Categories
প্রবন্ধ

মূল্যবান মনুষ্য জীবন ও মহা শিবরাত্রি : স্বামী আত্মভোলানন্দ (পরিব্রাজক)।

আগামী 08.03.2024. শুক্রবার মহা শিবরাত্রি। শিব শব্দের অর্থ মঙ্গল, শুভ কল্যাণ প্রভৃতি। লিঙ্গ শব্দের অর্থ চিহ্ন বা প্রতীক, আবার প্রতীক অর্থ অবয়ব, প্রতিমা, নিদর্শন, ঈশ্বর তথা অকল্পনীয় বা বিরাট পদার্থকে কল্পনা করার সহায়ক বস্তু পভৃতি। তাই প্রতিটি মঙ্গলময় জিনিস বা ব্যক্তিত্ব হলো শিবস্বরূপ। আর মঙ্গলকে আশ্রয় না করে কয়জন বাঁচতে পারে? তাই শিব সবারই আশ্রয়স্থল। তেমনি শিব ব্যক্তিত্বের ব্যক্তি মঙ্গলময় ও আশ্রয়দাতার প্রতীক। তাহলে শিবলিঙ্গ শব্দের সম্মিলিত অর্থ – যা মঙ্গলময়ের প্রতীক, কল্যাণের প্রতীক প্রভৃতি। অতএব শিব লিঙ্গ পূজা, মঙ্গলময়ের পূজা, সুন্দরের পূজা, শুভ বা কল্যাণের পূজা।

আমাদের হিন্দুদের অন্যতম প্রধান মন্ত্র :-
” ওঁ নমঃ শিবায় “৷ এই মন্ত্রের শক্তি মানব মনের বিশুদ্ধ অন্তঃসত্ত্বাকে জাগ্রত করে ৷ বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির আগে মহাশূণ্যে যে শব্দতরঙ্গ ছিল তাই “ওম ” ৷ যুগ যুগ ধরে হিন্দু সাধক ঋষি-মুনিরা ওম উচ্চারণ করে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে তপস্যায় নিমগ্ন থেকেছেন ৷ “ওঁ/ওমঃ” (প্রনব) হল পরমেশ্বরের প্রতীক। সৃষ্টির প্রথম শব্দ ওঁ। ওঁ এ আছে তিন অক্ষর- অ, উ, ম। তিন অক্ষরে আছে-
১।তিন দেবতাঃ- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব।
২।তিন লোকঃ- ভূ-লোক, দ্যুলোক, অন্তরীক্ষ লোক।
৩।তিন গুণঃ- স্বত্ব, রজ, তম।
৪।তিন অবস্থাঃ- স্থুল, সুক্ষ, অতি সুক্ষ।
৫।তিন কালঃ- ভূত, ভবিষ্যত, বর্তমান।
৬।তিন ধামঃ- দেবীধাম, বৈকুন্ঠধাম, গোলকধাম।
” ন, ম, শি, বা, য় ,” এই মন্ত্রে আমরা মহাদেবের জপ করি ৷ ন মানে মাটি , ম অর্থে জল , শি হলেন প্রতিভূ , বা মানে বায়ু বা বাতাস এবং য় হলেন সবকিছুর প্রতিনিধিস্বরূপ৷
শিব বা মহাদেবের পাঁচটি কাজ৷ সৃষ্টি করা , পালন করা , বিশুদ্ধ করা, আচ্ছাদিত করা এবং উন্মুক্ত করা ৷
পঞ্চভূতে আমরা তাঁর পাঁচটি কৃত্য দেখি :-
সৃষ্টি ভূমিতে , স্থিতি জলে , সংহার আগুনে , তিরোভাব বাতাসে এবং অনুগ্রহ আকাশে ৷
এই মন্ত্রে আমরা মাটির শক্তি , জলের তারল্য , বায়ুর গতি এবং অগ্নির উত্তাপ অনুভব করতে পারি ৷
সঠিক ভাবে “ওঁ নমঃ শিবায়” উচ্চারণ করে জপ করলে সবরকম অশুভ প্রভাব দূরে থাকে ৷ পাঁচ ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণে থাকে l শিব জন্মরহিত , শাশ্বত ,সব কারণের কারণ ৷ তিনি স্ব স্বরূপে বিদ্যমান ৷ সব জ্যোতির জ্যোতি বা আলো ৷ তিনি তুরীয় , অন্ধকারের অতীত ৷ আদি ও অন্তহীন ৷ শিবের সমান দেবতা নেই, শিবের তুল্য গতি নেই , দানে শিবের তুল্য দেবতা নেই, যুদ্ধে শিবের তুল্য বীর নেই। তাই প্রকৃত শিবভক্তগণ শিব লিঙ্গ পূজার মাধ্যমে মঙ্গলময় করুণাময় শিবসুন্দরের মহান আশীর্বাদ লাভ করেন। আর সব শেষে শিবলিঙ্গ বা শিব মূর্তিকে প্রণাম করে বলুন:-
ওঁ নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে।
নিবেদয়ামি চাত্মানং গতিস্তং পরমেশ্বরম্।।
ওঁ নমঃ শিবায়..ওঁ নমঃ শিবায়..ওঁ নমঃ শিবায়..
সর্বে ভবন্তু সুখিনঃ সর্বে সন্তু নিরাময়াঃ।
ওঁ গুরু কৃপা হি কেবলম্ ….!

