদনমোহন তর্কালঙ্কার, কবি, পণ্ডিত ও নাট্যকার।

১৮৯৭ – সাইয়িদ জামাল উদ্দিন আফগানি, আফগান ভাবাদর্শী ও একটিভিস্ট।

১৯৭৪ – আর্ল উইলবার সাদারল্যান্ড জুনিয়র, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান শারীরবিজ্ঞানী।

১৯৮১ – ম্যাক্স ডেলবুর্ক, ১৯৬৯ সালে নোবেল বিজয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানী।

 

১৯৮৩ – উল্ফ ভন ইউলার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইডিশ শারীরবিজ্ঞানী।

১৯৮৮ – কার্ট গেয়র্গ কিয়েসিঙ্গের, জার্মান আইনজীবী, রাজনীতিবিদ।

১৯৯২ – মেনাখেম বেগিন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইসরাইলি রাজনীতিবিদ ও ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী।

১৯৯৪ – ফার্নান্দো রেয়, স্প্যানিশ অভিনেতা।

 

১৯৯৪ – দেবিকা রাণী ভারতের’ফার্স্ট লেডি অফ ইণ্ডিয়ান স্কিন’খ্যাত অভিনেত্রী।

 

১৯৯৬ – জর্জ বার্নস, আমেরিকান অভিনেতা ও গায়ক।

 

২০১২ – জয় মুখার্জি, ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।

 

২০১৪ – মোহাম্মদ ফাহিম, তিনি ছিলেন আফগান ফিল্ড মার্শাল, রাজনীতিবিদ ও ভাইস প্রেসিডেন্ট।

 

২০১৫ – অ্যালেক্সিস ভাস্টিনে, ফরাসি মুষ্টিযোদ্ধা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This