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৮ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৮ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) আন্তর্জাতিক নারী দিবস, (জাতিসংঘ)

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৭১৪ – কার্ল ফিলিপ এমানুয়েল বাখ, জার্মান সঙ্গীতস্রষ্টা।

 

১৮৫৪ – টম হোরান, আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার।

 

১৮৮৩ – ১৯৪৪ সালে নোবেলজয়ী জার্মানির ভৌত রসায়নবিদ অটো হান।

 

১৯০৮ – লোকনাথ বল, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী এবং সূর্য সেনের সশস্ত্র বিপ্লবী।

 

১৯১৬ – বাঙালি সাহিত্যিক অন্নপূর্ণা গোস্বামী।

 

১৯৫৬ – রামকুমার মুখোপাধ্যায়, বাঙালি কথাসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার।

 

১৯৭৪ – ভাস্কর চট্টোপাধ্যায়, বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের ভারতীয় বাঙালি অভিনেতা।

 

২০০১ – আশিক সেখ তেঁতুলিয়া গ্রামের একজন ছাত্র।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১০১০ – কবি ফেরদৌসী তার বিখ্যাত মহাকাব্য শাহনামা সমাপ্ত করেন।

১০৮০ – পোপ গ্রেগরী জার্মানীর রাজা চতুর্থ হেনরীকে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতাচ্যুত করেন।

১৭২২ – গুলনাবাদ যুদ্ধের সময় ইরানের সম্রাট সাফাভিদ একজন আফগান সৈন্যের দ্বারা পরাজিত হন।

১৮১৭ – নিউ ইয়র্কের শেয়ার মার্কেটের প্রতিষ্ঠা।

১৮৩৬ – কলকাতায় পাবলিক লাইব্রেরির উদ্বোধন হয়।

১৮৬৫ – নর্থ সী ও আমস্টারডামের ভেতর সংযোগকারী খালের নির্মাণ কাজ শুরু।

১৮৭৬ – আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল তার প্রথম টেলিফোনের পেটেন্ট গ্রহণ করেন।

১৮৯৪ – নিউইয়র্ক শহরে সর্বপ্রথম কুকুরের লাইসেন্স প্রদান।

১৯১১ – আজকের এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্থান পায়।

১৯১৭ – জ্যাজ রেকর্ড প্রথম বাজারে বিক্রি শুরু হয়।

১৯১৭ – পেট্রো গ্রাদে রুশ বিপ্লব শুরু।

১৯৩০ – মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।

১৯৪২ – ঢাকায় ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনে ছোট গল্পকার সোমেন চন্দ মিছিলে নিহত হন।

১৯৪৯ – ফ্রেন্স ইউনিয়নের অভ্যন্তরে ভিয়েতনামের স্বাধীনতা লাভ।

১৯৫০ – সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক বোমার অধিকারত্ব দাবি করে।

১৯৫৪ – পূর্ববঙ্গ পরিষদের নির্বাচন; ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাজিত করে যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৭টি ও মুসলিম লীগ ৯টি আসন পায়।

১৯৫৭ – ঘানা জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৭২ – বাংলাদেশে জাতীয় রক্ষীবাহিনী গঠনের সরকারি আদেশ জারী।

২০২০- বাংলাদেশে নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৭০২ – তৃতীয় উইলিয়াম, ইংল্যান্ডের রাজা।

 

১৮৭৪ – মিলার্ড ফিল্‌মোর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি।

 

১৯৩০ – উইলিয়াম হাওয়ার্ড ট্যাফ্‌ট্‌ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম রাষ্ট্রপতি ও ১০ম প্রধান বিচারপতি।

১৯৩৫ – হাচিকো, বিশ্বস্ত কুকুর হাচিক।

 

১৯৪২ – সোমেন চন্দ, মার্ক্সবাদী, সাহিত্যিক।

 

১৯৯২ – অমিতা ঠাকুর রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী ও কবি।

 

২০০২ – নিরঞ্জন ধর যুক্তিবাদী সমাজবিজ্ঞানী ও মানবতাবাদী ঐতিহাসিক।

 

২০০৪ – আবু আব্বাস, প্যালেস্টাইন লিবারেশন ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা।

 

২০২১ – শাহীন আলম, বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
নারী কথা রিভিউ

আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, জানুন দিনটি কেন পালিত হয় ও গুরুত্ব।

সূচনা—

আজ ৮ মার্চ, আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও দিনটি নানান আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপিত হয়। নারীর অধিকার রক্ষায় বিশ্বব্যাপী সমতাভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে প্রতিবছর এই দিনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস এর পূর্বনাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদ্‌যাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদ্‌যাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক প্রকার হয়। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদ্‌যাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।

 

নারী দিবসের রঙ—

নারীদের ওপর হওয়া বৈষম্য, নির্যাতনের বিরুদ্ধে করা প্রতিবাদে নারীদের জাগ্রত করাই নারী দিবস পালনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । নারী দিবসের রঙ নির্ধারিত হয়েছে বেগুনি এবং সাদা, যা নারীর প্রতীক। বেগুনি রঙ নির্দেশ করে সুবিচার ও মর্যাদা, যা দৃঢ়ভাবে নারীর সমতায়ন। ১৯৮৩ সালে পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ লেখক এবং নারীবাদী অ্যালিস ওয়াকারের প্রশংসিত উপন্যাস ‘দ্য কালার পারপল’ বইটি এই রঙ নির্ধারণে অনুপ্রেরণা জোগায়। এ বইতে তিনি নারীদের অধিকারের কথা তুলে ধরেছেন । ধারণা করা হয়, সেখান থেকেই নারীবাদী আন্দোলনের সঙ্গে জুড়ে গেছে বেগুনি-সাদা রঙ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

 

নারী দিবসে জাতিসংঘের প্রতিপাদ্য—

 

১৯৯৬-অতীত উদ্‌যাপন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, ১৯৯৭-নারী এবং শান্তি, ১৯৯৮-নারী এবং মানবাধিকার, ১৯৯৯-নারী প্রতি সহিংসতামুক্ত পৃথিবী, ২০০০-শান্তি স্থাপনে একতাবদ্ধ নারী, ২০০১-নারী ও শান্তি : সংঘাতের সময় নারীর অবস্থান, ২০০২-আফগানিস্তানের নারীদের বাস্তব অবস্থা ও ভবিষ্যৎ, ২০০৩-লিঙ্গ সমতা ও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, ২০০৪- নারী এবং এইহ আই ভি/ এইডস, ২০০৫- লিঙ্গ সমতার মাধ্যমে নিরাপদ ভবিষ্যত, ২০০৬-সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারী, ২০০৭-নারী ও নারী শিশুর ওপর সহিংসতার দায়মুক্তির সমাপ্তি, ২০০৮-নারী ও কিশোরীদের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ, ২০০৯-নারী ও কিশোরীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে নারী-পুরুষের একতা, ২০১০-সমান অধিকার, সমান সুযোগ- সকলের অগ্রগতি, ২০১১-শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণ, ২০১২-গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়ন- ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সমাপ্তি, ২০১৩-নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়, ২০১৪-নারীর সমান অধিকার সকলের অগ্রগতির নিশ্চয়তা, ২০১৫- নারীর ক্ষমতায়ন ও মাবতার উন্নয়ন, ২০১৬-অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান। ২০১৭- নারী-পুরুষ সমতায় উন্নয়নের যাত্রা, বদলে যাবে বিশ্ব কর্মে নতুন মাত্রা।২০১৮- সময় এখন নারীর: উন্নয়নে তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্ম-জীবনধারা, ২০১৯-সবাই মিলে ভাবো, নতুন কিছু করো নারী-পুরুষ সমতার নতুন বিশ্ব গড়ো,  ২০২০- প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারী অধিকার, ২০২১-করোনাকালে নারী নেতৃত্ব গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব, ২০২২- যত্নসই আগামীকালের জন্য আজ লিঙ্গ সমতা, ২০২৩ – ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন।

 

যেভাবে এলো নারী দিবস—

 

সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর অর্জন উদযাপনের পাশাপাশি সমাজে নারী-পুরুষের সমতার বিষয়টি প্রতিবছর মনে করিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এর সূচনা সেই ১৬২ বছর আগে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মজুরি বৈষম্য, নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ঠিক করা ও কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে সরকারি বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। সেই মিছিলে চলে সরকার লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন। ১৯০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হলো। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ; জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের একজন। এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে। দিবসটি পালনে এগিয়ে আসে বিভিন্ন দেশের সমাজতন্ত্রীরা। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। সেই থেকেই ধীরে ধীরে ৮ মার্চ দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারী অধিকারের প্রতীকে পরিণত হয়। অনেক দেশই সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয় দিবসটিকে। অনেক দেশেই এই দিনটি নারীদের জন্য রাষ্ট্রীয় ছুটি হিসেবে পালন করে থাকে।

 

উপসংহার—

এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে। সারা বিশ্বের সকল দেশে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।  আশা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব গড়ার কাজে পুরুষের মতো সমান অবদান রাখার প্রত্যয় নিয়ে নারীর এগিয়ে চলা আগামীতে আরো বেগবান হবে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, ভারতীয় বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গবেষক -প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

বাংলা লোকসংগীতের জগতে  কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য এক অতি পরিচিত নাম। কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য এর জন্ম ১১ সেপ্টেম্বর ১৯৭০ সালে। তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় বাঙালি লোকসঙ্গীত শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গবেষক।

তিনি আসামের শিলচরে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য অধ্যয়ন করেন।  তাঁর সঙ্গীতের অনুপ্রেরণা তাঁর কাকা অনন্ত ভট্টাচার্য।  আসামের শিলচরে ভট্টাচার্যের বাড়ি ছিল তাঁর সঙ্গীত জীবনের প্রাথমিক অংশ।  ছন্দে ও সুরে তিনি বেড়ে উঠছে।  তবলা বাজানোর মাধ্যমে ধীরে ধীরে গানের জগতে প্রবেশ করেন তিনি।  তবলার পর তিনি ধাপে ধাপে অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখেছিলেন।  তিনি কণ্ঠ সঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন।  সঙ্গীত ছিল তার গভীর আগ্রহ;  অবশেষে তিনি উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্ট হন।  এরপর শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী লোকগানের সন্ধান যা ছিল প্রাণবন্ত, সুরেলা এবং সর্বজনীন লোক সুর, যা অনেকের কাছেই ছিল অজানা ও অজানা। ১৯৯৯ সালে, তিনি উত্তরবঙ্গ এবং পূর্ববঙ্গের পল্লীগান এবং লোকায়ত গানের ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে লোকসংগীত ব্যান্ড দোহারের সহ-প্রতিষ্ঠা করেন।  তিনি দেশ-বিদেশে আসাম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের সিলেটি গান, বিহু, বাউল, কামরূপী, ভাওয়াইয়া গান গেয়েছেন।  বেশ কিছু চলচ্চিত্রের গানেও অবদান রেখেছেন।  তাঁর শেষ ছবির কাজ ছিল ভুবন মাঝি।

 

কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য হিন্দি ও বাংলা ছবিতে কয়েকটি প্লেব্যাক গান গেয়েছেন।  অশোক বিশ্বনাথ পরিচালিত হিন্দি ছবি গুমশুদাতে তাঁর একটি গান ছিল।  ২০০৭ সালে, তিনি সুমন মুখার্জি পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র চতুরঙ্গে গান গেয়েছিলেন।  ২০০৮ সালে, তিনি গৌতম ঘোষ পরিচালিত একটি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রকল্প মনের মানুষ (সোনালী ময়ূর পুরস্কার বিজয়ী) বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য গান করেন।  এটি ফকির লালন শাহের জীবন ও দর্শনের উপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র।সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত  বাংলা চলচ্চিত্র জাতিশ্বর ছিল একটি জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্র; যেখানে ২০১৪ সালে কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য গান গেয়েছিলেন। ২০১২ সালে কালিকাপ্রসাদের গবেষণা নিবন্ধগুলি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল এবং সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল।

তিনি ‘সা রে গা মা পা’ অনুষ্ঠানে বাংলা লোক সঙ্গীত প্রচার করেন এবং বিশ্বব্যাপী অভিনন্দন পান।

 

 

 

তিনি ২০১৩ সালে গুয়াহাটি ব্যতিক্রম গ্রুপ থেকে উত্তর পূর্ব পুরস্কারের সাংস্কৃতিক রাষ্ট্রদূত পান। কালিকাপ্রসাদ তার অনন্য সৃষ্টি এবং বাদ্যযন্ত্র শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার “সংগীত সম্মানের পুরস্কার” দেন (২০১৩)।

 

কালিকাপ্রসাদ হুগলী জেলার গুরাপ গ্রামের কাছে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ২০১৭ সালের ৭ই মার্চে।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
নারী কথা প্রবন্ধ

বাংলা রঙ্গমঞ্চের নৃত্যগীতে সুদক্ষা খ্যাতনাম্নী অভিনেত্রী নীহারবালা – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন——–

বাংলা রঙ্গমঞ্চের নৃত্যগীতে সুদক্ষা খ্যাতনাম্নী অভিনেত্রী  নীহারবালার জন্ম ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে। তাঁর পিতা ছিলেন কিশোরী মোহন সরকার ও মাতা নীরদা। মাত্র নয় বৎসর বয়সেই তার রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ।  মাতার কাছেই তার শিক্ষা আর বেড়ে ওঠা । সঙ্গীতের শিক্ষা নেন গৌরীশঙ্কর মিশ্র’র কাছে। তবে নৃত্য ও সঙ্গীতে  প্রশিক্ষণের জন্য কিছুদিন মঞ্চ ত্যাগ করেন।  তিনি পুনরায়  ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে রঙ্গমঞ্চে যোগ দেন  নৃত্য ও সঙ্গীতে তালিম নেওয়ার পর।

 

অভিনয় জীবন————

 

স্ত্রী-চরিত্র অভিনয়ে একদিকে নাট্যসম্রাজ্ঞী তারাসুন্দরী ও অন্যদিকে লাস্যময়ী নীহারবালা সেসময় স্টারের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দ হতে তিনি দীর্ঘদিন স্টার থিয়েটারে অভিনয় করেন।   “কর্ণার্জুন” নাটকে ‘নিয়তি’ র ভূমিকায় অভিনয় করে প্রথম খ্যাতি লাভ করেন, সালটা তখন ১৯২৩। নাটকটি সেসময় দু-শো রজনী অভিনীত হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “চিরকুমার সভা” নাটকে ‘নীরবালা’র ভূমিকায় তার  অভিনয় দেখেন। কবিকে মুগ্ধ করে নাটকে সঠিকভাবে তার নাট্যগীতির প্রয়োগের দক্ষতা ও তিনি কবির প্রশংসা কুড়ান। এরপর গ্রামোফোন কোম্পানি তার অনেক গান রেকর্ড করে।

 

রেকর্ডে প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গানগুলি হল—-

 

আমি কখন ভাঙি কখন গড়ি, প্রাণহীনা পুতুল সমান, কালপ্রবাহ চলে ধীরে।

 

 

 

এর পরে তিনি স্টার থিয়েটার গোষ্ঠীর সঙ্গে বর্মায় যান ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে ।  সেখানে  “কর্ণার্জুন” ও “ইরাণের রানী” দুটি নাটকে অভিনয় করেন। তিনি বহু নাটকে অভিনয় করেছেন তাঁর তিন দশকের অভিনয় জীবনে। তাঁর অভিনিত উল্লেখযোগ্য নাটক গুলি হল—–

 

 

 

মুক্তির ডাক, জয়দেব, চণ্ডীদাস, প্রফুল্ল, বন্দিনী, রাখিবন্ধন, ছিন্নহার, অপ্সরা, সধবার একদশী, রূপকুমারী, বিবাহ বিভ্রাট, মৃণালিনী, কপালকুণ্ডলা , রামী , চন্দনা, আলেয়া , নাহের, সুদত্তা –  প্রভৃতি।

 

স্বল্প দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র “চন্দ্রশেখর” অভিনয় করে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এখানে নট ও নাট্যকার  অপরেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তার সহঅভিনেতা ছিলেন । যে সকল চলচ্চিত্রে বিভিন্ন ভূমিকায়  তাকে অভিনয় দেখা গিয়েছে সেগুলি হল ———

 

 

 

দেবদাস, প্রহ্লাদ, মিশর রানী, কেলোর কীর্তি, চাঁদ সদাগর, বিদ্যাসুন্দর, আবর্তন, সেলিমা।

 

অবসরকালীন জীবন ও জীবনাবসান——-

 

১৯৪৪ সালে তিনি দক্ষিণ ভারত সফরে পুদুচেরি যান।  ১৯৫০ সালে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর, তিনি শ্রী অরবিন্দের পন্ডিচেরি আশ্রমের বাসিন্দা হন এবং সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে থাকেন।  ১৯৫৪ সালের ৭ মার্চ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৭ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৭ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) সাধারণ ছুটি বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১৮৫৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অস্ট্রিয়ান চিকিৎসক জুলিয়াস ওয়াগনার-জারেগ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ।

 

১৮৯০ – মনোরঞ্জন গুপ্ত, বৃটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ও আইন সভার সদস্য।

 

১৯০৪ – বাঙালি লেখক ও ঔপন্যাসিক ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় ।

১৯০৭ – অখিলচন্দ্র নন্দী, ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী ও সাম্যবাদী কর্মী।

 

১৯১১ – সচ্চিদানন্দ হীরানন্দ বাৎসায়ন ভারতের জনপ্রিয় হিন্দি কবি ও ঔপন্যাসিক ।

১৯১৪ – আমেরিকান অভিনেতা জনরদনী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন ।

 

১৯৩১ – শঙ্কু মহারাজ প্রখ্যাত বাঙালি ভ্রমণ সাহিত্যিক।

 

১৯৩৮ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান জীববিজ্ঞানী ডেভিড বাল্টিমোর জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯৩৯ – ফরাসি গায়ক ও গীতিকার দান্যেল গেরারদ জন্মগ্রহণ করেন ।

 

১৯৪৬ – ইংরেজ গায়ক, গীতিকার, কীবোর্ড প্লেয়ার ও প্রযোজক ম্যাথু ফিশার জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯৫০ – ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব

১৯৫৪ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ অটো ডিলস জন্মগ্রহণ করেন।

 

১৯৫৫ – ভারতীয় অভিনেতা অনুপম খের জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯৬১ – আমেরিকান অভিনেত্রী মেরি বেথ ইভান্স জন্মগ্রহণ করেন ।

১৯৮৭ – ফরাসি ফুটবল খেলোয়াড় হাতেম বিন আরফা জন্মগ্রহণ করেন ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৮৩৫ – ব্রিটিশ রাজ ভারতে সরকারি অফিসে ফারসি ভাষা বিলোপ করে ইংরেজি ভাষা প্রচলন করে।

১৮৬১ – ঢাকা শহরের প্রথম সাপ্তাহিক ‘ঢাকা প্রকাশ’-এর আত্মপ্রকাশ।

১৮৭৬ – আলেকজান্ডার গ্রাহামবেল তার তৈরি টেলিফোন পেটেন্ট করেন।

১৯১৭ – জ্যাজ রেকর্ড প্রথম বাজারে বিক্রি শুরু হয়।

১৯২৩ – তৃতীয় পেশোয়ার ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হয়।

১৯৭১ – রমনার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে মুক্তি সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।

১৯৭৩ – বাংলাদেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৮৫ – বিখ্যাত গান উই আর দ্য ওয়ার্ল্ড আন্তর্জাতিক ভাবে প্রকাশ পায়।

১৯৮৬ – চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনা ইউএসএস প্রিসার্ভারের ডুবুরীরা সাগর তলে চ্যালেঞ্জারের কেবিন ক্রুদের অবস্থান নিশ্চিত করে।

১৯৮৯ – ইরান ও যুক্তরাজ্যের কূটনৈতিক সর্ম্পক ছিন্ন। সালমান রুশদীকে দুদেশের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯৩২ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি রাজনীতিবিদ ও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন ।

 

১৯৫৪ – নীহারবালা, নৃত্যগীতে সুদক্ষা খ্যাতনাম্নী অভিনেত্রী।

 

১৯৮২ – বিমল ঘোষ, শিশু সাহিত্যিক।

 

১৯৮৮ – আমেরিকান অভিনেতা রবার্ট লিভিংস্টোন মৃত্যুবরণ করেন।

১৯৯৭ – নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ এডওয়ার্ড মিল্স পারসেল মৃত্যুবরণ করেন।

 

১৯৯৯ – স্ট্যানলি কুব্রিক, একজন একাডেমি এওয়ার্ড বিজয়ী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

 

২০০০ – ইংরেজ অভিনেতা চার্লস গ্রে মৃত্যুবরণ করেন।

 

২০০৯ – দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেত্রী জাং জা-ইয়েওন মৃত্যুবরণ করেন।

২০১৩ – উইলি সিটকেস আমেরিকান অভিনেতা মৃত্যুবরণ করেন।

 

২০১৭ – কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য, একজন ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী, দোহার ফোক ব্যান্ড।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This
Categories
রিভিউ

বিখ্যাত মানুষের বিখ্যাত কিছু উক্তি।

০১. “যুদ্ধের সবচেয়ে সেরা কৌশল হল, লড়াই করা ছাড়াই শত্রুকে পরাজিত করতে পারা”

– সান জু (লেখক, দি আর্ট অব ওয়ার)

০২. “হাজার মাইলের যাত্রা শুরু হয় একটি মাত্র পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে”

– লাও ঝু (বিখ্যাত চীনা দার্শনিক)

০৩. “সততা হল জ্ঞানী হওয়ার বইয়ের প্রথম অধ্যায়”

– থমাস জেফারসন

০৪. “আলো ছড়ানোর দু’টি উপায় আছে। এক – নিজে মোমবাতি হয়ে জ্বলো, দুই – আয়নার মত আলোকে প্রতিফলিত করো”

– এডিথ ওয়ারটন (বিখ্যাত লেখিকা)

০৫. “ বিখ্যাত না হয়ে জীবন কাটালেও সুন্দর জীবন কাটানো সম্ভব, কিন্তু জীবনের মত জীবন না কাটিয়ে বিখ্যাত হওয়া কখনও সুন্দর জীবন হতে পারে না”

– ক্লাইভ জেমস

০৬. “সম্পন্ন করার আগে সবকিছুই অসম্ভব মনে হয়”

– নেলসন ম্যান্ডেলা

০৭. “সফল মানুষেরা কাজ করে যায়। তারা ভুল করে, ভুল শোধরায় – কিন্তু কখনও হাল ছাড়ে না”

– কনরাড হিলটন (প্রতিষ্ঠাতা, হিলটন হোটেল চেইন)

০৮. “নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখো! নিজের যোগ্যতার ওপর ভরসা রাখো! নিজের শক্তির ওপর বিনয়ী কিন্তু যথেষ্ঠ আস্থা ছাড়া তুমি সফল বা সুখী হতে পারবে না”

– নরম্যান ভিনসেন্ট পীল (লেখক, দার্শনিক)

০৯. “যদি স্বপ্ন দেখতে পারো, তবে তা বাস্তবায়নও করতে পারবে”

– ওয়াল্ট ডিজনি

১০. “মানুষ পরাজয়ের জন্য সৃষ্টি হয়নি। তাকে হয়তো ধ্বংস করা যায়, কিন্তু হারানো যায় না।”

– আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

১১. “চলুন আজকের দিনটাকে আমরা উৎসর্গ করি, যাতে আমাদের সন্তানরা কালকের দিনটাকে উপভোগ করতে পারে”

– ড. এপিজে আব্দুল কালাম

১২. “একজন মানুষ অন্য একজন মানুষের নামে তোমার কাছে কিছু বললে তাতে কান দিও না। সবকিছু নিজের হাতে যাচাই করো।”

– হেনরি জেমস (বিখ্যাত লেখক)

১৩. “বুদ্ধিমানেরা তখন কথা বলে যখন তাদের কিছু বলার থাকে। বোকারা কথা বলে কারণ তারা ভাবে তাদের কথা বলতে হবে”

– প্লেটো (দার্শনিক)

১৪. “আমরা ভেতর থেকে যেভাবে বদলাই, সে অনুযায়ীই আমাদের বাইরের বাস্তবতা বদলে যায়”

– প্লুতার্ক (প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক)

১৫. “সুখ কখনও সম্পত্তি বা অর্থের ওপর নির্ভর করে না। সুখের বাস আত্মার গহীনে”

– দেমোক্রিতাস (প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক)

১৬. “যে তার পিতামাতাকে সম্মান করে, তার মৃত্যু নেই”

– প্রাচীন গ্রীক প্রবাদ

১৭. “ভালো মানুষ খুব ধীরে ‘না’ বলে। বুদ্ধিমান মানুষ চট করে ‘না’ বলতে পারে”

– প্রাচীন গ্রীক প্রবাদ

১৮. “সবচেয়ে বড় জ্ঞানের পরিচয় হল, তুমি কিছুই জানো না – এটা জানা”

– সক্রেটিস (গ্রীক দার্শনিক)

১৯. “সৎ কর্ম যত ছোটই হোক, তা কখনও বৃথা যায় না”

– দার্শনিক ঈশপ এর বিখ্যাত উক্তি

২০. “খারাপ মানুষের সঙ্গের চেয়ে একা থাকাও অনেক ভালো”

– জর্জ ওয়াশিংটন

২১. “যদি খুব ভালো কিছু করতে না পারো, তবে ছোট ছোট কাজ খুব ভালো করে করো”

– নেপোলিয়ন হিল

২২. “সব ধরনের অনিশ্চয়তা, হতাশা আর বাধা সত্ত্বেও নিজের সবটুকু দিয়ে সফল হওয়ার চেষ্টাই শক্তিমান মানুষকে দুর্বলদের থেকে আলাদা করে”

– থমাস কার্লাইল (স্কটিশ দার্শনিক ও গণিতবিদ)

২৩. “সুযোগ যদি তোমার দরজায় কড়া না নাড়ে, তবে নতুন একটি দরজা বানাও”

– মিল্টন বার্লে (বিখ্যাত অভিনেতা)

২৪. “জীবনে উন্নতি করার গোপন সূত্র হল কাজ শুরু করা”

– মার্ক টোয়েন (ইতিহাসের সফলতম লেখকদের একজন)

 

২৫. “একসাথে হওয়া মানে শুরু; একসাথে থাকা মানে উন্নতি; দীর্ঘ সময় একসাথে চলা মানে সাফল্য”

– এডওয়ার্ড এভরিট হ্যালি (বিখ্যাত লেখক)

২৬. “যারা নতুন কিছু খোঁজে না, একদিন তাদেরও কেউ খুঁজবে না”

– জে আর আর টলকিন (লেখক, লর্ড অব দ্য রিংস)

২৭. “বললে আমি ভুলে যাব। শেখালে মনে রাখব। সাথে নিলে আমি শিখব”

– বেন্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন

২৮. “সুখী জীবনের জন্য খুব অল্প কিছুর প্রয়োজন। এটা তোমার মধ্যেই আছে, এটা তোমার ভাবনার ধরন।”

– মার্কাস ইলেরিয়াস (প্রাচীন রোমান শাসক ও দার্শনীক)

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী অম্বিকা চক্রবর্তী – প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল কিছু মানুষের কঠোর পরিশ্রম ও লড়াই, যার ফলেই ব্রিটিশদের থেকে ভারত সৃঙ্খল মুক্ত হতে পেরেছভাপেরেছিল। ভারত উপমহাদেশের বিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ সম্রাজ্যবাদ বিরোধী যে সশস্ত্র বিপ্লববাদী লড়াই-সংগ্রাম সংগঠিত হয় এবং যার ধারাবাহিকতায় ভারত স্বাধীন হয়, তার মূলে যে সকল বিপ্লবীর নাম সর্বজন স্বীকৃত তাঁদের মধ্যে বিমল দাশগুপ্ত ছিলেন একজন অন্যতম বীর ও নির্ভীক বিপ্লবী। অম্বিকা চক্রবর্তী ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে এক উল্লেখযোগ্য নাম, যিনি দেশমতৃকার শৃঙ্খল মুক্তির জন্য নিজেকে সঁপে দিয়েছিলেন সম্পূর্ণ রূপে। অম্বিকা চক্রবর্তী একজন ভারতীয় সশস্ত্র বিপ্লববাদী। অম্বিকা চক্রবর্তী  ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব।

 

 

 

অম্বিকা চক্রবর্তীর জন্ম চট্টগ্রামে ১৮৯২ সালে। তার পিতার নাম নন্দকুমার চক্রবর্তী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়, বিপ্লবী দলের কাজে জড়িত থাকার জন্য ১৯১৬ সালের শেষের দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  তিনি ১৯১৮ সালে মুক্তি পান এবং চট্টগ্রামে একটি বিপ্লবী ঘাঁটি গড়ে তুলতে বিপ্লবী নায়ক সূর্য সেনের সাথে যোগ দেন।  ১৯২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে কোম্পানির টাকা ছিনতাই করার পর চট্টগ্রাম শহরের উপকণ্ঠে তাদের গোপন ঘাঁটি পুলিশ ঘিরে ফেলে।  অবরোধের মধ্য দিয়ে পালানোর সময় নগরখানা পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।  সেই যুদ্ধে সূর্যসেন আহত হন এবং তিনি বিষ পান করেন;  কিন্তু অলৌকিকভাবে বেঁচে যান এবং পরে গ্রেফতার হন এবং খালাস পান।  আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত।  ১৯২৪ সালে বাংলার অন্যান্য বিপ্লবীদের সাথে আবার গ্রেপ্তার হন, ১৯২৮ সালে কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনের কিছু আগে তিনি মুক্তি পান।

 

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল, চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার দখলের চূড়ান্ত পর্বের দিন, তার নেতৃত্বে একটি ছোট দল শহরের টেলিফোন এবং টেলিগ্রাফ সিস্টেম ধ্বংস করে।  আত্মরক্ষার জন্য পাহাড়ে চারদিন অনাহারে থাকার পর ২২শে এপ্রিল পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর বিশাল বাহিনী নিয়ে জালালাবাদের যুদ্ধে তিনি গুরুতর আহত হন।  তার সঙ্গীরা তাকে মৃত ভেবে চলে গেল।  গভীর রাতে সে জ্ঞান ফিরে পায় এবং নিরাপদ আশ্রয়ে পাহাড় ছেড়ে চলে যায়।  কয়েক মাস পর ধরা পড়েন তিনি।  প্রথমে বিচারে মৃত্যুদণ্ড এবং পরে আপিলের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

১৯৪৬ সালে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনে যোগ দেন।  দেশভাগের পর উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের জন্য একটি সমবায় গঠন করেন।  ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাঙালি সাধারণ পরিষদের সদস্য হন।  ১৯৪৮ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকে অবৈধ ঘোষণা করা হলে তিনি আত্মগোপন করেন। ১৯৪৯-৫১ সালে আবার কারারুদ্ধ হন।

 

 

 

১৯৬২ সালের ৬ মার্চ কলকাতার রাজপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন অম্বিকা চক্রবর্তী ।

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
প্রবন্ধ

স্মরণে খ্যাতনামা বাঙালি চিত্রশিল্পী বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৫১ সালের ৬ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার মাতুললায় জন্মগ্রহণ করেন।  ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক ছিল তার।  সরকারি আর্ট কলেজে পড়ে।  বিখ্যাত চিত্রশিল্পী প্রমথ নাথ মিত্রের কাছ থেকে তৈলচিত্র শিখেছেন এবং জার্মান চিত্রশিল্পী বেকারের কাছ থেকে পুরনো চিত্রকর্ম পুনরুদ্ধার পদ্ধতি শেখেন।  ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি স্বাধীনভাবে ব্যবসা শুরু করেন।  ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত, তিনি উত্তর ভারত সফর করেন এবং এলাহাবাদ (বর্তমান প্রয়াগরাজ), লাহোর, অমৃতসর, গোয়ালিয়র, জয়পুর, যোধপুর ইত্যাদি স্থানের স্থানীয় রাজ্যগুলির রাজা ও মহারাজাদের প্রতিকৃতি আঁকার মাধ্যমে যথেষ্ট খ্যাতি ও অর্থ অর্জন করেন।  ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর প্রমুখ তৈলচিত্র এঁকে যশস্বী হয়েছিলেন।  বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে আঁকা ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এর মূল প্রতিকৃতিটি কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে সংরক্ষিত আছে।

 

 

 

চিত্রকর্ম——-

 

বামাপদর অন্যান্য বিখ্যাত চিত্র হল –

 

দুর্বাসা ও শকুন্তলা, জাগলার অ্যান্ড মংকি, উত্তরা ও অভিমন্যু,

শান্তনু ও গঙ্গা।

 

তিনি নিজের আঁকা পৌরাণিক চিত্রগুলির ওলিয়োগ্রাফ বা নকল-তৈলচিত্রও প্রচার করেছিলেন। বঙ্গীয় কলা-সংসদের কার্যকরী সমিতির অন্যতম সদস্য ছিলেন বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায।

 

মৃত্যু——

 

৮১ বৎসর বয়সে ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ৩রা এপ্রিল প্রয়াত হন বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়।।

 

।। তথ্য : সংগৃহীত উইকিপিডিয়া ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট।।

Share This
Categories
রিভিউ

আজ ০৬ মার্চ, ইতিহাসের দিকে চোখ বুলিয়ে দেখে নেব ইতিহাসের এই দিনে বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু, দিনসহ ঘটে যাওয়া ঘটনা।

আজ ০৬ মার্চ । এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

 

দিবস—–

 

(ক) জাতীয় পাট দিবস, বাংলাদেশ।

 

আজ যাদের জন্মদিন—-

১২৫২ – ইতালির সাধু রোজ।

 

১৪৫৯ – জার্মান ব্যবসায়ী ও ব্যাংকার জ্যাকব।

 

১৪৭৫ – মাইকেলেঞ্জেলো, রেনেসাঁস যুগের একজন ইতালীয় ভাস্কর, চিত্রকর, স্থপতি এবং কবি।

 

১৫০৮ – সম্রাট হুমায়ুন, দ্বিতীয় মুঘল সম্ৰাট।

 

১৭৮৭ – ইয়োসেফ ফন ফ্রাউনহোফার, একজন জার্মান আলোকবিজ্ঞানী।

 

১৮০৬ – ইংরেজ কবি এলিজাবেথ বেরেট ব্রাউনিংয়।

 

১৮১২ – কবি-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।

১৮৫১ – বামাপদ বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রসিদ্ধ বাঙালি চিত্রশিল্পী।

১৯২৭ – কলম্বিয়ার নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল মার্কুয়েজের।

১৯২৮ – কলম্বিয়ার নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক গাব্রিয়েল মার্কুয়েজ।

 

ইতিহাসের পাতায় আজকের দিনের ঘটনাবলী—-

১৫২২ – জার্মানীর ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান্টদের দ্বিতীয় বারের মত বড় ধরনের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয় ।

১৭৭৪ – রোমক সম্রাট ও ফ্রান্সের রাজার মধ্যে রাস্টাড শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৭৭৫ – রঘুনাথ রাও ও ব্রিটিশ রাজের মধ্যে সুরাট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৭৯৯ – নেপোলিয়ন প্যালেস্টাইনের জাফা দখল করেন

১৮৩৬ – ১৩ দিনের অবরোধের পর মেক্সিকোর সেনাবাহিনীর হাতে টেস্কাসের সান এন্টোনিওর পতন। এ অভিযানে মোট নিহত হয় ১৮৬ জন।

১৮৯৯ – ফলিক্স হফম্যান অ্যাসপিরিন প্যাটেন্ট করেন ।

১৯০২ – ব্রিটিশ সেনারা দায়িত্ব পালনকালে বা অন্য সময়ে চশমা ব্যবহারের অধিকার পায়।

১৯১৫ – শান্তিনিকেতনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও মহাত্মা গান্ধীর প্রথম সাক্ষাৎ।

১৯৩০ – লন্ডনে প্রথম হিমায়িত খাদ্য বিপণন শুরু হয়।

১৯৪৪ – মার্কিন বাহিনী দিবালোকে বার্লিনে বোমাবর্ষণ শুরু করে।

১৯৫৬ – মরক্কো ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে ।

১৯৫৭ – ঘানা স্বাধীনতা লাভ করে ডক্টর কাওয়াম নকরোমোর নেতৃত্বে।

১৯৬১ – ভারতের প্রথম ইংরেজি ভাষার ব্যবসা সম্পর্কিত সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিক টাইমস প্রকাশনা শুরু হয়।

১৯৭৪ – রোমক সম্রাট ও ফ্রান্সের রাজার মধ্যে ‘রাস্টার্ড শান্তি চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৭৫ – ইরান ও ইরাকের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ নিরসন সংক্রান্ত আলজিয়ার্স চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১৯৯৯ – যশোরের টাউন হলে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে টাইম বোমা বিষ্ফোরণ।

 

এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন যারা—-

১৯০০ – জার্মান আবিস্কারক জি. ডায়মলার ৬৪ বছর বয়সে মারা যান ।

 

১৯০০ – ইংরেজ রসায়নবিদ জন ডালটনের মৃত্যু ।

 

১৯৬২ – অম্বিকা চক্রবর্তী, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের বিপ্লবী।

 

১৯৭১ – মার্কিন ঔপন্যাসিক পার্ল এস বাকের মৃত্যু।

১৯৭৩ – নোবেলজয়ী প্রথম মার্কিন লেখিকা ও ঔপন্যাসিক পার্ল এস. বাক।

 

২০২১ – অডিও ক্যাসেট টেপ উদ্ভাবক খ্যাত ডাচ প্রকৌশলী লু ওটেনস।

 

।।তথ্য : সংগৃহীত ইন্টারনেট।।

Share This